#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_৩১,৩২
# সুমী
৩১
কারো কথা শুনে মেঘ পিছনে তাকিয়ে দেখলো নেহাল সোফায় বসে চোখ মুখ শক্ত করে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে।
এসব কি নেহাল?? (মেঘ)
কেনো বুঝতেছে পারছিস না এসব কি?? আমি ভাবতেও পারছি না তুই আমার নিজের ভাই হয়ে এমন টা কী করে করতে পারলি (সোফা থেকে উঠে মেঘের সামনে গিয়ে বলল নেহাল)
কি বলতে চাইছিস তুই??
তুই তো জানতিস ভাইয়া যে আমি মাহি কে কতটা ভালোবাসি তারপরেও তুই কি করে পারলি নিজের ভাইয়ের ভালোবাসা অন্য কারো হাতে তুলে দিতে?? ভাইয়ের থেকে বন্ধু বেশি বড় হয়ে গেলো তোর কাছে??একবার আমাকে জানানোর প্রয়োজন ও মনে করলি না তুই??
প্রথমত আমি কোনো ভুল করেনি আর তোর ভালোবাসা এক পক্ষ মাহি তোকে কখনোই ভালোবাসিনী ও মেহরাব কে ভালোবেসেছে, যদি মাহিও তোকে ভালোবাসতো তাহলে আমি অবশ্যই চেষ্টা করতাম,, আর আমার কাছে ভাই আর বন্ধু দুজনই সমান।
আমি কিছু বুঝতে চাই না আমি মাহিকে চাই মানে চাই (চিৎকার করে বলল নেহাল)
ভাইয়া তুমি ভুল করছো মাহি আমার মেহরাব ভাই কে অনেক ভালোবাসে আর তু,,,
প্লিজ ভাবি আমি আপনাকে হাত জোর করে বলছি আমাদের দু ভাইয়ের মাঝে আপনি কথা বলবেন না,, আমি আপনাকে অনেক সম্মান করি রাগের বশে হয়ত খারাপ কথা বলে ফেলতে পারি তাই বলছি প্লিজ আমাদের মাঝে কথা বলবেন না (মেঘলা কে বলতে না দিয়ে নেহাল বলল)
মেঘলা তুমি রুমে যাও তোমার এখন রেস্ট এর প্রয়োজন (মেঘ)
কিন্তু মেঘ,
আমি তোমাকে রুমে যেতে বলছি মেঘলা সো রুমে যাও (একটু জোরে বলল মেঘ)
মেঘের কথা শুনে মেঘলা উপরে চলে গেলো আর মেঘ নেহাল কে বলল।
কি বলছিলি তোর মাহিকে চাই?? হুম?? সেটা আর কখনোই সম্ভব নয় কেননা ওরা দুজন দুজনকে অনেক বেশি ভালোবাসে তুই কখনোই ওদেরকে আলাদা করতে পারবি না,,ভেবেছিলাম তোকে বুঝিয়ে বলবো কিন্তু তুই সে কথার মানুষ নয়।
আচ্ছা?? ওকে ফাইন আমিও দেখি মাহি ওই মেহরাব এর সাথে কীভাবে সংসার করে,,, আর তুই নিজের আপন ভাই হয়েও আমার সাথে এমন করলি তো আজ থেকে আমি ভাববো আমার কোনো ভাই নেই (এটা বলে নেহাল রেগে ফুলদানি তে একটা লাত্থি মেরে উপরে চলে গেলো।)
মেঘ নিজের চোখ মুছে, ওর বাবা মা কে বলল।
তোমরা রুমে যাও রেস্ট করো, আমি ওকে দেখবো এখন ও অনেক রেগে আছে তাই এমন করছে ওর রাগ কমলে কাল সকালে ওকে বুঝিয়ে বলবো,, চিন্তা করো না, (এই বলে মেঘ ও উপরে চলে গেলো)
,,,,ওদিকে,,,,,
আচ্ছা একটা কথা বলবো??(মাহি মেহরাব এর বুকের উপর শুয়ে মেহরাব এর বুকে নিজের আঙুল দিয়ে আঁকিবুঁকি দাগ কাটতে কাটতে বলল)
হুম বল (মাহিকে এক হাত দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরে অন্য হাত মাথার পিছে রেখে চোখ বন্ধ করে বলল)
আচ্ছা আপনি কি আমাকে সব সময়ই তুই করেই বলবেন??
