ভালোবেসে_থাকবো_পাশে? #পর্বঃ_১৭

0
1624

#ভালোবেসে_থাকবো_পাশে?
#পর্বঃ_১৭
#লেখিকা_ইসরাত_জাহান_ইমা

আরিয়া তূর্যের উদ্দেশ্যে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,, ভা..ভালোবাসি! আমিও আপনাকে ভালোবাসি।

আরিয়ার কথা শুনে তূর্য একটা বিশ্ব জয়ের হাসি দিল। হাসি মুখে আরিয়ার দিকে ফিরে তাকালো। তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে তার আরুপাখি তাকে মেনে নিয়েছে। সে তো ভেবেছিলো আরিয়া কখনো তাকে মেনেই নিবে না।

–কী দেখছেন এমন করে?(আরিয়া)

–আমার আরুপাখিকে!(তূর্য)
–এত দেখার কী আছে?(আরিয়া)

–আরুপাখি আমার সত্যিই বিশ্বাস হচ্ছে না তুমি আমাকে ভালোবাসো। তুমি সত্যি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তো!(তূর্য)

–“হুম” বলেই আরিয়া মাথা নিচু করে ফেলল।

আরু তুই কবে থেকে ভাইয়ার প্রেমে পড়লি?(আহিল)

আহিলের কথা শুনে চমকে উঠলো। সে বিস্ফোরিত চোখে আহিলের দিকে তাকলো! আরিয়া এতক্ষণ ভূলেই গেছিলো তাদের পাশে যে আরো কেউ দাঁড়িয়ে আছে।

–এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?(আহিল)
–এ..এমনি!(আরিয়া)

–তোতালাচ্ছিস কেন? আর বললি না তো ভাইয়াকে কবে থেকে ভালোবাসিস?(আহিল)

–তোকে বলবো কেন?(আরিয়া)

–যা যা বলতে হবে না। তোরা রোমান্স কর আমরা যাই।(আহিল)

–এই না না দাঁড়া আমিও আসি?

তখনি তূর্য আরিয়ার হাত ধরে বলল,, আরুপাখি আর একটু থাক প্লিজ! আর বল যে কবে থেকে আমাকে ভালোবাসো?

–আমি কয়েকদিন আগে আপনার মানে অচেনা লোকটির প্রেমে পড়েছিলাম। তার দেওয়া প্রতিটি চিঠি আর মেসেজ পড়ার সময় মনে হতো এত টা ভালো কেউ কাউকে কীভাবে বাসতে পারে। যখন চিঠি গুলা পড়তাম তখন মনে হতো এই অচেনা লোকটাকে আমার খুব দরকার। আমার অনুভূতিরা আমাকে জানান দিচ্ছিলো এই লোকটাই কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না। আবার মনে হতো রাতুলের মতো সেও যদি আমাকে ঠকায়! দ্বিতীয় কাউকে ভালোবাসাটা কী ভুল হবে সেটা নিয়ে সবসময় কনফিউজড থাকতাম। ভাবতাম যখন অচেনা লোকটা আমার সামনে আসবে তখন কী করে তাকে ফিরিয়ে দিবো৷ তবে আমি আপনাকে ভালোবাসে ফেলেছিলাম।(আরিয়া)

