ভিলেন অফ দিওয়ানাপান,২৬ অন্তিম_পর্ব

0
6847

ভিলেন অফ দিওয়ানাপান,২৬ অন্তিম_পর্ব
লেখিকা: তামান্না

—“জি আপনারা কারা?
অরিফার কেয়ারটেকার দরজা খুলে দিল।
—“জি আমরা নিহার ফ্রেন্ডস। স্পেশালি আমি নাজিয়া।
—“ওও কাম কাম। কেয়ারটেকার তাদেরকে ভেতরে আনেন।
আমি এসে অবাক হয়ে গেলাম। নিহা আমাদের ছোট বেলার সব স্মৃতি নিজের রুমে সাজিয়ে রেখেছে। যে খেলনা যে ফুল যে কাপড় আমরা তিনজন মিলে ইউজ করতাম। সব একসাইডে পরিপূর্ণভাবে সাজানো।

—” ম্যাম আপনার ব্যাগ। নিহা ম্যাম আপনাকে!
আমি মুচকি হেসে তার থেকে ব্যাগটা নিয়ে মিহুর কাছে দিলাম। সে ব্যাগটা নিলে অরিফা যে রুমে ঘুমাছিল। রুমের দরজা খুলে ভেতরে আসি।

আমাকে এক জ্বলক দেখতেই জট করে ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসে।
—“অরি আমি না বলেছি কখনো ঘুম পুরোপুরি না হওয়া অব্দি ঘুম থেকে উঠবে না তাহলে কেনো উঠলে?

—“নাজুপি নিহাপি কই? উনার কথা মনে পড়ছে। আজ উনি আমাকে খাওয়ায় দেই নি।
খুব রাগ হচ্ছে উনার উপর।
আমি মুচকি হেসে বলি।
—“তোমার নিহাপি অনেক দূরে গেছেন অরি। তুমি এখন থেকে নাজুপির কাছে থাকবে। কখনো তোমাকে নিজ থেকে দূরে যেতে দেবো না।

—“ওও তো নিহাপি কেনো দূরে গেছেন?
উনি তো দূরে যেতে ভয় পান তাহলে গেছেন কিভাবে?
অরিফার কথায় সবার চোখে জল টলমল করতে থাকে।
আমি অরিফাকে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে বলি।

—“নিহাপি তোমার জন্যে রাজকুমার খুঁজতে গেছে। সে এখন উপরে আল্লাহর কাছে। আল্লাহর কাছে তোমার জন্যে ইয়া বড় বড় দোয়া করতেছে। এখন আসবে না বলছে!

—-“ওও তাহলে আমিও আল্লাহর কাছে দোয়া কি যেনো নিহাপি উনার কাছে ভালো থাকুক।
আমি মুচকি হেসে চোখের পানি আড়াল করেই তাকে চেপে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে দেই।
চলো এবার আমাদের বাসায়।
কেয়ারটেকারকে তার ন্যায্যমূল্য দিয়ে অরিফার সাথে চৌধুরী মেনশনে চলে আসলাম।

অরিফা খুশিতে পুরো মেনশনে দৌড়াদৌড়ি করাতে লেগে পড়ে। তাকে পেয়ে আব্বু আম্মু সাথে শ্বশুরমশাই ও দেখি খেলতে থাকেন।

—“আহেম আহেম।
কারো গলার কাশিতে আমি পাশে মুখ ঘুরিয়ে দেখি। নাহিল ভাইয়া বুকের উপর হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছেন।

—“কি? এভাবে ইশারা করার মানে ?
—“হু বউকেই তো করতেছি।
—“ওও আমি তো ভাবছি চিপা গলির মাল চিপার মাইয়াদের ইশারা করে।

—“এই এই মেয়ে আমি কি তোমার মতো পার্লারে পরে পরে থাকি নাকি?
আমি যেমন অফিসের চিপায় থাকি তুমিও তো এক নাম্বারের ঢংগী পার্লারে গিয়ে নিজের মুখে আটাময়দা মেখে রাখো।
নাহিলের কথা শুনে চরম রাগ উঠে গেল।
উনার কলার ধরে বলি।
—“আমি আটা ময়দা মাখি তাই না? ওয়েট এখন আটা ময়দার আসল রুপ দেখবেন।
এই বলে আমি কিচেনে গিয়ে ময়দার টিনের বক্স হাতে নিয়ে নাহিল ভাইয়ার দিকে আগাতে থাকি।
নাহিল ভাইয়া চোখ পাঁকিয়ে না না করে পিছাতে থাকেন।