মানে??
মানে হলো আমাদের বেবির সামনেও কি আমাকে তুই বলবেন??
কেনো বলবো না??
না বলবেন না, ওরা কি মনে করবে৷
তাহলে ওদের সামনে কি বলে ডাকবো??
তুমি করে ডাকবেন,,
তাই??(মাহিকে দু হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে)
হুম তাই, আচ্ছা বাদ দেন আরে আমি তো ভুলেই গিছিলাম , আমার সেই প্রশ্নের উত্তর টা তো দিলেন না??
দেবো সময় হোক।
আর কবে সময় হবে প্রায় দু বছর তো হতে চলল,, একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে এতো দিন লাগে??
তোর সময় দেওয়ার আগে হুস ছিলো না?? তুই তো আমাকে আমার ইচ্ছে মতো সময় দিয়েছিলি তাই আমিও আমার মন মতো উওর দেবো।
ওহ আল্লাহ আপনি আমায় তুলে নেন,, কি খেয়ে যে ওনাকে এত সময় দিছিলাম কে জানে।
ওমম চুপ অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পর।
ঘুমিয়ে পড়বো সত্যি??
তো কি করবি??
কিছু না, হুট ছাড়েন তো আমায় (মেহরাব এর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল)
মেহরাব মুচকি হেসে মাহিকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল,, উমম মুখে বললেই হয় যে আপনাকে এখন ভালোবাসতে হবে এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে,, কাল রাতের পরেও লজ্জা ভাঙেনি??
হুট বদ একটা,, মাহি কিছু না বলে মেহরাব কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
৩ দিন পর,,,
কি হয়েছে মেঘ তোকে এমন লাগছে কেনো?? কিছু কি হয়েছে?? মেঘলা ঠিক আছে তো??(মেহরাব)
হুম ও ঠিক আছে,, মেহরাব আমি কি করবো বুঝতেছি না প্লিজ আমায় হেল্প কর (মেঘ মেহরাব এর হাত ধরে বলল)
কি হয়েছে বল আমায়??
নেহাল এসেছে(তারপর বাড়িতে নেহাল এর করা সব কিছু বলল) আজ তিন ধরে ও রুমের দরজা বন্ধ করে রেখে কারো সাথে কথা বলছে না,, কিছু খাচ্ছেও না সব কিছু ভাঙচুর করছে,, মা অল্প কিছু খাওয়াতে পারলেও তার বেশি না, ওর শুধু একি কথা মাহিকে এনে দিতে হবে আমি কি করবো মেহরাব (মেঘ)
সব শুনে মেহরাব কিছু বলতে যাবে তখনি পিছন থেকে মাহি বলল।
আমি যাবো ভাইয়া ওনার কাছে।
মাহির কথা শুনে মেহরাব আর মেঘ দুজনি মাহির দিকে তাকালো।
হুয়াট তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস?? এসব কি বলছিস মাথা ঠিক আছে তোর??(মেহরাব উঠে এসে মাহির সামনে দাড়িয়ে বলল)
আমি ঠিক আছি,, আপনি একটু মাথা ঠান্ডা করে আমার কথাটা শোনেন, আমি ওনার কাছে যাবো তারপর ওনাকে বোঝাবো, আর আমরা সবাই মিলে বোঝালে ওনি নিশ্চয়ই বুঝবে।
না তুই কোথাও যাবি না চুপ চাপ এখান থেকে যা, সব খানে সব বিষয়ে তোর কথা বলতেই হবে?? আমরা আছি বিষয় টা আমরা দেখে নেবো তোর কথা না বললেও চলবে (রেগে বলল মেহরাব)
প্লিজ ভাইয়া আপনি ওনাকে(মেহরাব কে উদ্দেশ্য করে) বোঝান একটু চেষ্টা করলে ক্ষতি কি।
না মাহি তুমি নেহাল কে চেনো না ও ভীষণ জেদি ওহ বোঝার অবস্থায় নেই,, (মেঘলা)