আরিয়ার কথা শুনে তূর্য মুচকি হাসলো। আরিয়াকে টেনে নিয়ে সোফায় বসালো পাশে সে নিজেও বসলো। আরুপাখি শুনে,,
একটা কথা আছে__তুমি আবারো প্রেমে পড়বে, ভুলে যাবে সকল ঠকে যাওয়ার যন্ত্রণা! যদি মানুষটা সঠিক হয় তবে ভালোবাসাটা মন্দ নয়। ভালোবাসা জিনিসটা খুব মূল্যবান। খুবই মূল্যবান। এতোটাই যে যাকে তাকে কখনই এই ভালোবাসার স্থানটা দেয়া উচিৎ না, যেই মানুষটা ওই ভালাবাসার যোগ্য না তাকে তো কখনই না, ভূলেও না। হোক সেটা বন্ধুত্বে বা অন্য যেকোনো সম্পর্কে। যখন কোনো মানুষ নিজ থেকে বলে সে তোমার যোগ্য নয়, তার মানে আসলেই সে তোমার যোগ্য নয়! এইক্ষেত্রে কখনই অর বা বাট মাথায় আনা উচিত না। সে এটা বলতে পারছে কারন তার তোমার প্রতি কোনো চাওয়া পাওয়া নেই,তোমাকে হারানোর কোনো ভয় নেই! যার পাশে তুমি থাকতে চাও, যাকে এতো ভালোবাসতে চাও, আগলে রাখতে চাও, যার প্রতি এতো মায়া – এতো প্রেম সেই মানুষটার মধ্যে যদি তোমাকে হারানোর কোনো ভয় না থাকে তবে সে তোমাকে পেতে পারেনা! সে কোনোভাবেই তোমার যোগ্য না। অনেকদিন তোমার পাশে থাকার পর এরা হুট করেই তোমাকে বলে ফেলতে পারে “তোমাকে কখনই চাইনি আমি, বলেছিলাম চাই? ভালোবাসি? ” এইটুকুও আটকাবে না! তারা তোমাকে কষ্ট দেয়ার কোনো সুযোগ ছাড়বেনা। এমন ভাবে আঘাত করবে যেটা হয়তো তাদের কাছ থেকে তুমি কখনো কল্পনাও করতে পারোনি! কিন্তু আমরা ভুলটা করে বসি একটা জায়গাতেই! এই ধরণের মানুষগুলোকেই আমরা আমাদের সবকিছু দিয়ে পবিত্র ভাবে ভালোবেসে বসি। হুট করেই বড্ড বেশি ভালোবেসে বসি! আর ঠিক সেই সময়টাতেই এই সোকল্ড অযোগ্য মানুষ গুলো তাদের বহুরুপ এর কিছু অংশ বিশেষ দেখাতে শুরু করে এবং প্রমাণ করে দেয় যে সোকল্ড না, আসলেই এরা অযোগ্য। এই ধরনের মানুষ থেকে যতটুকু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা যায়, তার থেকে অনেক বেশি দূরত্ব বজায় রাখাটাই শ্রেয়। পবিত্র ভালোবাসা গুলো কখনই এই ধরনের মানু্ষগুলোর কাছে প্রাণ পায়না। কখনও পাবেনা। এটাই সত্য! চিরন্তন সত্য! কাউকে ভালোবাসার অনুভুতি, তাকে যত্নে রাখার অনুভূতি যেমন খুব সুন্দর ঠিক তেমনি ভূল মানুষগুলোর জন্য ভালোবাসার এই সুন্দর,পবিত্র অনুভূতি আসাটা অনেক বড় একটি অভিশাপ। ভালো থাকুক পবিত্র অনুভুতিগুলো, পবিত্র ভালোবাসাগুলো! নিভৃতে, আবেশে ও একান্ত অনুভবে। আজ থেকে মনে করবা রাতুল নামের কেউ কখনোই তোমার ছিল না। অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে ভবিষতে কোনো উন্নতি করতে পারবা না। যারা অতীত ভুলে গিয়ে বর্তমান আর ভবিষ্যতকে আঁকড়ে ধরেছে তারাই আজ সফল মানুষ। আমি সব সময় তোমার পাশে আছি। আর সবসময় #ভালোবেসে_থাকবো_পাশে?

