#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??,৪৩,৪৪
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৪৩_পর্ব
.
বাগানে মাটিতে চুলা কেটে ওতে রান্না করা হচ্ছে,, আজকে সব ছেলেরা রান্না করবে আর মেয়েরা বসে বসে শুধু তদারকি করবে,,, মেহরাব ভাই আর মামু রান্না করছে মামু মাথায় গামছা তো নেই তাই টাওয়াল বেঁধে রেখেছে আর মেহরাব ভাই কমরে টাওয়াল বেঁধে দুই বাপ বেটা মিলে রান্না করছে আর আব্বু সবজি কাটছে মাছ রাঁধবে বলে,, আর ওদিকে মেঘ ভাইয়া কে মাছ কাটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু ওনি তো মাছ কাটা তো দূর ধরতেই পারছে না,,,, মামী মণি আম্মু আর মেঘলা আপু পাশেই চেয়ারে বসে সবাইকে বলছে কীভাবে কি করতে হবে আর আমি দোলনায় বসে দোল খাচ্ছি আর আপেল খাচ্ছি, সেই আপেলটা যেটা মেহরাব ভাই অর্ধেক খেয়ে বাকিটা আমাকে দিয়ে গেছে। তখনি বাইরের গেটে চেঁচা মেঁচি শুনে আমি ওদিকে গেলাম, গিয়েই দেখি কি অবস্থা।
সব দোষ আপনার সেই প্রথম থেকে ধাক্কা দিয়ে আসছেন,, সুযোগ পেলেই শুধু ধাক্কা দেন আর এখনো?? এত্তো বড় একটা গেট তবুও আপনার জায়গা হয় না সেই আমার সাথেই ধাক্কা খেতে হবে। (মীরা)
হুম তুমি বোঝো না তোমার সাথে ধাক্কা না খেলে তো আমার ঘুমই আসে না,, যত্তসব আমার বয়েই গেছে তোমার সাথে ধাক্কা খেতে তুমি কোন দেশের রানি হুমম (নেহাল)
আমি হা করে ওনাদের ঝগড়া দেখছি,, যখন থেকে ওনাদের দেখেছি ওনার ঝগড়াই করে যায় আচ্ছা ওনাদের যদি ধরে বিয়ে দিয়ে দিই ওনারা কি বাসর ঘরে ও ঝগড়া করবে???(দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি নেহাল বলল)
এই পিচ্চি ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে বিচার করে দিয়ে যাও,,
এই যে শুনুন আমি মোটেও পিচ্চি নই, আর দোষ তো আপনার কেননা মেয়ে দেখলে ছেলেরা বেশি পাট নেয় তাই সব দোষ আপনার (মাহি)
একদম ঠিক সব দোষ আপনার (মীরা)
একি রে, এতো দেখি আমে দুধে মিশে গেলো আর আমি আঁটি হয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছি,, এই যে শুনো মিস কাঁদা সুন্দরী আমার না তোমার থেকেও সুন্দর গার্ল ফ্রেন্ড আছে ওকে তাই তোমার সাথে ধাক্কা খাওয়ার আমার কোনো ইচ্ছেই নেই (কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নেই ভাব নেওয়ার জন্য বললাম হিহিহি)
গার্ল ফ্রেন্ড এর কথা শুনে মীরার হাসি হাসি মুখটা নিমেষেই চুপসে গেলো,, আমি গেলাম,, এই বলে মীরা চলে গেলো।
এর আবার হঠাৎ কি হলো,, কি জানি মেয়েদের মন বোঝা নয়তো খুব সোজা,, এই পিচ্চি চলো আমরাও যায়।
আপনিই যান ঢেঁড়স একটা,, (এই বলে মাহি ও চলে গেলো)
লে এর আবার কি হলো, আমি করলাম টা কি??(নেহাল)
সব রান্না শেষে এখন খাওয়ার পালা,সবাই একসাথে ডাইনিং টেবিলে বসেছে, মেহরাব এর মা একটু খানি মুখে দিয়ে বলল।
হুমম ভালোই হয়েছে তবে ঝাল একটু বেশিই হয়েছে।
একদম ফোঁড়ন কাটবে না বলছি অনেক কষ্ট করে রান্না করেছি,, আমি জানি রান্না অনেক ভালো হয়েছে,, তুমি আমার নাম করবে না বলে তাই এমন বলছো, হিংসুটে মহিলা একটা (মেহরাব এর বাবা)
