ভালোবাসার রাত,পর্ব (৯)

0
3999

ভালোবাসার রাত,পর্ব (৯)
রোকসানা রাহমান

তিল একরাশ মন খারাপ নিয়ে বাসার গেটে ঢুকে পড়লো। ধীর পায়ে কদম ফেলে ফেলে এগুতেই মেইন দরজা খুলা দেখতে পেলো। ভেতর থেকে বিভিন্ন রান্নাবান্নার সুবাসও পাচ্ছে তিল। তারমানে ডাক্তারসাহেব চলেই এসেছে? উনি কি কবুলও বলে ফেলেছে? নাকি আমার সামনে বলবে বলে ওয়েট করে আছে??

তিল মেইন দরজাটা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই তার চোখ স্থির হয়ে গেলো ড্রয়িং রুমে বসে থাকা মানুষদের দেখে। কাধ থেকে ব্যাগটা ঝপ করে নিচে পড়ে গেলো। তিল অবাক নয়নে সবার দিকে তাকিয়ে রইলো।

একটা সোফাতে তার আব্বু পা দুটো উচু করে সমান তালে বকে যাচ্ছে আর চোখের পানি ফেলছে। সাথে তার আম্মু,বড় আব্বু,বড় আম্মু দুগালে হাত দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে কান্না দেখছে। কিন্তু এখানে রিদানকে না পেয়ে চোখটা একটু ঘুরাতেই টিভির সামনে সোফাতে দেখতে পেলো। মাথার নিচে কুশানটা দিয়ে রেখে শুয়ে আছে। ডান পাটা বাম পায়ের হালকা ভাজ করা হাটুর উপর। টিভিতে গানের সাথে তাল মিলিয়ে পাও নাচাচ্ছে। তিল বুঝতে পারলোনা, আসলে কি হয়েছে? ভালো করে বুঝার জন্য জুতাসহ ড্রয়িং রুমে ঢুকতে নিলেই রিদ বলে উঠে,

“” তুই কি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছিস যে এভাবে আবর্জনা মাখা জুতা পায়ে রুমে ঢুকে যাচ্ছিস। তোর জন্য কি এই বাসায় দশ দশটা চাকরানী রাখবো? আমার বাবার কি টাকা বেশি হয়েছে নাকি তোর বাবার টাকা বেশি হয়েছে? যে এখন তোর জুতোর ময়লার পেছনে খরচ করতে হবে?””

রিদের কথায় তিল তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। মনে হলো সারা শরীরে ফোসকা পড়ে যাচ্ছে সাথে সাথে ব্যথাও শুরু হয়ে গেছে। হঠাৎ এতো রাগ কেন চলে এলো সেটা বুঝার চেষ্টা না করেই নিজেকে কন্ট্রোল করে নিলো তিল। রিদের অবাধ্য হয়ে জুতোসহ ঢুকে গেলো।

“” কি হয়েছে,আব্বু? তুৃমি এমন বাচ্চাদের মতো কান্না করছো কেন?””

তিলের কথায় ওর বাবা রহমত আলী সোফা ছেড়ে ওঠে দাড়িয়ে বললো,

“” সরি রে,মা। আমি তোর বিয়েটা দিতে পারলাম না। তোকে সুইজারল্যান্ড পাঠাতে পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করে দিস।””
“” বিয়ে দিতে পারলেনা মানে? ডাক্তারসাহেব আসেনি?””
“” এসেছিলো। কিন্তু এসেই আমার হাত পা ধরে বলতে শুরু করলো তোকে নাকি বিয়ে করতে পারবেনা। অথচ তুই যাওয়ার পর আমি যখন ফোন করে বিয়ে করার কথা বললাম ও তো খুশিতে ফোনেই আমাকে আব্বা আব্বা ডাকা শুরু করে দিলো। এমনভাবে ডাকলো যেন আমার নিজের ছেলে!””
“” তাহলে হঠাৎ বিয়ে করবেনা বললো কেন? আর তোমার হাত পা ই ধরলো কেন? এই তার ডাক্তারির নমুনা? আমাকে হাতে পায়ে ধরে অপমান করা? ওর ডাক্তারি আমি ছুটিয়ে ছাড়বো। মানহানির মামলা করবো। জেলে বসিয়ে বাসি রুটি খেয়ে যখন পেটে ডায়রিয়া হবে তখন নিজেই নিজের চিকিৎসা করবে!””

