ভালোবাসা বিনিময়,part_08,09

0
1138

ভালোবাসা বিনিময়,part_08,09
Nishi_khatun
part_08

একদিন বিকালে ঐশানী সাইয়ানের কিছু শার্ট ভাজ করছিল এমন সময় সে একটু দুষ্টুমি করতে সাইয়ানের শার্ট নিয়ে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়িয়ে নাচ তে শুরু করে নিজের গাওয়া গানের সাথে।
.
.
Hai wo handsome sona sabse
Mere dil ko তোরকার
Meri neend chura li কিসনে
Aur khwab gaya পাতাল!

Ab ye naina bole কেয়া হাল
Bole yehi lagataar
Koi chaahe kitna roke karungi না পেয়ার

Mere সাইয়ান superstarO Mere saiyaan superstar
Main fan নে হি hui unki
ফিরভি mere saiyaan superstar

Haan jabse usne মুজছে শাদি কিয়া
Tabse everyday maine Bas usko hi দেখ রাহা হু

Senti mere jazbaat o sunle mere dil ki baat Saath mujhko le ke jaa মেরি মাইকে main hoon taiyaar…
তাহলে চলো তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি তোমার বাবার বাড়িতে।

সাইয়ানের কণ্ঠ শুনে পেছনে তাকিয়ে সাইয়ান কে দেখে ঐশানীর চোখ বড় বড় হয়ে যায়।

ঐশানী সাইয়ান কে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে দ্রুত আবার পেছন ঘুরে দাঁড়ায়।

সাইয়ান নিজের কাজ শেষে বাড়িতে এসে সোজা নিজের রুমে আসে ফ্রেশ হওয়ার জন্য।তখন সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ঐশানীর পুরো কাহিনী দেখছি।ঐশানীর এমন কাহিনী দেখে সাইয়ানের বেশ মজা লাগছিল।তাই সে চুপচাপ পুরোটা ইনজয় করছিল।
তাই ওর গান শেষে একথা বলে ওঠে।

সাইয়ান বুঝতে পারে ঐশানী লজ্জা পেয়েছে।তাই কোনো কিছু না বলে সে সোজা বাথরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।

বাথরুমে গিয়ে সাইয়ান একটু আগের ঘটনা ভেবে হাসতে থাকে।অনেকদিন পর সাইয়ান আজ প্রাণ খুলে হাসছে।বাথরুমের আয়নাতে নিজের হাসি-মুখটা দেখেই সাইয়ান থমকে যায়।
নিজের হাসি মুখটা দেখে ওর অজান্তে চোখ থেকে দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে।

ঐশানী দ্রুত নিজের কাজ শেষ করে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।সে কোনো ভাবেই সাইয়ানের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে না।

এদিকে নিচে আসতেই আরোভি ঐশানী কে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বলে,”কি গো ভাবী!তোমার মুখটা এতো লাজুক লাজুক লাগছে কেনো?ভাইয়ার সাথে রোমান্স করেছো বুঝি?”

ঐশানী বলে,”আরে না!এমন কিছুই না!”

আরোভি বলে,”থাক থাক!আামাকে না বলে কার কাছে বলবে বলো!”

তখন ঐশানী পুরো কাহিনী আরোভি কে বলে।আরোভি সবটা শুনে মেঝেতে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ে।ঐশানী আরোভির পাশে বসে বলে,”এই জন্য তোমাকে বলতে চাইনি আমি।”

আরোভি বলে,”ভাবী!একবার ভেবে দেখো গানটা কিন্তু তোমার জন্য পারফেক্ট। ভাইয়ার নাম সাইয়ান আর গানটাও মেরা সাইয়ান সুপার স্টার।সত্যি তোমার সাইয়ান কিন্তু সুপারস্টার। ”

ঐশানী আরোভির কান টেনে ধরে বলে,”আমার সাথে ফাইজলামি হচ্ছে বুঝি?”

আরোভি -আমি ফাইজলামি না করলে কে করবে শুনি?ভাবী সত্যি তোমার ভাগ্য কিন্তু সেই রকম সুন্দর। তোমার জামাইয়ের নামে কি সুন্দর গান আছে।আফসোস আমার জন্য এমন গান নাই।”

ঐশানী আরোভির মাথায় গাট্টামেরে বলে,”ফাজিল মেয়ে একটা।”

তখন আয়েশা বেগম এসে বলে,”বউমা তুমি নিচে কেনো?যাও দ্রুত রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে।আজ তুমি আর সাইয়ান তোমার বাবার বাড়িতে যাবে।”

