ভালোবাসি তোকে ❤পর্ব- ৩২
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
.
আমি পুরো বোকার মতো তাকিয়ে আছি।আমার মনে হচ্ছে ঘুম থেকে উঠেছি এখন তাই হয়তো ঘুম ঘুম চোখে ভুল দেখছি। তাই চোখ কচলে আবার তাকাতেই আমার সামনে থাকা সবাই একসাথে চেঁচিয়ে বলে উঠল,
— ” সারপ্রাইজ।”
আমি আহম্মকের মতো তাকিয়ে আছি। কারণ আমার সামনে সজীব ভাইয়া, অর্ণব ভাইয়া, মলি আপু, মিলি আপু আপু ওনাদের হাজবেন্ট, ওহি, আর আমার ছোট মামার মেয়ে আমাদের বাড়ির সবচেয়ে ছোট মেয়ে হুমাইয়রা মাত্র পাঁচ বছর, আমরা সবাই আদর করে হিমু বলে ডাকি। আমি পুরো বোকা বনে গেছি। এটা নিশ্চিত যে স্বপ্ন দেখছি না। তারমানে ওরা সবাই সত্যিই এসছে? আমার মুখে আস্তে আস্তে হাসি ফুটে উঠল। আমি উঠে গিয়ে হিমুকে কোলে তুলে জরিয়ে ধরে বললাম,
— ” কেমন আছো সোনা?”
হিমু হেসে দিয়ে আমার গালে চুমু দিয়ে বলল,
— ” ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?”
আমিও ওর গালে চুমু দিয়ে বললাম,
— ” ভালোই ছিলাম। তোমাদের দেখে আরো ভালো হয়ে গেলাম।”
আমি ওকে নামিয়ে বাকিদের কাছে গিয়ে কুশল বিনিময় করে আনন্দিত কন্ঠে বললাম,
— ” তোমরা হঠাৎ এখানে কী করে? আগে তো বলোনি আসবে?”
মিলি আপু একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বললেন,
— ” আমরাও তো জানতাম না যে আমরা আসবো। তোকে কীকরে জানাবো বল?”
— ” মানে?”
তখন ইফাজ ভাইয়া আর হিয়া আপি আর জাবিন একসাথে রুমে আসলো। ইফাজ ভাইয়া বললেন,
— ” কারণ তোমার বর আমাদের ফোন করে ডেকে নিয়ে এসেছে। ”
মলি আপুর হাজবেন্ট আজম ভাইয়াও বলল,
— ” হ্যাঁ সেই। আমাদেরও ফোন করে নিয়ে এলো। বলল বাড়ি ফাঁকা আছে আরামসে সবাই মিলে দুদিন হাসি মজা করে কাটাতে পারব।”
জাবিন হাফাতে হাফাতে বলল,
— ” ভাইয়াই শুনে আমি কী তাড়াতাড়ি এসছি শুধু আমিই জানি।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। দুপুরেই বলছিলাম ওদের মিস করছি। সন্ধ্যার মধ্যেই ওদের এনে হাজির করে দিল? আমি আশেপাশে তাকিয়ে আদ্রিয়ানকে খুজতে লাগলাম। তখনই আদ্রিয়ান ভেতর ঢুকলো আর আমি ওর দিকে তাকাতেই ওর আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো। ওনাকে দেখেই হিমু দৌড়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে গেলো আর আদ্রিয়ানও ওকে কোলে নিয়ে নিলো। আমি একটু অবাক হলাম কারণ আদ্রিয়ান এর আগে কখনই হিমুর সাথে আলাপ করেনি। এটুকু সময়ের মধ্যে এতো ভালো বন্ডিং তৈরী হয়ে গেলো? হিমু আমার দিকে বলল,
— ” আপু এই ভাইয়াটা কী তোমার হাব্বি?”
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে এই মেয়ে হাব্বির কী বোঝে? আমি তবুও মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললাম। আদ্রিয়ান হিমুর দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” দেখলে সত্যি বলেছিলাম আমি?”
হিমু মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। এরপর আদ্রিয়ান সবাইকে বলল,
— ” তোমরা সবাই ছাদে যাও? আমি ওকে নিয়ে আসছি।”
আপি বলল,
— ” হ্যাঁ হ্যাঁ ছাদে আমি সব এরেঞ্জমেন্ট করে রেখেছি। তোমরা গিয়ে বসো আমি স্নাকস নিয়ে আসছি।”
ওরা সবাই চলে গেল। আমি এখনও আদ্রিয়ানের দিকেই তাকিয়ে আছি। আদ্রিয়ান আমার মুখের সামনে তুরি বাজিয়ে বলল,
— ” এইযে ম্যাডাম এতো কী ভাবছো? যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো। ছাদে যাবেনা?”
