ভিনদেশি_তারা
পর্ব-৮
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া
২০.
এভাবেই হাসিখুশিতে সাত সাতটা দিন আমরা ক্যাম্পিং। করে কাটালাম। কোনোদিন জঙ্গলে ঘুরাঘুরি, কোনোদিন মাটির উনুনে রান্না। কোনোদিন পাগলের মতো হ্রদের ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটা তো কোনোদিন পাহাড় বেয়ে ওঠা। সবচেয়ে বেশি মজা লাগতো যখন আলিয়া আর প্যাটিসন দুজন খুব অল্প কারণেই ঝগড়া লেগে যেতো, আমরা খুব উপভোগ করতাম। কিন্তু এর সাথে সাথে এলক্লেভের ভয়ানক মেজাজও আমি টের পেলাম। যখন জেনিফার দল ছুট হয়ে জঙ্গলের ভেতর হারিয়ে গিয়েছিলো তখন ওর মূর্তিমান বিভীষিকাময় রুপ দেখে সবাই ‘থ’ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আমি ‘থ’ না হয়ে এতোই ভয় পেয়েছিলাম যে পরবর্তী দুদিন ওর কাছ থেকে পাঁচফুট দূরত্ব বজায় রেখেছিলাম আর কথা টোটালি বন্ধ!
ফিরে আসার দিন হুট করেই জানিনা কেন ক্লেভ প্রচুর রেগে ছিলো। এলোমেলো চুল, চোখমুখ লাল, অগোছালো একটা মানুষকে যেন আমি দেখেছি। সবাই ওর গাড়িতে করে রওনা দেয়ার সময় সবার শেষে গাড়িতে যেইনা আমি বসতে যাবো ঠিক তখুনি ক্লেভ জোরে গাড়ির ডিকি’তে লাথি মেরেছিলো আর আমার অন্তরাত্মার ইন্না-লিল্লাহ ঘটিয়ে ফেলেছিলো। আমি আর কথাই বলিনি ওর সাথে। অথচ জেনিফারের হারিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার আর ওর খুব ভালো একটা ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গিয়েছিলো, আমি ওর চোখে আমার জন্য সম্মান, শ্রদ্ধা দেখতে পেয়েছিলাম। সাথে অদ্ভুত মুগ্ধতাও!
যাইহোক, ফিরে আসার পর জাগতিক নিয়মে সবাই কাজে মন বসালাম। আমি আবারও নিজের পড়াশোনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। পার্টটাইম একটা ছোটখাটো জব নিয়েছি স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে। রবার্ট বলেছিলো, ক্লেভ নাকি ব্রাজিল গিয়েছে অনেকদিনের জন্য, ওর সেই উড়নচণ্ডী মনোভাবের আকাঙ্খা মেটাতে। পড়াশোনা, কাজ, পরিবারের লোকজনের কথা ভাবতে ভাবতে আমি আমার জীবনের অন্যতম দুজন ব্যক্তির কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। তখন মার্কিন মুলুকে আমার প্রবাস জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এগারোটি মাস কাটিয়ে ফেলেছি। এডওয়ার্ড এলক্লেভ আর নিঝুম নামক দুটো লোক যে আদৌ আমার জীবনে ছিলো সেটা আবার মনে করিয়ে দিলো ইদুল ফিতর! মার্কিন মুলুকে আমার প্রথম ইদ।
২১.
ইদের দিন খুব সকালে আমি আর মারোলা ঘুম থেকে উঠলাম। উঠেই ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বারান্দায় ছোটখাটো চায়ের আয়োজন করে দু’জন সেলিব্রেট করলাম সকালটা। তারপর গোসল করে আমি একটা সাদা শাড়ি গায়ে চাপালাম, মারোলা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। বললো, ‘হানি! তুমি আজ স্যাড়ি পরবে?’
‘ অফকোর্স।’
‘ আমি তাহলে কি পরবো? জিন্স না স্কার্ট?’
আমি কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে বললাম, ‘এক কাজ করো।’
‘ কি?’
‘ তুমিও শাড়ি পরো। দুজনে সেইম সেইম।’
মারোলা বললো, ‘এটা আমি পরতে পারিনা।’
‘ আমি পরিয়ে দেবো।’
‘ কিন্তু আমার তো স্যাড়ি নেই। কি হবে?’
‘ আমার কাছে আছে, এক্সট্রা শাড়ি। ওটাই পরিয়ে দেই?’
