ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,১০,১১

0
564

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,১০,১১
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১০_পর্ব
.
ও মামী মণি গো আমাকে বাঁচাও গো তোমার তোতলা ছেলে আমায় মেরে ফেললো (মাহি দৌড়ে উপর থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে ডয়িং রুমে রুপালি কে জরিয়ে ধরে বলল)

দাঁড়া দাঁড়া বলছি আজ তোর একদিন কি আমার একদিন(মাহির পিছনে ছুটতে ছুটতে বলল মেহরাব)

আরে আরে কি হয়েছে তোরা এভাবে ছুটাছুটি করছিস কেনো?? আর মেহরাব তুই এভাবে মাহির পিছনে ছুটছিস কেনো??(রুপালি)

মা ও এবাড়িতে কেনো?? আর এতো সকালে ও আমার বাড়তে কি করছে?? বেড়ো বেড়ো বলছি আমার বাড়ি থেকে(মেহরাব)

হুমম?? বললেই হলো আমি আমার মামু + হবু শুশুর বাড়িতে এসেছি আপনি বললেই আমি যাবো নাকি?? তোতলা একটা(মাহি)

মা দেখেছো এই মেয়ে আমাকে আবার তোতলা বলছে, ওকে তো আমি (মাহির দিকে তেড়ে এসে)

মামি বাঁচাও (মাহি রুপালীর পিছে লুকিয়ে বলল)

আরে থাম আর মেহরাব মাহি তো ঠিকি বলেছে তুই তো ছোট বেলায় সত্যি তোতলা ছিলি(রুপালি মুচকি হেসে বলল)

আম্মু তুমিও?? ধ্যাত (এই বলে মেহরাব উপরে চলে গেলো)

আর মাহি আর রুপালি হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে।

অনেক বেলা হয়েছে আয় খেয়েনে তারপর আবার কলেজে যেতে হবে (রুপালি)

হুম ঠিক বলেছো,,, তারপর মাহি আর মেঘলা খেয়ে নিলো মেহরাব পরে খাবে একেবারে রেডি হয়ে তারপর আর মেহরাব এর বাবাও একটু পরে খাবে তাই ওরা দুজনই খেয়ে নিলো তারপর মাহি চলে গেলো।

এরা তো দুজনে সাপে নেউলে কীভাবে যে বিয়ের পর একসাথে থাকবে কে জানে,, এদের মধ্যে আদেও ভাব ভালোবাসা হবে কি না আল্লাহই জানে (মাহির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল রুপালি)

হুম ঠিক বলেছো আম্মু,,আমার তো চিন্তা হচ্ছে ওরা বাসর রাতেও মারামারি করে কিনা (আনমনে বলল মেঘলা)

আপনার এতো না ভাবলেও চলবে, বেশি পাকামো যা ভার্সিটীতে যাহ।

মায়ের কথা শুনে মেঘলাও বাধ্য মেয়ের মতো চলে গেলো,,,,

,,আরে কাঁদা সুন্দরী যে,, তুমি এখানে?? এই ভার্সিটীতে পড়ো নাকি?? এতোটাও আশা করিনি??(নেহাল)

মীরা রেগেমেগে ভার্সিটীতে ঢুকছিলো তখনি নেহাল কথাশুলো বলল,,আসোলে নেহাল অনার্স ফাইনাল ইয়ারে আর মীরা আর মেঘলা অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। নেহাল বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো তখনি মীরা কে দেখতে পেলো আর এই কথাগুলো বলল।

এই যে শুনুন আমার নাম মোটেও কাঁদা সুন্দরী নয় ওকে,,আমি মীরা (রেগে নেহাল এর মুখোমুখি দাড়িয়ে বলল)

ও তুমি মীরা পীড়া যেই হও না কেনো তাতে আমার কি,, আর তুমি এই ভার্সিটীতে পড়ো?? কই আগে তো কখনো দেখিনি।।

দেখবেন কি করে ভালোমতো পড়াশুনা আর ঠিক মতো ভার্সিটীতে আসলে ঠিকি দেখতে পেতেন,, আর এই আমি আপনার কোন জম্নের আত্মীয় যে আমাকে তুমি করে বলছেন??

