ভালোবাসি_বুঝে_নাও?? #পর্ব_২১,২২

0
1317

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২১,২২
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
২১

আচ্ছা শোনেন তাহলে,,, আপনাকে মীরার সাথে প্রেম করতে হবে,, আর আমাকে নেহাল এর সাথে (মাহি)

হোয়াট?? (চিৎকার করে বললো মেহরাব)

আরে চ্যাতেন কা পেটে কি কৃমি আছে?? আগে আমার পুরো কথাটা তো শোনেন (মাহি)

আচ্ছা বল কি বলবি,,, তবে যাই বলিস না কেনো, কাজের কথা বলবি কোনো অকাজ এর কথা বলবি না,,

আচ্ছা ঠিক আছে,,, শোনেন তাহলে আমার যতদূর মনে হয়,, মীরা আপনার পিছে পড়ে আছে আর নেহাল আমার পিছে,, তো আমি চাই ওদের দুজন এর মধ্যে যদি ভালোবাসা হয়ে যার তারপর ওদের দুজন কে ধরে বিয়ে দিয়ে দেবো তাহলে আমাদের আগে বা পিছে কোনো ভিলেন থাকবে না,, কি বলেন।

কি ব্যাপার বলতো দিন দিন তোর বুদ্ধি কেমন খুলে যাচ্ছে,, হম যাবেই তো জ্ঞানী লোকের সাথে থাকলে যা হয় (ভাব নিয়ে বলল মেহরাব)

হুম,,?? কে জ্ঞানী লোক আপনি??? হা,, আপনার মাথায় তো বুদ্ধির ব ও নেই বরং আমার সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই আপনার বুদ্ধি একটু একটু করে খুলছে বুঝলেন??( অনেকটা ভাব নিয়ে কথাটা বলল মাহি)

তাই না দাড়া দেখাচ্ছি মজা (এই বলে মেহরাব মাহিকে কাতুকুতু দিতে লাগল)

ওরে থামেন থামেন আচ্ছা ঠিক আছে আমি মেনে নিচ্ছি যে আপনার মাথায় ও জ্ঞান আছে,, এখন তো ছাড়েন আমায় (হাসতে হাসতে বলল মাহি)

আচ্ছা যা ছেড়ে দিলাম তোকে,,, তাহলে এখন আমরা কি করবো??

কি আর করবো আমি নেহাল এর সাথে প্রেম করবো।

কি বললি??(মাহির গলা চেপে ধরে)

আরে আমি তো এমনি বললাম,, ছাড়েন মেরে ফেলবেন নাকি??

হুম এমন ভুলভাল কথা বললে মেরেই ফেলবো।

আচ্ছা আর বলবো না, এখন শোনেন তাহলে,, প্রথমত,, এই পুরো কাহিনীটা মেঘ ভাইয়া আর মেঘলা আপুকে বলতে হবে,, তাহলে ওনারাও আমাদের সাহায্য করবে,, (মাহি)

আচ্ছা ঠিক আছে,, আমি বাসায় গিয়ে ওদের ফোন করে আসতে বলছি,,।

আর শোনেন, মীরা আপুকেও আসতে বলবেন কিন্তু??(মাহি)

কেনো??

আরে ওনি না আসলে খেলা জমবে কি করে।

আচ্ছা ঠিক আছে বলবো।

এই আপনি তো আমার প্রশ্নের উত্তর টা দিলেন না।

দিয়ে দেবো সময় হোক তুই তো আমাকে সময় দিয়েছিস আমার যখন ইচ্ছে আমি তখন দেবো।

হুম দেখেন আবার উওর টা দিতে দিতে বুড়া না হয়ে যান।

,,,,তিনদিন পর,,,,

হ্যালো হ্যাঁ মীরা শুনছিস আমি বলছি (মেহরাব)

হ্যাঁ মেহরাব বলো (খুশি হয়ে)

