#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,২৩,২৪
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#২৩_পর্ব
.
মেঘ আর মেঘলা দোকানে বসে শাড়ি পছন্দ করছিলো তখনি কোথা থেকে মেহরাব হন্তদন্ত হয়ে ওদের কাছে আসলো।
মাহি কোথায়??(মেহরাব)
ভাইয়া তুই এখানে?? তুই না বললি তোর কাজ আছে তুই আসতে পারবি না তাহলে?? (মেঘলা)
কাজ তো শেষ হয়ে গেছে,, তোদের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আমিই চলে আসলাম, এতোক্ষণ লাগে?? সেই কখন আসছিস বাড়ি যাওয়ার কোনো নাম গন্ধও নাই আজব (রেগে বলল মেহরাব)
কি ভাইয়া আমরা আসছি ১ ঘন্টাও হয়নি এর মধ্যেই তোর টেনশন শুরু হয়ে গেলো?? (মেঘলা)
হ্যাঁ আর আমি তো ছিলাম ওদের সাথে (মেঘ)
ত,,তো ১ ঘন্টা অনেক সময় না?? আচ্ছা বাদ দে এখন বল মাহি কোথায়?? তোকে না বলছিলাম ওকে সব সময় তোর সাথে রাখবি (মেহরাব)
ও তুই তাহলে আমাদের জন্য আসছিস না মাহির জন্য আসছিস হুম?? আর মাহি তো আমার সাথেই ছিলো হয়ত আশেপাশে আছে কোথাও (মেঘলা)
কি আশেপাশে, ভালো করে বলতেও পারছিস না আমিই দেখছি ওফ এই মেয়েটাও না যদি করে একটু কথা শুনতো (এই বলে মেহরাব মাহিকে খুঁজতে লাগল)
,,এটা আমি নেবো আমি আগে দেখেছি (মীরা)
শুধু দেখলেই হবে আমি আগে এটা ধরেছি সো এটা আমিই নেবো (নেহাল)
আসোলে মীরা আর নেহাল একটা শো পিস ধরে টানা টানি করছে,, দুজনেই এই একটাকেই পছন্দ করেছে,, এখন এটাই চাই দুজনের,, দোকানে থাকা ছেলেটাকে বলল মীরা।
আচ্ছা ভাইয়া এরকম দেখে আরেকটা দেন (আগেরটা ধরে রেখেই বলল)
আম সরি আপু এটা এই একটাই আছে আজকেই সব শেষ হয়ে গেছে। (দোকানে থাকা ছেলেটা)
ওকে ঠিক আছে যাও এটা আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম (নেহাল)
আমি কারো দয়া চাই না,, যান আমি এটা আপনাকে দিয়ে দিলাম (মীরা)
এই নেহাল কখনো কারো কাছ থেকে কোনো কিছু চেয়ে নেয় না,,.
আরে আপনারা ঝগড়া করবেন না দাঁড়ান আমি আপনাদের সম্যসার সমাধান করে দিচ্ছি,, এই বলে দোকানের ছেলে টা শো পিস টা দুটো অংশ করলো ছেলেটা মীরা আর মেয়ে টা নেহালকে দিলো। নেন সম্যসা সমাধান..
