ভালোবাসার রংধনু ২

0
1500

ভালোবাসার রংধনু

____________

৩.
ইনতিসারের সাথে আমার একটা তিক্ত স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা আছে। ধারণা করি ঐ তিক্ত স্মৃতিটাই ওকে আমি বিমুখ করে দিয়েছে।
আমি কিন্তু সেরকমভাবে মনে রাখিনি ঘটনাটা। সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছি, যদিওবা সবটা মুছে ফেলতে পারিনি!
আচ্ছা সে কি আজও ঐ স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়ায়? প্রশ্নটা বারবার উঁকি দিচ্ছে মনে। কিন্তু সে যেরকম ছেলে, ওসব মনে রাখার কথা তো নয়। তাছাড়াও কম বয়সের পাগলামি কে মনে রাখে?
তবে আমি বা ইনতিসার কেউ মনে না রাখলেও একজন কখনোই সেই ঘটনাটা ভুলতে পারবে না। সে হলো সেজো আপা। এখনও সে অতীতের ঐ পাগলামি মনে রেখেছে। এ নিয়ে তার মনে একরাশ ভয়। আমি শত চেষ্টা করেও তাকে বোঝাতে পারিনা, মিছেমিছি ভয় পেয়ে লাভ নেই। আমাদের মাঝে কখনোই সেরকম কিছু হওয়ার নয়। কিন্তু আপা যেন মানতেই চায়না।
এজন্যই আমার ওপর একশ চুয়াল্লিশ ধারা জারি হয়েছে, ইনতিসারের সামনে পড়া যাবেনা।
আমার কথার ধরনে হয়তোবা ধারণা করতে পারছেন ইনতিসার আর আমার মধ্যেকার তিক্ত স্মৃতি ঠিক কিরকম হতে পারে!
একদম শুরু থেকে অর্থাৎ আমাদের প্রথম দেখার ঘটনা থেকে বলি।
ক্লাস নাইনের মাঝামাঝি সময়ে এসেছিলাম এ বাড়িতে। নিজের ভগ্ন জীবনটা নিয়ে খুব বিষন্ন থাকতাম সবসময়। তাছাড়াও বাড়ির সবার চালচলনের সাথে খাপখাওয়ানো খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। তখন ইনতিসার এইচএসসি দিয়েছে বোধহয়। এডমিশান প্রিপারেশন নেবে নেবে করেও নিচ্ছিল না তার ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে ট্যুরের জন্য। এ নিয়ে বাড়িতে অনেক কথা হতো। মাউইমা রাগারাগি করতেন ওকে ফোন করে। আমার কানে যা আসতো তা শুনেই ধারণা করে নিয়েছিলাম। একদিন রাগারাগিটা বেশি হলো। ওর বোধহয় হাত খরচের টাকা শেষ হয়ে গেছিল, টাকা চাইতে ফোন করেছিল। কিন্তু মাউইমা টাকা দিতে নিষেধ করে দিলেন। জিদ্দি ছেলে ইনতিসার রাগে তার ফোন ভেঙে ফেলল, এবং কোনো ওয়ে রাখলো না বাড়ির সাথে যোগাযোগ করার। একদিন, দু’দিন অপেক্ষা করা হলো ওর জন্য। ভেবেছিল পাগলামি কমলে ফোন করবে। কিন্তু তিনদিন গেলেও যখন যোগাযোগ করা সম্ভব হলো না তখন সবাই চিন্তায় পড়ে গেল। মাউইমা তো কান্নাকাটি করে অস্থির৷ এরকম কখনও করেনি ছেলে। কোনো বিপদাপদ ঘটিয়ে ফেলল নাকি? দুলাভাই সব কাজ ফেলে ছুটে গেল ওর খোঁজে।
গিয়ে দেখা গেল আসলেই বিপদ ঘটিয়ে ফেলেছে ছেলে। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে কীভাবে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ডান হাত ভেঙে ফেলেছে। মাথায়ও চোট পেয়েছে বেশ। হাসপাতালে নেয়ার পর বন্ধুরা কল করতে চেয়েছিল বাড়িতে কিন্তু সে গোঁয়ার্তুমি করে দেয়নি। বন্ধুদের টাকায় চিকিৎসা চলছিল। দুলাভাই সেদিনই ওকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ির জন্য রওয়ানা হলো। ওরা ফিরলো শেষ রাতের দিকে। বাড়ির সবাই তখন জেগে। মাউইমা ড্রয়িংরুমে বসে কাঁদছেন আর তসবিহ পড়ছেন। আঙ্কেল ভীষণ রেগে আর বাকিরা চিন্তায় শান্তিমত বসতেও পারছে না। এদিকে ওনাদের এত অস্থিরতা দেখে আমিও ঘুমোতে পারছিনা। আপা তো ছেলে মাফিনকে আমার কোলে