তখনি ছোঁয়া বলে উঠলো,, আরু কোনো চিন্তা করিস না আমরাও তোর পাশে আছি। রাতুল তোর অতীতের কালো একটা অধ্যায়। সেই অধ্যায়টা তারাতাড়ি জীবন থেকে মুছে ফেল।

–হুম! অনেকক্ষণ হয়েছে বাহিরে আসছি এখন বাসায় যেতে হবে।(আরিয়া)

–হুম আরুপাখি যাও। সাবধানে থাকবা, নিজের খেয়াল রাখবা আর একদম কান্না করবা না। যখনি মন খারাপ লাগবে আমাকে ফোন করবা। যেখানে যেতে মন চাইবে আমাকে বলবা। মনে থাকবে?(তূর্য)

–হুম মনে থাকবে!(আরিয়া)

–বাহ্ বাহ্ আরু এখন কী আমরা পর হয়ে গেলাম নাকি?(সায়ান)

–আরে না ভাইয়া তোমরা সবসময় আমার আপনেই থাকবা৷ এই শিশুকে পেয়ে তোমাকে ভুলে যাব নাকি! বলেই আরিয়া জিহ্বায় হালকা কামড় দিয়ে মনে মনে বলল,, এই রে আবার শিশু। এখন নির্ঘাত গালি দিবে।

–আরুপাখি আবার শিশু! আচ্ছা বলো তো আমারে কোন দিক দিয়ে তোমার শিশু মনে হয়?(তূর্য)
–আসলে হয়েছে কী!(আরিয়া)

–না বললে জানবো কেমনে?(তূর্য)

–আরে পুরো টা বলতে তো দিন!(আরিয়া)

— হু বলো!
–আসলে আপনার পুরো নাম টা তো শিশির আহমেদ তূর্য! আর আমি সেই শিশির থেকে শিশু বলি। এই যেমন সবাই আমাকে ভালোবেসে আরু ডাকে।?(আরিয়া)

–ওহ্ আচ্ছা তার মানে তুমিও আমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসো!(তূর্য)

–আরে এটা কখন বললাম?(আরিয়া)

–এই তো মাত্র বললা সবাই তোমাকে ভালোবেসে আরু ডাকে আর তুমি তো আমাকে আরো কয়েকদিন আগে থেকেই শিশু ডাকো।(তূর্য)

–ধ্যাৎ আপনার সাথে কথা বলে পারবো না। বাসায় যাই।(আরিয়া)

–হুম সাবধানে যেও আর পৌঁছে একটা কল দিয়ো।(তূর্য)

–আচ্ছা বাই। ছোঁয়া আর অন্তু তো চল।

_____________________
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে শুয়ে আছে আরিয়া তখনি তূর্য ফোন দিয়েছে।
–আস্সালামু আলাইকুম!(আরিয়া)

–ওয়ালাইকুম সালাম। কী করো?

–শুয়ে আছি। আপনি কী করেন?

–আমিও শুয়ে আছি। খাইছো?

–জ্বী। আপনি বাসায় গেছেন?

–হ্যাঁ। বাসায় কখন গেছো? আর বাসায় পৌঁছে ফোন কেন দাও নি?

–আসলে আমি ভূলে গেছিলাম। আর হবে না এমন।

–কয়দিন পর তোমার জন্য আরেকটা সারপ্রাইজ আছে আরুপাখি।

–কী সারপ্রাইজ?

–সেটা সময় হলেই জানতে পারবা।

–আচ্ছা!

–রেস্ট নাও এখন। পরে কথা হবে। বাই। টেক কেয়ার।
–হুম বাই।

____________
দু’দিন পর,,

রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে আছে আরিয়া তখনি ওর মা আসলো।

আরু ঘুমিয়ে গেছিস?

–না আম্মু! কিছু বলবে?
–হ্যাঁ। শুন মা কাল তোকে দেখতে আসবে আর তোর বাবা আমাকে এটা বলতেই পাঠালো তোর কাছে।

–আম্মু হঠাৎ করে এটা কপন বলছো? আব্বু তো বলছিলো পড়া লেখা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াবো। তারপর বিয়ের কথা ভাববে!

–শুন মা জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে উপরওয়ালার হাতে, আমরা আর কী করতে পারি বল। আর দেখতে আসলেই তো বিয়ে হয়ে যাই না!

