ভুবন_বিলাসী part 3
#লেখিকাঃসীমা
আদি আয়ান আর আলিয়াকে দেখে রেগে যায়।আদি নৌকা দোলাতে থাকে।আয়ান আর আলিয়া নৌকার এক কোণে থাকায় নদীতে পরে যায়।
কাজলঃআয়ান ভাইয়া আলিয়াকে বাঁচান ও সাঁতার জানে না।
আলিয়া পানিতে হাবুডুবু খায়।
আয়ান সাঁতার কেটে আলিয়াকে তীরে নিয়ে আসে।
আয়ানঃআলিয়া কথা বলো আলিয়া।
আয়ান আলিয়ার পেটে চাপ দিয়ে পানি বের করে।আলিয়া চোখ খুললে আয়ান বলে,
আয়ানঃআলিয়া কেমন লাগছে?
আলিয়াঃআয়ান….
আয়ানঃথাক আর কিছু বলতে হবে না চলো।
আলিয়াকে কোলে নিয়ে আয়ান বাড়ি আসে। সবাই আয়ানের পিছু পিছু আসে।আদি রাগে গজগজ করতে করতে আসে।আলিয়াকে দেখে ওর দাদি এগিয়ে আসে।
দাদিঃআয়ান কি হয়েছে আলিয়ার?দাদুভাই ভিজে গেছে কেনো?
আয়ানঃদাদি ও পানিতে পড়ে গিয়েছিল অনেক পানিও খেয়েছে।
আলিয়ার মাঃআলিয়ার কিছু হয়নি তো?
চাচীঃভাবি এজন্য সাঁতার শেখা দরকার কিন্তু ভাই তো আলিয়াকে পানিতে নামতে দিতো না।
দাদিঃকালই আমাদের বাড়ির সামনে সুইমিংপুল তৈরী করার ব্যবস্থা করো রহিম(কাজের লোক)সব তুই করবি।
রহিমঃআচ্ছা আম্মা।
দাদিঃআয়ান আলিয়াকে ওর রুমে দিয়ে আসো। বড় বউমা আলিয়ার জন্য সুপ বানাও।
,
,
আয়ান আলিয়াকে নিয়ে ওর রুমে যায়।আলিয়া আয়ানের কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে।আয়ান আলিয়ার ভেজা মুখ দেখে আবারও প্রেমে পড়ে যায়।কপালে আলতো করে ভালবাসার পরশ দিয়ে চলে যায়।আলিয়ার মা আর চাচি আলিয়া ভেজা কাপড় বদলে দিয়ে শুকনো কাপড় পরিয়ে দেয়।
আলিয়ার বাবা রাতের ফ্লাইটে দেশে আসে।বাড়িতে এসে আলিয়াকে ডাকে।আলিয়া অসুস্থ থাকার সত্ত্বেও ছুটে এসে ওর বাবাকে জরিয়ে ধরে।
আলিয়াঃপাপা তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না বলো?
আলিয়ার বাবাঃযাবো না মামনি তোমার গায়ে জ্বর কেনো?
আলিয়ার মা সব খুলে বলে।আলিয়ার বাবা সব শুনে রেগে যায়।
আলিয়ার বাবাঃআলিয়া মামনি রুমে গিয়ে রেস্ট নাও নাহলে পাপা তোমাকে চকলেটের বক্স দিবে না।
আলিয়াঃযাচ্ছি পাপা লাভ ইউ পাপা।(গালে চুমু দিয়ে)
আলিয়ার বাবাঃলাভ ইউ মামনি মেডিসিন ঠিকমত খাবে।
আলিয়া মাথা নেড়ে রুমে যায়।
আলিয়ার বাবাঃমা আমার মনে হচ্ছে আলিয়ার প্রতি নজর বেশি করে রাখতে হবে।ও ছোট থেকে আঘাত পেয়ে আসছে আমার মনে হয় আলিয়াকে আমাদের কাছ থেকে সরানোর জন্য কেউ এসব করছে।
দাদিঃমেহরাব এটা এক্সিডেন্ট ছিলো।
আলিয়ার বাবাঃআমার কেনো জানি মনে হচ্ছে কেউ জেনে বুজে করেছে এটা।
আলিয়ার মাঃআমাদের মেয়ের কিছু হবে নাতো?
