ভালোবাসার রাত,পর্ব (৮)
রোকসানা রাহমান
তিল সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসলো। রিদ ভাইয়া এগুলো কি বললো? বর বউ? আমি তো রিদ ভাইয়া আর আমাকেই আকঁছিলাম,তাহলে কি রিদ ভাইয়া বর আর আমি….তিল নিজের হাত দিয়ে লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেললো। আমি রিদভাইয়ার বউউউ???
“”will you marry me,???””
তীল মুখ থেকে হাত সরিয়ে সামনে তার পায়ের কাছে বসে থাকা ছেলেটার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো।
সিজাত মাথাটা পেছন দিকে একটু কাত করে আছে। দুইটা হাটু মাটিতে ফেলে তার উপর ভর করে বসে আছে। হাতে একটা হীরের আংটি যা সিড়ির সাদা আলোর ছোয়ায় চিকচিক করে তার মূল্য বলে দিচ্ছে। সিজাত তীলের দিকে তাকিয়ে কিছুটা অসস্থিতে পুনরায় বললো,
“” Will u marry me,Tiyamoty?””
তীল আগের মতোই নিঃশব্দে সিজাতের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। তার মুখ ঢাকার জন্য ব্যবহৃত হাতদুটো এখনো সরল রেখার মতো সোজা হয়নি। মাঝপথেই আটকে আছ। হাতের আঙুলের নখের অংশগুলো এখনো গালের নিচটাতে লেগে আছে।
“” কি হলো,তিয়ামতী? কিছু তো বলো? আমি খুবই নার্ভাস ফিল করছি। তোমার কন্ঠ শোনার জন্য আমার কানদুটো কাপছে। কিছু তো বলো প্লিজ!””
তিল নিজেকে সামলে নিয়ে সিজাতের হাত ধরে টেনে সোজা করার চেষ্টায় বলতে থাকলো।
“” আপনি কি পাগল? কেউ দেখার আগে এখনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। নিজেতো মরবেন সাথে আমাকেও মারবেন। এতো অল্প বয়সে আমি মরতে চাইনা। আমার এখনো অনেক কিছু জানার আছে। কতই বা বয়স আমার? তাড়াতাড়ি চলে যান।””
সিজাতকে কথা শুনাতে শুনাতে বার বার আশে পাশে তাকাচ্ছে,তিল। আল্লাহ! রিদ ভাইয়া যদি একবার দেখে তাহলে আজকে আমাকে এই সিড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবে। আর আমিও গড়িয়ে গড়িয়ে মৃত্যুর দিকে পতিত হবো। কি ভয়ংকর হবে ব্যাপারটা? আর সিজারের কি হবে? দেখা যাবে উনি একটা কেচি নিয়ে এসে উনার পেট কেটে সিজার করে দিয়েছে! তখন উনাকে কেমন লাগবে? সিজার করে বাবু হলেও একটা কথা ছিলো। কিন্তু উইথআউট বাবু সিজার হলে মানুষ কি বলবে???
সিজাত তিলের হাতদুটো নিজের আয়ত্তে নিয়ে সোজা হয়ে দাড়ালো। হাতদুটো চেপে ধরে বললো,
“” কিছু হবেনা,তিয়ামতী। তুমি এতো ভয় পাচ্ছো কেন? আমি তো আছি? এ বাসার সবার মত আছে। জাস্ট তুমি একবার হ্যা বলো দেখবে আমি আজ রাতেই তোমাকে বিয়ে…””
“” হাত ছাড়েন বলছি। কিসব উল্টাপাল্টা বকছেন? আর সবার মত আপনি কখন নিলেন? রিদ ভাইয়ার মত নিয়েছেন? উফ! আমি তো ভাবতেই পারছিনা,আপনি এতো সাহস কোথায় পেলেন?””
সিজাত আচমকায় তিলকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো,
“”দেখো আমার হার্টবিটরাও শুধু তোমার নামই ঝপছে। আমার শিরাউপশিরাতে বয়ে যাওয়া রক্তের ধমনিগুলোও তোমার কথা গেয়েই বয়ে যাচ্ছে তাহলে আমার ভয় হবে কিসে? আমার তো সব ভয় তোমাকে নিয়ে। তুমি যদি না বলে দাও তাহলে আমার রিদ স্পন্দনগুলো থেমে গিয়ে ইন্তেকাল করবে আর সাথে আমিও!””
