ভিনদেশি_তারা
পর্ব-২৪
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া
৭২.
আমি এগিয়ে গেলাম ওকে সালাম করার জন্য। ও পা সরিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো, ‘এসব করতে হবে ন্যাহ!’
‘ এসব নিয়ম!’
‘ টোমাকে বলটে হবে ন্যাহ!’
‘ তুমি এখনো রেগে আছো?’
‘ জ্যানিনা।’
‘ রাগ করে থাকলে কী লাভ বলোতো!’
‘ টোমাকে ভাবটে হবেনা।’
‘ আমি তোমার বউ না?’
‘ বউ!’
‘ তাহলে?’
‘ ট্যাহলে কী মাতায় নিয়ে রাখব?’
‘ তুমি আমায় মাথায় তুলতে পারবে নাকি? সেই শক্তি নেই তোমার।’ ভাব নিয়ে বললাম।
‘ টোমি আমায় কোঁটা দিচ্ছ?’
‘ খোঁটা দিতে ভালোলাগে।’
‘ ট্যাহলে দাও কোঁটা। টোমার তো এসব বালো লাগে!’
আমি ভেংচি কেটে ওয়াশরুম চলে গেলাম। চোখেমুখে পানি দিয়ে ঘরে এসে দেখি ক্লেভ ঘরে পায়চারি করছে। করতে করতে কর্ণারে পা বেঁধে উল্টে পড়ে গেলো। আমি শব্দ করে হেসে দিলাম। ও রাগী চোখে তাকালো। মুহূর্তেই আমার হাসি উবে গেলো। ওঠে দাঁড়িয়ে গটগট করে হাঁটতে লাগলো ঘরে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে?’
‘ অ্যাজকে গ্র্যানির কথায় তোমাদের জাল জাল টোরকারি খেয়েচি। বুঝতে পারচো, আমার কী হবে?’
‘ কী আবার হবে। একটু ভুটকো হবে।’
‘ ভুটকো মিন?’
‘ মোটা।’
‘ ট্যাহলে টোমিও ভুটকো! কারণ টোমি মুটা।’
আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলাম। ক্লেভ যেভাবে বলেছে ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে আমার মতো মোটা এই দুনিয়াতেও নেই। অথচ আমি পঞ্চাশের আশেপাশে। শুকনো কাঠি হয়েছি ওর বিরহে, ওর কথা ভেবে আর ওই আমায় বলে আমি ভুটকো? কথায় বলেনা, যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর। আমি ধুম করে গাল ফুলিয়ে বসে রইলাম। রাগে গা কাঁপতে লাগলো। বললাম, ‘এর চেয়ে নিঝুমই ভালো ছিলো।’
আনমনে বলা কথা ক্লেভ শুনে ফেললো। বাতি অফ করে বিছানায় শুয়ে পড়লো। রাগলো মনে হচ্ছে। রাগুক, এতো ন্যাকামি আর ঢং সহ্য করা যায় নাকি! ভুল করে মাফ চাইলাম, তাও করলোনা। উঠতে বসতে খিটখিট করে। মনে করে কী নিজেকে? প্রিন্স চার্মিং নাকি রাজা লুই! তুই হলি ভার্জিনিয়ার ধনকুবের, বাংলাদেশের নয়। আমার কাছে এসব ভালো লাগছেনা।
আজ খুব গরম পড়েছে। ভ্যাপসা গরম! মাথার উপর পাখাটাও যেন ঘুরছেনা, ক্লেভ বারবার এপাশওপাশ করছে। ইচ্ছে করছে বরফের নদীতে ডুবে থাকি। বেশি গরম থাকলে নাকি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই আশায় বসে রইলাম।
৭৩.
হঠাৎ ক্লেভ বিছানা থেকে নেমে আমার কাছে এলো। নীলরঙা চোখজোড়া ছোট ছোট করে ওর ভাষা মানে ইংরেজিতে বললো, ‘ঘুমাবে না?’
‘ হুম।’
‘ তাহলে বসে আছো কেন?’
‘ ভালো লাগছেনা।’
‘ আমি আছি বলে!’
‘ না। আমার গরম লাগছে।’
ক্লেভ আমার হাত টেনে ধরে বললো, ‘চলো ঘুমাবে।’
‘ নাহ। তুমি ঘুমাও, আমার ঘুম পেলে ঘুমাবো!’
‘ তুমি বেশি কথা বলছো।’
‘ তুমি যাও।’
‘ চলো বলছি।’
‘ বিরক্ত হচ্ছি আমি।’
ও রাগী চেহারা নিয়ে তাকালো। বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম আমি।
‘ আজ আমাদের ফার্স্ট নাইট!’
