#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_২৯,৩০
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
২৯
ইম্পসিবল মাহি তুমি এসব কি বলো আমি এমনটা করতে কখনো পারবো না (মেঘ)
প্লিজ ভাইয়া আপনাকে আমার কথাটা রাখতেই হবে (মাহি)
কখোনোই না,, আমি মেহরাব এর সাথে এমনটা করতে পারবো না (মেঘ)
কিন্তু কেনো??(মাহি)
আরে ভাই তোমরা বুঝো না কেনো মেহরাব যদি একবার বুঝতে পারে যে বাসর ঘরে ওর বউয়ের জায়গায় আমি বসে আছি তাহলে তোমরা তো ফাঁসবেই সাথে আমিও, না বাবা আমি পারবো না (মেঘ)
দেখুন আপনাকে পারতেই হবে, না করলে কিন্তু ডিভোর্স দিয়ে দেবো (মেঘলা)
এ কিরে এই তুমি কি সত্যি আমার বউ?? নাকি আমার বউয়ের ছদ্দবেশে অন্য কেউ,, নিজের একমাএ বরকে এভাবে আগুনে ঝাপ দিতে বলছো?? কি নিষ্ঠুর গো তুমি (মেঘ)
ভাইয়া প্লিজ রাজি হয়ে যান দেখবেন অনেক মজা হবে (মাহি)
হ্যাঁ তোমরা মজা নেবে আর আমি বাঁশ,, কি আর করা যাবে সবি কপাল (মেঘ)..
,,,
ফুলে সাজানো ঘর চারিদিকে মিটিমিটি আলো জ্বলছে সারা ঘর জুড়ে এক অদ্ভুত মাতাল করা সুবাস, মেহরাব রুমে এসে দেখলো তার প্রাণ হরনি বিছানার উপর বসে তারি জন্য অপেক্ষা করছে তাই আস্তে করে দরজা টা লাগিয়ে বিছানায় এসে বসলো তারপর মাহির মুখ থেকে ঘোমটা টা যেই উঠাবে তখনি কি মনে করে একটু মুচকি হেসে উঠালো না আরাম করে মাহির পাশে বসলো,, তারপর বলল।
তোমাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে বিয়ের ভারি পোশাকের নিচে পড়া জিন্স এ আরো বেশি আর্কষণিয় লাগছে। তা তুমি জিন্স পরা শুরু করলে কবে থেকে??(মেহরাব)
এই যাহ ধরা পড়ে গেলাম নাকি,,??(ব্যালকণি থেকে মাহি আর মেঘলা বলল)
আরে না বুঝতে পারিনি এখনো আগে দাখোই না কি হয় (মাহি)
তা বেশ জিন্স পরা খুবি ভালো তবে বাসর ঘরে এটা না পরলেও পারতে এতো কিছু খুলতে তো সময় লাগবে তাই না?? তাহলে চলো শুরু করি যতই হোক বাসর রাত বলে কথা এভাবে বসে বসে সময় নষ্ট করলে তো হবে না তাইনা??(এই বলে যেই মেহরাব মেঘকে ধরবে তখনি মেঘ খপ করে বিছানা থেকে এক লাফে নেমে বলল)
ভাই আমি জানি তুই প্রথমেই বুঝতে পেরে গেছিস বিশ্বাস কর এখানে আমার কোনো দোষ নেই(মেঘ)
কি হলো সোনা আসো বাসর করবে নাহ?? (মেহরাব)
ওরে ভাই মাফ কইরা দে,, সব দোষ তোর বউয়ের আমার কোনো দোষ নেই আমি এক মাসুম বাচ্চা আমি শুধু মাএ পরিস্থিতির শিকার..