এই একদম ঝগড়া করতে আসবা না বলে দিলাম, আমার কাছে যেমন লেগেছে সেটাই বললাম।
আচ্ছা চুপ চুপ সবাই চুপ, আম্মু তুমি কিন্তু একটু বেশি বলছো আজকের রান্না ভালোই হয়েছে (মেহরাব)
হ্যাঁ মামী মণি আজকে রান্নাটা ভালোই হয়েছে (মাহি)
খাওয়া শেষ করে সবাই হাত ধুতে গেলো, মীরা কেবলি হাত ধুয়ে এসে সোফায় বসল তখনি দেখলো নেহাল এর ফোন বাজছে মীরা কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো সাথী নামের কোনো মেয়ে কল দিয়েছে,, সাথে আর একটা মেসেজ ও এসেছ,,,, মেসেজ টা হলো।
কি হলো ফোন ধরছো না কেনো পাশে কেউ আছে নাকি?? ও বুঝেছি নিশ্চয়ই মীরা আপু আছে ওকে পরে কল দিও…
সাথী হলো আমার এক ক্লাস নিচে পরে আমি চিনি, তারমানে সাথীই ওনার গার্ল ফ্রেন্ড,, ফোনটা নিচে রাখল মীরা বুকের ভিতর ভিষণ বেথ্যা করছে আচ্ছা আমার সাথেই কেনো এমন হয় যাকে ভালোবাসি সেই কেনো এভাবে অন্যের হয়ে যায়,, সত্যি সবার কপালে ভালোবাসা থাকে না এই বলে মীরা চোখটা মুছে নিলো।
ছোটরা মিলে সবাই রুমে আড্ডা দিচ্ছে আর বড়রা নিচে ডয়িং রুমে বসে মাহি আর মেহরাব এর বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছে,, মেঘলার রুমে, মেঘলা মাহি মেঘ বসে আছে রাত হয়ে গেছে একটু পরেই ওরা চলে যাবে,,, মীরা এসে কেবলি বিছানায় বসতে যাবে তখনি সেই জায়গায় নেহাল এসে বসে পড়ল,,, অন্য সময় হলে মীরা ঝগড়া করে জোর করে হলেও নেহালকে উঠিয়ে দিয়ে নিজে বসত কিন্তু এখন আর সেই মুড নেই কেননা সে তো অন্য কারো তাই দূরে থাকাই ভালো,, মীরা কোনো কথা না বলে অন্য জায়গায় বসে পড়ল।
বেপারটা কি হলে,, কাঁদা সুন্দরী কিছু বললো না কেনো,, তখন আমার বলা কথায় কি মাইন্ড করলো নাকি(মনে মনে বলল নেহাল)
সব শেষে এটাই ফাইনাল করা হলো যে সামনের মাসের প্রথমে বিয়ে অনেক দেরিও নেই আবার বেশি কাছেও নেই,, এখন থেকেই সব কিছু শুরু করতে হবে,, বিয়ে আরো কদিন পরে হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু মেহরাব আর ধৈর্য ধরতে পারবে না স্রেভ বলে দিয়েছে যে মাহির ভর্তির আগেই যেনো বিয়ে টা হয়ে যায় তাই এই আয়োজন।
আলোচনা শেষ হতে অনেক রাত হয়ে গেলো,, এখন বাড়ি ফিরার পালা,, সবাই নিচে নেমে গেছে মাহি কেবলি ব্যাগ নিয়ে নিচে নামতে যাবে তখনি কেউ ওর হাত ধরে রুমে নিয়ে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরল।
আচমকা এভাবে ধরায় মাহি ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো তারপর আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখলো সামনে আর কেউ না মেহরাব দাঁড়িয়ে আছে,,, ক,,,কি করছেন ছাড়ুন আমায় (নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল মাহি)
কি হয়েছে হমম?? এমন করছিস কেনো আমি বলছিতো আমার ভুল হয়েছে তাই বলে কি এমন করতে হবে? আমি না তোর বর (মাহির মুখের সামনে থেকে চুল সরাতে সরাতে বলল মেহরাব)
সরুন কথা বলবো না আপনার সাথে (অভিমানী সরে বলল মাহি)
ওলে বাবা আমার বউটা দেখি এখনো অভিমান করে আছে,, নিচে কিসের আলোচনা হলো জানিস আমাদের বিয়ের, সামনে মাসের প্রথমেই বিয়ে,, আজকেই বাসর করে রাগ ভাঙিয়ে দেবো নাকি কি বলিস হুমম(দুষ্ট হেসে বলল মেহরাব)
