ভালোবাসি_বুঝে_নাও?? #পর্ব_২৫,২৬

0
979

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২৫,২৬
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
২৫

৭ দিন পর।

বাড়ির সবাই মিলে আজকে শপিং এ এসেছে শুধু মেঘলা বাদে ওকে এই অবস্থায় আনিনি, আর কয়েকদিন পরই বিয়ে তাই সবাই মিলে হইহই করে শপিং করতে চলে এসেছে।

এই শুনুন আমি কিন্তু আপনাকে একদম বিয়ে করবো না (একটা দোকানের সামনে দাড়িয়ে মেহরাব ফোন টিপছিলো আর বাকিরা দোকানের ভেতরে সব কিছু দেখছিলো তখনি কোথা থেকে মাহি এসে মেহরাব এর হাত ধরে টেনে সাইড এ নিয়ে গিয়ে এই কথাটা বলল)

কিন্ত কেনো??(অবাক হয়ে বলল মেহরাব)

সেই আশি বছর আগে আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম আপনি এখনো তার উওর টাই দিলেন না,, ওকে দেওয়া লাগবে না, তাহলে হার মেনে যান।

নো ডেয়ার তুই বলেছিলি যে আমি যত ইচ্ছে সময় নিতে পারি,, তবে এখন কেনো এমন বলছিস হুম?? আমার যখন ইচ্ছে হবে তখন উওর দেবো ওকে। আর হ্যাঁ বিয়ে তো হবেই দরকার পরলে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো তবুও বিয়ে হবেই (মেহরাব)

আমি সত্যই বোকা কোন কুক্ষণে যে বলেছিলাম যে যত ইচ্ছে সময় নেন হুট এখন নিজেই ফেসে গেলাম।তবে আপনি উওর দিতে এতো দেরি করছেন এই জন্য শাস্তি হিসেবে আমি বিয়ের আগ পযন্ত আপনার সাথে দেখাও করবো না আর কথাও বলবো না।

ওকে ফাইন না বললি তাতে কার কি,, এখন সামনে থেকে সর তো,, দেখি বাকি সব কোথায় (এই বলে মেহরাব ফোন টিপতে টিপতে চলে গেলো)

কিহ?? এতো বড় অপমান ঠিক আছে আমিও কথা বলবো না দেখি কি হয় হুম, এই যে আমার ফোন আমি বাড়ি গিয়েই মেঘলা আপুর কাছে রেখে দেবো তারপর একেবারে বিয়ের পর দিনই নেবো,, কি ভাবে কি নিজেকে হুম (কথাগুলো বলে মাহি ও চলে গেলো)

সবাই শপিং করে একেবারে গাড়ি ভরে ফেলছে সেই সকালে আসছে আর এখন সন্ধ্যা সত্যি মেয়ে মানুষ নিয়ে শপিং এ এলে যা হয়। তারপর সবার সবার বাড়ি চলে গেলো।
মাহিও তার কথা অনুযায়ী ওর ফোন মেঘলার কাছে দিয়ে দেছে ও পণ করেছে যে বিয়ের আগে নো দেখাদেখি আর নো কথা বলাবলি।

দুইদিন হয়ে গেছে এর মধ্যে মাহি মেহরাব এর সাথে কোনো কথাও হয়নি আবার দেখাও হয়নি হবে কি করে ওদিকে যে মেঘও মেহরাব এর ফোনটা নিয়ে নেছে কি জালা।

মাহি এই রুম থেকে বার হ দাখ কারা আসছে।

মায়ের কথায় মাহি রুম থেকে বেরিয়ে বাইরে গিয়ে দেখল,, ছোট মামা, ছোট মামী, রকি রাকিব, ইশিতা আর নানু এসেছে,, মাহি তো হেব্বি খুশি দৌড়ে গিয়ে নানু আর ইশিতা কে জড়িয়ে ধরল।

আরে ছাড় ছাড় পড়ে যাবো তো বুড়ো হয়ে গেছি তো এখন,,,বাবা ভাবা যায় আমার সেই ছোট্ট মাহিটাও বিয়ে (নানু)

হ্যাঁ নানু, এই তুই আমার ছোট হয়েও আগে আগে বিয়ে করছিস কেনো?? আরো ২ বছর অপেক্ষা করতি তাহলে আমি একবারে বর সমেত আসতাম (ইশিতা।ইশিতার ও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তবে সেটা এখনো দেরি আছে ১ বছর পর,, কেননা ইমরান সবে জবটা পেয়েছে আগে সব কিছু ঠিকঠাক করবে তারপর বিয়ে,, তবে ওদের শুধু আংটি পরানো হয়েছে।)

