ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,১৯,২০

0
459

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,১৯,২০
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৯_পর্ব
.
পরিক্ষার শেষে প্রিয়ার সাথে বেরিয়ে আসলাম,, ওরা সবাই বলছে স্যার কে দেখতে যাবে তাই ভাবলাম আমিও যায়,, মেহরাব ভাই আজকে নিতে আসবেনা ওনার নাকি অফিসে কাজ আছে তাই ভাবলাম একটু দেখেই আসি,,

তুই কি যাবি আমাদের সাথে??(প্রিয়া)

হুম যাবো,, আমি তো চিনি না কোন হসপিটালে তো তুই যাওয়ার সময় আমায় নিয়ে যাস (মাহি)

হুম সবাই বের হলেই যাবো সবাই অবশ্য যাবে না আমরা কয়েক জন যাবো,,,।

আচ্ছা,, আরে আমার তো মনেই নেই আমি স্যার এর কলম নিয়েই চলে আসছি, তুই দাঁড়া আমি কলম টা দিয়েই চলে আসছি, যাবি না কিন্তু (মাহি)

আচ্ছা ঠিক আছে।

তারপর মাহি ক্লাসে গিয়ে দেখলো শুভ খাতা সবগুলা একসাথে গুছিয়ে রাখছে, মাহি গিয়ে কলম টা দিয়ে বাইরে এসে দেখলো প্রিয়া নেই।

ওমা গেলো কোথায়, চলে গেলো নাকি আবার (মাহি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলো)

কিছুক্ষণ পর শুভ বাইক নিয়ে গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখলো মাহি দাঁড়িয়ে আছে।

আরে তুমি এখনো যাওনি?? সবাই তো চলে গেছে (পিছন থেকে বলল শুভ)

আসলে আজকে আমরা ভাবছিলাম সবাই মিলে স্যার কে দেখতে যাবো,,কিন্তু ওরা মনে হয় আমাকে রেখেই চলে গেছে (মাহি)

ওহ আচ্ছা ওদের মনে হয় খেয়াল নেই,, আচ্ছা আমিও হাসপাতালে যাচ্ছি তুমি চাইলে আমার সাথে যেতে পারো,, তারপর আসার সময় না হয় তোমার বন্ধুদের সাথে চলে এসো (শুভ)

আপনার সাথে?? (মাহি কিছুক্ষণ ভেবে) আচ্ছা ঠিক আছে চলেন।

তারপর মাহি শুভর বাইকের পিছনে বসে পড়ল আর দুজনের মাঝে মাহির কলেজ ব্যাগটা রাখল,, মাহির এহেন কান্ডে শুভ মুচকি হেসে বাইক চালানো শুরু করলো।

এতোক্ষণে নিশ্চয়ই মাহির পরিক্ষা শেষ হয়ে গেছে, ওকে বলেছিলাম নিতে যাবো না কিন্তু হঠাৎ করে গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দেবো, এই ভেবে মেহরাব গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল,,, রাস্তায় অনেক জ্যাম তাই শুভ বাইক থামিয়ে জ্যাম ছাড়ার অপেক্ষা করছে ঠিক তার অপর পাশে মেহরাব এর গাড়ি মেহরাব গাড়ির মধ্যে থেকে ঘার ফিরানোর সময়,

আরে মনে হলো মাহিকে দেখলাম এই বলে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখলো মাহি একটা ছেলের বাইকে বসে আছে,, আর ছেলেটার মাথায় হেলমেট থাকায় তার মুখ দেখতে পারলো না,, মেহরাব গাড়ির ভিতর থেকেই মাহিকে ডাকলো কিন্তু ততক্ষণে শুভ বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেছে। মেহরাব রেগে গাড়িতে একটা ঘুষি মারল তারপর গাড়ি নিয়ে আবার অফিসে ব্যাক করল।

