ভিলেন অফ দিওয়ানাপান,পর্ব_২৪

0
3080

ভিলেন অফ দিওয়ানাপান,পর্ব_২৪
লেখিকা: তামান্না

—“তুমি?
আমার পিছে পিছে পার্টিতেও চলে আসছো? বাহ্ ভালোই করেছো বান্ধবীর সাথেই পরলোকগমনে যাবা।
কথাটা বলেই নোইয়ামুল পকেট থেকে পিস্তল বের করে নিহার কপালে পিস্তলটা রাখে।

—“ভালোই তো ছিল দূরে ছিলি এখানে এসে মরতে আসলি? ওও তুই মরলি তোর ছোট কিউট গুলুমুলু বোনের কি হবে?
নিহা কথাটা শুনে তার চোখে বিন্দু বিন্দু পানির আগমন হয়। অরিফার হাসিময় চেহারা তার চোখের সামনে ভেসে উঠে। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সংযত করে নে। কারণ সে এখানে যে উদ্দেশ্যে এসেছে তার সেই উদ্দেশ্যে হাসিল করতেই হবে। কোনো ভাবেও ইমোশনালে বেয়ে যেতে পারবে না।

—“হু তোর থেকে আমার বোনের জন্যে দরদ দেখাতে হচ্ছে না। আমার বোন যেখানেই আছে সহি সালামতে আছে। তুই তোর চিন্তা কর জানোয়ার। তোর কি হবে সেটা ভাব? তোর প্লেন কখনো সাকসেস হতে দেবো না।

নোইয়ামুল পিছ থেকে নিহার গলা জড়িয়ে তার ঘাড় চেপে কপালে পিস্তল রেখে বলে।
—“এক ফুট নড়লে কিন্তু তোর খবর আছে!

—“ভুল বলেছিস খবর ওর না তোর আছে।
কথাটা শুনতে পেয়ে নোইয়ামুল নিহাকে চেপে ধরেই পিছে তাকিয়ে দেখে নাহিল সিয়াম সাথে কয়েকজন গার্ড নোইয়ামুলকে ঘিরে নিয়েছে। সে চাইলেও এখন তার পাশ কেটে বের হতে পারবে না।
তাও সে নিহার কপালে পিস্তল দিয়ে জোরে আঘাত করল।
নিহা ব্যথায় কুঁকড়ে উঠে। সিয়াম দৃশ্যটা দেখে কড়া গলায় বলে।

—-“আরেকবার যদি নিহাকে কোনোভাবে আঘাত করছিস তাহলে তোর কি যে অবস্থা করব তুই ভাবতেও পারবি না!

সিয়ামের কথায় হু হা করে হাসতে থাকে নোইয়ামুল। নিহা কাঁপা কাঁপা গলায় তাদেরকে বলার চেষ্টা করতে গেলে নোইয়ামুল সবাইকে দেখিয়ে নিহার কপালে পিস্তল রেখেই বলে।

—“রাস্তা থেকে সরে গেলেই নিহা রক্ষা পাবে।
না হয় তোদের কারণে এই অবলা নারী নিজের জীবন হারাবে। So clear my way.
মিহু সিয়াম নাহিল উওেজিত হয়ে নিহাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু যতোই তারা নিহার দিকে আগাতে লাগে ততই নোইয়ামুল কোনো না কোনো ভাবে পিস্তল দিয়ে নিহাকে নিহত করছে।

নোইয়ামুল নিহাকে টেনে গেটের কাছে আসলেই সজোরে কে যেনো তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে।
সবাই থমকে যায়। নোইয়ামুল মাথায় হাত রেখে পিছে ঘুরে দেখে নাজিয়া রড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে ভয়ের চাপটুকু নেই।
নাহিল দেখে বাঁশি বাজিয়ে গার্ডসকে বলে নোইয়ামুলকে ধরতে।
নিহা ছাড়া পেয়ে পড়ে যেতে নিলে নাজিয়া এসে তাকে ধরে কাঁধে হাত রেখে দাঁড় করায়।
নিহার কপাল থেকে রক্ত ঝড়ছে আমি আমার হাতে থাকা স্কার্ফ দিয়ে তার কপাল এ বেঁধে চেয়ার টেনে বসায়।