তিল নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে ওর চোখ ঠেকলো রিদের উপর। সিড়ির শুরুর দিকটায় দাড়িয়ে আছে। হাতদুটো পড়নের ট্রাউজারের পকেটে। চোখ,মুখ সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও তিল বুঝতে পারলো এই স্বাভাবিকের পেছনে অন্যকিছু বয়ে আসছে। রিদ তার পায়ের দ্বারা এক এক করে সিড়ি বেয়ে আসছে। চোখের সম্পুর্ন চাহনি তিলের দিকে।
হয়তো রিদকে না দেখতে পেলে এতক্ষনে তিল নিজেকে সিজাতের কাছ থেকে ছাড়িয়ে ফেলতো। কিন্তু রিদের সেই স্বাভাবিক চাহনি যেন তিলকে বশ করে ফেলেছে। চোখের পলকটা ফেলারও শক্তি হারিয়ে ফেলেছে তাহলে নিজেকে কিভাবে ছাড়াবে তীল???
“” তিয়ামতী,এভাবে চুপ করে থেকোনা,প্লিজ। তোমার নিঃশব্দের মাঝে আমি তোমার নিশ্বাসের শব্দে হারিয়ে যাচ্ছি। তুমি আমাকে আর কত নেশা ধরাবে??””
“” তিলকে ছাড়,সিজাত!””
হঠাৎ অন্যকারো গলা পেয়ে সিজাত তিলকে ছেড়ে দিলো।
“” রিদ,তুই?””
“” যা,বাসায় যা।””
“” আমি তো মাত্রই আসলাম। আর তুই তো জানিসই আমি এ বাসায় কেন আসি। কিছুক্ষনের জন্য আমাদেরকে একা ছেড়ে দে। আমি তিলের সাথে কথা শেষ করেই তোর সাথে দেখা করবো।””
রিদ গলাটা স্বাভাবিক রেখেই সিজাতকে আবার বললো,
“” আমি বলছি,এখন বাসায় যেতে।””
“” আরে তুই হঠাৎ আমার বাসায় যাওয়া নিয়ে পড়লি কেনননন…””
সিজাতের কথার শেষ সুর শেষ হওয়ার আগেই গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলো রিদ। চোখে,মুখে,এমনকি গালদুটোও লাল টকটক করে চিৎকার করে উঠলো। সিজাতের কলারটা চেপে ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসছে রিদ।
রিদের এমন ভয়ংকর চেহারায় তিল ভয়ে কেপে উঠে। কিন্তু এ ভয়কে ফেলে তিল দৌড়ে এসে রিদের হাত থেকে সিজাতকে বাচানোর চেষ্টায় বলে উঠে,
“” ছালুননা,উনাকে? উনি ব্যথা পাচ্ছে।””
তিল রিদের হাতদুটো আলগা করতে গেলে রিদ ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দেই তিলের গালে। রিদের থাপ্পড়ের গতি তিলকে ছিটকে ফেলে দেয়ালের কাছে।
সিজাতকে টানতে টানতে মেইন দরজার কাছে নিয়ে আসে রিদ। ধাক্কা দিয়ে বাইরে করে বললো,
“” শুধু বন্ধুত্বের খাতিরে বেচে গেলি। তোকে যেন আর কখনো আমার বাড়ির আশেপাশের রাস্তাটাতেও না দেখি।””
রিদ দরজা আটকাতেই ওর মা বাবা ছুটে এসে ববলো,
“” কি হয়েছে রে রিদ? কেমন জানি শব্দ পেলাম। তিলকে দেখলাম কাদতে কাদতে রুমে চলে গেলো। আর তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?””
“” একটা পাগলা কুত্তা ঢুকে গিয়েছিলো,আম্মু। তিলকে কামড়াতে চেয়েছিলো তাই ও ভয়ে কেদে ফেলেছে। তোমরাতো জানোই ও কত ভীতু!””
রিদের বাবা আশেপাশে তাকাতে তাকাতে বললো,
“” পাগলা কুত্তা? কই,কোথায় ঢুকেছে?””
“” আমি মেরে বের করে দিয়েছি। আর কখনো আসার সাহস পাবেনা।””
রিদ বাবা মাকে রেখে নিজের রুমে চলে গেলো।
রিদের বাবা রিদের আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“” রিদকে একটু চোখে চোখে রেখতো। কেন জানি মনে হচ্ছে আমি ওর মধ্যে সেই ছোটবেলার রিদের ছায়া দেখতে পাচ্ছি। তখন তো ওরা ছোট ছিলো তাই সামলে নিতে পেরেছি কিন্তু এখন কিন্তু ওরা ছোটটি নেই। দুজনেই প্রাপ্ত বয়সী।””
“” তুমি সবসময় আমার সোনার টুকরা ছেলেটাকে নিয়ে এতো সন্দেহ করো কেন বলোতো? ছোটবেলা অবুঝ ছিলো তাই অমন করেছে। এখন ও অবুঝের মতো কান্ড করবে নাকি? আজ এতো বছর পর ছেলেটা আমার বুকে ফিরে এসেছে,তোমার সেটাও সহ্য হচ্ছেনা। তুমি এতো হিংসুটে হবে জানলে আমি কখনোই তোমাকে বিয়ে করতাম না!””