,,,সন্ধ্যার সময়,,,,

মাহি মেহরাব এর রুমে বসে ওর জন্য অপেক্ষা করছে, আর মনে মনে আজ সারাদিন হয়ে যাওয়া সব কিছু মনে করছে, শুভ স্যারের সাথে হসপিটালের যাওয়া তারপর ওনার সাথে কথা বলা সত্যি অনেক ভালো লাগল,, শুভ স্যার অনেক ভালো ওনার কথা মনে হতেই মনের ভিতর কেমন অজানা ভালোলাগার বাতাস বয়ে গেলো,, তারপর ভাবল না না আমি এ কী ভাবছি এটা ভুল আমি তো মেহরাব ভাইয়াকে ভালোবাসি ওনার সাথে আমার বিয়েও হয়ে গেছে তারপরেও অন্য কাউকে নিয়ে ভাবা ঠিক না,,
মাহি যখন এসব ভাবছিলো তখনি কেউ ঝড়ের গতিতে এসে ওকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলল।

ছেলেটা কে?? খুব ভালো লাগে অন্য ছেলের বাইকে চড়ে ঘুরতে??(রেগে বলল মেহরাব)

মাহি দেখলো মেহরাব দাঁড়িয়ে আছে ওনাকে দেখে কেমন অগুছালো লাগছে কি হয়েছে ওনার,,

কি হলো চুপ করে আছিস কেনো বল ছেলেটা কে??(মাহিকে দেওয়ালের সাথে আরো জোরে চেপে ধরে বলল মেহরাব)

আহ কি করছেন কি মেহরাব ভাই আমি বেথ্যা পাচ্ছি তো (কাঁদো কাঁদো সুরে বলল মাহি)

লাগুক বেথ্যা তোর লজ্জা করে না অন্য একটা ছেলের বাইকে চড়ে ঘুরতে।

এসব বলছেন কি আপনি,, পুরো ঘটনা না শুনে আপনি আমাকে এভাবে বলতে পারেন না,, আজকে পরিক্ষার শেষে (তারপর মাহি মেহরাব কে সব বলল)

ওহ আগে বলবি তো আমি আরো ভাবলাম কি না কি (এই বলে মেহরাব মাহির মুখে হাত দিয়ে একটু হেসে ফ্রেস হতে চলে গেলো)

এই বিশ্বাস করেন আপনি আমায়?? আজ সামান্য অন্য একজনের সাথে দেখে সত্যি মিথ্যা যাচাই না করেই আমায় আঘাত দিলেন?? আর অন্যদিকে শুভ স্যার যে কিনা আমি একটু চুপ থাকলে কথা না বললে আমাকে কথা বলাতে আর হাসাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, আজকে একদিনে শুভ স্যারকে কত চেনা লাগছে আর আপনাকে কত অচেনা লাগছে মেহরাব ভাই (মনে মনে বলল মাহি)

পরদিন আজকে পরিক্ষা নেই আবার আগামীকাল তাই মাহি একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠল,, তারপর ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে দেখলো মনির সোফায় বসে টিভি দেখছে।

কিরে পুচকে এখন কেমন লাগছে জ্বর কমছে??

আপু আমাকে একদম পুচকে বলবি না আমি মোটেও পুচকে নই,,

ওলে বাবা তাহলে কি তুই আমার বুড়ো দাদু??(হেসে বলল মাহি)

আপু আমি কিন্তু আম্মুকে বলে দেবো,, আচ্ছা শোননা না আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে ওই মড়ের ওখানে না একটা ফুচকার দোকান বসছে যাবি??

সত্যি?? চল তাহলে আর দেরি কিসের??