ছিঃওনি কি সব বলছে লজ্জা নেই নাকি, আমাকে তো লজ্জায় একদম চুবিয়ে মারছে বদ লোক একটা (মনে মনে বলল মাহি)
কি হলো কিছু বলছিস না কেনো, ওমা আমার পিচ্চি বউ টা দেখি লজ্জা পেয়েছে, লজ্জায় একদম গালটা লাল হয়ে গেছে দেখি দেখি (এই বলে মেহরাব মাহির মুখটা তুলে ওর গালে একটা চুমো দিয়ে দিলো)
মাহি তো লজ্জায় মরি মরি অবস্থা কোনো রকমে মেহরাব কে সরিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো,, গালে হাত দিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে।
কিরে তোর এতোক্ষণে আসার সময় হলো, কত রাত হয়েছে সেদিকে খেয়াল আছে?? সুহান তো ঘুমে একদম বেহুশ হয়ে গেছে এখন ওকে নিয়ে যেতে হবে,, চল তোর আব্বু বাইরে অপেক্ষা করছে.
আরে ফুপি চলো আমিও যাচ্ছি তোমাদের সাথে (সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল মেহরাব)
সেকিরে তুই এখন যাবি আবার আসতে পারবি তো,
আসার কি দরকার আজকে না হয় হবু শুশুর বাড়িতে থেকেই যাবো, কি বলিস (মাহিকে চোখ টিপ দিয়ে বলল মেহরাব)
মাহি লজ্জায় মাথা নিচে করে মুচকি হাসলো।
তাহলে নেহাল তুই বরং মীরাকে পৌঁছে দিয়ে বাইক নিয়ে চলে আয় আমি মেঘলা কে নিয়ে যাচ্ছি। (মেঘ)
না ভাইয়া আমি একাই যেতে পারবো।
তা ভাবীর খালাত বোন কি আমাকে ভয় পাচ্ছে?? ভয় নেই আমি ঠিকঠাক ভাবেই পৌঁছে দেবো আপনি নিশ্চিত ভাবে আসতে পারেন.
মীরা কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ নেহাল এর সাথে চলে গেলো।
চলবে,,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2??
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৪৪_পর্ব
.
মানুষের মন বড়ই বিচিত্র কখনো কখনো অল্পতেই সব কিছু বুঝে যায় আবার কখনো কখনো সব কিছু বুঝেও অবুজের মতো অভিমান করে,বসে থাকে,, তেমনি মাহিও বেশ অভিমান করে আছে মেহরাব এর উপর কেননা কয়েকদিন ধরে মেহরাব যেনো মাহিকে পাত্তাই দিচ্ছে না কোনো খোঁজ খবর নেই,,তারউপর আজকে শাহরুখ খান এর মোহাব্বত মুভি দেখে নিজেকে শাহরুখ খান ভাবছে,, আহ ঐশ্বর্য বাচ্চান যে কেনো সুইসাইড করলো,,, আর আমার তো থেকেও নেই, নিজেকে কেমন দেবদাশী দেবদাশী লাগছে,, সেদিনের পর আরো কয়েকটা দিন পেরিয়ে গেছে আর মাএ ৪ দিন পরই বিয়ে,, মাহি অবশ্য জানে যে মেহরাব অফিসের কাজে একটু বেশি ব্যাস্ত আছে, সামনে বিয়ে টানা কয়েকদিন বিয়ের জন্য তেমন কাজ করা হবে না তাই এখনি সব কিছু গুছিয়ে রাখছে,,, তবুও মাহি অভিমান করে বসে আছে,,, এতোই ব্যাস্ত যে পাঁচ মিনিট ফোন ও দেওয়া যাবে না,,,,
জানালার পাশে মন খারাপ করে বসে আছে মাহি, কাল থেকে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু করবে যে বিয়ে নিয়ে এতো মাতামাতি এখন সব কিছু ছেড়ে মুড অফ করে বসে আছে,,,রান্না ঘর থেকে মা সমানে চেঁচিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যে হতে চলল ঘরে লাইট না দিয়ে এভাবে বসে আছি তাই,,, তখনি কলিং বেল বেজে উঠল সুহান সোফায় বসে টিভিতে কার্টুন দেখছিলো তখনি মাহির মা ওকে বলল,
