ভালোবাসি_বুঝে_নাও?? #পর্ব_২৭,২৮

0
1027

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২৭,২৮
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
২৭

সেই কখন থেকে ইশিতা মাহিকে ডেকেই চলেছে কিন্তু মাহির উঠার কোনো নাম গন্ধ ও নেই,,, এদিকে বাড়িতে মানুষ জন আসতে শুরু করেছে,, কোন মেয়ে আছে যে কিনা তার গায়ে হলুদ এর দিন বেলা নয়টা দশটা পযন্ত ঘুমাই,, লোকে কি বলবে।

এই মাহি উঠ দাখ কয়টা বেজে গেছে মানুষ কি বলবে,, আর তোর শশুর বাড়ির লোকজন রাও বা কি ভাববে?? ভাববে যে দাখো আমারা যাকে বাড়ির বউ করবো সে তো দেখছি লাট সাহেব এর বেটি, বেলা নয়টা দশটা অবধি ঘুমায়,, আর তোর বর ই বা কি মনে করবে (মাহিকে ঝাকাতে ঝাকাতে বলল ইশিতা)

আমার বর কি ভাববে এটাই ভাবছো তো তুমি??(ঘুম ঘুম কন্ঠে বলল মাহি)

হুম হুম।

খবর নিয়ে দাখো আমার বর ও এখন আমার মতো ঘুমাচ্ছে,, তাই আমায় না ডেকে যাও তো নিজের কাজে যাও (এই বলে আবার ও ঘুমাই গেলো)

একি মেয়েরে বাবা, বলে কি না ওর বর ও এখন ঘুমাচ্ছে,, কিন্তু ও জানলো কি করে,?? আর মেহরাব ভাই ওর মতো এতো অলস নয় ওনি নিশ্চয়ই সেই কাক ডাকা ভোরে উঠে পরেছে,, যতই হোক ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে হচ্ছে বলে কথা, ওনার তো খুশি ধরেই না,, (একা একাই বলল ইশিতা)

,, ওদিকে,,,

কি উঠাতে পারলে তোমার ভাইকে??(ফোন টিপতে টিপতে বলল মেঘ)

আর বলবেন না এতো করে ডাকলাম তাও উঠলো না, আবার বলে কি না যে,, আমার বউ যেখানে এখনো ঘুমাচ্ছে সেখানে আমি এতো সকালে উঠে কি করবো,, আজব ও জানলো কীভাবে যে মাহি এখনো ঘুমাচ্ছে,,,?? (বিছানায় বসতে বসতে বলল মেঘলা)

আরে আমি তোমায় রাতে বললাম না?? যে তোমার ভাই তার জানের কাছে গিছিলো, এসেছে তো আযানের একটু আগে, তাও আবার পাঁচিল টপকে ভাবা যায়।

আপনি জানলেন কি করে??

আমি দেখেছি বলেই তো বলছি,, আচ্ছা বাদ দাও ওকে ঘুমাতে দাও একটু পরে ডেকে দিও।

ওরা কথা বলছিলো তখনি মেঘলার ফোন বেজে উঠল।

এখন আবার ইশিতা ফোন করল কেনো,, ওদিকে আবার কোনো সম্যসা হলো নাকি??(ফোন হাতে নিয়ে বলল মেঘলা)

আমাকে জিগাস না করে ফোনটা ধরে ইশিতা কেই জিগাস করো তাহলেই তো হয়।

আচ্ছা তাই বরং করি।

হ্যাঁ ইশিতা হ্যাঁ বল ওদিকে কোনো সম্যসা হয়নি তো???

আরে না এদিকে কিছু হয়নি,, তুমি আগে বলো মেহরাব ভাই কি করে এখন??

কেনো বল তো??

আহা আগে বলোই না।

আর বলিস না, ও তো এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে কত করে ডাকলাম তাও উঠলো না।

কি বলো সত্যি মেহরাব ভাই ঘুমাচ্ছে?? (অবাক হয়ে বলল ইশিতা)

হা তো,, কেনো কি হয়েছে??