আচ্ছা তাহলে চল।

তুই একটু বস আমি রেডি হয়ে টাকা নিয়ে আসছি,, এই বলে মাহি নিজের রুমে চলে গেলো গিয়ে দেখলো ওর ফোন বাজছে মেহরাব ফোন দিয়েছে কেনো যেনো ফোনটা ধরতে মন চাইলো না কালকের ব্যবহারটা এখনো মনের মধ্যে গেঁথে আছে তাই ফোনটা না ধরে রেডি হতে লাগল,, জিন্স আর লং কামিজ পরে ওরনাটা মাথায় দিয়ে তারপর বেরিয়ে টাকা নিয়ে মনির এর সাথে চলে গেলো। ফোনটাও নিলো না,।

এই মেয়েটাও না বড্ড বেখালি এতোবার করে ফোন করছি কিন্তু ফোন ধরার নামগন্ধ নাই,, মেহরাব রেডি হয়ে অফিস যাওয়ার পথে মাহিদের বাসায় নেমে মাহিকে ডাকলো।

মাহি তো নেই রে মনিরকে সাথে নিয়ে বলল কোথায় নাকি ফুচকার দোকান বসছে সেখানে গেলো(মাহির মা)

ওর ফোন কই ফোনটা তো নিয়ে যেতে পারে যত্তসব,, (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)

,মাহি আর মনির পাল্লা দিয়ে ফুচকা খাচ্ছে তখনি পিছন থেকে কেউ বলল।

আরে মাহি তুমি এখানে??(শুভ)

মাহি কেবলি ফুচকা মুখে দিয়েছে তখনি শুভ কথা বলায় মাহি কথা না বলে চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকিয়ে আছে।

আরে কথা বলার প্রয়োজন নেই মুখেরটা শেষ করো তারপর কথা বলো (হেসে বলল শুভ)

ওদিকে মনির এর কোনো হুস নেই ওতো নিজের মতো করে ফুচকা খেয়েই যাচ্ছে। মাহি মুখেরটা শেষ করে বলল।

আরে স্যার আপনি??

হুম আমি একটা কাজে এসেছিলাম তা তুমি এখানে তোমার বাড়ি কি এখানে নাকি??

জি স্যার ওইতো একটু সামনে,, চলুন না আমাদের বাড়ি।

নাহ আজকে নাহ,, অন্য একদিন যাবো।

মাহি আর শুভ হেসে কথা বলছে ওদিকে অন্য একজন রেগে ফুসছে,, কাল তাহলে মাহি আমায় মিথ্যা বলেছে,, ও যদি এই ছেলেকে নাই চিনবে এই ছেলে যদি ওর স্যারই হবে তাহলে এই ছেলে এখানে কি করছে,, (মেহরাব গাড়িতে বসে রেগে কথাগুলো বলল,,তারপর রেগে চলে গেলো)

,,,সন্ধ্যায় মেহরাব মাহিকে চুপচাপ পড়িয়ে দিলো কোনো কথা জিগাস করলো না মাহিকে আসোলে মেহরাব ও দেখতে চাই যে মাহি কতদূর পযন্ত যেতে পারে,,, পরদিন সকালে মাহি মেহরাব এর সাথে কলেজে চলে গেলো মেহরাব ও মাহিকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো,,,
মাহি পরিক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর, যখন মেহরাব এর জন্য অপেক্ষা করছিলো তখনি শুভ এসে বলল।

আরে তুমি এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো??(শুভ)

আসোলে ভাইয়া নিতে আসবে তো তাই।

শুভ ভাবলো যে মাহির ভাই মনে হয় ওকে নিতে আসবে,, তাই বলল, আচ্ছা তোমার ভাই যখন আসছে না তখন চলো আমার সাথে।

কোথায়??

আরে আমি একটা ঘড়ি কিনবো তুমি শুধু পছন্দ করে দিবা, আর ততক্ষণে তোমার ভাইও চলে আসবে,, (শুভ)

ওকে চলুন তাহলে,, তারপর মাহি আর শুভ পাশের একটা দোকানে চলে গেলো।

চলবে,,,,,,,,??

