ভালোবাসার রাত Season_2,পর্ব (২)

0
4398

ভালোবাসার রাত Season_2,পর্ব (২)
রোকসানা রাহমান

পেটের উপর ভারকিছুর উপস্থিতি সাথে কারো গরম নিশ্বাসে আবদ্ধ ভেজা ঠোঁটের স্পর্শে রাতের ঘুম ভেঙে গিয়েছে। রাত চোখ মেলে তাকিয়ে কি হচ্ছে বুঝার আগেই সন্ধ্যা নিজের দুপাটি দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরলো রাতের নিচের ঠোঁটটি! দাঁতের চাপ সহ্য করতে না পেরে রাত সন্ধ্যাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে পড়লো। ব্যথায় চোখে পানি চলে এসেছে রাতের। কিন্তু তা বাহির না করেই সন্ধ্যার দিকে আহত চোখে তাকিয়ে রইলো।

রাত সজাগ হয়ে যাওয়াতে বেশ ভয় পেয়ে গেছে সন্ধ্যা। রাতের রাগের সাথে সে এখনো পরিচিতি হয়ে উঠেনি। সেদিক দিয়ে রাতকে তার কখনোই ভয় লাগেনা৷ তবুও যেটা লুকিয়ে করতে চেয়েছিলো সেটা ধরা পড়ে যাওয়াতে একটু তো ভয় হবেই। সন্ধ্যা রাতের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে দৌড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিতেই ওর হাত চেপে ধরলো রাত।

“” ঠোঁটটা কেটেই দিলি?””
“”…””
“” মানা করেছিলাম না?””

সন্ধ্যা এতক্ষণ চুপ করে থাকলেও এবার টগবগিয়ে উঠে বললো,,

“” তুমি মানা করলেই আমায় শুনতে হবে?””
“” আমার মানা তুই শুনবিনা?””
“” না “”
“” কেন?””

সন্ধ্যার টগবগিয়ে ফুটে উঠা উত্তালটা হুট করেই হাসিতে পরিনত হলো। হেঁসে কুটিকুটি হয়ে বললো,,

“” না শুনলে তো তুমি আমাকে বকোনা। তাহলে শুনবো কেন?””
“” তুই চাস আমি তোকে বকি?””
“” হুম।””
“” তুই চাস আমি তোর সাথে রাগ দেখায়?””
“” হুম।””
“” সহ্য করতে পারবিতো?””
“” কেন পারবো না? আমি তো ডেইলি কতজনের বকা খায়। আমার তো হজম করতে ১ মিনিটও লাগেনা।””

রাত কপাল কুচকে বললো,,

“” কতজনের বকা খাস?””
“” আম্মু,আব্বু,মামি,ক্লাসের স্যার,আমার বান্ধুবীদেরও বকা খায়।””
“” বাহ! তাহলে তো তুই বকা খাওয়ার হজমী!””
“” কি আমি হজমী?””
“” হুম!””

সন্ধ্যা চট করেই রেগে গেলো। হাত দুটো এমনভাবে মুঠো করলো যেন এখনি রাতকে ধোলাই শুরু করে দিবে। কিন্তু রাতের ঠোঁটের দিকে নজর পড়তেই ও থমকে গেলো। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,,

“” রক্ত!””
“” কোথায়?””
“” তোমার ঠোঁটে!””

সন্ধ্যা রাতের ঠোঁটে হাত দিতে নিলে ওর থেকে দুরে সরে দাড়ালো রাত।

“” দাঁত কামড়ানো চুমু খেলেতো রক্ত বের হবেই।””

রাত নিজের ড্রয়ার থেকে ফার্স্ট এইড বক্সটা বের করে তুলো নিচ্ছে। সন্ধ্যা ওর পিছু পিছু অস্থিরতার সাথে দাড়িয়ে বললো,,

“” আমি মোটেও দাঁত কামড়ানো চুমু খায়নি। ঠোঁট কামড়ানো চুমু খেয়েছি। আমি তো ঠোঁটেই কামড় দিয়েছে,দাতে নয়। তাহলে দাঁত কামড়ানো চুমু কি করে হলো?””

