ভালোবাসি_যে_তোকে,পর্ব :৬,৭,৮,৯
লেখিকা :মিমি
পর্ব :৬
বসে বসে কান্না করছি।হঠাৎ আম্মু আমার রুমে আসলো।
কিরে কান্না করছিস কেনো মা।কিছু হয়েছে নাকি মা(আম্মু)
কই কান্না করছি। চোখে কি যেনো পরেছে। তাই চোখে পানি চরে আসছে।(প্রিয়া)
একদম মিথ্যা কথা বলবি না। সত্যি কথা বল তোর কি হয়েছে যে কান্না করছিস মা (আম্মু)
আরে মিরা যে কাল শুশুর বাড়ি চলে যাবে তাই একটু কান্না পাচ্ছে। (প্রিয়া)
ও আচ্ছা আর কান্না করতে হবে না।কান্না করতে করতে চোখ মুখের অবস্হা কি হয়ে গেছে।যা ফ্রেশ হয়ে আয়।(আম্মু)
ওকে আম্মু(প্রিয়া)
এই শুন রান্না ঘরে তোর মেঘ ভাইয়ার কফিটা রাখা আছে যাত একটু দিয়ে আয়।(আম্মু)
কেন আমি কেনো যাবো। তুমি দিয়ে আসতে পারো না।(প্রিয়া)
আমি কাজ করছি তুই গিযে দিয়ে আয়।(আম্মু)
ওকে ওকে যাচ্ছি (প্রিয়া)
আমি চলে আসলাম রান্না ঘরে এসে কফি কাপটা নিয়ে আসতে নিলে হঠাৎ মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি আসলো।তাই রান্না ঘরে আবার ফিরে গেলাম।এবার গুনে গুনে পাঁচ চামচ মরিচ, দুই চামচ লবন দিলাম।এবার বুঝবে চান্দু প্রিয়ার সাথে লাগলে কি হতে পারে।আজকে তোমাকে তেলেবেগুনে জ্বালাব।বক বক করতে করতে মেঘ ভাইয়া রুমে কাছে চলে আসলাম।কফির কাপটা হাতে নিয়ে দরজার বাইরে দাড়িয়ে উকি মারছি।কিন্তু রুমে কাউকে দেখতে পারছি না।তাই কিছু না ভেবেই রুমে ডুকে পরলাম।কফির কাপটা খাটের পাশে টেবিলে রাখতে যাবো তখনি মেঘ ভাইয়া ওয়াশরুমের দরজা খুলে বের হলো।আর আমি ভাইয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।গোসলের পর কোনো ছেলেকে এতো সুন্দর লাগে জানতাম না।আমিতো প্রেমে পরে গেলাম।আমাকে এবাবে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভাইয়া আমার কাছে এসে হাতের তুরি বাজাতে আমার হুসফিরে।
এভাবে হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো মুখে মশা ডুকবে তো নাকি।(মেঘ)
না মানে কফিটা দিতে এসেছিলাম রুসে কাউকে দেখতে না পেয়ে কফিটা রেখে যাচ্ছিলাম।(প্রিয়া)
তাহলে তাড়াতাড়ি রেখে যা বিদায় হ।(মেঘ)
যাচ্ছি যাচ্ছি আপনাকে বলতে হবে না।আমিতো আসতে চাই নাই।আম্মু জোর করে পাঠিয়েছে বুঝেছেন।(প্রিয়া)
কফি কি ঠান্ডা হয়ে গেলে দিবি নাকি হা।(মেঘ)
এই নেন আপনার কফি।আর আমি গেলাম।(প্রিয়া)
ভাইয়ার হাতে কফিটা দিয়ে চলে আসছিলাম।তখনই ভাইয়ার চিৎকার…
প্রিয়ার বাচ্চা…(মেঘ)
না বাবা এখানে থাকা যাবে না।তাড়াতাড়ি এখান থেকে যেতে হবে। না হয় আমাকে শেষ করে ফেলবে..যেই রুম থেকে বের হবো তখনি ভাইয়া আমার হাত ধরে ফেলে।আমি ভাইয়ার দিকে ভয়ে ভয়ে তাকালাম। ভাইয়ার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে শেষ করে ফেলবে।তারপর ও সাহস করে বললাম।
