ভালোবাসতে_চাই_প্রিয়_তোমাকে,১০,১১ শেষ

0
1127

#ভালোবাসতে_চাই_প্রিয়_তোমাকে,১০,১১ শেষ
#পর্ব_দশম
#লেখিকা_দিয়া

কলিং বেল বেজে উঠলো । মিনি গিয়ে দরজা খুলতেই ভিতরে যারা প্রবেশ করে তাদের দেখে আমি অবাকের চরম পর্যায়ে চলে যাই দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে আম্মা আর আব্বা মানে শুভ্রের আম্মু আব্বু।কতদিন পর মানুষ দুজনকে দেখলাম । আসার আগে যদি ও শাশুড়ী আম্মার সাথে দেখা হয়েছিল। কিন্তু আব্বা আসার আগেই তো আমি চলে আসি।আমি এখনো অবাক দৃষ্টিতে তাদেরকে দেখেই যাচ্ছি। তারা ভিতরে ঢুকতেই রিনি মিনি তাদের সালাম দেয়।শাশুড়ী আম্মা আমার দিকে এগিয়ে এসে বলতে লাগে,

তা মা এত বড় সিদ্ধান্ত টা যে নিলে তুমি একবার তো পারতে আমাকে জিজ্ঞেস করতে।আমাকে জিজ্ঞেস করলেই তো আর এত বড় ভুল বোঝাবুঝি হতো না।হ্যা আমি মানছি শুভ্রের দোষ রয়েছে। তোমার থেকে সমস্ত কিছু লুকানো ওরর মোটেও উচিত হয়নি।স্বামী স্ত্রীর মাঝে এসব লুকানো কথা বার্তা থাকতে নেই।তবুও এত বড় শাস্তি আমার ছেলেটাকে না দিলে ও পারতে মা। পাঁচ টা বছর আমার ছেলেটা গুমরে গুমরে মরেছে মা।ওর অবস্থা দেখে তো তুমি বুঝতে পারছো ও নিজেকে কতটা ভালো রেখেছে। কতটা খেয়াল রেখেছে নিজের।এবার অনেক মান অভিমান হয়ে । এখন তোমরা এসব শেষ করো।এই বুড়ো বয়সে এসব কি আমরা মানতে পারি বলো।আমরা আর কত দিন বলো। আজ আছি কাল না ও থাকতে পারি।মরার আগে যদি ছেলেটাকে গুছানো না দেখে যেতে পারি তাহলে যে আমি মরে গিয়ে ও শান্তি পাবনা মা।আমি জানি তোমার সাথে আমিও অন্যায় করেছি আমি।তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। দয়া করে তুমি এসব মনে রেখো না – হাত জোর করে বললো শাশুড়ী আম্মা

আমি তারাতাড়ি উনার হাত নিচু করে বলতে লাগলাম,

একি করছেন আপনি আম্মা।আমার মনে আপনাকে নিয়ে কোনো রাগ নেই বিশ্বাস করেন।সেই কবেই আমি সবকিছু ভুলে গিয়েছি – আমি

আমি নাতি টা কোথায় বউমা ? – শশুড় আব্বা

ও তো উপরের রুমে।রিনি যা তো বোন শুভকে নিয়ে আয়।ওকে গিয়ে বল নিচে ওর জন্য সারপ্রাইজ আছে। ও যেন জলদি আসে – আমি

ওকে আপু যাচ্ছি – বলে রিনি উপরে চলে গেল শুভকে আনতে।

মিনি আমি মোটামুটি সব সাজিয়ে রেখেছি।বাকি যা যা আছে তুই গিয়ে একটু করে ফেল না বোন।অনেক বেলা হয়ে গেছে আর কেউ এখনো খাবার খায়নি দুপুরে – আমি

আচ্ছা আপু তুমি চিন্তা করো না।আমি বাকি সব কিছু গুছিয়ে তোমাদের ডাক দিচ্ছি – বলে মিনি রান্না ঘরে চলে গেলো।

মাম্মি ও মাম্মি কি সারপ্রাইজ। জলদি বলো আমাকে – সিড়ি দিয়ে জলদি দৌড়ে নিচে আসতে আসতে বললো শুভ

আস্তে দৌড়াও শুভ।পরে যাবা তো।পরে গেলে কতটা ব্যাথা পাবা ভেবেছো তুমি – আমি

উফ মাম্মা আমি হচ্ছি হিরো। আর হিরোরা কখনো পরে যায় কোথাও শুনেছো তুমি? – কোমরে দুই হাত গুঁজে গাল ফুলিয়ে বললো শুভ

