ভালোবাসি,পর্বঃ১২,১৩

0
3470

ভালোবাসি,পর্বঃ১২,১৩
Tanisha Sultana (Writer)
পর্বঃ১২

মায়ার পাশে মুরা টেনে বসে আছে সায়ান। মায়া অন্য দিকে মুখ করে তাকিয়ে আছে

“মায়া কি হয়েছে? কেনো এমন করেছো?

” আমি বাঁচতে চায় না সায়ান। আমার আর কেউ রইলো

মায়া কেঁদে ওঠে

“মায়া কান্না করো না প্লিজ। তোমার বাবা মা কোথায়?

” ওরা হারিয়ে গেছে

“আমাকে বলো আমি খুঁজে এনে দেবো

” ওরা আর ফিরবে না

মায়া জোরে কান্না শুধু করে। সায়ান মায়ার মাথায় হাত বুলায়।

সায়ান চলে যাওয়ার দুইদিন কেটে গেছে। এই দুইদিনে সায়ান অনেক বার তুলির সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নি। আজ তুলি আর তুলির মা নানুবাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে চলে আসছে। তুলির হাতে ব্যান্ডেস দেখে তুলির কাকিমা দাদু কাকায় সবাই তুলির মাকে অনেক বকা দিয়েছে। অন্য সময় হলে তুলি কিছু বলতো। কিন্তু আজ কিছু না বলে রুমে চলে যায়।

জানালার কাছে বসে আছে তুলি হঠাৎ করে বাইরে নজর যায়। কয়েকজন ছেলেরা ফুটবল খেলছে। তুলি রুমে এসে থ্রিকোয়াটার আর টির্শাট আর পরে বাইরে চলে যায়।

পোলাপানের সাথে ফুটবল খেলছে।
খেলতে খেলতে সন্ধা হয়ে আসে। ঘেমে নেয়ে তুলি বাসার দিকে পা বাড়ায়। দরজার কাছে আসতেই সায়ানের গাড়ি আসে। সায়ান আর মায়াকে দেখে তুলি তাকিয়ে থাকে। দরজায় কলিং বেল বাজায় তুলির মা দরজা খুলে দেয়। তুলি বাসায় পা দিতেই সায়ান ডাকে। তুলি কথা না বলে ভেতরে ঢুকে। সায়ান আর মায়াও ঢোকে।

দাদু সায়ানের মা বাবা সবাই চলে আসে।

“সায়ান তুমি একে নিয়ে এসেছো কেনো?

দাদু রেগে বলে
সায়ান জবাব না দিয়ে তুলির কাছে এগিয়ে যায়। একবার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নেয়। তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বলে

” ফোন বন্ধ কেনো তোর? পবলেম কি

তুলি কিছু বলে না

“কি হলো চুপ করে আছিস কেনো?

ধমক দিয়ে বলে সায়ান। তুলি কেঁপে ওঠে

” থামো তুমি। তোমার সাহস হয় কি করে তুলিকে ধমক দেওয়ার।

“বাবা তুমি এভাবে বলছো

” তুমি এই মেয়েকে নিয়ে এখুনি চলে যাও (দাদু)

“দাদু আমার কথাটা শুনো

” কিচ্ছু শুনতে চায় না। আমি আমার নিজের ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আর তুমি কোন ছাড়।। তুমি চলে যাও। আমি আমার তুলিকে অনেক ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দেবো। যো তোমার মতো চরিত্রহীন হবে না

“দাদু

” চুপ করো

“দাদু ওনারা এখানেই থাকবে

তুলি মাথা নিচু করে বলে

” কি বলছো তুমি তুলি?