আরে আপু তুমি তো বর সমেত আসতে কিন্তু আমি তোমার বিয়েতে বেবি সমেত যাবো দেখে নিও (ফিসফিস করে বলল মাহি)

তবে রে পাজি মেয়ে।

আচ্ছা অনেক হয়েছে দুষ্টামি এখন সবাই রুমে চলো অনেক দূর থেকে আসছে সবাই। এরপর ওরা সবাই রুমে চলে গেলো রেস্ট নিতে।

,,,,,বিকালে,,,,,

সোফার রুমে বসে ইশিতা,, নানু,, রকি রাকিব আর ছোট মামি সবাই মিলে ফোনে মেঘলা আপু মেঘ ভাইয়া আর মামীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে,, আর আমি দূর থেকে উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি যদি মেহরাব কে দেখা যায় সেই আশায়।

কিরে মাহি তুই ওখানে কি করছিস?? (ইশিতা)

কিরে ইশিতা আপু আমার দিকে না তাকায়ে দেখলো কেমনে (মনে মনে বলল মাহি)

আচ্ছা আপু তুমি আমায় দেখলে কামনে??

আরে ঢেপি তোকে ফোনে দেখা যাচ্ছে যা ওখান থেকে রুমে যা,, আমরা কথা বলছি দেখিস না??

হ্যাঁ নানু যাও রুমে যাও (নানু)

হুট দেখতেই পারলাম না৷, তাই রাগ করে ওখান থেকে রুমে চলে আসলাম, আর আমি ওখান থেকে আসতে ওখানে হাসির রোল পড়ে গেলো।

ওদিকে,,,,,

আহারে আমার একমাএ শালির অবস্থা দাখো খুবি করুন (মেঘ)

তা যা বলেছেন,, আচ্ছা ভাইয়া ওদিকে মেহরাব ভাই এর কি অবস্থা?? (ইশিতা)

আরে ওর অবস্থা তো পুরাই শোচনীয়,, বেচারা বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে গেছে (মেঘলা)

তবে যাই বলিস না কেনো তোরা কিন্তু এটা ঠিক করছিস না,, এভাবে ওদের সাথে মজাটা না করলেও পারতিস,, আহারে বেচারা না পারছে বলতে না পারছে সইতে (ছোট মামী)

আরে ছোট কাকী এটাই তো মজা ও তুমি বুঝবা না (মেঘলা)

হ্যাঁ হ্যাঁ আরে এখন না মজা করলে কখন করবে শুনি এটাই তো মজা করার বয়স।(নানু)

ওরা যখন কথা বলছিলো তখন মেঘ দেখলো যে ওদের পিছনে মেহরাব উঁকি ঝুকি মারছে,, একবার এদিক যাচ্ছে তো আবার ওদিক যাচ্ছে।

ধুর কেনো যে সেদিন মেয়েটাকে ক্ষেপাতে গেলাম,, এখন তো আমার হাল বেহাল হয়ে যাচ্ছে কি যে করি,, আর এই মেয়েটাও না একটু ওদের পিছনে দাড়িয়ে থাকলে কি হতো,, কথা না বলতে পারি একবার দেখতে তো পারতাম (আপডাওন করতে করতে কথাগুলো নিজে নিজেই বলল মেহরাব)

এই কিরে তুই এখানে কি করছি হুম??(মেঘ)

হ্যাঁ ভাইয়া তোর এখানে কি কাজ?? তুই না রুমে বসে কাজ করছিলি তাহলে এখানে কি??(মেঘ)

আ,,,আমি তো ওই হেঁটে হেঁটে খাবার হজম করছিলাম আসোলে আজকে খাওয়াটা একটু বেশি হয়ে গেছে তো তাই (একটু হাসার চেষ্টা করে)

কিন্তু তুই তো সেই দুপুরে খেয়েছিস, তারপর তো কিছু খাসনি তাহলে?? এখন হাঁটছিস কেনো??(ভ্রু কুঁচকে বলল মেঘ)

দুপুরে খেয়েছি না?? ইস কেনো যে দুপুরে খেলাম এখন কি বলি (নিজে নিজে বলল মেহরাব তারপর বলল)