কি ভেবেছেন এটার দাম আমি একাই দেবো?? কখনোই না,, আচ্ছা ভাইয়া এটার দাম কত??(মীরা)
তারপর দোকানদার দাম বলল।
মীরা ব্যাগ থেকে শো পিস টার অর্ধেক দাম দিয়ে চলে গেলো।
ধানি লংকা (নেহাল)
,,মাহি একটা লেহেঙ্গা নিয়ে হাত দিয়ে নাড়া চাড়া করছিলো তখনি মেহরাব এসে ওর হাত শক্ত করে ধরে বলল।
তোকে কি বলেছিলাম আমি?? বলিনি যে সব সময় মেঘলার সাথে থাকবি তাহলে এখানে কি করছিস??(রেগে বলল মেহরাব)
আ,,আসলে আমি এই ল,লেহেঙ্গা টা(মাহিকে বলতে না দিয়ে)
চল তোকে ভালো করে লেহেঙ্গা পড়াবো সব সময় শুধু দুষ্টামী এক জায়গায় ঠিক করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারিস না (এই বলে মেহরাব মাহির হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে গেলো , আর মাহিও ঠোঁট ফুলায়ে চলে গেলো সাধের লেহেঙ্গা টা আর কেনা হলো না কত পছন্দ হয়েছিলো)
,,,,,,,রাতে,,,,,
মেহরাব ভাই এর এক গাদা বন্ধুরা এসেছে কাল বাদে পরশো দিন গায়ে হলুদ তাই আজকেই সবাই চলে এসেছে, কেউ কেউ আবার বউও সাথে করে নিয়ে এসেছে,, ওনারা বিয়ের দিন পযন্ত এখানে থাকবে,,প্রায় সব গুলায় ওনার ভার্সিটী ফ্রেন্ড আর কলেজের ও আছে দু একটা,
আরে শুভ স্যার ভালো আছেন??(মাহি)
মাহি আমি মোটেও তোমার স্যার নয় তুমি আমাকে ভাইয়া বলে ডাকতে পারো,, আর পরিচয় করিয়ে দিই এই হলো আমার একমাএ বউ ইপ্সা আর ইপ্সা এই হলো মাহি যার কথা তোমায় বলেছিলাম (শুভ)
হুম আমাদের মেহরাব ভাই এর একমাত্র পিচ্চি বউ তুৃমি খুব মিষ্টি (ইপ্সা)
আপনিও অনেক সুন্দর ভাবি (মাহি)
এই একদম না,, ভাবি বলবা না, তুমি আমায় আপু বলবা, আর আমাকে তুমি করেই বলবা (ইপ্সা)
বাহ তাহলে তো হয়েই গেলো তোমরা কথা বলো আমি আর মেয়েদের মধ্যে থেকে কি করবো, আমি গেলাম, (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
রাতে খাওয়ার পর মেহরাব আর বাকি সবাই ছাদে আড্ডা দিচ্ছে কেননা সবাই অনেক দিন পর একসাথে হলে যা হয় আর কি,, সবাই আছে শুধু মেঘ ছাড়া তবে মেঘও আছে ভিডিও কলে,, আর এদিকে মেঘলার রুমে মাহি মেঘলা মীরা আর ইপ্সা বসে ট্রুথ অর ডেয়ার খেলছে।
বোতলটা ঘুরে মাহির দিকে আসলে ইপ্সা বলল।
বলো মাহি তুমি কি নেবে, তুমি যাই নেওনা কেনো দিবো কিন্তু আমি। (ইপ্সা)
আমি বরাবরি সাহসী তাই আমি ডেয়ার নেবো (ভাব নিয়ে বলল মাহি)
ওকে তোমার ডেয়ার হলো,, আজ রাতে তুমি মেহরাব ভাই এর রুমে যাবে আর মেহরাব ভাই কে মেকাপ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে (ইপ্সা)
কিহ?? অসম্ভব এটা কেমন ডেয়ার আপু আমাকে মারবে নাকি (মাহি)
তাহলে পরজয় শিকার করে নাও (ইপ্সা)
না আমি কখনোই হারবো না,, তবে এটা কীভাবে করবো (নখ কামড়ে বলল মাহি)
ওকে তাহলে তুমি তোমার ডেয়ার কম্পলিট করো আমরা সকালে দেখবো।
ওকে,,, সকাল পযন্ত বেঁচে থাকলে হয়। (মনে মনে বলল মাহি)
তারপর বোতল ঘুরালো বোতল মেঘলার দিকে গেলো।
এবার বলো আপু তুমি কি নিবা (মাহি)
আমি ট্রুথ নেবো।
আচ্ছা বলো তোমার জীবনে প্রথম ভালোবাসা কে??(ইপ্সা)
মেঘ (লজ্জা পেয়ে বলল মেঘলা)
সত্যি তো??