“এই প্রথম তোমার কাছে কিছু চাইলাম আশা করি তুমি আমাকে ফেরাবে না।

তুলি রুমে চলে আসে। তুলির পেছনে সায়ানের মা আসে

” তুলি

“হিম বলো

” তুই এভাবে জিনের অধিকার ছাড়বি না। সায়ান তোর স্বামী ওকে নিজের করে রাখা তোর কর্তব্য। ওই মায়াকে তাড়ানোর দায়িত্ব তোর। বুঝলি

কথা গুলো বলে চলে যায় সায়ানের মা। তুলি বিছানায় বসে পরে।
“কি করবো আমি? লড়াই করবো নাকি অধিকার ছেড়ে দেবো। নাহহ আমি অধিকার ছাড়বো না। সায়ান আমার ও আমার স্বামী।

হঠাৎ সায়ান তুলির রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। তুলি দাঁড়িয়ে পরে। সায়ান তুলির গলা চেপে ধরে

” খুব সাহস তোর তাই না। আমাকে ইগনোর করোস। ফোন বন্ধ করে রাখোস

তুলির চোখ লাল হয়ে যায়। সায়ান ছেড়ে দেয়। তুলি গলা ধরে কাশত থাকে। তুলি ফ্লোরে বসে পরে। সায়ানও বসে পরে। চোখ বন্ধ করে রাগ কমানোর চেষ্টা করে সায়ান। তুলির কাশি থেমে যায়।

তুলি বিছানায় বসে। সায়ানও তুলির পাশে বসে।
সায়ান তুলিকে জড়িয়ে ধরে।

“তুই জানিস কতোটা কষ্ট হয়েছে। কেনো ফোন বন্ধ রেখেছিলি। কেনো বল

“আপনি আমাকে ভালোবাসেন?

সায়ান তুলিকে ছেড়ে দেয়

” কি হলো ভালোবাসেন না তাইতো।
সায়ান কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না৷ তুলি আর কোলে বসে পরে। সায়ানের মুখটা ধরে বলে

“ভালোবাসো আর নাইবা বাসো শুধু আমায় ভালো বাসতে দিও

তুলির গান শুনে সায়ানের কাশি উঠে যায়।

” আমার গানটা আপনার গলায় আটকে গেলো না কি?

“না মানে

” কোনো মানে টানে নাই। আমি আপনার কে হই?

তুলির প্রশ্নে সায়ান ভেবাচেকা খেয়ে যায়।

“তুই আমার কে?

” হুম কে আমি

“তুই আমার বো

তুলি সায়ানের চুল টেনে বলে

” কি

“বউ

তুলি সায়ানকে জড়িয়ে ধরে বলে

” আমার সোনা বরটা

সায়ান তো তুলির বেবহারে অবাক

“তুলি তুই ঠিক আছিস

” হুম আমি তো একদম ফিট আছি।

মায়া তুলির রুমে নক করে

“কেে

তুলি বলে

” আমি মায়া সায়ান এসেছে এখানে

“হুম কেনো?

” ও কে একটু আসতে বলো

“ও এখন রোমান্স করছে। যেতে পারবে না

সায়ান তো অবাক।

” আমি তো

তুলি সায়ানের মুখ টিপে ধরে। মায়া রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে যায়।

“তুই মিথ্যা কেনো বললি

” তো কি আপনাকে ওই অশান্তির কাছে যাইতে দিমু

“ওর মেবি কোনো দরকার ছিলো

তুলি সায়ানের কোল থেকে নামে

” যান

তুলি মুখ গোমড়া করে বলে। উঠে চলে যায়।

মায়া মায়াকে যে রুমে থাকতে দেওয়া হয়েছে সেই রুমে পায়চারি করছে। তখন সায়ান নক করে। মায়া দরজা খুলে সায়ানকে জড়িয়ে ধরে

“মায়া এসব কি হচ্ছে

মায়া সায়ানকে ছেড়ে দেয়

” সরি

“কেনো ডেকেছিলে

” ডিস্টার্ব করলাম না কি

“তেমন কিছু না

” আমার ঔষুধ গুলো খুঁজে পাচ্ছি না

সায়ান মায়ার ঔষুধ গুলো দেয়।

“এবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরো

” সায়ান তুমি আমার সাথে থাকো না

“হোয়াট

” না মানে আমার একা ভয় করছে

“ঠিক আছে তুমি শুয়ে পড়ো। আমি এসে তোমায় দেখে যাবো।

সায়ান চলে যায়। তুলি ড্রেস চেঞ্জ না করেই ঘুমিয়ে পরে।

” এই মেয়েটাও না এভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছে।

সায়ানও তুলির পাশে শুয়ে পরে।

সকাল বেলা মায়ার চেচামেচিতে তুলি সায়ানসহ বাড়ির সবার ঘুম ভেঙে যায়। সবাই মায়ার রুমে যায়। মায়া না কি কিছু একটা দেখে ভয় পেয়েছে। মায়া কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। সায়ান মায়াকে বোঝাচ্ছে