–ঠিক আছে আম্মু তোমাদের যা খুশি করো আমি আর কিছু বলবো না।

–প্লিজ মা রাগ করিস না!

আরিয়া আর কিছু না বলেই শুয়ে পড়লো। যখন বুঝলো ওর আম্মু চলে গেছে তখনি তূর্যের ফোনে কল দিলো আরিয়া! তূর্য কল বেক করলো!

–আরুপাখি কী করছো?

আরিয়া কিছু না বলে কান্না করছে।

–আরে আরুপাখি কান্না করছো কেন? বলো প্লিজ কী হয়েছে?(তূর্য)

–আম্মু বলছে কাল নাকি আমাকে দেখতে আসবে। যদি পছন্দ হয়ে যায় তখন কী করব?(আরিয়া)

–কী আর করবে! বিয়ে টা করে নিবে।(তূর্য)

–কী….!! কী বলছেন আপনি? মাথা ঠিক আছে আপনার?

–হ্যাঁ আরিয়া আমার মাথা একদম ঠিক আছে!(তূর্য)

তূর্যের মুখে পুরো নাম শুনে আরিয়া অবাক। সে এখনো ঘোরের মধ্যেই আছে। তূর্য কী বলছে সে কিছুই বুঝতে পারছে না।

–আরিয়া “ভালোবাসলেই কি তাকে পেতে হবে? “”না”” কোনো সংবিধানে তো লেখা নাই ভালোবাসলে তাকে পেতেই হবে। ভালোবাসার মানুষ টা কে পেয়ে গেলেই যে ভালোবাসা পাওয়া হয়ে যায় তেমন টা কিন্তু নয়। থাক না কিছু অপূর্ণতায়। ভালোবাসা পেয়ে গেলে সেটায় জং ধরবে না কিসের গ্যারান্টি আছে, ভালোবাসা পেয়ে গেলে তো অবহেলা বাড়ে, ভালোবাসা পেয়ে গেলে ভালোবাসার কদর কয়জন বোঝে। কিন্তু যে ভালোবাসায় অপূর্ণতা থাকে সে ভালোবাসা ১০০% খাটি হয়। যারা বা যাদের ভালোবাসার পূর্ণতা মেলে নি তারাই যানে প্রকৃত, প্রেম কি, ভালোবাসা কি, আবেগ, অনুভূতি কি। অপূর্ণতা না থাকলে এতো জোরালোভাবে ভালোবাসার কদর মানুষ করতো না। তাই থাক না কিছু ভালোবাসা অপূর্ণতায়।

-ভালোবাসলে তাকে পেতেই হবে এমনটা মনে করে ভালোবাসতে যেও না। ভালোবাসাটা তো এমন হওয়াই উচিত যে ভালো বাসার মানুষ টা থাকুক না তার নিজের মতো করে, যার সাথে থাকলে সে সুখি হয়, যার সাথে থাকলে সে হাসিখুশি থাকে, যার কাছে সে তার মানসিক শান্তি পায় থাকুক না সে তার সাথে, তবু ও সে ভালো থাকুক। সমস্যা কোথায় আমি ও যে বাতাস থেকে অক্সিজেন নেই তুমি ও সেই বাতাস থেকেই অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে আছো, তাহলে আমরা আলাদা কোথায়। বরং সে দূরে থাকলে তাকে কতোটা ভালোবাসা যায় সেটাই উপভোগ করাই উচিৎ নয় কি। থাকুক না সেথায় বিরহ আর বেদনা, বিরহে ও কিন্তু সুখ মেলে জানো তো।