প্রথমত তোমার মতো কাঁদা সুন্দরী আমার আত্মীয় হতেই পারে না আর তুমি আমার থেকে অনেক ছোট তাই তুমি বললাম,, দেখে তো ছোটোই মনে হচ্ছে কে জানে আটা ময়দা লাগিয়ে আবার জোয়ান হয়েছো কি না কে জানে।

এই যে শুনুন আপনি বুড়ো ঢেমনা হতে পারেন আমি না ওকে?? গাধা একটা(এই বলে মীরা হনহন করে চলে গেলো,, আর নেহাল বেবুক এর মতো হা করে দাঁড়িয়ে থাকল)

,,,,দুপুরে,,,,,

যদিও দুপুর তবুও মনে হচ্ছে বিকেল কেননা অনেক মেঘ লেগেছে আর এরি মধ্যে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও হতে শুরু করছে,, যাকে বলে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি,, আর এই বৃষ্টির মধ্যে রেগে লাল টমেটো হয়ে মাহি দাড়িয়ে আছে।
আসোলে মেহরাব ওকে কলেজে নামিয়ে দেওয়ার সময় বলেছিলো যে ওর কলেজ ছুটির পর মেহরাব আবার এসে ওকে নিয়ে যাবে,, এই জন্য মাহি কলেজ ছুটির পর এখানে দাঁড়িয়ে আছে,, কিন্তু মেহরাব এর আসার কোনো নামগন্ধ ও নেই,, আর ও যে রিকশা করে চলে যাবে তাও পারছে না, কেননা আসার পথে মেহরাব এর সাথে এসেছে আর মেহরাব বলেছে যে ছুটির পর ওকে নিয়ে যাবে তাই ওর কাছে যে টাকা ছিলো তা দিয়ে বান্ধবীদের সাথে ফুচকা আর আইসক্রিম খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। যদি জানতো তাহলে মোটেও টাকাগুলো দিয়ে ফুচকা আইসক্রিম খেতো না।

ওদিকে,,,,

আজকে বাবা না আসায় সব কাজ একা হাতে সামলাতে হচ্ছে মেহরাব কে,, আবার কতগুলি মিটিং ও শেষ করেছে, সত্যি বাবার ছায়া যে কতটা দরকারী সেটা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে,, এতোদিন কীভাবে যে বাবা এসব একা হাতে সামলেছে তা বাবাই জানে,, এসব ভেবে মেহরাব ক্লান্ত হয়ে চেয়ারে বসে পড়ল এখন লাঞ্চ টাইম তাই একটু ফ্রি,, তখনি মনে পড়ল মাহির কথা মেয়েটাকে যে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলাম সে কথা মাথা থেকে একদম বেরিয়ে গেছে, তাই মেহরাব তড়িঘড়ি করে মাহিকে কল দিলো।

বৃষ্টির মধ্যে ফোন বাজায় মাহি পরলো বিপাকে কীভাবে যে ফোনটা ধরবে, তাও কষ্টে মষ্টে ফোনটা বার করল দেখল মেহরাব কল দিয়েছে,, মেহরাব এর নাম্বার দেখে মনে হচ্ছে ফোনের মধ্যে দিয়েই ওনার মাথাটা ফাটায় দিই,, এক বস্তা রাগ নিয়ে ফোন ধরল মাহি।

হ্যালো মাহি কোথায় তুই??(মেহরাব)

মর্গে আছি কবরস্থানে পাঠানোর জন্য ব্যবস্হা হচ্ছে (রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলল মাহি)

মেহরাব মাহির কথাশুনেই বুঝতে পারলো যে ও ভীষণ রেগে আছে তাই মেহরাব বেশি কথা না বাড়িয়ে ফোনটা কেটে দিয়ে ক্লান্ত শরীল নিয়েই বেরিয়ে পড়ল,, কেননা ও খুব ভালো করেই জানে মাহি বাড়ি যায়নি এখনো কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