আরে আ,,,আমি তো প,,পানি হ্যাঁ রাইট পানি খেতে এসেছি হে হে হে।

পানি খেতে তুই এতো দূর আসলি?? কেনো?? সিঁড়ি থেকে নেমেই তো পাশেই রান্নাঘর তুই তো ওখান থেকেই নিতে পারতিস আবার ডাইনিং থেকেও তো নিতে পারতিস তাহলে এতোদূর আসলি কেনো??(ভ্রু কুঁচকে জিগাস করলো মেঘ)

এতো বেশি বুঝিস কেনো তুই?? আমার ইচ্ছে হয়েছে আমি সেন্টা টেবিল থেকে পানি খাবো তাই আসছি ওকে ,, সর সামনে থেকে (এই বলে যেই মেহরাব রুমের দিকে যাবে তখনি মেঘ বলল)

কিরে তুই না বললি যে পানি নিবি তাহলে না নিয়ে চলে যাচ্ছিস কেনো??(সন্দেহের চোখে বলল বলল মেঘলা)

ওহ হ্যাঁ তাই তো,, কই পানি,, তারপর মেহরাব পানি নিয়ে বড়বড় পা ফেলে চলে গেলো।

মেহরাব যেতেই মেঘ মেঘলা, আর বাকি সবাই হু হা করে হেসে উঠল।

চোর ধরা পড়ে গেছে গো (বলেই হেসে উঠল মেঘ)

তোরা এভাবে আমার ছেলেটার পিছনে কেনো পড়ে আছিস বলত,, ছাড় না ওকে দেখছিস তো বেচারার অবস্থা (রুপালী)

আরে আম্মু তুমি আমাদের মাঝে এসো না তো,, আগে আগে দেখো হোতা হে কেয়া।

,,,,,রাতে,,,,

চলবে,,,,,,?

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২৬
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
,,,রাতে,,,,

তা কালকে তো গায়ে হলুদ কোনো কমিউনিটি সেন্টার বুক করেছেন নাকি ভাবি?? (মাহির ছোট মামি)

না,, মাহির আব্বু আর মেহরাব বলল যে বাড়িতেই অনুষ্ঠান টা করতে,, আর সবাই তো কমিউনিটি সেন্টার এ অনুষ্ঠান করেই তাই ওরা নাকি বাড়িতেই সব কিছু করবে,, (মাহির মা)

হ্যাঁ মামি, আর কি বলতো,, মেহরাব ভাই ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে আসবে আর আমি পালকিতে (খুশি হয়ে বলল মাহি)

এই তুই এতো বেশি কথা বলিস কেনো হুম?? জানিস না বিয়ের কণেদের বেশি কথা বলতে হয় না,, তাদের লজ্জা পেয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয় (ইশিতা)

লজ্জা?? হা মাহি লজ্জা পাই না বুঝেছো??, আর এতো কিছুই না বিয়ের দিন কি করি সেটা দেখো (ফিসফিস করে বলল মাহি)

কিরে সর্বনাশী মেয়ে আবার কি করবি তুই??

হা হা আগে আগে দেখো হোতা হে কেয়া।

এই ভুলভাল কিছু করিস না আবার,, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।

আরে আপু তুমি চিন্তা করো না, আমি ওমন কিছুই করবো না দেখো।

হুম না করলেই ভালো, তবুও তোকে নিয়ে আমার একটুও বিশ্বাস নেই, না জানি আবার কি সব করে বসিস।

করবো তো বটেই আর যা করবো না তোমরা সবাই দেখে একেবারে হা করে থাকবে (মনে মনে বলল মাহি)

তারপর আরো কিছুক্ষণ নানু মামী আর রকি রাকিব ইশিতা আপুদের সাথে আড্ডা দিয়ে আমি আর ইশিতা আপু রুমে গিয়ে অনেকক্ষণ গল্প করে যে যার মতো করে ঘুমায় গেলাম,।

,,,,ওদিকে,,,

উফফ এই মেঘদের জন্য আমার লাভ লাইফ টা কাথা বালিশ হয়ে যাচ্ছে,,, নয়ত কি আর এখন এতো রাতে এই পাঁচিল টপকে নিজের আপন হাফ বউকে চুপিচুপি দেখতে যাওয়া লাগে??(নিজেদের বাড়ির পাঁচিল টপকাতে টপকাতে বলল মেহরাব)

উফ এতো উঁচু করে পাঁচিল দিতে বলেছিলো কে এখন এটা পার করতেই তো আমার জান যায় যায় অবস্থা,,, গেট দিয়েও তো যেতে পারবো না ওখানে আবার দারোয়ান কাকা আছে,, আর ওনি যদি একবার ঠিক পেয়ে যায় তবে বাড়ির সবাইকে ডেকে তুলবে আর আমার ইজ্জতের ফালুদা হয়ে যাবে।