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#২০_পর্ব
.
মাহি কেবলি একটা ঘড়ি নিয়ে শুভর দিকে দিবে তখনি কেউ ঝড়ের গতিতে এসে মাহির গালে ঠাস করে একটা চড় মারল মাহি গালে হাত দিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে মেহরাব রাগী দৃষ্টিতে দিকে তাকিয়ে আছে।

আরে আপনি,,,(শুভ কে কিছু বলতে না দিয়ে মেহরাব মাহির হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো,, তারপর গাড়িতে বসিয়ে সোজা বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে মেহরাব চলে গেলো এটুকু সময়ে কেউ কারো সাথে কথা বলেনি,,, মাহিও মন খারাপ করে বাসার ভিতর চলে গেলো,,, সেদিন আর মাহি পরতে যায়নি আর মেহরাব ও মাহিকে কিছু বলিনি এভাবেই রাতটা কেটে গেলো।

পরদিন শুক্রবার সকাল সকাল উঠে মাহি বসার ঘরে গিয়ে সোফায় বসে পরল, কারো সাথে কোনো রকম কথা না বলে খেয়ে রুমে গিয়ে একটা লম্বা ঘুম দিলো দুপুরে মাহির আব্বু আর মনির নামাজ শেষে বাড়ি ফিরলে ওদের সাথে মেহরাব ও আসলো ,, ওরা সবাই বসার ঘরে বসে গল্প করছে, মেহরাব এর চোখ মুখ কেমন ফোলা ফোলা চোখটাও কেমন লাল,, মাহি ঘুম থেকে উঠে গোসল করে মেহরাব এর দেওয়া সেই শাড়িটা নিয়ে ওর মায়ের কাছে গেলো।

আম্মু এই শাড়িটা পরিয়ে দাও তো।

সেকিরে তুই শাড়ি পেলি কোথায় আর এখন শাড়ি পরেই বা কি করবি(আম্মু)

ওফফ এতো প্রশ্ন করো না তো, আমার একটা দাওয়াত আছে তুমি পরিয়ে দিবে কিনা বলো।

আচ্ছা আয়,,,তারপর মাহির মা সুন্দর করে মাহিকে শাড়ি পরিয়ে দিলো, তারপর মাহি একটু সেজে বেরিয়ে গেলো,,বসার রুমে মাহির বাবা আর মেহরাব কথা বলছিলো তখন মাহিকে বাইরে যেতে দেখে মাহির বাবা জিগাস করল।

কিরে এই সময় কোথায় যাস??

একটু কাজ আছে আব্বু আমি সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসব,, এই বলে ওর বাবাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে মাহি বেরিয়ে গেলো,, কেননা ওখানে দেরি করলে পরে আর ওর বাবা ওকে যেতে দেবে না,,, মেহরাব এর কেমন যেনো সন্দেহ হলো তাই কোনো রকমে মাহির বাবার থেকে বিদায় নিয়ে মাহির পিছু নিলো। যেহেতু নামাজ পরে ওভাবেই এসেছে মেহরাব এর গায়ে পাঞ্জাবি ছিলো, ওটা পরেই বেরিয়ে গেলো

মাহি রিক্সা নিয়ে সোজা একটা পার্কে গেলো,, মেহরাব ও ওর পিছে যাচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎই পার্কের ভিতর ঢুকে মাহি হারিয়ে গেলো মেহরাব চারিদিকে মাহিকে খুঁজতে লাগল তখনি পিছন থেকে কেউ বলল।

ভাও (মেঘ+মেঘলা)

তোরা?? এখানে কি করছিস??(মেহরাব পিছনে তাকিয়ে বলল,,)

আগে বল তুই এখানে কেনো??(মেঘ)

মেহরাব কিছু বলতে যাবে ,তখনি দেখলো মাহি আর শুভ কথা বলতে বলতে এদিকেই আসছে,, ওদেরকে দেখে মেহরাব দ্রুত ওদের কাছে গিয়ে মাহিকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে নিলো

