ভালোবাসার রাত Season_2,পর্ব (২৩)

0
3720

ভালোবাসার রাত Season_2,পর্ব (২৩)
রোকসানা রাহমান

রাত ফুপির উদ্দেশ্যে কিছু বলবে তার আগেই পেছন থেকে ভারী পুরুষকন্ঠ,,

“” তাই নাকি তিল? তোর মর্জিই সব?””

সন্ধ্যা,সিকান্দার সাহেব,রাতের দৃষ্টি পুরুষকন্ঠকে অনুসরন করলেও তিয়ামতী করলোনা। সে চুপচাপ বসে রইলো। ঘাড় বাকিয়ে পুরুষকন্ঠীর লোকটিকে দেখার প্রয়োজনবোধটাও করছেনা। বেশ স্বাভাবিকতার সাথে বসে আছে। যেন কিছুই ঘটেনি!

রিমা খাবার ছেড়ে দাড়িয়ে গেলো। অবাক,বিস্মিত,চমকিত সব সমার্থক শব্দগুলোও যদি এখন তার উপর প্রয়োগ করা হয় তবুও বুঝি তার অনুভূতির কথা প্রকাশ করা যাবেনা। চোখটা বৃত্তাকারে এতোটাই বড় হয়েছে যে এর ব্যাস নির্ণয় করাও কঠিন। মনের অজান্তেই কন্ঠধ্বনি বেজে উঠলো,,

“” রিদ ভাইয়া!””

রিদান দরজা ছেড়ে ধীরতার সাথে এগিয়ে আসছে। মুখে কোমল রঙ,ঠোঁটে মিস্টি হাসি। পায়ের চলনগতি থামিয়ে তিয়ামতীর পাশে দাড়িয়েছে। মিস্টি হাসিটা মুহুর্তেই দুষ্টু হাসির ছায়ায় ঢাকা পড়েছে। পাশের খালি চেয়ারটা শব্দ করে টেনে নিলো। আয়েশি ভাবে বসে হাত বাড়ালো ভাতের বোলে। তিয়ামতীর ভরা প্লেটে আরো দুচামচ ভাত দিয়ে বললো,,

“” নে,শুরু কর।””

রিদানের এই অনুশাসনের জন্যই যেন অপেক্ষায় ছিলো তিয়ামতী, এমন হাবভাবেই ছুটন্তপনায় খাওয়া শুরু করেছে। আশেপাশে কি হচ্ছে সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। পুরো মনোযোগ তার ভরাপ্লেটে। মুখভর্তিতে গালদুটো টুলটুল হয়ে গিয়েছে। গিলতে কষ্ট হচ্ছে কি?? চোখের নদী টলমল ভেঙে কয়েকফোটা পাতে পড়তেই রিদান পানির গ্লাসটা এগিয়ে ধরলো।

তিয়ামতী আর রিদানের কান্ডকারখানায় সকলেই হা। কারো মুখে কোনো রো শব্দ নেই। সকলেই এক রোমাঞ্চকর মঞ্চে বসে নাট্যতে মত্ত। নিরব দর্শক রাতও। বাবার মুখের দিকে তার নজর আটকায়নি। হয় তো চাচ্ছেনা আটকাতে। তবে মায়ের দিকে ঠিকই আটকে আছে। নিরবতা ভেঙে রাত চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। কারো দিকে না তাকিয়ে ডাইনিং প্রস্থান করছে। রাতের পিছু পিছু এক এক করে রিমা আর সিকান্দার সাহেবও ডাইনিং ছাড়লেন। তিয়ামতী আর রিদানের উচ্চবাক্যতে যা প্রকাশ পায়নি,নিরববাক্যে তা ঠিক প্রকাশ পাচ্ছে।