তুলোতে ওষুধ নিয়ে ঠোঁটে চেপে ধরে আছে রাত। সেভাবেই বললো,,

“” ঠোঁট দিয়ে না কামড়িয়ে দাঁত দিয়ে কামড়িয়েছিস,তাই দাঁত কামড়ানো চুমু হয়েছে।””

সন্ধ্যা খাপছাড়া সুরে বললো,,

“” আমার কি দোষ। আমি তো প্রথমে ঠোঁট দিয়েই কামড়ালাম। কিন্তু তুমিতো মুভির মতো ছটফট করছিলেনা। তাই দাঁত দিয়ে কামড়িয়েছে। আর সাথে সাথে ছটফট শুরু করে দিলে। কিন্তু তুমি আমাকে ঝাপটে না ধরে দুরে ঠেলে দিলে কেন? আর তোমার চোখে পানি চলে এসেছিলো কেন?””

রাত ঠোঁট প্রসারিত করে হাঁসতে গিয়েও হাঁসতে পারেনি। ঠোটের ব্যথাটা টনক করে উঠলো। তবুও স্মিত হাসি নিয়ে বললো,,

“” মন থেকে দিসনি যে তাই ছটফট করিনি!””
“” কে বললো মন থেকে দেইনি। মন থেকেই তো দিলাম।””

রাত এবার সন্ধ্যার কাছে এসে দাড়ালো। খুব কাছে এসে ওর ঠোঁটের কোনের তিলটাতে হাতের ছোঁয়া লাগিয়ে বললো,,

**তোর স্পর্শে
আমি কম্পিত
তোর শিহরনে
আমি শিহরিত
তোর উত্তেজনায়
আমি উত্তেজিত
তোর উচ্ছাসে
আমি উচ্ছাসিত
তোর প্রেমে
আমি পীড়িত
তোর কুড়ি হওয়ার
আমি অপেক্ষারিত!!**

সন্ধ্যা রাতের দিকে তাকিয়ে না বুঝার ভঙ্গিমায় বললো,,

“” মানে কি?””

রাত এবার শব্দ করে হেঁসে বললো,,

“” যেদিন এটার মানে বুঝবি সেদিন তুই ঠোঁট কামড়ানোর চুমু ছাড়ায়ই ছটফট করবি। আর তোর ছটফট দেখে আমিও ছটফট করবো!””

~~

আম কাঁঠালের গরমের মাঝেও তিয়ামতী(তিল) ফ্যানটা অফ করে কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে আছেন। বাহিরের শীতল বাতাসটাও যেন এখন তার জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। তাই জানালাটাও লাগিয়ে নিয়েছে। গরমের মৌসুমেও গরমকেই বরণ করে গভীর ঘুমে তলিয়ে ছিলেন। হঠাৎই নিজের দুহাতের কব্জীতে অন্যকারো শক্ত হাতের চাপে ঘুমের ঘোরে আহ! করে উঠেছে। চাপটা আরো শক্ত হয়ে আসতেই তিয়ামতী চোখ মেলে ফেললো,অস্পষ্ট স্বরে বললো,,

“” লিদ ভাইয়া!””
“” এই দুহাতে এতো মানুষের সেবাতে মত্ত থাকিস যে আমাকে চিঠি লিখতেও ভুলে যাস?? সবার মাঝে তুই আমাকে হারিয়ে ফেললি তিল?””

কথার তালেই রিদ নিজের হাতের চাপটা আরো শক্ত করে নিচ্ছে। তাতে তিলের গোঙানোর শব্দ না পেলেও চোখটা ঠিকিই ব্যথায় জর্জরিত! তিল অভিমানি সুরে বললো,,

“” ব্যস কলেছি। আপনি আমাকে আপনাল সেবা কলতে দেননি কেন? তাই তো আমি অন্যেল সেবাতে সুখ খুজে নিচ্ছি। আপনি জানেন এতে আমি কতটা সুখী?””

