ভালোবাসার রাত,পর্ব (১১)
রোকসানা রাহমান
তিল পুরো এয়ারপোর্ট তন্ন তন্ন করে খুজছে। কিন্তু কোথাও নিজের রিদ ভাইয়াকে দেখতে পারছেনা। এদিকে তাড়াতাড়ি আসতে গিয়ে রাস্তার মধ্যে ছোটখাটো এক্সিডেন্টও হয়ে গেছে। পা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সেদিকে তাকালে যে তাকে চলবে না যে করেই হোক তার রিদ ভাইয়াকে খুজে পেতেই হবে।
পুরো এয়ারপোর্ট ঘুরে ঘুরে তিলের পা ব্যথায় ফুলে উঠেছে,না খেয়ে বাসা থেকে বের হওয়ায় পেটটা পিঠের সাথে লেগে গেছে। গলা শুকিয়ে তিতা হয়ে আসছে,মাঝে মাঝে বমি আসবে এমনও মনে হচ্ছে। কিন্তু এতোকিছু তুরি মেরে তিল উড়িয়ে দিতে পারতো যদি সে তার রিদ ভাইয়াকে খুজে পেতো। তাহলে কি রিদ ভাইয়াকে আমি আবার হারিয়ে ফেললাম? কিন্তু উনিতো বলেছেন আমার জন্য ওয়েট করবেন তাহলে? উনি কি উনার কথা রাখেননি? নাকি আমি আসতে লেট করে ফেলেছি??? তিল কি করবে কিছুই বুঝতে পারলোনা। চোখে পানির ঝড় বয়ে যাচ্ছে, বুকে রিদ ভাইয়াকে হারানোর তুফান বয়ে যাচ্ছে,মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবীতে সে একা,নিস্ব,অসহায় একটা মেয়ে! উফ! যাকে না পেয়ে আমি আধবেলাই ঠিক থাকতে পারছিনা তাকে না দেখে সারাজীবন কিভাবে কাটাবো? তাহলে কি আমার পথচলার,স্বপ্ন দেখার এখানেই ইতি টেনে দিবো? তিল আর কিছু ভাবতে পারলোনা,তার ভাবনাগুলোও যেন মিলিয়ে যাচ্ছে,মনে হচ্ছে তার গলাটা কেউ চেপে ধরে আছে,নিশ্বাসটাও টানতে পারছেনা!
তিল হাটু ভেংগে ভেংগে বাড়ি ফিরে আসে। এই মুহুর্তে তাকে দেখলে যে কোনো কবি তাকে নিয়ে পৃষ্ঠা ভরে ভরে কবিতা লিখে শেষ করতে পারবেনা,যে কবিতার নাম হবে *ভালোবাসায় ব্যথিত অসহায়িনী*
বাসার মেইন ডোরে ঢুকতেই তিল হাটু ঘেরে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে। তাসমিয়া বেগম খাবার টেবিল ছেড়ে দৌড়ে এসে তিলকে বুকে নিয়ে কেদে উঠেন,
“” তিল,মা তোর কি হয়েছে? এ কি অবস্থা হয়েছে? তোর বুকের ওড়না কই? চুল এমন অগোছালো কেন? আর এভাবে কাদছিস কেন? কি হয়েছে,বল না মা। আমার বুক কেপে উঠছে,তোর কান্না দেখে!””
তিল যতটা পেরেছে নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছে কিন্তু মায়ের শরীরের ছোয়া আর কথার ছোয়ায় তিল আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলোনা। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কান্নায় ভেংগে পড়ে।
এতক্ষনে খাবার টেবিলে বসে থাকা সকলেই তিলকে ঘিরে ফেলেছে। সবাই একি প্রশ্ন নিয়ে দাড়িয়ে আছে কি হয়েছে ওর? কিন্তু কারো কথার কোনো উত্তর দিতে পারছেনা তিল। মনে হচ্ছে আজ এই কান্না দিয়ে সে সব কষ্ট ধুয়ে ফেলবে।
“” আম্মু,মুরগির মাংসের প্লেটে উইংস পার্ট কই? তুমি জানোনা ওটা আমার কত প্রিয়?””
রিদের কন্ঠ পেয়ে তিল চোখ মেলে টেবিলের দিকে তাকালো। নিমিষেই চোখের পানি ভেনিস হয়ে সেখানে অবাক জায়গা করে নিয়েছে। মায়ের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ধীর ধীর পায়ে ডাইনিং টেবিলের সামনে এগুলো।
রিদ মাথাটা ঝুকিয়ে বাম হাতটা দিয়ে মাংসের বাটিতে উইংসের পার্টটা খুজে যাচ্ছে। এমনভাবে খুজছে যেন ওটা ছাড়া তার ভাত খাওয়াটাই বৃথা! তিল অবাক নয়নে রিদের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা কি করে হতে পারে? যাকে খুজে খুজে আমি নাই হয়ে গেলাম সে কিনা এখানে মুরগির উইং খুজায় ব্যস্ত???
