ভিনদেশি_তারা পর্ব-৩

0
2859

ভিনদেশি_তারা
পর্ব-৩
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া

৫.
লোকটা পেছনে ঘুরে তাকাতেই বুক থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসলো। নাহ, এটা নিঝুম নয়। নিঝুম হতেই পারেনা। লোকটার শারীরিক গঠন নিঝুমের মতোই, কিন্তু মুখশ্রী আলাদা! আমি পানি খেয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম, মেঘের দেশে আছি মনে হচ্ছে। নীলাভ আকাশে অসংখ্য মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। কি সুন্দরই না দেখাচ্ছে। আচ্ছা, আকাশ এতো সুন্দর কেন? মেঘ আছে বলেই কি আকাশকে এতো সুন্দর দেখায়!

বিমানবালা মেয়েগুলো দেখতে পুতুলের মতো। এতো সুন্দর যে আমি কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। পৃথিবীতে খোদার সৃষ্টি এতো এতো সুন্দরী রেখে নিঝুম আমাকে পছন্দ করে বিরাট ভুল করেছে। আমি চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, বাট ফলাফল জিরো। তবু্ও এভাবেই পরে রইলাম এবং একসময় ঘুমের দেশে ভেসে গেলাম! বিমানবালার মধুমাখা স্বরে আমার ঘুম ভাঙলো। প্লেন তখন উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে । এয়ারহোস্টেজ মেয়েটি আমায় জিজ্ঞেস করলো, ‘কিছু খাবো কিনা?’
মেয়েটি অত্যন্ত ভদ্র বোঝাই যাচ্ছে। একে ফিরিয়ে দিলে আমার মনে হচ্ছে ঘোরতর অন্যায় করা হবে ওর সাথে। তাই ক্ষিধে না থাকা স্বত্ত্বেও আমি একটা চিকেন ফ্রাই খেয়ে নিলাম।

আমার জীবনের প্রথম প্লেন জার্নি, খুব একটা খারাপ না। শত রঙে মন রাঙাচ্ছি যেমন, তেমন ভয়ও হচ্ছে। নতুন দেশ, নতুন মানুষ কিভাবে মানিয়ে নেবো নিজেকে? এ বিষয়ে চিন্তাটা আপাতত স্কিপ করতে হলো কারণ প্লেন কিছুক্ষণের মধ্যেই জন কেনেডিতে ল্যান্ড করবে।
প্লেন থেকে নামার পরে ডোমেস্টিক ফ্লাইটে করে রিচমন্ড ইন্টারন্যাশনলে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু
এতগুলো টার্মিনাল দেখে আমার মাথা ঘুরাচ্ছে। এত বিশাল একটা জায়গায় কার সাহায্য চাইবো আমি? কিন্তু সাহায্য তো নিতেই হবে, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি আমাকে খুবই সাহায্য করলো এক্ষেত্রে। ট্রান্স সেকশন পার হয়ে রিচমন্ড ইন্টারন্যাশনালের যাত্রীদের পিছু পিছু গেলাম। একজন এয়ারপোর্ট পুলিশকে জিজ্ঞাসা করতেই সে সবাইকে ডোমেস্টিক সেকশনের জন্য কোনদিকে যেতে হবে জানিয়ে দিলো। সামনেই ডোমেস্টিক সেকশন। আমি দ্বিতীয় ফ্লাইটে উঠেই স্বস্তি পেলাম। বেশ এক্সাইটেড। মারোলা’র সাথে দেখা হলে প্রথমে ওকে জড়িয়ে ধরবো নাকি হ্যান্ডশেক করবো মনেমনে ঠিক করে নিলাম। যখন সাতপাক দিয়ে প্লেনটা রিচমন্ড ইন্টারন্যাশনালে নামতে থাকে তখন অন্ধকারে হাজারো আলোর মেলা বসলো যেন। ইমিগ্রেশন শেষ করে সাড়ে বাইশ ঘন্টার বিমানযাত্রার ইতি টেনে ব্যাগপত্র নিয়ে এসে দাঁড়ালাম এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে। তখন রাত। চারদিকে ঝকঝকে পরিষ্কার, পা ফেলতেও যেন লজ্জ্বা লাগছে। দুরুদুরু বুকে চারদিকে তাকিয়ে দেখছি মারোলা কোথায়? ওর তো আমাকে নিতে আসার কথা, যদি না নিতে আসে তাহলে আমি কি করবো এই অচেনা শহরে!