কত্তবড় সাহস আমার ফোন কেটে দিলো আগে বাড়ি যায় মামি মণিকে বলে এর একটা ব্যাবস্হা করতেই হবে (একা একাই বিরবির করে বলল মাহি)

ফোন কাটার কিছুক্ষণ পরেই মেহরাব গাড়ি নিয়ে মাহির সামনে দাঁড়ালো মাহিও কোনো কথা না বলে ধাপধুপ করে গাড়িতে বসে পড়ল।

কিরে ওমন করে ভিজেচ্ছিস কেনো??(মেহরাব)

খুশির ঠেলায়(রেগে বলল মাহি)

ওমন তেড়া করে কথা বলছিস কেনো?? আমি তো ভালো কথা জিগাস করলাম,, আর ছাতা আনতে পারিস না জানিসই তো এখন বৃষ্টির সিজন (গাড়ি চালাতে চালাতে বলল মেহরাব)

মেহরাব এর কথাশুনে মাহি রেগে লাল হয়ে চোখ বড় বড় করে মেহরাব এর দিকে তাকালো, কেননা আসার সময় মেহরাবই মাহিকে ছাতা আনতে নিষেধ করেছিলো । মাহির তাকানো দেখে মেহরাব চুপ চাপ গাড়ি চালাতে লাগলো, কেননা এখন কথা বলা মানেই বিপদ।

চলবে,,,,,?

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১১_পর্ব
.
সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না, কখন যে সময় সময়ের গতিতে চলে যাই আমরা বুঝতেই পারি না,, দেখতে দেখতে সাতদিন কেটে গেলো, এই সাত দিন মেঘলার খুবি খারাপ গেছে কেননা ও মেঘকে ভীষণ মিস করেছে, শুধু দিনগুনেছে যে কবে এই সাত দিন পাড় হবে,, কেননা মেঘলা এই সাত দিনে খুব ভালো ভাবেই বুঝে গেছে যে ও মেঘকে আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলেছে।
আসোলে মেঘ যখন প্রথম মেহরাব এর সাথে ওদের বাড়িতে আসলো সেদিনই মেঘকে ভালোলেগেছিলো কিন্তু ভালোবেসেছিলো না।

মেঘকে ভীষণ ভয় পেতো কেননা মেঘ পুলিশ এই জন্য, আবার ভাইয়ের বন্ধুও তাই এই ভালো লাগাটা আর প্রকাশ করেনি নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছিলো,, কিন্তু সেদিন যখন মেঘ নিজে থেকে ওর দিকে পা বাড়ালো তখন ও কেনো থেমে থাকবে ও এককদম বাড়ালো।

ভার্সিটীর রাস্তার সামনে দাড়িয়ে আছে মেঘলা শুধু মেঘকে এক পলক দেখার আশায় কেননা গতকালই মেঘ বাড়ি ফিরেছে,, মেহরাব এর থেকে শুনেছে,, মেহরাব ফোনে মেঘের সাথে কথা বলার সময়ই শুনেছে,, তাই আজকে এখানে দাঁড়িয়ে আছে,,,
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল তবুও মেঘের দেখা পেলো না ওদিকে আবার ক্লাসের সময় হয়ে যাচ্ছে কি যে করি,,
আরো কিছুসময় অপেক্ষা করার পর হতাশ হয়ে এক বুক কষ্ট নিয়ে যখনি ভার্সিটীর গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকতে যাবে তখনি দেখলো দূরে মেঘের গাড়ি দেখা যাচ্ছে,, বুকের ভিতর ধুকপুক শুরু হয়ে গেলো,, কতদিন পরে দেখবো ওনাকে,, ইস কত লজ্জা লাগছে। মেঘলা যখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলো তখনি মেঘের গাড়ি মেঘলাকে ক্রস করে চলে গেলো,, মেঘলার ভীষণ খারাপ লাগল যার জন্য এতো কষ্ট করে এতোক্ষণ ধরে এখানে দাঁড়িয়ে থাকলাম সেই এমন করল।
মেঘলা হতাশ হয়ে মেঘের চলে যাওয়া গাড়ির দিকে তাকিয়ে রইল তখনি পিছন থেকে কেউ বলল।

চলে গেলো?? অনেক খারাপ তাই না?? (লোকটি)

হুম অনেক নিষ্ঠুর একটুও তাকালো না পযন্ত আমার দিকে (আনমনে বলল মেঘলা)

সত্যি খুবি খারাপ এমন টা কেউ করে??

