ভালোবাসি_যে_তোকে,পর্ব :৪,৫

0
2291

ভালোবাসি_যে_তোকে,পর্ব :৪,৫
লেখিকা :মিমি
পর্ব :৪

আমি আর মেঘ ভাইয়া বাইক থেকে নেমে বসায় ডুকতে যাবো। এমন সময় একটা মেয়ে এসে ভাইয়াকে জরিয়ে ধরে। আর ভাইয়াও মেয়েটা কে জরিয়ে ধরে।এটা দেখে আমার অনেক রাগ হচ্ছে। মন বলতাছে। শাচ্চুন্নির চুল গুলো চিরে দিয়।হাত দুইটা কেটে গঁলার মালা বানিয়ে পুরিয়ে দিয়।লুচু মাইয়া একটা।একটু পর মেয়েটা কে ছেড়ে দিয়ে বলল

প্রিয়া ও হলো সারা আমার ফেন্ড (মেঘ)

হুম দেখতে পাচ্ছি কেমন ফেন্ড আপনার।(প্রিয়া)

মেঘ ভাইয়া কিছু বলতে যাবে তার আগে আমি রুমে চলে আসি।রুমে এসে দরজা অফ করে খাটে বসে পরলাম।ফ্রিতে মেঘ ভাইয়াকে গালি দিতে লাগলাম।শয়তান,লুচু,কুত্তা,বিলাই,ইদুর,কুমির,লেজকাটা টিকটিকি, তেলাপোকা,এ্যানাকোন্ডা,গন্ডার, লালবাদর, করলা,তোর চুল আমি চিরমু।তোরে আমি রান্না করে কুত্তারে খাওয়ামু।আচ্ছা আমি কেনো রাগ করছি। ওই মাইয়া ভাইয়াকে জরিয়ে ধরলে আমার কি আমি কেনো রাগ করছি আজিব।আমি পাগল হয়ে গেলাম নাকি।যাই বাবা একা একা এখানে বসে থাকলে ঠিকি পাগল হয়ে যাবো বকবক করতে করতে।মিরার কাছে যাই এটাই ভালো হবে।বক বক করতে করতে যাচ্ছি হঠাৎ কাউর সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যাই।

ওমাগো আমার কোমর শেষ হয়ে গেলো। (প্রিয়া)

সরি সরি আমি দেখি নাই। সরি।

একটা ছেলে কাছে এসে বলল।আমি ছেলেটার দিকে তাকিয়ে

ওকে ওকে ঠিক আছে।(প্রিয়া)

আচ্ছা আমার হাত টা ধরে ওঠুন।(ছেলেটা বলল)

আমি যখনি ছেলেটার হাত ধরতে যাবো তখন কোথাকে মেঘ ভাইয়া এসে আমাকে কোলে তোলে নিয়ে নেয়।

এই কি ভাইয়া আমাকে কোলে নিলে কেনো।ছাড়োন বলছি আমাকে।(প্রিয়া)

ভাইয়া কিছু বলছে না সোজা রুমের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। আমি ওই ছেলেটার দিকে তাকি দেখি বোকার মত দাড়িয়ে আছে। শালা তোর জন্য আমাকে ভাইয়ার কাছে শাস্তি পেতে হবে । মেঘ ভাইয়া রুমে এসে আমাকে খাটের ওপরে ফেলে দেয়। তারপর দরজাটা অফ করে দেয়।

মেঘ ভাইয়া দরজাটা অফ করলা কেনো আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসলে(প্রিয়া)

ভাইয়া কিছু বলছে না। শুধু আমার কাছে আসতে থাকে। তাই আমি খাট থেকে ওঠতে যাবো।তখন ভাইয়া আমাকে ধরে ফেলে।আমাকে খাটের ওপর শুয়ে দিয়ে আমার দুই হাত খাটের সাথে চাপ দিযে ধরে আমার ওপর ভাইয়া শুয়ে পরে।

ভাইয়া কি করছো টা কি আমাকে ছেড়ে.. (প্রিয়া)