—“নাহু তুই ঠিক আছিস? কোথাও লাগি নি তো!
নিহা নাজিয়ার মুখের দিকে দেখল চিন্তার চাপ ফুটে উঠেছে। এই বেস্টিকেই সে কিভাবেই না অপমান করেছিল তাও অন্তরে যে তার জন্যে একটুও ভালোবাসা কমেনি এরই প্রকাশত্ব পেয়েছে।
আসলেই বন্ধুত্বের কখনো ক্রটি থাকে না। প্রকৃত বন্ধু তো সেই যে কিনা নিজের সবটুকু দিয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে জানে। নাজিয়ার কেয়ার করাতে নিহা আচমকা গলা জড়িয়ে ধরে কেঁদে দে।
আমি বুঝতে পারলাম নিহার মনে কি চলছে? তাই কোনো কথা না বলে তাকে শক্ত ভাবে জড়িয়ে বলি।

—-“এই না হলো আমার দোস্ত। চুপ এখন একদম চুপ…..নিহাকে নিজ থেকে ছাড়িয়ে তার দুই গালে হাত রেখে চোখের পানি মুছে দিলাম। ঐ তুই কি ছোট নাকি বাচ্চাদের মতো কাঁদছিস কেন হুম? তুই ছোট হলে আমার ফিউচার বাচ্চাদের কারা দেখবে?
একদম কাঁদবি না পাপীদের সাজা তো পাপীরা পাবেই…নোইয়ামুলের দিকে তাকিয়ে।

নাহিল সিয়াম নোইয়ামুলকে ধরে মেঝেতে ফেলে বেধারাম পিঠাতে থাকে। নিহাকে আমি মিহু মিলে খাওয়াচ্ছি সাথে আপ্যায়নের মতো যা করা লাগে করছি।

নিহা আমার হাত ধরে বলে—-“বুইন তোকে একটা কথা রাখতে বললে রাখবি?

—“একি তুই বলবি আর আমি রাখবো না তা কখনো হবে?
তুই জাস্ট বল তারপর দেখ আমার কামাল! এটিটিউড ভাব নিয়ে ফাজলামি করে বললাম।

—“হুম জানি তুই সব কথাই রাখবি। আমার বোন অরিফাকে আমার চেয়েও বেশি ভালোবাসিস তাকে কোনো ধরনের ভুল পথে যেতে দিবি না ওর বিয়েতে এক বোনের যে দায়িত্ব থাকে সেই দায়িত্ব পালন করবি বল।

নিহার কথায় খুব অবাক হলাম। সে হঠাৎ এমন ভাবে বলছে যেনো কোথাও হারিয়ে যাবে।
—-“তোর কি লাগে হ্যাঁ? আমি অরিফাকে কম ভালোবাসি? তাকে তো আমি নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। কিন্তু তুই হঠাৎ এসব কেন বলছিস কখনো তো বলিস নি। আজ কি হলো?

নিহা মাথা নিচু করে চুপ হয়ে যায়। হয়তো বেশি চিন্তা করছে বলে এমন লাগছে তার। আমি তার হাত শক্ত করে ধরে নিজের সাথে বসিয়ে রাখি।
মিহু বসে সামনে নোইয়ামুলের সাথে চলা মারের ফিল্ম দেখছে। আমরা তিন বান্ধবী ইন্জয় করছি।

মিহু তো খুব উৎফুল্ল হয়ে দৃশ্যটা উপভোগ করছে। কিন্তু হাতের কাছে চাবানোর মতো কিছু না থাকায় বলে।