আমি ময়দার টিনের ক্যান খুলে উনার দিকে ছুঁড়ে মারলাম। কিন্তু হলোটা এমন যে, মারলাম উনার দিকে আর কার্পেটের মাঝে পা লেগে মুখ থুবড়ে পড়ে যায় আমি। সব ময়দা এসে নিজের মুখেই পড়ল।
নাহিল ভাইয়া হাসতে হাসতে সোফায় বসে পড়লেন।

আমি আব্বুর দিকে তাকিয়ে বলি।
—“আব্বুওওও কিছু বলেন না। দেখেন কিভাবে হাসতেছে।
মুখ ফুলিয়ে উনাদের দিকে তাকায়।

মাফুজ শ্বশুরবাবা হাসি থামিয়ে নাহিলের কাছে এসে তার কান জোরে চেপে ধরে দাঁড় করায়।
—-“তুই আমার ছেলে না অন্য কিছু নিজের বউ কে এভাবে কেউ পরা দেখে হাসে? নিজেকেও তো পরা দরকার।

—“এ্যাহহহ। অবাক চোখে তাকিয়ে বলি।
—” না মানে বউমাকে ধরে উঠা আমরা অরিফাকে নিয়ে গার্ডেনের দিকে যায়। বউমার খেয়াল রাখ বেয়াদব ছেলে।
কান ছেড়ে অরিফার সাথে আরভী খান মিসেস রাসনা মিলে গার্ডেনে যায়।

নাহিল ভাইয়া দুই হাত পকেটে গুঁজে বলে।
—“আমার কফির টাইম হয়ছে সো রুমে কফি নিয়ে চলে আসবে।
উনি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চলে যান।
আমি ভেংচি মেরে ময়দা ঝেড়ে টেরে উঠে মিসেস মনিয়াকে ডেকে ময়দাগুলো সরিয়ে ফেলতে বললাম।

আপাত নিজের রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে থ্রিপিচ পড়লাম। আয়নার সামনে চুলের পানি ড্রায়ার দিয়ে শুকাচ্ছি।
তখন বেডে থাকা ব্যাগের উপর চোখ পড়ে। আমি উঠে গিয়ে বেডের মধ্যে বসলাম।
নিহার শেষ অংশে সে কি রেখেছে এমন যা আমাকে দিতে বলল।

আমি ব্যাগ খুলে দেখি।
কয়টা ছবিভর্তি এ্যালবাম, কিছু খেলনা, কিছু ফুলের তুরি আর একটা বক্স। এ্যালবামটা হাতে নিয়ে দেখতে থাকি।
ছোটবেলার খেলাধুলা,দুষ্টুমি জাপিং,এক এক করে লুকাচুপি সব ছবি এই এ্যালবামে আবদ্ধ করে রাখা হলো।

—“কি দেখছিস নাজু?
মিহু রুমে এসে নাজিয়াকে এ্যালবাম গাঁটতে দেখে বলে।
—“আয় তুইও দেখ। মিহুর হাতে এ্যালবাম দিলাম। সে পুরো এ্যালবাম দেখতে থাকে।
আমি বক্সটা নিলাম। সেটা খুলে একটা চিরকুট পেলাম। কৌতুকপ্রদ ভাবে মিহুকে পাশে বসিয়ে পড়তে শুরু করি।
—“চিঠিটা পড়ছিস তার মানে আমি দূরে চলে গিয়েছি রে দোস্ত। যদি থাকতাম তাহলে হতো চিঠিটা পড়তে হতো না। তাও বলি। মিহু প্লিজ সিয়ামের জীবনটা শুধরিয়ে দিস। আমি জানি তুই সিয়ামকে ভালোবাসিস তাকে খুশি রাখতে তুই কোনো কমতি রাখবি না বলে আমি ভরসা রাখতে পারি। তবে এটাও জানি সিয়াম রাজি হবে না। এই রাজিটা নাহিল ভাইয়া করাবে।
আর নাজু দোস্ত আমি কোন মুখে ক্ষমা চাইবো? তোকে কতই না অপমান করেছি। তাও তুই আমার পাশেই ছিলি। আমার জন্যে তুই যেমন অবদান রেখেছিস আমিও চেয়েছিলাম তোর জন্যে কিছু একটা করি। তো ভাবলাম নিজের জীবন দিলেও তো সমস্যা নাই। কারণ না আছে সতীত্ব আছে না কোনো পরিচয়। বন্ধুত্বের
কাতিরে জীবন দিলে তো গর্ব হবে যে তোর এমন একজন বন্ধু তো ছিল।
‘A friend in need a friend indeed’
বাক্যটির মত তাই না?
আমি পড়ার মাঝেই মুচকি হেসে নিজের মাথা নাড়ালাম।
অরিফা একা হয়ে যাবে তাও আমার বিশ্বাস তোরা সবাই মিলে তার সঙ্গ দিলে সে অবশ্যই একজন ভালো মেয়ে হবে। তোরা তাকে ভালো জীবন দিবি। একসাথে থাকিস তোরা দোয়া থাকল সবার জন্যে।

