#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,২৫,২৬
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#২৫_পর্ব
.
কে এসেছে অনিক ভাইয়া?? কাওকে রুমে ঢুকতে দিবেন না বলে দিলাম,এই চুল গুলোও না সব সময় খালি খুলে যায় আম্মু কে বললাম বেধে দিতে কিন্তু সেতো কাজেই ব্যাস্ত (মাহি বলতে বলতে দরজার কাছে আসলো)
আরে দাখো এসব(অনিক)
কি বেহায়া মেয়ে,,এটা বেহায়াপনা করার জায়গা নাহ, দেখলি তো মেহরাব আমি আগেই জানতাম এই মেয়ের চরিত্র ভালো না (মাবিয়া)
সবাই নিচে কানাঘুষা করছে, মেহরাব তো পলকহীন ভাবে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে যেনো ও বিশ্বাসই করতে পারছে না,, আর এদিকে মাহি কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে এসব তখনি রুমের ভিতর থেকে মীরা বলল।
কি হয়েছে তোরা এতোক্ষণ ধরে বাইরে কি করছিস(রুমের ভিতর থেকে বলতে বলতে দরজার কাছে আসলো মীরা)
তুই?? (মেঘলা)
হুম আমি কেনো কি হয়েছে?? (মীরা)
এখানে তুইও আছিস?? খালা মনি আরো বলছিলো যে মাহি রুমের ভিতর একা অনিক ভাইয়ের সাথে (মেঘলা আর বলতে পারলো না মাথা নিচু করে নিলো)
মেঘলার কথাশুনে মাহি টলমল চোখে মেহরাব এর দিকে তাকালো,, এতোগুলো মানুষ ওকে ভুল বুঝেছে এতে ওর কোনো কিছু যায় আসে না কিন্তু ওর মেহরাব ওকে অবিশ্বাস করেছে এটাই ওকে অনেক বেশি কষ্ট দিচ্ছে,, এতোদিন যে চোখে অপার ভালোবাসার সমুদ্র দেখেছে আজকে একটু সময়ের জন্য হলেও সে চোখে মাহির জন্য একরাশ অবিশ্বাস ছিলো।
মাহি আমি (মেহরাব কে বলতে না দিয়ে নিজের মুখ চেপে কান্না আটকে মাহি ওখান থেকে দৌড়ে চলে গেলো)
মাহি যাওয়ার পর মেহরাব রেগে রুমের ভিতর গিয়ে দেখলো ভিতরে মেঘলার কিছু বান্ধবী, কাজিন আর মেহরাব এর দুইজন বন্ধু ও আছে আর সবাই মিলে কাগজ নিয়ে কিছু একটা বানাচ্ছে আর কেউ কেউ বেলুন ফুলাচ্ছে।
কি হচ্ছে এখানে (রেগে বলল মেহরাব)
আরে মেহরাব তুই এখানে মাহি তোকে আসতে দিলো??(রাকিব)
মানে?? (না বুঝে বলল মেহরাব)
আরে আমাদের পিচ্চি কর্তা মানে মাহি প্লান করেছে যে বর আসার সময় বরের গায়ে রাস্তা থেকে একদম বাড়ি অবধি ফুল ছিটানো হবে,, আর বরের জুতা চুরি করা হবে আর তোরা তো শুধু সুন্দর করে গায়ে হলুদের স্টেজ সাজাচ্ছিস বেলুন লাগাচ্ছিস না তাই স্টেজে মাহি বেলুন লাগাবে আর এই রঙিন কাগজ গুলো দিয়ে নাকি বাসর সাজাবে বউ ভাতের অনুষ্ঠানের দিন তাই আমাদের কাজে লাগিয়ে দিছে আর সবাইকে বলছে এই গুলা যাতে কাউকে না বলে,, ও সবাইকে সারপ্রাইজ দিবে,, জানিসই তো পিচ্চি তুই যেদিন থেকে ওর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিস ও তো আমাদের সব সময় ভাইয়া ভাইয়া বলে পাগল করে দেয় পাগলি একটা (রাকিব)
