ভালোবাসি_বুঝে_নাও?? #পর্ব_১৩ (হলুদ_সন্ধ্যা_স্পেশাল??),#পর্ব_১৪ (হলুদ_সন্ধ্যা_স্পেশাল_2??)

0
1140

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_১৩ (হলুদ_সন্ধ্যা_স্পেশাল??),#পর্ব_১৪ (হলুদ_সন্ধ্যা_স্পেশাল_2??)
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
পর্ব_১৩ #(হলুদ_সন্ধ্যা_স্পেশাল??)

,,,হলুদ ,,সন্ধ্যাই,

সবাই সাজুগুজু করছে আর মাহি একটা হলুদ শাড়ি হাতে নিয়ে বসে আছে। মেঘলাকে একটা হলুদ শাড়ি এরা করে পরায়ে ফুলের গয়না দিয়ে সাজিয়ে আগেই স্টেজ এ বসিয়ে রাখা হয়েছে,, আর এখন বাকি সবাই সাজুগুজু করছে।

কেউ আমায় শাড়িটা পরায়ে দাওরে,, আর কতক্ষণ বসে থাকবো (মাহি)

আমি দিচ্ছি দাড়া কাজলটা দিয়ে নেই চোখে। (চোখে কাজল দিতে দিতে বলল ইশিতা)

তারপর ইশিতা নিজের সাজটা কমপ্লিট করে মাহিকে সাজাতে বসলো, প্রথমে মাহিকে হলুদ শাড়ি টা এরা করে পরিয়ে দিলো তারপর কমরে একটা সুন্দর বিছা পরিয়ে দিলো চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে নাকে একটা লম্বা নলক দিয়ে দিলো কপালে একটা টিকলি চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক মাহি এমনিতেই সাদা ফর্সা তাই ওর মেকাপ না করলেও চলে,,, গলায় একটা চওড়া হাড় আর কানে টানা করে দুল পরিয়ে দিলো পায়ে নপুর আর হাত ভর্তি মেহরাব এর দেওয়া কাঁচের চুড়ি ব্যাস সাজ কমপ্লিট।

ওরে জাব্বা তোকে তো হেব্বি লাগছে যেনো মনে হচ্ছে মেঘলা না আজ তোর গায়ে হলুদ (ইশিতা বলল)

হুট কি যে বলো না আপু,, তোমাকেও অনেক সুন্দর লাগছে।

হুম আপনার থেকে কম,, এখন চল নিচে চল,, তারপর ওরা আর বাকি মেয়েরা সবাই বাগানে চলে গেলো কেননা ওখানেই স্টেজটা করা হয়েছে,,, সন্ধ্যে হয়ে গেছে তাই চারিদিকে লাইটিং করা হয়েছে লাল নীল নানা রকমের মরিচ বাতি জলছে পুরোবাড়ি জুড়ে বাড়ি ছাড়াও আরো অনেকটা দূর পযন্ত মরিচ বাতি আর লাইটিং করা হয়েছে,, আর বাড়ির সামনে থেকে শুরু করে একেবারে রাস্তা পযন্ত অনেক সুন্দর করে আলপনা করা হয়েছে।

ওদিকে,,,

মেহরাব একটা হলুদ পাঞ্জাবি পরে আর একটা সাদা লুঙ্গি হাতে নিয়ে বিছানায় বসে আছে,, কেননা ছেলেদের হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা লুঙ্গি প্লাস লাল গামছা পরতে হবে। গামছাটা কমরে বাধতে হবে

আমি এটা পরতে পারবো না,, (মেহরাব)

সবাই তো পরছে তুইও পরে ফেল একদিনই তো কিছু হবে না বন্ধু (মেঘ)

হুম তোর তো আর পরা লাগছে না তাই বলছিস যদি তোর পরা লাগতো তাহলে বুঝতি,, আরে ভাই হলুদে লুঙ্গি পরা লাগবে এই নিয়ম কে করছিলোরে,,?? সবাই কি আর লুঙ্গি পরতে পারে?? আমি পরে এক পা হাটলেই তো খুলে যাবে (মেহরাব)

ওহ তাহলে তো অনেক সুন্দর হবে এতোদিন মেয়েরা তোকে দেখে ক্রাশ খেতো আজ না হয় তোর অন্য কিছু দেখে ক্রাশ খাবে (এটা বলে মেঘ হাসতে লাগল)

সালা হাসি বন্ধ কর,, আমি এটা কখনো পরবো না,, এই বলে মেহরাব লুঙ্গি টা বিছানায় রেখে একটা সাদা পাজামা পরে নিলো।

কিরে ভাই দুজনেরই তো সেম পোশাক হয়ে গেলো,, তা হলুদ টা কার আমার নাকি তোর আর মাহির হুম??