রিদ তিলের হাতটা ছেড়ে ওর চুলটা টেনে ধরে নিজের মুখের কাছে এনে বললো,,

“” তাহলে আমাকে কেন বিয়ে করলি?? যা না ঐসব ছোকরা,ব্যটামানুষ,বুইড়া থুড়থুড়াকেই বিয়ে করে নে। এখনো একা পড়ে আছিস কেন? আজ যার গলা জড়িয়ে ওষুধ খাওয়াচ্ছিলি সেতো বেশ হ্যান্ডসাম। বিয়েও করেনি। তোর দিকে যেভাবে তাকায়,তুই একবার কবুল বললে দেখবি সে এমনিতেই সুস্থ হয়ে নেচে বেড়াচ্ছে।””
“” কিন্তু আমি যে আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুৃমাবো বলে এখনো উপোস করে আছি? সেটার কি হবে?””

রিদ তিলকে ছেড়ে উল্টো দিকে ঘুরে বললো,,

“” জানিনা!””
“” আপনি দিনে দিনে বড্ড বেশি অভিমানি হয়ে যাচ্ছেন। কে বললো আমি আপনাকে ভুলে যাচ্ছি?””
“” তাহলে এ সপ্তাহে আমার চিঠি কই?””

তিল রিদের কাছে এসে ওর পিঠে নিজের মুখটা এলিয়ে দিয়ে বললো,,

“” আজকাল খুব ক্লান্ত লাগেগো লিদ ভাইয়া। বড্ড একাও লাগে। সন্ধ্যে নামলেই চোখটাও জ্বালাতে ভলে যায়। কি যে হয়েছে মাঝলাতে উঠতেই পালিনা। চোখ মেলে দেখি সকাল হয়ে গেছে। আপনিতো জানেন আমি আমাল ভালোবাসাগুলো লাত ছালা লিখতেই পালিনা। আল তোমার ছেলেতো লাগের ভান্ডালী। আমি যাই কলিনা কেন সে লেগে যাবে। আমাল তো মনে হয় তাল জন্যে আমি একজন প্লতিবন্ধী। যাল কাজ হলো শুধু হাত-পা গুটিয়ে বিছানায় শুয়ে-বসে থাকা!””

তিলের কথায় রিদ শব্দ করে হেসে উঠলো। তিল সাথে সাথে রিদের মুখোমুখি হয়ে হাঁসিটা মুগ্ধতায় ভরে নিয়ে দেখছে। এই মানুষটার এমন হাঁসি দেখার জন্য আমি কতটা তৃষ্ণার্ত ছিলাম তা কি উনি জানেন??

“” দেখতে হবেনা,ছেলেটা কার?””
“” ইশ! এখন কত খুশি। আপনাল একটুও খুশি হওয়াল অধিকাল নাই। আপনিতো চাননি আমাল লাত বাবা প্লিথিবীতে আসুক!””
“” তুই এমনভাবে বলছিস যেন,আমাকে ছাড়াই ওকে টেনে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিস।””
“” তাইতো এনেছি।””
“” তুই বলতে চাচ্ছিস ও তোর ছেলে আমার নয়?””
“” হুম। শুধু আমার ছেলে।””

রিদ তিলকে ফেলে বিছানা থেকে উঠে কঠিন রাগ নিয়ে বললো,,

“” তাহলে তুই থাক তোর ছেলে নিয়ে!””

রিদ দ্রুত কদমে হেঁটে চলে যাচ্ছে। তিল পেছন থেকে চিৎকার করেও তার রিদ ভাইয়াকে আটকাতে পারছেনা।

তিয়ামতীর ঘুম ভেঙে গিয়েছে। চারপাশে চোখ বুলিয়ে রিদকে না পেয়ে মুখ ঢেকে কাঁদতে কাঁদতে চাপা স্বরে চিৎকার করে ডাকছে,

“” লিদ ভাইয়া! আপনি কেন এতো পচা? স্বপ্নে এসেও আমাকে একটু ভালোবাসা না দিয়েই চলে গেলেন। এতো বছরেও কি আপনার রাগ কমেনি?? রাত কেন আমার একার সন্তান হবে? ও যে আমার আর আপনার #ভালোবাসার রাত!””

তিয়ামতী(তিল) চোখের পানি মুছে নিয়ে জানালার পাশে রাখা ছোট্ট টেবিলটার দিকে চলে গেলো। জানালার একটা পার্ট খুলে দিয়ে মন ভরে নিশ্বাস টেনে কাগজ কলম নিয়ে বসেছে। তার সামনেই সোনালী ফ্রেমে আটকে আছে তার রিদ ভাইয়ের বাল্যকালের মুখভর্তি হাসির স্মৃতি!

