ভালোবাসার রাত,পর্ব (১২)
রোকসানা রাহমান
আগে হালকাভাবে ছুলেও এবার খামচি দিয়ে চেপে ধরে তিলকে আরেকটু গভীরভাবে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
“” তোর সুড়সুড়ির কাছে আমার বলা সরি এতো নগন্য হয়ে গেলো? আমি যে তোকে সরি বললাম সেদিকে কোনো হুশ নেয় তুই তোর সুড়সুড়ি নিয়ে পড়ে আছিস? আমার হাত থেকে তোর হাত সরাবি নাকি? নাকি আমি তোর জামা সরিয়ে ফেলবো?””
তিল চট করে নিজের হাতটা সরিয়ে ফেলে।
রিদও নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে উল্টো হয়ে শুয়ে বললো,
“” তুই এমন কেন,তিল? যখন আমি থাকবোনা তখন বুঝবি,আমি কি ছিলাম!
রিদের ঠান্ডা কথার মাঝে কি ছিলো তিল জানেনা। কিন্তু এই সামান্য প্রশ্নটাই তিলের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দিলো। তিল পেছন থেকে রিদকে জড়িয়ে নিয়ে কান্না করে দিলো।
রিদ তিলের হাতটা টেনে নিয়ে নিজের বুকের বা পাশটায় রাখলো। তিলের হাতটা নিজের হাত দিয়ে হালকা করে চেপে ধরে বললো,,
“” এই জায়গায়টায় খুব ব্যথা হয় রে। ব্যথার প্রকট এতোই বেশি বেড়ে যায় তখন আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনা। জানিস এই জায়গায় ব্যথাটা কবে থেকে শুরু হয়েছে??””
তিলের উত্তরের জন্য ওয়েট না করেই রিদ বলতে শুরু করে।
“” তুই যেদিন হলি,সেদিন আমার ভীষন জ্বর এসেছিলো। ১০৪ ডিগ্রি। আব্বুও তখন ব্যবসায়ের কাজে অন্যত্র। আম্মু কাকিমাকেই সামলাবে নাকি আমাকে সামলাবে বুঝতে পারছিলোনা। একবার আমার কাছে তো আরেকবার কাকিমার কাছে যাচ্ছে। টেনশনে আম্মুর সব কাজ পাক খেয়ে যাচ্ছিলো। এমনি পাক খেয়ে গেলো যে,তোর নাড়ি কাটার ব্লেডটা আমার দিকে বাড়িয়ে বলতেছিলো নে,তাড়াতাড়ি নাড়িটা কেটে নেতো! সেদিন এতো জ্বরে মধ্যেও আমি শব্দ করে হেসে দিয়েছিলাম। যে ছেলেটা একটুু পরপর কাপুনি দিচ্ছিলো সেই ছেলেটাকেই তোর নাড়ি কাটার ব্লেডটা শরীর ঝাকিয়ে হাসিয়ে দিলো। তারপর টানা সাতদিন পর আমি সুস্থ হলাম। কিন্তু তোকে দেখতে পেলাম না। তুই তো তখন কাকিমার সাথে,আতুর ঘরে। আর সেখানে আমার যাওয়া নিষেধ। এদিকে তোকে দেখার জন্য আমি ছটফট করছি। এতো ছটফট তো রিমার বেলাই ও করিনি! এই ছটফট নিয়েই ৪০ দিন পার হলো। আম্মুর মুখে শুনলাম,তুই নাকি বড় হয়ে যাচ্ছিস।হাত,পা,চুল একটু একটু করে চেন্জ হচ্ছে! তুই বড় হচ্ছিস অথচ আমি তোর বড় হওয়া দেখবোনা?? এটা হই?? সেদিন রাতেই সবাই ঘুমিয়ে গেলে কাকিমার রুমে ঢুকে পড়ি,কাকিমা তখন গভীরঘুমে। কিন্তু তুই? তুই তোর ব্যটারির মতো চোখ গুলোকে নাড়িয়ে নাড়িয়ে আমাকে দেখছিস। আর আমিও খপ করে তোকে কোলে তুলে বাড়ি ছাড়লাম। কেন ছাড়লাম জানিনা। শুধু এটা মনে হয়েছিলো তোকে মন ভরে না দেখা পর্যন্ত আমার মনের ছটপটানি বন্ধ হবেনা। আর আম্মুতো আমাকে দেখতেই দিচ্ছেনা! তারপর ঘটলো সেই ব্যথার সুত্রপাত। তোকে নিয়ে আমি একটা গাছের ডালের উপর বসে আছি। আর তোকে মন ভরে দেখছি। তুই ও আমাকে দেখছিলি,আর হাসছিলি। তোর তো তখন দাত ও উঠেনি রে তিল। কি অমায়িক হাসি। আমি দেখেই মুগ্ধ! হঠাৎ ই কোথা থেকে আব্বু আর আম্মু চলে আসলো। সাথে তোর আব্বুও ছিলো। আম্মু আমার কাছ থেকে তোকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। কারন আমি তো তোকে দিতে চাচ্ছিলাম না। পেছন থেকে আব্বুও আমাকে পেটাচ্ছে। আম্মু ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তোর এই হাতের আঙুলগুলো আমার হাতের বৃদ্ধা আংগুলটা চেপে ধরে ফেললো। আমি তোর হাতের দিকে তাকিয়ে আছি। আম্মুর মুখে শুনেছিলাম তখনো তুই কোনো কিছুকে আকড়ে ধরতে শিখিসনি তাহলে আমার আংগুলটা কেন ধরলি? বল কেন ধরলি???””