“আচ্ছা মায়া আপু তুমি তো তোমার বাড়িতে একাই থাকতে তাই না

” হুম

“তখন ভয় পেতে না

” তখন তো বাড়িটা চেনা ছিলো।

“ওহহ। আচ্ছা কাল থেকে তোমার সাথে রুহি থাকবে

” না মানে রুহিও তো ছোট

“তো তুমি কি সায়ানের সাথে থাকতে চাও না কি

” তুলি কি সব বলছিস (সায়ান)

“নাটক বন্ধ হলে আমরা যেতে পারি (দাদু)

” হুম দাদু চলো। মায়া আপুর সায়ান হলেই চলবে

সবাই চলে যায়। সায়ান আর মায়া বসে আছে

“মায়া এসব কি

” সত্যি ভয় পেয়ে গেছিলাম

“এরকম করলে তোমাকে আমি এই বাড়িতে রাখতে পারবো না

মায়া সায়ানের হাত ধরে বলে

” আমি আর এমন করবো না। প্লিজ আমাকে থাকতে দাও

সায়ান কিছু না বলে চলে যায়। তুলি আজ ফ্রেশ হয়ে লাল থ্রিপিস পরে। সায়ান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তুলিকে দেখে

চলবে

ভালোবাসি
পর্বঃ১৩
Tanisha sultana (Writer)

তুলি নিজের রুমে বসে আছে। মায়ার প্লান সম্পর্কে বুঝার চেষ্টা করছে। গভীর মনোযোগ দিয়ে ভাবছে। সায়ান রুমে আসে

“কিরে ওখানে বসে আছিস কেনো?

সায়ানের ডাকে তুলি ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়। উঠে সায়ানের পাশে দাঁড়ায়

” আপনি চলে এলেন যে আপনার মায়া বেবি তো আবার ভয় পাবে

সায়ান হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে বলে
“মায়া আবার আমার বেবি হলো কবে
” ও মা আপনি জানেন না

“না তো
” ড্রামাকিং

“ড্রামা কুইন শুনেছি কিং তো শুনি নি

” কিংটা আজকেই আবিষ্কার হলো
“তুই করলি

” ইয়াহ। শুনুন না

“বল

” আমার দিকে তাকান

সায়ান ঘড়ি রেখে কোমরে হাত রেখে তুলির দিকে ঘুরে তাকায়
“বল

” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো
“কিভাবে

” মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খাবেন আমায়
সায়ান মাথায় হাত দিয়ে বলে

“ওহহ আল্লাহ
তুই ই তো আমাকে তোর দিকে তাকাতে বললি

” বলেছি বলে এভাবে তাকাবেন

সায়ান এবার তুলির কোমর জড়িয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে
“কি চাস তুই বল তো

” মায়ার থেকে আপনাকে আলাদা করতে চায়

“কেনো? এই এক মিনিট তুই তো আমাকে আবার ভালো টালো বেসে ফেলিস নি

তুলি নিজেকে ছাড়িয়ে একটু দুরে গিয়ে বলে
” ভালোবাসি না। তবে কিচ্ছু করার নাই বিয়ে হয়ে গেছে তাই জাস্ট লাইক করি

“তাই না কি। যাক গে বাদ দে এবার বল কি বলতে চাইছিলি

” আমি ঢাকা ফিরে যেতে চায়

“রিককে না দেখে থাকতে পারছিস না বুঝি

” হুম তবে আরও একটা কারণ আছে
“কি

” মায়া এই বাদরামী বের করার জন্য

“বুঝলাম না

” বুঝিয়ে বলি নি তো। কাল কেই ঢাকা যাবো

তুলি চলে যায় সবাইকে বলতে। মায়া মনে মনে খুব খুশি হয়।
আজ তুলি নিজের হাতে রান্না করবে। একা একা। রান্না ঘরে কাউকে এলাও করছে না।

সায়ান দুপুর থেকে তুলিকে দেখছে না। তাই তুলির মায়ের কাছে শুনতে যেতে নেয়

“কোথায় যাচ্ছো?