কি হলো এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যেতে বলেছি তোকে আমি রুমে যা (জোরে চিৎকার করে বলল মেহরাব)
মাহি মেহরাব এর চিৎকারে মাথা নিচু করে ওখান থেকে চলে গেলো।
মেহরাব মাহির বলা কথা গুলো একবার ভেবে দেখলে হয় নাহ?? আমরা সবাই মিলে একবার শেষ চেষ্টা করি।
না মেঘ আমি মাহি কে কোনো রিস্ক নিতে চাই না,, নেহাল কে অন্যভাবেও সামলানো যাবে,,
হয়ত তুই ঠিকি বলেছিস,, আচ্ছা আমি তাহলে আসি এখন,,
হুম ভালো থাকিস আর মেঘলার খেয়াল রাখিস।
তারপর মেঘ চলে গেলো।
ওদিকে,,,,
নেহাল রুমের ভিতর সব কিছু ভাঙচুর করে রুমটা পুরো অন্ধকার করে মেঝেতে বসে আছে,,, তখনি দরজা খুলে কেউ ভিতরে প্রবেশ করলো।
কে কে ওখানে আর দরজা খুলেছো কেনো?? (নেহাল ঝাপসা চোখে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো নীল স্যালোয়ার কামিজ পরা একটা মেয়ে ওর দিকে এগিয়ে আসছে,, কিন্তু মুখটা ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছে না অন্ধকার তো তাই,, তবুও নেহাল অস্পষ্ট সরে বলল,,, মাহি??)
মাহি তুমি এসেছো আমি জানতাম তুমি আসবে,,, তুমি ওই মেহরাব এর সাথে একদম ভালো নেই তাই না?? আমি আর কোথাও তোমাকে যেতে দেবো না এখন থেকে তুমি আমার কাছেই থাকবে( নেহাল মাথা তুলে মেয়েটির দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে বলল)
চলবে,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও??
#পর্ব_৩২
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
আচ্ছা আপনি কি সত্যি মাহিকে ভালোবাসেন?? নাকি আপনিও আমার মতো কোনো মহে পড়ে আছেন,?? হয়ত আপনিও মাহিকে ভালোবাসেন না শুধু ওকে ভালোলাগে(রুমের মধ্যে আসতে আসতে বলল মীরা)
আপনি?? আপনি এখানে কেনো এসেছেন বেরিয়ে যান আমার রুম থেকে(চিৎকার করে বলল নেহাল)
হুম বেরিয়ে তো যাবোই আর যাই হোক আমি এখানে থাকতে আসিনি,,, এখন আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর টা দেন আপনি কি সত্যি মাহিকে ভালোবাসেন??
মানে কি বলতে চাইছেন কি আপনি(রেগে বলক নেহাল)
আমি এটাই বলতে চাইছি যে আপনি এখনো মেহরাব ভাই এর মতো করে মাহিকে ভালোবাসতে পারেননি কেননা, এখন এখানে যদি আপনার বদলে মেহরাব থাকতো তাহলে আম ১০০% শিওর সে না দেখে চোখ বন্ধ করে তার মাহিকে চিনে নিতো,, হাজার মানুষের ভিরেও যদি মাহি থাকতো তাহলেও মাহিকে খুঁজে বার করে নিতে পারবে,সত্যি কারের ভালোবাসা গুলি বুঝি এমনি হয়,,, আর আপনি শুধু মাএ একটু দূর থেকেও মাহিকে চিনতে পারলেন না আমাকে মাহি ভাবলেন, এই আপনার ভালোবাসা??(মীরা)
মীরার কথা শুনে নেহাল এর ভীষণ রাগ উঠে গেলো পাশেই কাঁচের ভাঙা কিছু অংশ ছিলো সেটা হাত দিয়ে তুলে মীরার দিকে ছুঁড়ে মারলো,, আর সেটা গিয়ে মীরার কপালে লাগল আর মীরার কপাল থেকে রক্ত বেরোতে লাগল,,মীরা কোনো শব্দ না করে হাত দিয়ে নিজের কপাল চেপে ধরে বেথ্যা সহ্য করে নিলো।
