ভিনদেশি_তারা
পর্ব-৩০
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া
৯২.
মা হওয়ার আনন্দটা পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সুন্দর ব্যাপার। আমিও দারুণ খুশি। নিত্যনতুন রুপে নিজের মাতৃত্ব অনুভব করছি। ক্লেভ আমার জন্য দুজন মেইড রেখে দিয়েছেন। যদিও দরকার ছিলোনা। ফুটফুটে সুন্দরী মেইড মেয়েগুলো ভীষণ ভালো, হাসিখুশি। আমার অনেক খেয়াল রাখে, জোকস শোনায়। আর খাবার দাবারের ব্যাপারটা ওরা মা-ছেলে দুজনেই দেখে। কোনো অনিয়ম চলে না। এককথায় আদরে আহ্লাদে আমি দিনদিন ফুলটুসি হয়ে যাচ্ছি।
‘ জানো চিট। টুমি আজকাল ভীষণ ভুটকো হয়ে যাচ্ছো।’
‘ কী বললা তুমি? আমি ভুটকো?’
‘ না মানে ইয়ে..!’
আমি ঢং করে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলাম। ক্লেভ ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললো, ‘আসলে বলছিলাম টুমি না, টোমার পেট ভীষণ ভুটকো হয়ে যাচ্ছে।’
‘ বাজে কথা না বলে যাও তো।’
‘ কোথায় যাবো?’
‘ রান্না করতে। আমার ভীষণ খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।’
‘ কী আনবো মিসেস কুইন?’
‘ শুটকি ভর্তা, পুঁটি মাছের ঝোল। তেঁতুলের চাটনি আর ভাত।’
ও বললো, ‘কী এগুলো?’
‘ খাবার!’
‘ ব্যাঙলাদেসি?’
‘ হুম।’
‘ সুটকি কী?’
‘ মাছকে রোদে শুকিয়ে নিলেই শুটকি হয়।’
‘ আর ফুঁটো মাছ?’
‘ এটা ফুঁটো নয়, পুঁটিমাছ। দেখতে ছোট, খেতে সুস্বাদু।’
‘ বাট এগুলো তো এখানে পাওয়া যাবেনা।’
আমি বললাম, ‘পাওয়া না গেলে সেটা তোমার ব্যাপার। যেখান থেকে পারো খুঁজে নিয়ে আসো। ব্যস।’
ক্লেভ কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করে বললো, ‘ ট্যাহলে অ্যামি কী ব্যাঙলাদেস থেকে নিয়ে আসবো?’
আমি সন্দেহী গলায় বললাম, ‘তুমি সত্যি বলছো?’
‘ হ্যাঁ!’
‘ না যেতে হবেনা। যাও আমি খাবোনা।’
‘ না খেলে টুমি দুর্বল হয়ে পড়বে, আর টুমি দুর্বল হয়ে পড়লে আমার সিনডারেলা অসুস্থ হয়ে যাবে। আর টোমাদের দু’জনের কিছু হয়ে পড়লে আমি তো মরেই যাবো। টাই ন্যাহ?’
আমি ওর মুখে হাত দিয়ে চুপ করিয়ে দিলাম। ও হাসলো। আমি বললাম, ‘আচ্ছা, ফ্রুটস দাও। প্যানকেকও দিতে পারো।’
‘ গুড গার্ল, মাই কুইন। অন্নেক বেসি বালোবাসি।’
আমি কালো মুখ করে বললাম, ‘এই জীবনে “ভালোবাসি” বোধহয় শুনতে পারবোনা!’
‘ অফকোর্স পারবে। অ্যামি বলার চেষ্টা করছি।’
‘ ওকে।’
‘ বভাল্লোবাশি।’
আমি হেসে ফেললাম। হাসি থামিয়ে বললাম, ‘চেষ্টা করার জন্য ধন্যবাদ কিং। আপনাকে আর বলতে হবেনা। যেমন ইংরেজ আছেন, সেভাবেই থাকুন। আপনার মুখে “বালোবাসি” শব্দটাই মানায়। ওটাই আমার কাছে পৃথিবীর চেয়ে দামী।’
‘ আ’ম নট ইংরেজ। আ’ম অ্যামেরিকান এন্ড ইউ আর মাই ব্যাঙলাদেসি ওয়াইফ।’
আমি ভাবুক গলায় বললাম, ‘তাহলে আমি তো দুই দেশেরই নাগরিক।’
‘ হুঁ, অ্যামিও।’
‘ তুমি কী অ্যামেরিকা বেশি ভালোবাসো?’