তারপর অনেক কষ্টে পাঁচিল টা টপকে রাস্তায় নামলাম এখন রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা বাজে এতোক্ষণে নিশ্চয়ই সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, রাস্তায় তেমন কোনো মানুষ নেই মাঝে মাঝে দু একজন যাচ্ছে ,, হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে নিজের হাফ শশুর বাড়ির সামনে আসলাম।
কিন্তু কথাটা হলো ভিতরে যাবো কামনে,, তারপর বহু কষ্টে বারান্দা দিয়ে মাহির রুমে গেলাম, কিন্তু একি মেয়ে তো দিব্যি নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
কি পাজি মেয়ে আমার ঘুম হারাম করে নিজে ঘুমানো হচ্ছে না?? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।

তারপর পকেট থেকে রুমালটা বার করে আস্তে করে ওর চোখটা বেধে দিলাম আর পাশ থেকে উড়না টা নিয়ে ওর মুখটাও বেধে দিলাম বলা তো যায় না যদি চিৎকার করে উঠে তাহলে তো আবার সম্যসা,
এরপর আস্তে আস্তে ওকে ইশিতার পাশ থেকে তুলে কোলে নিয়ে ছাদের দিকে গেলাম।

বেশ আরাম করেই ঘুমাচ্ছিলাম, কিন্তু হঠাৎ করেই মনে হলো আমি যেনো হাওয়ায় ভাসছি, কিন্তু কীভাবে?? এটাও কি সম্ভব?? তাহলে কি আমাকে জ্বীনে ধরলো?? জ্বীনের কথা মনে হতেই আমি তড়িঘড়ি করে চোখ খুললাম কিন্তু একি আমি তো কিছু দেখতেই পাচ্ছি না চারিদিকে অন্ধকার, চিৎকার করার জন্য মুখ খুলতে গেলেও মুখ খুলতে পারলাম না, হায় হায় এখন আমার কি হবে।

আবার কালকে তো আমার বিয়ে তাহলে কি মেহরাব ভাই এর সাথে৷ আমার বিয়েটা হবে না?? তখনি অনুভব করলাম আমার দুহাত খোলা তাই ভাবলাম হাত পা ছড়া ছড়ি করবো তাহলে যদি জ্বীন আমায় ছেড়ে দেয়,
যেই ভাবা সেই কাজ হাত টা এদিক ওদিক করতেই কারো পিঠে আমার হাত লাগলো ভালো করে হাতরে দেখলাম, ওমা এতো জ্বীন না এতো দেখি একটা মানুষ, তাহলে কি কেউ আমায় কিডন্যাপ করছে??

না এটা তো হতে পারে না,, দাড়াও বেটা দেখাচ্ছি মজা এই বলে আমি হাতরে হাতরে লোকটার চুলটা ধরে জোরে টান দিলাম৷

কেবলি ছাঁদে আসলাাম যখনি মাহিকে কোল থেকে নামাবো তখনি বজ্জাত মেয়ে আমার চুলটা ধরে দিলো টান।

আউচ (মাহিকে কোল থেকে নামিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বললাম)

এই বেটা বদ তুই কেরে এতো বড় সাহস আমায় কিডন্যাপ করতে এসেছিস (মুখের বাঁধন খুলে বলল মাহি)

এটা কি করলে পাজি মেয়ে আমার সব গুলো চুল তুলে ফেলছো মনে হয়।

এই কিরে তোর কন্ঠটা আমার মেহরাব ভাই এর মতো লাগছে কেনো??(চোখের বাঁধন খোলার চেষ্টা করে)

আরে গাধা আমি মেহরাবই (রেগে বলল মেহরাব)

কিহ??? আপনি??? এতো রাতে এখানে কি করছেন??