দিয়ে ওনাদের দেখছে। আমি মাফিনকে নিয়ে ব্যালকনিতে হাঁটাহাঁটি করছিলাম এমন সময় এলো দুলাভাইদের গাড়ি। গাড়ি দেখে আমার পা থেমে গেল। এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকলাম ওদিকে। পরিবারের এত আদরের ছেলে যাকে সবাই চোখে হারায়, যার গায়ে একটুখানি টোকা লাগলে সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে তাকে দেখবার খুব আগ্রহ জেগেছিল মনে। কিন্তু দেখতে পারলাম না ঠিকঠাক। একে তো আলোর সংকট তার ওপর গাড়ি থেকে একঝাঁক ছেলেমেয়ে ওকে আগলে নেয়ার মত করে নামালো।
ওকে দেখতে না পেয়ে ওর প্রতি আগ্রহটা যেন দ্বিগুণ হলো আমার। মাফিন তখন মাত্র ঘুমিয়েছে। ওকে আর বিছানায় শোয়ালাম না। ঘুমন্ত ওকে নিয়েই বেরুলাম ঘর ছেড়ে। দরজার বাইরে দাঁড়াতেই ইনতিসারকে দেখতে পাওয়া গেল। মাথা আর হাতে ব্যান্ডেজ করা ক্লান্ত সে ধীরে ধীরে হেঁটে আসছে। উচ্চতা কত হবে? পাঁচ ফুট দশ কিংবা এগারো। উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের বর্ণ, লম্বাটে মুখ, খাড়া নাক এবং নাকের ওপরের দিকে বাদামি একটা তিল আছে। এমন তিল ছেলেদের কখনও দেখিনি আগে।
ইনতিসারের ভ্রুগুলোও বেশ সুন্দর ঘন। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চোখের পাপড়ি গুলো বড় বড় আর মাথাভর্তি চুল। একটা বিষয় অবাক লাগল শারীরিক অসুস্থতা কিংবা জার্নির কারণে একরাশ ক্লান্তি চোখেমুখে ভর করার পরেও ওর পৌরুষদীপ্ত সৌন্দর্য ম্লান হয়নি।
এরকম ছেলেরা চোখে আটকানোর মত। চোখের ভালোলাগা। কয়েক মুহুর্তের জন্য ইনতিসারও আমার চোখের ভালোলাগা হয়ে গেছিল। কিন্তু কাজটা যে ভুল করছি এই উপলব্ধি হবার পর আমি মনে মনে নিজেকে কড়া ধমক দিয়ে সামলে নিয়েছিলাম। একটা ছেলে ওউন্ডেড হয়ে বাসায় ফিরেছে আর আমি তার সৌন্দর্য জরিপ করছি? খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।
একপ্রকার লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে আমি আর ড্রয়িংরুমে যাইনা। মাফিনকে নিয়ে ঘরে ফিরে শুয়ে পড়ি।
বাকি রাতটা আর ঘুম হয়না। কেমন যেন একটা অস্বস্তিভাব হচ্ছিল মনের ভেতর। এর সঠিক কারণ জানতাম না৷ শুধু এতটুকু জানি অস্বস্তিভাবের জন্য ঘুমুতে পারিনি।
__________
আগের রাতে ইনতিসারকে নিয়ে অন্যরকম ভাবনার কারণে ভেতরে ভেতরে যে লজ্জায় কুঁকড়ে ছিলাম এই লজ্জা সকাল হতে হতে আরও বেড়ে গেল। ভেবেছিলাম সাত সকালে উঠে কোচিং-এ চলে যাব তারপর স্কুল। সারাটাদিন বাইরে থাকলে রাতের কথা আর মনে পড়বে না। কিন্তু আমার পরিকল্পনা সফল হলো না। আপা বলে দিল আজ স্কুলে যাবার দরকার নেই। বাড়ির ছোট ছেলে একটা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এজন্য একটু মিলাদ পড়িয়ে দোয়া করা হবে। মাউইমা বলেছেন আজ সবাইকে বাড়িতেই থাকতে হবে। কেউ কোত্থাও যেতে পারবে না।
আপার কথা শুনে আমি হতাশার শ্বাস ফেললাম। আমার আর যাওয়া হলো না।
সকালবেলা ডাইনিং টেবিলে ইনতিসার তখন বন্ধুদের নিয়ে হই হই রৈ রৈ করে খাবার খাচ্ছে। ওদের হাসি-মজা আমার ঘর থেকে শোনা যাচ্ছিল। আমি শুনছিলাম আর ভাবছিলাম এত আনন্দের জীবন আসলেই মানুষের হয়? আমার জীবনে কোনো আনন্দ নেই, নেই কোনো বন্ধু-বান্ধব। কি অদ্ভুত! কারুর জীবনে দীর্ঘশ্বাসের জায়গা নেই, কারুর আবার গোটা জীবনটাই একটা হতাশার দীর্ঘশ্বাস।
_____