‘ হুঁ, আই লাভ মাই কান্ট্রি। বাট অ্যামি ব্যাঙলাদেসকেও বালোবাসি, কজ টোমাকে অ্যামি সেখান থেকেই পেয়েছি। টোমাকে দেখলেই মনে হতো টুমি অ্যামার। বিনদেসি মানুষের প্রতি আমি খুব ইন্টারেস্টেড ছিলাম।’
‘ আমিও।’
‘ কুইন চিট! টুমি কিন্টু আগে বেশ ন্যাকাবোকা ছিলে। হা হা।’
আমার চোখদুটো কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলো। নাকমুখ খিঁচে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মানে?’
‘ টুমি অ্যামাকে দেখলে এমন একটা ভাব করতে যেন, অ্যামার প্রটি টোমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। বাট অ্যামি টোমার চোখের দিকে টাকালেই বুঝতাম অ্যামাকেও টোমার বালো লাগে। হা হা।’
সত্যি ধরা পড়ে যাওয়ায় আমি লজ্জ্বা পেলাম। ক্লেভ প্যানকেকের শেষ টুকরোটা আমার মুখে দিয়ে ঠান্ডা দুধের গ্লাসটা ধরিয়ে দিলো হাতে। আমি খেতে চাইলাম না। ও চোখ রাঙিয়ে গোসসা করে বসে রইলো। বেচারার রাগ খুব ভয়ংকর জিনিস। এর আগে একবার রেগে সাতদিন কথা বলেনি। দোষ ছিলো আমি ফলগুলো না খেয়ে মুরগীর খোঁয়াড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। সবটাই লুকিয়ে করেছিলাম, কিন্তু ও দেখে ফেলেছিলো। পরে আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি মিথ্যে বলি। ফলে কথা কাটাকাটি করে রেগে আর কথাই বলেনি। অনেক কষ্ট করে ব্যাটার রাগ ভাঙিয়েছি আমি আর মম। মাগো! সেই কথা মনে পড়লে এখনো ভয় লাগে।
তাই আমি হাসিমুখে পুরো দুধটুকো খেয়ে নিয়ে বলি, ‘দারুণ তো। তুমি বানিয়েছো?’
ক্লেভ মুখ ফিরিয়ে বললো, ‘অ্যামাকে খুশি করার জন্য মিথ্যে না বললেই খুশি হবো। অ্যামি এটা লাইক করিনা, টুমি জানো।’
আমি ভ্যাবলা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করে বললাম, ‘ওকে, স্যরি!’
৯৩.
আমার প্রেগন্যান্সির সাতমাস যখন পূর্ণ হলো সেদিন ঘটা করে একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। কিছু চেনাজানা আশেপাশের প্রতিবেশী মুসলমান, বাংলাদেশি চাচ্চুরা ওদের বাচ্চাকাচ্চা। যদিও ওরা আমার অনেক দূরসম্পর্কের আত্মীয়। বলতে গেলে আব্বুর মাসতুতো ভাইবোন আরকি। আর ছিলো স্থানীয় মাদ্রাসা-মসজিদের কিছু শিক্ষার্থী, শিক্ষক। আর আমার শ্বেতাঙ্গ বন্ধুপল্টন।
প্রচুর খাবার-দাবার সহ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন। সবাই তৃপ্ত হয়ে খেলো এবং আমাদেরকে দোয়া করে গেলো। আমার জন্য অনেক উপহারও ছিলো।
অনেকদিন পর প্যাটিসন, আলিয়াদের সাথে মজার মুহূর্ত কাটিয়ে ঘরে এলাম। ফ্রেশ হয়ে টিভি ছাড়তেই ক্লেভ এসে আমার পাশে বসলো।
‘ এনজয় কেমন করলে?’
‘ ভালো। তবে মারোলাদের মিস করেছি।’
ক্লেভ ভ্রু কুঁচকে বললো, ‘কেন?’
‘ ওহ মাই গড। কী আজব কথা বলো তুমি? মারো আমার জীবনের অন্যতম সেরা ফ্রেন্ড। ওর জন্যই আমি আজ এখানে। আর আমি ওকে মিস করবোনা? তুমি জানো ওদের সাথে আজ ছয়মাস আমার কোনো যোগাযোগ নেই? অনেক ট্রাই করেও পাচ্ছিনা।’
ক্লেভ হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে বললো, ‘হুম৷ অ্যামিও জানতে পারছিনা।’
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, ‘আচ্ছা নিঝুম আবার মারোর কোনো ক্ষতি করলো না তো?’
ক্লেভ হেসে উঠলো। ওর নীল চোখজোড়া ভিজে উঠলো। বললো, ‘ এমনটা কখনোই হবেনা।!’
‘ তুমি এতোটা শিওর কী করে?’
‘ কারণ আমি জানি।’
‘ কী জানো?’
‘ নিজ্ঝুম মারোকে কিছু করবেনা।’
‘ কেন?’