৬.
দূর থেকে আমার দিকে দৌড়ে আসছে সোনালী চুলের একটা মেয়ে, মাথায় ট্যাক্সানদের হ্যাট। কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ভালো করে তাকিয়েই দেখি মারোলা। স্কাইপিতে কথা বলার সময়ের চেহারা আর বাস্তব চেহারায় অনেক তফাৎ! তবুও ভালো দেখাচ্ছে। শুদ্ধ আমেরিকান ইংরেজিতে বললো, ‘ওহহ মাই হানি। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে ফেললাম চিটু।’

আমি হেসে ফেললাম। কারণ মারোলা আমাকে “চিত্রা” বলতে পারেনা। বলতে গেলেই “চিটু” আসে!
দু’মিনিটের দেরিটাই ওর কাছে অনেক বেশি হয়ে গেলো। সেজন্য বারবার ‘স্যরি,স্যরি’ বলছে। আমি বললাম, ‘ইট’স ওকে ডিয়ার। এটা এমন বড় বিষয় নয়।’

‘ আসতে কষ্ট হয়নি তো?’

‘ একদম না।’

‘ ওকে ওকে সব কথা পরে হবে। এখন চলো।’

‘ কোথায়?’

‘ আমার হাউজে। তোমার সাথে গল্প করবো, আজ সব পার্টি ক্যান্সেল করেছি।’

‘ এতোবড় স্যাক্রিফাইজ না করলেও পারতে।’

‘ তোমার থেকে এটা আমার কাছে বড় নয়।’

‘ আমি কিন্তু অবাক হয়েছি।’

মারোলা ঠোঁটে স্মিত হাসির রেখা টানলো। বললো, ‘ হুয়াই হানি?’

‘ ট্যাক্সানদের হ্যাট পড়েছো কেন? তোমাকে দেখতে “কুইন এলিজাবেথ” ভাব আসছে।’

‘ খুলে ফেলবো? দেখতে কি খারাপ লাগছে?’

‘ না তো। তুমি তো সুন্দরী, সুন্দর দেখাচ্ছে।’

মারোলা আমাকে আগাগোড়া দেখে নিয়ে অবাক হয়ে বললো, ‘এটা তুমি কি পড়েছো চিটু?’

আমি হেসে বললাম, ‘শাড়ি। মায়ের শাড়ি।’

মারোলা টেনে টেনে বলার চেষ্টা করলো, ‘ স্যারি?’

‘ না শাড়ি।’

‘ স্যাড়ি?’

‘ কাছাকাছি হয়েছে।’

মারোলার পরণে জিন্স প্যান্ট, গায়ে বাদামি জ্যাকেট। বাদামি রঙের ডটেড ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে রেখেছে সোনালী চুল। হ্যাটটা খুলে হাতে নিলো। একটা কালো রঙের কনভার্টিবল নিয়ে এসেছে ও। ব্যাগপত্র সব তুলে রওয়ানা দিলাম মারোলার সাথে ওর বাড়িতে। পাশাপাশি বসে দুজনেই নানা কথা বললাম। রাস্তাঘাট আমাদের দেশের মতো নয়। একদম ঝকঝকে, তকতকে, কোনো ভিড় নেই। আলোকবাতি রাস্তার সবখানে, যে দিন না রাত বোঝাই যায়না। আমাদের দেশে যেমন ধুলোর গন্ধ পাওয়া যায়, সেখানে কিছুই পেলাম না। একসময় পৌঁছালাম ওর বাড়িতে।

বেশ বড়সড় জায়গা নিয়ে বাড়িটা। পেছনে জঙ্গল! সামনে প্রকান্ড লনজুড়ে ছোটবড় ঘাস। রাত হওয়ায় সেগুলো আমার চোখে পড়লো না। লাল ইটের দুর্ভেদ্য দেয়ালে বানানো ওর বাড়িটা। কাঠের দরজা খুলে দিলো কাজের মেয়েটা। এ ও দেখতে সাদা চামড়ার অধিকারী। আমাকে ওয়েলকাম জানালো। বসার ঘরে দামি জিনিসপত্র সাজানো। আমাকে দোতলার একটা ঘরে থাকতে দেওয়া হলো। বিশাল জানালা আর ব্যলকনি দিয়ে ফরফর করে আসছে বিশুদ্ধ বাতাস। ওয়াশরুমও বেশ বড়সড়, সবকিছুতে আধুনিকতার ছোঁয়া। আমি শাওয়ার নিয়ে নিলাম, গা ম্যাজম্যাজ করছিলো। শাড়ি খুলে একটা শার্ট আর প্লাজু পরে নিলাম। নরম গদিওয়ালা বিছানায় একটু শুয়ে বিশ্রাম করলাম। মারোলা আসলো, ক্ষিধে না থাকা স্বত্ত্বেও মারোলা জোর করে আমাকে ডাইনিংয়ে নিয়ে গেলো। গিয়ে দেখি ছোটখাটো রাজকীয় ভোজ! ক্যান্ডেল লাইট ডিনারই বলা চলে। ছোটবড়, রঙবেরঙের মোমবাতি জ্বালানো। দেখলাম, টেবিলের উপর সাজানো খালি ক্রিস্টালের গ্লাস, সাদা বাটিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার। পাস্তা, সুপসহ বারকোশে সাজানো মাংস আর পনিরের টুকরো, সতেজ ব্রেড আর সসেজ। এতো খাবার দেখে আমার মনে পড়লো বাংলাদেশের মাছ-ভাতের কথা! খুব খেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এখানে এতো সহজে এসব পাওয়া বা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই আমি কয়েক টুকরো মাংস আর পাস্তা খেতে পারলাম। খুব ক্লান্ত থাকায় ঘরে এসে শুয়ে পড়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লাম। মারোলা’র সাথে সকালের দিকে বেরুতে হবে একটু ঘুরে দেখার জন্য!