শোননা বলছি কি যে তোর তো ওখান থেকে ভার্সীটি দূরে হয়ে যাই তাই বলছিলাম কি তুই যদি আমাদের বাড়ি থেকে যাস তাহলে কাছে হবে,, আবার আমিও মাঝে মাঝে তোকে দিয়ে আসতে পারবো। (নরম সুরে বলল মেহরাব)

কি বলছো গো?? আমি এখুনি আসছি (এই বলে মীরা ফোন টা কেটে নাচতে নাচতে ব্যাগ প্যাক করতে চলে গেলো)

মেহরাব ফোনটা কেটে পিছনে তাকিয়ে দেখে মাহি ওর দিকে কটমট চোখে তাকিয়ে আছে,,, মেহরাব বড় সর একটা শুকনা ঢোক গিলে বলল।

কি হয়েছে ওমন করে তাকিয়ে আছিস কেনো??(একটা কেবলা মার্কা হাসি দিয়ে বলল)

কই কখনো তো আমার সাথে ওমন মিষ্টি সুরে কথা বলেন না তাহলে ওর সাথে বললেন কেনো??(রেগে বলল মাহি)

আহা রাগ করছিস কেনো,, তুই না বললি ওকে এখানে আনতে তাহলে যদি ওর সাথে ওমন করে কথা না বলতাম তাহলে কি ও আসতো এখানে???

হুম,, আপনি তাও ওর সাথে ওমন করে কথা বলবেন না।

তাই বুঝি কিন্তু কেনো কেনো??(মজা করে বললো মেহরাব)

জানি না।

ওরা কথা বলছিলো তখনি মেঘ আর মেঘলা দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল।

আমরা এসে গেছি, (মেঘ+ মেঘলা)

ওহ আপু (এই বলে মাহি দৌড়ে গিয়ে মেঘলাকে জরিয়ে ধরলো তারপর দুজনে খুশিতে আআআআ করে লাফাতে লাগলো,, আর ওদিকে মেহরাব আর মেঘ ওদের কে হা করে দেখতে লাগল,,, মাহি আর মেঘলা দুজনকে ছাড়ার পর ওরা দুজন মেঘ আর মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে দাখে যে ওরা ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে)

কি হলো ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো??(মেঘলা+মাহি)

মেঘলা আর মাহির কথা শুনে মেহরাব আর মেঘ ও ওদের দেখিয়ে ওমন করে দুজন দুজকে জরিয়ে ধরলো,, একটু আগে মেঘলা আর মাহি যেমনটা করলো ওরাও তেমনটা করলো)

ড্রামাবাজ একটা (মেঘলা+মাহি)

,,,,,রাতে,,,,

হুম তাহলে এই বেপার বুঝলাম (মেঘলা)

কিন্তু মাহি তুমি যেমনটা বলছো তেমনটা কিন্তু নাও হতে পারে কেননা আমি নেহাল কে চিনি,, ছোট ভাই আমার, ও কিন্তু ভিষণ জেদী ওকে দিয়ে এসব করানো অনেক কঠিন হবে,, ও একবার যা চাবে সেটা নিয়েই ছাড়বে (মেঘ)

কিন্তু ভাইয়া একবার চেষ্টা করতে দোষ কোথায়?? আমরা সবাই মিলে একবার চেষ্টা করে দেখিই না কি হয় (মাহি)

ওকে তোমরা যখন বলছো তখন আমি তোমাদের সাহায্য করবো (মেঘ)

ইয়ে,,, কি মজা,, তাহলে দে তালি (হাত বারিয়ে)

ওকে দে তালি (মাহির হাতে তালি দিয়ে বলল মেঘ)

হয়েছে?? আপনাদের মিটিং?? আর মাহি ফুপিকে বলে তোকে আজকে রাতে এখানে থাকার জন্য বলেছি বলে কি তুই লেখা পড়া সব বাদ দিয়ে বসে থাকবি?? যা পড়তে বস,, আর তোর না কদিন পর ইয়ার চেঞ্জ পরিক্ষা?