মাহির কথায় মেহরাব এর মনে পড়ল,, আজকে ওর অবুঝ পরী কে কেমন লাগবে হলুদ শাড়ি তে নিশ্চয়ই একদম পরীই লাগবে,, ইস কখন যে দেখবো, এই ভেবে মেঘকে বলল।

এই চলতো তোর আর সাজা লাগবে না চল চল,, অনেক দেরি হয়ে গেছে,, তারপর মেহরাব মেঘকে নিয়ে বাগানে চলে গেলো।তারপর মেঘকে স্টেজ এ বসিয়ে দিয়ে ওর পাশে বসলো,, ওদের ঠিক সামনে একটু দূরে মেঘলার স্টেজ সাজানো হয়েছে,, মেহরাব সেদিকে তাকাতেই দেখলো তার মাহিকে,, যেন সর্গের কোন এক অপ্সরা ভুল করে পৃথিবীতে নেমে এসেছে, মেহরাব ড্যাব ড্যাব করে মাহির দিকে তাকিয়ে তাকলো যেনো এ দেখার কোনো শেষ নেই।

ওদিকে,,
মাহি শুধু মনে মনে ভাবছে তার মেহরাব ভাই কে লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি পরলে কেমন দেখাবে ও তো ভেবেই রেখেছে মেহরাব যতই রাগ করুক না কেনো ওর ওই অবস্থায় মাহি মেহরাব এর একটা ছবি তুলবেই,, এসব ভাবতেই মাহি সামনে তাকাতেই দেখলো সামনের স্টেজ এ মেঘ এর পাশে মেহরাব বসে আছে, হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা পরে কই ওনি তো লুঙ্গি পরেননি তবুও এই পোশাকে ওনাকে কত সুন্দর লাগছে এরকম হলুদ রাজ্যের রাজকুমার আচ্ছা হলুদ রাজ্য কি আদৌও আছে?? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলো মাহি,, কি জানি হয়ত আছে।

মেহরাবকে মাহির দিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেঘ বলল।
,,
রাজাকো রানিছে পেয়ার হো গায়া,,

কি ভাই ওভাবে সবার সামনে দেখিস না নজর লেগে যাবে (মেঘ মেহরাবকে ধাক্কা দিয়ে বলল)

হুট চুপ থাক বেশি কথা না বলে।

তারপর একে একে সবাই এসে মেঘলা আর মেঘ কে পায়েস আর সেমাই খাইয়ে দিয়ে গেলো। মীরা এসে মেহরাব এর সামনে দাড়িয়ে বলল।

মেহরাব দাখোতো আমায় কেমন লাগছে।??

মেহরাব মীরার দিকে না তাকিয়েই বলল,, ভালো,।

আরে তুমি তো না দেখেই বলছো,,, আমার দিকে তাকিয়ে বলো।

কানের কাছে প্যান প্যান না করে যা তো।

ছীড়া আপু তোমাকে না ময়দার গোডাউন লাগছে (পাশ থেকে রকি বলল)

রকির কথা শুনে মেহরাব সহ বাকি সবাই হেসে উঠল।

তুই চুপ কর বিয়াদপ ছেলে আর এগুলো ময়দা না এগুলোকে মেকাপ বলে অশিক্ষিত একটা। (মীরা)

এসব কি হচ্ছে কি মীরা বাচ্চাদের সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?? যা এখান থেকে।

মেহরাব এর কথাশুনে মীরা মুখ বাকিয়ে ওখান থেকে চলে গেলো। আর মেঘলারদের পাশে গিয়ে একটা চেয়ার নিয়ে বসে পরল কেননা স্টেজ বসার আর কোনো জায়গা নেই মীরা সাজতে সাজতে অনেক দেরি করে ফেলেছে তাই স্টেজ সবাই বসে পরেছে মীরার আর বসার জায়গা নেই এই জন্য চেয়ারে বসে পড়ল।

একে একে সবাই মেঘ আর মেঘলাকে খাইয়ে দিয়ে চলে গেলো,, এখন আর খাওয়ানোর মানুষ নেই সবাই বসে আছে তখনি মাহির নানু এসে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল।