মায়ার ডাকে সায়ান থামে
” তুলিকে খুঁজতে

“বউকে ছাড়া একটুও থাকতে পারো না। এতো ভালোবেসে ফেলেছো বউকে

” মায়া সেরকম কিছু না। জাস্ট ওকে দুপুর থেকে দেখছি না তাই

“কই আমাকে না দেখতে পেলে তো খুঁজো না

” তোমাকে কেনো খুঁজবে? তুমি তো জাস্ট আশ্রিতা

সায়ান মায়া তাকিয়ে দেখে তুলি দাঁড়িয়ে আছে
“দেখলে সায়ান আমায় ইনসাল্ট করলো

” হুম করলাম তা তো সায়ান শুনলো

“তুমি কিছু বলবে না সায়ান

” তুলি চুপ করো

“আমার বাড়ি আমার ঘড় আর আমি চুপ করবো

” হুম করবে

“প্রশ্নটা আমার স্বামীকে করেছি তোমাকে না

” এই মেয়ে একদম স্বামী স্বামী করবে না। কিসের স্বামী হ্যাঁ

“বিয়ে করা স্বামী

” আহহহ তোমার চুপ করো। তুলি যাও নিজের কাজে যাও।

তুলির চোখ ছলছল করে। চলে যায় তুলি। মায়া সায়ানের হাত ধরে বলে
“তুলি আমাকে দেখতেই পারে না

সায়ান কিছু না বলে চলে যায়।
তুলি ডাল মাংস আর ভাজি রান্না করছে। মনটা ভীষণ খারাপ। একমনে ইউটিউব দেখে রান্না করে যাচ্ছে। রাতে সবাই তুলির করা রান্না খাবে।

রাত নয়টায় তুলির রান্না শেষ হয়। কোনোরকম ফ্রেশ হয়ে সবাইকে খেতে ডাকে।
সায়ানের বাবা দাদা মা রুহি সায়ান মায়া খাবার টেবিলে বসে আছে। তুলি আর তুলির মা খাবার সার্ভ করবে।

” না খেলে হয় না। আমার না খিদে নেই
ভয়ের শুরে বলে সায়ানের বাবা। তুলি চোখ রাঙিয়ে বলে

“তোমরা ভাবছো আমার রান্না খারাপ হয়েছে তাই তো

” না না আমার দিদিভাই কখোনো খারাে রান্না করতেই পারে না। আমাকে দাও তো

তুলি প্রথমে দাদুকে দেয়। তারপর একে একে সবাইকে দেয়। তুলি অধিক আগ্রহে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই খুব প্রশংসা করে তুলির রান্নার। তুলির খুশি আর দেখে কে?

সবার খাওয়া শেষে তুলি আর তুলির মা খায়। খাওয়া দাওয়া শেষে তুলি নিজের রুমে চলে যায়।

বেলকনিতে বসে চাঁদ দেখছে তুলি। কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। বারবার সায়ান বাজে বিহেব গুলো চোখের সামনে ভাসছে। কেউ একজন তুলির কাঁধে হাত রাখে

“সরি তুলি

তুলি কিছু বলে না। সায়ান তুলির পাশে বসে বলে

” সরি বললাম তো

“আমি তো সরি বলতে বলি নি

” আমি ভুল করছি তাই সরি বললাম

তুলি একটু তাচ্ছিল্য হাসে
“আপনার কোনো দোষ নেই দোষ আমার কপালের।

” এভাবে বলছিস কেনো

“তাহলে কিভাবে বলবো বলতে পারেন?
আমার বাবা আমার মাকে ছেড়ে চলে গেছে। অন্য কাউকে বিয়ে করেছে। আমার সাথেও সেম জিনিস হচ্ছে। কিন্তু আমি আমার অধিকার ছাড়বো না। মায়ের মতো এতো ভালো আমি না।