একজন তো ঘর দুয়োর সব অন্ধকার করে বসে আছে আরেকজন এখন টিভি ছেড়ে বসে আছে তোদের দু ভাই বোন কি আমাকে একটু ও শান্তি দিবি না?? এভাবে গাধার মতো বসে না থেকে গিয়ে দেখ কে আসল,, আমার হয়েছে যত জ্বালা।
সুহান মনে মনে মাহিকে বকা দিতে দিতে দরজা খুলতে গেলো,, কেননা মা মাহির রাগটা ওর উপর ঝাড়লো, এমনি হয় দোষ করে একজন আর ঝাড় খাই সবাই,,, দরজা খুলে দেখলো মেহরাব দাঁড়িয়ে আছে,,
কিরে জাম্বু তুই দরজা খুললি তোর আপু কই??(ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল মেহরাব)
আপু ছেঁক্যা খেয়ে বেঁকা হয়ে রুমে বসে আছে।
সুহানের কথায় মেহরাব ভেঁবাচেকা খেয়ে গেলো কিছুক্ষণ সুহানের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল , মানে??
আরে সারাক্ষণ রুমের ভিতর বসে থাকে আর কি সব গান শোনে,, আমি কিছু জিগাস করলেই বলে,, মনে বড় জ্বালা রে ভাই মনে বড় জ্বালা (সুহান বুকে হাত দিয়ে স্টাইল করে দেখিয়ে বলল)
সুহানের কথা শুনে মেহরাব এর হাসি পেলেও চুপ থাকল মেয়েটা শুধু হাতে পায়েই বড় হয়েছে, বুদ্ধি এখনো হাঁটুতেই,, পুরাই পাগলি,,, দারা, ওর জ্বালা আমি বার করছি,৷
ফুপি মাহি কোথায় মা ওকে নিয়ে যেতে বলল, হাতের মাপ নেবে এ জন্য,,
রুমেই আছে,, ওর কি কোনো কান্ড ঙ্গান আছে নাকি কি হয়েছে কে জানে।
মেহরাব মাহির রুমের দিকে চলে গেলো,, দরজা আস্তে করে খুলে দেখল রুমের ভিতর অন্ধকার, মেহরাব হাতড়ে সুইচ অন করে দেখলো মাহি জানালার দিকে তাকিয়ে বসে আছে।
কিরে এভাবে রুম অন্ধকার করে রেখেছিস কেনো?? কি হয়েছে? শুনলাম ছেঁকা খেয়ে বেঁকা হয়ে বসে আছিস তা কে দিলো ছেঁকা টা(কথাটা বলে মেহরাব বিছানার এক পাশে গিয়ে বসল,, মেহরাব এর গায়ে একটা শার্ট ছিলো শার্টের হাতা কনুই পযন্ত গুছিয়ে রেখেছিলো গরম এর জন্য)
মাহি মেহরাব এর গলা পেয়ে পিছনে ফিরে মেহরাব এর দিকে এগিয়ে গেলো,, তারপর মেহরাব এর হাতটা ধরে হাতে খ্যাচ করে একটা কামড় বসিয়ে দিলো,,
আউচ,, আহ, ছাড় বলছি,, ,, কাঁমড় দিস কেনো,বাবা ভাত দেয় না তোকে???(হাত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল মেহরাব)
আপনাকে আমি খেয়েই ফেলবো, আজকে, কোনো কথা নেই আপনার সাথে,, আজ থেকে আপনার সাথে ব্রেকআপ,, আহ নিজেকে কেমন দেবদাসী দেবদাসী লাগছে,,
এ আবার কেমন কথা,, আমি তো জানতাম মানুষের ব্রেকআপ হলে সে দেবদাস হয়,, দেবদাসী হয় তা তো জানতাম না
জানবেন কীভাবে মূর্খরা অনেক কিছুই জানে না এখন জান এখান থেকে আপনার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই,,, আমাকে একটা বার কল ও দেন নাই। (মুখ ফুলিয়ে বলল মাহি)
তোর ফোন কোথায়?? ভালো করে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখ।
মাহি ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল মেহরাব প্রায় দশবার বার কল দিয়েছে ফোন সাইলেন্ট করা ছিলো বলে ঠিকই পাইনি,তবুও হার মানবে না , মাহি একটু রাগার চেষ্টা করে বলল,,
তো কালকে তো আর কল দেননি সেই জন্য রাগ করেছি।
মেরে বরের নাম ভুলিয়ে দেবো,, কালকে দুপুরের সময় ফোন দিলাম তুই তো ফোন ধরে বললি যে গোসলে করবি এই বলে তো ফোন কেটে দিলি।
তাতে কি তারপর কি আর ফোন দিয়েছেন আপনি??