কিহ নাতনি আর নাতিরা তোমরা এমন চুপচাপ বসে আছো কেনো?? নাচ গান করো? আমি তো জোয়ান বয়সে তোমাগো নানীর লগে কত নাচুন কুদুন করছি,, অহনি তো এসব করার বয়স।

জি নানু তোমার নাতনিরা আমাদের সাথে বাজি ধরেছে আমাদের মাঝে প্রশ্ন উত্তর খেলা হবে যারা হারবে তারা অপর পক্ষের সব কথা শুনবে (মেঘ বলল)

তা দাদু তোমার নাতনিদের একটু স্টেজ থেকে নেমে খেলার ময়দানে আসতে বলো নাকি ওনারা ভয় পেয়েছে(মেহরাব)

মোটেও না আমরা ভয় পাই না আপনারা ভয় পান এই জন্যই তো এখনো ওখানে ঘাপটি মেরে বসে আছেন (মাহি)

কি এত বড় কথা,, নাতিরা তোদের এত বড় কথা কইলো এখনো তোরা চুপচাপ বসে আছিস নাম স্টেজ থেকে আর যা ময়দানে।

তারপর মেহরাব মেঘ ইমরান (ইমরান হলো ইশিতার প্রমিক ওদের বাড়িও এই গ্রামে ও এই গ্রামের মোড়ল এর ছেলে এবার মাষ্টার্স শেষ করে জবের জন্য চেষ্টা করছে,, ওদের কেউ দাওয়াত করা হয়েছে তাই ও আসছে আর এসেই মেহরাবদের সাথে অনেক ভাব হয়ে গেছে) আরো গ্রামের বাকি ছেলেরা একপাশে দাঁড়ালো,,, মেঘ মেহরাব আর ইমরান আর বাকি সব ছেলেরা পিছনে। আর মীরা চেয়ারে বসে আছে ওর মতে এসব ঢং ওর ভালো লাগে না কোথায় কাপল ডান্স হবে তা না করে এসব কী নেকামি করছে। কোথায় ও ভাবলো মেহরাব এর সাথে কাপল ডান্স করবে তা আর হলো না,, তাই চুপ করে বসে আছে।

আর ওদিকে মাহি মেঘলা আর ইশিতা আগে আর বাকি সব মেয়েরা পিছনে,, মেহরাব মাহির সামনে মেঘ মেঘলার সামনে আর ইশিতা ইমরান এর সামনে। দাড়িয়ে আছে। মেঘ সবার চোখের আড়ালে মেঘলাকে চোখ মারলো আর মেঘলা তো লজ্জায় শেষ,

ইমরান ও ইশিতাকে হাত দিয়ে একটা উরন্ত কিস দিলো,, ইশিতা লজ্জায় চোখ নিচে নামিয়ে নিলো। আর মেহরাব দুহাত বুকে গুজে মাহির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,, আর মাহি চুরি চুরি করে মেহরাবকে দেখছে কেননা মেহরাব এর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকার সাধ্য ওর নেই। মেহরাব এর চোখের দিকে তাকালে যেনো মনে হয় ও চোখে ওর মরন আছে,, কি গভীর দৃষ্টি যেনো মন চাই ডুবে যাই ও চোখের গভীরে।

কি হলো নাতিরা প্রশ্ন করো।

না দাদু আগে তোমার নাতনিরাই প্রশ্ন করুক কেননা লেডিস ফাস্ট (মেহরাব)

হ্যাঁ হ্যাঁ করো করো প্রশ্ন করো আমরা উত্তর দেওয়ার জন্য রেডি(মেঘ)

হুম করছি পরে উওর না দিতে পারলে দেখবো এতো এ্যাটেটিউড কই যায়।এই মাহি প্রশ্ন কর তো (মেঘলা)

আচ্ছা,করছি মেঘলা আপু।, বলেন তো কোন গরু ঢুস মারে না (মাহি মেহরাবদের উদ্দেশ্য করে বলল)

মাহির প্রশ্ন শুনে মেহরাব এর তো কান গরম হয়ে কান দিয়ে ধুয়া বার হচ্ছে,, এ আবার কেমন প্রশ্ন তবে মেহরাব আগে থেকেই জানতো মাহি প্রশ্ন করলে ছেলে মানুষি প্রশ্নই করবে, তাই বলে এই প্রশ্ন??? আর ওদিকে মেঘ চোখ বড় বড় করে হা করে ভাবছে ঢুস মানে কি।