ঐশানী বাবার বাড়িতে যাবার কথা শুনে ইমোশনাল হয়ে যায়।ঐ যে বিয়ে হয়ে এ বাড়িতে আসছে কতোগুলো দিন পাড় হয়ে গেছে সেই চেনা নীড়ে তার আর যাওয়া হয় নি।”

ঐশানী নিজের খুশির ঠেলাতে দ্রুত তার শাশুড়ি কে জড়িয়ে ধরে।আয়েশা বেগম ঐশানীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,”আমার পাগলি মেয়েটা।”

শাশুড়ি মা কে ছেড়ে দ্রুত নিজের রুমে চলে আসে।ঐশানী নিচে যাবার পর সাইয়ান রেডি হয়ে রুমে অপেক্ষা করছে।
সাইয়ান কে রুমের ভেতর এমন হিরোদের মতো সাজগোজ করা দেখে সে ইতস্তত বোধ করতে থাকে।
এই সুপারস্টার কে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে যাবার কথা ভাবতেই লজ্জা লাগছে।

তা দেখে সাইয়ান ভ্রু কুঁচকে বলে,”কি বেপার আজ কি আমি তোমাকে দেখতে আসছি না কি অচেনা কেউ?যে এমন পরপুরুষের সামনে যাওয়ার মতো ভাব করছো?”

ঐশানী তখন বলে,”না মা নে!”

সাইয়ান বলে, “থাক থাক আর মানে মানে করতে হব। না।দ্রুত রেডি হয়ে নিচে আসে।আমি নিচে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।”

সাইয়ান যাবার পর ঐশানী দ্রুত রেডি হয়ে নিচে চলে আসে।তারপর সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে সাইয়ানের সাথে গাড়িতে উঠে বসে।

গাড়িতে সাইয়ান ঐশানী কোনো কথা বলে না একদম চুপচাপ থাকে। ঐশানীর কেনো জানি সাইয়ান কে দেখলে আগের মতো বিরক্ত লাগে না। তবে তাদের মাঝে না আছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক না আছে স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক। একটা রুমে থেকেও তারা খুব অচেনা। এই বেপারটা আজকাল ঐশানী কে ভাবাচ্ছে।আচ্ছা বিয়েটা তো আল্লাহ ইচ্ছাতে হয়েছে। হয়তো সাইয়ান এই বিয়ের মাধ্যম ছিলো। আমার কি উচিৎ সাইয়ানের সাথে কথা বলা? নাহ সে তো বিয়ের সময় বলেছে আমাদের সম্পর্কের কোনো পরিণাম নেই। তাই তার কাছে কোনো কিছু আশা করা উচিৎ হবে না।আমিও তো চাইছি নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে। তাহলে সাইয়ান কে কেনো মাধ্যম বানাতে যাবো? আর যেখানে তার একটা অতীত আছে সেখানে নিজেকে জড়ানো টা বোকামি ছাড়া আর কিছু না। আচ্ছা সাইয়ান নিজের এতো বছরের সম্পর্ক এভাবে মাঝ পথে ছেড়ে দিলো কেনো? হঠাৎ করে মেয়েটার বা কি হলো যে তাকে আর দেখা যাচ্ছে না। সাইয়ান এতোবড় অন্যায় করেছে তার সাথে এরপর ও সে কোনো প্রতিবাদ ও করে নাই কেনো? আসলে এই লোকটা আর তার প্রমিকা দুজনেই রহস্যের ডাস্টবিন।

এসব কিছুর চিন্তায় এতোটা বিভোর ছিলো যে সে কখন তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে গেছে তা জানে না।

সাইয়ান ঐশানী কে জোড়ে ডাক দিতেই ঐশানী সাইয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,”কিছু বলবেন? ”

সাইয়ান ঐশানী কে বাহিরে দেখার জন্য ইশারা করে।
ঐশানী বাহিরে তাকিয়ে দেখে সে তার বাবার বাড়ির সামনে।দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে সোজা বাড়ির ভেতরে দৌড়ে চলে যায়।

ঐশানীর এমন ভাবে ছুঁটে যাওয়া দেখে সাইয়ান বলে,”কেমন মেয়ে রে বাবা! নিজের নতুন জামাই কে বাহিরে রেখে দৌড়ে চলে গেলো? মনে হচ্ছে সে এভাবে দৌড় না দিলে অলিম্পিকের মেডেল হাত ছাড়া হয়ে যাবে। ধুর বউ ছাড়া একা একা শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশ করাটা লজ্জা জনক। সুপারস্টারের বউ এমন কাজ করছে জাতি জানলে মানবে না হুহ।”

চলবে….