সকলে চলে গেলেও সন্ধ্যা তখনো নিজ জায়গায় থম মেরে বসে আছে। পলকহীন চোখ নিয়ে মুগ্ধদৃষ্টিতে চেয়ে আছে রিদানের দিকে। এক জায়গায় স্থির রেখে শান্তি পাচ্ছেনা তাই সময়ভেদে একবার তিয়ামতী তো আরেকবার রিদানের দিকে তাকাচ্ছে। যত দেখছে তত তার চোখদুটো কপালে মিলছে,ঠোঁট দুটো একে অপরের থেকে দুরত্ব বাড়িয়ে তুলছে। উপরের ঠোঁট আর নিচের ঠোঁট সর্বোচ্চ উপরনিচ ছুয়ার আগেই মুখে ভারী দেয়াল এসে পড়লো। সন্ধ্যা কোনোকিছু বুঝে উঠতে পারছেনা। মাথা তুলে পেছনে তাকাতে রাতের হিসসসস ধ্বনি। সন্ধ্যা কপাল কুঁচকে হাত পা নাড়িয়ে শব্দ করতে যাবে তার আগেই রাত ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো। সময় পারের অপেক্ষা না করে সোজা ওকে কোলে তুলে নিশব্দে হাঁটা ধরেছে।

~~

পিঠের সাহায্যে নিজের রুমের দুয়ার খুলে নিলো রাত। সন্ধ্যার ছটফটানি আর মোচড়ামুচড়িতে ওর নাস্তানাবুদ অবস্থা। বড়বড় পা ফেলে ওকে বিছানায় ফেলে দিলো।

“” বড়দের মাঝখানে বসে কি করছিলি? লজ্জা বলতে কি তোর মধ্যে কিছু নেই?? সম্পর্কে তোর মামা-মামি হয় আর এখন তো শ্বশুড়-শ্বাশুড়িও।””

রাতের কথা মাথায় নিলোনা সন্ধ্যা। রাতের ওভাবে রাখাতে সন্ধ্যা না চাইতেও বিছানায় শুয়ে পড়েছিলো। শোয়া থেকে উঠে দৌড়ে পালাবে তার আগেই বাধা পেলো। রাতের হাত সন্ধ্যার পেটে। শক্ত করে চেপে ধরে বললো,,

“” কোথায় যাচ্ছিস? একটু চুপ করে বোস। তোর সাথে কথা আছে।””

সন্ধ্যা চাইলেও উঠে যেতে পারছেনা। ভয়ে তার বুক শুকিয়ে কাঠ। জিহ্বাটাও কেমন খড়খড়ে হয়ে গিয়েছে। পিপাসা পাচ্ছে কি??

রাত সন্ধ্যার মুখোমুখি বসলো। ওর মাথা নিচের দিকে ঝুকে আছে,কোলের উপর হাতের দশআঙুল একে অপরের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত।

“” কি হয়েছে তোর? এমন আচরন করছিস কেন?””

রাতের কন্ঠের প্রত্যেকটা বাক্যে সন্ধ্যা যে কেঁপে কেঁপে উঠছে তা রাতের চোখ এড়ায়নি। রাত সন্ধ্যার আরেকটু কাছে চেপে এলো। ওর হাতের যুদ্ধ বন্ধ করতে আঙুলগুলো নিজের এক হাতে বন্দী করেছে। অন্যহাত সন্ধ্যার থুতনিতে রেখে নিচু মাথা উচু করলো। ওর বন্ধচোখের কম্পন পাতাতে রাতের তীক্ষ্ণদৃষ্টি। দৃষ্টিপাত স্থির রেখে বললো,,

“” আমি তোর ভয় না,নিরাপদ আশ্রয়। তোর এমন আচরনে আমার বুকটা ফেটে যায়। সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিতে ইচ্ছে করে। স্বপ্নবধু! আমি যে তোর ভালোবাসার প্রতিক্ষায় আছি। আর কত আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিবি?? যখন ফেল করে বসবো তখন সহ্য করতে পারবি তো??আমি তোর ভালোবাসায় পিপাসাতে ভুগছি। এবার তো আমার পিপাসা মিটিয়ে দে!””
“” আমমমি আমমম্মুরর ককাছে যাববো!””