আসোলে এই প্রশ্নটা মাহি গ্রামের কিছু পিচ্চিদের কাছ থেকে শুনেছে ওরা খেলছিলো আর একজন অপর জনকে বলছিলো সেখান থেকেই মাহি শুনেছে,, তারপর নানুর কাছ থেকে ঢুস মানে কি এটা জেনেছে।

আচ্ছা এক মিনিট আগে এটা বলো এই ঢুস মানে কি??(মেঘ)

হ্যাঁ মাহি এই ঢুস মানে কি??(মেঘলা)

আরে আপু তুমিও জানো না?? ঢুস মানে হলো ওই যে গুরুর সামনে গেলে গরু মাথা দিয়ে মারতে আসে না?? ওটাকেই ঢুস বলে বুঝেছো?? (মাহি)

হুম বুঝলাম।

তো এখন বলেন আপনারা,,,কোন গরু ঢুস মারে না (মাহি মেহরাবদের উদ্দেশ্য বলল)

কী ভাই এমন প্রশ্ন আমি জীবনেও শুনিনী তার এর উওর জানবো কীভাবে?? এ আাবার কেমন প্রশ্ন,, তোর বউ এসব কি বলেরে (মেঘ মেহরাব এর কানে কানে বলল)

আহ তুই চুপ থাক তো ভাবতে দে (মেহরাব)

কি হলো বলেন বলেন,, হার মেনে নিলেন নাকি??(মাহি)

আমরা কখনো হার মানি না হার মানলে তোরা মানবি,,, একটু ভাবতে তো দিবি নাকি?? (মেহরাব)

ওকে ভাবেন ভাবেন ভেবে কোনো লাভ হবে না হম?? জিতবো আমরাই।

চলবে,,,,,,???

(আপনারাও ভাবেন কি হতে পারে,, আমিও ভাবি)

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_১৪#(হলুদ_সন্ধ্যা_স্পেশাল-২??)
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
এটা আবার কেমন প্রশ্ন মাহি?? এমন আবার কোনো প্রশ্ন হয় নাকি??(মেঘ)

হয় ভাইয়া হয়,, হওয়ালেই হয় এবার আপনারা উওর দেন তো নাকি হার মেনে নিলেন(মাহি)

এই মেহরাব কখনো কারো কাছে হার মানে না তোর প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি, উওরটা হলো, মরা গরু,, কেননা মরা গরু কখনো ঢুস মারে না (মেহরাব)

আপনি জানলেন কি করে?? (মাহি)

মেহরাব মাহির কানের কাছে গিয়ে বলল, তুমি যদি চলো গাছে গাছে তো আমি চলি পাতায় পাতায় আর তুমি যদি চলো পাতায় পাতায় তাহলে আমি চলি শিরায় শিরায় এই বলে মেহরাব সরে এলো তারপর বলল।

এবার আমাদের পালা,, তোরা প্রশ্ন করেছিস আমরা উওর দিছি এবার আমরা করবো তোরা উওর দিবি। মেঘ প্রশ্ন কর।

ওকে ব্রো,,এবার তোমরা তো দেখি,, দু পায়ের মাঝখানে আস্তে করে ঢুকালাম খট করে চাপ দিয়ে মুখে পুরে নিলাম,, বলোতো কি??

মেঘের প্রশ্ন শুনে সব মেয়েরা ছিছি করছে।

ছি এসব কি বলছেন মেঘ ভাইয়া (মাহি+ইশিতা)

হ্যাঁ আপনি এসব কি বলছেন, ছি (মেঘলা)

এই সালা এসব কি বলছিস বড়রা আছে তো, সবাই কি বলবে?? (মেহরাব)

আরে তোমরা প্রশ্নটা এতো নেগেটিভলি নিচ্ছো কেনো?? পজিটিভলি ভাবো। সো নো নেগেটিভ অনলি পজিটিভ,,এবার বলো বলো (মেঘ)

মেঘের প্রশ্ন শুনে সবাই তো বিপাকে পরে গেলো,, মাহি তো ভাবতে ভাবতে নক কামড়াতে কামড়াতে আঙুলই প্রায় খায়ে ফেলার জো,, আর মেঘলা তো মাথা চুলকাচ্ছে তবুও কিছুই মাথায় আসছে না,,, ওদিকে ইশিতা তো মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে বাপের জন্মে এমন প্রশ্ন শুনেনি,, ছি কি বিচ্ছিরি একটা প্রশ্ন,, এর আবার কেমন উওর হবে,, কিছুই মাথায় আসছে না।