#ভালোবাসা_বিনিময়
#Nishi_khatun
#part_09

ঐশানী হঠাৎ বাড়ির সদরদরজা তে পা রাখতেই তার সাইয়ানের কথা মনে পড়ে।সে আবারো দ্রুত গতিতে রাস্তার কাছে চলে আসে।এসে দেখে সাইয়ান গাড়িতে স্টার্ট দিয়েছে চলে যাবার জন্য।তাড়াতাড়ি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে।সাইয়ান গাড়ির সামনে ঐশানী কে দেখে গাড়ি থামিয়ে চুপচাপ বসে থাকে।
ঐশানী এগিয়ে গিয়ে কান ধরে সাইয়ান কে দুঃখিত বলে।
সাইয়ান বলে,”এখন মাফ চাইছেন কেনো?জলদি বাড়িতে যান।স্বামী তো দরকার নেই।বিয়ের পর যে স্বামী-স্ত্রী একসাথে সব স্থানে যায় সে কথা আপনার মনে নাই।থাকবে কি করে মনটা তো ঐ তালগাছ রেখে আসছেন।”

ঐশানী -:আসলে স্বামী নামক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কটা তো আর পাঁচ-দশটা সাধারণ মানুষের মতো না তাই তার কথা ভুলে গেছি।এখন রাগ না করে আমার সাথে চলুন নয়তো আমিও ফিরে যাচ্ছি আপনার সাথে ঐ বাড়িতে।

সাইয়ান -এতো কষ্ট করে যখন এসেছি তখন আর এভাবে ফিরে যাবার দরকার নেই।চলুন যাচ্ছি আপনার সাথে।

তারপর সাইয়ান কে সাথে করে ঐশানী বাবার বাড়িতে প্রবেশ করে।

ঐশানী বাড়ির সবাই কে দেখে এতো বেশি খুশি হয় যে কি আর বলবে।সে তাদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে কিন্তু তারা সবাই সাইয়ান কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।নানারকম প্রশ্ন করে,সে কেমন আছে?বাড়ির সবাই কেমন আছে?আসতে কোনো অসুবিধা হয়েছে কি না।

বাড়ির মানুষের এমন কাহিনী দেখে ঐশানী মুখ গোমড়া করে মেঝেতে বসে পড়ে।সবাই ঐশানীর এমন কাজ করা দেখে অবাক।

ঐশানীর বাড়ির মানুষের বুঝতে বাকি রইলো না কেনো তাদের কন্যা এমন কাজ করছে।ঐশানীর বাবা-মা তাদের কন্যা কে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমা দিয়ে বলে যাও তোমরা ফ্রেশ হয়ে আসো এমনিতে তোমরা দেড়ি করে আসছো।

ঐশানী সাইয়ান কে সাথে করে তার রুমে নিয়ে যায়।ঐশানীর রুম দেখে সাইয়ান প্রশ্ন করে এটা কি তোমার পছন্দমত সাজানো?

ঐশানী একগাল হেসে বলে,”জ্বি আমার সাদা মনে কোনো কাদা নেই তাই তো আলমারি থেকে শুরু করে রুমের সব কিছু সাদা।এমনকি বিছানাতে বিছানো চাদরের রংটাও সাদা।জানালার পর্দার রংটা শুধু নীল এটা দেখে সাইয়ান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে।”

ঐশানী জানালার পর্দার কাছে গিয়ে বলে, “আমার কাছে সাদা রং মানে শান্তির রং আর নীল রং ভালোবাসার।জীবনে ভালোবাসা না থাকলেও সমস্যা থাকলেও সমস্যা তাই সেই সমস্যার নাম দিয়েছি নীল রং।”

সাইয়ান ঐশানীর এমন বয়ান শুনে কিছুই বলে না।চুপচাপ বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে।ঐশানীও ফ্রেশ হয়ে আসার পর দুজনে একসাথে ডাইনিং টেবিলে ডিনার করতে আসে।বেচারি সাইয়ান সুপারস্টার বলে দিনে আসতে পারে নাই।যদি তার জন্য এনাদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় তাই।

রাতে খবার খেয়র সবার সাথে একটু কথা বলে যে যার রুমে ঘুমাতে চলে যায়।

ঐশানী রুমে এসে জানালার পর্দা সরিয়ে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে।নিজের বাড়ির মানুষ গুলো কেমন জানি পর পর হয়ে গেছে।আগে যারা সব সময় বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখতো আজ তারা দুরে থাকছে।হয়তো আমি নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছি বলে তারা আমাকে দূরে রাখছে যাতে আমি সাইয়ান কে আপন করে নিতে পারি।তবে তারা কি জানে? তাদের মেয়ের মনের মাঝে কেমন ঝড় তুফান চলছে?