“” কিরে,এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? তোর খেতে মনে চাইলে খেতে বসে যা! কেউ তো মানা করেনি। কিন্তু আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? আমি কি তোর ভাগেরটা খেয়ে ফেলছি? তোর কি আমাকে এতো নিচু মনের মানুষ মনে হয়?””
“” আপনি,আপনি এখানে? আপনি ইউকে তে যাননি?””
রিদ তিলের দিক থেকে চোখ সরিয়ে পুনরায় মাংসের বাটিতে মনোযোগ দিলো। তিল তখনো তার প্রশ্নের উত্তরের জন্য গভীরভাবে চেয়ে আছে। কিন্তু রিদের সেদিকে কোনো ভ্রক্ষেপ না দেখে তিলের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। রিদের সামনে থেকে মাংসের বাটিটা কেড়ে নিয়ে ওর মাথায় ঢেলে দিয়ে বললো,
“” শুধু পাখা কেন?পা,কলিজা,গিলা,হাড্ডি,চামলা,ভুলি,পশম সব গিলে গিলে খান। এগুলো খেয়েও যদি আপনাল পেট না ভলে তাহলে আমাল মাথাটা চিবিয়ে খেয়ে নিন, যত্তসব!””
তিল বিরক্ত নিয়ে চলে যেতে নিলে রিদ ওকে টেনে খাবার টেবিলের সাথে চেপে ধরে। এক হাতে ওর হাত দুটো পেছনে নিয়ে বাকিয়ে আটকে নিয়ে আরেক হাত দিয়ে,টেবিলে থাকা যত তরকারি আছে সব তিলের মাথায় ঢেলে দিয়ে বললো,
“” তোর কি মনে হয় আমি এত বছর পর এখানে এসেছি বোনের বিয়ে খাবো বলে? নাকি বিয়ে খাওয়া শেষ হলে ফিরে যাবো বলে??? এতো সহজেই তুই ছাড়া পেয়ে যাবি? নরম গলায় দুএকটা ভালোবাসার কথা বলেছি দেখে ভেবে নিলি আমি পাল্টে গিয়েছি? কখনোই না তোর মৃত্যুর লাস্ট ১ সেকেন্ডেও তুই আমার কাছে অত্যাচারিত হবি। আমি এখানে এসেছি শুধু তোর জন্য। অন্য কারো হাতে তোকে তুলে দেওয়ার জন্য না। আমি বেঁচে থাকতে কোনো ছেলের স্পর্শ তো দুরে থাক চোখের চাহনিও তোর উপর পড়তে দিবোনা। কি ভেবেছিলি তুই? তুই এখানে অন্য কারোর সাথে সুখের ঘর বাধবি আর আমি ইউকে তে বসে শোক পালন করবো? এতোই সহজ? আজ যা হয়েছে পুরোটাই আমার প্লেনমাফিক হয়েছে। আমার সাথে রাগ দেখাস? তেজ দেখাস? আমিও দেখে ছাড়বো তোর তেজপাতা কত বেশি সুগন্ধী ছড়াতে পারে।””
সাওয়ার নিতে নিতে তিলের সর্দি বেধে গেলো। তবুও নিজের শরীর থেকে মসুরীর ডালের গন্ধ যাচ্ছেনা। যখনি মনে হচ্ছে আর গন্ধ করছেনা বের হবে,তখনি আবার নাকে গন্ধ লাগছে। চুলগুলোও কেমন আঠালো হয়ে রয়েছে। ইশ! আমি যে কেন উনার মাথায় মাংস ঢালতে গেলাম? আমি না ঢাললে নিশ্চয় উনিও ঢালতেননা। আমার এতো সাহস কোথা থেকে আসলো???
তিল নাক টানতে টানতে বই খুলে বসে পড়ে। রিমার বিয়ের জন্য তো আর পড়তেই বসা হয়নি। অনেক পড়া বাকি রয়ে গেছে। কয়েকদিন পড়েতো আবার পরীক্ষা! এখন তো রিদ ভাইয়াও এখানে আছে। শেষে ফেল করার জন্য দেখা যাবে বই ছিড়ে ছিড়ে আমাকে পড়া খায়িয়ে দিচ্ছে।
তিল ফোনে গান ছেড়ে দিয়ে অংক শুরু করে দিলো। হঠাৎই কারো হাতের স্পর্শ পেলো নিজের পায়ে। পা হালকা সরিয়ে নিতেই রিদ বলে উঠে,
“” পা সরালি কেন? তুই চাস এখন আমি বটি দিয়ে পা টা কেটে ফেলি?””