ভা.ভাইয়া কিছু লাগবে নাকি?লাগলে বরেন আমি এখনি নিয়ে আসছি।(প্রিয়া)
দরজা লাগিয়ে বলল
হুম লাগবে তো।(মেঘ)
দরজা অফ করলা কেন ভাইয়া(প্রিয়া)
মিষ্টি খাবো তাই।(মেঘ)
ওকে আমি নিয়ে আসছি(প্রিয়া)
আমি ওই মিষ্টির কথা বলছি না। আমি তো তোর ঠোটের মিষ্টির কথা বলছি।(মেঘ)
মা মানে (প্রিয়া)
আচ্ছা আগে বল তো কফিতে কি মিশিয়েছিস(মেঘ)
কই কিছু মিশাই নাইতো ভাইয়া(প্রিয়া)
ও সত্যি কিছু মিশাস নাই।(মেঘ)
না কিছু মিশাই নাই(প্রিয়া)
জানিস কফিতে সব ঠিক ছিলো বাট মিষ্টিটা কম হয়ে গেছে।তবে সমস্যা নাই তোর ঠোট তো আছে তাই না।(মেঘ)
মা মানে কি(প্রিয়া)
আর কিছু বলতে পারলাম না। কারন আমার ঠোট জোরা নিজের করে নিল।ছটফট করছি কিন্তু তিনি ছাড়ার নাম নিচ্ছে না।এখন নিজের ওপর রাগ হচ্ছে কেন যে ওনাকে রাগাতে গেলাম।ওনাকে জ্বালাতে গিয়ে এখন নিজে মরতাছি।৫মিনিট পরে ঠোট ছেড়ে দিয়ে এভার গলায় কামর দিলো।ওনি ইচ্ছা মত কিস,কামর দিচ্ছে। আমি আর সহ্য না করতে পেরে জোরে ধাক্কা দিলাম।
আপনার সমস্যা টা কি হ্যা আপনি কেনো আমার সাথে এমন করছেন(প্রিয়া)
তোর সাহস কি করে হয় আমাকে ধাক্কা দেওয়ার(মেঘ)
চুপ একদম চুপ। গলা নামিয়ে কথা বল না হয় আমি চিৎকার করবো।(প্রিয়া)
ও আচ্ছা তাই নাকি।তুই মেঘকে ভয় দেখাস হা হা হা(মেঘ)
আমি লুচু দেখছি বাট তোর মত লুচু জিবনেও দেখি নাই।তুই কি ভাবছিস আমি কিছু বুঝি না হ্যা
তুই যে গাছও খেতে চাস আমার গাছের গুড়াও।আচ্ছা আমি তো তোর কাকাতো বোন হই।তাহলে তুই আমার সাথে এসব কি করে করছিসরে..(প্রিয়া)
চুপ ফাজিল একদম বোন বলবি না বুঝেছিস।আর আমি তোকে বোনের মত দেখি না।তাই এই সব করি।আর হে ভাবিস না যে আমিতোকে ভালোবাসি।(মেঘ)
মানে কি বলতে চাও(প্রিয়া)
মানে হলো আমি তোকে ভালোবাসি না।আমিতো মিরার সাথে বাজি ধরে এই সব করছি।(মেঘ)
বাজি কিসের বাজি(প্রিয়া)
আরে বোকা মেয়ে কোথাকার। মিরা বলেছিলো তুই নাকি কোনো ছেলে কে পাত্তা দেস না।আর কখনো কাউকে ভালবাসবি না।তখন আমি মিরাকে বলেছিলাম আমি তোকে আমার প্রতি দুর্বল করতে পারবো। তুই আমাকে ভালোবাসবি।কিন্তু মিরা আমার সাথে বাজি ধরে বলে আমি পারবো না।বাট আমি জিতে গেছি কারন আমি খুব ভালো করে জানি তুই আমাকে ভালোবাসিস।হা হা হা আজ আমি অনেক খুশি আমি বাজিতে জিতে গেছি।(মেঘ)
ভাইয়ার গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলাম
শুধু মাএ বাজিতে জিতার জন্য আমার সাথে এত নাটক করলি(প্রিয়া)
ভাইয়া আমার চুলের মুটি ধরে বলল
তোর সাহস কি করে হলো আমাকে থাপ্পড় দেওয়া।(মেঘ)
বলেই ভাইয়া আমাকে দুই গালে আবার দুইটা থাপ্পড় দিয়ে বলে গেলো।
আমি রুমে কান্না করছি আর বলছি কেন মেঘ আমার সাথে এমন করলে কেন এমন করলে আমার সাথে আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি..