ইনতিসারের সাথে সামনাসামনি দেখাটা হলো ঐ সকালেই। মাফিনকে খাওয়ানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার কাঁধে। ও একদম স্থির থেকে খাবার খেতে পারেনা, সারা বাড়ি দৌড়ে দৌড়ে খাওয়া ওর স্বভাব। সেদিনও খেতে খেতে ডাইনিংয়ের দিকে চলে গেল। ওর পিছু পিছু আমাকেও যেতে হলো ।
ঐ মুহুর্তে ইনতিসার একাই বসে ছিল ওখানে। অকস্মাৎ আমায় দেখে ও ভ্রু কুঁচকে ফেলল । প্রশ্ন করলো,
— তুমি কে?
আমি মাফিনের হাত ধরে কাছে টানতে টানতে ধীর কন্ঠে বললাম,
— আমি ওর..
— ও আমার তাম্মি।
আমাকে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়েই মাফিন বলে উঠল। ইনতিসার চট করে মাফিনকে কোলে তুলে নিলো,
— ওহ্ তোর তাম্মি তাহলে এ?
আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত একবার চোখ বুলিয়ে প্রশ্ন করলো,
— তো তাম্মি। নাম কি তোমার?
— নীরদ। আমার নাম নীরদ।
খানিক চুপ থেকে উত্তর দিলাম আমি। ও মাফিনকে কোলে নিয়ে উঠে আসতে আসতে বলল,
— নী র দ! এটা আবার কেমন নাম? নেই রোদ, ইউ মিন রোদ ছাড়া গ্লুমি ওয়েদার! দেখি আমার দিকে তাকাও তো,তোমার মুখে আষাঢ় মাসের মেঘ নাকি দেখি!
একদম আমার মুখের কাছে এসে চোখ সরু করে বলল ও।
হঠাৎ করে ওর এভাবে কাছে আসায় আমি তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম। বিড়বিড় করে বললাম,
— নীরদ মানে নেই রোদ নয়। মেঘের প্রতিশব্দ হলো নীরদ।
— মেঘ আসলেই তো গ্লুমি ওয়েদার হয়ে যায়৷ তুমি হলে গ্লুমি ওয়েদার। শোনো আমার কিন্তু গ্লুমি ওয়েদার পছন্দ না। তুমি একদম আমার সামনে আসবা না।

ওর এমন কথা শুনে আমি বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম ঐ মুহুর্তে। এটা কি ধরনের অপমান? কেউ কখনো মুখের ওপর কাউকে বলে, তুমি একদম আমার সামনে আসবা না?

অপমানের জবাব কোনো কালেই আমি দিতে পারিনি। সেদিনও পারলাম না। চুপচাপ অশ্রুসিক্ত চোখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অপরদিকে ও খুব স্বাভাবিক। মাফিনকে আমার কোলে ধরিয়ে দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হেঁটে চলে গেল ঘরের ভেতর।
আমাদের প্রথম দেখাটাই যে তীব্র অপমানের দিন, তারপর থেকে ও আমার দু চোখের বিষ।
_________

(বর্তমান)