—-“আরে ইয়ার এ্যাকশন টাইমে পপকর্ন না থাকলে মজাই লাগে না।

—“ইয়াপ সঠিক কথা কইলি ওয়েট পপকর্ন আনি।
আমি উঠে টেবিলের থেকে পপকর্ন হাতে নিয়ে মিহুকে দেই।
নিহাকে অফার করলে সে খাবে না বলে।
নিহার মনে কিছু তো চলছে তা সে প্রকাশ না করলেও ঠিকই তার হাবভাবে বুঝা যাচ্ছে।
মিহুকে নিহার সাথে থাকতে বলে সাইডে এসে নিহার বাসায় কল দিলাম।

অরিফার কেয়ার টেকার কলটা উঠালে অপরপাশ থেকে আমি হ্যালো বলে সালাম দিলাম।
কেয়ারটেকার একজন মেয়ে হওয়ায় সুবিধাই হলো। নিহা অবশ্যই পার্সনালি কিছু বলে এখানে এসেছে।

—-“ওয়ালাইকুমুসালাম ম্যাম আপনি !
তবে আপনি কে ম্যাম চিনলাম না?

—“জি আমি নাজিয়া নিহার বেস্টি।
—“ওওও তো আপনিই নিহা ম্যামের বেস্টি নাজিয়া ম্যাম। বলেন ম্যাম কি হেল্প করতে পারি?

—“আব তোমার নিহা ম্যাম কি তোমাকে কিছু বলেছে?
—“না ম্যাম তবে উনি এটুকু কথা বলেছেন যে আপনি আসলে যেনো আপনাকে একটা ব্যাগ দেই। এখন ব্যাগটা আমার কাছে আমানত হয়ে আছে।

—“ব্যাগ দিয়ে কিছু বলে নি তোমাকে?
—“না ম্যাম। আপনি যখন আসবেন তখন অরিফার সাথে ব্যাগটা আপনাকে দিতে বলেছে এর বেশি কিছু আর বলে নি।

—“ওও আচ্ছা অরিফা কোথায়?
—“ম্যাম অরিফা মাএ খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছে অনেকক্ষণ নিহা ম্যাম কোথায় বলে বলে কান্না করছিল। পরে ম্যামের সাথে কথা বলিয়ে ঘুম পাড়িয়েছি।

—“হুম ওর খেয়াল রেখো আমি খুব শীগ্রই নিতে আসব। বাসার দরজা জানালা ঠিকভাবে বন্ধ করে রাখো। কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথে কল দিবে এটা আমার নাম্বার সেভ করে রাখো।
—“ওকে ম্যাম।

কেয়ারটেকার মেয়েটার সাথে কথা শেষ করে মিহুর দিকে এগিয়ে আসলাম। নিহা কে বসা না দেখে ঘাবড়ে গেলাম। কই চলে গেলো মেয়েটা?
মিহু নিহা কই?
মিহু তো জানেই না সে এতোক্ষণ সিয়ামের লুক তার মার এসব দেখছিল।
নাহিল সিয়াম ধমক হুমকি দিচ্ছে ট্রান্সমিট কোথায় রাখছে সেই কথার উওর বের করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু নোইয়ামুলের ঘাড় যে এতোই ত্যাড়া সে সহজে মুখ খুলছে না।

নিহাকে নাহিলের কাছে দেখে আমি মিহু ও সামনে আসলাম।
নিহা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে।
—-“ট্রান্সমিট এখানেই আছে। নোইয়ামুল লুকিয়েছে পার্টির মধ্যেই।

কথাটা বলতে বেশিক্ষণ না লাগায় সাথে সাথে পুরো মানুষের ভীড়ে কথাটা উচ্চের মানে চলে যায়। সবাই হৈচৈ করতে শুরু করে গার্ডস এর মাঝে এসে ঠেলাঠেলি করতে থাকে। কিছু গার্ডস এসে আমাদের ছয়জনকে ঘিরে থাকে।