চলবে…
#ভালোবাসি_যে_তোকে
#পর্ব :৭
#লেখিকা :মিমি
কান্না করতে করতে ছাদে চলে যাই বৃষ্টি পরছে তাই বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম।বৃষ্টির সাথে সাথে বয়ে যাচ্ছে আমার চোখের জল বৃষ্টিতে ভিজার জন্য ভিষন ভাবে কাপছি,,,,হঠাৎ কাঁধে কারো স্পর্শ পেয়ে পিছনে তাকাতেই দেখলাম আবির ভাইয়া দাড়িয়ে আছে।কাপতে দেখে শান্ত গলায় বলল
বৃষ্টিতে কেনো ভিজছো?রুমে যাও।(আবির)
আমি কিছু না বলে ওভাবেই দাড়িয়ে রইলাম
কথা কানে যাচ্ছে না তোমার?ভিজে তো বার বার কেঁপে কেঁপে উঠছো,,চলো রুমে চলো(আবির)
আমার হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে আসে আবির
যাও তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হও।না হয় জর ওঠবে(আবির)
আমি কিছু বললাম না।ফ্রেশ হতে চলে গেলাম ওয়াশরুমে।ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে দেখি আবির আমার রুমে খাটের ওপর বসে আছে।আমাকে দেখে বলল
ে
এখানে এসে বসো। (আবির)
আমি কিছু না বলে ওনার পাশে গিয়ে বসলাম অনেক কান্ত লাগছে তাই কিছু না বলে পরলাম।আবির আমার কাছে এসে গালে হাত দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে আমি বললাম
কি করছেন গালে হাত দিচ্ছেন কেনো।(প্রিয়া)
গালে থাপ্পড়ের দাগ বসে আছে তাই একটু ভালো করে দেখছি।(মেঘ)
আমি কিছু বললাম না চুপ করে বসে রইলাম।
আচ্ছা বৃষ্টি তে কেনো ভিজছিলে(আবির)
ইচ্ছে হযেছে তাই।(প্রিয়া)
ও,আচ্ছা বুঝলাম।কিন্তু থাপ্পড় টা কে দিয়েছে জানতে পারি।(আবির)
আপনাকে কেনো বলমু আপনি আমার কে যে আপনাকে সব বলতে হবে।(প্রিয়া)
ধরো তোমার বেস্টফেন্ড। বিশ্বাস করে বলতে পারো কি হয়েছে।আর বললে তোমার মন টা একটু হালকা হবে।(আবির)
কিছু হয় নাই।(প্রিয়া)
তুমি না বললেও আমি সব জানি (আবির)
কি জানেন আপনি(প্রিয়া)
এই যে তুমি মেঘ ভাইয়াকে ভালোবাসো।কিন্তু মেঘ ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে না।(আবির)
আপনি কি করে যানেন(প্রিয়া)
আমি মিরার রুমে যাচ্ছিলাম কিন্তু মিরার রুমে দরজার কাছে গিয়ে শুনতে পাই মেঘের কন্ঠ। আর তোমাকে নিয়ে কি যেনো কথা বলছে।আর হাসছে।তোমাকে নিয়ে কি বলছে শুনতে থাকলাম।আর সব জেনে ফেললাম যে মেঘ মিরার সাথে বাজি ধরে তোমার সাথে নাটক করছে এত দিন। (আবির)
আবিরের কথা শুনে কান্না করতে থাকি। ওনি আমাকে কান্না করতে দেখে আমার গালে হাত দিয়ে বলতে লাগলো
এই বোকা মেয়ে কান্না করছো কেনো হ্যা।কান্না থামাও বলছি।না হয় থাপ্পড় দিবো।(আবির)
আমি আরো জোরে জোরে কান্না করতে থাকলাম এবার ওনি রেগে চিৎকার করে বললেন।
তোমাকে কান্না থামাতে বলছি না।(আবির)
আমি ভয়ে কান্না করা বন্ধ করে ফেললাম।
আচ্ছা প্রিয়া কান্না করলে কি সব কিছুর সমাধান হবে নাকি। আর তুমি কান্না করছো ওই ছেলেটার জন্য যে কিনা তোমাকে ব্যবহার করছে।তুমি তার জন্য কান্না করছো যে তোমাকে ভালোবাসে না।প্রিয়া তুমি ওই খারাপ ছেলের জন্য কি নিজের জিবন টা শেষ করে দিবে নাকি। তোমার যুদি কিছু হয়ে যায় তাহলে তোমার বাবার কি হবে বলতো।দেখো প্রিয়া ওই ছেলের জন্য নিজেকে শেষ না করে মা বাবার জন্য বাচতে শিখো। নিজের জিবনটাকে এভাবে শেষ করে দিও না প্লিজ। আর হে একদিন দেখবে মেঘ তোমাকে অনেক ভালোবাসবে এখন হয়তো বুঝে না।কিন্ত যে দিন বুঝবে সেই দিন ছুটে আসবে তোমার কাছে।(আবির)