আমি মাথা নেড়ে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে খুব বেশি ভালো লাগছে আমার, এভাবে সবাইকে একসাথে পাবো ভাবতেই পারিনি। সব মন খারাপ নিমেষেই কেটে গেলো। আর সবটা ওনার জন্যেই হয়েছে।
_________________
সবাই মিলে পাকোড়া আর চা খেতে খেতে একসাথে আড্ডা দিচ্ছি ছাদে বসে। কথার মাঝে আপি বলল,
— ” আচ্ছা আজ তো মিনু ছিলুনা রান্না কে করেছে?”
আদ্রিয়ান হেসে দিয়ে বললাম,
— ” অনি আর আমি দুজন মিলে করেছি।”
সজীব ভাইয়া অবাক হয়ে বলল,
— ” বুড়ি করেছে রান্না? সিরিয়াসলি?”
অর্ণব ভাইয়াও পিঞ্চ মেরে কিছু বলবে তার আগেই আদ্রিয়ান বললেন,
— ” উমহুম আমার বউয়ের লেগপুল করবে না। আমি নিজে শিখিয়েছি ওকে।”
জাবিন হেসে বলল,
— ” ওহোহো কী প্রেম কী প্রেম। বউকে নিজের হাতে ধরে ধরে রান্না শেখাচ্ছে ভাবা যায়?”
আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রইলাম। ইফাজ ভাইয়া গিটারটা আদ্রিয়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
— ” তো এই প্রেমময় মুহূর্তে একটা রোমান্টিক গান হয়ে যাক? অনিকে ডেডিকেট করে?”
আদ্রিয়ান গিটারটা নিয়ে আমার দিকে তাকালেন। আমি হালকা লজ্জামিশ্রিত চোখে ওনার দিকে তাকালাম। উনি গিটারটা হাতে নিয়ে সুর তুললেন তারপর আবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
— “তোমার নামের রোদ্দুরে, আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে
জানি না যাবো কদ্দুরে এখনো
তোমার নামের রোদ্দুরে, আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে
জানি না যাবো কদ্দুরে এখনো
আমার পোড়া কপালে, আর আমার সন্ধ্যে সকালে
তুমি কেন এলে জানি না এখনো
ফন্দি আটে মন পালাবার
বন্দি আছে কাছে সে তোমার
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই।”
পাশ থেকে আপি আমাকে খোঁচা মারলো ওপাশে থেকে জাবিনও চোখ টিপ মারলো। আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নামিয়ে মুচকি হেসে আবার তাকালাম ওনার দিকে।
— “হলো শুরু সাতদিনে,এই খেলাধুলো রাতদিনের
জানি বারণ করার সাধ্যি নেই আর আমার
তোমার নামের মন্দিরে, আর তোমার নামের মসজিদে
আমি কথা দিয়ে এসেছি বারবার
বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়ে যাও
তুমি ইচ্ছেমত আমাকে সাজাও
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই
মনের গভীরে, ঘুমের শরীরে
তোমাকে নিয়ে ডুবে যাবো
আমার কাছে কারণেরা আছে
নিজেকে আমি খুঁজেই নেবো
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও তোমাকেই চাই।”
গানটা শেষ হতেই সবাই একসাথে হাততালি দিলো। আর সেই আওয়াজে আমার ঘোর কাটলো। আর গানটা পুরোটাই আমাকে নিয়ে গেয়েছে বলে সবার পিঞ্চ করাতো আছেই।
________________
রাতে সবাই মিলে একসাথে অনেক হাসি মজার সাথে গার্ডেন এরিয়াতে পিকনিকের মতো করে খিচুড়ি রান্না করলাম। ডিনার কম্প্লিট করে সবাইকে রুমে রুমে পৌছে দিলাম। আদ্রিয়ান রুমে চলে গেছেন। আমি কিছুক্ষণ হিয়া, মলি, মিলি আপির সাথে গল্প করে খুশি মনে রুমে গিয়ে দেখি আদ্রিয়ান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে। আমি দৌড়ে গিয়ে ওনাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
— ” থ্যাংক ইউ সো মাচ।”
উনি মুচকি হেসে চিরুনিটা রেখে আমার হাত ধরে ছাড়িয়ে আমার দিকে ঘুরে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে বললেন,
— ” আরে সবসময় এতো ফরমাল হও কেনো তুমি? আজ একটা কথা বলছি মাথায় রাখবে। আমার বা তোমার বললতে আমাদের মধ্যে কোনো শব্দ নেই। সবটাই তো আমাদের। বুঝেছো? ”
আমি ওনার দুই কাধের ওপর হাত রেখে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লাম।
— ” লং ড্রাইভে যাবে?”