তিল বকতে বকতে নিজের রুমে চলে এলো। ফ্যানটা ফুল পাওয়ারে ছেড়ে দিয়েও ব্যাগ থেকে একটা খাতা বের করে মাথায় বাতাস করতে লাগলো। এতো বেশি গরম লাগছে কেন আমার? মনে হচ্ছে গরমে মাথাটা পুড়ে যাচ্ছে! চুলগুলো খুলে দিয়ে মাথার কলেজের ড্রেসের সাথে সেটে দেওয়া স্টার্পটা খুলে নিলো। এপ্রোনের বোতামগুলোও আলগা করে নিলো।

“” একি! তুই এপ্রোনের নিচে জামা পড়িস না? এমন পাতলা সেমিজ পড়ে কলেজে যাস? তোর লজ্জা লাগেনা? সব তো দেখাই যাচ্ছে!””

রিদের কন্ঠে তিল নিজের বুকের দিকে তাকাতেই বুঝতে পেলো বোতাম খোলার ফলে বুকের পাশটাতে এপ্রোনটা কিছুটা সরে গেছে। কিন্তু সেতো কিছু দেখতে পাচ্ছেনা!

“” তোর মতো কানা রা কিছু দেখতে পাবেনা। আমি তো এতো দুর থেকেও সব দেখতে পারছি। আর তুই নিজের জিনিস নিজেই দেখতে পারছিস না?””

তিল তাড়াতাড়ি এপ্রোনের বোতাম লাগিয়ে রিদের দিকে সরু নয়নে তাকিয়ে রইলো। দরজার কাছটাতেই দাড়িয়ে আছে। ভেতরেও ঢুকছেনা বাইরেও যাচ্ছেনা। ইশ! রুমের দরজাটা যে কেন লাগালাম না। আবার কোনো ভয়ংকর শাস্তির মুখোমুখি হবো নাতো? তিল ওয়াশরুমে ঢুকার কথা ভাবতেই মনে পড়ে গেলো। উনি চাইলেতো বাইরে দিয়েও আটকে দিতে পারে। তাহলে? আমি কি উনাকে বের হয়ে যেতে বলবো? আমি বললেই কি উনি শুনবেন?

তিল কিছু বলার আগেই রিদ টপটপ করে রুমে ঢুকে গেলো। বিছানায় বসেই বললো,

“” এতো জোরে ফ্যান ছেড়েছিস কেন? আমার তো শীত করছে। তোর কি একাই এতো গরম লাগে যে বাংলাদেশের সব বিদুৎ তুই একাই ভোগ করবি? কলেজে কি পড়তে যাস নাকি কিভাবে সম্পদের অপচয় করতে হয় তাই শিখতে যাস?””

রিদ তিলের দিকে হাত বাড়াতেই তিল দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। আমি আর আপনার মুখোমুখি হতে চাইনা। আপনার দেওয়া কষ্টের স্বাদ নিতে চাইনা। আমি কষ্টের সাগরে ঢুকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছি রিদ ভাইয়া। আমি জানি ডাক্তারসাহেবের পায়ে ধরার পেছনে আপনার হাত আছে। কিন্তু আমিও এতো অল্পতেই হাল ছাড়বোনা। নৌকার বৈঠাটা শক্ত করেই ধরবো।