শুভের কথা শুনে ড্রইং রুমে উপস্থিত সকলে উচ্চ স্বরে হেসে দিল।এতক্ষণ পর হাসির শব্দ পাওয়ার পরে শুভ আম্মু আব্বুকে খেয়াল করলো।ওর চেহারা দেখেই আমি বুঝতে পারছি ও কাউকে চিনতে পারছে না।না চেনাটাই অবশ্য ঠিক।ও তো কখনো দেখে ও নি তাদের।চিনবেই বা কেমন করে।শুভ কৌতুহলী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমি ওকে বলতে শুরু করলাম,

শুভ এটা হচ্ছে তোমার ঠাম্মি ( আম্মাকে দেখিয়ে) আর এটা হচ্ছে তোমার দাদা ( আব্বাকে দেখিয়ে)- আমি

মাম্মা রিয়েলি তুমি সত্যি বলছো।সত্যিই এরা আমার গ্যান্ডমা আর গ্যান্ডপা – শুভ খুশি হয়ে বলে উঠলো।

হ্যা শুভ। আর তোমার পাপা কে আমার কাছে জানতে চেয়েছিলে না ? শুনবা কে তোমার পাপা? – আমি

ইয়েস মাম্মা জলদি বলো কে আমার পাপা – আগ্রহী কন্ঠে বলে উঠলো শুভ

ওই যে তোমার সুপার হিরো – শুভ্রকে দেখিয়ে বললাম আমি

মাম্মা তার মানে সুপার হিরোই হচ্ছে পাপা ? – শুভ

হ্যা শুভ তোমার সুপার হিরোই হচ্ছে তোমার পাপা – আমি

পাপা – বলে শুভ দৌড়ে গিয়ে শুভ্রের কোলে উঠে পরলো।

শুভ্র ও বেশ আদরেই নিজের ছেলেকে কোলে তুলে নিলো।তারপর আম্মা আব্বা শুভ্র শিহাব রনি সবাই শুভর সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে উঠলো।অন্য দিকে আমিও এগিয়ে গিয়ে রিনি মিনির সঙ্গে হাতে হাতে সব কিছু গুছাতে লাগলাম।একটু সময়ের মাঝেই আমাদের সব গুছানো শেষ হয়ে গেল।তারপর আমি এসে সবাইকে ডেকে নিয়ে গেলাম খাওয়ার জন্য। বেশ জমজমাট পরিবেশের মাঝেই সকলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলো।তারপর আবার ড্রইং রুমে সকলের গল্প আড্ডা চলতে লাগলো।আজ বেশ অনেক দিন পরে আমার বাড়িটা আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। বাড়িটা যেমন আবার নতুন করে নিজের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সন্ধ্যার দিকে রনি আর শিহাব চলে গেলো।আব্বু আম্মু রনি রিনি শিহাব আর মিনিদের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবে।বিয়ে শেষ হওয়ার পরে আমরা সবাই একসঙ্গে ঢাকা ফিরে যাব।আর এই বাসাটা কোনো এক ভালো ফ্যামেলি দেখে ভাড়া দিয়ে দিব।শুভ্র যাওয়া আসার উপরে থাকবে।কারণ হঠাৎ করে তো আর এতদিনের ছুটি পাওয়া সম্ভব নয় আবার ওদের বিয়েতে ও বেশ কয়দিনের ছুটি নেওয়া লাগবে।আর ভেবেছি আমার জুয়েলারি শপের একটা ব্যাঞ্চ ঢাকায় খুলে ফেলব যত জলদি সম্ভব। ওখানে থেকেই আমি প্রায় সব দেখাশোনা করবো।আর মাঝেমধ্যে সিলেটে এসে এদিকটা ও দেখে যাব।শুভ আজকে বায়না ধরেছে সে তার গ্যান্ডমা আর গ্যান্ডপার সঙ্গে ঘুমাবে।তাই আমি ওর জিনিসপত্র নিয়ে ওকে আম্মু আব্বুর রুমে গুছিয়ে দিয়ে আসলাম।রুমে ঢুকতে যাব দেখি দরজা লক।নক করতেই ও পাশে থেকে দরজা খুলে যায়।কিন্তু একি পুরো রুম অন্ধকার। হঠাৎ করে পুরো রুমে মোমবাতি জ্বলে উঠে। আর পিছনে থেকে শুভ্র বলতে লাগে,

চলবে?

