#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,১৭,১৮
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#পর্ব_১৭
.
মেঘলা একহাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে হেঁটে যাচ্ছে,, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে যাকে এতোটা ভালোবাসি শেষে কি না সেই আমাকে বুঝলো না, অবিশ্বাস করল?? (এসব ভেবে কাঁদতে কাঁদতে যাচ্ছিলো তখনি পিছন থেকে কেউ ওর হাত ধরে টেনে ওকে থামিয়ে দিলো।)
আম সরি, তখন তোমাকে অন্য ছেলে সাথে দেখে মাথা ঠিক ছিলো না প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দাও (মেঘলার মুখ নিজের দু’হাতের মাঝে রেখে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল মেঘ)
মেঘলা কোনো কথা বলছে না শুধু এক ভাবে কান্না করেই যাচ্ছে।
এই মেঘপরি প্লিজ কেঁদো না, আমি সরি বলছি তো,, তবে তুমি যদি বলো তাহলে এই মাঝ রাস্তায় কানে ধরে একপায়ে দাঁড়িয়ে ও থাকবো, তবুও প্লিজ কান্না করো না, তোমার চোখ থেকে পানি ঝড়লে আমার অনেক কষ্ট হয় তুমি বোঝো না??
আপনি খুব খারাপ শুধু কষ্ট দেন আমায় পঁচা লোক একটা(কাঁদতে কাঁদতে বলল মেঘলা)
কি করবো বলো তবুও তোমায় এই পঁচা লোকটার সাথেই থাকতে হবে যে (মেঘলাকে বুকে জরিয়ে বলল)
,,,সকালে,,,,
আহ এই সকাল সকাল হাঁটতে বেরোনোর মজাই আলাদা,,, কি বিশুদ্ধ বাতাস,, দুদিকে হাত ছড়িয়ে দিয়ে জোরে একটা শ্বাস নিলো মাহি,,, আম্মুকে এখন মন চাইছে একটা থ্যাংন্স দিতে,,,
আজকে সকালে আম্মু ঘুম থেকে উঠিয়ে দিয়েছে, প্রতিদিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠি আর কলেজে যেতে দেরি হয়ে যায় তাই আজকে সকাল সকাল উঠিয়ে দিয়েছে,, তাই আমিও উঠে বাইরে চলে আসছি,, আমাদের বাড়ির পিছনে একটু দূরে একটা স্কুল আছে সেই স্কুল মাঠটা অনেক বড় আর স্কুল মাঠের চারপাশে ইট দিয়ে গেথে একেবারে শান করে দিছে যাতে মানুষ সকালে ওখান দিয়ে হাঁটতে পারে,,
বিশেষ করে এটা বয়স্কদের জন্য করা হয়েছে,,যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের জন্য যাতে তারা কোনো রাস্তায় হাঁটতে না যায়,,, এখানে এসে ২,,৩ টা রাউন্ড দিলেই হয়ে যাবে,,, আমি স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে সবাইকে দেখছিলাম তখনি দূরে দেখলাম মেহরাব ভাই দৌড়ে এদিকে আসছে,।
কিরে আজ সূর্য কোন দিকে উঠেছে,,তুই এতো সকালে এখানে??(দৌড়ে এসে বলল মেহরাব)
সূর্য যেদিক দিয়ে ওঠার সেদিক দিয়েই উঠেছে,, তার আগে আপনি আমায় একটা কথা বলুন, আপনার যে ডায়বেটিস আছে সেটা তো জানতাম না,,
তোর মাথায় যে গোবর এ ভর্তি সেটা তুই আজ আবার প্রমাণ করে দিলি.
মানে??
মানে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাই শুধু সকালে হাঁটবে তোকে কে বলেছে?? সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি সবাই কি তোর মতো ঘুম কাতুরে নাকি??
আমি বললাম এক কথা এ শুনিয়ে দিলো একশো কথা (মনে মনে বলল মাহি)
তা আপনি কি প্রতিদিনই এখানে আসেন??