রাতের শীতল কন্ঠ মুহুর্তেই উষ্ণ হয়ে গেলো। সন্ধ্যার দুগাল খামচে ধরে বললো,,

“” কোথাও যাবিনা তুই। বউ হোস তুই আমার। আমার রুম মানেই তোর রুম। তুই এখানেই থাকবি। এখানটাই পড়ে থাকবি!””

সন্ধ্যার বন্ধ চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। রাত লম্বা নিশ্বাস ছেড়ে ওর গাল ছেড়ে দিলো। ওর হাতদুটো নিজের গলায় নিয়ে বললো,,

“” মেরে ফেলতে চাস আমাকে? তাহলে মেরে ফেল। এভাবে সময় নিয়ে একটু একটু করে কষ্ট দিয়ে মারছিস কেন? নে আমার গলা টিপে ধর। আমি একটুও বাধা দিবোনা। নিশ্বাসগুলো তো এমনিতেই থমকে আছে। ওরাও একটু শান্তি পাক!””

সন্ধ্যা নিজের হাত সরিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে। এমন শব্দ করে তো বাচ্চারা কাঁদে ও কেন কাঁদছে? তাহলে কি ও এখনো বাচ্চাই রয়ে গেছে?? ভুল করে ভুল সময়কে আপন করে নেইনি তো??

রাত সন্ধ্যার চোখের পানি মুছতে যাবে তখনি ও পেছনে চলে গেলো। বিছানার এককোণে চেপে অনরবত কেঁদে যাচ্ছে। রাত বিছানা থেকে নেমে গেলো। কিছু ক্ষণ দুরন্তগতিতে রুমে ছটোছুটি করলো। সন্ধ্যার দিকে গরম মেজাজ ছাড়লো। বিড়বিড় করে নিজেকে ধমকালো। এক পর্যায়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো,,

“” যা খুশি কর,কিন্তু এই রুম থেকে যদি একপাও নড়েছিস,তাহলে হাত,পা কেঁটে গরম পানিতে সেদ্ধ দিবো!””

রাত শব্দ করে দরজা আটকালো। কিছু একটা ভেবে নিয়ে বাইরে থেকে সিটকিনিটাও দিয়ে দিলো।

~~

ঘড়ির কাঁটা দশকে বিদায় দিয়ে এগারোতে ঠেকেছে। এই সময় তিয়ামতীর ঘুমের তলদেশে অবস্থান করা উচিত। কিন্তু সে এখন রান্নাঘরে অবস্থান করছে। টেনশন,ভয়,অসস্থিতে সে বারবার ভিজে উঠছে। নিজের রুমে পা ফেলার কথা ভাবলেই বুক ধরফর ধরফর করছে। এমন বিরক্তিকর পরিস্থিতে সে কিশোরী বয়সেও পড়েছিলো। রিদ ভাইয়ের আগমনির পর যখন তাকে চা বানিয়ে দিয়ে আসতে হয়েছিলো। আজও সে চায়ের পাত্রে পানি বসিয়েছে। কিন্তু চা কাঁপে ঢালার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন কিশোরী বয়সের অনুভূতিগুলো এই বয়সে এসে বারবার আমাকে কেন বিরক্ত করছে?? রিদ ভাইয়ার জন্য? কিন্তু এখন তো উনি আমার স্বামী তবুও কেন ভয়েরা আমার শিরদাড়াতে উঠানামা করছে??? এত বছরের দুরত্বের জন্য?? তিয়ামতীর ভাবনায় চিড়ধরে রিমার চিৎকারে। চায়ের পানি আরেকদফায় শুকিয়ে পোড়া লেগেছে। ধোয়ায় পুরো রান্নাঘর ঝাপসা। রিমা চুলার আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। নাকে শাড়ীর আঁচল চেপে ধরে বললো,,

“” এখানে থেকেও এখানে নেই। ব্যাপার কি??””