রিদের এমন কথা শুনে তিল সাথে সাথে পাটা আগের জায়গায় রেখে দিলো। উনি যেমন মানুষ সত্যি সত্যি কেটেও ফেলতে পারে। তখন তো আমাকে খুড়া হয়ে চলতে হবে!
রিদ তিলের পায়ে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করতে করতে বললো,
“” পা কি দিয়ে ডলিস রে? এমন সাদা ফ্যাকফ্যাক লাগছে কেন? আগে তো এতো সাদা ছিলো না। দেখি পাজামা টা আরেকটু উপরে তুলতো!””
রিদ পাজামায় হাত দিতেই তিল ঝট করে দাড়িয়ে গেলো। অপ্রস্তুত হয়ে বললো,
“” উপলে কাটেনি তো!””
“” আমি কি তোকে জিজ্ঞেস করেছি উপরে কেটেছে নাকি? এতো বেশি বুঝিস কেন?””
তিল মাথা নিচু করে দাড়িয়ে এক পা দিয়ে আরেকপায়ের পাজামাটা টেনে পা ঢাকার চেষ্টা করছে।
তিল কথার প্রসঙ্গ পাল্টে বললো,
“” আমাল পলীক্ষা,লিদ ভাইয়া। আমি একটু পলবো।””
রিদ ভ্রু কুচকে তিলের দিকে তাকিয়ে বললো,
“” তোর পরীক্ষা,তোর পড়া। তুই আমাকে কেন শুনাচ্ছিস? আমি কি তোকে পড়তে মানা করেছি? তুই কি আমাকে ইনডাইরেক্টলি চলে যেতে বলছিস?””
“” না,মানে!””
রিদ তিলের বিছানায় শুয়ে পড়ে বললো,
“” এখনো হ্যাংলার মতো দাড়িয়ে আছিস কেন? যা পড়তে বোস। আমি একটু ঘুমালাম। আমাকে ডাকবিনা। আসতে আসতে পড়বি যাতে ঘুমের কোনো ডিস্টার্ব না হয়। আমার ঘুমের ডিস্টার্ব হলে কিন্তু তোর কপালে দুর্গতিই আছে।””
তিল আবার চেয়ার টেনে বসতেই মুখ দিয়ে কোনো পড়া বের হচ্ছেনা। বারবার রিদের দিকে চোখ পড়ে যাচ্ছে। নিশ্বাসটাও ধীরে ধীরে নেওয়ার চেষ্টা করছে,তবুও মনে হচ্ছে রিদের ঘুমের ডিস্টার্ব হচ্ছে। মাঝে মাঝেই নড়ে উঠছে!
উফ! এভাবে পড়া যায়? তিল বই খাতা নিয়ে উঠতেই রিদ বলে উঠে,
“” অন্য রুমে গিয়ে সবাইকে বুঝাতে চাস আমার জন্য তোর পড়ার ডিস্টার্ব হচ্ছে? খুব পড়ুয়া হয়ে গেছিস? এমন একটা ভাব নিচ্ছিস যেন রাষ্ট্রপতি তোকে গোল্ড মেডেল না দিতে পেরে উনার ঘুমের বারোটা বেজে যাচ্ছে! রুম থেকে বের হলে পা মুচড়িয়ে ভেংগে দিবো,বলে দিলাম!””
তিল গুটি গুটি পায়ে আগের জায়গায় ফিরে যেতেই রিদ আবার বলে উঠে,
“” তোর রুমে কোনো কম্বল নাই কেন? একটা ছিড়া কাথা সাজিয়ে রেখেছিস? কাকার কি টাকার অভাব পড়েছে?? যা এখনি আমার রুম থেকে কম্বলটা নিয়ে আয়।””
তিল নিশব্দে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। হাতে রিদের এতো বড় কম্বলটা টেনে নিয়ে আসতে আসতে তিলের কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়তে লাগলো।
“” এভাবে কম্বলটাকে হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছিস কেন? দেখতে পারছিস না শীতে আমি কেমন গুটিয়ে রয়েছি? এখন কি এই সামান্য কম্বলটা জড়িয়ে দেওয়ার জন্য তোর পায়ে পড়তে হবে?””