‘ মানে?’
‘ কী বলে ব্যাঙলায়?’
‘ বাসর রাত।’
‘ এই রাতে হাজব্যান্ড যা বলে তা শুনতে হয়। তুমিও শুনবে!’
আমি হতাশ হয়ে বললাম, ‘ওকে।’
বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ার সাথে সাথে ক্লেভ আমায় জড়িয়ে ধরলো। শুধু জড়িয়ে ধরলো বললে ভুল হবে, আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো। আমি আচমকা হতভম্ব, রিয়েকশন বাটন কাজ করছেনা। অনুভূতি গুলো ভোঁতা রুপ নিয়েছে। দ্রিমদ্রিম শব্দ করছে হৃদপিণ্ড। লাফিয়ে না বের হয়ে যায়।
‘ ক্লেভ?’
‘ উহু! মোহাম্মদ আহনাফ!’ অস্পষ্ট গলায় বললো ক্লেভ।
‘ আহনাফ!’
‘ বলো, শুনছি।’
‘ ছাড়ো আমাকে।’
ও মুখ তুলে চাইলো। অভিমান ভরা গলায় বললো, ‘ কেন?’
‘ আমার অস্বস্তি হচ্ছে।’
‘ আমার হচ্ছেনা। তুমি এবার আমার লিগ্যাল ওয়াইফ।’
‘ জানি।’
‘ তাহলে?’
‘ তুমি আমার উপর রেগে আছো।’
আমাকে অবাক করে দিয়ে ও বললো, ‘আমি আমার ওয়াইফের ওপর রেগে নেই।’
আমি চট করে তাকালাম ওর দিকে। ও চোখ মেরে দিলো।
‘ রাগ চলে গেলো কীভাবে?’
‘ জানিনা। তোমার কিউট ফেইস দেখলে কেউ কী রেগে থাকতে পারে?’
‘ এতোদিন তো রেগেছিলে!’
‘ ছিলাম, কারণ তুমি আমার সাথে ফ্রট করেছো পালিয়ে এসে। আমি রেগে ছিলাম না, আমার অভিমান হয়েছিলো।’
আমি ওর কপালে হাত রেখে বললাম, ‘আমি ইচ্ছে করে করিনি, আমি ভেবেছিলাম কেউ মানবেনা আমাদের সম্পর্ক।’
‘ আব্বা মানেনি প্রথমে।’
‘ আব্বু? আমার আব্বু?’
‘ হুম। পনেরোদিন ঘোড়ার মতো খেটেছিলাম। ফোন করে করে মাথা খারাপ করে দিয়েছিলাম।’
‘ স্যরি।’
‘ তুমি জানো তুমি চলে আসার পর কী হয়েছিলো আমার সাথে?’
‘ কী?’
‘ পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। সব জায়গায় খুঁজেও পাইনি। ডরমেটরি, লাইব্রেরি, আর্থারের বাড়ি, নিঝুমের কটেজ সব জায়গায় খুঁজেছি। না পেয়ে আমি অনেক আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম। বাড়িতে বন্ধ থাকতাম, বেরুতাম না। কোকেনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছিলাম তোমায় ভুলে থাকতে। জানো আমি কোথাও ঘুরতে পর্যন্ত যাইনি, অথচ কতো ভালো ভালো অফার এসেছিলো।’
‘ সব আমার বোকামির জন্য।’
‘ হুম। তুমি দায়ী!’
আমি চুপ করে রইলাম। ক্লেভ একটান মেরে আমাকে ওর বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। জড়িয়ে ধরে চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে বললো, ‘যেদিন দাদুর সাথে তোমার হাসিমুখের ছবি দেখেছিলাম সেদিন আমি এতো খুশি হয়েছিলাম বোঝাতে পারবোনা। পৃথিবী আমার হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছিলো। কত ছোট্ট আমাদের পৃথিবী, আমাদের দুজনকে আবার মিলিয়ে দিলো।’
‘ হুম, খুব ছোট্ট।’
‘ তারপর প্ল্যান করে সব করেছি তোমাকে চমকে দিতে। ধর্মবদল গ্র্যানির অনুমতি নিয়ে করেছি, সেসময় গ্র্যানিই আমায় সামলে রেখেছিলো। কত্ত স্ট্রং মহিলা।’
‘ তোমার দাদী আসলেই কিউট!’