সত্যি বলছেন তো ভাইয়া(প্রিয়া)
হুম সত্যি বলছি তবে এখন থেকে মন দিয়ে পড়াশুনা করো এই সব বাদ দিয়ে।ওকে(আবির)
ওকে ভাইয়া (প্রিয়া)
আচ্ছা এখন আসো একটু ঘুরে আসি তোমার মনটা ভালো হয়ে যাবে।(আবির)
ওকে চলেন(প্রিয়া)
আমি আর আবির ভাইয়া বাসা থেকে বের হতে যাবো তখন মেঘ ভাইয়া পিছন থেকে ডাক দিলেন
প্রিয়া কোথায় যাচ্ছিস(মেঘ)
ঘুরতে যাচ্ছি আবির ভাইয়ার সাথে আবির ভাইয়া চলো। (প্রিয়া)
তুই কোথাও যাবি না বুঝেছিস(মেঘ)
আপনি কে যে আমাকে এখন আপনার কথা শুনতে হবে।আর হে আপনি আমার ভাই হন ভাইয়ের মত থাকেন বুঝেছেন।আমি কি করবো কি করবো না কোথায় যাবো নাকি যাবো না। সেই সব বিষয় আপনি মাথা না গামালে চলবে।চলো আবির ভাইয়া আমরা যাই।(প্রিয়া)
মেঘ ভাইয়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আবির ভাইয়ার হাত ধরে চলে গেলাম।
আমি আর আবির ভাইয়া পাশাপাশি হাটছি।হঠাৎ নজর পরলো কিছু দূরে ভাইয়া আর সারা দুই দুই জনের হাত ধরে হাটছে।তবে আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।
প্রিয়া কি হযেছে দাড়িয়ে পরলে কেনো। (আবির)
আবির ভাইয়াকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে মেঘ ভাইয়াকে দেখাম।
ওই দিকে দেখেন(প্রিয়া)
ওমা তারা এখানে কি করছে আজব।(আবির)
আমিও সেটা ভাবছি।(প্রিয়া)
আচ্ছা বাদ দাও তাদের কথা। এখন চলো হাটি তাদের থেকে দূরে থাকা ভালো।(আবির)
আমি আর কিছু বললাম না হাটতে থাকলাম।হঠাৎ কিছু একটার সাথে পা লেগে পরে যাই।
আহ..(প্রিয়া)
প্রিয়া কি হলো পরলে কিভাবে।আর কোথায় ব্যাথা পেলে(আবির)
পায়ে একটু ব্যাথা পেয়েঠি আর কি(প্রিয়া)
আমার চিৎকার শুনে মেঘ ভাইয়া দূরে চলে আসে।
প্রিয়া তুই ঠিক আছিস তো।(মেঘ)
হে ঠিক আছি।আবির ভাইয়া আমার হাতটা ধরবে প্লিজ। (প্রিয়া)
হুম হাত দাও(আবির)
আবির ভাইয়ার হাত ধরলাম কিন্তু ওঠতে পারলাম না।তাই মেঘ ভাইয়া আমার কাছে আসতে যাবে। তখন আবির আমাকে কোলো তোলে নে..এটা দেখে মেঘ ভাইয়ার চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।কিন্তু কিছু বলছে না।আবির আমাকে কোলে নিয়ে বাসার দিকে হাটা শুরু করলো।হঠাৎ মেঘ ভাইয়া সামনে এসে বলল
আবির প্রিয়াকে নামাও (মেঘ)
কেনো নামাবে শুনি(প্রিয়া)
কেনো জানিস না।তোকে এই ভাবে আবির কোলে করে নিয়ে গেলে সবাই খারাপ ভাববে। আর সবাই বলবে মেঘের বোন অন্য একটা ছেলের কোলে করে বাসায় আসে এবং আমাদের সবার মানসমান নিয়ে টানাটানি হবে আর আমিতো এটা হতে দিতে পারি না তাই না। (মেঘ)
কিন্তু প্রিয়াকে কোল থেকে নামিয়ে দিলে পায়ে ব্যাথা নিয়ে কিভাবে বাসায় যাবে।(আবির)
সেটা তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।আমি আছিতো। (মেঘ)
আবির আর কিছু বলল না প্রিয়াকে নামিয়ে দিলো।সাথে সাথে মেঘ ভাইয়া আমাকে কোলো নিযে হাটা শুরু করলো।আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে ভাইয়া বলে ওঠলো।
কথা বলর ফেলে দিমু। কোমার ভাঙ্গতে না চাইলে চুপ করে থাক।(মেঘ)
আমি আর কিছু বললাম না ভয়ে চুপ করে রইলাম।
চলবে…..