হাহাহা আমি পরবো কেমনে আমি তো আমার বইই নিয়ে আসিনী(মাহি)

হিহিহি আমি জানতাম আপনি এ কথায় বলবেন,, যা সোহানের বই নিয়ে পড়,, পড়া চুন্নি একটা।

হুম যাচ্ছি। এই বলে মাহি চলে যাচ্ছিলো তখনি আবার মেঘলার কানে কানে বলল।

জানোতো আপু তোমার ভাই একটা আস্ত গাম্বাট মার্কা লোক (মেঘলা কানে ফিসফিস করে বলে মাহি দৌড়ে চলে গেলো)

এই কি বললোরে ও তোর কানে?? (মেহরাব)

ক,,,কই কিছু না তো??(মেঘলা)

হুম দুটোই এক,, বলবি কেনো??(এই বলে মেহরাবও চলে গেলো)

,,,সকালে,,,

সকাল হতে না হতেই মীরা ইয়া বড় একটা ব্যাগ নিয়ে হাজির।মাহি সোফায় বসে ছিলো, মীরা কে দেখে মনে মনে বলল।

এই তো চলে এসেছে,, নেকারানী..

চলবে,,,,?

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২২
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
এ আবার এখানে কেনো?? কি যানি তাতে আমার কি, আমাকে তো মেহরাব আসতে বলেছে (মাহি কে দেখে মনে মনে বলল মীরা)

আরে মীরা আপু তুমি এখানে হঠাৎ কি মনে করে??(যদিও জানি তবুও জিগাস করলাম)

একটা কাজ করি আগুন লাগিয়ে দিই,, মাহি মনে হয় জানে না যে মেহরাব আমায় আসতে বলছে,, আমি মাহি কে বলি তাহলে মাহি জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে,, আহ কি মজা (কথাগুলো মনে মনে ভেবে একটা শয়তানি হাসি দিলো মীরা তারপর বলল)

কি বলতো মাহি, আমি আসতে চাইনি মেহরাব ফোন করে এতো করে বললো তাই আসলাম।

কিহ মেহরাব ভাই তোমাকে আসতে বলেছে??(অবাক হওয়ার অভিনয় করে)

হুম তো,, ও বলেছে বলেই তো আসছি নইতো কি আসতাম আমি(মনে মনে খুশি হয়ে বলল মীরা)

ওহ আচ্ছা (মন খারাপের ভান করে)

আচ্ছা তুমি এটা বলো যে মেহরাব কোথায়??(মীরা)

জানি না, হয়ত উপরে আছে,, আচ্ছা মীরা আপু তোমাকে একটা কথা জিগাস করবো??(মাহি)

হুম বলো(মীরা)

তুমি কি সত্যি মেহরাব ভাই কে ভালোবাসো??(মাহি)

হ্যাঁ অবশ্যই, সেটা আবার বলতে (মীরা)

তা তুমি ওনার জন্য কি করতে পারবে (মাহি)

আমি, আমি,,আমি ওর জন্য হাত কাটতে পারবো,,,, তুমিও তো ওকে ভালোবাসো তো তুমি ওর জন্য কি করতে পারবে??(মীরা)

আমি??(মুচকি হেসে) আমি ওনার জন্য হাত কাটতে পারবো না, তবে ওনার জন্য নিজের চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি ঝড়াতে পারবো,, আমার প্রতিটা নামাজের মোনাজাতে
(গল্পের লেখিকার নাম,,,সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী)
আল্লাহর কাছে মন প্রান দিয়ে ওনাকে চাইতে পারবো,,, ওনার জন্য মরতে পারবো না,, কেননা আমি ওনার থেকে নিজেকে বেশি ভালোবাসি,, কারণ যে ব্যাক্তি নিজেকে নিজে ভালোবাসাতে পারে না সে অন্য কাউকে কীভাবে ভালোবাসবে?? ওনার জন্য মরতে পারবো না কেননা আমি ওনার সাথে একসাথে ওনার হাতে হাত রেখে অনেক বছর বাঁচতে চাই। আল্লাহর দরবারে দু ফোঁটা চোখের পানির বিনিময়ে আমি ওনাকে চাই।
হাত কাটতে তো সবাই পারে কিন্তু ভালোবাসার মানুষের জন্য চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি ঝড়াতে সবাই পারে না,, বুঝলে আপু(এই বলে মাহি চলে গেলো,, আর মাহির বলা প্রতিটা কথা সিঁড়ি থেকে দাড়িয়ে মেহরাব শুনলো,,,)