হুম।
তারপর আবার বোতল ঘুরালে মীরার দিকে গেলো,,, এবার বলো মীরা তুমি কি নেবে?? (ইপ্সা)
অবশ্যই ডেয়ার নেবো এটা আবার বলতে হয় (ভাব নিয়ে বলল মীরা)
ওকে মীরা তোর ডেয়ার আমি দেবো,, আর তোর ডেয়ার হলো মেঘের ভাই মানে আমার একমাএ দেবরের এর সাথে প্রেম করতে হবে আমি মেঘের থেকে শুনেছি ও নাকি কোনো মেয়েকে পাত্তা দেয় না তাই তোকে ওর সাথে প্রেম করতে হবে মানে ফ্লার্ট করতে হবে এই আর কি (মেঘলা)
আরে যাকে কখনো দেখেনি চিনি না তার সাথে কেমনে প্রেম করবো??(মীরা)
গায়ে হলুদের দিন ওরা আসবে তখন আমি দেখিয়ে দেবো,,
ওকে ডান।
এবার তুমি বলো ইপ্সা আপু তুমি কি নিবা (মাহি)
আমিও মেঘলার মতো ট্রুথ নেবো,
ওকে তোমার ট্রুথ আমি দেবো,, তুমি বলো এমন কি কথা তুমি শুভ ভাইয়ের কাছে লুকিয়েছো, মানে বলবো বলবো করেও বলোনি বলো।
আসোলে আমি মা হতে চলেছি, কালকে জেনেছি সবাইকে বলেছি কিন্তু ওকে এখনো বলা হয়ে উঠেনি,, অনেক লজ্জা লাগছিলো তাই,, ভাবছি আজকে রাতে বলব(লজ্জা পেয়ে বলল ইপ্সা)
ওয়াও এটা তো অনেক খুশির খবর ইয়ে (মাহি)
তারপর ওরা আরো অনেক্ক্ষণ গল্প করলো
তোমরা তো সবাই সবারটা বলবা আর করবা আমার যে কি হবে আল্লাহ জানে,,,আচ্ছা তাহলে সবাই ঘুমাতে যাও আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে সকালে দেখা হবে।
চলবে,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#২৪_পর্ব
.
মাহি খুব সাবধানে পা টিপে টিপে মেহরাব এর রুমের সামনে গেলো,, অনেক্ক্ষণ আড্ডা দিয়ে প্রায় রাত ১২টার দিকে ঘুমাতে গিয়েছে মেহরাব আর মাহি এটারই অপেক্ষায় ছিলো,, মেহরাব এর রুমে আজকে ওনার সব বন্ধু প্লাস ওনি ঘুমিয়েছে,।
মাহি দরজায় আস্তে করে ধাক্কা দিতেই দরজাটা খুলে গেলো এতে খুশি হওয়ার কথা হলেও মাহি খুশি হলো না,, মাহি মনে মনে চাইছিলো যে মেহরাব এর রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকবে আর মাহির কাজটা করা লাগবে না কিন্তু সেটা আর হলো কই।
মাহি ভিতরে গিয়ে হা হয়ে গেলো,, কেননা ভিতরে পুরাই বাজার বসে গেছে, রুমের মধ্যে ডিম লাইট জ্বলছে তাতে হালকা আলোয় মাহি দেখলো যে খাটের ওপর দুইজন সোফায় একজন আর মেঝেতে দুইজন সবাই চাদর মুড়ি দিয়ে এলো মেলো হয়ে ঘুমাচ্ছে।
ওহ আল্লাহ এদের মধ্যে মেহরাব ভাই কোনটা কে জানে এখন আমি কি করবো,, (মনে মনে বলল মাহি)
আচ্ছা মেহরাব ভাই তো নিজের বেড কারো সাথে শেয়ার করে না,, তো তাহলে মেহরাব ভাই কোনটা হতে পারে, বেডে তো দুইজন আর মেঝেতেও দুইজন কেবল সোফাতেই একজন হুম এটাই মেহরাব ভাই হবে,,