আরে এদিকে তো মাহিও পড়ে পড়ে ঘুমায় ডাকতে গেলে বলে যে যেখানে আমার বরও ঘুমাচ্ছে সেখানে আমি এতো তারাতারি উঠে কি করবো।

কিহ?? মাহিও এখনো ঘুমাচ্ছে?? (অবাক হয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলল মেঘলা)

মেঘ মেঘলার কাছ থেকে ফোন নিয়ে ইশিতাকে বলল।

শালি সাহেবা ঘুমাতেও দাও ওদের কি বলোতো ওদের এখন এই ঘুমটা দরকার।

কিন্তু কেনো??

কেননা ওদের প্রেমরোগে ধরেছে বুঝলে।

হম হু কিছুই বুঝি নাই।

বুঝবা সময় হলেই বুঝবা,,

——————————————————-

মেহরাব এর বাড়ি থেকে হলুদ নিয়ে চলে এসেছে,, মেহরাব এর গায়ে ছোয়ানো হলুদ নিয়ে,, মেয়েরা সবাই হলুদ শাড়ি পড়েছে, কেউ কেউ আবার লাল পেড়ে সাদা শাড়িও পরেছে,,, মেঘ মেঘলাকে আসতে নিষেধ করেছে কিন্তু তবুও মেঘলা জোর করেই আসছে,,,।
মাহিকে স্টেজ এ বসানো হয়েছে,, এরা করে হলুদ শাড়ি পড়ানো হয়েছে আর ফুলের গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। মাথায় টিকলি, নাকে নথ,, হাতে পায়ে গলায় ফুলের গহনা,, একেবারে ফুল কুমারি।

বাবা আজকে তো আমাদের মাহি কে একেবারে ফুল রাজ্যের রাজ কন্যার মতো লাগছে(মাহির পাশে বসতে বসতে বলল মেঘলা)

সত্যি বলছো আপু?? সুন্দর লাগছে তো?? তাহলে চলো কয়েকটা সেলফি তুলে ফেলি (খুশি হয়ে বলল মাহি)

মাহির কথা শুনে মেঘলা তো থ অবাক হয়ে গেলো আর মাহিকে বলল।

এই মেয়ে আস্তে কথা বল আর এমন ছটফট করছিস কেনো?? চুপচাপ থাক লোকে কি বলবে যে বিয়ের কণে নিজের বিয়েতেই কেমন লাফালাফি করছে।

ওকে ভালো করে বোঝাও মেঘলা আপু আমি কাল থেকেই বুঝাচ্ছি,, যে বিয়ের কণেকে এমন করতে হয় না, কিন্তু কে শোনে কার কথা(ইশিতা)

আরে তোমরা জানো না আমি বেশিক্ষণ চুপ থাকতে পারি না,, আর তাছাড়া আমি আমার বিয়ে নিয়ে ভীষন এক্সাইটেড তাই আমাকে বিয়েটা এনজয় করতে দাও তো। আর এ তো কিছুই না দেখো কালকে কি করি (মাহি)

এই কাল আবার কি করবি?? (মেঘলা)

কি জানি কি করবে আমাকেও তো বলছে যে দেখো বিয়ের দিন কি করি,, কি যে করবে আল্লাহ জানে (ইশিতা)

হ্যাঁ আপু আমার তো কালকের দিন টা নিয়ে অনেক প্লানিং করেছি (মাহি)

কি করবি তুই??

উমমম বলা যাবে না,, শুধু দেখবে আমি কি করি (মাহি)…

তারপর ভালোভাবেই মাহির গায়ে হলুদ সম্পন্ন হলো।

,,,,,রাতে,,,,

উফফ বিয়ে করতে কত্ত ঝামেলা জীবন বার হয়ে গেলো,, আগে জানলে এতো ঝামেলা কে করতো, মেহরাব ভাই কে নিয়ে সোজা পালিয়ে যেতাম,,, সত্যি বিয়ে দেখতে ভালোই লাগে কিন্তু করতে ভীষণ কষ্ট (গা থেকে সব কিছু খুলতে খুলতে বলল মাহি)

এই খুলিস না আগেই খুলিস না (পিছন থেকে বলল মেহরাব)

মাহি চমকে পিছনে তাকিয়ে দাখে মেহরাব বারান্দা দিয়ে রুমে আসতে আসতে কথাগুলো বলছে।

একি আপনি এখানে??

হুম আমি৷ সারাদিন তোকে এতো ফোন দিলাম ধরিসনি কেনো??