আলিয়ার বাবাঃনা নিতু আমি তা হতে দিবো না।
,
,
ডিনারের সময় আলিয়া আদির খাবারে মরিচের গুড়ো মিশিয়ে দেয় সবার আড়ালে।আদি খেতে বসে ঝালে চোখ দিয়ে পানি পড়ে।সবার সামনে কিছু বলতেও পারেনা।আলিয়া আদির অবস্থা দেখে মুচকি মুচকি হাসে।
ডিনার শেষে আলিয়া ওর বাবার কোলে মাথা রাখে।
আলিয়াঃপাপা একটা গান বলো না?
আলিয়ার মাঃআলিয়া ঘুমাতে যাও পাপা ক্লান্ত।
আলিয়াঃমাম্মা(কিউট ফেস করে)
আলিয়ার বাবাঃওকে মামনি বলছি।
আলিয়ার বাবা গান বলে,
লক্ষীসোনা আদর করে দিচ্ছি তোকে লক্ষ চুমু মায়া ভরা তোরেই মুখে(নিজ শুনে নিয়েন)
আলিয়া গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যায়।আয়ান আলিয়াকে কোলে করে বেডে শুয়ে দেয়।
আয়ান আলিয়াকে ছেড়ে উঠতে চাইলে আলিয়া ঘুমের ঘোরে আয়ানের হাত চেপে ধরে।
আয়ানঃআলিয়া আই লাভ ইউ।
আয়ান হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চলে আসে।
,
পরদিন কাজল আর পিয়া ঘুম থেকে না উঠলে ওদের গায়ে পানি ঢেলে দেয় আলিয়া।
কাজলঃআলিয়া এটা কি হলো????
আলিয়াঃআর কত ঘুমাবি উঠ।???
পিয়াঃআরেকটু ঘুমাই না???
আলিয়াঃএবার কিন্তু আরো পানি ঢালবো?
কাজল আর পিয়া লাফ দিয়ে উঠে।আলিয়া আবির আর সায়ানকে বেড থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
সায়ানঃআলিয়া আজ তোর খবর আছে।
আলিয়া দৌড় দিয়ে আয়ানের রুমে যায়।আয়ান বই পড়ছে দেখে আলিয়া চুপচাপ রুমে লুকিয়ে পড়ে।সায়ান আর আবির রুমে আসে।
সায়ানঃআয়ান আলিয়া কই?
আয়ানঃজানি না ও তো আমার রুমে নেই।
আবিরঃআলিয়া বাড়ি আসলে আমাদের এমন কিছু করবে তা তো আগে থেকে জানতাম।
সায়ান আবির চলে গেলে আয়ান বলে,
আয়ানঃআলিয়া বের হয়ে এসো।
আলিয়া খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসে।
আলিয়াঃআপনি কিভাবে জানলেন???
আয়ানঃতোমার উপস্থিতি আমি টের পাই কারণ..
আলিয়াঃকারন কি?
আয়ানঃকিছু না যাও।
,
,
আলিয়া সাদিয়ার গায়ে ব্যাঙ ফেলে দেয়।
সাদিয়াঃআলিয়া এটা কি করছো?
আলিয়াঃদাদি বলেছে বেশি দেরী করে ঘুম থেকে উঠা স্বাস্থ্য এর জন্য ভালো না।
সাদিয়াঃতুই যা আমি ঘুমাবো।
সাদিয়া ঘুমিয়ে পড়লে আলিয়া নিচে গিয়ে জোরে মিউজিক বাজিয়ে সখিনাকে নিয়ে নাচতে থাকে।মিউজিকের শব্দে সবাই ঘুম থেকে উঠে।সর্বপ্রথম আদি এসে আলিয়াকে নাচতে দেখে হাসতে থাকে।আলিয়া রেগে কিচেন থেকে আটার কৌটা নিয়ে এসে আদির মাথায় ঢেলে দেয়।সবাই আদিকে দেখে হাসতে থাকে।
আদিঃকি করলে এটা???