“” বড় আম্মু,তোমার বোনের একটা ছেলে আছেনা? যেটা আমাদের এখানে এসে আমার দিকে হ্যাংলার মতো তাকিয়ে থাকতো? শুনলাম সে নাকি এবার বিসিএস ক্যাডার হয়ে গেছে? জানো তো আমার অনেক শখ একটা বিসিএস ক্যাডারকে বিয়ে করার। অমন পরিশ্রমী স্বামী পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার! দেখি উনার নাম্বারটা দাও তো!””
“” তুই,হুট করে এমন বিয়ে পাগলী হলি কিভাবে? তুই তো এমন মেয়ে ছিলিনা? আজকাল দেখি আমাদের কথার অবাধ্যও হয়েছিস। কি হয়েছে বলতো আমাকে!””
“” রিমাটা বিয়ে করে ফেলছে তো তাই আমারও ভালো লাগছেনা। তাই ঠিক করেছি আমিও ওর মতো বিয়ে করে বরের সাথে থাকবো। কই নাম্বারটা দাও!””
“” তোর নাম্বার নিতে হবেনা। কি বেশরম হয়ে গেছিস! নিজের বিয়ের কথা নিজেই বলে বেড়াচ্ছিস। যাতো! এখান থেকে,আমি ওকে কল দিয়ে বলে দিবো সন্ধ্যায় আসতে!””
“” শুধু আসলে হবেনা। আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যেতে হবে!””
“” উফ! আচ্ছা নিয়েই যাবে হয়ছে? আমি সব সামলে নিচ্ছি। এখন আমাকে ঘুমুতে দে।””

তিল নিজের প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস নিয়ে রুমের দরজা আটকে বসে আছে। বলা তো য়ায় না কখন আবার রিদ ভাইয়া এসে আমার গলা টিপে ধরে। শেষে দেখা যাবে আমাকে বিয়ে করার আগেই আমার বর বিধবা হয়ে গেছে! তার থেকে ভালো এভাবে বন্দী হয়েই বসে থাকি। যতক্ষননা হ্যাংলা কুমার আসছে ততক্ষন এভাবেই রুমে বসে থাকবো। আজ তো আমি বিয়ে করেই ছাড়বো।

তিল একটু পর পর ঘড়ি দেখছে। কিন্তু কিছুতেই সময় যাচ্ছেনা। আজ কি সময়েরাও তার সাথে এমন অবহেলা করছে? সবাই এমন স্বাথপর হয়ে যাচ্ছে কেন? পরীক্ষায় বসলে তো পলকে পলকে ঘন্টার কাটা নড়ে ওঠে।

তিলের অপেক্ষা শেষ করে হ্যাংলাকুমার সবাইকে নিয়ে হাজির। তাসমিয়া বেগমের ডাকে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে তিল। ড্রয়িংরুমে সকলের হাসিঠাট্টা দেখেই বুঝতে পারলো সবাই বিয়ে তে রাজী। সাথে পান্জাবী পড়া এক লম্বা দাড়ীওয়ালাকে দেখে বুঝতে পারলো এটাই কাজীসাহেব। উনার মাধ্যমেই তাকে কবুল বলতে হবে। আশেপাশে কোথাও রিদ ভাইয়াকে না দেখে তিল সস্থির নিশ্বাস ফেলে হ্যাংলা সাহেবের গা ঘেসে বসে পড়ে। কাজীকে উদ্দশ্য করে বলে উঠলো,

“” কাজী আংকেল,বিয়ে পড়ান তাড়াতাড়ি। আমি কি কবুল বলবো?””

মেয়ের এমন কথায় লজ্জায় মরে যাচ্ছেন তাসমিয়া বেগম। আচল দিয়ে মুখ টিপে তিলকে বলে উঠলো,

“” কি করছিস,তুই? গলায় ওড়নাটা না জড়িয়েই চলে এলি? এভাবে কেউ বিয়ে করে?””
“” বিয়ে করতে ওড়নার কি দরকার,আম্মু? কবুল তো আমি বলবো,ওড়না না। তাহলে আমি থাকলেই তো হলো তাইনা?””