চিরকুটটা পড়ে চোখের কোণার পানি কনিষ্ঠা আঙুল দিয়ে মুছে নিলাম। ব্যাগটা ঠিকভাবে রেখে। মিহুর সাথে বেরিয়ে আসলাম।
মিহু আগে আগে যাচ্ছে তো আচমকা কে যেনো আমার হাত ধরে টান মেরে রুমে ঢুকিয়ে নে। আমি চিৎকার করতে গেলেই আমার ঠোঁটজোড়া আঁকড়ে ঠোঁটের স্বাদ নিতে থাকে। আমি প্রথমে না বুঝলেও পরে ঠিকই স্পর্শের কারণে বুঝতে বাকি নেই কান্ডটা কার হবে?
চুপচাপ সেভাবেই উনার ছোঁয়া নিতে ব্যস্ত থাকি।

—“নাজু….আরে বেডি কই গেলো? উহ আমিই যায়।
মিহু পিছে ঘুরে নাজিয়াকে না পেয়ে সিয়ামের কাছে যেতে লাগে।

—“এই যে অসভ্যতামি করতে লজ্জা লাগে না? নাহিল ভাইয়ার গলা জড়িয়ে ধরে বলি।
—” ম্যাম আমি যদি অসভ্যতামি করি আপনি যে আমার গলা জড়িয়ে আছেন সেটাও এক ধরনের অসভ্যতামি। সো ডোন্ট ডিস্টার্ব।
আমি মুচকি হেসে চোখ বন্ধ করে ফেলি।

৮বছর পর.

দেখতে দেখতে নিহার শোকের পাশাপাশি নিজেদের জীবনের অনেককিছু পাল্টে গেল। নিহা গেলেও নিজের অমূল্য রত্ন বোনকে আমাদের সাথে দিয়ে যায়।
অরিফা ইন্টার পাশ করে এবার চাকরি করবে বিয়ে সাদি করার ব্যাপারে তার এখন কোনো ইচ্ছা নেই বললেই চলে। সারাক্ষণ দুই ভাইয়ের সাথে ঝগড়া না হয় ট্রিট নেয়ার মধ্যে পড়ে থাকে।
দুই ভাই অন্য কেউ না নাহিল আর সিয়াম ভাইয়া।
আগে আমাকে নাজুপি বলতো কিন্তু নাহিলের ভালোবাসায় অরিফা এখন ভাবি ডাকে আর নাহিলকে ভাইয়া। সিয়াম আর নাহিল একসাথে একই কোম্পানিতে জবে নিয়োজিত থাকে।

এরই মাঝে সিয়ামের সাথে মিহুর বিয়ে হয় প্রথম প্রথম রাজি করাতে সমস্যা হলেও পরে ঠিকই সিয়াম মিহুকে মেনে নেই বিয়ের প্রস্তাবে। মিহুকে তার বউয়ের মানও দিল সিয়াম। তাদের নতুন নতুন বেবি আসার সময়। মানে মিহু ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর আমার কথাই বা কি বলব?
আমি হলাম আয়ুশ আর আয়েশার মা। বলতে গেলে দুই জমজ সন্তানের মা হয়ে কিচেনে কাজ করছি।
এরা দেখতে উঠাবসা সব কয়টা আচরণেই নিজের বাপের মধ্যে গেছে। একটার মধ্যেও যদি মায়ের অংশ থাকতো। হায় আল্লাহ আমার বাচ্চাগুলি আমার মধ্যেই যায় না। এই দুঃখ আর কই রাখি?
বাচ্চাদের মত কান্না করে পেঁয়াজ কাটছি।