রিদ তিলের দিকে ঘুরে গেলো। তিলের হাতটা চেপে ধরে বারবার বলছে,
“” বল কেন ধরেছিলি সেদিন? আমি বলেছিলাম ধরতে? বলিনি তো? তাহলে? কেন ধরলি?””
রিদের এমন প্রশ্নে তিল কি উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারলোনা। একটা ৪০ দিনের বাচ্চা কেন হাত ধরেছিলো সে কিভাবে বলবে???
“” জানিস নাতো? কিন্তু আমি জানি। তোর চোখ আর তোর হাতের ছোয়া আমাকে স্পষ্ট করে বলছিলো,রিদ তুমি আমাকে কখনোই তোমার থেকে আলাদা করোনা। আমি এভাবেই তোমার হাতটা আকড়ে ধরে এভাবে গাছ তলায় কাটিয়ে দিতে পারবো। আমার শুধু তোমার হাতের শক্ত বাধনটা চাই!””
রিদের কাছ থেকে গল্প শুনতে শুনতে তিলের ভেজা চোখ শুকিয়ে এসেছে। চোখদুটো বড়বড় করে বললো,,
“” তাই বলেছিলাম?””
“” হুম,তাই তো বলেছিলি। তোর কি মনে হয় আমি মিথ্যে বলছি? আমি মিথ্যেবাদি? তুই আমাকে মিথ্যেবাদি প্রমান করতে চাস??””
রিদ যে আবার রেগে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারলো তিল। তাই সাথে সাথে বলে উঠলো,
“” তালপল,কি হলো লিদ ভাইয়া?””
“” তারপর আর কি? আমার বুকের বা পাশে ব্যথা শুরু হয়ে গেলো। এমনি ব্যথা যে দিনের ২৪ টা ঘন্টার মধ্যে পারলে ২৮ ঘন্টায় তোর খেদমতে ব্যস্ত। তোকে,গোসল করানো,কপালে টিপ পড়ানো,জামা কাপড় পড়ানো, হিসু করলে কাথা পাল্টানো,কোলে নিয়ে গান শুনানো,ঘুম পাড়ানো,সব আমি করছি,শুধু দুধটা কাকিমা খায়িয়েছিলো।””
“” কেন? দুধটা আপনি খাওয়াতে পাললেমনা? তাহলে আল কি খেদমতটা কললে শুনি? তালমানে আমি ছোট ছিলাম বলে আপনি ফাকিবাজি কলেছিলেন?””
“” খাবি একটা থাপ্পড়,আমার সাথে মশকরা করা হচ্ছে? আমি তোকে কিভাবে দুধ খাওয়াবো? আমি কি মেয়ে মানুষ?””
তিল ঠোট টিপে হালকা হেসে বললো,
“” তালপল?””
“” তারপর আর কি? এভাবেই গরুর মতো খেটে তোকে বড় করতে লাগলাম। হঠাৎই খেয়াল করলাম তুই আর আগের মতো আমার সাথে থাকতে পছন্দ করিসনা। রিমার সাথে ঘুরিস,পুতুল খেলিস,মেয়েলি খেলা আরকি। এটা আমার সহ্য হচ্ছিলোনা,কিন্তু তোকে কিছু বলতেও পারতাম না। সব সহ্য করে থাকলেও যেই দেখলাম তুই রবিনের সাথেও খেলিস,সেদিনই আমার মাথা গরম হয়ে গেলো। এমনি গরম হলো যে তোকে কঠিন শাস্তি দিতে শুরু করলাম। আর তোর প্রেমে পড়তে শুরু করলাম। প্রেমে অবশ্য সেই ছোটবেলায় ই পড়েছিলাম কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম এইটে উঠার পর।””
“” তালপল?””