‘ কেননা মারো ওর স্ত্রী। আর নিঝঝুম কখনো কথার খেলাপ করেনা, সে অ্যামাকে কথা দিয়েছে।’
‘ আমি বিশ্বাস করিনা।’
‘ ট্রাস্ট মি!’
‘ ওয়ে?’
‘ এই যে, তোমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলো।’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘মানে?’
‘ মানে ও আর আমার মাঝে ডিল হয়েছিলো যে, টুমি যাকে বেছে নিতে চাও বা বালোবাসো, তাঁকেই পাবে। যদি অ্যামাকে বালোবাসো, ট্যাহলে অ্যামাকে।’
‘ তারপর কী হলো?’
‘ লাস্ট টাইমে বোঝা গেলো টুমি অ্যামাকে বালোবাসো। টাই মাঝখান থেকে ও সরে গিয়েছে। এন্ড টোমার কথামতো ও মারোকে বিয়ে করে নিয়েছে।’
‘ ওহ মাই গড! এটা তুমি আমাকে আগে জানাওনি কেন?’
‘ এমনি। তেমন বড় বিষয় ছিলোনা।’
‘ তাও!’
‘ টুমি কী কষ্ট পাচ্ছো?’
‘ হুম।’
‘ কেন?’
‘ জানিনা।’
‘ অ্যামার মনে হয়, টুমি নিঝঝুমকে বালোবাসো! তাই।’
আমি ক্লেভের বুকে একটা কিল মেরে বললাম, ‘মোটেও না। আমি এই ধ্রুবতারাটাকেই ভালোবাসি।’
ও অট্টহাসি দিয়ে বললো, ‘অ্যামি জোক করছিলাম। সিরিয়াসলি নিলে নাকি?’
‘ নো।’
‘ আর একটা ডিল কী জানো?’
‘ কী?’
‘ ও যেহেটু টোমাকে পায়নি, টাই অ্যামাদের ওর ছেলের জন্য অ্যামাদের মেয়েকে চেয়েছে। হা হা। যদিও অ্যামি ফার্স্টে চাইনি, কিন্তু আর্ফবাবুকে দেখে অ্যামার দারুণ পছন্দ হয়েছে। টাই অ্যামি সিনডারেলা চাই।’
আমি রেগে বললাম, ‘তুমি এতো মিচকা শয়তান, জানলে বিয়েই করতাম না।’
ও বললো, ‘মিসকা স্যয়তান? বিয়ে না করলে টোমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে আসতাম। হা হা!’
৯৪.
এভাবেই দিনগুলো কাটতে লাগলো। দেশ থেকে ফোন করে আম্মু বলে দিয়েছে আমি যেন নার্ভাস না হই৷ দরকার হলে টিকিট বুক করে এক্ষুনি বাসার সব পল্টন চলে আসে, এমন একটা সিচুয়েশন। কিন্তু চাইলেই তো আর পারা যায়না। এর মধ্যে সবচেয়ে দারুণ সংবাদ হলো, ‘আপু আর মাহমুদ ভাইয়ার আমেরিকা আসাটা কনফার্ম। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই ওনারা ল্যান্ড করবে। সোজা আমার কাছে!’ এই খবর শুনে খুশিতে আমি রীতিমতো অজ্ঞান। আহা!
‘ অতো খুশি কেন?’
‘ বলবোনা।’
‘ ওখে।’
‘ বাইরে যাবে?’
‘ না।’
‘ টুমি তো কোথাও বেরুওই না। বাগানে চলো।’
‘ না। আমি দারুণ এক্সাইটেড।’
‘ চুইতি আপুরা আসছে তাই?’
‘ হুম।’
আপুরা যেদিন ল্যান্ড করলো সেদিন আমি চেয়েও যেতে পারলাম না। ক্লেভ ওদেরকে নিয়ে এলো। ওরা কটেজে ওঠলোনা। আমাদের বাড়িতে চলে এলো। এতোদিন পর আপুকে দেখে আমার সে কী কান্না! কান্নার চোটে নাকের পানি, চোখের পানি এক হয়ে গেলো। কাঁদোকাঁদো গলায় বললাম, ‘ওয়েলকাম টু আওয়ার ভার্জিনিয়া।’
‘ থ্যাংকস।’
ক্লেভ ভেজা তোয়ালে দিয়ে আমার মুখ মুছে দিলো আর সবার সামনেই বেহায়ার মতো আমার গালে চুমু খেয়ে বসলো। ইশ, কী লজ্জ্বা!
‘ ওই তুমি এটা কী করলে? লজ্জ্বাশরম সব ধুয়ে ফেলে দিয়েছো? এতো মানুষের সামনে কী বিচ্ছিরি কান্ড ঘটালা। যত্তসব!’