~~
উঠতি বয়সের দোষটা খুব কম মানুষই চাপা দিয়ে বড় হওয়ার যুদ্ধে নামতে পারে। তাদের মধ্যেও নিত্যনতুন কৌতুহলে আটকে যায় কিছু কিশোর-কিশোরী। কেউ কেউ কৌতুহলগুলোকে চাপাভাবে পুরন করতে চায় আর কেউ কেউ খোলাসা! ঠিক সেরকম সন্ধ্যাও। তার নিত্যনতুন ভয়ংকর ইচ্ছেগুলোতে রাতকেই চরমভাবে ফেঁসে যেতে হচ্ছে। এতে যে রাতের খারাপ লাগে তা নয়। সন্ধ্যার সাথে প্রতিটা সেকেন্ডকেই সে গভীরভাবে উপভোগ করে। কিন্তু তাতেও বুকের ভেতরে একটা অজানা ভয় মাঝে মাঝেই চিনিক দিয়ে উঠে। এমন কৌতুহলের বশে সে বিপরীত কারোসাথে খারাপকিছুতে জড়িয়ে পড়বে না তো?? ভয়ংকর কিছু ঘটে যাবে নাতো??

তবে রাত একটা জিনিস খেয়াল করেছে। সন্ধ্যার যেদিন ভয়ংকর কোনো প্রশ্ন বা ইচ্ছে থাকে সেদিনই সে রাতের সাথে পড়তে বসবে বলে বায়না ধরে। বেশ কটাদিন সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল এক্সামের বাহানায় সন্ধ্যাকে এড়িয়ে চললেও আজকেই ও হুট করে হাজির। রাত সন্ধ্যার দিকে না তাকিয়েই বললো,,

“”আমি এখন ভিষন চাপে আছি সন্ধ্যা,তুই নিজে নিজে পড়ে নে নাহয় ফুপার কাছে যা।””

সন্ধ্যা রাতের কথা অমান্য করেই চেয়ার টেনে বসে পড়েছে। খাতাটা খুলতে খুলতে বললো,,

“” কাল আমার ইংলিশ ক্লাস টেস্ট। তুমি বুঝিয়ে না দিলে তো গোল্লা পাবো। শেষে সবাই আমাকে গোল্লারানী বলে ডাকবে।””

রাত নিজের বইটা বন্ধ করে ওর দিকে তাকিয়ে বললো,,

“” তোর কি প্রতিদিনই ক্লাসটেস্ট হয়?””
“” হয়তো। আমার কি দোষ। তুমিই তো আমাকে গার্লস স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছো। যেখানে মেয়েদের ছড়াছড়ি সেখানে তো টেস্টের বন্যা বসবেই।””
“” মেয়ে হলেই টেস্ট এক্সাম হয়?””
“” হুম। টিচারগুলোও তো সব মেয়ে। একটাও স্যার নাই। তোমার জন্য আমার স্যারের উপর ক্রাশ খাওয়া হলোনা। তুমি জানো ‘ম্যা হু না’ মুভিটাতে শাহরুখ তার ম্যাডামের উপর কি সুন্দর করে ক্রাশ খেয়েছিলো? উফ! কি রোমান্টিক।””

সন্ধ্যা নিজের উন্মাদনা বুঝাতে গিয়ে দুহাত একসাথে করে থুতনিতে ঠেকিয়ে চোখটা বন্ধ করে নিয়েছে। ঠোঁটে লজ্জাহাঁসি।

“” কি বুঝবি। দেখা!””

সন্ধ্যা বইটা খুলতে খুলতে বললো,,

“” রাত ভাইয়া। বিয়ে হলে নাকি স্বামী তার বউয়ের সব কাপড় খুলে ফেলে?””

রাত সন্ধ্যার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। যা ভেবেছিলো তার থেকেও ছাড়িয়ে।

সন্ধ্যা বই খাতা বন্ধ করে বললো,,

“” যদি ছেলে মানুষ খুলেই নিবে তাহলে আমরা পাঁচ কাপড় কেন পড়ি? কেন এতো ঢেকে ঢুকে থাকি?””
“” আমরা মানে?””