—” কি বউ ন্যাকা কান্না কেন করতেছো?
নাহিলের এহেন কথায় মুখ ভেঙিয়ে বলি।
—“আমি ন্যাকা নাকি ট্যাকা কান্না দি তাতে আপনার কি হুম? কাজে যায় না হুদাই অলসের মত বাচ্চাদের লগে পড়ে থাকে।
রেগে রেগে কাজ করতেছি।
নাহিল গম্ভীর ফেস করে দেখায় কিন্তু মনে হাসতে হাসতে মুখের এক্সপ্রেশন লুকাচ্ছে।
সে নাজিয়ার পাশে এসে চুলার বাঁ দিকে সাইড করে টেবিল ঠেসে দাঁড়িয়ে বলে।

—“একরাশ চন্দ্রের মাঝে
নিজেকে বিসর্জন করেছি
হুরপরীর হাতে।
ভালোবাসার চন্দ্রলিখায়
তুমি হবে আমার জীবন।
ও প্রিয় বুঝো না আমি তোমায় কতই না চাই।
তোর প্রিয় ভাবনায় নিজেকে করতে চাই স্বর্গবিলাস।
থাকবে কি সারাটা জীবন আমার হাত ধরে?

উনার কথায় ঠোঁটে আনমনে হাসির রেখা ফুটে উঠে। আমি উনার দিকে ফিরে গালে হাত রেখে বলি।
—“হুমমম ভেবে বলব?
—“ওকে ভাবো ততদিনে আমি আরেকটা বিয়ে করে ফেলব!
দুষ্টুমি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে বলে।

—“কিইইইই আরেকটা বিয়ে?
রেগে শাড়ির আঁচল কোমরের মধ্যে পেঁচিয়ে উনার দিকে ঝুঁকে বলি।
—“হুমম তুমিই তো বললা ভাববা!
ভাব নিয়ে নাহিল বলে।
—“উফফ মজাও করতে পারব না ধুর!

নাহিল মুচকি হেসে নাজিয়াকে জড়াতে লাগলে আয়েশা পাপ্পা পাপ্পা বলেই দৌড়ে আছে। নাহিল হাত সরিয়ে ঠিকভাবে দাঁড়িয়ে যায়।
আয়েশা নাহিলের কাছে এসে জট করে উনার কোলে উঠে গেল।

—“পাপ্পা ভাইয়া আর আমার খিদা লাগছে।
—“ওওও মা ঠিক আছে খাবার দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে টেবিলে হবে ওকে যাও।
নাজিয়ার কথায় বাপ মেয়ে কথা বলতে বলতে কিচেন থেকে বেরিয়ে যায়।

—“মিহু ওওও নো মিহু তোমাকে না বলছি ভারি জিনিস উঠাবে না তাহলে কেনো উঠাছো?
সিয়াম রেগে ধমকির স্বরে বলে।

—“ওও সরি আসলে ওই জিনিসটা লাগতেছিল
কাবার্ড এর উপর আচার এর বলম ছিল। তা দেখিয়ে দিল সিয়ামকে।
সিয়াম মিহুকে বসিয়ে নিজে আচারের বলম নিয়ে তার হাতে দিল।
মিহুও পরম তৃপ্তি সহকারে খাইতে থাকে।
সিয়াম মুচকি হেসে মিহুকে দেখছে।
সে তার পাশে বসে আলতো করে জড়িয়ে ধরে মিহুর পেটে হাত রাখে।

মিহু হালকা কেঁপে উঠে। সে কিছু বলবে তার আগেই সিয়াম বলে।
—“নিহাকে ভালোবাসলেও তাকে আপন করতে পারিনি কিন্তু তোমার গর্ভে সে এসে আমাকে বাবা হওয়ার অধিকারটুকু দিচ্ছে ধন্যবাদ যে কিভাবে বলি?
মিহুর মেয়ে হবে কয়েকদিন আগেই টেস্ট রিপোর্ট এসেছিল।
মিহু আচার রেখে সিয়ামকে শক্ত করে জড়িয়ে নে।