এসব ফালতু জ্ঞান আমায় না দিয়ে বেরিয়ে যান এই রুম থেকে আউট (চিৎকার করে বলল নেহাল)
মীরা হাত দিয়ে নিজের কপালটা চেপে ধরে বলল,,,
হুম আমি তো চলে যাবো কিন্তু তার আগে আপনাকে কয়েকটা কথা বলে যাই,,, আচ্ছা আপনি মাহিকে কতদিন ধরে ভালোবাসেন ১ বছর খুব বেশি হলে ২ বছর,, কিন্তু মেহরাব ভাই মাহিকে মাহির ছোট বেলা থেকে ভালোবেসে আসছে আর মাহিও তাই এখন আপনি একটু ভেবে দাখেন আপনি দুবছর ভালোবেসে মাহিকে না পেয়ে এমন করছেন তাহলে ওরা দুজন দুজনকে ছেড়ে কীভাবে থাকবে
,(গল্পের লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী) আপনি তো তাও এখনো বেঁচে আছেন কিন্তু ওরা হলে এতোদিন কবে মরে যেতো,,, একটা কথা কি জানেন শুধু ভালোবাসলেই হয় না ভালোবাসার মানুষ কে সুখীও রাখতে হয়,, ভালোবাসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্যাকরিফাইজ মানে হলো ত্যাগ, যে মানুষ ভালোবাসার জন্য ত্যাগ করতে পারে সেই সব থেকে ভালো থাকে,, এখন আপনি বলতে পারেন যে আপনিই কেনো ত্যাগটা করবেন ওরা কেনো করছেন না ওই যে আমি বললাম,, ওরা দুজন দুজনকে এতোটাই ভালোবাসে যে সেখানে আপনার ভালোবাসা সামান্য,,,একটা কথা কি জানেন আমরা তাদেরকেই ভালোবাসি যারা আমাদের নয় অন্য কাউকে ভালোবাসে এই যেমন আমি,, আমি প্রতি মহুর্তে আপনাকে বলি যে আমি আপনাকে ভালোবাসি,সত্যি বলতে পাগল এর মতো ভালোবাসি,,কিন্তু আপনি মাহি কে ভালোবাসেন,,, আরে, আমি তো আর আপনাকে বলছি না যে আপনাকেও আমায় ভালোবাসতে হবে কিন্তু চেষ্টা করতে দোষ কোথায়?? মানুষের জীবনে ভালোবাসা একবারি আসে তা তো নয়?? দ্বিতীয় বার ও আসে হ্যাঁ প্রথম ভালোবাসা ভুলা যায় না,, আরে আমি তো আপনাকে বলছি না যে মাহিকে ভুলে আপনি আমায় ভালোবাসেন আমি শুধু একটু জায়গা চেয়েছিলাম আপনার ওই বুকের বা পাশে,, পুরোটা জায়গা জুড়ে না হয় মাহিই থাক আমার কোনো সম্যসা নেই আমার শুধু একটু জায়গা হলেই চলতো, কিন্তু আমার সে ভাগ্য নেই,, আর আপনি যখন চান যে আমি আপনাকে আর বিরক্ত না করি তো ঠিক আছে করবো না বিরক্ত,, কিন্তু মনে মনে ঠিকি আপনাকে ভালোবেসে যাবো এটা আপনি নিষেধ করলেও মানবো না,,, আর নিজেকে এভাবে কষ্ট দিলে আপনার থেকে আপনার বাবা মা ভাই ওরা বেশি কষ্ট পাচ্ছে,, আপনার যদি মনে হয় ওনাদের কষ্ট দেওয়া উচিত তো ঠিক আছে আপনি থাকুন এখানে আর কেউ আপনাকে বিরক্ত করতে আসবে না (এই বলে মীরা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসলো)
একি তোমার কপাল দিয়ে তো রক্ত বার হচ্ছে আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম তুমি ওর কাছে যেও না শুনলে না তো আমার কথা এখন দেখলে?? ও নিজের মধ্যে নেই (নেহাল এর মা)
আমি ঠিক আছি আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না, আমি আসছি(এই বলে মীরা বেরিয়ে যেতে চাইলে নেহাল এর মা মীরার হাত ধরে আটকে বলল)