তিল রিদের শরিরে কম্বলটা জড়িয়ে দিতে নিলে রিদ খোপ করে কম্বলটা ছিনিয়ে নিয়ে বললো,
“” তোর নাকে দেখি জীবানুরা পায়খানা করে পাহাড় বানিয়ে ফেলছে। মনেতো হচ্ছে এখনি ভেংগে গুড়িয়ে আমার উপর আক্রমন করবে। যা দুরে যা। কেমন গন্ধ বের হচ্ছে। বমি বমিও আসছে। আর হ্যা জোরে জোরে পড়বি। দেখি তোর পড়ার কেমন স্পিড। তবে হ্যা তোর এই নাক টানাটা আমাকে খুব ডিস্টার্ব করছে। তুই কি ইচ্ছে করেই সর্দি লাগিয়েছিস যাতে আমি ঘুমুতে না পারি? আমার উপর তোর এতো হিংসে??””
রিদের কথায় তিল তেলে বেগুনে জ্বলে যাচ্ছে। সর্দি কি আমি ইচ্ছে করে লাগিয়েছি? নিজেই তো আমার মাথায় কিসব ঢেলে দিলেন। আমাকে এতো কষ্ট দিয়েও উনার, শান্তি হচ্ছেনা। এখন কথা শুনানো হচ্ছে। আমার কি জন্মই হয়েছে উনার এই ঝাল মাখানো কথা শুনার জন্য? আল্লাহ উনার মুখে কি একটু মধু ঢেলে দিতে পারলেনা???
তিল পড়তে বসে বিপাকে পড়ে গেছে। নাক না টেনে সে কিভাবে থাকবে? টিস্যু দিয়েও মুছেও কাজ হচ্ছে না। কি যে করি!
পড়তে পড়তে তিলের মুখ তিতা হয়ে গেলো,টিস্যু দিয়ে নাক মুছতে মুছতে নাকে ঘা হয়ে গেলো,তবুও তার রিদ ভাইয়ের ঘুম ভাংগার কোনো লক্ষন দেখতে পেলো না। ঘুমে চোখ ভারী হয়ে আসছে,চোখ মেলে তাকাতে পারছেনা। উনি কি সারাজীবনের ঘুম আজকেই ঘুমিয়ে নিবেন? তিল যে গিয়ে ডাক দিবে সে সাহসটাও পাচ্ছেনা। অন্য রুমে গিয়ে ঘুৃমাবে তারও কোনো সুযোগ পাচ্ছেনা। রাত তিনটা বাজে সে কার রুমে গিয়ে ঘুমাবে? কাকে ডেকে তুলবে? আর যদি জিজ্ঞেস করে আমার রুমে কেন ঘুমাচ্ছিনা তাহলে??
তিলের ইচ্ছে হলো রিদের কানের কাছে গিয়ে ঢোল পিটাতে যাতে সে লাফিয়ে উঠে। পারলে পেটের উপর ঢোল বাজাতে।
এতোকিছু ভাবা বাদ দিয়ে রিদের বা পাশে ছোট্ট জায়গায় গিয়ে উল্টো দিকে মুখ করে শুতেই রিদ কম্বলটা নিয়েই তিলকে জড়িয়ে ধরে। খুব শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে ওকে ঢেকে ফেলে। ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
“” এভাবে কান্না করে কেউ? তোর কান্না দেখে মনে হচ্ছিলো আমি মরে গেছি,তুই মরা কান্না করছিলি? তাও আমাকে জীবীত রেখে? তোর কি ধারনা মরা কান্না করলেই আমি মরে যাবো?।””
তিল নড়ে উঠতেই রিদ কম্বলের নিচ দিয়ে ওর পেট আকড়ে ধরে বললো,
“” সরি!””
তিল রিদের গরম হাতের উপর নিজের হাত দিয়ে চিমটি দিয়ে ধরে বললো,
“” সুলসুলি লাগছে,লিদ ভাইয়া!””
আগে হালকাভাবে ছুলেও এবার খামচি দিয়ে চেপে ধরে তিলকে আরেকটু গভীরভাবে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
“” তোর সুড়সুড়ির কাছে আমার বলা সরি এতো নগন্য হয়ে গেলো? আমি যে তোকে সরি বললাম সেদিকে কোনো হুশ নেয় তুই তোর সুড়সুড়ি নিয়ে পড়ে আছিস? আমার হাত থেকে তোর হাত সরাবি নাকি? নাকি আমি তোর জামা সরিয়ে ফেলবো?””
তিল চট করে নিজের হাতটা সরিয়ে ফেলে।
রিদও নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে উল্টো হয়ে শুয়ে বললো,
“” তুই এমন কেন,তিল? যখন আমি থাকবোনা তখন বুঝবি,আমি কি ছিলাম!
রিদের ঠান্ডা কথার মাঝে কি ছিলো তিল জানেনা। কিন্তু এই সামান্য প্রশ্নটাই তিলের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দিলো। তিল পেছন থেকে রিদকে জড়িয়ে নিয়ে কান্না করে দিলো।
চলবে