“” তাহলে এখনো পড়ে আছো কেন? তোমার বাবার কবরে গিয়ে বলো তোমাকে আরেকটা বিয়ে দিতে। এতো আদরী মেয়ে ছিলে তুমি উনি নিশ্চয় তোমার কষ্ট দেখে কবরে শুয়ে থাকবেননা? কোনো এক ভালো ভুতের সাথে তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিবে। তখন শান্তিমতে ভূতের সাথে সংসার করো।””
“” কি আমি ভুতের সাথে বিয়ে করবো? তুমি আমাকে পেত্নি বললে? আজ রাতে তোমার খাবার বন্ধ। আমিও দেখবো তোমাকে কে খেতে দেই!””
“” আরে আমি তোমাকে পেত্নি বললাম কখন?””
“” ভুতরাতো পেত্নিদেরকেই বিয়ে করে তাহলে হিসেবে তো তুমি আমাকে পেত্নিই বলেছো।””
রাতের খাবার গ্রহনের তাগিদে সকলেই খাবার টেবিলে বসে আছেন। রিদের বাবাকেেও বসানো হয়েছে। কিন্তু তার সামনে খালি প্লেট দেওয়া হয়েছে। রিদের মায়ের ধারনা খাবার সামনে রেখে না খেতে পারাটাই সব থেকে বেশি কষ্টের! আর তিনিও তার স্বামীকে কষ্টকর শাস্তিটাই দিতে চান যাতে পরবর্তীতে তাকে আর পেত্নি বলার সাহস না পান।
তিল সবসময়ের মতো আজকেও রিদের সামনাসামনিই বসেছে। কিন্তু অন্যদিনের মতো আজ সে রিদের দিকে তাকাচ্ছেনা। তাকাবেও না। কেন তাকাবে? এমন পাষন্ড ভাইয়ের দিকে সে আর তাকাবেনা,তাকে নিয়ে আর স্বপ্নের মালা গাথবেনা। যে শুধু কষ্টই দেই একটু ভালোবাসাও দেইনা তাকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করা আর দুকেজি চাল থেকে হাফ কেজি মরা চাল বেচে সময় ওয়েষ্ট করা একি কথা।
“” ডালের বাটিটা এদিকে দেতো,তিল।””
তিলের ভাতের মধ্যে আকা হাজারও আকিবুকির মধ্যে বাধা দিয়ে বসলো রিদ। তিল শুনেও বা শুনার ভান করে ডালের বাটিটা উপুত করে সবটা ডাল নিজের প্লেটে ঢেলে নিলো।
রিদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিল চেয়ার টেনে উঠে চলে গেলো। পেছন থেকে আব্বু,আম্মু এমনকি বড় আব্বুর ডাকটাকেও অগ্রাহ্য করার শক্তিটা কুড়িয়ে নিলো তিল।
সে রাতে তিলের সাথে আরেকজনও খুদায় ছটফট করেছে যা তিল জানতেও পারলোনা। পেটের ভিতর ইদুরের ছুটাছুটির জন্য তিল ঘুমাতেও পারছেনা। তবুও আজ সে খাবেনা। কেন খাবেনা সেটা তিলের না জানলেও চলবে। তিল বিছানা ছেড়ে লাইট নিভাতে গিয়েও থমকে গেলো। মনে মনে কিছু একটা ভেবেই তিল দরজার সিটকিনি লাগিয়ে নিলো। বন্ধ রুমের মধ্যে লাইট নিবিয়ে ঘুমানোর সাহস পেলোনা তিল।
ঘড়ির কাটা কিছুটা ঘুরতেই দরজা নক করার শব্দ পেলো তিল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৩ টা বেজে কুড়ি। এতো রাতে তার দরজায় কে আসতে পারে বুঝতে বাকি রইলোনা তিলের। তিলের মনে হলো দরজায় এক একটা নক করার শব্দ তার রুমের দরজায় নয় তার পেটের ভিতরে থাকা কলিজায় গিয়ে লাগছে। আর কি শাস্তি দেওয়ার বাকি আছে আপনার? রাত হলেই আপনার আমাকে কষ্ট দেওয়ার কথা মনে পড়ে? একটু ভালোবাসতে ইচ্ছে করেনা? প্রত্যকটা রাতই কেন শাস্তির নামে কষ্টতে পার করাবেন? একটা রাতও কি ভালোবাসার হতে পারেনা? খুলবোনা আমি ঐ দরজা। দেখি কত পারেন আপনি দরজা ভেংগে আসুন। সব শাস্তিগুলো এতো সহজে দিবেন তাতো হতে পারেনা একটা নাহয় বল ক্ষয় করে দিলেন। তিল মনে মনে কথা আউড়াতে আউড়াতে কানে ইয়ার ফোন গুজে দিলো। ফোন ঘেটে একটা ঝাকানাকা গান ছেড়ে ফুল সাউন্ড দিলো। বিছানায় শুয়ে একটা বালিশ নিচে আরেকটা কানের উপর দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে পড়লো। সে কিছুতেই কানে গান ছাড়া অন্য কোনো শব্দ শুনতে চাইনা। কারন এই দরজা খুলার জন্য রিদ ভাইয়ার বল নয় তার কন্ঠে তিল নামটা শুনাই যথেষ্ট!
