ভালোবাসার রাত Season_2,পর্ব (৬)

0
3689

ভালোবাসার রাত Season_2,পর্ব (৬)
রোকসানা_রাহমান

রিমা রাতকে উদ্দেশ্য করে মেঘের গর্জনে গর্জে উঠে বললো,,

“” আদরে আদরে বাদর বানিয়েছে। এ বাড়িতে আমি থেকে কি করবো? এ বাড়ির একটা মানুষও কি আমার কথা শোনে? নিজের পেটের মেয়েটা ও শুনেনা। এই হাত গুটিয়ে বসলাম আমি। আজ থেকে এ পরিবার থেকে আমার ছুটি।””

রাত চোখের ইশারায় মাকে জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে? তিয়ামতী কিছুটা এগিয়ে এসে নিচু স্বরে বললো,,

“” সন্ধ্যা ক্ষেপেছে। কিছুক্ষণ আগে ঘুর্ণিঝলেল মতো সব গুলিয়ে দিয়ে নিজেল লুমে ঢুকে বসে আছে। ভেতল থেকে আটকানো। এতো কলে ডাকলাম খুললোইনা মেয়েটা!””
“” কেন,ওর আবার কি হলো?””
“” তুই গিয়ে দেখ।””

রাত ধ্বংসাবশেষ রুমটার দিকে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিলো। দ্রুত পা চালিয়ে সন্ধ্যার রুমের দিকে এগুচ্ছে। মেয়েটার মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যতা থাকলেও কখনো এ রকম ক্ষ্রিপ হতে দেখেনি রাত। জিদ আছে প্রচন্ড,রাগ ও আছে,একরোখা টাইপের ও কিন্তু এমন ভয়ংকর কান্ড ঘটানো তার দ্বারা সম্ভব হয়নি। বড়দের অবাধ্য,মুখে মুখে তর্ক করতেও কখনো দেখেনি। তার তো যত অবাধ্য সব আমার সাথে,যত তর্ক সব আমার সাথে। তাহলে আজ এমন কি হলো যে এমন ঘুর্ণিঝড়ের রুপ ধারন করে ফেললো??

সন্ধ্যার রুমের বন্ধ দরজাটার কাছে দাড়িয়ে আছে রাত। নরম সুরে ডেকে উঠলো সন্ধ্যাকে,,

“” সন্ধ্যা,দরজাটা খোল তো।””

ভেতর থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে এবার দরজায় নক করতে করতে বললো,,

“”কি হয়েছে? হঠাৎ এতো রাগ কেন? আমাকে বলবিনা?””

এবার ভেতর থেকে পা চালানোর শব্দ। দরজার কাছটাতে এসে থেমে গিয়েছে। রাত গলার স্বরটা আরেকটু আদুরীভাব নিয়ে বললো,,

“” দরজা খোল,সন্ধ্যা।””
“” খুলবোনা।””
“” কেন? এই বদ্ধঘরে বন্দী থাকার ইচ্ছে জেগেছে নাকি? এখন কি তোর বন্দীদশার স্বাদ নেওয়ার শখ হয়েছে? সেটা তুই আমাকে বলতে পারতি। তাই বলে এভাবে খাবার ছুড়ে ফেলবি? তোকে আমি কতবার বলেছি যে,রাগ রাগের জায়গায় থাকবে তা যেন ভাতে না পড়ে!””
“”সরি রাত ভাইয়া।””
“” হুম! এবার দরজাটা খোল।””
“” না।””
“” আবার না কেন?””
“”যতক্ষণনা আমার দাবি মানা হবে ততক্ষণ আমি এই বন্ধ দরজার পেছনেই পড়ে থাকবো।””
“” দাবি? কিসের দাবি? তুই কি এখন রাজনীতিতেও নেমে পড়েছিস? আমার দাবি মানতে হবে মানতে হবে,বলে হাত আকাশে তুলে আন্দোলন করবি ভাবছিস??””
“” হুম। তবে রাস্তায় নয়,বাসাতে। আমি একজন প্রতিবাদী নারী হবো।””
“” প্রতিবাদী নারী?””
“” হুম।””
“” আগে দরজাটা খোল। তোর প্রতিবাদী মুখখানা দেখি।””

সন্ধ্যা দরজা খোলে রাতকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়েছে। সাথে সাথে দরজায় সিটকিনি দিয়ে দিলো।

“” আবার দরজা আটকাচ্ছিস কেন?””
“” দরজা না আটকালে আমার দাবী পুরন করবো কিভাবে?? আজ তো আমি বন্ধ দরজার অনশন পালন করবো।””

রাত ব্রু কুচকে বললো,,

“” তোর দাবীগুলো কি কি বলে ফেলতো।””