আরে ভাই আস্তে বাচ্চা মেয়ে তো, আর আমি তোর বউকে নিয়ে নেবো না,, আমারও বউ আছে (শুভ)

মানে??( মেহরাব কিছু বুঝতে না পেরে বলল)

মানে আবার কি শুধু তোর নয় বউ আমারও আছে হে বেশ কি বল মেঘ?? (শুভ)

হুম সেটাই তো,, মনে হচ্ছে খালি বউ ওরই আছে আর আমাদের নেই(মেঘ)

মেহরাব ওদের কথার আগা মাথা কিছু বুঝতে না পেরে মাহির দিকে তাকিয়ে দেখলো মাহি দাঁত কেলিয়ে ওর হাত জরিয়ে ধরে আছে।

এসব কি হচ্ছে এখানে??আর তোরা এখানে কি করছিস?? আর এনি (শুভকে উদ্দেশ্য করে) আমাকে তুই করে বলছে কেনো,?? আর তুই (মাহি) আমার হাত ছাড়(রেগে বলল মেহরাব)

আরে এতো রাগ করছিস কেনো,, আর তুই শুভকে চিনতে পারছিস না?? আর চিনবেই বা কামনে প্রথমে দেখে তো আমিও চিনতে পারছিলাম না,, আরে ও হলো আজাদ স্যার এর ছেলে শুভ,, সেই আজাদ স্যার যায় কাছে আমরা ইংরেজি পড়তে যেতাম আর তুই তো শুভকে দেখতেই পারতি না,, কেননা তোরা দুজনই পড়াই খুব ভালো ছিলি আর দুজন দুজনার সাথে পাল্লা দিয়ে পরতি। (মেঘ)

আচ্ছা এবার বাকিটা আমি বলি,, আসোলে হয়েছে কি তুই তো ছোট বেলায় আমাকে অনেক জ্বালিয়েছিস তো আমিও ভাবলাম আমিও একটু তোকে জ্বালায়, তো মেঘের সাথে দেখা হওয়ার পর যখন তোর কথা জিগাস করলাম তখন ও বলল,, তোর আর মাহির কথা, তোরা দুজন দুজনকে ভালোবাসিস কিন্তু কেউ কাউকে বলছিস না,, আচ্ছা মাহিকে বাদ দিলাম ওতো মেয়ে ওর লজ্জা বেশি ও আগে কেনো বলবে বলবি তো তুই কিন্তু তুই নাকি বলছিস না, (শুভ)

হুম ও শুধু বলে #ভালোবাসি_বুঝে_নাও আরে গাধা মাহি কামনে বুঝে নেবে তুই না বললে,, তাই সেদিন রাতে আমরা মানে আমি,মেঘলা,শুভ,মাহি,আর শুভর বউ মিলে এই প্লান বানিয়েছি,, তুই যেহেতু শুভ কে চিনিস না তাই ওকে দিয়ে তোকে জেলাস ফিল করানো আর তুই যাতে মাহিকে হারানোর ভয়ে ওকে তোর ভালোবাসার কথা বলেদিস, কিন্তু তুই তাও বললি না উল্টে মাহিকে চড় মারলি,, তাই মাহি কাল রাতে আমায় ফোন করে বলল তোকে সব বলে দিতে নইলে তোর হাতে নাকি আরো চড় থাপ্পর খাওয়ার সম্ভবনা আছে (মেঘ)

এই ভাইয়া আমার কিন্তু কোনো দোষ নেই, সব প্লান এই মেঘ আর শুভ ভাইয়ের(মেঘলা)

একিরে মীর জাফর এখন আমাকে ফাঁসাচ্ছো কেনো?? তুমি তো সব জানতে আর আমাদের সাহায্য ও করেছো (মেঘ)

আমি বার বার নিষেধ ও করেছি ওকে কিন্তু আপনিরা শুনেননাই।

মেহরাব আমার কিন্তু কোনো দোষ নেই সব দোষ শুভ আর মেঘলার (মেঘ)

এই সালা আমি কি করলাম তোরাই তো আমাকে এই সব করতে বললি (শুভ).

