ভোরের ছোঁয়া
শেষ পর্ব
নিলাঞ্জনা রহমান
শুভ যেতে লাগলে তারা তাকে আটকায়।
শুভঃ কি হলো আটকালে কেনো?
তারাঃআপনার কি বুদ্ধি নাই ওদের মধ্যে ঢুকতাসেন ? ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দিন।
তারা গেস্ট দের উদ্দেশে বললো সরি পার্টি ওভার আপনারা আসতে পারেন।সবাই চলে গেলো।
তারাঃচলেন আমরাও যায়। ওরা থাক।
শুভঃ কিন্তু কোনো কিন্তু না চলেন। তারা শুভকে নিয়ে চলে গেলো।
অন্যদিকে…..
তিথি ছাদের কোণে দাড়িয়ে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। প্রহর ঠিক ওর পিছনে দাড়িয়ে আছে।সংশয় আর ভয় এর কারণে ডাকতে পারছেনা।কিছুক্ষন ভেবে প্রহর তিথির কাধে হাত দিতেই তিথি পিছনে ফিরে প্রহরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। তিথির কান্নায় প্রহর এর শার্ট ভিজে যাচ্ছে।
তিথিঃ আপনি খুব খারাপ।আপনি জানেন আপনি ধোকা দেয়ার সাথে সাথে আমি সেদিন মরে গিয়েছিলাম। জানেন আমার কত কস্ট হতো।আপনাকে ঘৃণা ও করতে পারছিলাম না আবার ভালোবাসতে ও পারছিলাম না। কেনো এমন করলেন????
প্রহর তিথির চোখের জল মুছে দিয়ে আমি সব তোমার জন্য করেছি তোমার ভালোর জন্য। প্লিজ আর এমন করবোনা মাফ করে দাও।
তিথিঃ নাক মুছতে মুছতে বললো তা বুঝলাম কিন্তু আপনি আজকে কেনো ঐ ইরার সাথে নাচলেন????
প্রহর হালকা হেসে বললো আসলে সময় এর জন্য। নাজিম ভিডিও ঠিক করতে টাইম দরকার ছিলো তাই।আর করবো না প্রমিস।
তিথিঃ,তা ঠিক কিন্তু আপনাকে আমি মাফ করছিনা আপনি আমাকে ১মাস কস্ট দিয়েছেন আমি ও দিব।আপনি ১মাস আমার সাথে শুবেন না।
প্রহর হালকা হেসে বললো শোয়া লাগবেনা আমার সাথে বসলেই হবে।দেখেছ আজকে চাঁদটা অনেক সুন্দর তাই না??
তিথি মুগ্ধ নয়নে আকাশ দেখছে আর প্রহর তিথিকে। অনেক সাধনার পর তোমাকে পেলাম আর কখনো ছাড়বো না বলে তিথিকে জড়িয়ে ধরলো।
ঐ দিকে,,,
শুভ আর তারা হাটছে পাশাপাশি চাঁদের আলোতে।তাদের হাত ছুই ছুই অবস্থা। হঠাৎ কি ভেবে শুভ তারার সামনে হাটু গেড়ে বসে পরলো।তারা,অবাক।
শুভঃ জানি আমি ওতো ভালো না অগোছালো।সিরিয়াস না লাইফে। ঠিক করে প্রপজ ও করতে পারি না।কিন্তু আমার এ অগোছালো একলা জীবনে তোমাকে চাই।প্রথমদিন থেকে যেদিন প্রথম তুমি আমার সেকেটারী হয়ে এসেছিলে এরপর তোমার সাথে থাকতে থাকতে তোমার প্রতি আরো আকৃষ্ট হই।এতোদিন কিছু বলিনি তোমাকে হারানোর ভয়ে।কিন্তু আজ বলবো, তোমার যা ডিসিশন তুমি নাও।কিন্তু শুধু একটায় কথা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
তারা এতক্ষন সব শুনছিলো চাঁদের আলোই তার চোখের জল চিকচিক করছে।
তারাঃআপনি জানেন স্যার আপনাকে প্রতিটা কোর্টে সুন্দর লাগতো কিন্ত অন্য মেয়েরা যখন আপনার তারিফ করতো আমি নিতে পারতাম না তাই,আপনাকে এমন বলতাম।আপনাকে আমি আমার জবের প্রথমদিন থেকে ভালোবেসেছি আজ ও বাসি।বলে কান্না করতে লাগলো।
শুভ উঠে তারাকে জড়িয়ে ধরলো।
চারজন মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসার সাক্ষী হলো চাঁদ আর তার চাঁদনী।
আসবে তাদের জীবনে নতুন ভোরের ছোঁয়া।
সমাপ্ত
[আমার কথাঃএ গল্পটা আমার প্রথম লিখা আর আপনাদের যথেষ্ট ভালোবাসা পেয়েছে।আমার মতে ভালোবাসা আর প্রেম এক কথা না দুটি ভিন্ন। প্রেম ক্ষনস্থায়ী।আর ভালোবাসা লাইফ,টাইম।
উদাহারন বলা যায়, প্রেম হলো ঐ খরগোশটা যে খুব জোড়ে দৌড়ায় কিন্তু কিছুদূর গিয়ে থেমে যায়।আর ভালোবাসা হলো ঐ কচ্ছপ যে ধীরে ধীরে চলে তবে জিতে যায়। তাই মানুষকে ভালোবাসুন। এই ভালোবাসা শুধু বফ গফ না মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা।????}
পাঠকদের প্রশ্ন ঃ
১। হিরো হিরোইন এর নাম তিথি প্রহর কেনো?
উঃ এই জুটি প্রচুর হিট।আমার প্রিয়।আর ফিল্ম এ কোনো জুটি হিট হলে ঐ জুটি নিয়ে বারবার কাজ করা হয় তেমনি আমি ও করলাম???
২। গল্প বড় না করার কারণ?
উঃ বেশি বড় করলে ভালো লাগতোনা। সিম্পল হলেই ভালো প্যাচ গোচ এনে গল্পের মাধুর্যতা নষ্ট করার,মানে হয় না।
এই,গল্পের পার্ট গুলা পেজে আছে।আর আমার অন্য একটি গল্প আসতে চলছে যার নাম “অনুভবে তুমি” যদি আপনারা বলেন তাহলে গল্পটি দিবো গ্রুপ এ। নতুন কাহিনী।
আজ এ গল্পের লাস্ট পার্ট আপনারা আজকে পুরা গল্প নিয়ে,মতামত দিবেন।আজকে নেক্সট নাইস দিবেন না প্লিজ মতামত দিবেন।
এই গল্পের কোন চরিএ আপনাদের মন ছুঁয়েছে তা অবশ্যই,জানাবেন।
ধন্যবাদ এতো ভালোবাসা দেয়ার জন্য।
?????????????for the last time
Its yoo yoo nilu baby rocks