হ্যাঁ আর কাল রাতে ভুল করে আমার মুখে মেকাপ দিয়ে ভূত বানিয়েছিলো বলে আমাকে ডেকে নিয়ে এসে সরি ও বলেছে, আর ওদের টিমে আমাকে নিয়েছে (অনিক)
ওদের কথাশুনে মেহরাব রেগে চোখ লাল করে মাবিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল।
আই সয়ার খালা মনি এখানে যদি তোমার জায়গায় অন্য কেউ হতো তাহলে আম শিওর সে এতোক্ষণে হসপিটালে থাকতো,, আমার মাহির সম্পর্কে এভাবে কথা বলার সাহস কারো নেই,, আর তুমি না একটা মেয়ে তাহলে একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়ের সব থেকে দুর্বল জায়গা তার চরিত্র নিয়ে এভাবে বাজে কথা কীভাবে বলতে পারো তুমি?? আগে নিজের দিকে দাখো তারপর অপরকে বলতে আসবে,, আমি যতদূর জানি তুমি বিয়ের আগে অনেক কিছু করে বেড়াতে তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার খালুর মতো মানুষ তোমাকে বিয়ে করেছে নয়ত এতোদিন তোমার তো থাক সেসব কথা নাই বা বললাম।
মেহরাব তুই কিন্তু বেশি বেশি বলছিস ভুলে যাস না আমি তোর খালা হই (রেগে বলল মাবিয়া)
সেটাই তো সম্যসা তুমি আমার খালা নয়ত, একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো শুধু তুমি নয় এখনে উপস্থিত সবাইকে বলছি, মাহি আমার বউ, এটা ওর বাড়ি ও এখানে যা খুশি করতে পারে কারো বলার কোনো রাইট নেই, আর আমি জানি আমার মাহি কখনো কোনো খারাপ কিছু করবে না,, আর খালা মনি বিয়েতে এসেছো মজা করো খাওয়া দাওয়া করো দেন বাড়ি চলে যাও আর যদি তা করতে না পারো তাহলে ওই যে সামনে আমাদের সদর দরজা খুলাই আছে চলে যেতে পারো। (মাবিয়া কিছু বললো না শুধু মাথা নিচু করে শুনলো, আর বলবেই বা কি বলার মতো মুখ আছে নাকি)
কথা গুলো বলে মেহরাব মাহির মায়ের কাছে গেলো।
আমায় ক্ষমা করে দিও ফুপি আমি আমার মাহিকে আগলে রাখতে পারলাম না তুমি তোমার মেয়েকে ভুল মানুষের হাতে তুলে দিয়েছো(মাথা নিচু করে বলল মেহরাব)
কে বলেছে?? আমি একদম ঠিক মানুষের হাতেই আমার মেয়েকে তুলে দিয়েছি,, আমি জানি আমার মেয়ে কোথায় কেমন থাকবে,, তা তোর বউ কিন্তু এখানে নেই, সে কিন্তু অনেক অভিমান করেছে যা তার অভিমান ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আয় নইলে কেঁদে একদম বন্যা বানিয়ে দেবে আমি কিন্তু আবার সাঁতার জানি না বাবা (মাহির মা মেহরাব এর মাথায় হাত রেখে বলল)
ফুপি তুমিও না,, আর তোমার মেয়ে টাও হয়েছে কিছু নাই হতে কেঁদে ভাসিয়ে দেয় (মেহরাব)
কি করবি বল তোরই তো বউ,, যা যা নিয়ে আয় সন্ধে হতে চলল না জানি আমার মেয়েটার এতোক্ষণে কি হাল হয়েছে।
হুম যাবো তো একেবারে বেঁধে নিয়ে আসব, যতই হোক আমার বউ বলে কথা।