“” তালপল তো তুই সবি জানিসই। তবে একটা জিনিস জানিসনা।””
“” কি?””
“” ছোটবেলার পাগলামিগুলো আমি না বুঝেই করেছিলাম,বয়সের দোষ বলে যেটাকে কিন্তু ইউকে থেকে আসার পর যা করেছি সব অন্য কারনে।””
“” কি?””
রিদ তিলের মাথাটা নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
“” আমি সব সময় চেয়েছিলাম,তুই আমার বিপরীতে কিছু করবি,কিছু বলবি। কিন্তু তুই এটা কখনোই করিসনি। সবসময় আমি যা বলি তাই করিস। ছোটবেলাতো তাও কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে দিতি,কিন্তু এখন তাও করিসনা। এটা আমাকে খুব বেশি রাগাতো। মনে হতো তুই একটা পুতুল। আমি কি এতোদুর থেকে একটা পুতুলকে বিয়ে করতে এসেছি? তাই তোর উপর ডাবল ডোজ দিয়ে চেষ্টা করছিলাম তোকে মানুষ রুপী বানানোর জন্য! আর সেটাই আমি সফল,তবে এখনো পুরোপুরি হয়নি। মনে হচ্ছে আরো টাইম লাগবে। বাট এতো টাইম নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।””
তিল এবার মাথাটা উচু করে রিদের দিকে তাকিয়ে বললো,
“” জাস্ট এটাই? কিন্তু আমাল তো কখনো এমন মনে হয়নি!””
“” তোর মতো গাধীদের মনে হবেওনা। দেখি সর,আমি এখন রুমে যাবো।””
“” কেন?””
রিদ তিলকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে উঠে বসে পড়লো। অন্য দিকে ঘুরে বললো,
“” এখানে আর ১ সেকেন্ড থাকলে আমি ভয়ংকর কিছু করে ফেলবো।””
“” ভয়ংকর কিছু মানে?””
“” যা বিয়ের আগে করা অন্যায়!””
রিদ আর এক মুহুর্তও সেখানে দাড়ালোনা। এক কঠিন অস্থিরতা তাকে গ্রাস করেছে। এভাবে ওড়না ছাড়া কেউ উপুত হয়ে মাথা উচু করে তাও এক রুমে,একি বিছানায়,একটা কম্বলের নিচে,এই মাঝরাতে????
তিল রিদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। কি এমন হলো যে হঠাৎ করেই উনার ভয়ংকর কিছু করে ফেলতে মন চাইলো??
রিদের চলে যাওয়ার দিক থেকে চোখ সরিয়ে কম্বলের দিকে তাকিয়ে রইলো। এই গরমেও উনি কম্বল গায়ে দেন কেন? আমি তো ঘেমে গোসল করে ফেলছি। উনার শরীরটাও কেমন গরম গরম লাগছিলো। আর উনি যখন উনার হাতটা আমার পেটে রাখলো তখন মনে হয়েছিলো ওটা হাত না,আগুনের তাপে শক্ত হয়ে আসা পাতিলের তলা। এতো গরম হাতও কারো হয়? ছেলেদের হাত কি এমন গরমি থাকে? নাকি শুধু উনার হাতই এমন গরম???
তিল ভাবনার রাজ্যে ডুবতে ডুবতে কম্বলটা ভাজ করে রিদের রুমে চলে যাচ্ছে। উনার তো আবার কম্বল ছাড়া ঘুৃম হবেনা।
তিল রিদের রুমের কাছে যেতেই রিদ বলে উঠলো,
“” আজ আর গরম লাগবেনা,তিল। তুই এখন আমার রুমে ঢুকবিনা।””
তিল ঢুকতে গিয়েও থেমে গেলো। কেন জানি আজ উনার নিষেধে হুংকার নয় অনুনয়ের ছোয়া পেলো। তাহলে কি মানুষটা আসতে আসতে পাল্টে যাচ্ছে???