না হঠাৎ হঠাৎ আসি তবে আজকে আসতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম আর এসেই আমার চোখ সার্থক হয়ে গেলো (শেষের কতাটা আস্তে বলল)
ওহ আচ্ছা। চলেন তাহলে সামনে যায়
হুম চল,,,এরপর দুজন হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলো।
,,,,,,ভার্সিটিতে,,,,,
,,,আপনি কি পাগল নাকি আপনার মাথা খারাপ আমি শিওর আপনি অনেক দিন যাবত পাবনায় ছিলেন। ( রেগে বলল মীরা)
বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখনি ওই মেয়েটা এসে কথাগুলো বলল আমায়।
মানে??(নেহাল)
মানে আপনার মাথা,, আপনার কোনো কান্ড ঙ্গান নেই?? আপনি কোন জ্ঞানে আপনার এসাইনমেন্ট আমায় করতে দেন বলেন তো।
কেনো সমস্যা কোথায়??
আরে আপনি কিসে পড়েন আর আমি কিসে পড়ি,,আপনার এসাইনমেন্ট আমার পক্ষে করা সম্ভব?? আর যদি কষ্টে মষ্টে করতেও যায় তাহলে তো সারা রাত লেগে যাবে আমার পড়া করবো কখন??
সেটা তোমার সম্যসা,, তা কই দেখি করেছো এসাইনমেন্ট??
না করিনি আর করবোও না,, শুনুন আমি এখানে পড়তে এসেছি খবরদার এর পর থেকে আর কখনো আমার পিছনে লাগতে আসবেন না ওকে??(এই বলে মীরা চলে গেলো)
পিছনে লাগবো কি লাগবো না সেটা তো পরের ব্যাপার।
,,,,,,,,,,১ মাস পর,,,,,,
মাহির ইয়ার চেঞ্জ শুরু হয়ে যাচ্ছে ,, তাই মাহি এখন খুব ব্যাস্ত পড়াশুনা নিয়ে কি এটাই ভাবছেন তো?? মোটেও এমন নয় যায় কাল থেকে পরিক্ষা সে এখন সোফার উপর দুপা তুলে দিয়ে মনের আনন্দে টিভি দেখছে।
এই তুই এখনো এখানে বসে বসে টিভি দেখছিস কেনো হুম?? তোর না কাল থেকে পরিক্ষা যা পড়তে বস (মাহির মা)
আম্মু তুমি এমন ভাবে বলছো যেনো আমার বোর্ড পরিক্ষা,,, আরে চাপ নিও না দেখবে আমি ঠিক সেকেন্ড ইয়ারে উঠে যাবো সো নো টেনশন (টিভি দেখতে দেখতে বলল মাহি)
পরিক্ষা পরিক্ষাই সে যে পরিক্ষাই হোক না কেনো,, শোন আজকে আসরের আযান এর পর তুই ও বাড়ি যাবি মনির কে নিয়ে আজ থেকে পরিক্ষার এ
কদিন তুই মেহরাব এর কাছেই পড়বি (মাহির মা)
কিহ??(এইরে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়,, ওই লম্বার উপর খাম্বার কাছে পড়তে গেলে তো ওনি আমার অবস্থা কেরোসিন করে দেবে,, না কিছু একটা ব্যাবস্হা করতেই হবে)
আরে শোনো না আম্মু দাখো মেহরাব ভাই সারাদিন অফিস করে তারপর আবার ক্লান্তু হয়ে বাসায় এসে আমাকে পরাবে ওনার কষ্ট হবে তো তাই না??
হুম ঠিক বলেছিস তো তুই আমি তো এভাবে ভেবেই দেখেনি (চিন্তিত হয়ে বলল মাহির মা)
এই তো প্লানটা কাজে দিয়েছে ইয়া হু খাজা খা,, কি মজা এবার আর ওই খবিশটার কাছে পড়তে হবে না (মনে মনে বলল মাহি)
তাহলে কি করা যায়(মা)
তুমি এক কাজ করো ওনাকে নিষেধ করে দাও কেমন.