এই বলে মেহরাব চলে গেলো,, ও জানে তার পিচ্চি বউ এখন কোথায় আছে,, সত্যি নিজের কাছেই নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে আমি তো জানি আমার মাহি কেমন তারপরেও আমি খালার কথায় ওকে ভুল বুঝলাম কি করে,, নাহ এর জন্য আমার শাস্তি পাওয়া উচিত আর শাস্তিটা আমার বালিকা বধূই দিবে আমাকে।
মেহরাব সোজা মাহিদের বাড়ি চলে গেলো তারপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে ছাঁদে চলে গেলো গিয়ে দেখলো মাহি ছাঁদের এককোনায় গুটিসুটি মেরে বসে কান্না করছে,, গোধূলির বিকেলের লাল সূর্যের শেষ আলো টুকু ওর মুখে পরেছে, কান্না করতে করতে মুখটা লাল হয়ে গেছে তার উপর সূর্যে আলো পরে মুখটা একদম রক্তাক্ত লাল গোলাপের মতো লাগছে,, নাহ এখন ওর কাছে ক্ষমা চাইলে ও আরো উত্তেজিত হয়ে যাবে আরো বেশি কান্না করবে হুম।
মেহরাব আস্তে করে গিয়ে মাহির পাশে পা মিলে দিয়ে বসল,,, মাহি কারো আসার আভাস পেয়ে মাথাটা তুলে একবার দেখে নিয়ে আবার নামিয়ে নিলো।
কেউ কি আমার উপর রেগে আছে?? (মাহিকে উদ্দেশ্য করে বলল মেহরাব)
কিন্তু মাহি কোনো উত্তর দিলো না একিভাবে বসে রইল।
হুম বুঝলাম এটা রাগ নয় কেউ একজন আমার উপর খুব বেশি অভিমান করে আছে (মেহরাব)
কেউ যেনো আমার সাথে কথা না বলে আমি তো খারাপ, আর খারাপ মানুষের সাথে কথা না বলায় ভালো (কাঁদো কাঁদো সুরে বলল মাহি)
হুম এটাও ঠিক খারাপ মানুষের সাথে কথা না বলায় ভালো, এই জন্যই তো আর খারাপ মানুষের সাথে কথা বলবো না। মেহরাব মাবিয়াকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলল।কিন্তু মাহি ভাবলো ওকে বলছে তাই মাথা নিচু করেই আরো বেশি কান্না করে দিলো।
মেহরাব মাহির কান্নার কারণ টা বুঝে কিঞ্চিৎ হেসে মাহির সামনে হাঁটু গেরে বসে ওকে শক্ত করে বুকে জরিয়ে নিলো,,, আর মাহি হাত পা ছুঁড়া ছুড়ি করছে আর বলছে।
ছাড়ুন আমায় যখন খারাপ মানুষের সাথে কথা বলবেন না তখন তাকে জরিয়ে ধরেছেন কেনো ছাড়ুন(কান্না করতে করতে বলল)
ওমমম আমি তো আমার পিচ্চি বউ কে জরিয়ে ধরেছি তাতে তোর কি,, তুই বারণ করলেই আমি শুনবো বুঝি,, শুনতে আমার বয়েই গেছে (মাহিকে আরো শক্ত করে বুকে জরিয়ে ধরে,, যেনো বুকের সাথে একদম মিশিয়ে নেবে)
আমি জানি আমি ভুল করেছি,,, কেননা আমি একটু হলেও আমার ভালোবাসাকে ভুল বুঝেছি, আমার মনে চুল পরিমাণ অবিশ্বাসের জন্ম নিয়েছিলো,, এটাই আমার অনেক বড় ভুল আমার উচিত ছিলো আমার ভালোবাসার উপর বিশ্বাস রাখার, কিন্তু আমি তা করিনি,, তাই আমার শাস্তি পাওয়া উচিত, আমি চাই তুই আমায় শাস্তি দিবি তবে সেটা আমার কাছে থেকে (মাহিকে বুকে নিয়েই বলল মেহরাব)
হুম মেহরাব ভাই আপনি ভুল করেছেন আর আপনার শাস্তি পাওয়া উচিত অবশ্যই আমি আপনাকে শাস্তি দেবো (মেহরাব এর বুকের সাথে মিশে বলল)
হুম তো বলুন মহারাণী আমাকে কি শাস্তি দিবেন।
চলবে,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#২৬_পর্ব
.