সন্ধ্যার মুখটা সাথে সাথে মলিন হয়ে এলো। ঝপ করে মেঝেতে বসে পড়লো। একটু জোর গলায় বললো,,

“” আমি কোনো গার্লস কলেজে পড়বোনা। এ বাসার সবাই আমাকে একলাপাখি করে বন্দী করে রেখেছে। মানুষতো পাখি বন্দী করলেওএকটা মেয়ে পাখির সাথে ছেলে পাখিকে রাখে। আর আমাকে দেখো,আমাকে পুরো একা বন্দী করে রেখেছে। আমার কেন কোনো বন্ধু নাই? আমি কেন কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনা? আমি কেন অন্যদের মতো উড়তে পারিনা?? আমি এসব আর মানবোনা। আমার এখন খোলা আকাশ চাই। যেখানে হাজারও রঙবেরঙের পাখির কিচিরমিচির থাকবে। আমিও ওদের সাথে হৈ হুল্লোড় করতে করতে উড়বো।””

সন্ধ্যার কথাতে রাত আৎকে উঠেছে। সন্ধ্যার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার বোধগম্য হচ্ছেনা। সন্ধ্যার করা এতো এতো প্রশ্নের উত্তরে সে কি বলবে?? এই সবকিছু তো তার কথাতেই হচ্ছে।

সন্ধ্যা রাতের দিক থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে বললো,,

“”রাত ভাইয়া,তোমার আম্মু কত ভালো,তুমি সারাদিন বাইরে থাকলেও কিছু বলেনা। রাত করে আসলেও কিছু বলেনা। তুমি তো বয়েজ স্কুল,কলেজও পড়োনি। তোমার কত কত বন্ধু। আর আমার আম্মু-আব্বু এমন কেন? তুমি আমার আব্বুকে এখনি গিয়ে বলবে আমি কোনো গার্লস কলেজে ভর্তি হবোনা। হবোনা মানে হবোইনা।””

রাতের মনে হলো সে এখানেই থমকে গিয়েছে। তার জীবন ঘড়ীটা এবার আর তার ইচ্ছেতে না নিজের ইচ্ছেতে চলতে শুরু করে দিয়েছে। আচ্ছা সন্ধ্যা যদি জানতে পারে তার এই একলাপাখির বন্দীদশার পেছনে আমার ইচ্ছেরা বিদ্যমান। তাহলে কেমন হবে? ও কি আমার সাথে রাগ করবে?? কিন্তু আমি তো ওকে একলাপাখি নয়,আমার জীবনপাখি হিসেবে রাখতে চেয়েছিলাম। তাহলে ও কেন আমাকে ওর সঙ্গী হিসেবে দেখতে পারছেনা??

রাতকে এমন চুপ হয়ে থাকতে দেখে সন্ধ্যা ওর হাতে ধরে কিছুটা ঝাকুনি দিয়ে বললো,,

“”বলোনা বলবে তো?””
“” হুম।””

রাত চুপচাপ দরজার দিকে এগুলে সন্ধ্যা আবার বললো,,

“” আমার বাসায় টিভি চাই,এতোগুলো বছরে আমার কতগুলো রোমান্টিক মুভি মিস হয়ে গেছে,একটা ফোনও চাই,এতোবড়। তুমি আমাকে ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপ,ইমু,টুইটার,ইমেইল সব খুলে দিবে।””
“” তোর একসাথে এতো কিছু চাই?””

সন্ধ্যা মুখভর্তি হাসি নিয়ে বললো,,

“” হুম। সব চাই। এখন থেকে আমার সব চাই,সব।””

রাত বিড়বিড় করে বললো,শুধু আমাকেই চায়না তোর,তাইনা?

~~

সিকান্দার সাহেব গম্ভীর হয়ে বললেন,

“” তুমি কি ভেবে-চিন্তে এ সিদ্ধান্তে এসেছো রাত? রিদ ভাইয়াকে আমি পারসোনালি অনেক শ্রদ্ধা করতাম। তুমি তার ছেলে হিসেবে যেমন আমরা তোমাকে আমাদের নিজের ছেলের মতো করে ভালোবেসে এসেছি,তেমনি তুমি ছেলে হিসেবেও চমৎকার। আর আমরা বসাই এটাও জানি তুমি আমার মেয়েকে কতটা ভালোবাসো। সেইসব খাতিরেই আমরাতো এটাও মেনে এসেছি সন্ধ্যা একটু বুঝতে শিখলেই তোমাদের বিয়ে দিয়ে দিবো। আর তাই তোমাদের মাঝে আমরা কখনোই কোনো বাধার দেয়াল দাড় করিনি। তুমি যেভাবে বলেছো সেইভাবেই সন্ধ্যার ভবিষ্যতের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ছোটবেলা থেকে ওকে যেভাবে বড় করা হয়েছে তার তুলনায় এখন তোমার হুট করে সিদ্ধান্তে যদি কোনো বাজে প্রভাব পড়ে যায় সেটা সামলে নিতে পারবে তো?? ও এখন জেদ ধরেছে পরে সব ভুলে যাবে। তুমি ওর জেদে নিজে কেন দমে যাচ্ছো?””