হুম তাই করি বরং।
না ফুপি আমার কোনো সম্যসা নেই তুমি সন্ধ্যায় মাহি কে চলে যেতে বলবা,, আমি পড়িয়ে দেবো (ভিতরে আসতে আসতে বলল মেহরাব)
আরে তুই আয় বস।
না ফুপি বসবো না আমি অফিস যাচ্ছি,, তুমি কালকে মাহিকে পড়ানোর কথা বলছিলে না?? সেটাই বলতে আসলাম,, আমি ওকে পড়াবো আমার কোনো সম্যসা হবে না,, তুমি ওকে পাঠিয়ে দিও (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
হয়ে গেলো,,, আব তেরা কিয়া হোগা মাহি (মনে মনে বলল মাহি)
এইনে আপু সেই কখন থেকে তোর ফোনটা বাজছে (মনির)
এখন আবার কে ফোন করল(মা)
আমিও বুজতেছি না, দেখি কে ফোন করেছে,, (এই বলে মনির এর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে দেখলো মেঘলা ফোন করেছে)
আরে এটা তো মেঘলা আপু কল করেছে।
তারপর মাহি ফোনটা নিয়ে রুমে চলে গেলো আর মেঘলা কে কল দিলো।
হা মেঘলা আপু বলো।
শোন মেঘ নাকি তোর সাথে কি কথা বলবে,, দাঁড়া আমি কল কনফারেন্স করছি।
আচ্ছা ঠিক আছে।
এরপর মেঘলা মেঘকে কল কনফারেন্স করে দিলো, তারপর শুরু হলো তিন জনের গোপন মিটিং।
চলবে,,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৮_পর্ব
.
এই কোথায় যাও??(মাবিয়া)
মাহি বই খাতা নিয়ে মেহরাব এর রুমের দিকে যাচ্ছিলো তখনি পিছন থেকে মাবিয়া বলে উঠলো,,
আরে তোকে তো বলা হয়নি মাহির কাল থেকে পরিক্ষা তাই মেহরাব বলেছে ওকে পড়াবে এই জন্যই আসছে(রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলল রুপালী)
তাই বলে এই সন্ধ্যার সময়??(মাবিয়া)
তাতে কি যা মাহি তুই মেহরাব এর রুমে গিয়ে বস ও একটু পরেই চলে আসবে (এই বলে রুপালী চলে গেলো)
মাহির সাথে মনির এর আসার কথা ছিলো কিন্তু মনির এর জ্বর আসাই ও আসতে পারিনি, তাই মাহি আগে ভাগেই চলে আসছে নয়ত আবার অন্ধকার হয়ে গেলে একা কীভাবে আসত,, আব্বুও নেই যে আগাই দিয়ে যাবে আব্বু তো অফিসে।
তা ভালোই তো কবজা করে নিয়েছো আমার বোনটাকে সেতো তোমার বিরুদ্ধে কোনো কথাই শুনতে চাই না, কি কালো যাদু করেছো আমার বোন আর তার পরিবারের সবার উপর হুমম(মাবিয়া)
মানে??(মাহি মাবিয়ার কথা বুঝতে না পেরে বলল)
মানে বোঝো না কচি খুকি নাকি, তুমি জানো না আমার মেয়ে মেহরাব কে কত ভালোবাসে ওদের বিয়ের কথাও হচ্ছিলো কিন্তু মাঝখানে তুমি এসে সব গন্ডগোল করে দিলে।
তাতে কি হয়েছে মেহরাব ভাই তো আর বাসে না তাতেই হবে, আমি যায় আমার আবার পরিক্ষা পরতে বসতে হবে (এই বলে মাহি চলে গেলো)
কত্ত বড় বেয়াদব বড়দের সম্মান করতে জানে না অসভ্য মেয়ে (মাবিয়া)
বাবা এটা ছেলেদের ঘর নাকি মেয়েদের ঘর? এতো সুন্দর আর পরিপাটি করে সব কিছু গোছানো আমার ঘর তো সব সময় আফ্রিকার জঙ্গলের মতো হয়ে থাকে ইয়ে মানে আমি অনেক অগোছালো তো তাই আর কি ?।
মেহরাব ভাই এর রুমের দেওয়ালে তার একটা বড় ছবি টাঙানো কি স্টাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,, কালো প্যান্ট আর কালো কোর্ট গায়ে কোর্টের সব গুলা বোতাম খোলা ভিতরে কালো শার্ট ইন করে পড়া, ফর্সা গায়ে কালো রং টা বেশ মানিয়েছে, পিছনে দেওয়ালের সাথে এক পা ঠেকানো মানে ভাজ করে রাখা আর আরেক পা সোজা করে মাটিতে রাখা, চোখে কালো চশমা অন্যদিকে তাকিয়ে চশমাটার এক কোণা আবার হাত দিয়ে ধরে রেখেছে কী ভাব হুম,,
লম্বার উপর খাম্বা একটা।
কি বললি তুই?? (পিছন থেকে বলল মেহরাব)
মাহি চমকে পিছনে তাকিয়ে দেখলো মেহরাব ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে গলার টাই ঢিলে হয়ে গেছে গায়ের শার্টটা ঘামে ভিজে আছে চুল গুলা কপালের সাথে লেপ্টে আছে,, অনেক ক্লান্ত লাগছে ওনাকে।
কিরে ওভাবে ড্যাব করে তাকিয়ে কি দেখিস??(ভিতরে আসতে আসতে বলল মেহরাব)
ক,,কই কিছু না আপনাকে অনেক ক্লান্ত লাগছে আমি না হয় চলে যায় একা একাই পড়ে নেবো আপনি রেস্ট করুন আমি নাহয় কালকে আসবো।
তোর এতো না ভাবলেও চলবে কালকে কি পরিক্ষা??