একদমে কথাগুলো বলে তুলি থামে। একটু দম নিয়ে আবার বলে

” আমাদের যারা অবহেলা করে আমরা তার কাছেই বারবার ছুটে যায়। আর যারা আমাদের ভালোবাসে আমরা তাদের অবহেলা করি।

রিক ভালো ছেলে। আমার ও কে খুব ভালো লাগে। ও আমাকে খুব ভালোবাসে কিন্তু আমার ও কে অবহেলা করতে হচ্ছে কারণ বাবার মতো সেম কাজ আমি করবো না।

মায়াকে ভুলে যান। কারণ আমি বেঁচে থাকতে আপনাকে মায়ার কাছে যেতে দেবো না

তুলি রুমে চলে যায়। সায়ান তুলির বলা কথা গুলো ভাবছে।

সায়ান রুমে এসে দেখে তুলি রুমে নেয়। ওয়াশরুম চেক করে দেখে ওখানেও নেই। গেলো কোথায় মেয়েটা। সায়ান রুম থেকে বের হয়ে তুলিকে খুঁজছে। অবশেষে রান্না ঘরে পায়। ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে হাতে দিচ্ছে। সায়ান তুলির পেছনে দাঁড়িয়ে বলে

“হাতে কি হয়েছে

” সরি আমি মায়া না তুলি

“আমি জানি তুই তুলি

” ওহহহ আমি ভাবলাম মায়া ভেবে বলেছেন

“একটু বেশিই ভাবছিস তুই

” আমার মনে হয় না

তুলি বরফটা রেখে চলে যেতে নেয়

“তুলি

” বলুন

“মায়াকে বিপদে পরে নিয়ে এসেছি

” শুনতে চায় নি

“শোনার অধিকার আছে তোর

” ভালোবাসা পাওয়ারও অধিকার আছে

“একটা থাপ্পড় খাবি। বয়স কতো তোর? ভালোবাসা পাওয়ারও একটা বয়স লাগে। সেই বয়সটা তোর হয় নায়

” আমার তো বিয়ের বয়সও তো হয় নাই তাও তো বিয়ে হয়েছিলো

“উফ তোকে বোঝানো আমার পহ্মে সম্ভব না

” বোঝাতে তো বলি নি। ভালোবাসতে বলেছি

“চল আজ তোকে ভালোবাসা কি বোঝাবো। চল আমার সাথে

সায়ান তুলির হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায়। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। তুলি আরামসে সোফায় বসে পরে

” ওই তোর ভয় করছে না

“কেনো ভয় করবে

” আমাকে দেখে

“না তো। আপনি আমাকে ভালোবাসবেন তার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি তো ভেবে রেখেছি

” কি

“সামনে বছর আমার গোলুমলু একটা কিউট বেবি হবে

” কিহহহহ

“হুম

” ঘুমিয়ে পর

“ভালোবাসবেন না

” নাহহহ

তুলি মুখ গোমড়া করে শুয়ে পরে। তখন ফোন বেজে ওঠে তুলির

“হেলো স্যার

” কেমন আছো?

“ভালো। আপনি

” ভালো।

সায়ান আগুন চোখে তাকিয়ে আছে

“মিছ ইউ তুলি

” মিছ ইউ টু

“ঢাকা আসবে কবে

” কাল

“রিয়েলি

” হুমমম

“কতোদিন পরে তোমার দেখবো। ভাবতেই ভালো লাগছে

” তাই

“হুম

” এখন রাখি কাল দেখা হবে

ফোন রেখে তুলি শুতে যায়। সায়ান দুই বাহু চেপে ধরে

“খুব পীরিত হচ্ছে তাই না

” ছি কি ভাষা। পীরিত না প্রেম

“খুব বার বেরেছিস তুই

” আই নো। তুমি যদি পারো আমি পারবো না কেন? আমি কি কম সুন্দর না কি

তুলির কথা শেষ হতেই সায়ান তুলির ঠোঁট দখল করে নেয়।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here