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম,
— ” এখন?”
— ” হ্যাঁ চলো আজ কিছুটা সময় বাইরে কাটিয়ে আসি?”
আমি একটু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওনার দিকে। উনি আমার নাকে নাক ঘষে বললেন,
— ” কী হলো যাবেনা?”
— ” আচ্ছা চলুন।”
উনি আমাকে ছেড়ে আমার হাত ধরে বললেন,
— ” চলো?”
মধ্যম গতিতে গাড়ি চলছে বাইরে থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসছে। আর আদ্রিয়ান একমনে সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করছেন। আমি ওনাল দিকে তাকিয়ে বললাম,
— ” কতদূর যাবো?”
উনি ড্রাইভ করতে করতেই বললেন,
— ” দেখি কতদূর যেতে পারি।”
আমি কিছু না বলে জানালা দিয়ে বাইরের পরিবেশটা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছি। বেশ অনেকটা সময় একটা বিশাল ব্রিজের ওপর গাড়ি থামালেন আদ্রিয়ান। ব্রিজটা বেশ উচু। নদীটা ব্রিজ থেকে অনেকটা নিচে। আদ্রিয়ান সিটবেল্ট টা খুলে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” এখানেই নামবো অামরা।”
আদ্রিয়ান গাড়ি থেকে নেমে আমার সাইডে এসে দরজা খুলে আমাকে হাত ধরে নামালো। আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম ব্রিজটা অনেকটা নিরব। গাড়ি আসা যাওয়া নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে দুই একটা ট্রাক যাওয়া আসা করছে। নির্জন পরিবেশ, আকাশে পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ। ফুরফুরে ঠান্ডা হাওয়া, নদীর শো শো শব্দ, দূরে বিভিন্ন জায়গায় জ্বলতে থাকা আলো সব মিলিয়ে অসাধারন লাগছে পরিবেশটা। আদ্রিয়ান গাড়ি দুটো চিপসের প্যাকেট আর একটা কোকাকোলা বের করে আমার হাতে একটা চিপস দিয়ে বললেন,
— ” চলো হাটি?
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম। আদ্রিয়ান আর আমি দুজনেই রেলিং এর পাশ দিয়ে হাটছি। দুজনেই চিপস খেতে খেতে হাটছি। আমি চারপাশের পরিবেশটা দেখছি। বেশ কিছক্ষণ হাটার পর একটা জায়গায় এসে দাঁড়ালাম আমরা। আদ্রিয়ান রেলিং এ হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আর আমি রেলিং এ ভর দিয়ে। দুজনেই একটা কোকাকোলা শেয়ার করে করে খাচ্ছি, মানে এক ঢোক উনি এক ঢোক আমি খাচ্ছি। অদ্ভুতভাবে দুজনে কেউই কোনো কথা বলছিনা। ওনার দিকে তাকাতেই চোখ আটকে গেলো আমার, চাঁদের আলোয় পরছে ওনার ওপর, আর সেই আলোতে ওনাকে স্বর্গীয় দূতের চেয়ে কম কিছু মনে হচ্ছে না। লোকটার এই সৌন্দর্যযের ওপরও আমি ভীষণভাবে জেলাস। এতো সুন্দর কেনো হবে? বেশ অনেকটা সময় নিরবতার পর আদ্রিয়ান আমার দিকে না তাকিয়েই বললেন,
— ” আজকে কী আমাকে একটু বেশি সুন্দর লাগছে? যে আমার বউ আমায় এভাবে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছে?”
আমি হকচকিয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিয়ে বললাম,
— ” আমার ব্ বয়েই গেছে আপনাকে দেখতে।”
— ” মিথ্যে বলার একটা ট্রেনিং নিয়ো বুঝলে। কারণ তুমি যখনই মিথ্যে বলো সবাই বুঝে যায় যে ইউ আর লাইয়িং।”
আমি ওনার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম,
— “এর আগে আবার কবে কাকে মিথ্যে বলেছি আমি?”