৭.
একটি নতুন সকাল। সূর্যের আলোর হলুদ আভা চোখে এসে পড়তেই ঘুম উবে গেলো। ঘুম ভাঙতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম ফ্লোরে। এতো নরম বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস আমার নেই, তাই হয়তো রাতে গড়াতে গড়াতে ফ্লোরে পড়ে গিয়েছি। বাড়িতে যদি এমন হতো তাহলে সবাই এতোক্ষণে হাসতে হাসতে অক্কা পেতো। যাইহোক, বাড়ির কথা মনে পড়তেই চট করে মোবাইল স্ক্রল করলাম। কিন্তু ফোন করবো কিভাবে? সাহায্য চাইতে গেলাম মারোলা’র কাছে। বেচারি সকাল সকাল উঠেই কি সুন্দর ব্যায়াম করছে। আমাকে দেখে হাসলো। নতুন সিম ঢুকিয়ে ওয়াইফাই কানেক্ট করে দিলো মারোলা। প্রথমে লাইন এনগেজড এলেও পরবর্তীতে আব্বু ফোন ধরলো। বললো, ‘এতক্ষণে পৌঁছেছিস নাকি আম্মু?’

‘ না রাতেই পৌঁছেছি। এখন নতুন সিম লাগিয়ে ফোন দিতে হলো। বাসার সবাই ঠিক আছে?’

‘ হুম। আম্মুকে দাও।’

আম্মুর সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে আপুর সাথে কথা বললাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘নিঝুইম্মা হারামির খবর কি?’

আপু বললো, ‘নিঝুম এসেছিলো বাসায়!’

‘ কেন?’

‘ থ্রেট দিয়ে গিয়েছে। তোকে না পেলে দুনিয়া উল্টাই ফেলবে।’

‘ আব্বু কি বললো?’

‘ কিচ্ছুনা। স্রেফ বলে দিলো তুই ওর ভয়ে নাকি কোথায় পালিয়ে গেছিস বাসার কাউকে না বলে!’

‘ হা হা হা।’

আপু জিজ্ঞেস করলো, ‘ কিরে কোনো বান্দর চোখে পড়লো?’

‘ না। আমি অন্ধ, বান্দর চোখে পড়েনাই।’

‘ তুই নিরামিষ। একটু ঢঙচঙ করবি, দেখবি তোর পিছে বান্দরেরা লাইন ধরে পড়ে থাকবে।’

‘ ওফফ, যাও তো।’ বলে ফোন রেখে দিলাম।

৮.
ব্রেকফাস্টের পর আমি আর মারোলা বেরুলাম। রাস্তার দুপাশে কত গাছগাছালি, বুনো ফুল। মারোলার গাড়িটা মাঝারি গতিতে এগুচ্ছে। আমি দু’চোখ ভরে দেখছি সবকিছু। কি সুন্দর ঝোপঝাড়, রোদের টুকরো আলো আর ঝরা শুকনো পাতা। মানুষজন ব্যস্ত রাস্তায় আনাগোনা করছে। কেউ কারো দিকে তাকানোর সময় নেই। মারোলা একটা কফিশপের সামনে গাড়ি থামালো। উদ্দেশ্য কফি খাওয়া। দুজনে নামলাম গাড়ি থেকে। কোল্ড কফি আর হটডগে বাঙালির দুপুরের আহার হয়না বোধহয়! যাইহোক, কিছু করার নেই। যে দেশে যেরকম নিয়ম। কফিশপ থেকে বেরিয়ে গাড়িতে করে আরও কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছি এমন সময় চোখ পড়লো একটু দূরে। ভোক্স ওয়াগন ইয়স গাড়ি থেকে নামলো একজন। আমি সুন্দর গাড়িটার দিকেই হা করে তাকিয়ে রইলাম। নজর গেলো গাড়ি থেকে নামা যুবকটির দিকে! লোহার গেইট পেরিয়ে রাস্তার পাশের বাড়িটাতে ঢুকছে সে। আমি অদ্ভুতভাবে তাঁর দিকে তাকিয়ে রইলাম। কালচে-লাল চুল, স্বচ্ছ নীল চোখ আর সেই সাথে প্রাণোচ্ছল গম্ভীর অভিব্যক্তি। লম্বায় ছয় ফিটের উপরে আমি নিশ্চিত। কাঁধে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বাড়িটাতে ঢুকছে। কি সুন্দরই না দেখাচ্ছে লোকটাকে!