হুম তো বলুন মহারাণী আমাকে কি শাস্তি দিবেন।
আপনার শাস্তিটা হলো নো টার্চ (মেহরাব কে ছেড়ে দূরে দাঁড়িয়ে বলল মাহি)
এটা আবার কেমন শাস্তি বুঝলাম না(মেহরাব)
আচ্ছা আপনি এটা বলুন,, ধরুন যে একটা ছেলে বিছানায় শুয়ে টিভি দেখছে তো তার পাশে তার সুন্দরী বউও আছে তো টিভিতে অনেক রোমান্টিক একটা মুভি চলছে তো ছেলেটার খুব ইচ্ছে করছে পাশে থাকা তার সুন্দরী বউকে ইচ্ছে মতো ভালোবাসতে, কিন্তু সে পারছে না কেননা তার বউয়ের সাথে তার ঝগড়া হয়েছে আর তার বউ তাকে বলেছে যে সে যেনো তাকে টার্চ না করে,, এখন বলুন সেই মহুর্তে ওই ছেলেটার অবস্থা কেমন(মাহি)
খুবই শোচনীয় (করুন মুখে বলল মেহরাব)
হমম সেটাই খুব শীঘ্রই আপনার অবস্থা ও ঠিক ওমনি হতে চলেছে।
মানে??
সেটা সময় হলেই বুঝবেন এখন আপনার শাস্তি হলো আমি না বলা অবধি আপনি আমায় আপনার হাত দিয়ে ছোঁবেন না আর আমি যা যা বলবো তাই করতে হবে তবে সেটা আমায় না ছুঁয়ে ওকে (মাহি)
কিন্তু
নো টক (মেহরাব কে বলতে না দিয়ে)
ওকে তাই হোক তাহলে।এবার তাহলে যাওয়া যাক সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আর রাত ও হয়ে যাচ্ছে ।
ওকে চলুন।
চল,, এই বলে মেহরাব মাহির হাত ধরতে গেলে।
এই কি করেন আপনার না আমায় ছোঁয়া নিষেধ দূরে থাকুন।
ওকে ঠিক আছে চল তাহলে।
পরদিন সকালে।
আজকে হলুদ পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে, বাগানে স্টেজ টাও একদম কমপ্লিট মাহির কথা অনুযায়ী ওখানে বেলুন ও লাগানো হয়েছে,,, মেঘলাকে হলুদ শাড়ি আর ফুল দিয়ে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে বরের বাড়ি থেকে হলুদ আসলেই গায়ে মাখানো হবে। মাহিও আজকে হলুদ শাড়ি পরেছে, সবাই বাগানে বসে ছিলো তখনি মাহি দেখলো মেহরাব উপরে নিজের রুমে যাচ্ছে হয়ত ফ্রেশ হতে অনেক কাজ করছে বেচারা, মেহরাব কে উপরে যেতে দেখে মাহির মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপলো মহিও চুপিচুপি মেহরাব এর রুমে গেলো।
মেহরাব এর রুমে ঢুকার আগে মাহি নিজের ব্লাউজ এর ফিতাটা হাত দিয়ে খুলে দিলো তারপর রুমে ঢুকে দেখলো মেহরাব ওয়াশরুমের দিকে যাচ্ছে।
এই দাঁড়ান দাঁড়ান (মাহি)
কি হয়েচে বালিকা বধূ ডাকিস কেনো?? (মেহরাব পিছন ঘুরে বলল)
শুনুন না আমার না এই ফিতাটা খুলে গেছে একটু লাগিয়ে দেন না প্লিজ (মাহি)