হুম তা কোথায় নাটের গুরু আমি জানি ওনারা এই রুমেই কোথাও আছে।
এই যাহ ধরা পড়ে গেলাম,, মেঘ ভাইয়া আপনার জন্য ধরা পড়ে গেলাম জিন্স কেনো পড়তে গেলেন?(ব্যালকণি থেকে বলল মাহি)
তো পরবো না??? বলে কি এই মেয়ে।
আমি তিন গুনবো তার আগে যদি সব গুলা রুম থেকে বার না হস তাহলে তোদের এরদিন আমার যেই কয়দিন লাগে। (মেহরাব)
এখনো দাড়িয়ে আছো কেনো ওদের বাসর করা দেখবে নাকি পালাও শীঘ্রই (এই বলে মেঘ মেঘলার হাত ধরে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো,, আর ওরা যাওয়ার সাথে সাথে মেহরাব রুমের সিটকিনি আটকে দিলো)
তো এই প্ল্যানের মাস্টার মাইন্ড তাহলে আপনি??(মাহির দিকে আগাতে আগাতে বলল মেহরাব)
দ,,দ,দেখুন আমি কিছু করিনি এখানে আমার কোনো দোষ নেই (পিছাতে পিছাতে বলল মাহি)
ওহ তাই?? তাহলে ওমন ভয় পাচ্ছিস কেনো?? আর পিচ্ছাছিস কেনো?? পিছনে তো আর যাওয়ার জায়গা নেই (মাহির কাছে এসে বলল মেহরাব)
আপনি আগাচ্ছেন তাই,,, দেখুন (মাহি আরো কিছু বলার আগেই মেহরাব ওকে ফট করে কোলে তুলে নিলো,, আর ওদিকে মাহির তো কোনো হুসই নেই সে নিজেকে নির্দোষ প্রামান করতে ব্যাস্ত মেহরাব ওকে কোলে নিয়ে রুমের দিকে যাচ্ছে আর মাহি কোলে থেকেই বলে যাচ্ছে,, আমি কিছু করিনি সব দোষ ওদের আমার কোনো দোষ নেই,,, মেহরাব ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর উপর আধোশোয়া হয়ে মাহির ঠোঁটের উপর আঙুল দিয়ে বলল)
চুপ কোনো কথা নয় আমি কি কিছু বলতে বলছি, তা তুই যে এতো ভালো নাচতে পারিস সেটা তো জানতাম না,, তাও আবার নিজের বিয়েতেই, খুব খুশি লাগছিলো বুঝি???
মাহি পারছেনা ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে,, ইস কি লজ্জা তখন ঝুলে ঝুলে নাচলেও এখন ভীষণ লজ্জা করছে, তার উপর আবার না পারছে এপাশ হতে না পারছে ওপাশ হতে আর না পারছে নিজের দুহাত দিয়ে মুখটা ঢাকতে,, কেননা মেহরাব মাহির হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে ওর উপর আধশোয়া হয়ে আছে।
মেহরাব দেখলো মাহি লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে গেছে, তাই টুপ করে মাহির কপালে দু চোখের পাতায় আর গালে কিস করে দিলো আর মাহি চোখ বুজে মেহরাব এর স্পর্শ উপোভোগ করছে,, মেহরাব আস্তে আস্তে মাহির কানের কাছে গিয়ে ওখানে চুমো দিয়ে বলল।
ভালোবাসি বউ,, আজকে শুধু ভালোবাসি বলবো না সাথে ভালোবাসতেও চাই তা আমি কি পাবো সেই অনুমতি?(ফিসফিস করে মাহির কানে বলল মেহরাব)
মাহি কিছু বললো না শুধু মেহেরাব এর কাছ থেকে নিজের হাত দুটো ছাড়িয়ে ওর আস্তে করে মেহরাব এর পিট আঁকরে ধরলো।আর মেহরাব ও তার জবাব পেয়ে গেলো।
আর মাহিকে নিজের করে নিলো,, ওর ভালোবাসার রঙে রঙ্গিন করতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো,, মাহিকে নিয়ে পাড়ি দিলো ভালোবাসার এক নতুন রাজ্যে,, অবশেষে দুজন প্রেমিক প্রেমিকার অপেক্ষার অবসান হলো।
,,,,,সকালে,,,,
সূর্যের আলো জানালার পর্দা ভেদ করে রুমে এসে পরতেই মেহরাব এর ঘুম ভেঙে গেলো,, আড়মোড়া ভেঙে চোখ খুলতেই দেখলো ওর অবুঝ পরী টা ওর বুকের সাথে লেপ্টে শুয়ে আছে,,, গায়ের থেকে চাদরটা সরে গিয়ে মাহির সাদা পিটটা দেখা যাচ্ছে,, মেহরাব মুচকি হেসে চাদরটা গলা পযন্ত টেনে মাহির কপালে একটা চুমো দিয়ে অস্পষ্ট সরে বলল।
ভালোবাসি বউ,