সিকান্দার সাহেবের এতো বড় বক্তব্য শেষেও যখন রাত কোনো হা,হু করেনি তখন উনি নিজের চেয়ার ছেড়ে রাতের কাধে হাত রাখলেন। রাত চমকে উঠতেই সিকান্দার সাহেব বলে উঠলেন,

“” সন্ধ্যাকে আমি ম্যানেজ করে নিচ্ছি। তুমি কোনো চিন্তা করোনা।””
“” না ফুপা। ও যেমনটা চাইছে তেমনটা করতে দাও।””

~~

হালকা গোলাপী থ্রি-পিস পড়েছে সন্ধ্যা,সাথে ঠোঁটে লিপস্টিক,কানে ছোট সাদা পাথরে নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে। সন্ধ্যাকে খুব একটা সাজতে দেখেনি রাত। তাহলে আজ কেন এমন সেজেছে? নতুন শহরে পা রাখছে বলে?? সন্ধ্যার দিকে সরাসরি তাকাতে পারলোনা রাত। যদি ওকে বাধা দেওয়ার অদম্য ইচ্ছেটা আবার জেগে উঠে। ড্রাইভিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সামনের লুকিং গ্লাসটার দিকে বারবার আড়চোখে চেয়ে দেখছে। চোখে,মুখে আনন্দ,উল্লাসটা যেন ওর কাজল রাঙা চোখটাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে দিচ্ছে। ঠোঁটের কোনের হাঁসিটা মিলছেইনা। রাত নিজের বুক চিড়ে বেড়িয়ে আসা দীর্ঘশ্বাসটা লুকিয়ে সামনের সারি সারি ছোট-বড় দু/চারচাক্কার গাড়ীগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো,এতোদিন আমি তোর বড় হয়ে উঠার যে প্রার্থনা করে এসেছিলাম তা ভুল ছিলো রে স্বপ্নবধু। আজ বড় আফসোস হচ্ছে রে,আমার সন্ধ্যা ছোটতেই বেশ ছিলো। এখন তো যত বড় হচ্ছে সে তত আমার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। একদিন হয়তো আমি হাত বাড়িয়ে তোর হাতটা ধরতে চাইলেও আমার হাতটা শুন্যই পড়ে থাকবে।

“” রাত ভাইয়া,আজ প্রথম কলেজ যাচ্ছি বলে তোমার সাথে এলাম। এরপর থেকে কিন্তু আমি একা একা যাওয়া আসা করবো। তুমি বাসায় বলে দিও।””
“” হুম।””

~~
সন্ধ্যা নতুন কলেজে পা রাখতেই ও হাতদুটো দুপাশে মেলে আনন্দে লাফিয়ে উঠলো। কিন্তু সে কি খেয়াল করেছে তার পাশের মানুষটির হার্টবিট থেমে গিয়েছে?? পুরো কলেজজুরে ছেলেমেয়ের উপস্থিতিতেও রাতের মনে হলো এখানে একমাত্র সন্ধ্যাই মেয়ে আর বাকি সব ছেলেমানুষ। যারা চাইলেই তার সন্ধ্যাকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে।

সন্ধ্যাকে বিদেয় দিয়ে রাত চলে আসতে গিয়েও থমকে দাড়ালো। পেছন ঘুরে সন্ধ্যার চলে যাওয়ার দিকে বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেনি। দৌড়ে গিয়ে পেছন থেকে ওকে ঝাপটে ধরেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় সন্ধ্যা ভয়ে চিৎকার করে উঠলো। ওর চিৎকারে আশেপাশের সকল স্টুডেন্টরা জড়ো হয়ে আসছে।

“” রাত ভাইয়া,কি করছো। ছাড়ো আমাকে।””

সন্ধ্যার অনুরোধ রাতের কানে বাজলোই না। ওকে ঘুরিয়ে নিয়ে এবার সামনে থেকে জড়িয়ে ধরে,চোখ বন্ধ করে আছে। নিজের দমটাও আটকে রেখেছে। আমার এতো কেন ভয় লাগছে স্বপ্নবধু। আমাকে যে ভয়নামক রাক্ষসটা খেয়ে ফেলছে। আমি তোকে হারিয়ে ফেলবোনা তো??