রাত ১১টায় ছাদে গেলাম অনেকক্ষণ সুন্দর রশ্নিতো চাঁদের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকি।
হঠাৎ কে যেনো কাপ এগিয়ে দিল।
আমি কাপ বহনকারীর দিকে ঘুরে দেখি। নাহিল দুইকাপ কফি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি মুচকি হেসে কাপটা নিলাম।

—“কি ভাবছো?
নাহিল কাপে চুমুক দিয়ে বলে।
—“ব্যস ভাবছি কিভাবে আমরা এই পর্যায়ে আসলাম।
সব যেনো এখন স্বপ্ন স্মৃতিময় হয়ে গেছে। আমাদের ভার্সিটি লাইফ, তোমার মিশন জব, বিয়ে পর্ব,বাচ্চাদের পৃথিবীতে আগমন সব বছরের পর বছর হয়ে মিটে গেল।
স্মিত হাসলাম।

—“ভালোবাসা আলতো ছোঁয়া
হয়ে তোমার চারপাশ ঘিরে
আমি হবো প্রদীপ।
তোমার ছোঁয়ায় হবে
ভালোবাসার অশেষ ব্যর্থহীন
পূর্ণ হৃদয়।
বলে উনি কাপটা রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরেন।
আচ্ছা আমার পাখিটার কাছে একটি প্রশ্ন জানার ছিল। বাজারে গিয়েছিলে যখন তখন কেউ কি তোমাকে ডিস্টার্ব করেছিল?
উনার প্রশ্নে ভয় পেলাম যদি বলি এক ছেলে অসভ্যতামি করতে চেয়েছিল তাহলে তো আগের রুপে চলে আসবে। মনে অজানা ভয় নাড়া দিল। আমি চাইনা উনি আগের হিংস্র রুপে যান। তাই সত্য কথাই বললাম। অবাককর বিষয় উনি স্বাভাবিক রিয়েক্ট করছেন আর বলেন।
—“কিছু হবে না নাজুপাখি আজকাল সমাজে এগুলো অহরহ হচ্ছে সাবধানে থাকতে হবে। বাজারে চোর ডাকাতের অভাব নেই।

এই বলে কোলে করে রুমে নিয়ে আছে। ঘুমিয়ে যায় দুইজনে।

রাত প্রায় ৩টা

নাজুকে গভীর ঘুমে দেখে গায়ে টি-শার্ট জড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ঐসময় সিয়ামও বের হলো। দুইজন একে অপরকে দেখে বাঁকা হেসে বাসা থেকে বেরিয়ে লনের ধারে এসে দাঁড়িয়ে যায়।
নাহিল পকেট থেকে পলিথিন মোড়ানো ছুড়ি বের করে মাটি চাপা দিলো।
সিয়াম মুচকি হেসে নাহিলের কাঁধে হাত রেখে বলে।

—“দোস্ত লোকটা আজ বেঁচে থাকতো যদি ভাবির সাথে ওমনটা না করতো।

—“হুমম। আমার কলিজাকে টিজ করেছে তো তার লাইফটাও টিজ হবেই।
নাহিল যে লোকটাকে মারলো সে কে ঠিকই বুঝতে পারলেন নাজিয়া যা বলেছিল যে তাকে ডিস্টার্ব করেছিল সেই।
—“কলিজা আমার আমি টার্চ করব শুধু।
কেউ মাঝখানে আসলে আমার ভয়ংকর #ভিলেন_অফ_দিওয়ানাপান দেখবে।
সিয়ামের সাথে হাত মিলিয়ে দুইজন একসাথে ভেতরে গিয়ে নিজ নিজ রুমে চলে যায়।

ভালোবাসা আড়ালে হোক বা প্রকাশ্যে। সেটা যেনো সৎ হয়। সৎ হলে প্রিয় মানুষটাকে পাবেই।
কোনো বাঁধা বিপওি আটঁকাতে পারবে না।
থাকুক নাহিলের ভালোবাসার আড়ালে ভয়ানক রুপটা। যা হয়তো সে প্রকাশ করবে না কিন্তু ঠিক এর রুপ ধারণ করবে নির্দিষ্ট সময়ে।

………সমাপ্ত…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here