নাহিল অফিসারের দিকে তাকিয়ে মাইক দিতে বলে।
অফিসার কন্সটেবলকে দিয়ে মাইক পাঠায়।
মাইক হাতে নিয়ে নাহিল জোরে জোরে বলে।

—“সকলে প্লিজজ শান্তি হোন। এভাবে হৈচৈ করিয়েন না আপনাদের কিছুই হবে না। গার্ডস আপনাদের সাবধানে বাহিরে পাঠিয়ে দিবে। Guards…….. takes the step nowww.

নাহিলের কথায় গার্ডস মিলে গেট খুলে দে। লোকজন হৈচৈ করে বের হতে থাকে।
নোইয়ামুল ব্যথার ঘোরে থাকলেও সবার চোখের আড়ালে পকেট থেকে রিমোট বের করে রক্তান্ন মুখ নিয়ে দাঁত কেলিয়ে হেসে রিমোট এর বাটন প্রেস করে।
ঠিক সেই সময় মানুষজন কমে যায়।
থেকে যায় শুধু নাহিলের সাথে বাকিরা।

নোইয়ামুল রক্তেমাখা দাঁত দেখিয়ে হাহাহাহা করে হাসতে থাকে। তার হাসিতে নাহিল রেগে ঘুষি দেই তার মুখ বরাবর। নোইয়ামুলের নাক ফেটে রক্ত বেরিয়ে আসে সামনের প্রিমোলার দাঁত ভেঙ্গে মেঝেতে পড়ে যায়।

নিহা নাহিলকে থামতে বলে। নাহিল নিহার কথায় ভ্রু কুঁচকে বলে।
—“তুমি একে মারা থেকে থামতে বলতেছো? যে কিনা…..
ভাইয়া এই জানোয়ার শুধু শুধুই হাসছে না ট্রান্সমিট সে এক্টিভেইট করে দিয়েছে। তার হাতে দেখেন ট্রান্সমিটের রিমোট।

নাহিল নোইয়ামুলের হাতের থেকে রিমোট নিয়ে ডিএক্টিভেট করে কিন্তু রিমোটটা নোইয়ামুল এমনভাবে বানিয়েছে যে যতোই এক্টিভেট করবে ততই ট্রান্সমিটের টাইম অতি সহজে কমে ব্লাস্ট হবে।
নাহিল গার্ডসকে নিয়ে খুঁজতে থাকে।

নোইয়ামুল খুব উৎফুল্ল হয়ে সবার মুখের এক্সপ্রেশন দেখছে। মাঝে মাঝে হু হা করে হাসছে।
—-“পাবে না পাবে না। এমন জায়গায় রাখছে যা কোনো স্বাভাবিক মানুষের জন্যে খুঁজা অসম্ভব।

সিয়াম নোইয়ামুলের কলার ধরে উঠে দাঁড় করায়।
—“ভালোই ভালোই বলে দে না হলে তোর জীবনের মুহূর্ত শেষ হয়ে যাবে।

—-“হাহ যাক আমিও যেমন মরব তোরা সব একসাথে মরবি। Find or die.

—“এতো সহজে মানবি না। গার্ড এর থেকে পিস্তল নিয়ে নোইয়ামুলের গালে ঢুকিয়ে বলে। বল না হয় এখানেই ট্রেগারে চাপ দিয়ে তোর গাল ফাটিয়ে দেবো।

পিস্তল গালে থাকার শর্তেও নোইয়ামুল দুলতে দুলতে বাঁকা হাসে। সে নিহার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বলে।
—“কি বেব বাচ্চা হয় নাই? ওওও হবে কিভাবে জাস্ট রেপ এনা করলাম বাসর যে করি নি।