রিমার প্রশ্নে তিয়ামতী নির্ভীক। কি বলবে সে কোথা খুজে পাচ্ছেনা। রিমা তিয়ামতীকে রান্নাঘর থেকে টেনে বের করলো। হালকা খুশখুশ কাঁশি পাচ্ছে তার। নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বললো,,

“” যার ভাবনায় হারিয়ে গিয়েছিস,সে তোকে ডেকেছে। রেগে লাল। সেই যে চায়ের কথা বলে বেরিয়ে এলি তারপর তো তোর কোনো হদিস নেই। আমাদের রুম থেকে বের করে দিয়েছে। এর মানে সে এখন তোকে ডাকছে,বুঝলি?””

তিয়ামতী লজ্জায় লাল। এমন লজ্জা যে তাকে এই শেষ বয়সেও পড়তে হবে তা কি সে কখনো ভেবেছিলো??

“” এখনো দাড়িয়ে রইলি যে?? তুই কি চাচ্ছিস এখন ভাইয়া এসে তোর চুল টেনে ধরুক?? সহ্য করতে পারবি তো??””

রিমার দিকে তিয়ামতীর আর্ত দৃষ্টিবিনিময়। তিয়ামতী ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বলবে তার আগেই রিমার অনিচ্ছাসুর,,,

“” এসবের মধ্যে আমি নাই। এই বুড়ো বয়সে আমি কোনো লজ্জাতে পড়তে চাইনা। ভাইয়াকে আমার থেকে তোর বেশি চেনা।””

রিমা হাত কাধের উপর তুলে না না’তে নাড়িয়ে নিজের রুমের দিকে ছুটলো। তিয়ামতী রিমার চলে যাওয়ার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো। কিছু সময় আরো পার করে চা বানিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়িয়েছে। শাড়ীর আঁচল মাথায় দিতে লজ্জা পাচ্ছে। তাই পেছন দিয়ে টেনে বামপাশের কাধে ফেললো।

~~
রুমের দরজায় আসতেই রিদস্পন্দন উচ্চগতিতে বাড়ছে। রুদ্ধশ্বাসে দরজা মেলতেই তিয়ামতী থম মেরে গেলো। পুরো রুম অন্ধকারে ঢাকা। হঠাৎ করেই ওর বুকে জড়োয়াভয় জায়গা করে নিচ্ছে। অন্ধকারকে সে ভয় পেত। তবে তা অল্প বয়সে এখন তো সে ভয় পায়না। অন্ধকারকে আপন করেই তো দিব্যি রাত কাটাতে পারে। তবে আজ হঠাৎ পুরোনো ভয় জেগে উঠছে কেন??

তিয়ামতীর হাত কাঁপছে,সাথে চায়ের কাঁপ। অন্ধকারেও তার রিদ ভাইয়াকে খুজছে। একমাত্র সেই তো তার এই ভয় দুর করার অবলম্বন। কয়েক কদম এগিয়ে চারপাশে চোখ বুলালো। জানালাগুলো কি বন্ধ করা?? এমন ঘুটঘুটে অন্ধকার তো হওয়ার কথা না। তিয়ামতী ভাবনায় আরেক পা এগুতেই ধপ করে পরে গেলো। মেঝেতে পরে গেলে এতক্ষণে নাক ভেঙে চিৎকার দেওয়ার কথা। ব্যথা পায়নি মানে মেঝেতে পরেনি তাহলে পরলোটা কই?? তিয়ামতী হাত বাড়িয়ে বুঝার চেষ্টা করছে সে কোথায় পরেছে। হাতে খসখস কিছু লাগছে মনে হচ্ছে চুল। ভালো মতো বুঝার জন্য আরেকটু নড়ে এদিকঐদিক যেতেই রিদান আঙুল কামড়ে ধরলো।

“” আহ! লাগছে তো,লিদ ভাইয়া!””