আলিয়াঃদাদিইইই???
দাদিঃকি হয়েছে দাদুভাই?
আলিয়াঃআ আ আ???
দাদিঃকি হয়েছে আলিয়া?
আলিয়াঃআদি ভাইয়া আমাকে বকেছে???আমি আর থাকব না এখানে??
দাদিঃকই আদি?এই সাদা ভুতটা কে????
আদিঃআলিয়া তোমাকে আমি দেখে নিবো।??
আলিয়াঃ আমাকে ধোকা দেওয়ার শাস্তি তুমি পাবে।???
আবিরঃসাদিয়ার বর সাদা ভুত????
সায়ানঃওমা আমার পেট ফেটে যাবে হাসতে হাসতে?????
সাদিয়াঃআদি যাও শাওয়ার নাও???
আলিয়াঃ???
দাদিঃআজ সবাই মাজারে যাবো।
আলিয়াঃদাদি এসব শিরক।
দাদিঃজানি আমি কিন্তু আমরা যাবো এতিমখানায় যেটা মাজারের পাশে।
কাজলঃদাদি আমরা রেডি হচ্ছি।
আলিয়া রুমে গেলে সবাই হাসতে থাকে।
কাজলঃআরে আলিয়া ইয়ার তুই আদিকে???
পিয়াঃআদির মুখটা দেখার মত ছিলো?????
আলিয়াঃদাদি বকবে বলে কেমন কান্না একটিং করলাম☺☺☺
কাজলঃআদিকে বড় ধরনের শিক্ষা দিতে হবে।
আলিয়াঃকেবল তো শুরু দেখ এবার কি করি???
,
,
আলিয়ার মা আলিয়ার বাবা রুমে গল্প করছে।
আলিয়ার বাবাঃনিতু আলিয়াকে চোখের আড়াল করবে না।
আলিয়ার মাঃএতো চিন্তা করো কেনো?
আলিয়ার বাবাঃআলিয়া আমাদের বংশের উত্তরাধিকারি তাই চিন্তা হয়।
আলিয়ার মাঃসায়ান আমাদের সন্তান না হলেও ওকে তো আমরা বড় করে তুলেছি।
আলিয়ার বাবাঃমানছি আমি কিন্তু ও আমাদের রক্ত না একবার ভেবে দেখো আলিয়া আমার ডাকে অসুস্থ থাকার সত্ত্বেও ছুটে আসে সায়ান কি একবারো এসেছিলো?
আলিয়ার মাঃসব ঠিক হয়ে যাবে।
,
,
আলিয়া শাড়ি পড়তে গেলে পারে না পরতে।কাজল আর পিয়াও পারে না।আয়ান আলিয়ার রুমে আলিয়াকে ডাকতে আসে।আয়ান আলিয়াকে দেখে নিজের চোখ ঢেকে ধরে।আলিয়াঃওই চাশমিশ আমার রুমে এসেছিস কেনো????
আয়ানঃতোমাকে ডাকতে বাইরে সবাই ওয়েট করছে।
কাজলঃভাইয়া আলিয়া শাড়ি পড়তে চাইছে বাট
আয়ানঃআমি পড়িয়ে দিচ্ছি
আলিয়াঃ?????
আয়ান আলিয়ার ওড়না দিয়ে নিজের চোখ বেধে নিয়ে আলিয়াকে সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দেয়।
কাজল আর পিয়াঃওয়াও???
আলিয়াঃ???
আয়ানঃনিচে এসো ??
সবাই মিলে এতিমখানায় যায়।আলিয়া এতিমখানার বাচ্চাদের সাথে খেলতে থাকে।লুকোচুরি খেলতে খেলতে আলিয়া এতিমখানার পিছনে চলে আসে।এমন সময় আলিয়াকে কেউ গুলি করে বাইকে করে পালায়।আলিয়া পেটে গুলি লেগে রক্ত ঝরতে থাকে।আলিয়া জোরে একটা চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
চলবে
Pagol sagoler golpo,,tr upr pagol lakhika bole majare jawa sirik,tmr duniai asa tai sirik