বাংলা ১ম পএ।
বাংলা বই নিয়ে বস আমি ফ্রেস হয়ে আসছি (এই বলে ওনি বাথরুম চলে গেলো)
কি আজব বাংলা নাকি আবার পরানো লাগে আরে আমি কি মূর্খ নাকি যে বাংলাও পরতে হবে পারবো না হুম ঢং একটু বেশি বেশি (এই বলে আমি বই বার করে পরতে লাগলাম)
,,,,,এমন টা করা কি ঠিক হবে যদি হিতে বিপরীত হয়ে যায় তাহলে (ফোনে বলল মেঘলা)
আরে বাদ দাও তো এমন টা না করলে ওরা কখনোই শুধরাবে না বুঝেছো,,, দেখই না কি হয় (মেঘ)
আমার না খুব ভয় করছে কি যে হবে।
আরে রাখো তো, কিচ্ছু হবে না,, আর আমি সব ব্যবস্হা করে রাখছি,, আর তাছাড়া মাহি তো সব জানেই।
হুম ও এক পাগল আপনি আরেক পাগল,,
আরে বাদ দাও তো ওদের কথা চলো আমরা আমাদের কথা বলি।
আমাদের আবার কীসের কথা??
কেনো ভালোবাসার কথা।
হুট বদ ছেলে।
,,,,,
মেহরাব একটা টাওজার আর একটা গেঞ্জি পরে টাওয়াল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসলো।
কিরে পরা কতদূর?? (আয়নার সামনে দাড়িয়ে বলল)
আপনি এমন ভাবে বলছেন যেনো আমি রোবট মুভির চিট্টি যে একটা বই হাতে নেবো আর এপিট ওপিট ঘুরাই ফিরাই দেখবো আর সব পড়া হয়ে যাবে, আজব।
এতো বেশি বকবক না করে পড়া শুরু কর।
এরপর মেহরাব এসে মাহিকে পড়ানো শুরু করলো পড়াতে পড়াতে রাত প্রায় ১০ টা বেজে গেছে বাবা গো সেই ৭ টা থেকে এক টানা পরাচ্ছে কোনো বিরতি নেই, মাঝে অবশ্য মামি খাওয়ার জন্য ডেকেছিলো কিন্তু ওনি বললেন খেয়ে পরতে বসলে নাকি ঘুম পাবে তারচেয়ে ক্ষুধা পেটে নিয়ে পরলে পড়া ভালো হবে,,,আর ঘুম ও আসবে না কেননা পেটে ক্ষুধা আছে তো।
সাড়ে দশটার দিকে ওনি আমায় ছাড়লেন আমি শেষ তারপর নিচে নেমে আমরা খেয়ে নিলাম,, আমাকে নেওয়ার জন্য আব্বুর আসার কথা ছিলো কিন্তু মেহরাব ভাই আসতে নিষেধ করে দিয়েছেন কেননা আব্বুর আবার অফিস শেষ হয় সাড়ে সাতটার দিকে আসতে আসতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে যায় তারপর ফ্রেস হয়ে খেয়ে আর আসতে মন চাই না তখন মনে হয়ে একটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো আর আব্বুর ও বয়স হয়েছে এই জন্য আব্বুকে আসতে নিষেধ করেছেন মেহরাব ভাই।
গভীর রাত,, কেবল ১১ টা বাজে শহরের মানুষের জন্য এটা তেমন কোনো বিষয় না তবে আমার জন্য অনেক রাত কেননা আমি নয়টার আগেই খেয়ে ঘুমাই যায় সেখানে ১১ টা তো অনেক রাত,, যাই হোক আমি আর মেহরাব ভাই পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছি ওনি একমনে পকেটে হাত দিয়ে হেঁটে চলেছে এদিকে আমার ভয়ে কাম সাড়া,, তখনি পিছন থেকে একটা কুকুর ডেকে উঠল আমি ভয় পেয়ে মেহরাব ভাই এর হাত জরিয়ে ধরলাম।
কিরে কি হলো ভয় পেয়েছিস??