রিদ বেশ কয়েকবার দরজায় নক করে থেমে গেলো। কিন্তু সেখান থেকে নড়লোনা। নিজের হাত দুটো গুটিয়ে এক দৃষ্টিতে দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কলেজের ড্রেস পড়ে নিলো তিল। নিজেকে ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে ব্যগটা কাধে নিতে নিতে রুম থেকে বের হতেই রিদের চোখে চোখ পড়ে। ড্রয়িং রুমে টিভি ছেড়ে বসে থাকলেও এখন তার মাথাটা উল্টো করে তিলের দিকে ঘুরানো। তিল রিদের থেকে চোখ সরিয়ে মেইন দরজার কাছে গিয়ে মুজাটা পড়তে থাকে।
“” আমাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে যাতো,তিল!””
তিল জুতোই পা ঢুকাতে ঢুকাতে ভাবলো পানি দিবে নাকি দিবেনা। শুনেছি কেউ পানি চাইলে না করতে নেই। এমন কি শত্রুরা পানি চাইলেও দিতে হয়। আর রিদ ভাইয়া তো আমার ভালোবাসা! তিল জুতো থেকে পা বের করে হাটা ধরতেই মন পাল্টে গেলো। তৃষ্ণার্ত মানুষ পানি চাইলে না করতে নেই কিন্তু আপনি তো তৃষ্ণার্ত না রিদ ভাইয়া! তিলের পা আটকে গেলো, চিৎকার করে নিজের বাবাকে ডেকে বললো,
“” আব্বু,তোমার কোন বন্ধুর ছেলে নাকি আমাকে বিয়ে করে সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাবে বলেছে? উনাকে বলে দিও আমার ছোটবেলা থেকে অনেক শখ বরফের পাহাড়ে উঠার। আর উনাকে বলো আজকেই যেন কাজীসহ সবাইকে নিয়ে হাজির হয়। আমি কলেজ থেকে এসেই কবুল বলবো।””
“” সত্যি মা? তুই রাজী?””
“” হুম।””
তিলের বাবা খুশিতে প্যান্ট শার্টের পকেট হাতড়াতে লাগলো। এতো ভালো সুযোগ সে কিছুতেই মিস করতে চাইনা!
তিল কিছুতেই ক্লাসেই মন বসাতে পারছেনা। শুধু থেকে থেকে কান্না পাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে চলে গেলে তো তার রিদ ভাইয়াকে আর দেখা হবেনা,তার সাথে কথা বলাও হবেনা। সে কি ফোন করে বাবাকে না বলে দিবে? তিল ব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ফোনটা বের করছে তো আবার ঢুকাচ্ছে। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা। ক্লাসে এমন অমনোযোগি হওয়ায় পুরো ক্লাসে কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে হলো তিলকে। এদিকে তার আর ফোন করাও হলোনা। এতক্ষনে নিশ্চয় বাবার বন্ধু ডাক্তারসাহেব কাজী নিয়ে হাজির ও হয়ে গেছে!
তিল একরাশ মন খারাপ নিয়ে বাসার গেটে ঢুকে পড়লো। ধীর পায়ে কদম ফেলে ফেলে এগুতেই মেইন দরজা খুলা দেখতে পেলো। ভেতর থেকে বিভিন্ন রান্নাবান্নার সুবাসও পাচ্ছে তিল। তারমানে ডাক্তারসাহেব চলেই এসেছে? উনি কি কবুলও বলে ফেলেছে? নাকি আমার সামনে বলবে বলে ওয়েট করে আছে??
তিল মেইন দরজাটা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই তার চোখ স্থির হয়ে গেলো ড্রয়িং রুমে বসে থাকা মানুষদের দেখে। কাধ থেকে ব্যাগটা ঝপ করে নিচে পড়ে গেলো। তিল অবাক নয়নে সবার দিকে তাকিয়ে রইলো।
চলবে