আর কিছু বলতে পারলাম না। ভাই ঠোঁটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দেয়।আমি ছটপট করতে থাকলাম ছুটার জন্য পারছি না।ভাইয়া সব রাগ আমার ঠোটের ওপর ছারতেছে।অনেক চেষ্টা করেও ভাইয়াকে সরাতে পারলাম না।তারপর ছটপট করা বন্ধ করে দিলাম। একটু পর ভাইয়া ঠোট ছেড়ে গঁলায় একটা কামর দিলো।আমি সাথে সাথে কেপে ওঠি।ভাইয়া পাগলের মত গলায় কিস করতে থাকে।

ভাইয়া কি করছেন ছেড়ে দেন আমাকে। কেনো আমার সাথে এমন করছেন। ছাড়েন বলছি।(প্রিয়া)

না ছাড়বো না। আজকে তোর এমন অবস্থা করবো। যা তুই কোনো ছেলের সাথে কথা থাক দূরের কথা মুখটাও দেখাতে পারবি না।(মেঘ)

মানে।(প্রিয়া)

ভাইয়া কিছু বলল না ছেড়ে দিলো। আমি তাড়াতাড়ি ওঠে জামা কাপর ঠিক করতে থাকি।
ভাইয়া আবার আমার কাছে যায়

ওই চোখ বন্ধ করতো।(মেঘ)

কেনো।(প্রিয়া)

সেটা তোকে জানতে হবে না।চোখ বন্ধ করতে বলছি বন্ধ কর। আমি না বললে খুলবি না বুঝেছিস। যুদি খুলিস তাহলে খবর আছে।(মেঘ)

আমি ভয়ে কোনো কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে ফেলি।ভাইয়া আস্তে করে আমার কাছে এসে আমার ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দেয়।২ মিনিট পর ছেড়ে দেয়।ভাইয়া একটা শাড়ি বের করে বলল

নেয় এটা পরে নে(মেঘ)

আমি চোখ খুলে

শাড়ি কেন পরবো।(প্রিয়া)

পরতে বলছি পরে নে আর জানিস না কেন পরবি আজকে মিরার গায়ে হলুদ সবাই শাড়ি পরবে তাই ও শাড়ি পরবি।(মেঘ)

কিন্তু আমি শাড়ি পরতে পারি না।(প্রিয়া)

আচ্ছা চোখ বন্ধ কর।(মেঘ)

কেনো(প্রিয়া)

তোকে আমি যেটা বলছি সেটা কর।(মেঘ)

আমি কোনো কিছু না বলে। চোখ বন্ধ করে ফেললাম ভয়ে।
আর ভাইয়া আমার কাছে এসে শাড়িয়ে পড়িয়ে দিতে থাকে আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে ভাইয়া বলল

কথা বললে খবর আছে।(মেঘ)

আমি আর কিছু বললাম না।একটু পর

নে কুচিটা গুজ। (মেঘ)

আমি কিছু বলছিলাম না। ভাবনার মাঝে ছিলাম তাই কোনো কথা কানে যাচ্ছে না।আমি কথা বলছি না দেখে ভাইয়া নিজে কুচিটা গুজে দিলো আমি সাথে সাথে কেপে ওটে মেঘ ভাইয়াকে জরিয়ে দরলাম।ভাইয়া আমাকে ছাড়িয়ে কপালে একটা কিস করলো।

শুন শাড়িতো পরেছিস বার বার খেয়াল রাখবি পেট যাতে না দেখা যায়।বুঝেছিস।আর কোনো ছেলের সাথে কথা বলিস না প্লিজ।(মেঘ)

হুম(প্রিয়া)

এরপর ভাইযা চলে যায় আমিও রুম থেকে বের হযে যাই।বের হযে দেখি ওই ছেলেটা দাড়িয়ে আছে..আমাকে দেখে আমার কাছে আসছে।আমি কি করবো বুজতে পারছিলাম না।তাই সোজা দূর দিলাম কিন্তু দূর দিও শান্তি নাই
আবার কার সাথে জানি ধাক্কা খেলাম।আমি তাকিযে দেখি..