এটা ভেবে মাহি সোফার দিকে যেতে গেলে মেঝেতে ঘুমিয়ে থাকা একজনের পায়ের উপর পারা দিয়ে দিলো, আর মেঝেতে থাকা লোকটা চেঁচিয়ে উঠল।
ওহ শিট আমি তো খেয়ালই করিনি,,, মাহি আস্তে করে দরজার পাশে গিয়ে লুকিয়ে পড়ল,, ভ্যাগিস কেউ উঠে পরিনি আল্লাহ বাঁচাইছে,, এই বলে মাহি সোফায় থাকা লোকটার মুখে অন্ধকারে সাথে করে যা যা মেকাপ আনছিলো সব কিছু একেবারে ঢেলে দিয়ে মাহি চলে গেলো ভালো করে দেখলো ও না সোফায় আদেও মেহরাব নাকি অন্য কেউ।
এদিকে মেহরাব এর ঘুম হচ্ছে না, সাথে কেউ থাকলে ঘুম হয় না তার উপর আবার একটা গায়ে পা তুলে দেয় তো আরেকজন জাপটে ধরে এভাবে কি ঘুমানো যায় নাকি,, এই জন্য মেহরাব এর ঘুম আসছিলো না তাই ও বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো, তখনি ভিতর থেকে কারো চেঁচানোর আওয়াজ শুনে ভিতরে এসে দেখলো তেমন কিছুই হয়নি মেঝেতে রনি আর রাকিব ছিলো তো রনি রাকিব এর চুল টেনে ধরেছে ঘুমের ঘরে তাই চেঁচিয়েছে মেহরাব বেলকনিতে থাকা চেয়ারে বসে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলো।
,,,সকালে,,,,
কালকে গায়ে হলুদ এই জন্য সকাল থেকে সবাই কাজে ব্যাস্ত বাইরে বাগানে গায়ে হলুদের স্টেজ সাজানো হচ্ছে,, আর সবাই সবার কাজে ব্যাস্ত, মাহি সোফায় বসে ফল কাটছিলো তখনি মেঘলা এসে বলল।
আরে ভালো করে দেখে কাট হাত কেটে যাবে তো (মেঘলা)
ওহ হা আচ্ছা (মাহি)
এই মাহি তোকে রাতে বিছানায় দেখলাম না কোথায় গিছিলি,,একটু ভেবে এই তুই কি সত্যি ইপ্সা ভাবির কথা মতো ভাইয়ার রুমে গিছিলি??(চিন্তিত হয়ে বলল মেঘলা)
মাহি ডান হাতে ছুড়ি আর বা হাতে ফল নিয়ে মুখটা করুন করে মেঘলার দিকে তাকিয়ে হ্যাঁ বলল।
কিহ?? এবার তুই শেষ এতো মানুষের সামনে ভাইয়া যদি ওমন সং সেজে আসে তাহলে ভাবতে পারছিস কি হবে(মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে বলল মেঘলা)
ওনি কি খুব রাগ করবে??(কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলল মাহি)
খু,,,,ব(একটু টেনে বলল মেঘলা)
এই তোমরা কি কথা বলছো?? এই জানো আমি না তোমাদের শুভ ভাইকে বলেছি যে ওনি বাবা হবে,, কি খুশি হয়েছে কি বলবো,, আরে মাহি তোমার মুখটা এমন হয়ে আছে কেনো কি হয়েছে??(ইপ্সা)
কি হয়েছে বুঝতে পারছো না আপু মাহিতো তোমার দেওয়া ডেয়ার টা কমপ্লিট করে ফেলছে (মেঘলা)
সত্যি??(ইপ্সা)
হুম।