হুম সত্যি ওনি,,,,মেঘলা আর কিছু না বলে ভাবল যে ও এতোক্ষণ কার সাথে কথা বলছে এই ভেবে পিছনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলো মেঘলা।পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকে দেখে,,,

আপনি???। (অবাক হয়ে বলল মেঘলা).

,,,, মেহরাব অফিসে এসে একটা প্রজেক্ট নিয়ে অনেকক্ষণ লেকচার দেওয়ার পর সবাইকে বুঝিয়ে কেবলি নিজের কেবিনে এসে চেয়ারে বসল,, তখনি ওর ফোনটা বিকট শব্দ করে বেজে উঠল। মেহরাব বিরক্ত হয়ে ফোনের দিকে তাকালো কাজের সময় আবার ফোন দিলো কে, এই ভেবে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো মা ফোন দিয়েছে,,

এই সময় মা কেনো ফোন দিলো , কোনো সম্যসা হয়নি তো আবার,,এই ভেবে মেহরাব ফোনটা রিসিভ করে বলল।

হ্যাঁ মা বলো, এখন ফোন দিলে যে কিছু হয়েছে?? বাবা ঠিক আছে তো??

না কিচ্ছু ঠিক নেই তুই যলদি সিটি হাসপাতালে চলে আয় মাহি এ্যাকসিডেন্ট করেছে আমরা ওকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি তুই যলদি আয়৷

কথাটা শুনে মেহরাব এর মনে হলো এক মুহূর্তের জন্য ও অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে, বুকের ভিতর কেমন মুচড় দিয়ে উঠল,, কিছু সময়ের জন্য শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল,,, মায়ের কথায় হুস ফিরল।

কিরে আসছিস তো নাকি??

হ,,হা, হুম আ,,আসছি এখনি আসছি (কাঁপা গলায় বলল মেহরাব)

ফোন রেখে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে গেলো মেহরাব, ম্যানেজার কে কোনো রকম বুঝিয়ে এসেছে,,, এতো জোরে গাড়ি চালাচ্ছে তবুও যেনো রাস্তা শেষ হচ্ছে না,, এই জন্যই বুঝি বলে বিপদে রাস্তা বাড়ে।
অবশেষে হসপিটাল এ পৌঁছালো গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে গিয়ে রিসিপশনে কিছু বলতে যাবে তখনি দেখলো মনির হাতে চিপস নিয়ে খাচ্ছে আর হাটাহাটি করছে,, মেহরাব দৌড়ে ওর কাছে গিয়ে জিগাস করল।

এই মাহি কোথায়??(হাঁফাচ্ছে আর জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে মেহরাব)

কে আপু?? আসো আমার সাথে আমি নিয়ে যাচ্ছি,,

মেহরাব মনির এর পিছন পিছন গেলো তারপর মনির দেখিয়ে দিলো মাহির কেবিন, মেহরাব কাঁপা কাঁপা পায়ে আস্তে আস্তে কেবিনের দরজা খুললো,, খুলে ভিতরের অবস্থা দেখে মেহরাব এর চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।হাত অটোমেটিক বুকের বা পাশে চলে গেলো।

কেননা ভিতরে মাহি বেডের উপর বসে আছে বা হাতটা প্লাস্টার করে গলায় ঝুলানো, মাথায় একটা ওয়ান টাইম বান্ডেজ হয়ত মুখ থুবরে পরেছিলো এই জন্য ঠোঁট টা ফুলে তিনটা হয়ে গেছে, এমন টাইপ,, ডান গালেও ছোট খাটো একটা বান্ডেজ,,, বসে বসে ডান হাত দিয়ে চিপস খাচ্ছে,, ঠোঁটে বেথ্যা তাই ভালো মতো হা করতে পারছে না, মুখটা বাকিয়ে হা করে খাচ্ছে।
আর মাহির চারপাশে ওর মা আর মাহির মা বসে আছে,,,, ফুপি মাহির জন্য জুস বানাচ্ছে আর আম্মু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

