প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি আফরান এর সামনে হাত জোর করে বলল সাবিহা। সাবিহার কোনো কথা শুনল না আফরান ।
সাবিহার চুলের মুঠি ধরে রুমে টেনে নিয়ে গেল আফরান । রুমে এনে সাবিহা কে ফ্লোরে ছুরে ফেলল আফরান।
আআআআআ করে চিৎকার করে উঠল সাবিহা। তখনই আফরান ওকে প্যান্ট এর বেল্ট খুলে মারা শুরু করল। সাবিহা ব্যাথায় কুকড়াতে থাকল আর চিৎকার করে বলতে থাকল প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন । আমি আর পারছি না খুব ব্যাথা পাচ্ছি। আধা ঘন্টা ধরে বেল্ট দিয়ে মারল আফরান সাবিহা কে তারপর রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে রুম থেকে বেরিয়ে কাকে যেন ফোন করল।
অন্যদিকে সাবিহা বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে ফ্লোরে । সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে আছে তার। সকাল হলে সাবিহা নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে। হালকা নড়তে গিয়ে দেখে তার হাতে স্যালাইন লাগানো। ব্যাথায় সে নড়তে পারছে না। তারপর পাশ ফিরে দেখতে পেল আফরান বসে আছে তার এক হাত ধরে। তার এক হাত ধরে মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে আছে সে। তার ঘুমন্ত চেহারা টা সত্যিই খুব মায়ায় ভরা । অপরুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাবিহা আফরান এর দিকে। কিন্তু হঠাৎ তার মনে পড়ে যায় এই মানুষটাই তাকে কালকে জানোয়ারের মতো মেরেছিল । কোনো সুস্থ মানুষ কখনও এইভাবে কাউকে মারতে পারে না বিনা কারনে।( মনে মনে বলল সাবিহা)
অন্যদিকে আফরান জেগে ওঠে সাবিহা কে দেখে বলে এখন কেমন লাগছে?
-………
-সাবিহা আমি জানি আমি খুব খারাপ । খারাপ না হলে কি তোমাকে খুব মারতাম বলো?? রাগলে আমার কি হয়ে যায় বুঝি না।।নিজের রাগ টা কেন যে কন্ট্রোল করতে পারি না। আর যখন কেউ তোমার দিকে নজর দেয় তখন তো আমার মাথা টা গরম হয়ে যায় । তখন মনে হয় তোমাকে ও মেরে ফেলি।কাল যদি তুমি শাড়ি পড়ে তোমার ফ্রেন্ড এর বিয়েতে না যেতে তাহলে কখনও এমন হতো না।
– মানে???
– শাড়িতে তোমার কোমর আর নাভি টা দেখা যাচ্ছিল। আর একটা ছেলে তোমার দিকে তাকিয়ে ছিল তাই আমার সহ্য হয় নি ।
– এখন বুঝি আমি শাড়ি ও পড়তে পারব না??
– না পারবা না( রেগে বলল আফরান)
– আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন বাসায় যাব আমি। আমাকে আমার বাবা মার কাছে নিয়ে চলুন ।
– নিয়ে যাব তুমি সুস্থ হলে।
– না এখুনি যাব আমি।
– আমার কথা কি তোর কানে যায় না??? ( রেগে বলল আফরান)
– না যায় না। আর আপনি আমাকে ধমকাচ্ছেন কেন আমি আপনার বিয়ে করা বউ না যে ধমকাবেন এইভাবে ।
– বউ হবি খুব তাড়াতাড়ি । কারণ তোর ওপর শুধু আমার অধিকার ।
– পাগল আপনি একটা। চিৎকার করে বলল সাবিহা ।আমি কখনও আপনার বউ হব না। কখনোই না ।
চলবে….
ভালোবাসায় পাগলামী
Part:1
Writer: Maliha Islam Tafsi(jeba)