আরে আমি তো এমনি বলছিলাম ভাবছিলাম তুমি করবে না,, কিন্তু তুমি তো দেখছি সত্যি করে ফেলছো, শুভর থেকে শুনেছি মেহরাব ভাই নাকি অনেক রাগি এসব মজা একেবারেই পছন্দ করে না,, তাহলে এখন কি হবে,,(চিন্তিত হয়ে মাহির পাশে বসে বলল ইপ্সা)
কোথায় সাহস দিবে তা না করে ভয় দেখাচ্ছো কেনো আপু,, আমি তো দেখছি ওনাকে দেখার আগেই শুধু তোমাদের কথা শুনে স্টক করে ফেলবো (মাহি)
আচ্ছা সবাই চুপ যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে এখন এতো কথা না বলে সবাই চুপ করে বসে থাকো আর ভাইয়া আসার অপেক্ষা করো ওকে(মেঘলা)
হুম আমি বসে বসে অপেক্ষা করি কখন ওনি আসবে আর আমার গালটা মেরে খাল করে দেবে (মনে মনে বলল মাহি)
এরপর ওরা সবাই বসে অপেক্ষা করতে লাগল কখন মেহরাব আসবে,, আরো অনেক্ক্ষণ পর মেহরাব উপর থেকে নিচে নামলো,, মুখটা গম্ভীর করে,, রাতে ভালো করে ঘুম হয়নি তাই উঠতে একটু দেরি হয়ে গেলো,,, সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে মা কে কফি দিতে বলে একটা সিঙ্গেল সোফায় বসলো,, তারপর পাশে তাকিয়ে দেখলো, মাহি মেঘলা আর ইপ্সা হা করে চোখ গুলো বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,, আজব এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে মেহরাব নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলো না সব তো ঠিকি আছে তাহলে এভাবে তাকানোর মানে কি। তারপর রুপালি কফি দিয়ে গেলে মেহরাব ভ্রু কুঁচকে মাহিদের দিকে তাকালে ওরা চোখ অন্যদিকে নিয়ে নেয়,, মেহরাব ও কফিটা নিয়ে বাইরে চলে গেলো, স্টেজ কতটা সাজানো হয়েছে সেটা দেখতে।
এটা কি হলো?? কিছুই তো বুঝলাম না, আকাশ টা পরিষ্কার আবার আবহাওয়া ও এতো ভালো এটা কীভাবে সম্ভব (মেহরাব কে উদ্দেশ্য করে বলল মাহি)
আমার কি মনে হয় বলতো, এখন অনেক মানুষ তো তাই তোকে কিছু বললো না, পরে হয়ত তোকে গাছের সাথে ঝুলায়ে রাম ধুলায় দিবে শিওর (মেঘলা)
কি বলো শিওর??(নখ কামড়ে বলল মাহি)
একদম 100% শিওর (মেহরাব এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল মেঘলা)
এই তোমরা ওদিকে দাখো (অবাক হয়ে সিঁড়ির দিকে ইশারা করে বলল ইপ্সা)
ইপ্সার কথা শুনে মাহি মেঘলা আর ডয়িং রুমে থাকা সবাই সিঁড়ি দিয়ে তাকিয়ে হু হা করে হাসা শুরু করলো, কেননা অনিক (মেহরাব এর বন্ধু) এর সারা মুখে মেকাপ দিয়ে ভর্তি পুরাই জোকার জোকার লাগছে,, অনিক কিছু বুঝতে না পেরে হ্যাবলার মতো ওখানেই দাড়িয়ে আছে।
এই কি হয়েছে রে সবাই এমন হাসছে কেনো(অনিক)