ঘৃণায় রাগে আমার গা জ্বলে উঠে। কোনো কথাই না বলে লাঠি নিয়ে নোইয়ামুলের মাথায় সজোরে আঘাত করি।

—“আঘাতটা আমার বান্ধবীর জন্যে যাকে তুই নরপশুর মতো বেধম প্রহার করেছি।
আরেকবার মাথায় বারি দিলাম। এই আঘাত আমার বান্ধবীর শান্তি উজার করার জন্যে তাকে আমার বন্ধুত্বের উপর অপমান করতে বাধ্য করার জন্যে। বলেই আরো একবার মাথায় আঘাত করাতে সে ঢলে ডাস্টবিনের জায়গায় পড়ে।
ডাস্টবিনের বক্সটা নোইয়ামুলের ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে ট্রান্সমিট বেরিয়ে আছে। নাহিল দেখেই নাজিয়াকে চলে আসতে বলে।
নাজিয়া ট্রান্সমিটটা দেখতেই পিছে ফিরে চলে আসতে লাগলে নোইয়ামুল তার পা জোরে চেপে ধরে টান দে।

নোইয়ামুলের টান দেওয়ায় থাল সামলাতে না পেরে পা কাপড়ের সাথে লেগে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। তার হাত সরানোর জন্যে মুখের উপর লাথি দেই। তাও সে ছাড়ছে না।
নাহিল এসে নাজিয়াকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। নোইয়ামুল পাশে পড়ে থাকা পিস্তল হাতে নিয়ে নাহিলের বুকের দিকে বুলেট চালায়।

—-“নাহিহললললল…..ছাড় জানোয়ার আমার নাহিলকে তুই বুলেট মেরেছিস….এই বলে তার চোখের উপর হিলের কৌটা দিয়ে আঘাত দেই। সে চিৎকার করেও আমার পা চেপে ধরে। নাহিলের বুক থেকে রক্ত বের হতে লাগে।
আমি কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।

নাহিল বুকে হাত দিয়ে উঠে এসে নোইয়ামুলের হাতে নিজের হাত দিয়ে সজোরে বারি দিয়ে বাহুডোরা আলাদা করে দে। সে আঘাত পাওয়ায় তার হাত থেকে সাড়া পেয়ে আমি সরে এসে নাহিলকে ধরে ফেলে। তার বুকে হাত দিয়ে চেপে ধরে জড়িয়ে নি।
নাহিলকে টেনে বাহিরে নিয়ে যেতে গেলে নোইয়ামুল দাঁড়িয়ে জোরে নাহিল চৌধুরীইইই বলে ট্রান্সমিট নিয়ে আমাদের দিকে ছুঁড়ে মারতে গেলেই নিহা নোইয়ামুলের হাতেই ট্রান্সমিট চেপে ধরে জড়িয়ে ধরে নোইয়ামুল ধস্তাধস্তিতে নিহা পিছে ঘুরে বলে।

—-“যাওওওওওও…….নিহার দিকে তাকিয়ে নাহিল আমাকে টেনে নিয়ে যায়। নিহার চোখে ভালোবাসার অশ্রু বেয়ে পড়ছে।
ডাসসসসসসসসসস……

আমরা গেটের কাছে চলে আসি। হিল হাউজের ভেতরে দেখি পুরো ছাঁদ ধাউ ধাউ করে জ্বলছে। নিহাও ভেতরে ছিল মাথায় কথাটা ঘুরান দিয়ে উঠে।
—-“নিহাআআআআআআ আমি আসছি….ভেতরে যেতে চাইলে নাহিল আমাকে চেপে ধরে তার বুকে মাথা আমার মাথাটা চেপে ধরে।
কিন্তু এই মুহুর্তে নিজের বেস্টিকে বাঁচাতে হবে আমি উনাকে ছাড়ার জন্যে মিনতি করতে থাকে।
আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে নাহিল এর চোখজোড়াও লাল হয়ে পানি চলে আসে।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here