(এই বলে মাহিকে দেখতে লাগল, তারপর দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমায় গেলো নিজেই জানে না,, প্রায় অনেকক্ষণ পর মাহির ঘুম ভেঙে গেলো চোখ খুলে নিজেকে মেহরাব এর বুকে পেলো,, মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে দেখলো যে মেহরাব হা করে ঘুমাচ্ছে,, মাহি (গল্পের লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী) মুচকি হেসে হাত দিয়ে মেহরাব এর হা করা মুখটা বন্ধ করে দিলো তারপর চাদরটা বুকে নিয়েই আশে পাশে হাতরে নিজের কাপড় খুজতে লাগলো, কিন্তু কোথাও পেলো না তাই বাধ্য হয়েই মেহরাব এর শার্টটা পড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।)
ওয়াশরুম থেকে মগে পানি নিয়ে ওয়াশরুমের দরজাটা হালকা খুলে মগের পানিটা বিছানায় শুয়ে থাকা মেহরাব এর দিকে ছুড়ে দিলো।
সকাল সকাল গায়ে ঠান্ডা পানি পেয়ে মেহরাব ধরফরিয়ে উঠে বসল। তারপর মাহি ওয়াশরুম থেকেই মেহরাব এর উদ্দেশ্য বলল।
গুড মরনিং বর (এই বলে খটাস করে ওয়াশরুমের দরজা আটকে দিলো)
মেহরাব তো হা করে বিছানার উপর বসে আছে গা প্রায় অর্ধেক ভিজে গেছে তারপর নিজে নিজেই বলল।
মাহি??? আমি তো ভুলেই গিছিলাম আমি একটা বাচ্চা কে বিয়ে করেছি যে শুধু হাতে পায়েই বড় হয়েছে বুদ্ধিতে নয়,, ওহ আল্লাহ বাঁচাও এটা বলেই আধভেজা চাদর টা গায়ে দিয়ে আবার ও শুয়ে পড়ল।
ইস ওনি কি খারাপ কি অবস্থা করছে আমার সারা গায়ে দাগ বসিয়ে দিয়েছে,, গায়ের দাগ গুলো না হয় কাপড় দিয়ে ঢাকলাম কিন্তু ঠোঁট কি করবো,, কেমন লাল আর ফুলে আছে,, আরে বেটা আমার ঠোঁট কি খাওয়ার জিনিস নাকি?? কামড়ে কি অবস্থা করছে বেটা খবিশ (ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে বলল মাহি)
তারপর শাড়ি পড়ে রেডি হয়ে মাথায় ভালো করে ঘোমটা দিয়ে বেরিয়ে আসলো,, রুমে এসে দেখলো মেহরাব কমোড় পযন্ত চাদর নিয়ে খালি গায়ে উপর হয়ে ঘুমাচ্ছে।
আহা কি শান্তুি দাড়াও দেখাচ্ছি মজা এই বলে যেই মাহি মেহরাব এর দিকে যাবে তখনি বাইরে থেকে মেঘলা ডেকে উঠল।
থাক এনাকে পরে দেখা যাবে এই বলে মাহি নিজের ঠোঁট টা মুখের মধ্যে পুরে নিয়ে দরজা খুলে বাইরে চলে গেলো।
কিরে মুখটা ওমন করে রেখেছিস কেনো?? আর ঠোঁট গুলো ওমন মুখের ভিতর রেখেছিস কেনো??(ভ্রু কুঁচকে জিগাস করলো মেঘলা)
চলবে,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_৩০
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
কিরে মুখটা ওমন করে রেখেছিস কেনো?? আর ঠোঁট গুলো ওমন মুখের ভিতর রেখেছিস কেনো??(ভ্রু কুঁচকে জিগাস করলো মেঘলা)
উমম (মাহি মুখ না খুলেই বলল)
আরে ওভাবে ঠোঁট মুখের ভিতর রাখলে কথা বলবি কি করে ভালো করে কথা বল।
ক,,কি হয়েছে এই যে আমি কথা বলছি(মাহি হাত দিয়ে ঠোঁট ঢাকার চেষ্টা করে বলল)
সেকিরে তোর ঠোঁট (কিছু একটা ভেবে মেঘলা বলল) আরে লজ্জা পাচ্ছিস কেনো বিয়ে তো আমাদের ও হয়েছে নাকি,,, তবে ঠোঁটেরই যদি এ অবস্থা হয় না জানি (দুষ্ট হেসে বলল মেঘলা)
ছি ছি এসব কি বলছো তুমি আপু?? আর তাছাড়া তুমি আমার আপু হও সে কথা মাথায় আছে তো?? (বেটা বদ আজকে আপনার জন্য এমন বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হলো মনে মনে বলল মাহি)
আরে সাথে তো ননদ ও হয় নাকি,,, তা মেহরাব কই এখনো উঠেনি??