[ভূল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]
#ভালোবাসি_যে_তোকে
#পর্ব :৮
#লেখিকা #মিমি
ভাইয়া আমাকে কোল থেকে নামা।না হয় আমি চিৎকার করবো।(প্রিয়া)
আমি বলতে দেরি নাই মেঘ ভাইয়া আমাকে ফেলে দিতে দেরি হলো না।
ওমাগো আমার কোমর শেষ গো।আমার আর বিয়ে হবে নাগো আমারে কে বিয়ে করবে গো.. (প্রিয়া)
ওই চুপ কি আবল তাবল বোকছিস।পাগল হয়ে গেলি নাকি। (মেঘ)
পাগল আমি হই নাই তুই হইছস। আমারে ফেলে দিলে কেন হ্যা। তোর জন্য আমার কোমর টা ভেঙ্গে গেছে জানুয়ার।(প্রিয়া)
চুপ এতে আমার কি দোষ তুইতো বললি তোকে ছেড়ে দিতে তাই ছেড়ে দিছি।আর এখন আমার দোষ দিতাছোত।(মেঘ)
তাই বলে এমনে ফেলে দিবি আজব।(প্রিয়া)
হুম ফেলে দিছি।কারন আবির যখন কোলে নিছে তখন তো কিছু বলিস নাই।আর আমি কোলে নেওয়াতে লাফালাফি করা শুরু করেছিস।আবির কোলে নেওয়াতে মজা পাইছিলি নাকি।(মেঘ)
কিসব বলছেন হ্যা। সব ছেলেকে কি আপনার মত মনে করেন নাকি হ্যা।আপনি যেমন খারাপ সবইকে আপনার মত খারাপ ভাবেন নাকি।(প্রিয়া)
চুপ একদম চুপ আর একটা কথা বললে এখানে পুতে রেখে যাবো। (মেঘ)
আমি আর ভয়ে কিছু বলাম না।ভয়ে চুপ হয়ে গেলাম।মেঘ ভাইয়া আমাকে আবার কোলে নিতে যাবে। সারা ডাইনি সামনে এসে হাজি হলেন।
মেঘ কি করছিস এই মেয়ের সাথে।এই মেয়েকে কোলে নিতে যাচ্ছিস কেন।(সারা)
নেন আপনার জানেমান চলে আসছে এখন আপনি যেতে পারেন।(প্রিয়া)
প্রিয়া চুপ কর। আর সারা প্রিয়া পায়ে ব্যাথা পেয়েছে। হাটতে পারছে না।এি জন্য কোলে.. (মেঘ)
ভাইয়া কে কিছু বলতে না দিয়ে সারা বলল..
তাই বলে তুই মেযেটা কে কোলে নিতে যাবি।(সারা)
আচ্ছা হইছে আপনাদের আর ঝরগা করতে হবে না।আপনারা চলে যান আমি নিজে বাসায় চলে যেতে পারবো।(প্রিয়া)
কিন্তু…(মেঘ)
কোনো কিন্তু নয় মেঘ।বাসায় চল। ওকে নিয়ে তোর চিন্তা করতে হবে না।ওহ নিজে চলে যেতে পারবে বললতো। তাহলে তুই কেন এত চিন্তা করছিস বাসায় চল…(সারা)
সারা আপু ঠিক বলছে আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।আপনি চলে যান বাসায়।(প্রিয়া)
ভাইয়া আর কিছু বলল না।সারার হাত ধরে চলে যাচ্ছে আর আমি মেঘ ভাইয়ার যাওয়ার দিকে চেয়ে আছি। মেঘ ভাইয়া কি করে এটা করতে পারলো। আমি বলেছি বলে চলে যাবে। আমাকে এই অবস্থায় রেখে।আমার কথা একবারো ভাবলো না।যে আমি এই অবস্থায় কি করে বাসায় যাবো।আর আবির ভাইয়াও চলে গেছে,আমি এখন কিভাবে বাসায় যাবো।পায়ে,কোমোরে অনেক ব্যাথা করছে..ওঠতেও পারছি না।একা এই নিরজন জায়গায় অনেক ভয় করছে।না এখানে বসে থাকলে চলবে না। আমাকে যে করে হক বাসায় যেতে হবে।আমি যখনি ওঠতে যাবো তখন কেউ আমার হাত টা ধরে ফেলে।হঠাৎ কেউ আমার হাত টা ধরাতে অনেক ভয় পেয়ে যাই।কে আমার হাত ধরেছে দেখার জন্য আস্তে আস্তে মাথাটা উপরে ওঠাই। আমি লোকটাকে দেখে অনেক খুশি হয়ে যাই।সাথে সাথে তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিয়।
কি হযেছে এভাবে কান্না করচো কেন প্রিয়া(আবির)
আপনি বাসায় যান নাই এখনো।(প্রিয়া)
চলে গেছিলাম কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি তুমি এখনো আসো নাই। আমি আবার বাসা থেকে বের হতে যাবো তখন দেখি মেঘ আর সারা বাসার বেতর আসচে আমি তাড়াতাড়ি মেঘের কাচে গিয়ে বলি প্রিয়া কোথায়।তখন সারা বললো তুমি পিছনের আসতেছো।আমিও আর কিছু না ভেবে তোমাকে খুজতে খুজতে চলে আসি।কিন্তু তুমি এখানে এভাবে বসে আছো কেনো। (আবির)
সয়াতানটা কোল থেকে ফেলে দিয়ে চলে গেছে(প্রিয়া)
কি.. (আবির)
হুম।এখন বকবক না করে বাসায় চলেন।(প্রিয়া)
আচ্ছা চলো।(আবির)
আবির ভাইয়া হাত বারিয়ে দিরো আমিও আর কিছু না বলে হাত ধরে ওটে গেলাম।আবির ভাইয়ার হাত ধরে আস্তে আস্কে বাসায চলে আসলাম।বাসায এসে দেখি মেঘ ভাইয়া ও সারা কথা বলছে আর জোরে জোরে হাসছে।আমি কিছু বলাম না। দেখে ও না দেখার ভান করে আবির ভাইয়ার সাথে রুমে যেতে লাগলাম।হঠাৎ আম্মু সামনে এসে দাড়ালেন।তাই আমি বললাম..