এমন ও হাজারও উদাহরণ আছে যারা অপূর্ণতা দিয়েই জীবন পরিচালনা করেছে, কাউকে গভীরভাবে ভালোবেসে শুধু অনুভব করে গেছে, অন্য কাউকে কিন্তু সঙ্গী করে নি। তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পায় নি বলে কি তাদের ভালোবাসা টা মিথ্যা হয়ে গেছে? না”” বরং এটা বলা যায় যাদের ভালোবাসায় অপূর্ণতা মেশানো থাকে তারা প্রকৃত পক্ষেই ভালোবাসতে জানে। অপূর্ণতায় ও ভালোবাসা টিকে থাকে যুগ যুগান্তর। রাধা, তো কৃষ্ণের জন্যই পাগলিনী ছিলো, মীরা তো কৃষ্ণ কেই ভালোবাসতো, কিন্তু কৃষ্ণ এদের কারোর ই হয় নি। তাই বলে কি তাদের ভালোবাসায় খাদ ছিলো? না খাদ ছিলো না তারা সত্যিকার অর্থেই ভালোবেসেছিলো।

–মাঝে মাঝে সময়, পরিস্থিতি এমন হয় যে চাইলে ও ভালোবাসার মানুষটাকে আপন করে, নিজের করে পাওয়া যায় না। তাই বলে ভালোবাসায় খামতি নয়, বরং এক বুক ভালোবাসা নিয়ে ও অপূর্ণতা মেনে নিতে হয়। বুক ভরা ভালোবাসা জমে থাকলে ও দূরত্বে চলে যেতে হয়। দূরত্ব বাড়ে, সম্পর্ক ছিন্ন হয়, নতুনত্ব যোগ হয়, পরিবর্তন হয় কিন্তু ভালোবাসাটা ঠিক ই থেকে যায় কোথাও না কোথাও। তাই সব ভালোবাসা পূর্ণতার মাপকাঠিতে মাপা উচিৎ নয়, অপূর্ণতায় ও ভালোবাসা হয়, অপূর্ণতায় ও ভালোবাসা টিকে থাকে।”
আমাদের ভাললবাসাটাও অপূর্ণতায় টিকে থাকুক। বিয়ে টা করে নিয়ো।(তূর্য)

–আমার বিয়ের কথা শুনেই আপনার ভালোবাসা শেষ। বাহ্ বাহ্ এটাই আপনার প্রকৃত ভালোবাসা তাই না। আসলে আমার কপাল টাই খারাপ। আর কী বলেছিলেন যার কাছে যে মানসিক শান্তি পায় থাকুক না সে তার সাথে। যদি বলি আমি মানসিক শান্তি টা আপনার কাছেই পাই তখন কী বলবেন? (আরিয়া)

–আরিয়া দেখো মা-বাবার কথা মতো বিয়ে করলে সুখে-শান্তিতে থাকবে!(তূর্য)

–ওহ্ আচ্ছা তাই না! এটাই আপনার ভালোবাসা! ঠিক আছে প্রবলেম নেই। ভালো থাকুন। বাই!

ফোন কেটে দিয়ে আরিয়া মনে মনে ভাবলো,, আমাদের জীবনে কিছু কিছু মানুষ আসে আলো অন্ধকারের মতো। কেউ জীবনটা সারাজীবন আলোকিত করে রাখে। আবার কেউ কেউ জীবনটা অন্ধকারে ঢেকে দেয়। এমন অন্ধকার ভেদ করে কোনোদিন আলোক রশ্মি দেখা যায়না। অন্ধকার মন আর মুখোশের প্রতিচ্ছবি জীবনটা বিষময় করে তোলে। তূর্য ও আমার জীবনে আলোর মতো আসলো! কিছু দিন জীবনটাকে আলোকিত করে দিয়েছিলো। এখন আবারও অন্ধকারে একা ফেলে চলে গেলো। আব্বু-আম্মুর কাছেও বোঝা হয়ে গেছি হয়তো তাই বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে।

কিছুক্ষণ পর আহিলকে ফোন দিলো, কিন্তু আহিল ফোন রিসিভ করছে না। তাহলে আহিলও কী তাই চাই।

কান্না করতে করতে আরিয়া ঘুমিয়ে গেলো।

#চলবে…..!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here