#ভালোবাসতে_চাই_প্রিয়_তোমাকে
#পর্ব_একাদশ
#লেখিকা_দিয়া

শুভ আজকে বায়না ধরেছে সে তার গ্যান্ডমা আর গ্যান্ডপার সঙ্গে ঘুমাবে।তাই আমি ওর জিনিসপত্র নিয়ে ওকে আম্মু আব্বুর রুমে গুছিয়ে দিয়ে আসলাম।রুমে ঢুকতে যাব দেখি দরজা লক।নক করতেই ও পাশে থেকে দরজা খুলে যায়।কিন্তু একি পুরো রুম অন্ধকার। হঠাৎ করে পুরো রুমে মোমবাতি জ্বলে উঠে। আর পিছনে থেকে শুভ্র বলতে লাগে,

বউজান – শুভ্র

শুভ্রের কথা শুনে আমার শরীরে বয়ে গেল এক শীতল শিহরণ। আমি কোনো রকম নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠলাম,

হুম বলো – আমি

সরি। আর এমন কোনো ভুল কখনোই হবে না। এবারের মতো কি ক্ষমা করে দেওয়া যায় ? -পিছনে থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো শুভ্র

আমি কিছু না বলে শুভ্রের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ওর দিকে ঘুরে দাঁড়ালাম। তারপর নিজেকে থেকে ওকে জড়িয়ে ধরলাম

শুভ্র ও আমাকে জড়িয়ে নিলো নিজ বাহুদ্বয়ে।চুপটি করে আমি ওর বুকে মাথা দিয়ে দাড়িয়ে আছি।এতদিনে পর যে সবকিছু ঠিক হলো আমি ভাবতেই পারছি না।শুভ্র বলে উঠে,

বউজান – শুভ্র

হুম বলো কি বলবা – আমি

আমি তোমাকে ভালোবাসি – শুভ্র

আমিও ভালোবাসি – আমি

তারপর আর কি। আমাকে নিয়ে শুভ্র হারিয়ে গেলো ভালোবাসার জগতে

সকালে,

শুভর ডাকে আমার ঘুম ভেঙে যায়।বিছানায় শুয়েই বলতে লাগি,

কি হয়েছে শুভ? – আমি

আম্মু গ্যান্ডমা তোমাদের ডাকছে নাস্তা করার জন্য – শুভ

আচ্ছা বাবু তুমি গিয়ে গ্যান্ডমাকে বলো আম্মু আব্বু এখনি আসছে – আমি

ওকে মাম্মি – বলে শুভ দৌড়ে নিচে চলে গেলো

আমি আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলাম তারপর শুভ্রকে ডেকে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।আমি বের হতেই শুভ্র চলে গেল ফ্রেশ হতে।
ফ্রেশ হয়ে দুইজনে নিচে চলে আসলাম। এতক্ষণ সবাই আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছিল।আমরা আসতেই সবাই খাবার খাওয়া শুরু করে দিল।খাবার টেবিলে চলতে লাগলো নানারকম আলাপ আলোচনা।সবাই আলোচনার মূল বিষয় ছিল মিনি আর রিনির বিয়ে।কে কি করবে? কে কি পরবে? আর কত কি

শুভ বলে উঠে,

মাম্মি আমি কিন্তু ডাবল ডাবল শপিং করবো।ড্রেস জুতো সবকিছু ড্রাবল কিনবো। ঠিক আছে – শুভ

বিয়ে তো একবারই হবে তুমি ডাবল ডাবল জিনিস দিয়ে কি করবা? – আমি

আরে বিয়ে একটা তাতে কি ? কিন্তু আমার দুই মামনির বিয়ে। একবার আমি রিনি মামনির বিয়ের জন্য রেডি হব।আবার মিনি মামনির বিয়ের জন্য। বুঝলে- শুভ

