ভালোবাসি_যে_তোকে,পর্ব :১৫,১৬

0
2056

ভালোবাসি_যে_তোকে,পর্ব :১৫,১৬
লেখিকা মিমি
পর্ব :১৫

ওই বুইড়ার তোর সাহস কি করে হয় বুইড়ার কালে মেয়ের বয়সের মেয়েকে বিয়ে করার।তাও আবার আমাকে বিয়ে করতে চাস।বুইড়ার বেডা কোথাকার (প্রিয়া)

মা তুমি এই সব কি বলছো। তুমি তো আমার মেয়ের বয়সের আমি কেনো তোমাকে বিয়ে করতে যাবো। (কাজি)

সেটা তো আমিও বলছি আমি আপনার মেয়ের বয়সের তাহলে আমাকে কেনো বুইড়া বয়সে বিয়ে করতে চাইছেন।(প্রিয়া)

মা আমার সাথে তোমার বিয়ে নাতো মা।কোমার সাথে তো ওনার বিয়ে(কাজি)

বুইড়া কাজির আঙ্গুলের ইশারায় তাকালাম।তাকিয়ে দেখলাম কাজি মেঘ ভাইয়ার দিকে ইশারা করছে।আমি সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে বললাম..

কিহ….(প্রিয়া)

এই বাদরের মত চিৎকার করছিস কেনো।(মেঘ)

আপনার সাথে আমার বিয়ে মানে(প্রিয়া)

হুম আমার সাথে তোর বিয়ে।তাড়াতাড়ি কবুল বল।(মেঘ)

না আমি বলমু না।আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।(প্রিয়া)

আমার কথায় ওনি বেশ রেগে গিয়েছেন।তা ওনার চোখ মুখ দেখে বুঝতে পারছি।ওনি আমার আরো কাছে এসে কানে ফিসফিস করে বলতে লাগলেন..

তুই কি চাস বিয়ের আগে তোর সাথে বাসর করি।আমার বাসর করতে কিন্তু কোনো সমস্যা নাই।(মেঘ)

ওনার কথা শুনে চোখ একদম বড় বড় হয়ে গেছে।দুই তিনটা ঢোক গিলে ওনার দিকে তাকালাম। ওনি আমার দিকে তাকিয়ে কাজি সাহেব কে বললেন।

কাজি সাহেব আপনি একটু বাহিরে যান তো।আমি বললে বেতরে আসবেন ওকে।(মেঘ)

মেঘ ভাইয়ার কথা শুনে ভয় লাগা শুরু করলো।আচ্ছা ওনি সত্যি সত্যি বিয়ের আগে বাসর করবে নাকি।

কি হলো কি এত ভাবছিস।কবুল বলবি নাকি…(মেঘ)

মেঘ ভাইয়াকে থামিয়ে বললাম..

আমি বিযে করতে রাজি..(প্রিয়া)

গুড(মেঘ)

তাহলে মা কবুল বলো।(কাজি)

এরপর তিন বার কবুল বলে শাইন করে দিলাম।তারপর মেঘ ভাইয়াও কবুল বলে শাইন করলেন।এখন মেঘ ভাইয়া আমার স্বামি হন।ভাবলেই কেমন যেনো লাগে।কাজি চলে গেলেন।মেঘ ভাইয়া আমার কাছে এসে বলল..

চল বাসায় দিয়ে আসি(মেঘ)

বাসায় এখন চলে যাবো(প্রিয়া)

কেন বাসর করে যাওয়ার ইচ্ছা আছে নাকি(মেঘ)

এই একদম না।আমি এখনি বাসায় যেতে চাই(প্রিয়া)

মেঘ ভাইয়া আমার কাছে এসে কপালে একটা কিস দিয়ে..

চল। (মেঘ)

আমি আর কিছু না বলে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।ওনি গাড়ি চালাতে শুরু করলেন।কলেজে সামনে ওনি নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।আমি কলেজ থেকে বাসায় চলে গেলাম।বাসায় গিয়ে দেখি আকাশ ভাইয়া বসে আছে।আমাকে দেখে বসা থেকে ওঠে সামনে এসে বলল..