মারোলা’র কথায় আমার ঘোর ভাঙলো। জিজ্ঞেস করলো, ‘কি হয়েছে হানি?’

আমি লোকটাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হু আ’র ইউ?’

‘ হি ইজ মাই ফ্রেন্ড। এডওয়ার্ড এলক্লেভ! গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট, ম্যাগনোলিয়ার ন্যায় স্বচ্ছ গাল। হলিউড হিরোরাও হার মানাবে ওর কাছে। বন্ধুমহলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বন্ধু, ভার্জিনিয়ার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সে। সবচেয়ে বেশি যেটা পছন্দ করে সেটা হলো ঘুরাঘুরি। তুমি বিলিভ করবেনা চিটু, ক্লেভ এই পর্যন্ত পঞ্চাশের বেশি দেশ ভ্রমণ করেছে এতো কম বয়সে।’

আমি অবাক হয়ে মারোলা’র দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে গড়গড় করে যুবকের রুপের বর্ণনা দিয়েই যাচ্ছে। আমি হেসে বললাম, ‘তাই নাকি? এতো বিরাট ঘটনা।’

মারোলা মাথা নাড়লো। তারপর একটু অসহায় ভাবে বললো, ‘তবে ওর খারাপ দিকটা কি জানো?’

আমি কৌতূহল নিয়ে বললাম, ‘কি?’

মারোলা অপ্রস্তুত গলায় বললো, ‘সে ভিষণ বদরাগী! মেয়েদের যেন সহ্যই করতে পারেনা। সারাক্ষণ খিটখিটে হয়ে থাকে।’

আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘তাহলে বললে যে ও তোমার বন্ধু? এবং বন্ধুমহলে বেশ জনপ্রিয়?’

‘ সেটা অবশ্যই। আমি বলছি অন্য মেয়েদের কথা, যাদের ওর ভালো লাগেনা বা যারা গায়ে পড়া টাইপ হয়। হাতেগোনা কয়েকটা মেয়েফ্রেন্ড ছাড়া ওর বাকিদের সাথে সম্পর্ক নেই। ভাগ্যক্রমে আমি একজন।’ এমনভাবে বললো মারোলা যেন ক্লেভের বন্ধু হয়ে ওর জীবন ধন্য হয়েছে! মারোলা বেশ উৎসাহ নিয়ে জোরে ডাকলো, ‘হেই ক্লেভ!’

যুবকটি শুনতে পেয়ে পেছনে ঘুরে তাকালো। মারোলা আর আমাকে একবার দেখে নিলো। কিন্তু কোনো উত্তর না দিয়ে মুখটা কালো করে বেয়াদবের মতো গেইট লাগিয়ে ভেতরে চলে গেলো। মারোলা খুশিতে গদগদ হয়ে বললো, ‘ তাকালো! আই কান্ট বিলিভ।’

‘ কিন্তু উত্তর দেয়নি যে?’

‘ একেই তো বলে এটিটিউড। সো লাভলি!’

আমার রাগ হলো। সাদা বান্দর, তাঁর উপর আবার এটিটিউডের ঝুড়ি! নিজেকে কি এখানের রাজা ভাবে নাকি? কিভাবে চলে গেলো একটা বজ্জাত, বেয়াদব। মুখের উপর ঘুসি দিতে পারলে শান্তি পেতাম, গা জ্বলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হলে এই পোলারে ধরে গণপিটুনি খাওয়াতাম।

?”নিরাশ হয়োনা দুঃখিত হয়ো না, তুমিই জয়লাভ করবে যদি তুমি বিশ্বাসী হও।”

~ (সূরা-আলে-ইমরান-১৩৯)

চলবে…..ইনশাআল্লাহ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here