আমি বলছি কার দোষ আছে আর কার দোষ নেই,, আজ সব কটাকে মেরে আলু ভর্তা বানাবো দাঁড়া ,, এই বলে মেহরাব শুভ আর মেঘকে দৌড়রানি দিলো,মেঘ দৌড়ে মেঘলার পিছনে গিয়ে বলল।

এই তোমার ভাইকে সামলাও নয়ত কিন্তু তুমি বিয়ের আগেই বিধবা হবা বুঝলে (মেঘ)

ওরে ভাই থাম ঘাট হয়েছে আর দৌড়াতে পারছি না (শুভ দূরে গিয়ে ঘাসের উপর গিয়ে বসে বলল)

একবার দুটোকে হাতের কাছে পায় তারপর বোঝাবো মজা, আমার সাথে বিটলামি করা না?? তখনি মাহি মেহরাব এর পিছনে গিয়ে বলল।

এই এখন প্রোপোজ করেন আমায় (দাঁত কেলিয়ে মেহরাব এর হাত জড়িয়ে ধরে বলল)

একটা চড় খেয়ে হয়নি আরো লাগবে??হাত ছাড় আমার (মেহরাব)

ও মেঘ ভাইয়া দাখেন প্রোপোজ করছে না (মাহি)

কিরে ভাই বাচ্চা মেয়ে প্রোপোজ করে দিলেই তো পারিস (মেঘলার পিছন থেকে মাথা বের করে বলল মেঘ)

সালা তুই কোনো কথা বলবি না (মেহরাব)

এই মেহরাব মেঘ তোর সালা হয় নাকি?? দাঁড়া হিসেব করি তোর ছোট বোনের বর তোর কি হয় (দূরে ঘাসের উপর বসে বলল শুভ)

আমার কাছে আয় আমি তোকে খুব ভালো করে বুঝিয়ে বলছি (মেহরাব)

না ভাই আমি এখানেই ঠিক আছি( ঢোক গিলে বলল শুভ)

কি হলো করুন প্রোপোজ (মেহরাব এর হাত ধরে বলল মাহি)

তোকে তো,,, এই বলে মেহরাব মাহিকে এক ঝটকায় কাঁধে তুলে নিয়ে হাঁটতে লাগল।

এই ছাড়ুন আমায় গুন্ডা একটা বাঁচা ও,, এই মেঘ ভাইয়া শুভ ভাইয়া আপনার বন্ধুকে থামান,, ওরে নিয়ে গেলো আমায় এবার আমার কি হবে বাঁচাও আমি যাবো না (মেহরাব এর পিঠে মারতে মারতে বলল মাহি)

পাগল না মাথা খারাপ তোমায় বাঁচাতে গিয়ে নিজের বউকে বিধবা করবো নাকি?? (শুভ)

ভাইয়া তো মাহিকে নিয়ে গেলো এখন কি হবে??(মেঘলা)

কি আর হবে যা হওয়ার তাই হবে তোমার ভাই মাহির সাথে বাসর করবে,,এখন চলো আমরাও যাই (মেঘ)

কোথায়??

প্রেম করতে, বাসর তো করতে পারবো না, বিয়ে হয়নি তো তাই চলো (এই বলে মেঘ মেঘলাকে কোলে তুলে নিয়ে চলে গেলো)

লে ও ওর বউকে নিয়ে চলে গেলো, আর এ এর বউ কে নিয়ে চলে গেলো তো হুদাই আমি একা এখানে বসে আছি কেনো যাই আমিও আমার বউ এর কাছে যায়,, বউ ও বউ কই তুমি আমি তোমাকেই খুঁজছি (এই বলে শুভও চলে গেলো)

চলবে,,,,?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here