ওই যা আমি তো মেঘলা আপুর কাছ থেকে ফোন নিতে ভুলেই গেছি (মাথায় হাত দিয়ে বলল মাহি)

হুম আমি জানি তো তুই একটা গবেট।

এই আমাকে একদম গবেট বলবেন না,,, তাহলে কিন্তু বিয়ে ক্যান্সেল করে দেবো।

ওকে আমার নানি আমি আর বলছি না,, আপনি দয়া করে বিয়েটা ক্যান্সেল করবেন না৷ তাহলে যে এই অধম বনবাসে চলে যাবে।

আচ্ছা অনেক হয়েছে,, এখন বলেন তো আপনি এতো রাতে এখানে কি করছেন?? আর কেউ দেখে ফেললে কি মনে করবে।

আমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে এসেছি নয়ত ওই ফাযিল গুলোর দল আমার ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দিতো,,, আর আমি এখানে এসেছি আমার বউকে হলুদ লাগাতে। (মাহির একদম কাছে গিয়ে বলল মেহরাব)

কিন্তু এখানে তো হলুদ নেই আর আমার গায়ে তো সবাই হলুদ লাগিয়েই দিয়েছে আর এখন আমি গোসল করবো।

হলুদ নাই কে বলল এই তো হলুদ (মাহির গায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,, কেননা মাহির কপালে দুগালে থুতনিতে আর গলায় হলুদ লেগে আছে)

কিন্তু এখান থেকে আপনি হলুদ নিবেন কীভাবে??

এই যে এভাবে। এই বলে মেহরাব নিজের মুখ মাহির দিকে এগিয়ে আনলো আর মাহি চোখ দুটো বন্ধ করে নিলো।
মেহরাব আস্তে আস্তে নিজের মুখ মাহির মুখের সাথে হালকা করে ঘষে দিলো আর মাহির মুখ থেকে হলুদ মেহরাব এর মুখে লেগে গেলো, সাথে মেহরাব এর মুখের ছোট ছোট খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি তে মাহির মুখে বেথ্যা লাগল।

আউচ,, কি করেন বেথ্যা পাই তো (অস্পষ্ট সরে বলল মাহি)

মাহির কথা শুনে মেহরাব মাহির মুখে একটা চুমো দিয়ে দিলো তারপর নিজের মুখটা মাহির গলার কাছে নিয়ে গেলো আর গলায় লেগে থাকা হলুদে নিজের গালটা হালকা করে ঘষে দিলো। মাহি তো চোখ খিঁচে বন্ধ করে রেখেছে আর দুহাত দিয়ে নিজের শাড়ি খামচে ধরে রেখেছে।

মেহরাব নিজের মুখটা মাহির গলাতে রেখেই বলল৷

এই তো হলুদ নেওয়া দেওয়া হয়ে গেলো,, ব্যাস আজকে এইটুকুই বাকিটা কাল রাতে (নেশা ভরা গলায় বলল)

মাহি তো মেহরাব এর কথায় লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে নিজের চোখ দু’টো অফ করেই রেখেছে।

মেহরাব মাহির গলায় মুখ গুজে বলল।

,,,,ভালোবাসি,,,,,

চলবে,,,,,??

(কালকে বিয়ে, আর বিয়েতে হবে ধামাকা,, সবাই বিয়েতে আসবা কিন্তু☺☺☺)

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২৮ (বিয়ে_স্পেশাল?)
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
সারাবাড়ী সাজানো হয়েছে নানা রকমের ফুল আর মরিচ বাতি দিয়ে,,, বাড়িতে মানুষ ভর্তি যে যার মতো কাজে ব্যাস্ত প্রায় বিকেল হতে চলল,,

এতো ছটফট করছিস কেনো?? চুপচাপ বস কাজল টা পরাতে দে(ইশিতা)

আচ্ছা আপু বর আসছে না কেনো?? কখন আসবে??(মাহি)

বাবা এ মেয়েতো দেখি বিয়ে করার জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে (পাশ থেকে এক মেয়ে বলে উঠল)

দেখেছিস সবাই কি বলছে চুপচাপ বসে থাক (ইশিতা)

মাহি মুখ ফুলিয়ে বসে থাকল,,, ভারী লেহেঙ্গা আর এতো ভারি ভারি গহনার ভারে আমি কাত,,

বাহ মাহি তোকে এই লাল লেহেঙ্গা তে তো একদম বলিউডের নায়িকাদের মতো লাগছে,, আম শিওর আজকে মেহরাব ভাই তোকে দেখলে নির্ঘাত ভিমরি খাবে।