চলবে…

[ভূল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]

#ভালোবাসি_যে_তোকে
#পর্ব :৫
#লেখিকা :মিমি

কিরে এভাবে দূরাচ্ছিস কেন (মেঘ)

না মানে এমনি।(প্রিয়া)

এমনি কেনো (মেঘ)

ওই যে ছে..(প্রিয়া)

আর কিছু বলতে পারলাম না। সারা শাচ্চুন্নি টা এসে হাজির।

বাবু তুমি এখানে দাড়িয়ে থেকে কি করছো। (সারা)

কই কিছু করছি না তো(মেঘ)

তাহলে চলো আমরা একটু ঘুরে আসি।(সারা)

ওকে চলো(মেঘ)

আমিও তাদের সাথে যাচ্ছিলাম।

কিরে তুই কই যাচ্ছিস।(মেঘ)

কেন তোমাদের সাথে যাচ্ছি (প্রিয়া)

আমাদের সাথে যাচ্ছিস মানে আমারা কি তোকে যেতে বলেছি নাকি যে যাচ্ছিস।(মেঘ)

এই মেয়ে তুমি মেঘের বোন হও বোনের মত থাকো। আমাদের মাঝে আসো কেনো। আমাদের একটু একা থাকতে দাও প্লিজ।(সারা)

যাতো এখান থেকে আমাদের একটু একা থাকতে দেয়।(মেঘ)

চলো বাবু এখানে দাড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট না করা ভালো।(সারা)

হুম চলো।(মেঘ)

মেঘ ও সারা চলে গেলো কিন্তু মেঘ ও সারার কথা শুনে কান্না পাচ্ছে ।সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছি ভাইয়ার কথা শুনে ভাইয়া কিভাবে আমাকে এত গুলো কথা শুনাল।সারা মেয়েটা এত কিছু বলল ভাইয়া কিছু বলল না।তার মানে আমি ভূল ভেবে ছিলাম যে ভাইয়া আমাকে ভালো বাসে। কিন্তু না ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে না।সারাকে ভালোবাসে। ভাইয়া এত দিন শুধু আমার সাথে নাটক করেছে।এসব ভাবনার মাঝে কেউ পিছন থেকে আমাকে ডাক দিলো।

হাই আমি আবির।(আবির)

পিছন ফিরে বলাম।

ও আচ্ছা। (প্রিয়া)

আপরার নামতো বললেন না।(আবির)

আমার নাম প্রিয়া(প্রিয়া)

ও,আপনার কি মন খারাপ।(আবির)

না, মন খারাপ না।(প্রিয়া)

আমার কাছে লুকিয়ে লাভ নেই আমি সব দেখেছি।(আবির)

দেখেছেন মানে কি দেখেছেন।(প্রিয়া)

এইযে তারা আপনাকে কিভাবে অপমান করলো সব দেখেছি আমি।(আবির)

ও আচ্ছা (প্রিয়া)

আচ্ছা চলুন আমরা এক জায়গায় বসি বা ঘুরে আসি ফেন্ড হিসেবে। আর আপনার মন টাও ভালো হয়ে যাবে।(আবির)

ওকে।(প্রিয়া)

তারপর আমরা এক জায়গায় বসলাম।অনেক কথা বলাম অনেক ফ্রি হয়ে গেলাম। অনেক ভালো ছেলেটা। কথা বলার সময় হঠাৎ দেখলাম মেঘ ভাইয়া রাগি চোখে তাকিয়ে আছে। কিন্তু তাকিয়ে থাকলে আমার কি আমি এখন অনাকে ভয় পাইনা।অনি আমার সাথে যা করেছেন তার জন্য আমি অনাকে কখনো মাফ করবো না।

কি এত ভাবছো প্রিয়া(আবির)

কই কিছু নাতো।(প্রিয়া)

ও আচ্ছা। (আবির)

আচ্ছা পরে কথা বলবো আমি একটু রুমে যাই।মাথা টা অনেক ব্যাথা করছে।(প্রিয়া)

ওকে যাও।(আবির)

আমি আর কিছু না বলে চলে আসছিলাম।কিন্তু হঠাৎ কেউ আমার হাত ধরে টান দিয়ে একটা রুমে নিয়ে গেলো।