সামনে এসে দাড়িয়েচো কেনো এভাবে..(প্রিয়া)
আগে বল তোর পাযে কি হয়েছে মা।এই ভাবে হাটছিস কেনো। (আম্মু)
ওই কিছু না।একটু ব্যাথা পাইছি আর কি।(প্রিয়া)
কিভাবে ব্যাথা পেলিরে মা(আম্মু)
আন্টি পরে না হয় বলবে এখন একটু প্রিয়াকে রুমে যেতে দেন। একটু রেস্ট নেক।আর একটু বরফ দিযেন প্রিয়ার পায়ে দেওযার জন্য।(আবির)
ওকে যাও আমি বরফ নিয়ে আসছি।(আম্মু)
আবির ভাইয়া আর কিছু বললো না আমাকে রুমে নিয়ে আসলেন তারপর খাটে বসিয়ে দিলেন।রুমে আসার সময় সেঘ ভাইয়ার দিকে একবার তাকিয়ে ছিলাম। দেখলাম ওনি কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে। তাতে আমার কি আমি আর ওনার কথা ভাববো না।এখন থেকে আমি নিজের মত চলবো। আর ওনার কথা ভেবে কষ্ট পাবো না।আমি আমার মত থাকবো। ওনাকে দেখলে না দেখের ভান করে থাকবে। কথাও বলবো না।এখন থেকে আমি ওনার থেকে দূরে দূরে থাকবো।
|
|
দেখছিস তুই প্রিয়ার চিন্তা করে মরে যাচ্ছিলি।আর মাইয়া দেখ কিভাবে আবিরের হাত ধরে বাসায় চলে আসছে।তোকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলো।তখন তোকে চলে আসতে বলছে যাতে মাইয়া আবিরের সাথে ঢলাঢলি করে আসতে পারে বুঝেছিস।(সারা)
বাদ দেয় তো এসব কথা। এমনি তে মাথা অনেক গরম হয়ে আছে। তা উপর এই সব কথা বলছিস তুই(মেঘ)
আরে..(সারা)
সারা আর কিছু বলতে পারলো না।মেঘ ওঠে চলে যায়।সারা মনে মনে বলল
আমি জানি মেঘ তুমি প্রিয়াকে ভালোবাসতে চলেছো কিন্তু আমিতো সেটা হতে দিবো না।কারন আমি যে তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি (সারা)
|
|
আম্মু বরফ দিয়ে যায়..আবিরের কাছে কারন আবির বলেছে ওনি আমার পায়ে লাগিয়ে দিবে .. আমি না করেছি তারপরেো ওনি আমার পায়ে দিয়ে দিচ্ছেন।আর এমনিতে আমি নিজে পাযে নিজে দিতে সমস্যা হত।এই জন্য চুপচাপ বসে রইলাম আর দরজার দিকে আর চোখে তাকাচ্ছি। মেঘ ভাইয়াকে দেখার জন্য।একটু পর দেখি ভাইয়া নিজের রুমে যাচ্ছেন। বাট কি মনে করে আমার দরজার সামনে এসে দাড়ালেন। আমি দেখেও না দেখার ভান করে রইলাম।মেঘ ভাইয়া আমার রুমে আসে আবির কে বলল..
আবির তোমাকে মিরা ডাকছে…(মেঘ)
ও আচ্ছা প্রিয়া তুমি একটু বসো আমি মিরা সাথে দেখা করে আসছি..(আবির)
ওকে যান..(প্রিয়া)
আবির ভাইয়া চলে যাওয়ার সাথে সাথে দরজাটা অফ করে দিয়ে আমার কাছে আসতে থাকেন।
ভাইয়া দরজাটা অফ করলি কেনো।আর এভাবে কাছে আসছো কেনো।(প্রিয়া)
ওনি কিছু না বলে আমার কাছে বসে কোমার জরিয়ে ধরলেন..