আমাকে দেখে ভিমরি খাবে এটা তো আমি জানি কিন্তু আজকে আমি যা করবো না সেটা দেখে সবার চোখ একেবারে টেরা হয়ে যাবে (মনে মনে বলল মাহি)

ওরা কথা বলছিলো তখনি বাইরে সবাই বলে উঠলো বর আইছে বর আইছে।

নে তোর অপেক্ষার অবসান হলো মেহরাব ভাই এসে গেছে।

হ্যাঁ দাখ গিয়ে আমার ভাইকে একেবারে রাজ কুমারের মতো লাগছে,,যেনো ঘোড়ায় চড়ে তার রাজ কন্যা কে জয় করে নিয়ে যেতে এসেছে,, হায় নাজর না লাগ যায়ে (রুমে আসতে আসতে বলল মেঘলা)

এই মেয়ে এতো জোরে জোরে হাঁটো কেনো?? একটু আস্তে হাঁটা যায় না??(মেঘলার পিছু পিছু আসতে আসতে বলল মেঘ)

এই আপনি এখানে কেনো??যান বাইরে যান ভাইয়ার কাছে যান(মেঘলা)

না আমি এখানেই থাকি তোমাকে নিয়ে আমার একটু বিশ্বাস নেই যদি পরে যাও এমনি তেই হাটতে পারো না তার উপর আজকে শাড়ি পরেছো, আমার তো টেনসনে ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে (মেঘ)

কি বলো সত্যি মেহরাব ভাই চলে এসেছে??(ওদের কথার মাঝে বলে উঠল মাহি)

হুম,, আর তুই নিজের বরকে ভাই বলা ছাড় তো(মেঘলা)

ওফ ওসব বাদ দাও,, এবার তাহলে আমার ক্যালমা শুরু করি??(মাহি)

কি করবি তুই??(মেঘলা)

হ্যাঁ উল্টা পাল্টা কিছু করিস না চুপচাপ এখানে বসে থাক(ইশিতা)

কিছুতো করবোই এতোদিন ধরে ভেবে রেখেছি যে আজকে কি করবো আর সেই দিনটা আসলো আর আমি না করে বসে থাকবো?? না না তা তো হতে পারে না (মাহি)

কি করবে তুমি শালি সাহেবা? (মেঘ)

আমার সাথে আসলেই বুঝতে পারবেন ভাইয়া(এই বলে মাহি বিছানা থেকে উঠে নিচে নেমে,, লেহেঙ্গা টা দুহাত দিয়ে ধরে মেঘের কাছে গেলো তারপর মেঘের বুক থেকে সানগ্লাস টা নিজের হাতে নিয়ে মেঘকে বলল)

ফলো মি মিস্টার (এই বলে মাহি বাইরে চলে গেলো,,,আর মেঘ তো হাবলার মতো মাহির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো)

আরে মেয়েটা কোথায় চলে গেলো, আর আপনি এখানে ওমন করে দাড়িয়ে না থেকে চলুন বাইরে যাই দেখি ও আবার কি ধামাকা করে (মেঘলা)

তারপর মেঘ মেঘলা ইশিতা সহ ঘরের মধ্যে থাকা সব মেয়ে বাইরে চলে আাসলো।

বাইরে মেহরাব এখনো ঘোড়ার উপর বসে আছে আর ওর একপাশে ব্যান্ড পার্টি আর দুপাশে মহিলারা হাতে ফুলের থালা নিয়ে ফুল ছিটাচ্ছে,,আর সামনে সবাই নাচা নাচি করছে,,,

মাহি আর মেহরাব এর বিয়ের জন্য অনেক বড় একটা স্টেজ সাজানো হয়েছে একটু উঁচু করে অনেকটা জায়গা নিয়ে, এখানেই ওদের বিয়ে হবে
(গল্পের লেখিকা ;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী),,, সবাই যখন এসব নিয়ে ব্যাস্ত তখনি মাহি লেহেঙ্গার দুপাশে হাত দিয়ে ধরে স্টেজ উঠে জোরে করে বলল।

স্টপ (একটু চেঁচিয়ে)

মাহির কথা শুনে সব কিছু থেকে গেলো আর মেহরাব অবাক নয়নে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে৷