মাহি কেনো ছেলে মানুষি করছিস,, অনেক ক্লান্ত লাগছে,, মাথাটা একটু টিপে দে তো খুব বেথ্যা করছে (শুয়ে বলল মেহরাব)
মাহির খুব মায় হলো কোথায় ভাবলো লোকটার সাথে একটু ঝগড়া করবে কিন্তু কি নিয়ে ঝগড়া করবে মানুষ টা তো আমার জন্যই এতো কিছু করছে যাতে আমার সাথে বেশি সময় কাটাতে পারে,,, মাহি মুচকি হেসে মেহরাব এর মাথাটা নিজেক কোলের উপরে নিয়ে চুলে হাত বুলাতে লাগল, মেহরাব ও দুহাতে মাহির কমর জরিয়ে ধরে মাহির পেটে মুখ গুজে শুয়ে থাকল।
প্রায় অনেক সময় পর মেহরাব লাফ দিয়ে উঠে বসে পড়ল।
কি হলো এভাবে উঠে পরলেন যে।
আরে মা তো আমায় তোকে নিয়ে যেতে বলেছিলো,, হাতের মাফ নেওয়ার জন্য আর আমি এসে এখানে নিশ্চিতে শুয়ে পড়লাম,, চল চল দেখেছিস এরি মধ্যে সন্ধ্যা পাড় হয়ে রাত নেমে এসেছে।
,,,মা কে বলে মেহরাব ভাই এর সাথে বেরিয়ে পড়লাম,, এখনো বেশি রাত হয়নি একটু আগেই মাগরিবের আযান হয়েছে, এই সময়টাকে রাতও বলা যায় না আবার সন্ধ্যা ও বলা যায় না,, ওনার হাতের মাঝে হাত রেখে হাঁটছি ঠান্ডা বাতাস বইছে আহ এটাই তো জীবন আর কি চাই,,,,
কিরে ফুচকা খাবি??
না না একবার ফুচকা খেতে যেয়ে মরতে মরতে বেঁচেছি আবার??
আরে পাগলী ওই সামনে দেখ, আজকে আর বেশি দূরে যাওয়া লাগবে না,, বাড়ির কাছেই আছে,,
ওকে তাহলে চলেন,,
ওরা যেই সামনে যেতে যাবে তখনি পিছন থেকে সুহানে গলা শুনা গেলো ও দৌড়ে এদিকেই আসছে আর,, হিস হিস হুস এমন করছে,, মাহি আর মেহরাব কিছু বুঝতে না পেরে,,, সুহানের পিছনে তাকিয়ে দেখলো একটা ছোট কুকুর ছানা ওর পিছনে ওকে তাড়া করেছে। তাই ওমন করে দৌড়াচ্ছে আর হুস হুস করছে।
কিরে তুই এখানে কেনো।
বলছি আগে এটাকে সরা আপু,, এই বলে সুহান মেহরাব এর পিছনে লুকিয়ে পড়ল,, মেহরাব কুকুর ছানাটাকে তাড়িয়ে দিয়ে,, তারপর মাহি আর সুহান কে ফুচকা খাইয়ে বাড়ির দিকে গেলো।
চলবে,,,,,??