তিলের ঘুৃম ভাংলো রিমার ডাকে। ঘুমঘুম চোখে চোখ মেলতেই রিমার হাসি হাসি মুখ ভেসে উঠলো। তিলকে টেনে তুলে বসিয়ে নিয়ে রিমা বললো,
“” আমি জানতাম,তোরা দুজন দুজনকে ভালোবাসিস। কিন্তু প্রকাশ করতিনা।””
“” মানে? আর তুই হঠাৎ এখানে কেন রিমা? তুই আসবি এটা তো আমাকে জানালিনা।””
তিলের কথার উত্তর দিলো রিমার বর সিকান্দার সাহেব।
“” আমিও তো জানতাম না,তিল আপামনি। রিমা আমাকে ঘুম থেকে তুলে বললো,আমার ভাইয়ের এনগেজমেন্ট আর তুমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছো? এখনি উঠো নাহলে কিন্তু গরম পানি মাথায় ঢেলে দিবো! আপনিই বলেন এই গরমে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে কি শরীর মানবে? ঠান্ডা পানি হলেও মানা যেতো। তাই গরম পানির ভয়েই আমি এই লুংগি পড়েই রিমাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি।””
তিল সিকান্দার সাহেবের দিকে তাকিয়ে সত্যিই অবাক হলো। শ্বশুড়বাড়িতে নতুন জামাইয়ের আগমন কিনা লুংগি পড়ে????
“” কার এনগেজমেন্ট রে রিমা?””
“” কার আবার,তোর আর ভাইয়ার। আমার যে কি খুশি লাগছেনা? আমি তো ভেবেছি,আমি আর সিকা বেলি ফুলের একি ছাপার শাড়ি আর পান্জাবী পড়বো। কেমন হবে রে,তিল?””
“” আমার এনগেজমেন্ট অথচ আমিই জানিনা? আর এই সিকাটাকে?””
তিলের প্রশ্নে মন খারাপের সুরে সিকান্দার বলে উঠলো,
“” আমি, আপা মনি। রিমা আমার নামের শর্টফর্ম করে সিকা দিয়েছে। আর ছেলেদের পান্জাবীতে কি কখনো বেলি ফুল যায় বলুন তো? গোলাপ ফুল হলেও একটা কথা ছিলো!””
রিমা এবার তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললো,
“” সিকা নামের সাথে বেলি ফুলই যায় বুঝেছো? এখানে আসতে না আসতেই আমার বান্ধুবীর কাছে নালিশ দেওয়া শুরু করেছো? থাকবোনা আমি আর এখানে আমি একখনি বাপের বাড়ি চলে যাবো।””
“” তুই তো বাপের বাড়িই আছিস,রিমা,আর কোন বাপের বাড়ি যাবার কথা ভাবছিস??””
তিলের কথায় রিমা জিহ্বায় কামড় কেটে বললো,
“” আমি কেন বাপের বাড়ি যাবো? সিকাকে ওর বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিবো।””
সিকান্দার সাহেব আকুতি নয়নে তিলের দিকে তাকিয়ে রইলো। তিল কিছু বলতে যাবে তার আগেই দরজায় পাশ থেকে রিদ বলে উঠলো,
“” রিমা,তোর হাবলু রে নিয়ে এখান থেকে যা তো। আমার তিলের সাথে দরকার আছে।””
“” তোর দরকারে বা হাত ঢুকাচ্ছে কে? তুই তোর দরকার শেষ কর। তার জন্য আমাদের কেন যেতে হবে?””
“” তুই এখান থেকে যাবি নাকি আমার হাতে তোর হাবলুরেও মাইর খাওয়াতে চাস?””
রিমা কান্নাকন্ঠে বললো,
“” বিয়ে করার আগেই বোনকে বের করে দিচ্ছিস? তাহলে বিয়ের পর কি করবি,ভাইয়া? ডেকে এনে এভাবে অপমান করলি তো? থাকবো আর এখানে,আজি আমি আমার শ্বশুড়বাড়ি চলে যাবো।””
রিমা তার বরকে টানতে টানতে তিলের রুম থেকে বেড়িয়ে চলে গেলো।
রিমা চলে যেতেই রিদ তিলের রুমের দরজাটা ভেতর থেকে আটকে দিলো। তিলের দিকে একটা প্যাকেট ছুড়ে দিতেই তিল লাফিয়ে উঠে।
“” কি এটা? আল আপনি দলজা আটকালেন কেন??””
রিদ দরজা ছেড়ে তিলের সামনে থেকে প্যাকেটটা নিয়ে ছিড়ে ফেললো। ভেতর থেকে একটা লাল জামা বের করে তিলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,
“” নে,এটা পড়ে নে।””
“” কেন?””
“” কথা বলবি তো থাপ্পড় খাবি!””
“” এখনি পলতে হবে?””
তিলকে অবাক করে দিয়ে রিদ বিছানায় উঠে গেলো। তিলের পড়োহিত জামায় হাত দিতেই তিল চিৎকার করে উঠে।
চলবে