আরে মাহি এখানে কেনো??(মাহির বাবা)

হ্যাঁ আমি ও তাই ভাবছি ও এখানে কি করছে??(ছোট মামা)

মেয়েটা যে কি করতে চাইছে আল্লাহ জানে (মেঘলা)

আল্লাহ ও যেনো ভুলভাল কিছু না করে (ইশিতা)

সবাই উৎসুক দৃষ্টি তে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে,, তখনি মাহি হাতে থাকে সানগ্লাস টা চোখে দিয়ে ব্যান্ড পার্টির উদ্দেশ্য বলল।

বাজাও(আর সাথে সাথে ব্যান্ড পার্টিরা বাজাতে শুরু করলো আর তার সাথে মাহি গান বলতে লাগলো আর নাচতে লাগল)

,,,,Hai wa Handsome sona sabsa,,

,,,mera dil ko gaya le kar,,meri neend chare li usne,

,,,,Aur khwab gaya dekar,,,

,,,Ab ye nalna bole yaar,, bole yehi lagataar.

,,,koi chaahe kitna roka karingi pyar,,

,,,,,mera saiyaan superstar,,
,o,,,mera saiyaan superstar,, (মেহরাব এর চার পাশে ঘুরে নাচতে নাচতে বলল)

,,,main fan hui unki.

,,,o mera saiyaan superstar.

,,,main fan hui unki.

,,, mera saiyaan superstar.

Filmy Style se jab usne,,

,,kal raat mujhe propose kiya.

,,,Daayein na dekha,, baayein na dekha

Usko dil ka rose diya,, have charche chaar hazaar.

Photo chhap a gayi in akhbaar,, lajhko parwah nahi koi i,m with the star.

,,,mera saiyaan superstar,,

mera saiyaan superstar,,

main fan hui unki.

o mera saiyaan superstar. (মেহরাব ও ঘোড়ার উপর বসেই ঘাড় ঝাঁকাচ্ছে যতই হোক নতুন জামাই বলে কথা বেশি লাফালাফি করলে মানুষ কি বলবে)

এটাই তাহলে আমাদের মাহির আজকের ধামাকা(মেঘ)

হুম সেটাই তো দেখছি পাগলি একটা(মেঘলা)

বিয়ে শেষ হতে হতে প্রায় অনেক রাতই হয়ে গেলো,,, মাহির বিয়েতে প্রথমে যতই খুশি লাগোক না কেনো বিদায় এর সময় খুবি কান্না পাচ্ছিলো,, যতই কাছে বিয়ে হোক তবুও বুকের ভিতর কেমন যেনো খালি খালি লাগছিলো,, ছোট বেলা থেকে যাদের সাথে থেকে অভ্যাস তাদের ছেড়ে থাকতে হবে এই কথাটা ভাবলেই চোখ ভয়ে কান্না আসছে।

এতো কেঁদো না মেকাপ খারাপ হয়ে যাবে তো,,, তখন তো ভালো কমর দুলিয়ে দুলিয়ে নাচলে এখন আবার কি হলো হুম (মেহরাব মাহির কানে ফিসফিস করে বলল)

তখন খুশিতে নাচলেও এখন তখনকার কথা মনে পড়লে ভীষন লজ্জা লাগছে,, আল্লাহ কীভাবে তখন নাচলাম তাও আবার নিজের বিয়েতেই।

সবাই থেকে বিদায় নিয়ে অনেক কান্না কাটির পরে অবশেষে কণে বিদায় হলো,, মেহরাব ঘোড়ায় আর মাহি পালকিতে।

,,,,ওবাড়িতে,,,,,

ইম্পসিবল মাহি তুমি এসব কি বলো আমি এমনটা করতে কখনো পারবো না (মেঘ)

প্লিজ ভাইয়া আপনাকে আমার কথাটা রাখতেই হবে (মাহি)

কখোনোই না,, আমি মেহরাব এর সাথে এমনটা করতে পারবো না (মেঘ)

চলবে,,,,,,??

(নেন দিয়ে দিলাম বিয়ে, মাহি বিয়েতে নাচবে তাই আমি বললাম যে ধামাকা আছে আর আপনার ভাবলেন আমি নেহাল কে আনবো। আমি ওটোটাও খারাপ নই যে দুজন ভালোবাসার মানুষ কে আলাদা করবো,,)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here