নাহ।
তারপর আরো কিছুক্ষণ ওরা কথা বলল মেঘলা আরো অনেক ভাবে মাহিকে পচালো আর মাহি তো মনে মনে মেহরাব কে ইচ্ছে মতো ধুয়ে দিলো।
(গল্পের লেখিকাঃসুমাইয়া_সুলতানা_সুমী) তারপর মাহি রুপালির সাথে রান্নায় হাত লাগালো যদিও রুপালি নিষেধ করেছে তবুও মাহি শুনেনি,, যতই হোক নতুন বউ হয়ে তো আর এভাবে আর বসে থাকা যাই না।
আজকে বউ ভাতের অনুষ্ঠানের পর মেঘলারা চলে যাবে। মাহি রুপালি আর কাজের লোক রান্না করছিলো আর মেঘলা সোফায় বসে ছিলো মেঘলা প্রায় সাত মাস চলছে পেটটাও একটু বড় হয়েছে তাই চলা ফিরা করতে সম্যসা হয়।
আসতে পারি??
কারো কথা শুনে মাহি মেঘলা আর রুপালী দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো যে মীরা দাঁড়িয়ে আছে।
আরে মীরা যে আয় ভিতরে আয়, শরীল কেমন এখন (মেঘলা)
হুম এখন একটু ভালো, তা মাহি রান্না করছে বুঝি পুরো গিন্নি লাগছে, (রান্না ঘরে মাহির কাছে গিয়ে বলল মীরা)
তুমি রিয়েতে আসোনি কেনো আপু??
এসেছিলাম তো একটু খানি থেকেই চলে গেছি, আসোলে একটু অসুস্থ ছিলাম তো তাই,, একমাত্র খালাত ভাইয়ের বিয়েতেও মজা করতে পারলাম না হাই আফসোস,, তা মাহি শুনলাম তুই নাকি বিয়েতে নাচ করেছিস।
মীরার কথা শুনে মাহি লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো।
সামনে তো তোরও বিয়ে হবে, তুই ও নাচিস (রুপালি)
যাকে ভালোবাসি যাকে চাই তার সাথে যদি বিয়ে হয় তাহলে অবশ্যই নাচবো (মনে মনে বলল মীরা)
কিরে কি হলো কথা বলছিস না কেনো??
ও কিছু না খালা,,তোমরা রান্না করো আমি মাহিকে নিয়ে একটু বাইরে যাই??
যা আমি কত করে বললাম যে রান্নাঘরে আসা লাগবে না কিন্তু কে শোনে কার কথা জোর করে চলে আসলো যা তো ওকে নিয়ে যা।
তারপর মীরা মাহিকে নিয়ে ডয়িং রুমে চলে আসলো তারপর মাহির হাত ধরে বলল।
জানি তোর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি, মাফ করে দিস আমায়?? জানিনা তখন কি হয়েছিলো, কোনটা আসল ভালোবাসা কোনটা আবেগ বোঝতামি না, কিন্তু আমার থেকে বয়সে ছোট হয়েও তুই আমাকে বুঝিয়েছিস যে কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা আবেগ (মীরা)
এভাবে বলো না আপু তুমি যে তোমার ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক।
হ্যাঁ মীরা তুই যে তোর ভুল টা বুঝতে পেরেছিস এটাই অনেক (মেঘলা)
ভুল বুঝেও লাভ নেই আপু তোমার দেবর টা বড্ড নিষ্ঠুর একটুও বুঝে না আমায় শুধু কষ্ট দেয় আমায় (সোফায় বসতে বসতে বলল মীরা)
ভালোবাসায় তো একটু কষ্ট থাকবেই বোন কিন্তু তোর ভালোবাসা দিয়ে সেই কষ্ট কে ভালোবাসায় রুপান্তর করতে হবে কি রে পারবি না??
হুম পারবো তো চেষ্টা করছি।
তা আমাদের বর মশাই কোথায়(মীরা)
জি আপু ওনি ঘুমাচ্ছে।
এখনো ঘুমাচ্ছে?? হুম ঘুমাবেই তো রাতে কত খাটনি হয়েছে এখন না ঘুমালে শরীল চলবে কি করে(দুষ্ট হেসে বলল মীরা)
মাহি তো লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে থাকলো, এতোক্ষণ মেঘলা আপু পচালো এখন আবার মীরা আপু আল্লাহ আমি তো দেখছি বিয়ে করে ফাইসা গেছি (মনে মনে বলল মাহি)
তারপর ওরা তিনজনে মিলে অনেক গল্প করলো। রান্না শেষে খাবার টেবিলে।
কিরে কাল তোর বাসর ছিলো নাকি তুই যুদ্ধ করতে গিছিলি কোনটা??(মেঘ ফিসফিস করে মেহরাব কে বলল)
কেনো??