কি. কি করছি..(প্রিয়া)
বাকি কথা বলতে পারলাম না।মেঘ ভাইয়া আমার ঠোট নিজের করে নিলো…
চলবে…..
[ভূল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]
#ভালোবাসি_যে_তোকে
#পর্ব :৯
#লেখিকা #মিমি
সব রাগ আমার ঠোটের উপর ছাড়ছে।আজকেই আমার ঠোট শেষ করে ফেলবে..কুত্তা টা। অনেক ব্যাথা করেছে।সয্য করতে না পেরে শরীলের যত শক্তি আছে।সব শক্তি দিয়ে ভাইয়া কে ধাক্কা দিলাম।এতে একটু সরে যায় মেঘ ভাইয়া।আমি ছাড়া পেয়ে বলতে শুরু করলাম
কেনো আমার সাথে এমন করছেন আপনি।।কনো আবার বার আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন।আমাকে তো আপনি ভালোবাসেন না তাহলে কেনো বার বার আমার কাছে আসেন।আপনার সমস্যাটা কি? (প্রিয়া)
মেঘ মনে মনে বলল..
আমি তোর সাথে এমন করি কারন আমি তোর সাথে কোনো ছেলেকে সয্য করতে পারি না রে।আমি যে তোকে অনেক ভালোবাসি।হে এটা সত্যি যে আমি বাজি ধরে তোর সাথে নাটক করছি।বাট আমি তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসি।আর তখন তোকে ওখানে ফেলে আসতে চাই নাইরে তখন সারা চলে আসছিলো।আর সারা যুদি একবার জানতে পারে আমি তোকে ভালোবাসি তাহলে যে তোকে হারাতে হবে।আর সেটা তোর বাবার কারনে।তোর বাবা যে আমাকে সন্দেহ করছে যে তোর সাথে আমার কিছু আছে কিনা তা জানার জন্য সারাকে আমার পিছন লাগিয়ে রাখছে তোর বাবা।তোর বাবা যানতে পারলে যে তোকে আমার কাছ থেকে নিয়ে নিবে আর আমিতো সেটা হতে নিতে পারি না।তুই আর কিছু দিন নিজেকে সামলে রাখ আমি কিছু দিনের ভিতরে নিজে একটা বিজনেস দিবো।তারপর তোকে আমার করে নিবো।তখন তোর বাপ কিছু বলবে না।এখন তোর বাপে বিজনেসে কাজ করিতো তাই কোনো দিন মেনে নিবে না।যখন নিজের বড় একটা বিজসেন থাকবে তখন আর কিছু বলবে না।আর কিছু দিন সয্য কর প্লিজ। মনে মনে বলল(মেঘ)
ভাইয়া কে কথা বলতে না দেখে রেগে গিয়ে বললাম
কি সমস্যাটা কি কথা বলছেন না কেনো। কেন আমার সাথে আপনি এমন। কোন অধিকারে উপর জোর দেখেন।বরেন চুপ থাকবে না (প্রিয়া)
মেঘ ভাইয়া রেগে আমার দুই বাহু জোরে চেপে ধরে বলতে থাকেন..
অধিকার অধিকার অধিকার। আমার কি অধিকার।তাহলে শুন আমার তোর উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে এমনকি তোর ওপর তোর নিজেরও অধিকার নাই।সব অধিকার আমার। আর হে আবিরে সাথে যাতে তোকে আর না দেখি তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।বুঝেছিস..(মেঘ)
কিছু বলতে যাবো মেঘ ভাইয়া আমাকে থামিয়ে বলল..
প্লিজ তুই আমার কথা মত চল দেখবি আমি তোকে আর কষ্ট দিবো না। প্রমিস(মেঘ)
আমি কিছু বলাম না চুপ করে রইলাম।আমাকে চুপ থাকতে দেখে।ওনি আর কিছু বলল না।এরপর ওনি আমার কপালে একটা কিস করে, তারপর পায়ে যে জায়গায় ব্যাথা পেয়েছি সেই জায়গায় কিস করে আমি সাথে পা সরিয়ে বললাম
কি. কি করছেন এইসব(প্রিয়া)
কানা নাকি দেখছ না কি করছি..(মেঘ)
আমি আর কিছু বলাম না চুপ করে রইলাম।আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে আমার পাশে এসে বসলেন..