মেহরাব ভ্রু কুঁচকে মাহির দিকে তাকালো,, বাড়িতে এতো মানুষ থাকতে মাহি কিনা ওর কাছে এসেছে ফিতা লাগানোর জন্য তার থেকেও বড় কথা যে মেয়ে তার কাছে আসতেই চাই না সে কি না আগ বাড়িয়ে তার কাছে আসতে বলছে তাও আবার ব্লাউজ এর ফিতা লাগানোর জন্য,, ব্যাপারটা কি নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে (মনে মনে বলল মেহরাব)
কি হলো এতো কি ভাবছেন লাগিয়ে দেন ছেলের বাড়ি থেকে সবাই চলে আসবে তো (আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলল মাহি)
হুম আসছি,, এই বলে মেহরাব মাহির পিছনে গেলো যেই পিঠ থেকে চুল সরাতে যাবে তখনি মাহি বলল।
আস্তে আপনাকে কিন্তু আমায় না ছুঁয়ে সব কিছু করতে হবে ওকে।
কিন্তু না ছুঁয়ে ফিতা বাঁধবো কি করে বাঁধতে গেলে তো একটু না একটু হাত লাগবেই (মেহরাব)
সেটা আমি কি জানি আপনি কীভাবে আমায় না ছুঁয়ে ফিতা বাঁধবেন,, এখন কথা না বলে কাজ করুন তো (এখন দেখো চান্দু কেমন লাগে, অন্য ছেলেকে নিয়ে আমায় সন্দেহ করা না?? এখন বোঝাবো এই মাহি কি জিনিস,, আজ থেকে আপনার সত্তীতের থুরী পুরুষত্বের পরিক্ষা দেখি আপনি কি করেন)
মাহি আয়নায় দেখলো মেহরাব অল্প অল্প চুল হাতে নিয়ে পিঠের থেকে সরিয়ে কাঁধে রাখছে মাহির ভিষণ হাসি পাচ্ছে,, মেহরাব এমন ভাবে চুল সরাচ্ছে যেনো হাত মাহির পিঠে লাগলেই তার হাত পুরে যাবে,, প্রায় অনেক্ক্ষণ ধরে মেহরাব মাহির ব্লাউজ এর ফিতা লাগালো।
শেষ,, বাবা বাঁচলাম(হাফ ছেড়ে একটা বিজয়ের হাসি দিয়ে বলল মেহরাব)
মাহি কিছু বলতে যাবে তখনি নিচে থেকে শুনতে পেলো যে বরের বাড়ি থেকে হলুদ নিয়ে চলে আসছে,, মাহিও দৌড়ে নিচে চলে গেলো।
নেহাল কালো পান্জাবী পরে আর জিন্স পরে চোখে কালো সানগ্লাস নিয়ে হাতে হলুদের ডালা নিয়ে অনেক ভাবের সাথে ভিতরে ঢুকছে,,, নেহাল এর সাথে ওর অনেক গুলা কাজিন আর বন্ধুরা সহ আরো অনেকেই আছে সবার হাতে কিছু না কিছু আছে,,, নেহালদের কাছ থেকে জিনিস গুলো নিয়ে ওদের কে বসতে দেওয়া হয়েছে।
নিন এই যে পিচ্চি তুমিও নাও,, এটা আপনার (মীরা সবাইকে শরবত দিচ্ছিলো আজকে ও হলুদ শাড়ি পরেছে,,তো শরবত দিতে দিতে সামনে গিয়ে দেখলো একটা চেয়ারে নেহাল বসে আছে অনেক ভাব নিয়ে)
আপনি এখানেও চলে আসছেন?? আমার পিছু নিয়ে (রেগে বলল মীরা)
আরে কাঁদা সুন্দরী তুমি এখানেও কি বেপার আমায় পছন্দ হয়ে গেলো নাকি আমি যেখানে যাচ্ছি তুমি সেখানে ঠিক বুঝলাম না (নেহাল)
আপনার বোঝার দরকারও নাই,, তা আপনি কি শোক পালন করছেন?? পাগল না ছাগল হলুদের দিনে কালো রঙের পাঞ্জাবি পরে আসছেন আপনি জানেন না হলুদে হলুদ পাঞ্জাবি পরতে হয় (মীরা)