না মানে তোদেরকে দেখে তো এমনি মনে হচ্ছে,, সারারাত কি দুজন মিলে খামছা খামছি করেছিস নাকি??
সেটাপ মেঘ, এত বকবক না করে চুপচাপ বসে খা (কথাটা বলে সামনে থাকা মাহির দিকে তাকালো মেহরাব, মেয়েটা তো লজ্জায় ওর দিকে তাকাচ্ছেই না,, নিচের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে)
খাওয়ার পর দুপুরের দিকে বাড়িতে মেহমান আসতে শুরু করলো,, নতুন বউ দেখতে, মেহরাব এর তো ভীষণ রাগ লাগছে এতো কষ্ট করে বিয়ে করে এখন বউকে কাছেই পাচ্ছে না,, আরে বউ টাতো আমার মানুষ এতো দেখবে কেনো??
অনেকক্ষণ পর মাহি নিচে থেকে উপরে আসলো ফ্রেশ হতে ও অনেকক্ষণ ধরে একটানা নিচে সোফার উপর বসে ছিলো, এখন একটু রেস্ট নিতে হবে নয়ত আর সময় পাবে না, একটু পরেই আবার পার্লারের মেয়েরা এসে ওকে সাজাতে শুরু করবে।
মাহি রুমে আসতেই কেউ ওর হাত ধরে টেনে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে ধরল।মাহিতো প্রথমে ভয়ই পেয়ে গিছিলো কিন্তু পরে মেহরাব কে দেখে স্তুতির শ্বাস নিলো।
কি হলো এভাবে টেনে আনলেন কেনো??
কেনো বুঝিস না?? কাল রাতের পর থেকে তো তোকে পাওয়াই যাচ্ছে না,, এতো বাইরে কি জানিস না বিয়ের পর সব সময় বরের কাছে থাকতে হয় (মাহির কমরে হাত রেখে বলল মেহরাব)
তাই,, নতুন বউ বিয়ের পরের দিন বাইরে না গিয়ে বরের কোলের মধ্যে বসে থাকবে লোকে কি বলবে??.
লোকে যা খুশি বলুন আই ডোন্ট কেয়ার,, আমার এখন আমার বউকে লাগবে ব্যাস।
মোটেও না, আমি এখন ফ্রেস হবো তারপর একটু রেস্ট নিতে হবে।
বললাম তো আমার এখন তোকে চাই মানে চাই। এরপর মেহরাব আর মাহিকে কিছু বলতে দিলো না তার আগেই মাহির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।
সন্ধ্যাের দিকে খুব সুন্দর ভাবেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলো,, মাহি আর মেহরাব কে মাহিদের বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো।
মা আমাদের ও এখন যেতে হবে (মেঘ রুপালি কে বলল)
সেকি এখনি?? কাল সকালে যেও।
না মা এখনি যেতে হবে, আর এখন তো বেশি রাত ও হয়নি, আমরা ঠিক চলে যেতে পারবো, আর আব্বু আম্মু ও এতোক্ষণে বাড়ি পৌঁছে গেছে। আর মা আমাকে বার বার বলেছে আমি যেনো মেঘলা কে নিয়ে চলে যাই।
হ্যাঁ মা আমরা যায় কদিন পর না হয় আবার আসবো (মেঘলা)
না না তোর এসময় এতো জার্নি করলে সম্যসা হবে আমরাই বরং গিয়ে দেখে আসবো,, আচ্ছা তোরা যখন চলেই যাবি তো এখনি বেরিয়ে পর নইলে আবার রাত বেরে যাবে।
আচ্ছা তাহলে আসছি।
মেঘ আর মেঘলা সবার থেকে বিদায় নিয়ে মেঘের বাড়ি চলে আসলো,,, মেঘ আর মেঘলা দরজা দিয়ে বাড়িতেই ঢুকতেই অবাক হয়ে গেলো,, কেননা ডয়িং রুমে সব কিছু ভেঙে পড়ে আছে মা একটু দূরে সোফায় বসে কাঁদছে আর বাবা গম্ভীর মুখে বসে আছে।
মা বাবা এসব কি?? কি হয়েছে এখানে ??কে করেছে এসব?? (উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করলো মেঘ)
আমি করেছি (নেহাল)
কারো কথা শুনে মেঘ পিছনে তাকিয়ে দেখলো নেহাল সোফায় বসে চোখ মুখ শক্ত করে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে।
চলবে,,,,,,?
(নেন যারা নেহাল কে মিস করছিলেন তাদের জন্য, নেহাল ফিরে এসেছে। আব আয়ে গা মজা☺?)