‘ এখানে লজ্জ্বার কিছু নেই। অ্যামিতো যেখানে সেখানে চুমু খেতে পারি।’
‘ তোমার সাথে কথা বলাই আমার অন্যায় হয়েছে!’
আমি বিরক্ত হয়ে আপুর ঘরে গেলাম। মাহমুদ ভাইয়া একটু লাজুক প্রকৃতির। আমাকে দেখে একটা হাসি দিয়ে ব্যাক ইয়ার্ডে চলে গেলো। সেখানে কফির সরঞ্জাম নিয়ে বসেছে ক্লেভবাবু। দুজনে খেতে খেতে গল্প করছে। আপু বরাবরই আমাকে রাগানোর জন্য উৎ পেতে থাকে। এবারো ব্যতিক্রম হলোনা। মুখে একটা শ্বাশুড়ি ভাব ধরে নিয়ে বললো, ‘কিরে চিত্রানি? আমি তোর বড় বোন, আমারই এখনো বাচ্চাকাচ্চা হবার নাম নেই। আর তুই?’
‘ সেটা তোমার সমস্যা।’
‘ এখানে সমস্যার কী দেখলি? তোর দরাকার আরও কয়েকবছর পর বাচ্চা নেওয়া। তুই দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে ফেলছিস!’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘এর সাথে ভবিষ্যৎ নষ্ট হওয়ার কী সম্পর্ক?’
‘ তুই বুদ্ধিমান, তুইই জানিস।’
‘ বেশি নাটক করবা না।’
‘ আচ্ছ, তোর শ্বাশুড়ি কী কড়াত টাইপ মহিলা? দেখলে মনে হয় হালুম করে খেতে আসছে।’
‘ মোটেও না। তোমার শ্বাশুড়িই এমন।’
আপু ফুঁসে উঠে বললো, ‘আমার শ্বাশুড়িকে নিয়ে নো বাজে হাংকিপাংকি। জানিস আমাকে রাতে কোলে নিয়ে ঘুমায়৷ হুহ।’
হঠাৎ ক্লেভ দরজায় এসে কথাটা শুনে ফেললো এবং অবাক হয়ে বললো, ‘ট্যাহলে মেহমুড বাইয়া কী রাটে একলা ঘুমায় চুইতি আপা? অ্যামিতো চিট’কে ছাড়া থাকতেই পারিনা। আহ, কী কশশষ্ট!’
আমরা দু’বোন ব্যক্কল হয়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকালাম। ও বলেই গম্ভীরমুখে বেরিয়ে গেলো৷ এভাবেই আমার হাসি- আনন্দের দিনগুলো কাটতে লাগলো। খুব দারুণ! সকালের নরম রোদের মতো, আবার গোধূলির লালচে আকাশের মতো।
‘ একটা কথা বলি টোমাকে? হয়তো অবাক হবে!’
‘ কী কথা?’
‘ নিঝঝুমের বিষয়ে। আসলে কথাটা চেয়েও লুকোতে পারছিনা।’
আমি অবাক হলাম। কী এমন কথা যে ও লুকোতে পারছেনা? ক্লেভ শান্ত হয়ে পাশে বসলো। তারপর আমার হাত দুটো মুঠোতে নিয়ে আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো, ‘নিঝঝুম মানুষ নয়। জিন জাতির একজন বিশিষ্ট জিন!’
আমার মাথা ঘুরে ওঠলো।
‘ তুমি নিশ্চয়ই মজা করছো?’
‘ নো চিট। এটা সট্যি।’
‘ তুমি জানলে কীভাবে?’
‘ জানি অ্যামি। অনেকভাবেই দেখেছি, অদ্ভুত ছিলো। কিন্তু কারো ক্ষতি করেনি।’
‘ তোমাকে বলেছে ও?’
‘ হুম।’
‘ মারোলা জানে?’
‘ না। প্রয়োজন নেই।’
‘ ওর ক্ষতি করবেনা?’
‘ না।’
‘ তুমি এতো শিওর কীভাবে?’
‘ কারণ নিঝঝুম টোমাকে বালোবাসতো। আর টুমি ওকে মারোর খেয়াল রাখতে বলেছো। এটা সবসময় করবে ও।’
আমি আরকিছু ভাবতে পারলাম না। সত্যি পৃথিবী বড়ই বিচিত্র। রহস্যে ঘেরা এই দুনিয়া। নিঝুম যে কোনো ইনসান নয়, ব্যাপারটা আমার বিশ্বাস হচ্ছেই না।
শেষ পর্বটা একসাথে আপলোড হচ্ছেনা। একটু বড় তাই। পরবর্তী অংশটা আগামীকাল দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।