সন্ধ্যা জিভ কেটে নিয়ে বিদ্রোহী ভঙ্গিমায় বললো,,

“” আমরা মানে মেয়েরা আর কি। তোমরা সবসময় কেন মেয়েদেরকে পিছিয়ে রাখবে?””
“” এখানে পিছিয়ে রাখা কোথা থেকে আসলো?””
“”এই যে ছেলেরা পাঁচ কাপড় খুলবে আর মেয়েরা মাত্র দুই কাপড় খুলবে!””
“” তুই কি করে জানলি ছেলেরা দুই কাপড় পড়ে?””
“” তুমি আমাকে এতো বোকা ভাবো? আমি এতোটাও বোকা নই। এই যে তুমি তো দুই কাপড় পড়েই আছো।কেন আরো বেশি পড়ে আছো নাকি?””

রাত সাথে সাথে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নিলো। এ মেয়ের তো কোনো বিশ্বাস নেই। শেষে দেখা যাবে আমার কাপড় নিয়ে টানাটানি করে দেখতে চাইবে দুই কাপড় নাকি তিন কাপড় পড়ে আছি। রাত গম্ভীর গলায় বললো,,

“” জানিনা।””

সন্ধ্যা একটু নড়ে উঠতেই রাত তাড়াতাড়ি বললো,,

“” দুই কাপড়ি পড়ে।””
“” তাহলে তো হিসেব ঠিকই আছে। এবার বলো আমরা পিছিয়ে গেলাম না?? তিন কাপড় পিছিয়ে!””

সন্ধ্যা মুখটাকে এমন করে রেখেছে যেন সে দুঃখের সাগরে ভাসছে আর আফসোস করছে মাত্র দু কাপড় খুলতে পারবে দেখে।

“” হুম!””
“” কিন্তু আমি এই অত্যাচার কিছুতেই সইবোনা। আমি ছয় কাপড় খুলবো।””

রাত আৎকে উঠে বললো,,

“” কার?””
“” তোমার।””
“” সন্ধ্যা রুমে যা।””
“” কেন?””

রাত সন্ধ্যার কথার উত্তর না দিয়েই ওকে টানতে টানতে নিজের রুম থেকে বের করে দিয়েছে। দরজায় খিল দিয়ে দিলো শক্ত করে। আজ রাতে আমি এই দরজা খুলবোনা। তোর অদ্ভুত সব ইচ্ছেতে আমাকে খারাপভাবে ফাঁসিয়ে দিস। এইবার আর ফাসবোনা। রাত উপরের দিকে তাকিয়ে অসহায়ভাবে বললো,,আল্লাহ! বাচাও আমায়।আমার স্বপ্নবধুকে তুমি টুপ করে বড় করে দাও।

~~
রাত ডিনার শেষে রুমে পা রাখতেই পেছন থেকে দরজা লাগানোর শব্দ! পিছে ঘুরতেই সন্ধ্যা ওর শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করে দিয়েছে।

“” আরে কি করছিস?””
“” আজকে ছয় কাপড় খুলবোই খুলবোই!””
“” আরে আমি ছয় কাপড় পড়িনি তো।””
“” তোহ! কি হয়েছে? পড়োনি তো পড়ে নিবে।””

রাত সন্ধ্যার হাতদুটো আটকে নিয়ে বলল,,

“” কি পড়বো?””

সন্ধ্যা নিজের দুপায়ের সাহায্যে আটকে রাখা একটা ব্যাগ বের করলো। বিছানায় উল্টো করে ঢালতেই নানা রকমের কাপড় ছড়িয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা মুখভর্তি হাঁসি নিয়ে বললো,,

“”এগুলো””

রাত অবাকের চরম পর্যায়ে গিয়ে আটকে আছে। মেয়েলি পাঁচকাপড়ের মাঝে লুকিয়ে থাকা বক্ষবন্ধনীটার দিকে চোখ যেতেই রাতের চোখ চরকগাছ।

“”সন্ধ্যা,তুই এখনি আমার রুম থেকে বের হবি। এক্ষুনি মানে এক্ষুনি!””

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here