তিল এমন ঘেষে বসায় হ্যাংলা কুমার লজ্জায় লাল হয়ে একটু সরে বসতেই তিল চোখ রাঙিয়ে উঠলো,

“” ঐদিকে চাপলেন কেন? আমার গা থেকে কি গন্ধ বের হচ্ছে? হলে হবে। আপনাকে এই গন্ধ কনেকেই বিয়ে করতে হবে। এদিকে চেপে বসুন বলছি। নাহলে কিন্তু আমি আপনার কোলে গিয়ে বসে পড়বো!””

তিলের এমন ধমকে হ্যাংলাকুমার লজ্জায় লাল হয়ে তিলের কাছে চেপে বসলো।

“” কি হলো বিয়ে পড়ান!””

কাজী সাহেব তার কাজ শেষ করে তিলকে কবুল বলতে বললো। তিল যেইনা কবুল বলবে অমনি হ্যাংলা কুমার লাফিয়ে উঠে বললো,

“” গন্ধকনে,I need a bathroom,imidiatly! Where is bathroom?””

তিল কবুল বলার বদলে বলে উঠলো,

“” bath room,bathroom,bathroom!!!””

তিলের বলে দেওয়ার অপেক্ষা না করেই হ্যাংলাকুমার নিজের প্যান্টটা চেপে ধরে নিজেই বাথরুম খুজা শুরু করে দিলো।

পরপর ১১ বার বাথরুমে যাওয়া আসা করতে করতে হ্যাংলাকুমার চিৎপটাং হয়ে গেলো। বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,

“” I need hospital. I need hospital. I need hospital!!!””

তিলের মতো সবাই আশ্চর্য হয়ে হ্যাংলাকুমারের দিকে তাকিয়ে রইলো। তিল অস্পষ্ট স্বরে কেদে উঠে বললো,

“” আমার বিয়ে, আমার বিয়ে,আমার বিয়ে!!!””

তিল সোফা ছেড়ে উঠে হাটা ধরলো রিদের রুমের দিকে। হাতদুটো মুঠো করে, শক্ত করে নিয়ে নিজের রাগটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। আমি জানি এই সবের পেছনে আপনিই আছেন রিদ ভাইয়া। আপনি কখনোই আমার খুশি দেখতে পারেননা!

তিল রিদের রুমের দরজার কাছে আসতেই রিদ বলে উঠলো,

“” আমি মাত্রই সাওয়ার নিয়ে নিজেকে পবিত্র করেছি,আমি চাইনা কোনো গন্ধকনের গন্ধ আমার রুমে ছড়িয়ে পড়ুক আর আমাকে অপবিত্র করে ফেলুক। সো এখন তোর ভেতরে আসা নিষেধ!””

রিদের কথায় তিলের রাগ হাতের মুঠো থেকে মাথায় চড়ে বসলো। ঠাস করে দরজা খুলে রুমে ঢুকেই তিলের মুখটা হা হয়ে গেলো।

রিদ ভাইয়াকে এমন টাওয়াল পরিহিতভাবে কখনো দেখেনি তিল। অনলি টাওয়াল তো দুরে থাক কখনো খালি শরীরে দেখেছে নাকি সেটাও মনে পড়ছেনা। অমন খালি শরীরে টাওয়ালের সাথে রিদের ভেজাচুলগুলোকে তিলের কাছে লোভনীয় কোন আইসক্রীমের মতো লাগলো। যার নিচের দিকে পাতলা কাগজে মোড়ানো থাকে আর উপরটাতে মিল্ক আর সট্রভেরি মেশানো জমাটবাধা আইস। যার উপরে ছোট ছেট চকলেটের টুকরো ছিটিয়ে দেওয়া রয়েছে। রিদানের ভেজা চুল থেকে টপাটপ পানির ফোটাকে মনে হচ্ছে চকলেটের টুকরোগুলো গলে গলে নিচে পড়ে যাচ্ছে। তিলের ইচ্ছে হলো এমন আইসক্রিম সে এক কামড়ে গিলে ফেলতে না পারলে তার জীবনটাই বৃথা!

“” মানা করার পরও তুই আমাকে অপবিত্র করে দিলি,তিল? কতদিন ধরে গোসল করিস না যে তুই এমন তিল থেকে গন্ধকনে হয়ে গেলি?””