তিয়ামতীর হাত ছেড়ে ওকে ঘুরিয়ে নিলো রিদ। ওর উপরে শুয়ে পাশে পরে থাকা ল্যাম্পসেটের আলো জ্বালিয়ে দিলো। সাথে সাথে তিয়ামতী চোখ বুজে ফেলে।

রিদান শক্তকন্ঠে বললো,,

“” চোখ বুঝলি কেন? খোল বলছি,এখনি খুলবি। কি হলো খোল!””

রিদের ধমকামিতে তিয়ামতী চমকে উঠছে। তবুও চোখ মেলার সাহস পাচ্ছেনা। ভয় হচ্ছে তার,হারানোর ভয়। এমন যদি হয় এটাও তার স্বপ্ন,চোখ মেললেই সব শেষ!

“” কিরে,আমার কথা কি কানে যাচ্ছেনা?””

তিয়ামতী এবার রিদকে ঝাপটে ধরলো। বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে আদ্রকন্ঠে বিড়বিড় করছে,,

“” চোখ মেললেই আপনি হালিয়ে যাবেন। মেলবোনা। কিছুতেই মেলবোনা। আপনাকে কাছে পাওয়াল জন্য আমি অনন্তকাল চোখ বন্ধ কলে থাকতে পালি।
“” আমি কি তোর ইচ্ছেতে এসেছি নাকি যে তুই ভাববি আর আমি চলে যাবো?? আমি তো আমার ছেলের ইচ্ছেতে এসেছি।””

তিয়ামতী এবার আর চোখ বন্ধ করে থাকতে পারলোনা। অবাক হওয়ার সাথে কি চোখের খুব শক্ত সম্পর্ক আছে?? অবশ্যই আছে,নাহলে সে না চাইতেও কেন চোখ মেলে ফেললো।

“” তোর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে,এই চিঠির ব্যাপারে তুই কিছু জানিসনা। আমি অবশ্য আগেই আন্দাজ করেছিলাম। তুই একটাবার ভাব,২৪ বছরের ছেলে আমার। এতগুলো বছর পার করে সে আমাকে প্রথম চিঠি লিখলো,অথচ একবারও বাবা বলে ডাকলোনা। কি সাংঘাতিক! দু/চার লাইনের চিঠিতে সে তার পুরোজীবনের অভিমান ভরে দিয়েছে। এমন সাংঘাতিক ছেলের মুখে বাবা ডাক না শুনে যদি আমি পরপার হতাম তাহলে কি আমি শান্তি পেতাম?? বাপ রে বাপ,চিঠির প্রত্যেকটা অক্ষরে কি ঝাঝ! আমি তো পড়ছিলাম নাকি পুরছিলাম সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।””

তিয়ামতী হতভম্ব। রিদান এগুলো কি বলছে তার মাথায় কিছুই ঢুকছেনা। রাত কি করে চিঠি লিখলো? ওকে তো আমি ওর বাবার ঠিকানা দেইনি তাহলে?

রিদান মাথা উচু করে নাক উচিয়ে বললো,,

“” কেমন গন্ধ গন্ধ লাগছে রে তিল,কোথা থেকে আসছে বলতো?””

রিদান মাথাটা বামে-ডানে ঘুরিয়ে গন্ধের উৎস খুজার ভঙ্গি করছে। সেই ফাঁকে তিয়ামতী চট করে বামহাতে নাকটা মুছে নিলো। মিহিসুরে বললো,,

“” কোথায় গন্ধ,আমি তো পাচ্ছিনা।””
“” দেখি তোর হাতটা দেখাতো!””

হাত লুকিয়ে তিয়ামতী করুণভাবে রিদের দিকে তাকিয়ে রইলো।

চলবে

বিঃদ্রঃ রিদানের ধোয়াশা ব্যাপারটা নেক্সট পর্বে পরিষ্কার হবে। পুরোটা না জেনে কারো দিক থেকে কোনোরকম নেগেটিভ কমেন্ট না আসার ইচ্ছেপোষণ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here