হা ডু ডু খেলছি(দাঁতে দাঁত চেপে বলল)

আরে রেগে যাচ্ছেন কেনো?? আর এভাবে আমার মুখ আর চোখ বেধেছেন কেনো?? কীভাবে বেধেছেন খুলতেই পারছি না।

মুখ বেধেছি যাতে তুই চিৎকার না করতে পারিস এই জন্য আর চোখে বেধেছি যাতে তুই আমায় দেখতে না পাস এই জন্য,, তুই তো বলছিলি যে বিয়ে আগে নো দেখা দেখি।

আরে আমি বলছিলাম বলে কি আপনি আর দেখা দেবেন না,, আবার যোগাযোগ ও অফ করে দেবেন?? আপনি কত নিষ্ঠুর মেহরাব ভাই,, (চোখের বাঁধন খুলে বলল)

কি আমি নিষ্ঠুর?? আর আমি যোগাযোগ করবো কীভাবে আপনার প্রাণের মেঘ ভাইয়া আমার ফোন নিয়ে নিছে তাই জন্যই তো যোগাযোগ করতে পারিনি (মাহিকে দেওয়ালের সাথে ঠেসে ধরে বলল)

আচ্ছা বুঝলাম যে এই কারণের জন্য কথা বলতে পারেন নাই তাহলে দেখা করেন নাই কেনো??(মুখ ফুলিয়ে বলল মাহি)

আরে বোকা মেয়ে তাহলে আমি এখন এতো রাতে পাঁচিল টপকে কেনো এখানে এসেছি??

কেনো হা ডু ডু খেলতে।

ওহ খোদা আমি এ কার সাথে কথা বলছি,, (নিজের মাথা চেপে ধরে বলল মেহরাব)

কি হয়েছে মেহরাব ভাই মাথা বেথ্যা করছে??

চুপ একদম চুপ এখানে চুপচাপ দাড়িয়ে থাক আমি আমার তৃষ্ণা মেটাবো এখন,,, গোটা তিনদিন দেখিনি তোকে, আমি এখন তোকে মন ভরে দেখবো আর তুই চুপচাপ দাড়িয়ে থাক।

তাহলে তো আমার পা বেথ্যা করবে।

এটা বলার সাথে সাথে মেহরাব মাহিকে কোলে তুলে নিলো আর ছাঁদে রাখা দোলনায় গিয়ে বসল। তারপর মাহিকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বলল।

এখানে চুপচাপ বসে আমার সাথে চন্দ্র বিলাস কর।

মাহিও বাধ্য মেয়ের মতো বসে থাকলো কোনো কথা না বলে।

অন্যদিকে,,,,,

মেঘ উঠুন না আমার খুব পানি পিপাসা পেয়েছে পানি খাবো আমি উঠুন উঠুন (শোয়া থেকে উঠে বসে মেঘকে ধাক্কা দিয়ে বলল মেঘলা)

কি,,কি, ও তুমি পানি খাবে?? আচ্ছা তুমি বসো আমি পানি আনছি (ধরফরিয়ে উঠে বসে বলল মেঘ,,, আজকাল খুবি ভয়ে থাকে মেঘলাকে নিয়ে,, না জানি কখন কি হয়ে যায়)

তারপর মেঘ বিছানা থেকে নেমে টেবিলের উপর থেকে পানির জগটা নিয়ে দাখে ওতে পানি নেই।

যাহ এতে তো পানি নেই, আচ্ছা তুমি বসো আমি নিচে থেকে পানি আনছি।

এই বলে মেঘ নিচে নেমে ডাইনিং টেবিল থেকে পানি নিয়ে রুমে যাওয়ার সময় দেখলো যে মেহরাব এর ঘরের দরজা খোলা।

কি বেপার এতো রাতে মেহরাব দরজা খুলে রেখে কি করছে দেখি তো।

তারপর মেঘ মেহরাব এর রুমে গিয়ে দাখে যে রুমের কোথাও মেহরাব নেই,,, বাথরুম ব্যালকণি কোথাও নেয়,, তারপর মেঘ কিছু একটা ভেবে মুচকি হেসে ওখান থেকে নিজের রুমে চলে যাই।

আমাদের মজনু তো তার রুমে নেই আমার মনে হয় লাইলীর কাছে গেছে (বিছানায় বসতে বসতে বলল মেঘ)

মানে??

মানে হলো তোমার ভাই তার রুমে নেই,।

কিহ সত্যি?? তাহলে নিশ্চয়ই মাহির কাছে গেছে এই ইশিতাকে ফোন করো দাখো মাহি কোথায়,, আজকে ওদের কে হাতে নাতে ধরতে হবে।

নাহ থাক তিনিদিন ওদের অনেক জালিয়েছি বেচারারা আজকে একটু প্রেম করুক।

বাবা এতো দেখি পুরো প্রেমিক পুরুষ হয়ে গেছে।

হবোই তো তোমার মতো নিষ্ঠুর নাকি??

,,,,,সকালে,,,,

,,,চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here