রিদের ঝঝালো কথায় তিলের হুশ ফিরে আসে। মুখটাকে বন্ধ করে রিদের দিকে এগুতে এগুতে ঝাড়ি দিতে থাকলো,

“” আপনাল সমস্যা কি হুম? ছোটবেলা থেকেই আমাল পেছনে পলেছেন কেন? আমি আপনাল কোন চুলাই আগুন দিয়েছি যে আপনার লান্না পুলে গেলো? আপনাল অকালনে দেওয়া প্রত্যেকটা আঘাতকে আমি যখন ভালোবাসায় লুপান্তল কলতে শিখালম তখন তো আপনি ইউকে তে বিদেশীনীদের নিয়ে বিজি। আপনাল কি মনে হয় আমি কিছুই জানিনা? লিমা আমাকে সব বলেছে। দেখাতেও চেয়েছে কিন্তু আমি ইচ্ছে কলেই দেখিনি। মনে মনে লাগ কলেছি আপনাল সাথে। আমাল জন্য আপনি আপনাল ফ্যামিলি ছেলে এতো বছল ধলে এতো দুলে থাকেন দেখে আমি প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে অপলাধী হিসেবে ভুগেছি। আপনাকে দেখাল জন্য ক্ষমা চাওয়াল জন্য বিছানায় ঘুমেল ঘোলেও ছটফট কলেছি। এক সময় মনে হলো হয়তো আপনি আমাকে ভালোবাসতেন তাই এমন পাগলামী কলেছেন তাই আপনাল কাছে ক্ষমা চাওয়া বাদ দিয়ে ভালোবাসা দিতে চাইলাম কিন্তু আপনি???””

তিলের কথার তালে তালে পাটাও সামনে এগুচ্ছে আর রিদ পেছাতে পেছাতে বললো,

“” আমি কি?””
“” আপনি জানেন আমাল ছোটবেলা থেকে কত সাজগুজের প্রতি আকর্ষন ছিলো? কিন্তু যখন দেখলাম এই সাজগোজ আমাল কাল হয়ে যাচ্ছে,হাজালটা ছেলে আমাকে তাদের লানী হিসেবে পেতে চাচ্ছে তখনি আমি এটাও ছেলে দিয়েছি। আমার ক্লাস টিচার মাহিল স্যার আমাল ক্রাশ ছিলো। আল উনিই যখন আমাকে বিয়ে কলাল প্লস্তাব দেয় আপনাল জন্য সেটাও ছুলে ফেলে দিয়েছি। গান,বাজনা,হাসি ঠাট্টা,ঘুলাঘুলি,বন্ধুবান্ধব সবকিছুতে ফেলে দিয়ে নিজেল লুমটাতে নিজেকে বন্দী কলে আপনাল অপেক্ষায় দিন গুনছিলাম। অথচ আপনি এসে আমাল সবকিছুকে টিস্যুল মতো নাক মুছে ফেলে দিলেন?? তাতেও আপনাল শান্তি হয়নি? সেই ছোটবেলাল স্মিলিতিগুলোকে পুনলায় জাগ্লত কললেন আল কাল? কাল আমি কি কলেছিলাম? আমাকে কেন থাপ্পল মাললেন? আপনাল দেওয়া এতো কঠিন কঠিন আঘাতেল থেকেও কালকেল থাপ্পলটা হাজালগুন বেশি ব্যথা দিয়েছে আমাকে। আমার লিদয়টা চুলমাল কলে দিয়েছে। আল আজ যখন আপনাকে ছেলে দুলে যেতে চাচ্ছি তখন আপনি কেন এমন কলছেন। কি চান আপনি? আমি মলে যাই? কিভাবে মলবো বলুন,বিষ খেয়ে নাকি গলায় লশশশশশ….””

তিল কথা শেষ করার আগেই ওর ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিলো রিদ! তিলের কোমড়টা ডানহাতে পেচিয়ে নিজের খোলা বুকের সাথে মিশিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো।

“”বিয়ে করবি আমায়,তিল?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here