‘ হুম!’
তারপর খানিক নীরবতা। বাইরে ভীষণ জোরে বাতাস বইছে, জানালা গলে আসছে হিমশীতল বাতাস। গা কেঁপে উঠলো। ক্লেভ আমাকে জড়িয়ে নিলো। হেসে বললো, ‘আমি তোমার কম্বল! হা হা!’
আমি লজ্জ্বা পেয়ে বললাম, ‘তুমি কী অসভ্য, ছিঃ!’
৭৪.
চুইইতি অ্যাপার হলুদের দিন তোমাকে আদর করে এসেছিলাম। এতোদিন পর দেখে আমি কিছুতেই ছাড়তে চাইছিলাম না।
আমি হুট করে উঠে বসলাম। ভ্রু কুঁচকে সেদিনের কথা মনে করার চেষ্টা করলাম। মনে পড়তেই ওর বুকে কিল মেরে বললাম, ‘অসভ্য!’
‘ মোটেই না।’
‘ মোটেও হ্যাঁ!’
‘ তোমাকে কী কিউট লাগছিলো।’
‘ তুমি আমার ঘরে ঢুকেছিলে কী করে?’
‘ আগেই ছিলাম ঘরে, তুমি টের পাওনি।’
‘ পাগল!’
‘ এ্যাই টুমি বকছো আমায়?’
‘ না।’
‘ অ্যামাকে বোকা বাভো টুমি?’
‘ প্লিজ বাংলা বলোনা। অদ্ভুত লাগে।’
‘ অ্যামার বালো লাগে। আমি টোমাকে বালোবাসি।’
আমি হাসলাম।
‘ টুমি অ্যান্সার দিচ্চো না কেন?’
‘ কিসের?’
‘ আমি টোমাকে বালোবাসি বলো।’
আমি স্বগোতক্তি করলাম, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
ক্লেভের মুখটা দেখার মতো হলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে?’
‘ টোমি অ্যামাকে ফার্স্ট প্রপোজ করলে।’
‘ তাতে কী?’
‘ অ্যামার অনেক খুশি লাগছে।’
‘ লাগারই কথা।’
‘ কিন্তু অ্যামি ভালো করে ব্যাঙলা বলতে পারিনা, অ্যামি বোকা।’
‘ কিন্তু আমিতো বুঝতে পেরেছি, তাতেই হবে।’
‘ টুমি খুব বালো।’
‘ জানি।’
ক্লেভ মাথা চুলকে ইতস্তত করতে লাগলো। কী যেন বলবে বলবে ভাব। কিন্তু বলতে পারছেনা। ওর চেহারাসুরত দেখে মনে হচ্ছে এই কথা বলতে না পারলে শান্তি পাবেনা। হঠাৎ করে আকাশে মেঘ ডেকে উঠলো। উত্তাল বাতাস ছড়িয়ে পড়লো ঘরে, শিহরিত হচ্ছি ঠান্ডায়। শাড়ির আঁচলের নিচ দিয়ে ক্লেভ ওর বরফ ঠান্ডা হাত দিয়ে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরলো। আমি কেঁপে উঠলাম। ‘ কী হচ্ছে এটা!’
কাঁপা গলায় বলতেই ক্লেভ আমার গলায় মুখ ডুবালো। আমি ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইলাম, ও দু’হাত আবদ্ধ করে নিলো ওর মুঠোতে। অন্ধকার ঘরে তখন আবছা আলো-ছায়ার মেলা বসেছে। প্রচুর অস্বস্তি নিয়ে ওর দিকে তাকালাম। ক্লেভ আমাকে ছেড়ে দিয়ে গালে হাত রেখে অদ্ভুত মাদকময় স্বরে বললো, ‘আই ওয়ান্ট টু কিস ইউ। ইউ ওয়ান্ট…?’
আমি লজ্জ্বায় কিছু বললাম না। ও আমাকে আগলে নিলো।
৭৫.
সেদিন রাতে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছিলো। মুষলধারে বৃষ্টি প্রকৃতি প্রদও উপহার পেয়েছিলাম। স্বামীরুপে গ্রহণ করেছিলাম লাল ভূতটাকে, তাঁর স্বত্ত্বাকে। ঝাপটা বাতাস সঙ্গী হয়েছিলো আমাদের। রইলো না কোনো মান-অভিমান। লং-ডিসটেন্স রিলেশনশিপ বাঁধা হয়ে রইলোনা। নীল চোখের সুন্দর পুরুষটি হয়ে উঠেছিলো আমার অর্ধাঙ্গ, আমি তাঁর অর্ধাঙ্গীনি।
মাঝরাতে প্রচুর ঠান্ডা নামলো। শীতের প্রকোপ বাড়তে লাগলো। এলোমেলো ভঙ্গিতে শুয়ে থাকা ক্লেভ বললো, ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি।’
‘ এতো রাতে?’