মারোলা খুশি খুশি গলায় বললো, ‘থ্যাংক গড।’
আমি আলমিরা থেকে একটা সবুজ রঙের সুতির শাড়ি বের করলাম। শাড়িটা সেবার বৈশাখে কিনেছিলাম। সব বোনেরা মিলে রমনার বটতলায় ঘুরাঘুরি, পান্তা-ইলিশ খাওয়া, পারফরম্যান্স করা, ক্লান্ত শরীর নিয়ে রিকশা করে সারা শহর ঘুরে বেড়ানো সহ বাংলা মাসের প্রথম দিনটা উদযাপন। আহ! এই দিনটা আবার কবে ফিরে আসবে? আদৌ আসবে?
মারোলাকে সুন্দর করে শাড়িটা পরিয়ে দিলাম। সোনালী চুলগুলো পিঠের উপর ছড়িয়ে দিলাম। বাগান থেকে সদ্য ফোটা একটা সবুজ রঙের নাম না জানা ফুল এনে কানে গুঁজে দিতেই বেচারিকে হঠাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী রমণী বলে মনে হলো। সাদা চামড়ায় পারফেক্ট ম্যাচ। যাইহোক, মারোলা একটা সাদা ম্যাগনোলিয়া আমার কানে গুঁজে দিলো আর হঠাৎ করেই সেই একবছর আগের স্মৃতিটা আমার মনে পড়লো। এডওয়ার্ড এলক্লেভ নামক নীল চোখের একটা ছেলে এইরকম একগুচ্ছ ম্যাগনোলিয়া আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলো। আহা! আজ এতোদিন পর ওর কথা মনে হতেই একটা কঠিন বিষাদে মনটা ছেয়ে গেলো।
২২.
ইদ উপলক্ষে সব রান্না আমার পছন্দমতো হলো। সেমাই, নুডুলস, পিৎজা, ফ্রাইড রাইসের সাথে চিকেন চপ আর মুরগীর পাতলা ঝোল। খুব মিস করছিলাম ফুচকা, চটপটি, হালিম আর পায়েস। এমন সময় ফোন এলো। কানে লাগাতেই আম্মু বললো, ‘তোর এক চাচা, ওনি এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছেন। তুই তাড়াতাড়ি যা তো!’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘কেনো?’
‘ তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে। যা না তাড়াতাড়ি!’
‘ কিসের সারপ্রাইজ?’
‘ বললে আর সারপ্রাইজ থাকবে নাকি? এতো কথা না বলে যা না তাড়াতাড়ি।’
‘ যাচ্ছি। কিন্তু ওনাকে চিনবো কিভাবে?’
‘ ম্যাসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়েছি, একবার দেখে নিস।’
‘ আচ্ছা।’
ফোন রেখে দিয়ে ভাবলাম আমার জন্য সারপ্রাইজ? তাও না জানিয়ে! মনে মনে পুলকিত হলাম। মারোলাকে নিয়ে হুট করেই বের হলাম। অথচ কথা ছিলো ওয়াশিংটন ডিসিতে যাবো। কিন্তু মাঝখান থেকে প্ল্যানে জল ঢেলে দিলো আম্মু। গাড়ি থেকে নেমে আমরা যখন এদিকওদিক লোকটাকে খুঁজছি তখন আশপাশের সবাই আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে ছিলো। যেন আমরা ভিনদেশী এলিয়েন। খেয়াল করে বুঝলাম শাড়ি পরে ঘুরাঘুরি করার কারণে ওরা অদ্ভুত চোখে আমাদের দেখছে। এমন সময় পিছন থেকে একটা লোক এসে বললো, ‘তুমিই তো চিত্রা?’
স্পষ্টভাবে নামটা উচ্চারণ করতে শুনে পেছন ফিরে তাকালাম। এতোদিন পর কেউ ঠিকঠাক নামটা উচ্চারণ করতে পারলো। হাসি হাসি লোকটার মুখ, বয়স পঞ্চাশের অধিক। আমি বললাম, ‘জ্বি, আমি চিত্রা।’
‘ ভালো আছো মা?’
‘ জ্বি আঙ্কেল। আপনি?’
‘ আমি ভালো। আচ্ছা শুনো, তোমার আব্বু এটা দিয়ে দিয়েছে। তোমাকে দেওয়ার জন্য!’ একটা স্কচটেপ লাগানো ব্যাগ ধরিয়ে দিলো।
‘ কি আছে এতে?’
‘ আমি জানিনা মা। আচ্ছা আমি আসি, গাড়ি ওয়েট করছে।’
‘ আচ্ছা।’
‘ বাই।’
‘ সি ইউ সুন।’
বলে মাঝবয়েসী লোকটা চলে গেলো।
মারোলা বেক্কলের মতো বললো, ‘কি হয়েছে? এতে কি আছে?’