ভা..ভাইয়া..( প্রিয়া)

হুম আমি কেন। অন্য কাউকে আসা করছিলি নাকি।মানে আবিরকে আসা করছিলি নাকি।(মেঘ)

কি আবল তাবল কথা বলছো হ্যা।(প্রিয়া)

আমার কথা এখন তোর আবল তাবল মনে হয় হ্যা।(মেঘ)

তুমি আবল তাবল কথা বলছো তো আবল তাবল মনে তো হবে নাকি।(প্রিয়া)

ভাইয়া আমার মুখ চাপ দিয়ে ধরে।

চুপ একদম চোপ,আমি সব দেখছি তুই ওই ছেলেটার ওপর কিভাবে হেলেঢোলে পরেছিস। তোর কত যন লাগে হ্যা। তোর শরিরের এত চাহিদা থাকলে আমাকে বলতি আমি মিটিয়ে দিতাম।নাকি আমাকে একা দিয়ে তোর শরিলের চাইদা মিটবে না।তাই আর খুজছিস।তুই নিজে না খুজে আমাকে বলতি আমার বন্ধুদের আমি নিয়ে আসতাম তোর শরিরে চাইদা মিটিয়ে দিতে।না হয় পতিতা লয়ে নিয়ে যেতাম।(মেঘ)

আর কিছু শুনতে পারছিলাম না।তাই ভাইয়াকে জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিলাম তারপর ভাইয়ার গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম।

তোর কি মনে হয় আমি তোর মত খারাপ। আরে শুন আমি তোর মত খারাপ না যে যাকে দেখবো তার সাথে ডলাডলি করবো।ডলাডলি তো তুই করিস। প্রথম আমার সাথে ডলাডলি করে এখন সারা নামের মেয়েটার কাছে গিয়েছিস।আবার এখন আমার কাছে এসেছিস।তোর মত খারাপ আর কেউও নেই।আমার তোকে দেখে লজ্জা হচ্ছে।ছি..(প্রিয়া)

ভাইয়া আমাকে দেওয়ালের কাছেকাছে জোরে চেপে ধরে।

কি করছিস আমার লাগছে ছাড় আমাকে।(প্রিয়া)

লাগোক আরো বেশি লাগোক।আমাকে দেখলে তোর লজ্জা হয় তাই না।আমি খারাপ তাই না এভার দেখবি খারাপ কাকে বলে আর খারাপ কত প্রকার। (মেঘ)

এরপর আমার ঠোঁটের ওপর অত্যাচার করতে লাগলো। আমি ভাইয়ার থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য চটপট করেই চলছি কোনো থামা থামি নাই। আমার এমন নড়াচড়ায় কিস করতে ব্যাঘাত হচ্ছেন ভাইয়ার।তাই একহাতে আমার চুলের মুটি শক্ত করে ধরে নিজের সাথে টেনে চেপে ধরে আমার ঠোঁট আরো জোরে জোরে কামড়াতে থাকে। আমাকে চেপে ধরায় এতে করে উনার সুবিধা হলেও আমি বেশ ব্যাথা পাচ্ছিলাম। তাছাড়া কোনো রকম নড়াচড়া ও আমার সাধ্যের বাহিরে ছিল।কি করবো কিছু ভেবে না পেয়ে দমে যায় আমি।তার হাত আমার শাড়ির ভিতর আমার উম্মুক্ত কমড় জোরে বিচরণ করছে।অন্য হাতে টেনে টেনে ঠোঁট কামড়িয়ে কিস করছে। উনার এমন টানা টানিতে আমার মনে হচ্ছে আজ হয়তো উনি আমার ভিতর ঢুকবে।নয়তো আমাকে উনার বুকের ভিতর ঢুকাবে। দুইটা যেকোনো একটা করেই দম নিবেন নয়তো আজকে আমাকে আর ছাড় দিবে না ভাইয়া এভাবে টানা ১০মিনিট কিস করে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে হনহন করে চলে যায় ভাইয়া।
ভাইয়ার ধাক্কা তাল সামলাতে না পেরে নিজের পড়ে কাঁপালে ব্যাথা পাই আমি।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here