‘ হুম।’
‘ পাগল মনে হয় আমাকে? মাঝরাতে ঢ্যাং ঢ্যাং করে আমি বৃষ্টিতে ভিজবো। হাস্যকর।’
ও বাচ্চাদের মতো বায়না করলো। আমি রাজি হলাম না।
‘ টোমি সবচেয়ে বোরিং চিট..!’
আমি রেগে বললাম, ‘ ওহহ,,আমি বোরিং? একদিনও হয়নি বিয়ে করেছো আর আমি বোরিং হয়ে গেলাম? বাহ বাহ।’
‘ অ্যামি সেটা মিন করিনি।’
‘ জানি আর বলতে হবেনা। কাল সকালে উঠে আব্বুকে জানিয়ে দিও আপনার মেয়ে আমার আর লাগবেনা, ও বোরিং!’
‘ কখনোই সেটা বলবোনা।’
‘ তোমাকে বলতে হবেনা, আমিই বলবো।’
ক্লেভ বিরক্তিতে ‘চ’ বোধক কিছু একটা বললো। আমি ওর বাহুডোর থেকে উঠতে নিলেই আমার শাড়ি টেনে ধরে রাখলো। একটান মেরে নিজের উপর ফেলে দিয়ে বললো, ‘অ্যামার একটা চোটু বেবিকে চাই।’
ছিঃ ছিঃ লজ্জ্বাশরম একদম নেই। কীসব বলছে ও? আমিতো চোখ তুলে তাকাতেই পারছিনা।
‘ শুনো, আমি আমার ওয়াইফকে বোরিং বলিনি। আমি তোমার আনরোমান্টিক মুডটাকে বোরিং বলেছি। এতো ছোট্ট কারণে কী আমি আমার ওয়াইফ ছেড়ে দিবো, হ্যাহ!’
‘ ছাড়ো আমায়।’
ক্লেভের দৃষ্টি তীব্র হলো। আমার লজ্জ্বামাখা মুখ দেখে পাগলের মতো হাসতে লাগলো। আজব! এখানে হাসির কী হলো, ওর ব্রেইন হেমারেজ হয়ে গেছে নাকি!
‘ তোমার ব্রেইন ডিফেক্ট হয়ে গিয়েছে। তুমি পাগল হয়ে গিয়েছো।’
‘ জানি আমি। আচ্ছা আমাদের বেবি কবে হবে?’
‘ আমি কী জানি? তোমার এতো বাচ্চা বাচ্চা মুড কেন?’
ও বিগলিত গলায় বললো, ‘মারোলা’দের বেবিকে দেখেছো? ও আমার কোলে আসতে ভালোবাসে।’
‘ এখন তোমারও ইচ্ছা করছে?’
‘ হুম। আমাদের একটা মেয়ে বেবি হলে, আমি মারোলা’র ছেলের সাথে বিয়ে দেবো। হা হা।’
‘ কেন? ওর সাথেই কেন?’
‘ জানিনা। আর্ফ’কে দেখলে মনে হয় ওর জন্মই আমার মেয়ের জন্য। মাঝে মাঝে মনে হয় ও কোনো পরীর সন্তান, আর্ফ নামটাও আমি রেখেছি আহনাফের সাথে মিলিয়ে।’
‘ নিজে এখনো বাপই হওনি, কত প্ল্যান করে বসে আছো!’
‘ সবকিছু ফার্স্ট, ফার্স্ট করতে হবে। আমাদের মেয়েও তাড়াতাড়ি এসে পড়বে।’ বলেই আবার হাসি শুরু করলো।
‘ ছিঃ!’
‘ চি চি কর্যা বাড দ্যাও। আসো অ্যামার কাচে আসো। অ্যামি কিস করতে চাই টোমাকে।’
আমি এবার কিছু বললাম না। এই ছেলে এতো লজ্জ্বা কীভাবে দেয়! বাইরে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ। এই মুহূর্তে পৃথিবীটাকে সবচেয়ে সুন্দর মনে হচ্ছে। এতো সুন্দর কেন পৃথিবী! ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার দৃশ্যটাই বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য এবং স্বস্তির।
চলবে…..ইনশাআল্লাহ! ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।