আমি ঠোঁট উল্টে বললাম, ‘জানিনা। বাড়ি গিয়ে দেখি।’
‘ হুম।’
আমরা ঘন্টাখানেকের মাঝে বাড়ি চলে এলাম। এবং প্যাকেট খুলে দেখতেই খুশিতে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। দেশ থেকে পাঠানো ইলিশ মাছের তরকারি, পেঁপের হালুয়া, আমের আচার, গরুর গোশত ভুনা, সাথে কাচা ফুচকা (তেলে ভেজে নিলেই হবে), একটা বক্সে রসগোল্লাও পেলাম। এসব দেখে খুশিতে আত্মহারা আমি টেবিলটার উপর বসেই গপাগপ মুখে দিতে লাগলাম। মারোলা গোশত ভুনা খেয়ে অজ্ঞান হবার দশা। কারণ এত্তো ঝাল যেটা সচরাচর আমেরিকানরা খায়না, আর আম্মু এতো ঝালই দিয়েছে যে তৃপ্তি মিটিয়ে খাওয়া যাবে। বেচারি পানি খেতে খেতে কাহিল। আমাকে মজা করে খেতে দেখে দুচোখ কপালে তুলে বললো, ‘কিভাবে খাচ্ছো এতো ঝাল? হুয়াই?’
‘ মোটেও না। আমার তো বেশ লাগছে। আহ, কি টেস্ট!’
‘ কি বলো। পাগল হলে নাকি? মরে যাচ্ছি আমি!”
‘ ধুর..! তুমি খাবারের মজাই বুঝলা না। আম্মু সত্যিই আমায় বিরাট সারপ্রাইজ দিয়েছে।’
মারোলা কাচুমাচু মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো। ভাবটা এমন যেন ঝাল খাইয়ে ওকে মেরে ফেলেছিলাম আবার জ্যান্ত করা হয়েছে। আমি খুশি মনে কিছু খাবার ফ্রিজে রেখে দিলাম। তারপর মারোলাকে বললাম, ‘রাত হয়ে গিয়েছে। আর কোনো প্ল্যান আছে?’
‘ আপাতত না। তবে ভাবছি ক্লেভের বাড়ি গেলে কেমন হয়?’
আমি আঁতকে উঠলাম। অনেকদিন পরে কোনো প্রিয় মানুষের নাম শুনলে বুকের ভেতর যেমন করে আমারও ঠিক এমন করে উঠলো। চোখেমুখে ফুটে উঠলো অস্বস্তি। তাড়াহুড়ো করে বললাম, ‘ক্লেভ যেন কে?’ যদিও চিনি।
মারোলা অবাক হয়ে বললো, ‘ আমাদের বন্ধু। সেবার ক্যাম্পিংয়ে গেলাম না।’
‘ ওহহ হ্যাঁ। মনে পড়েছে। ওকে তো দেখিনা অনেকদিন। কোথায় ও?’
‘ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় ঘুরাঘুরি করেই কাটায়। ইচ্ছে হলে বাড়ি আসে নইলে না। কিন্তু ভাবছি, আজ ওর বাড়ি গিয়ে দেখলে কেমন হয়!’
‘ তুমি যেতে চাও?’
‘ অভিয়েসলি। চলো।’
‘ না গেলে হয়না?’
‘ চলো তো।’
অগ্যতা যেতেই হলো।
২৩.
এই মুহূর্তে আমি দাঁড়িয়ে আছি ক্লেভের সামনে। ও একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আড়চোখে ওকে লক্ষ্য করলাম। বেচারা আগের থেকে আরও সুন্দর হয়েছে, চোখ দুটো গভীর নীল। যেন আটলান্টিকের স্বচ্ছ নীল সমুদ্র ওর চোখের গভীরে লুকায়িত। মারোলা বললো, ‘ভেতরে ঢুকতে বলবে না?’
ক্লেভ সরে আমাদের জায়গা দিলো ভেতরে আসার জন্য। আমরা ঢুকলাম। বাড়িতে ওর দাদী নেই। লিভিংরুমের মস্ত সোফাসেটগুলায় ধুলোর আস্তরণ। ক্লেভ ঝেড়ে দিয়ে আমাদের বসতে বললো। গল্পগুজবে ওরা দুজন মেতে উঠলেও আমি চুপ। স্ট্রেট চুপ, টু শব্দটা পর্যন্ত করলাম না। আমার নজর ঘরের আসবাবপত্রে, মেঝেতে, বাইরের ঘন অন্ধকারে। ক্লেভের নজর মারোলার দিকে হয়তো। কিন্তু আমার সিক্সথ সেনথ বলছে ও আমাকেই দেখছে। যাইহোক, এক পর্যায়ে আমার ভাইব্রেট মোডে রাখা ফোনটা বিপুল কম্পনে ঘরদোর কাঁপিয়ে দিলো। ওরা দুজন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাতেই আমি ‘স্যরি’ বলে ফোনটা নিয়ে করিডোরে চলে এলাম। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি বাংলাদেশি আননোন নাম্বার। ফ্যামিলির কেউ হবে ভেবে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বললো, ‘হাই জান। কেমন আছো?’