সাইয়ান অনেক সময় ধরে ঐশানী কে দেখছে।
মেয়েটা চুপচাপ কেমন বিষণ্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সাইয়ান বলে,”আমার জন্য হয়তো আপনা জীবনে গল্পটা নষ্ট হয়ে গেছে!”

ঐশানী সাইয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,”কারো জন্য কারো জীবনের গল্প বদলাই না।তবে হ্যাঁ আপনার জন্য আমি আমার সম্পর্ক গুলোর গভীরতা মাপতে শিখেছি।আজ এটাই বুঝেছি মেয়েদের বিয়ের পর স্বামী ছাড়া আর কোনো গতিপথ থাকে না।”

সাইয়ান বলে,”হঠাৎ এমন কথা কেনো বলছেন? ”

ঐশানী বলে,”অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়েন।
কাল সকালে তো আবার ঐ বাড়িতে যেতে হবে।”

সাইয়ান বলে,”আপনি এখানে কিছুদিন থাকতে পারেন আমার সমস্যা নেই।কালকে যেতে হবে এতো তাড়া নেই।”

ঐশানী বলে,”আপনি যখন থাকবেন না। তখন আমি এখানে কি করবো।যতোদিন একসাথে আছি এক বাড়িতে এক সাথে থাকবো।বলে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ে।”

হঠাৎ করে ঐশানীর এমন ব্যবহার সাইয়ান কে ভাবাচ্ছে। আসলে ঐশানীর মনের মধ্যে কি চলছে তাই বুঝতে চাইছে।তবে ঐশানীর মাঝে সে হারিয়ে যেতে চাইছে না।তাই সেও ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে দুজনে রেডি হয়ে নাস্তা করে সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।

সাইয়ান গাড়ি ড্রাইভ করছে আর ঐশানী চুপচাপ বাহিরের প্রকৃতি দেখছে। হঠাৎ করে এমন সময় সাইয়ানের ফোনের রিংটোন বেজে ওঠে। সাইয়ান ফোনটা রিসিভ করার কিছু সময়সপরে ওর হাতে থেকে ফোনটা পড়ে যায়। সাইয়ান কে প্রচুর চিন্তিত দেখাচ্ছে।

ঐশানী সাইয়ানের এমন অবস্থা দেখে প্রশ্ন করে বাড়ির কারো কোনো সমস্যা হয়েছে?

সাইয়ান বলে,”হ্যাঁ আমার জীবনের গল্পটা বুঝি আজকের পর বদলে যাবে।আমি চিরদিনের মতো শেষ হয়ে যাবো।”

সাইয়ানের মুখে এমন কথা শুনে ঐশানীর খুব খারাপ লাগছিল।

সাইয়ান দ্রুত গাড়িটা অন্য রাস্তার দিকে ড্রাইভ করতে শুরু করে।সে ভুলে গেছে আজ সে একা নয় তার সাথে ঐশানীও রয়েছে।

তবুও সে চুপচাপ গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।সারাপথ সাইয়ান নিজের চোখের পানিকে আটকে রেখেছে।
এতো কষ্ট কেনো আমার জন্য তোলা ছিলো?

অনেকটা সময় পড় গাড়ি একটা বড় হাসপাতালে সামনে এসে দাঁড়ায়। ঐশানী হাসপাতালের নাম দেখে চমকে ওঠে।আর ভাবে বাড়ির কারো কিছু হলে তো এই হসপিটালে আসার কথা নয়।তাহলে এখানে কে আছে? যার জন্য সাইয়ান এতোটা কষ্ট পাচ্ছে?

গাড়িটা কোনো রকম এক সাইডে রেখে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে পাগলের মতো ছুটতে থাকে।ঐশানীও সাইয়ানের পেছনে যেতে থাকে।হয়তো আজ সাইয়ানের সব রহস্যের সমাধান জানতে পারবো আমি।

সাইয়ান দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে দোতালার একটা কেবিনের সামনে এসে থমকে দাঁড়ায়।ঐশানী ও সাইয়ানের পিছনে এসে দাঁড়ায়।

সাইয়ান কেবিনর দরজা খুঁলে ভেতরে প্রবেশ করবে তখন রুমের ভেতরে মানুষটা কে দেখে ঐশানীর পায়ের নিচের মাটি সরে যায়।ঐশানী পা দুটো সেখান জমে বরফ হয়ে গেছে।
.
.
.

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here