কি গালর্স?? বলো বলো সময় তো বয়ে যায়(মেঘ)

ছি এর আবার কোনো উওর আছে নাকি??? (মাহি)

আছে আছে বলো বলো,,, না পারলে হার মেনে নাও আমরা বলে দিচ্ছি। (মেঘ)

মাহি ইশিতা আর মেঘলা তিনজন কানে কানে কি যেনো বললো তারপর বলল।

আ,,আচ্ছা ঠিক আছে বলে দেন আমাদের অনেক দয়া তো তাই হার মেনে নিলাম, আপনাদের জিতা দিলাম নইলে আবার আপনারা মন খারাপ করবেন (মাহি)

পারে না তা বলবে না,, এখন আবার বলে কি না আমাদের জীতা দিচ্ছে, হেরো একটা (মেহরাব)

আচ্ছা তোমরা যখন হার মেনে নিলে তখন আমিই উওর টা দিয়ে দিচ্ছি,, উওর টা হলো,, যাতি দিয়ে সুপারি কাটা,,, কেননা যাতির হাতল ধরে ওটা উঠায়ে তার ভিতর সুপারি দিয়ে কাটলে তো খট করে শব্দ হয় তারপর ওটা পানের সাথে খায়ে ফেলা হয়। এবার বুঝলে হেরোরা।

উওর শুনে মাহিরা সবাই মাথায় হাত দিয়ে বলল ইস এতো সহজ একটা উওর, কেনো যে মাথায় আসলো না, হুট, ঘোড়ার ডিম।

হেরো হেরো পারে না হেরো মেহরাব বার বার মাহিকে হেরো হেরো বলছে,, তাই মাহি রেগে গিয়ে মেহরাব এর কাছে এসে বলল।

এতো যে হেরো হেরো বলছেন আমি শুধু আর শুধুই আপনাকে একটা প্রশ্ন করছি উত্তর টা দেন,, আর উওরটা দেওয়ার জন্য যত খুশি সময় নিতে পারেন আমার কোনো সম্যসা নেই।

প্রশ্নটা হলো,,,,, একটা শীতের গোধূলী বিকেলে আমি আপনি আর মেঘলা আপু হেঁটে একটা পার্কে এসে বসলাম,, তারপর আমি আপনাকে বললাম যে আমি বাদাম খাবো তো আপনি বাদাম আনতে যেতে চাইলেন তখন মেঘলা আপু বললো যে সে আনছে,, তারপর মেঘলা আপু চলে গেলো বাদাম আনতে,, অনেকক্ষণ হয়ে গেছে তবুও আপু আসলো না তারপর আমি আপনাকে বললাম যে আপনি এখানে বসুন আমি আপুকে ডেকে আনছি তারপর আমিও চলে গেলাম আপুকে খুঁজতে,, অনেকক্ষণ হয়ে গেলো তবুও আমি আসলাম না তারপর আপনি উঠে আমাকে আর আপুকে খুঁজতে আসলেন, তারপর রাস্তায় মেঘ ভাইয়ার সাথে আপনার দেখা হলো,, মেঘ ভাইয়া আপনাকে বলল আমি আর আপু ওনার কাছে আছি আর মেঘ ভাইয়া আমাকে আর আপুকে একি রকম দেখতে দুটো ফুল বানিয়ে রেখেছে এখন আপনাকে ওই দুটো ফুলের মধ্যে থেকে আমি কোনটা সেটা বলতে হবে আপনাকে একবারি সুযোগ দেওয়া হবে যদি আপনি আমাকে চিনে নিতে পারেন তো মেঘ ভাই আমাদের আবার আগের মতো করে দেবে আর যদি আপনি আমাকে চিনে নিতে না পারেন তাহলে আমাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলতে হবে আপনাকে,,,, তবে মনে রাখবেন আপনার সুযোগ কিন্তু একবারি আপনি হাত দিয়ে একবারি দেখাতে পারবেন যে আমি কোনটা,, এখন দেন দেখি এই প্রশ্নের উত্তর বলেন তো দেখি আমি কোনটা এই বলে মাহি মেহরাব এর কাছ থেকে সরে আসলো (মাহি)

মাহির প্রশ্ন শুনে মেহরাব ওখানেই রোবট এর মতো দাড়িয়ে থাকলো এটা প্রশ্ন?? আমার মনে হলো আমি যেনো কোনো গল্প শুনছি (মেহরাব)