কই ছিলি তুই।কাউকে না বলে কোথায় চলে গেছিলি।আমি কত টেনশানে ছিলাম জানিস।একবারও বলার প্রয়োজন মনে করলি না।(আকাশ)

সরি ভাইয়া।আর কখনো এমন হবে না।আর এখন আমাকে রুমে যেতে দাও আমার মাথাটা ব্যাথা করছে। বায়।(প্রিয়া)

আকাশ ভাইয়াকে কিছু বলতে না দিয়ে দুরে রুমে চলে আসলাম।খাটে বসে পরলাম।আর কান্না করতে থাকলাম..
কেনো মেঘ ভাইয়া এমন করলো আমার সাথে। আমি তো ওনার জিবন থেকে চলে আসছি।তাহলে আবার কেনো চলে আসলো।আর এখনতো বিয়ে করে ফেললো।কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।দরজা খুলা রেখেই।

মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলো।কারন আমার মনে হচ্ছে কেউ আমার ঠোঁট এর মধ্যে হাত ভোলাচ্ছে, আমি চমকে উঠে চোখ খুলে দেখি মেঘ ভাইয়া।সাথে সাথে লাফ দিয়ে বসে পরি।এত রাতে ওনাকে দেখে ভয় করা শুরু করছে..তারপরেও ওনাকে বললাম..

এত রাতে আপনি এখানে কি করছেন।আর আমার রুমে কিভাবে আসলেন(প্রিয়া)

কিভাবে আবার দরজা দিয়ে আসছি।আর তুই কি ভাবছিস বিয়ে করছি বাসর করবো নাকি।(মেঘ)

বলেই উনি আমার কোলে মাথা রেখে ,আমার কোমড় শক্ত করে ধরে পেটে মুখ গুঁজে দিলেন,উনার আচমকা এমন কান্ডে আমার চোঁখ কপালে উঠে গেল ,উনি আস্তে আস্তে আমার পেট থেকে জামা সরাতে লাগলেন আমি উনাকে বাঁধা দেওয়ার জন্য উনার হাত ধরতেই উনি একবার আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে উনার একটা হাত দিয়ে আমার হাত ধরে অন্য হাত দিয়ে শাড়ী সরিয়ে আমার উন্মুক্ত পেটে কিস করে বসলেন,সাথে সাথে আমার সমস্ত শরীর কাটা দিয়ে উঠলো ,পিটের শিড় দ্বারা বেয়ে এক শীতল স্রোত বয়ে গেল,হৃদপিন্ড ছুটলো ট্রেনের গতিতে,উনি আমার হাত ছাড়তেই আমি দু হাত দিয়ে উনাকে ধাক্কাতে লাগলাম,উনাকে যতই আমি ছাড়াবার চেষ্টা করছি ততই উনি আমাকে আরে শক্ত করে ধরতে লাগলেন ,
কিছুক্ষন পর উনি আমার পেট ছেড়ে দিয়ে গলায় মুখ গুঁজলেন,
উনার দু হাত এলোমেলো ভাবে আমার সমস্ত শরীরে বয়ে বেরাতে লাগলো,উনার এমন কান্ডে
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হলো,আমি চোঁখ বন্ধ করে বড় বড় নি:শ্বাস নিতে লাগলাম ,আর প্রানপণে চেষ্টা করতে লাগলাম উানাকে ছাড়ানোর ,
কিন্তু উনাকে কিছুতে সরাতে পারছিনা,আমি যতই উনাকে সরাবার চেষ্টা করছি উনি ততই আরো শক্ত করে আমাকে আকড়ে ধরতে লাগলেন।এরপর আস্তে আস্তে আমি ছটফট করা বন্ধ করে দিলাম।আর বাধা দিরাম না। কারন এখন ওনি আমার স্বামি।তাই আর বাধা দিলাম না।আমাকে নিরব হতে দেখে ওনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন। তারপর ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিলেন…

(ভূল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।)

চলবে…

#ভালোবাসি_যে_তোকে
#পর্ব :১৬
#লেখিকা #মিমি

মেঘ ভাইয়ার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছি।আর ভাবছি। আজকে যেটা হলো ঠিক হলো কি।কাউকে জানিয়ে দুইজন বিয়ে করে ফেললাম।এমনি শারিরীক সম্পক করে ফেললাম।আমাদের দুইজনের সম্পকটা যুদি না মেনে নে তখন কি হবে।ওফ আর ভাবতে পারছি না।অনেক চিন্তা হচ্ছে।

মেঘ ভাইয়া ঘুমিয়ে গেছো নাকি(প্রিয়া)