ওহ তাই নাকি,, কি বলতো আমার না হলুদ পাঞ্জাবি নেই তুমি এক কাজ করো শাবানার মতো তোমার এই শাড়ি কেটে আমায় একটা পাঞ্জাবি বানিয়ে দাও,, যত্তসব এই কোন বই তে লেখা আছে যে হলুদে হলুদ পাঞ্জাবি পরতে হবে?? সবাই পরলেও আমি পরবো না ওকে কেননা আমি সবার থেকে আলাদা (ভাব নিয়ে বলল নেহাল)
হুম এই জন্যই তো ঘরের মধ্যে ও সানগ্লাস পড়ে আছেন কানা একটা (এই বলে মীরা চলে গেলো)
কিহ আমি কানা,, ওহ সালার আমি তো ভাবের চোটে সানগ্লাস টা খুলতেই ভুলে গেছি।
,,,,,,একে একে সবাই মেঘলা কে হলুদ লাগালো তারপর অন্যরাও অনেক হলুদ মাখলো, খুব ভালোভাবেই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হলো,,
,,সন্ধ্যাই,,
উফ সবাই কি আমার গাল সরকারি পেয়েছে নাকি হলুদ দিয়ে একদম ভরে ফেলছে,,,, রুমে এসে মাহি মুখ ধুয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলল তখনি দরজা আটকানোর শব্দে পিছনে তাকালো দেখলো মেহরাব দাঁড়িয়ে আছে ওনার দুগালেও হলুদ আর সেটাও মাহিই দিয়েছে তবে মেহরাব মাহিকে দিতে পারিনি কেননা আগেই তো মাহি বলেছে মাহিকে ছোঁয়া নিষেধ।
একি আপনি দরজা আটকালেন কেনো??(মাহি)
মেহরাব কিছু বললো না মাহির দিকে এগোতে লাগল,, আর মাহিও পিছাতে লাগলো,, মাহি পিছাতে পিছাতে একদম দেওয়ালের সাথে লেগে দাঁড়ালো।
দেখুন আপনি কিন্তু আমায় ছুঁতে পারবেন না এটা আপনার শাস্তি (কাঁপা কাঁপা গলায় বলল মাহি)
মেহরাব নিজের মুখ এগিয়ে নিয়ে মাহির গালের সাথে ঘসে হলুদ লাগিয়ে দিলো,, তারপর মাহির সামনে হাঁটু গেরে বসে ঠোঁট দিয়ে মাহির পেটের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে ওখানে নিজের গাল ঘসে হলুদ লাগিয়ে দিলো।
মেহরাব এর গালের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি মাহির পেটে ফুটছিলো মাহি ঠোঁট কাঁমড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ছিলো তখনি মেহরাব মাহির কানে ফিসফিস করে বলল।
তুই আমায় তোকে ছুঁতে নিষেধ করেছিস, এটা কখনো সম্ভব?? তবুও আমি মানছি,, কিন্তু তুই এটা বলিসনি যে মুখ দিয়ে তোকে ছুঁয়া যাবে না,,, সাধারণ মানুষ হাত দিয়ে যদি কাউকে ছোঁই তাহলে তাকে ছোঁয়া বলে তুই ও এটাই বলেছিস যে তোকে হাত দিয়ে ছোঁয়া যাবে না,, এই জন্যই তো তোকে ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে দিলাম। (এই বলে মেহরাব মাহির কপালে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দরজা খুলে চলে গেলো,, আর মাহি এখনো ওভাবেই দেয়ালের সাথে লেগে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে, এই প্রথম কেউ ওকে এতো গভীর ভাবে ছুঁয়ে দিলো)
চলবে,,,,,,??