আমি কখনোই ভাবিনি আমার অবুঝ পরী টা আমায় এতোটা ভালোবাসে,,, আমি তোকে কথা দিচ্ছে নিজের সবটুকু দিয়ে তোকে ভালোবাসবো,, তোকে আগলে রাখবো,, কখনো কোনো কষ্ট তোকে ছুঁতে পারবে না,, যদি কখনো কোনো বিপদ আসে তাহলে নিজে ডাল হয়ে তোর সামনে দাঁড়াবো,,, নিজের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তোকে রক্ষা করবো,,, কেননা তোকে অনেক বেশি ভালোবাসিরে (মনে মনে কথাগুলো বলে উপরে চলে গেলো)

আচ্ছা মাহি ওগুলো কি বলে গেলো?? কাউকে ভালোবাসলে এমন ও করা যায় নাকি?? কিন্তু কই আমার তো এমন হয় না,, আমার তো শুধু মনে হয় আমার মেহরাব কে চাই,, সেটা যেকোনো মূল্যেই হোক না কেনো,,,
কেননা আমি কিছুতেই ওই মাহির কাছে হারতে পারবো না (এই বলে মীরা রুমে চলে গেলো)

,,,,,ওদিকে,,,

হ্যাঁ ফুপি শুনো না বলছি কি যে মাহির পরিক্ষার এ কদিন ও আমাদের এখানেই থাক,, সোহান এর সাথে পরবে আর এখন মেঘলাও তো আছে তোমার কোনো টেনসন করতে হবে না। (মেহরাব ফোনে বলল)

আচ্ছা ঠিক আছে,, তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে,, কিন্তু ওর জামা কাপড় গুলো তো নিয়ে যা নইলে ও পরবে কি??(মাহির মা)

ওটা তুমি বিকেলে মনির কে দিয়ে পাঠিয়ে দিও যদি ও না নিয়ে আসে তাহলে আমি সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরার সময় নিয়ে আসবো

আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে।এরপর ফোন রেখে দিলো।

যা ফুপিকে আমি বলে দিয়েছি,, এখন থেকে পরিক্ষার কদিন তুই এখানেই থাকবি,, তবে শুধু আড্ডা মারলেই হবে না পড়তেও হবে কিন্তু(মেহরাব)

ও আচ্ছা ঠিক আছে (গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল মাহি)

তা মেহরাব তুই তো এখন অফিস যাবি তাইতো?? চল আমিও যাবো দুজন একসাথে বার হয়,, আর হ্যাঁ আমি নেহাল কে ফোন করে বলে দিয়েছি ও বিকেলের দিকে চলে আসবে (মেঘ)

আচ্ছা ঠিক আছে তোরা এখন যা আমার মাহির সাথে কিছু কথা আছে (মেহরাব)

হুম থাকবেই তো,, মেঘ চলেন আমরা চলে যাই, (এই বলে মেঘলা একটা গান বলতে বলতে চলে গেলো,,, হাম তুম এক কামড়া মে বান্ধ হে)

এটা আমার বোন?? অবিশ্বাস্য (মেহরাব)

যেমন ভাই তার তেমন বোন (হাসতে হাসতে বলল মাহি)

তাই নাকি,, খুব কথা বলা শিখেছিস দেখছি।

শিখবোই তো,, দেখতে হবে না বউটা কার (ভাব নিয়ে বলল মাহি)