কোথাও যাচ্ছো না তুমি এখানে চুপচাপ বসো,, ইস কতটা কেটে গেছে (তারপর নেহাল এর মা মীরার কাটা জায়গায় ক্লিন করে সুন্দর করে ব্যান্ডেজ করে দিলো)
কিরে আমার উপর রেগে আছিস?? (মেহরাব)
মেহরাব কে দেখে মাহি মুখ ঘুরিয়ে বসল।
বাবা মহারানি তো দেখছি একেবারে বেলুন এর মতো ফুলে আছে,, হ্যাঁরে পিন নিয়ে আসবো?? তারপর ওটা দিয়ে তোকে খোঁচা দিবো আর তুই ফটাস করে ফেঁটে যাবি।
মজা করবেন না তো,, আমি এখন মটোও মজা করার মোডে নেই আমার খুব টেনশন হচ্ছে,, মেঘ ভাইয়া যেমন বলল যদি সত্যি নেহাল ভাইয়া কিছু করে তখন (চিন্তিত হয়ে মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে বলল মাহি)
আরে পাগলি এমন কিছুই হবে না,, আর তোকে এতো চিন্তা করতে বলছে কে?? নেহাল কিছু করবে না, কেননা আমি সঠিক জায়গা সঠিক মানুষ কে পাঠিয়ে দিয়েছি। (মাহির ঘাড়ে হাত রেখে বলল মেহরাব)
মানে?? আপনি কি করেছেন?? এটুকু সময়ের মধ্যে (অবাক হয়ে বলল মাহি)
মেঘ যাওয়ার পর আমি মীরা ফোন করেছিলাম তারপর ওকে নেহাল এর কাছে যেতে বলছি আর আমি জানি মীরাই পারবে ওকে ঠিক করতে।
এটা কি বলছেন আপনি?? আপনি জানেন না নেহাল ভাই মীরা আপু কে একটুও পছন্দ করে না।
কিন্তু মীরা তো ওকে ভালোবাসে।
হুমম তা তো বাসে কিন্তু।
ব্যাস তাহলেই হবে, কেননা কিছু কিছু সময় লোহায় লোহাকে কাটতে সাহায্য করে।
আমার কিন্তু ভীষণ চিন্তা হচ্ছে মীরা আপুকে নিয়ে যদি নেহাল মীরা আপুকে কিছু করে দেয় তাহলে??
তাহলে আর কি দুটোকে ধরে জোর করে বিয়ে করাই দেবো ব্যাস হলে গেলো সম্যসার সমাধান।
হুট আপনি খালি মজা করেন সিরিয়াস সময়েও।
আরে আমার অবুঝ বউটা রে এটা হলো প্রেম করার সময় কোনো সিরিয়াস সময় নয় বুঝলি??(মাহিকে বুকে নিয়ে বলল মেহরাব)
হুম বুঝলাম (মেহরাব কে জরিয়ে ধরে বলল মাহি)
তা কি বুঝলি শুনি।
এটাই যে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে আপনাকে ডাক্তার দেখাতে হবে,, পাগল (হালকা হেসে বলল মাহি)
,,,,,পরদিন সকালে,,,
মাহি তৈরি হয়ে নিচে নামলো ভার্সিটি যাবে বলে,, মেহরাব ও আসছে,, আর তখনি মেন দরজা দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে নেহাল ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলো। মাহিতো প্রথমে নেহাল কে দেখে ভয় পেয়ে গেলো।তারপর আমতা আমতা করে বলল।
আ,,,আপনি .।
হুম আমি,, তোমার সাথে কথা আছে আমার,, মেহরাব ভাই কোথায় ওনাকে ডাকো৷
আমি এখানে বলো কি বলবে (সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল মেহরাব)
তারপর মাহির কাছে এসে দাড়িয়ে বলল।
বলো,
মেহরাব এর আসা দেখে নেহাল হঠাৎ করেই মেহরাব এর,,,,,,,,
চলবে,,,,,??
(বলুন তো নেহাল কি করলো??? আচ্ছা আর পরের পর্বেই যদি গল্প শেষ করে দিই কেমন হবে???)