শুভের কথা শুনে সকলের মাঝে আবারো বয়ে গেলো হাসির বন্যা।আমি হাসি থামিয়ে বললাম,

আচ্ছা ঠিক আছে – আমি

হুম – শুভ

~~~~~~~~

আজকে রিনি মিনির বিয়ে।সবাই বিভিন্ন কাজে লেগে রয়েছে। বিয়েটা যেহেতু বাড়িতেই হবে তাই তুলনামূলক ভাবেই কাজ একটু বেশি।ছেলের বাড়ির মানুষ অবশ্য চেয়েছিলেন বিয়েটা কমিউনিটি সেন্টারে দেওয়ার জন্যে।কিন্তু ঝিলিল রাজি হয়নি।ওর ইচ্ছে ও নিজের বাড়ি থেকে বোনদের বিয়ে দিবে।তাই ছেলে পক্ষ ও আর কোনো ঝামেলা না করে ঝিলিকের কথায়ই রাজি হয়ে যায়।বাড়ির সকলেই একের পরে এক কাজে লেগেই রয়েছে। তবুও কাজ যেন শেষ হওয়ার নয়।সকলের মাঝে শুভ ঘুরে ঘুরে পুরো বাড়ি দেখছে। আর সবাইকে একের পর এক হুকুম দিয়েই চলেছে।ওর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব যেন ওর উপরেই দেওয়া হয়েছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম,,

এই পিচ্চি বাবু।তুমি সবাইকে এবারে আঙুলের ইশারায় নাচিয়ে কাজ করাচ্ছো কেন ? আমি

শুভ কোমরে দুই হাত গুঁজে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

উফ মাম্মা তুমি ও কেমন কথা যে বলো না। আমার দুই মামনির বিয়ে সবকিছু তো আমাকেই দেখতে হবে।সবাই যে কি পরিমাণ ফাঁকিবাজ হয়েছে না কি যে বলবো একটা কাজ ও ঠিক মতো করছে না – বুড়ো মানুষদের মতো কপাল কুঁচকে বললো শুভ

ওর কথা শুনে আর কথা বলার ভঙ্গি দেখে আমি হাসিতে ফেটে পরলাম।তারপর নিজেকে সামলিয়ে ওকে বললাম,

যান স্যার আপনার পাপার কাছে।উনার কাছে গিয়েছিল জলদি তৈরি হয়ে পরেন।আর কিছুক্ষণ পরেই বরযাত্রী এসে পরবেেে।তখন কিন্তু তৈরি হওয়ার সময় পাবেনা।আমি তোমার মামনিদের রুমে যাচ্ছি। দেখে আসি তাদের কতদূর হলো – আমি

কিন্তু পাপা কোথায় মাম্মা ? – শুভ

পাপা মনে হয় তোমার ঘরে আছে। যাও জলদি – বলে আমি যে রুমে রিনি মিনিকে মেকআপ করানো হচ্ছে সেখানে এসে পরলাম।

ইশশ কি সুন্দর লাগছে আমার দুই বোনকে।আজ যদি মা বাবা বেঁচে থাকতো কি খুশিই না তো দুজন।আজকে থেকে আমার বোন দুটো অন্যের বাড়ির বউ হয়ে যাবে।কথাটা ভাবতেই বুকটা কেপে উঠলো। কত কাজ কত দায়িত্ব ওরা পারবে তো নিজেদের সামলিয়ে নিতে।না রনি আর শিহাব এমন ছেলে নয়।ছেলে দুটোকে আমি যোগ্য পাত্র হয়েছে বলেই আমার বোনদের জন্য বাচাই করেছি । দরজার পাশে দাড়িয়ে আপনমনে এসবই ভাবছিলাম। তখন রিনি মিনি এসে দুজন দুইদিকে থেকে আমায় জড়িয়ে ধরলো।আমিও দুই হাত দিয়ে আগলে নিলাম ওদের দুজনকে।

দেখতে দেখতে বিয়ের পর্ব ও শেষ হয়ে গেল।তারপর এলো সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। প্রত্যেক মেয়ের জীবনে সবচেয়ে দুঃখের সময়টি হচ্ছে তাদের বিদায়ের সময়।ছোটবেলা থেকে যেখানে বড় হয়েছে সেই সব কিছুর মায়া ছেড়ে চলে যায় নতুন বাড়ির উদ্দেশ্য। সেখানের জায়গা মানুষ পরিবেশ সবই থাকে তখন একটি মেয়ের কাছে অপরিচিত। তবুও তারা মানিয়ে নেয়।কারণ এটাই যে জীবন।

~~~~~~~~~~

১ বছর পর,

অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অধির আগ্রহে বসে আছে সকলে।ভিতরে ঝিলিকের অপারেশন চলছে। নিজে ডাক্তার হলে কি হবে বউয়ের অপারেশন করার মতো সাহস জুগিয়ে উঠাতে পারেনি শুভ্র। ছোট শুভ ও চুপচাপ।তার মনের মাঝে বিরাজ করছে মাকে হারানোর ভয়।

হঠাৎই অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে থেকে শোনা গেলো নবজাতকের কান্নার শব্দ। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেই ডাক্তার ভিতরে থেকে বেরিয়ে এলো।শুভ্রের কোলে তুলে দিলো তাদের মেয়েকে।

অভিনন্দন ডাক্তার শুভ্র আপনি কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছেন – ডাক্তার

খুশিতে শুভ্রের চোখে জল চলে আসলো।

ডাক্তার আমার স্ত্রী – শুভ্র

উনি ভিতরে আপনি গিয়ে দেখা করে আসেন – বলে তিনি চলে গেলেন

শুভ তো বোনকে পেয়ে খুশিতে পাগল হয়ে গিয়েছে। শুভ্র ভিতরে ঢুকে পরলো

ঝিলিক তাকে দেখে বললো,

আমাদের বাচ্চা – আমি

হ্যা বউজান। তুমি আমাকে দুনিয়ার সমস্ত সুখ আজ এনে দিয়েছো।ভালোবাসি বউজান- শুভ্র

ভালোবাসি -আমি

~~~~~~~~

সমাপ্ত?

দীর্ঘ এতগুলো দিন ধরে পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

হ্যাপি রিডিং

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here