প্রিয়া আমি জানি তোর মনে কি চলছে।তাই এসব বাদ দিয়ে মন দিয়ে পড়া শোনা কর। আর একটু ধয্য ধর সব ঠিক হয়ে যাবে পড়ে, এখন নিজে শরীলের যত্ন নেয় প্লিজ।এই দুই দিনে নিজের কি অবস্তা করেছিন তোর কি খেয়াল আছে।এখন থেকে নিজের খেয়াল রাখবি বুঝেছিস। ঠিক মত সব সময় খাবার খাবি ওকে। আচ্ছা এখন বায় কেউ এক সাথে দুই জনকে দেখলে অনেক সমস্যা হতে পারে।বায়( প্রিয়া)
আমি কিছু বললাম না।ভাইয়া চলে গেলো। ভাইয়া চলে যাওয়ার পর পর দরজা অফ করে দিয়ে খাটে শোয়ে পরলাম।
একটু পর আম্মু দরজার কাছে এসে ডাক দিলেন…
প্রিয়া এই প্রিয়া খাবার নিয়ে এসেছি দরজাটা খুল।(আম্মু)
দরজা খুলে বললাম..
আমি খাবার এখন খাবো না।আম্মু তুমি খাবার নিয়ে চলে যাও(প্রিয়া)
কেনো খাবি না।(আম্মু)
এমনি (প্রিয়া)
মন খারাপ তোর(আস্মু)
কই নাতো মন খারাপ থাকবে কেনো (প্রিয়া)
আমি তোর মা বুঝেছিস। আমাকে মিথ্যা কথা বলে লাভ নাই।আমি সব বুঝি(আম্মু)
খাটে বসে বললাম
কি জানো তুমি(প্রিয়া)
সব জানি। (আম্মু)
কি জানো সেটা বলল(প্রিয়া)
তুই মেঘকে ভালোবাসিস তাই না।(আম্মু)
কি সব আবোল তাবোল কথা বলছো আমি কেনো মেঘ ভাইয়া কে ভালোবাসতে যাবো আজব(প্রিয়া)
দেখ আমার কাছে লুকিয়ে লাভ নাই। আর এমনিতে আমারও মেঘকে ভালোলাগে তোর সাথে একদম ভালো মানাবে।আর একট কথা সারা মেয়েটা তোকে এত অপমান করে তুই কিছু বলিস না কেনো।একটা কথা মাথায় রাখবি সারা এই বাড়ির মেহমান। আর তুই এই বাড়ির মেয়ে। ওই মেয়ের থেকে তোর অধিকার বেশি তাই ওই মেয়ে কিছু বললে চুপ করে থাকবি না।আচ্ছা খেয়ে নিচে আয়।আমি গেলাম।(আম্মু)
ওকে যাও(প্রিয়া)
আম্মু চলে যায়। আমি শুয়ে শুয়ে আম্মুর কথা গুলা ভাবতে লাগলাম।আম্মু তো ঠিক বলেছে। এটা তো আমাদের বাড়ি।আর সারা তো এই বাড়ি মেহমান।তাহলে আমি কেনো সারার অপমান মুখ বুঝে সয্য করবো।না আমাকে চুপ থাকলে বলবে না।আমি চুপ করে থাকলে আমাকে আরো বেশি অপমান করবে।আর সারার থেকে আমার বেশি ভাইয়ার প্রতি অধিকার আছে।আজকে থেকে আর সয্য করবো না সারা অপমান।আচ্ছা আগে খেয়ে নি।পেটের ইদুর গুলা দুরাচ্ছে।
একটু পর খাবার খেয়ে নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখলাম সারা মেঘ ভাইয়ার পাশে বসে আছে।তাই অনেক রাগ হলো । সোজা দিয়ে বলতে লাগলাম
আপনার কি লজ্জা সরম বলতে কিছু নাই।এভাবে একটা ছেলের সাথে বসে ঢলাঢলি করে বসে আছেন..(প্রিয়া)
কি তোমার সাহস তো কম না আমাকে এই সব কথা বলছো(সারা)
আপরাও তো সাহস কম না।আমাদের বাসায় দাড়িয়ে আমার সাথে গলা উচু করে কথা বলছেন।নাকি ভুলে গেছেন যে আপনি আমাদের বাসার মেহমান।(প্রিয়া)
তুমি আমাকে অপমান করছো আমি তো তোমাকে(সারা)
বলেই সারা আমাকে থাপ্পড় দিতে যাবে ওমনি আমি সারা হাত ধরে ফেলি।সাথে সাথে সারা কে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিয়..
মেহমান মেহমানের মত থাক। না হয় গাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।(প্রিয়া)
আমা এমন কান্ডে সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।সবার আগেতো মেঘ ভাইয়া তাকিয়ে আছে। কিন্তু কিছু বলছে না।
তুই আমাকে থাপ্পড় দিলি।(সারা)
সারা আমার কাছে এসে থাপ্পড় দিতে যাবে এবার এসে মেঘ ভাইয়া সারার হাত ধরে ফেলে…
চলবে…
[ভূল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]