না। বল(মেঘ)

আমরা যেটা আজকে করলাম সেটা কি ঠিক হলো।(প্রিয়া)

কেনো কি হয়েছে(মেঘ)

না মানে আমারা যে বিয়ে করে ফেললাম এটাতো কেউ যানে না।পরে জানলে যুদি আমাদের সম্পক না মেনে না নে। তখন কি হবে আমাদের।আর আমাদের মধ্য শারিরীক সম্পক হয়ে গেছে।আচ্ছা তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে চলে যাবে নাতো।প্লিজ মেঘ ভাইয়া আমাকে কখনো ছেড়ে চলে যেওনা।(প্রিয়া)

যাবো না রে কখনো যাবো না।আর চিন্তা করিস না।আমাদের সম্পকসবাই মেনে নিবে(মেঘ)

সত্যি মেনে নিবে (প্রিয়া)

হুম নিবে পাগলি(মেঘ)

বলেই মেঘ ভাইয়া আমার ঠোটে তার ঠোট ছুয়ে দেয়।তারপর খাটতে ওঠে দাড়িয়ে যায়..

আচ্ছা বায় এখন আমি আসি(মেঘ)

আসি মানে তুমি এখন চলে যাবে।নাকি(প্রিয়া)

কেনো আরো আদর খেতে ইচ্ছা করছে নাকি। যে যাবো না।(মেঘ)

দূর আমি সেটা কখন বললাম।আমি বলতে চাচ্ছি এখন তো মেবি ২/৩টা বাজবে।তুমি এই মাঝ রাতে চলে যাবা নাকি।সকালে যেও(প্রিয়া)

না সকালে এখন থেকে বের হলে কেউ দেখে ফেলতে পারে। যার ফলে অনেক সমস্যা হতে পারে।তাই এখনই চলে যাবো।(মেঘ)

ও আচ্ছা(প্রিয়া)

হুম(মেঘ)

মেঘ ভাইয়া চলে গেলো। আমি ও ঘুমিয়ে গেলাম।

ভোরের স্নিগ্ধ সকালের আমেজে ঘুম ভাঙে গেলো আমার। তাই বসে না থেকে শাওয়ার নিতে চলে গেলাম…

আমি শাওয়ারটা সেড়ে নিয়ে বাইরে চলে আসলাম,,,,বাইরে এসে দেখি আকাশ ভাইয়া আমার রুমে। আয়ানার সামনে দাড়িয়ে চুল নিয়ে স্টাইল করছে। কত ভাবরে..।এত সকাল সকাল আমার রুমে কি করছে আকাশ ভাইয়া। মন চাচ্ছে আকাশ ভাইয়ার সব কয়টা চুল টেনে ছিড়ে ফেলে দেই,,,,
.
আমি যে বাইরে বের হয়ে এসেছি সেটা আকাশ ভাইয়া দেখে ফেলেছে।আরে আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে রয়েছে কেন।আর আমাকে দেও কেনো আয়নার সামনে থেকে সরছে না।
চুল ভিজে রয়েছে,,চুল যে আছড়াবো আয়ানার সামনে যেতে পারছি না।তারপরে ও আয়নার সামনে গেলাম চিরুনিটা হাতে নিয়ে চুল আচরাচ্ছি আর বললাম..

আপনি এখানে এত সকালে।কোনো দরকারি কাজ আছে নাকি(প্রিয়া)

কেনো কোনো দরকার ছাড়া আসতে পারি না নাকি(আকাশ)

আসতে পারেন কিন্তু এত সকাল সকাল এখানে তাই বললাম(প্রিয়া)

না এমনি।আচ্ছাতুই এত সকালে শাওয়ার নিয়ে ছিস কেনো রে(আকাশ)

এইরে এখন কি বলবো। আমি কেনো শাওয়ার নিছি।…মনে মনে

কি হলো বলছিস না যে(আকাশ)

না মানে এমনি শরীলটা খারাপ লাগছিলো তাই ভাবলাম শাওয়ার নিলে হয়তো ভালো লাগবে।তাই আরকি..(প্রিয়া)

ও আচ্ছা ভালো(আকাশ)

হুম(প্রিয়া)

আমি আর কিছু বলাম না। খাটে গিয়ে বসে পরলাম।আর আকাশ ভাইয়া কেমন ভাবে জানি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তাই ওনাকে বললাম..

এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো কিছু বলবেন নাকি(প্রিয়া)

হুম তোর গলার নিছে দাগটা কিসের। (আকাশ)

আরে আমার তো মনেই নাই যে মেঘ ভাইয়া যে আমার গলায় কামর দিয়ে ছিলো। আর এটার হয়তো দাগ পরে গেছে।কিন্তু আকাশ ভাইয়াকে কি বলবো আমি।এখন।আমার এই সব ভাবনা মাজে আকাশ ভাইয়া আমার বলল..

কিরে কি এত ভাবছিস।তোর গলার নিচের দাগটা কিসের।দেখে মনে হচ্ছে দাগটা কামরের দাগ।(আকাশ)

কি আবাল তাবল বলছো কামরের দাগ হবে কোথা থেকে। এটা তো কেটে গেছে।(প্রিয়া)

কিন্তু দেখেতো মনে হচ্ছে না এটা কাটার দাগ(আকাশ)

আরে আজিব তো তুমি কি বলতে চাও হ্যা। নাকি এটা বলতে চাইছো যে কেউ আমার গলায় কামর দিছে। এটা বলতে চাইছো। (প্রিয়া)

আরে এত রাগছিস কেনো। আমি সেটা বলতে চাই নাই।(আকাশ)

তাহলে কি বলতে চাইছো।তোমার কথা ধারায় তো এটা বুঝাচ্ছে(প্রিয়া)

আচ্ছা বাবা আর কিছু বলবো না।প্লিজ তুই শান্ত হ।আমি আমি আমার রুমে যাচ্ছি।তুই শুয়ে থাক একটু। বায়।(আকাশ)

আমি আর কিছু বললাম না ওনি চলে গেলেন।

||

||
নাস্তা করে কলেজে চলে আসলম।আকাশ ভাইয়া কলেজে পৌছে দিয়েছে।ক্লাসে বসে আছি।এনা এখনো আছে নাই আজকে। একা একা ক্লাস করতে ভালো লাগছে না।তাই ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনে যাচ্ছি। হঠাৎ কেউ আমার হাত ধরে টান দিয়ে একটা অন্ধকার রুমে নিয়ে আসে। অন্ধকার থাকায় সামনের লোকটাকে দেখা যাচ্ছে না।
লোকের সাথে লেপ্টে আছি। আমার কোমড় ধরে লোকটি দাঁড়িয়ে আছে। লোকটির গরম নিঃশ্বাস আমার চোখেমুখে পড়ছে, হাতদুটো অবাধ বিচরণ করছে আমার কোমড়ে। আমার ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে লোকটার পায়ে পাড়া দিয়ে সরে দাঁড়াতে গেলেই লোকটা আবার আমার কোমড় চেপে ধরে বুকের সাথে লেপ্টে ধরে। ধমকের সুরে কানে কানে ফিসফিস করে বলল,

এই এত নড়াচড়া করছিস কেনো হ্যা।(অচেনা)

কন্ঠ টা চেনা চেনা লাগছে..

আকাশ ভাইয়া আপনি (প্রিয়া)

হে আমি কেনো অন্য কাউকে আশা করছিলি নাকি(আকাশ)

আপনি আমাকে এখানে এনেছেন কেনো। আর এভাবে ধরে আছেন কেনো ছাড়েন আমাকে। (প্রিয়া)

এত ছটফট করিছ কেনো তুই।আর ক্লাস না করে কোথায় যাচ্ছিলি(আকাশ)

আগে আমাকে ছাড়েন তারপর বলছি(প্রিয়া)

এরপর আকাশ ভাইয়া আমাকে ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে দাড়ালেন..

এভার বল(আকাশ)

এখানে এত অন্ধ কার কেনো আকাশ ভাইয়া(প্রিয়া)

আমার কথা শোনে আমার আমার কোমর জড়িয়ে ধলো।আমি সাথে সাথে বললাম।

এই আপনি আমার আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন কেনো ছাড়েন বলছি ছাড়েন..(প্রিয়া)

আগে বল তুই এত ভাইয়া ভাইয়া করিস কেনো।আমি তোর মার পেটের ভাই নাকি যে ভাই ভাই করিছ(আকাশ)

প্লিজ আমাকে ছাড়ুন (প্রিয়া)

যুদি না ছাড়ি তাহলে(আকাশ)

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here