৪.
— আপনি এত সকালে ঘুম থেকে ওঠেন?
গতকালকের পরিচিত কন্ঠস্বরটা কানে আসতেই চমকে ফিরে তাকালাম। এই ছেলেটা আমাকে চোর ভেবে অমন চেঁচাল না গতরাতে? কি যেন নাম এর!
— আমি অনিক। চিনতে পারছেন? গতরাতে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে যে..
— হ্যাঁ চিনতে পেরেছি।
ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম আমি। বিনিময়ে উনি লজ্জিত ভঙ্গিতে হাসলো।
— আপনি কি আমার ওপর রাগ করে আছেন?
— নাহ্ তো। রাগ করবো কেন? মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হতেই পারে। আপনার লজ্জিত হবার কোনো কারণ নেই।
জোরপূর্বক হেসে প্রতুত্তর করলাম আমি।
উনি প্রসঙ্গ পাল্টাতে প্রশ্ন করলেন,
— এত সকাল সকাল বাগানে কি করছেন?
— তেমন কিছু না। এমনিই হাঁটাহাঁটি করছিলাম।
— আচ্ছা! তো কিসে পড়া হয়?
— এইচএসসি দিলাম। এডমিশনের প্রিপারেশন নিচ্ছি।
— ওহ্ হো। তুমি তো তাহলে আমার জুনিয়র হবে। এই তুমি সম্বোধনে কোনো সমস্যা নেই তো তোমার? আমি আবার জুনিয়রদের আপনি বলতে কম্ফোর্ট ফিল করিনা।
— নাহ্ ইটস ওকে। তুমিই সম্বোধন করুন আপনি।
বিরক্তি চেপে বললাম আমি।
বিনিময়ে উনি হেসে উঠলেন।
— ভেরি গুড। তাহলে চলো একসাথে হাঁটাহাঁটি করা যাক?
আমি বরাবরই ইন্ট্রোভার্ট টাইপের মানুষ। তাছাড়াও সকালের সময়টা প্রকৃতির সাথে কাটানো আমার পছন্দ। কারো সঙ্গ এতদিন প্রয়োজন হয়নি। তাই আজ অনিক সাহেবের আবদার আমার পছন্দ হলো না। তবুও মুখে কিছু বলতে পারলাম না। চুপচাপ ওনার কথায় সম্মতি দিলাম।
দীর্ঘ দেড় ঘন্টা উনি একাধারে বকবক করে গেলেন। ওনার স্টুডেন্ট লাইফের গল্প, এখানে থাকবার গল্প, বিদেশের গল্প সব এই দেড় ঘন্টার মধ্যে শুনিয়ে ফেললেন আমাকে।
আমি সেরকম রেসপন্স করলাম না হ্যাঁ, হু ছাড়া।
অন্যকেউ হলে দমে যেত কিন্তু এই ভদ্রলোকের স্বভাবই হয়তো অতিরিক্ত কথা বলা। অপর মানুষটা রেসপন্স করছে কি না এতে তার কোনো ফারাক পড়ে না।
আমি শুধু মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম, কেউ একজন আসুক আর এনার হাত থেকে আমাকে বাঁচাক প্লিজ! এত বকবক আর নিতে পারছি না।
আমার প্রতি হয়তোবা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ দৃষ্টি ছিল। চট করে প্রার্থনা কবুল করে নিলেন। এবং অনিক সাহেবের বকবক থামাতে আগমন ঘটলো ইনতিসারের।
সে ফোন চাপতে চাপতে এদিকে আসছিল। অনিক সাহেবই তাকে ডেকে উঠলেন,
— আরেহ্ ইনতিসার তুইও উঠে গেছিস?
অনিক সাহেবের ডাকে ফোন থেকে দৃষ্টি সরালো ইনতিসার। এমনিতেই তার মুখে গাম্ভীর্যতা লেপ্টে ছিল আমায় দেখে তা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। বজ্রকঠিন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে সে এগিয়ে এলো। তারপর আমার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে অনিক সাহেবের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হেসে বলল,
— অসময়ে আনএক্সপেক্টেড কারুর সাথে?
— আসলেই। নীরদ তো আমার কাছেও আনএক্সপেক্টেড ছিল। ঘুম আসছিল না মাথা ব্যথার কারণে। বাইরে খোলা হাওয়া খেতে এসে দেখি এই ম্যাডাম ফুলগুলোর সাথে গল্প করছেন। ভাবলাম গতকাল তো একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেছিল ঠিকমত স্যরিও বলা হয়নি। এই সুযোগ স্যরি বলার।
— তো কি এখন স্যরি বললি?
— হ্যাঁ। শুধু স্যরি? আমরা তো ফ্রেন্ডও হয়ে গেছি গল্প করতে করতে। কি তাইনা নীরদ?
মুচকি হেসে তাকালেন উনি আমার দিকে।
— বাহ্ এত কম সময়ে ফ্রেন্ডশিপ!
ইনতিসারও এবার চোখ রাখল আমার চোখে।
আমি কয়েক সেকেন্ড তার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলাম। এর বেশি সাহস হলো না। ওর দৃষ্টির কঠোরতায় মিইয়ে গেলাম। কোনোরকমে বিড়বিড় করে বললাম,
— অনিক ভাইয়া আমি ভেতরে গেলাম। আমার কোচিং আছে।
আর কাউকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে দ্রুত পা চালিয়ে ভেতরে চলে এলাম। তার সাথেসাথে এটাও বুঝতে পারলাম ইনতিসার একদমই ভুলতে পারেনি সেই স্মৃতি। ওর চোখের ভাষাই বলে দিচ্ছিল ওর মনের কথা।

চলবে,
sinin tasnim

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here