আরে গাধা রুমে গিয়ে নিজের মুখটা ভালো করে দ্যাখ তোকে পুরাই জোকার লাগছে (রাকিব)
কিহ?? এ বাবা আগে বলবি তো,, অনিক যলদি করে উপরে চলে গেলো।
একদম কানের গোড় দিয়ে বেঁচে গেছি ভ্যাগিস ওটা মেহরাব ভাই ছিলো না,, উফ আল্লাহ বাঁচাইছে (মাহি)
বিকেলে,,,,,,
মাবিয়া সব সময় মাহির উপর নজর দাড়ি করছে,, মাহির ভুল খুঁজার জন্য,,কেননা একটু কোনো ভুল পেলেই এই বাড়ি ভরা মেহমান দের সামনে অপমান করবে, এতে একটু হলেও রাগ কমবে,,, কত আশা ছিলো মেহরাব এর সাথে মীরার বিয়ে দেবো কিন্তু এই আশায় এক বালতি পানি ঢেলে মাহি এই বাড়ির বউ হলো, এটা তো কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় নাহ।
মাবিয়া সুযোগ খুঁজছিলো কিভাবে মাহিকে সবার সামনে অপদস্ত করা যায়, তখনি দেখলো মাহি মেহরাব এর একটা বন্ধু কে নিয়ে রুমে ঢুকলো তারপর ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো ব্যাস তাতেই হয়ে গেলো।
মেহরাব মেহরাব কই তুই জলদি আয় দেখে যা কেমন মেয়ে বিয়ে করেছিস তুই যে সে তোর চোখের অগচরে পর পুরুষ নিয়ে রুমে ঢুকে (চিৎকার করে বলল মাবিয়া)
মাবিয়ার চিৎকারে সবাই ডয়িং রুমে জরো হয়ে গেলো আর উৎসুক দৃষ্টিতে মাবিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
কি হয়েছে খালা মনি এভাবে চিৎকার করছো কেনো(মেহরাব)
চিৎকার করবো না তো কি করবো,, তুই জানিস ও না তোর চোখের আড়ালে কি হয়, কেমন মেয়ে বিয়ে করলি তার বেপ্যারে একটু খোঁজ ও নিলি না।
কেনো কি হয়েছে, মাহি কি করেছে??
কি করেনি তাই বল, দ্যাখ এখানে এতো মানুষ কিন্তু তোর বউ এখানে নেই আরে থাকবে কি করে সেতো এখন অন্য কাজে ব্যাস্ত তোর বন্ধুর সাথে।
মুখ সামলে কথা বলো খালা মাহি তো মেঘলার সাথে।
না ভাইয়া মাহি তো আমার কাছে নেই ও বললো ওর কি কাজ আছে তাই উপরে চলে গেলো (মেঘলা)
আগেই বলেছিলাম আমি,, আয় আমার সাথে আজকে হাতে নাতে তোর বউয়ের কুকৃর্তি তোকে দেখাবো৷
এই বলে মাবিয়া মেহরাব এর হাত ধরে টেনে উপরে চলে গেলো,, সবার দৃষ্টি এখন উপরের রুমে,,
প্লিজ আল্লাহ খালার কথা যেনো মিথ্যা হয়, আমি জানি আমার মাহি এমটা কখনোই করবে না,, আমার বিশ্বাস আছে তবুও কেনো জানি ওকে হারানোর ভয় মনে জেঁকে বসেছে,, প্লিজ দরজার উপারে যেনো মাহি না থাকে (মনে মনে বলল মেহরাব)
মাবিয়া মেহরাব কে নিয়ে দরজার সামনে গেলো তারপর দরজায় টুকা দিলে প্রায় একটু সময় পর অনিক এসে দরজা খুলে দিলো আর ওর পিছনে চুল বাঁধতে বাঁধতে মাহি আসলো।
মাহি!(অবাক হয়ে বলল মেহরাব)
চলবে,,,,,,??