উনি এবার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
— ” কাউকে কখনও বলোনি? আর ইউ শিউর ?”
আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওনার দিকে। ওনার কথার মানেটা বুঝলাম না। উনি বড় একটা শ্বাস ফেলে বললেন,
— ” বাদ দাও। এটা বলো এরকম চুপ করে আছো কেনো? এমনিতেতো বকবক করে মাথা খেয়ে ফেলো!”
আমি ওনার দিকে ঘুরে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললাম,
— ” আজ আপনার কথা শুনতে ইচ্ছে করছে।”
আমার কথা শুনে উনি বোতলে চুমুক দিতে গিয়েও থেমে গেলেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা একটা হাসি দিয়ে বোতলটা ব্রিজের রেলিং এর ওপর রেখে ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে এলেন আমার ডান হাত ধরে একটানে নিজের কাছে টেনে নিয়ে একহাতে কোমর জরিয়ে আরেক হাতে আমার কাপালের চুলগুলো কানে গুজতে গুজতে বললেন,
— ” আমার কথা কিন্তু খুব ভয়ংকর। টলারেট করতে পারবে?”
আমি ওনার চোখের দিকে তাকিয়েই বললাম,
— ” শুনতে শুনতে অভ্যেস হয়ে গেছে। আপনার ভয়ংকর, অতি ভয়ংকর, অতিব ভয়ংকর সব কথাই দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নেই।”
আদ্রিয়ান হেসে দিলেন আমার কথা শুনে, তারপর আমার নাক টিপে দিয়ে বললেন,
— ” খুব দুষ্টু হয়ে গেছো আজকাল।”
— ” সবই আপনার ট্রেনিং এর ফল।”
উনি আমার কপালে সময় নিয়ে একটা চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরে বললেন,
— ” আই লাভ ইউ জানপাখি।”
আমি কিছু না বলে ওনার পিঠ আকড়ে ধরে চুপ করে ওনার বুকের সাথে মিশে রইলাম। বেশ অনেকটা সময় পর উনি হঠাৎই আমায় শূণ্যে তুলে নিলেন। আমি একটু অবাক হয়ে কিছু বলার আগেই উনি আমাকে ব্রিজের রেলিং এর ওপর বসিয়ে দিলেন। আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ওনার দিকে। ব্রিজটা অনেকটাই উঁচু যদি কোনো কারণে নিচে পরে যাই তো বাঁচা সম্ভব নয়। আমার পক্ষে তো একেবারেই না কারণ আমি সাতার জানিনা। উনি আমার দুইবাহুতে হাত রেখে বললেন,
— ” যদি তোমাকে আমি এখন এখান থেকে ফেলে দেই?”
আমি ওনার দিকে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে তারপর মুচকি হেসে বললাম,
— ” আমি জানি আপনি সেটা পারবেন না।”
— ” এতোটা বিশ্বাস?”
আমি হেসে বললাম,
— ” মানুষটাইতো এতো বিশ্বস্ত।”
উনি ওভাবেই আমাকে জরিয়ে ধরলেন শক্ত করে। আমি ওনার পিঠ ধরতে যাবো তার হঠাৎ উনি আমাকে ধাক্কা দিলেন। আমি আদ্রিয়ান বলে চিৎকার করে উঠলাম। উনি সাথে সাথে আমার হাত ধরে ফেললেন। আমি এখন এমন অবস্থায় আছি যে উনি আমার হাত ছাড়লেই আমি নিচে পরে যাবো। আমি ভয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি ভয়ে। উনি বাঁকা হেসে বললেন,
— ” ডু ইউ স্টিল ট্রাস্ট মি?”
আমি কিছু বললাম না চোখ নামিয়ে ফেললাম। উনি আমার দিকে ঝুকে বললেন,
— ” কাউকে এতোটা বিশ্বাস করোনা, যে বিশ্বাসটা ভেঙ্গে যাওয়ার পর সেই ধাক্কা সামলাতেই পারবেনা। আবার কাউকে এরকম বিশ্বাসও করোনা একটা ধাক্কা যেটাকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট।”
আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ওনার দিকে।
#চলবে…
( দুঃখিত গাইস। বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে তাই একটু ব্যস্ত আছি তাই দুদিন গল্প দিতে পারিনি। সজীব ভাইয়ার বিয়ে বলে কথা ?। )