যত পারেন সময় নেন এক সপ্তাহ এক মাস এক বছর যত ইচ্ছে আমার কোনো সম্যসা নেই (মাহি)

তো তোমরা যখন হেরে গেছো তখন আমরা যা বলবো তোমাদের তাই করতে হবে,, কিরে মেহরাব বল(মেঘ মেহরাবকে ধাক্কা দিয়ে বলল)

মেঘ এর ধাক্কায় মেহরাব এর হুস আসে,,
হম,,,তা তো বটেই এখন আমরা যা বলবো তোদের তাই করতে হবে।

বলেন আমাদের কি করতে হবে আমরা রাজি (রেগে বলল মাহি)

তোদেরকে আমাদের সাথে গান গাইতে হবে প্লাস নাচতে হবে রাজি??(মেহরাব)

হুম রাজি,,, তবে গানটা আগে আপনাদের শুরু করতে হবে।

ওকে,,, এই বলে মেহরাব মাহির কাছে গেলো তারপর ওর হাত ধরে বলল।।।
,,,
,,,Oh ooo, Oh oooo, Oh ooo, Oh oooo..

,Mehndi lagaake rakhna,Doli saiaake rakhna…Lene tujhe o gori aayenge tere sajna(মেহবার মাহির হাত ধরে বললো)

Mehndi lagaake rakhna,, Doli saiaake rakhna(বাকি সব ছেলেরা মেহরাব এর সাথে বলল)

Oh oh oh oh (সব ছেলেরা মেয়েদের উদ্দেশ্য বলল)

মেয়েরা কিছুক্ষণ ভাবলো তারপর মাহি নাচতে নাচতে মেহরাব এর সামনে এসে বলল।

Ho,ooooo oh,,aah aa aa aa aa aa aa aa,,

Sehraa sajaake rakhna,, chehraa chhapaake rakhna,
Yeh dil ki baat apne ail mein dabaake rakhna(মাহি নাচতে নাচতে বলল মাহির বলা শেষে সব মেয়ে একসাথে বলল)

Sehraa sajaake rakhna,, chehraa chhapaake rakhna(সব মেয়ে একসাথে বলল)

Mehndi lagaake rakhna,Doli saiaake rakhna…(সব ছেলে একসাথে বলল)

Ud udke teri zulfein,, karti hai kya ishare,,Dil thaamke khade hain(মেঘ মেঘলার হাত ধরে নাচতে নাচতে বলল)

Chhup jaaye saari kudiyaan,,gaaon mein aa gaye hain,, paagal shaher ke saare(মেঘলাও মেঘ এর সাথে নাচতে নাচতে বলল)

Nazrein jhukaake rakhna,, Daaman bachaake rakhna,, nazrein jhukaake rekhna daaman bachaake,,
Lene tujhe o gori aayenge tere sajna(মেঘ মেঘলা কে নিয়ে নাচতে নাচতে বলল)

Mehndi lagaake rakhna,Doli saiaake rakhna…( সব ছেলো একসাথে বলল)

Sehraa sajaake rakhna,, chehraa chhapaake rakhna(সব মেয়ে একসাথে বলল)

oh oh oh oh oh,, aah aah aah aah aah aah( ছেলে মেয়ে সব একসাথে বলল)

Main ek jawaan ladka,, tu ek haseen ladki yeh dil machal gaya to,,mera kusoor kya hai(ইমরান ইশিতার হাত ধরে নাচতে নাচতে বলল)

Rakhna tha dil pe kaabu,, yeh husn to hai jaadu,, jaadu yeh chul gaga to mera kusoor kya hai (ইশিতাও ইমরান এর সাথে নাচতে নাচতে বলল)

Rasta hamaara tukna,, darwaaza khala rakhna, lene tujhe o gori aayenge tere sajna(মেহরাব মাহির হাত ধরে ঘুরায়ে নাচতে নাচতে বলল)

Kuch aur ab na kehna,,kuch aur ab na karna, yeh dil ki baat apne dil mein dabaake rakhan (মাহি ও মেহরাব এর সাথে নাচতে নাচতে বলল)

Mehndi lagaake rakhna,Doli saiaake rakhna…( সব ছেলো একসাথে বলল)

Sehraa sajaake rakhna,, chehraa chhapaake rakhna(সব মেয়ে একসাথে বলল)

তারপর সবাই মিলে একসাথে নাচতে নাচতে বলল,,

Sha va oye, oye oye sha va oye oye oye..

চলবে,,,,,,,,??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here