তাই না?? আচ্ছা শোন আমি এখন অফিস যাচ্ছি আর নেহাল যদি আসে তাহলে নেহাল আর মীরার থেকে সাবধানে থাকবি,, একা একা মস্তানি করতে যাবি না৷, সব সময় মা নয়ত মেঘলার সাথে থাকবি বুঝেছিস??(মাহির কাছে গিয়ে মাহির সামনের চুলগুলো কানের পিছে গুজে দিতে দিতে বলল মেহরাব)

আচ্ছা ঠিক আছে এমন ভাবে বলছেন যেনো মনে হচ্ছে আমি কোনো বাচ্চা।

বাচ্চাই তো,, ফিডারে মাংস খাওয়া বাচ্চা (এই বলে মেহরাব মাহির নাকটা টেনে দিয়ে কপালে একটা কিস করে বেরিয়ে গেলো)

ওনি কি বলে গেলো?? আমি ফিডারে মাংস খাই?? আপনি খান আপনার বউ খাই (জোরে চেচিয়ে বলল মাহি)

যেতে যেতে মাহির কথাগুলো শুনে মুচকি হাসলো মেহরাব,, কেননা পাগলিটা ভুলেই গেছে ও নিজেই আর কদিন পর আমার বউ হবে।
,
,
,
একি আপনি দরজা বন্ধ করছেন কেনো??(মেঘলা)

হাম তুম এক কামড়া মে বান্ধ হো (দরজা বন্ধ করে গানটা গাইতে গাইতে মেঘলার কাছে গেলো মেঘ)

এসব কি আপনি না অফিস যাবেন তাহলে এসব কি করছেন??(পিছাতে পিছাতে বলল মেঘলা)

কেনো তুমি না এইমাএ বললে যে হাম তুম এক কামড়া মে বান্ধ হে তো চলো এক কামড়ায় তো বান্ধ হয়েই গেছি, তাহলে বাকিটা শুরু করা যাক (মেঘলার কমোড় জরিয়ে ধরে বলল মেঘ)

এই না একদম না,, এখন এসব নয় যান অফিস এ যান (নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল মেঘলা)

না না অতো সহজে ছাড়ছি না আমার পাওনা আমি নিয়েই ছাড়বো (এই বলে যেই মেঘ মেঘলার ঠোটের দিকে আগালো তখনি রুমের বাইরে থেকে মেহরাব মেঘকে ডাক দিলো)

এই মেঘ কইরে দেরি হয়ে যাচ্ছে তো অফিস যাবি না??(টাই ঠিক করতে করতে বলল মেহরাব)

এই তোমার ভাই সব সময় আমার রোমান্স এর বারোটা বাজিয়ে দেয় কেনো বলো তো??,, সালা নিজে তো বউয়ের সাথে রোমান্স করে আসলো ওরে ভাই আমাকেও একটু করতে দে,, তা না ষাড়ের মতো চেঁচানো শুরু করেছে (মেঘলাকে ছেড়ে দিয়ে বলল মেঘ)

আর মেঘের কাহিনি দেখে মেঘলা তো হাসতে হাসতে শেষ৷

হাসো আরো বেশি করে হাসো যেমন ভাই তার তেমন বোন যত্তসব,,, তবে তোমাকে ছাড়ছি না রাতে এসে দেখাবো মজা(মেঘলার কানে কানে বলল মেঘ)

কিরে আয় দেরি হয়ে যাচ্ছে তো (বাইরে থেকে আবার ও ডাকলো মেহরাব)

ওরে আসছি রে ভাই,, কেনো যে এখানে আসলাম,, আমি শিওর এখানে থাকলে আমি আর জীবনে বাবা ডাক শুনতে পারবো না,,, বন্ধুর বোনকে বিয়ে করলে এমনি হয় (এসব বিরবির করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো মেঘ)

আর মেঘলা হাসতে হাসতে বলল পাগল একটা।

,,,,বিকালে,,,

মেঘলা আপু জলদি আসো দেখে যাও নিচে কি হচ্ছে,, বাহ কিয়া সিন হে (মেঘলা কে ডাকতে ডাকতে বলল মাহি)

চলবে,,,,,,?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here