আচমকা জানটান বলাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম। বললাম, ‘কে আপনি? অভদ্রের মতো কিসব বলছেন?’
‘ চিনলে না? আমি তোমার ফিয়ন্সে নিঝুম!’
আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বললাম, ‘ আপনি? আপনি আমায় ফোন দিলেন কেন? নাম্বার পেলেন কোথায়?’
‘ এটা আমার বাঁ হাতের কাজ।’
‘ ফোন রাখুন।’
‘ রাখতে তো দিইনি। কথা বলতে ফোন দিয়েছি এবং খবরদার ফোন কাটবে না!’
আমি বিরস গলায় বললাম, ‘কি বলবেন বলুন!’
‘ ভালো আছো?’
‘ ছিলাম। এই মুহূর্তে খারাপ বোধ করছি।’
‘ কেন?’
‘ কারণ একটা গুন্ডা আমায় ফোন দিয়েছে!’
নিঝুম হু হা করে হাসলো, বিশ্রি লাগলো আমার কাছে।
‘ ইদ কেমন কাটলো?’
‘ ভালো। রাখি?’
‘ না। আজ সারারাত কথা বলবো বেবি।’
‘ আপনার মতো নোংরা মানুষের সাথে আমি কথা বলতে ইচ্ছুক নই। আপাতত ফোন রাখুন।’
নিঝুম হঠাৎ রেগে গেলো। ফোনের ওপাশ থেকে চিৎকার করে বলতে লাগলো, ‘ আমি নোংরা আছি, বেশ আছি। তুই কি ভেবেছিস যোজন যোজন মাইল দূরে বসে আমার থেকে ছাড়া পেয়ে যাবি? নো, নো চিত্রা বেবি। তোমার জীবন তছনছ করার সময়টা খুব শ্রীঘ্রই আসছে। বি রেডি বেবি। আমি আসছি, জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ। সি ইউ সুন।’
আমি প্রচুর ভয় পেলাম যদি আমার জন্য আমার পরিবারের কোনো ক্ষতি করে দেয় তাহলে কি হবে? আমি কিছু বলার আগেই ওপাশ থেকে বিশ্রি হাসির শব্দ শুনতে পেলাম এবং ফট করে লাইনটা ডিসকানেক্টড হয়ে গেলো।
আমি হ্যালো হ্যালো বলছি কিন্তু না, শব্দ নেই। আমি মেঝেতে হাঁটু গেড়ে ফ্লোরে বসে কাঁদতে লাগলাম এবং কান্নার সেই শব্দ গুমোট করিডোরটাতে ধাক্কা খেয়ে আমার কাছেই প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে ফিরে এলো। কাঁদছি কেন জানিনা। ক্লেভের সাথে কথা না বলার বিরহে নাকি নিঝুম নামক একটা মাফিয়ার হুমকির ভয়ে? নাকি নিজের জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণায়? আমি..আমি..আমি জানিনা, কিচ্ছু জানিনা। মন বলছে আমার ভেতরে কোথাও ক্ষত আছে, সেই ক্ষতটা পুড়ছে। এক বছর পর আমার জীবনের আশীর্বাদ এবং অভিশাপ হিসেবে ক্লেভ আর নিঝুম একইসাথে ফিরে এলো, এটা কি কো-ইন্সিডেন্স নাকি সৃষ্টিকর্তার তৈরি কোনো রহস্য? ভয় পাচ্ছি, খুব ভয়! সান্ত্বনা দেওয়ার কেউ নেই এই জাঁকজমক, জমকালো দেশে। হঠাৎ আমার কাঁধে কারো হাতের ছোঁয়া পেলাম, পরিচিত ছোঁয়া। ঘাড় তুলে মুখ উঁচিয়ে তাকিয়ে রইলাম একমনে, পলক পড়লোনা আমার!
?”হে ঈমানদারগণ,
তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছে।”
~ [সূরা বাক্বারা : ১৫৩]
চলবে…ইনশাআল্লাহ! ভুল-ভ্রান্তি মাফ করবেন। রিচেক দিইনি, স্যরি দুদিন না দেওয়ার জন্য।