মায়ের উপর রাগ হচ্ছে এভাবে কেউ বলে?? ফোনে এমন ভাবে বলল আমি ভাবলাম কি না কি,, প্রাণ পাখিটা খাঁচা ছেড়ে পালিয়ে যাবো যাবো অবস্থা হয়ে গিছিলো। সব শেষে মাহি ঠিক আছে এটা দেখে ভালো লাগছে। মেহরাব দরজা ঠেলে ভিতরে গেলো।

এসেছিস দ্যাখ কি অবস্থা হয়েছে মেয়েটার আহারে কার যে নজর লাগলো আমার মেয়েটার উপর আল্লাহ জানে (মেহরাব এর আম্মু)

মেহরাব এর মায়ের কথা শুনে মাহি ফুলে যাওয়া ঠোঁটটা আরো একটু ফুলিয়ে বলল।

ঠিল বলেচো মামি আমাল উপর কালো নজল লাগছে (ঠোঁট ফোলা তাই ভালো করে কথা বলতে পারছে না)

মাহির কথাশুনে মেহরাব হু হা করে হেসে উঠল। মেহরাব এর হাসি দেখে মেহরাব এর মা ওর হাতে মেরে বলল।

এই পাজি ছেলে এমন হাসসিস কেনো??

দেখেছো মা একেই বলে কাউকে কিছু নিয়ে বেশি ক্ষেপালে তারও সেই অবস্থা হয়,, খুব তো আমাকে তোতলা বলছিলি এখন দ্যাখ কে তোতলা (মেহরাব)

মাহি রেগে মেহরাব এর মা কে বলল।

দেখেলে মামি তোমাল ছেলে আমাল নিয়ে মজা কলছে (কান্নার অভিনয় করে)

এই মেহরাব আমার মেয়েকে নিয়ে একদম মজা করবি না বলছি..

মেহরাব তো ঠিকি বলছে ভাবি, খুবতো ওকে নিয়ে মজা করছিলি এখন দ্যাখ (মাহির মা)

মায়ের কথা শুনে মাহি কান্নার অভিনয় করতে লাগল।

এ কখনো শুধরাবে না (মনে মনে বলল মেহরাব)

মেহরাব আমরা এখন বাড়ি বাড়ি যাবো তুই মাহিকে কোলে নিয়ে গাড়ি অবধি দিয়ে আায়(রুপালি)

কি বলো আম্মু ওর তো হাত ভেঙ্গেছে পা নয় ও তো হাঁটতে পারছে তাহলে কোলে নেওয়ার দরকার কি,,(মেহরাব)

বেশি কথা না বলে যা বলছি কর।

ওকে কি আর করার আম্মাজান এর অর্ডার বলে কথা,, মেহরাব গিয়ে মাহিকে কোলে তুলে নিলো।

মাহি ফোলা ঠোঁটেই মেহরাব দিকে তাকিয়ে হাসলো যেনো হাসি দিয়ে বলছে,, দেখ কেমন লাগে।

মেহরাব ও বিরবির করে বলল,, তোতলা একটা।

আপনি এখানে তাহলে গাড়ি কে চালাচ্ছে?? (অবাক হয়ে বলল মেঘলা)

কেনো গাড়ি ড্রাইভার চালাচ্ছে,, প্রেমে পড়ে কি সব বুদ্ধি গরু চড়াতে গেছে??(মজা করে বলল মেঘ)

মেঘলার নিজের উপর রাগ হচ্ছে ওনার সামনে আসলেই সব ভুলভাল কথা বলি শুধু,, তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল।

কে প্রেমে পড়েছে।

কেনো তুমি।

মোটেও না।

তাই নাকি,, যাক ভাবলাম ফিরে এসে তোমাকে বিয়ে করবো, কিন্তু তা আর হলো না তুমি তো আর আমাকে ভালো বাসো না?? (মেঘ)

মেঘের কথা শুনে মেঘলা ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো।

চলবে,,,,,?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here