হুম ওই দাখেন কুকুর, (আমি ভয়ে ভয়ে বললাম)
আরে কুকুর এ আবার ভয় কিসের ,, তারপর ওনি আমায় একহাতে জরিয়ে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন আমিও ছোট্ট বিড়াল ছানার মতো ওনার বুকের সাথে লেগে ওনার হাত ধরে হাঁটতে লাগলাম।
,,,,,সকালে,,,,
সকালে সব কিছু আবার একবার দেখে খেয়ে বেরিয়ে পরলাম কেননা মেহরাব ভাই আবার আমার জন্য অপেক্ষা করছে,,,, তারপর ওনার সাথে কলেজে চলে আসলাম।ওনি আমায় কলেজে নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেলো
কিরে প্রিয়া ওই ছেলেটা কে?? আগে তো কখনো দেখেনি (আমি আমার সিটে বসে দেখলাম একটা ছেলে আমাদের রুমে আমাদের পরিক্ষার খাতা গুলা নিয়ে দেখছে,, বেল পড়লেই খাতা দেওয়া হবে,, তাই আমি ফিসফিস করে প্রিয়া (বান্ধবী) কে বললাম)
আরে ওনাকে চিনলি না ওনি আমাদের আজাদ স্যার এর ছেলে।
তা ওনি এখানে কি করছে??
আরে কালকে নাকি আজাদ স্যার হঠাৎ করেই স্টক করেছেন অনেক অসুস্থ ওনি তাই ওনার বদলে স্যারের ছেলে আসছে,, অনেক হ্যান্ডসাম বল??(প্রিয়া)
হুম তা ঠিকি বলেছিস, তবে এখন স্যার কেমন আছে??
একটু ভালো তবে ওনি এখনো হাসপাতালে আছে।
ওহ আচ্ছা।
এই মেয়ে এতো কথা কিসের হুম চুপচাপ পরিক্ষা দাও (শুভ আজাদ স্যার এর ছেলে)
আমরা কথা বলছিলাম তখনি দেখি ওই স্যারের ছেলেটা খাতা হাতে আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে,, তারপর ওনি খাতা দিয়ে চলে গেলো,, আমরাও যথারীতি খাতা নিয়ে খাতায় দাগ কাটতে লাগলাম, পড়ে বেল বাজলে প্রশ্ন প্রশ্ন পএ দিয়ে গেলো।
আমিও খুব ভালো ভাবেই লেখা শুরু করলাম, কিন্তু ১যন্টা নাই যেতে পরলাম বিপাকে তারাতাড়ি আসতে গিয়ে ভুল করে ১ টা কলম আনছি আর সেই কলম টার ও কালি শেষ,, প্রিয়া আমার থেকে একটু দূরে বসেছে,, পুরো ক্লাস রুম নীরব আমি যদি এখন ফিসফিস করেও ওকে ডাকি তবুও স্যার শুনে ফেলবে তাই চুপ করে বসে উসখুস করতে লাগলাম, তখনি কেউ পিছন থেকে বলল।
কি হয়েছে কোনো সম্যসা??(শুভ)
,জি,,স্যার আমার কলমে কালি শেষ হয়ে গেছে।
ওহ এই বেপার এই নাও এটা দিয়ে লিখো।
স্যার নিজের পকেট থেকে ওনার কলম বার করে দিলো আমি কলমটা নিয়ে দেখলাম কলমের উপর সুতা দিয়ে খুব সুন্দর করে শুভ লিখা,, আমি ওতো কিছু না ভেবে লিখতে শুরু করলাম।
চলবে,,,,,,?
(গল্পে নতুন একজনের এন্ট্রি, শুভ,,অ!)