চারপাশের সকলের উপস্থিতেতে,তাদের অদ্ভুত চাহনিতে সন্ধ্যা বেশ বিব্রতবোধ করছে। রাতের শক্তবাধন থেকে নিজেকে ছাড়াতে না পেরে বেশ অসহায়ও ঠেকলো। সন্ধ্যা প্রায় কেঁদেই দিবে এমন ভাবে আসতেই রাত ওকে ছেড়ে দিলো। দুহাতে কপোলচেপে ধরে বললো,,

“” সাবধানে থাকিস।””

রাত আর এক সেকেন্ডও ওখানে দাড়ালোনা। দ্রুতকদমে অনেকটা দৌড়েই বেড়িয়ে এলো সন্ধ্যার নতুন শহর থেকে।

~~

নতুন কলেজে সন্ধ্যার বন্ধুর অভাব নেই। ছেলে বন্ধু,মেয়ে বন্ধুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। নতুন ফোন নিয়ে সারাদিন বিজি। কখনো ফোনালাপ,কখনো চ্যাটিং বা কখনো ভিডিও কলে। এসবের জন্য তার হেল্প নেয়নি সন্ধ্যা। ড্রয়িংরুমের নতুন টিভিটা হয়তো ও এখনো অন করেও দেখেনি। টিভির সামনের সোফাটাতে বসে বসে রাত ঠিক ঠিক সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করে। মাঝে মাঝে টিভি অন রেখে ঘুমিয়েও পড়ে। আজকাল আর সন্ধ্যার নতুন অদ্ভুদ ইচ্ছেগুলো জাগেনা। আসলেই কি জাগেনা নাকি এখন ইচ্ছেপুরনের মানুষ হয়ে গিয়েছে??

রাত সবই দেখে যাচ্ছে। কিন্তু তবুও সে চুপ। কেন চুপ সে জানেনা। তবে এর শেষ দেখে ছাড়বে।

~~

“” রাত ভাইয়া,টিভিটা এভাবে দু টুকরো হয়ে পড়ে আছে কেন?””

রাত কুশনটা মাথার নিচ থেকে ছড়িয়ে সোফাতে সাজিয়ে রাখলো। বড় একটা হামি টেনে সন্ধ্যার দিকে তাকালো। সন্ধ্যা কি এখন পাঁচ কাপড় রেখে চার কাপড় পড়া শুরু করেছে??

উচুহিলটা পায়ে পড়ে সন্ধ্যা চিৎকার করে বললো,,

“” আজকে আমার আসতে দেরি হবে। তুমি আম্মুকে বলে দিওতো।””

কেন দেরি হবে? সে প্রশ্নটাও বের করতে পারলোনা রাত। আজকাল তার রাগগুলো মিয়িয়ে পড়ছে। সাথে সাথে অভিমানগুলো খুব করে চেপে ধরছে তাকে। কিন্তু এই অভিমানটা দেখার কি কেউ আছে?

~~

সন্ধ্যার কলেজের বাইরে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছে রাত। অনেক হয়েছে আর নয়। এভাবে চলতে দিতে পারবেনা সে। রাত গাড়ী থেকে নেমে দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে বললো,,তোর দেরি হওয়া আমি ছুটাচ্ছি। বেশি পেঁকে গিয়েছিস না?? কিছু বলছিনা দেখে যে কিছু বলবোনা এটা তোর ভুল ভাবনা। আমার তোকে চাই। তার জন্য তোকে রুমে কেন,ছোট্ট পাখির খাঁচাতেও বন্দী করবো।হুহ!

রাতের রাগকে ধুয়ে দিতেই হয়তো ঝপঝপ করে বৃষ্টি নেমে গিয়েছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে সামনে চোখ পড়লো। সন্ধ্যা উচু জুতো পড়ে আকাবাকা হয়ে হেঁটে বের হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় বেশ বিরক্ত হয়ে হাত দিয়ে পানি ঝেড়ে ফেলার মতো করছে। রাত তাড়াতাড়ি গাড়ী থেকে একটা ছাতা নিলো। খুলতে খুলতে সন্ধ্যার দিকে কিছুদুর এগিয়েই থমকে গিয়েছে। সন্ধ্যার শরীরে আর বৃষ্টির পানি পড়ছেনা। পড়বে কিভাবে ওর মাথায় ছাতা ধরার জন্য ওর রাত ভাইয়া ছাড়াও অন্য মানুষ আছে!

সন্ধ্যার হাঁসিমাখা ধন্যবাদটাও রাত এতদুর থেকে পড়ে ফেলেছে। যে ছাতার নিচে রাত আর সন্ধ্যা থাকার কথা সে ছাতার নিচে অন্য ছেলে?? রাগে পুরো শরীর দিয়ে যেন আগুন জ্বলছে রাতের। সেই আগুনে বৃষ্টির শুদ্ধ,ঠান্ডা পানিগুলোও গরম হয়ে বাষ্পাকারে উড়ে যাচ্ছে!

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here