ভোরের ছোঁয়া ৯ম পর্ব

0
3003

ভোরের ছোঁয়া
৯ম পর্ব
নিলাঞ্জনা রহমান

তিথি এক পলকে তাকিয়ে আছে প্রহর এর দিকে। প্রহর ও তাকিয়ে আছে।কিন্তু ওর মুখে এক রহস্যময় হাসি। প্রহর তিথির আরো কাছে এসে সামনে আসা চুলগুলি কানের পিছনে দিয়ে দিল।প্রহর এর স্পর্শে তিথি হালকা কেপে উঠলো।প্রহর তিথির কাপাকাপি দেখে হালকা হেসে তিথির দিকে তাকাতে তাকাতে বললো,
নাজিম(প্রহর এর অফিস ইম্পলই)প্রজেকটর টা অন কর।
প্রহর এর কথামতো নাজিম প্রজেকটর অন করলো।
অন করতেই যা দেখলো তাতে সবাই অবাক। কারন তাতে ইরা আর প্রহর বসে আছে। ইরা ড্রিংক করেছে এবং কিছু বলছে…..
ইরাঃ প্রহর আই লাভ ইউ।তোমার জন্য আমি সব করতে পারি।(নেশায় মগ্ন)
প্রহরঃকি করতে পার?
ইরাঃসব। কাউকে খুন ও করতে পারি।
প্রহরঃহুমমম খুন। জানো তিথিকে মারার কত চেষ্টা করলাম কিন্তু প্রতিবার তুমি তাকে বাচাতে। সিড়িতে সুতা দিয়ে পা বাধিয়ে মারতে চাইলাম পারলাম না। পার্টিতে ঝুমুর ফেললাম তবু ও বেচে গেলো??
প্রহরঃকেনো এমন করেছো?আর কে তোমাকে সাহায্য করেছে?
ইরাঃ(নেশায় কাতর)তোমায়,ভালোবাসি বলে, ছোট থেকে তোমায় ভালোবাসি কিন্তু তুমি করলে ঐ মেয়েকে মেনে নিতে পারিনি।জানো অনেক ট্রাই করেছি তোমাকে ভুলতে কিন্তু পারিনি,তুমি আমার নেশা ছিলে।আমি পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম তোমাকে ঐ মেয়ের সাথে দেখে।পারছিলাম না আর তখন বাবা বললো যা তোমার তা ছিনিয়ে নাও,আমি ও তাই করলাম।
প্রহরঃ চাচ্চু?? (অবাক হয়ে)
ইরাঃহুমমম বাবা। বাবা তোমার সম্পত্তির জন্য এমন করেছে।বাবা জানতো আমার সাথে বিয়ে হলে অর্ধেক সম্পত্তি আমার তাই এমন করেছে।কিন্তু তুমি জানো তুমি অনেক ভালো কাজ করেছো ঐ মেয়েকে মেরে ফেলেছ। আমাকে তুমি ভালোবাস তাই না প্রহর।
প্রহরঃ হুমম জান আমি তোমাকে ভালোবাসি খুবববব।যাও সোনা ঘুমাও। বলে ইরাকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো।আর এখানেই ভিডিও শেষ।ভিডিও শেষ হতেই হলে লাইট জলে উঠলো।
তিথির চোখ দিয়ে জল পড়ছে।
ইরা মেঝেতে বসে পরলো আর কান্না করতে লাগলো।
প্রহরঃ চাচ্চু কিছু বলবা?
চাচা কিছু বলতে পারছেনা চুপ হয়ে আছে।
প্রহরঃআমি জানি আপনাদের সবার ঘোলাটে লাগছে স্পেশিয়ালি তিথির। আমি সব বলছি।
“তিথি এখানে আসার পর পর বারবার তিথির উপর হামলা হচ্ছে । কোনোদিন সিড়ি থেকে,কোনোদিন ঝুমুর কোনোদিন গরম পানি।প্রথমে এগুলা আমার কাকতালীয় মনে হলেও পরে আমার সন্দেহ হতে থাকে।আমি বুঝতে পারছিলাম না কিন্তু একদিন আমার সব সন্দেহর শেষ হয় যেদিন ইরার রুমের পাশে দিয়ে হাটার সময় ওর কথোপকথন শুনতে পায়..
সেদিন…..ইরা মোবাইলে কথা বলছে…

ইরাঃতোমাদের দারা একটা কাজ ও হয় না। একটা সহজ কাজ পারলে না শুধু ঝুমুরটা তিথির উপর ফালাতে হবে তাও পারলেনা?
ওপরপাশ ঃ………..
ইরাঃওকে কিছুদিন এর জন্য লুকিয়ে পড়।আর যাতে না দেখি তোকে।
অপরপাশঃ………..
বর্তমান……
সেদিন আমার মাথায় খুব বড় একটা পাথর পড়ার মতো অবস্থা হয়ে ছিলো।
আমার কাছে কোনো প্রমান ছিলো না।
আমি পরেরদিন অফিসে বসে ভাবছিলাম কিভাবে কি করব যাতে আমার তিথিকে বাচাতে পারি আর আমি জানতাম এটা একা ইরার কাজ না অন্য কেউ ওর সাথে আছে।
এমন টাইম আমার অফিসে আসে আমার ছোটবেলার বন্ধু শুভ।
নামটা শোনার সাথে সাথে তিথি প্রহর এর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়।
প্রহর প্যানটের পকেটে হাত রেখে হালকা হেসে বলে,তুমি ঠিক ভাবছো তোমার বন্ধু শুভর কথায় বলছি।।তিথি এবার শুভর দিকে তাকালো।
শুভ হাসছে।
অতীতঃ
শুভঃ মেই আই কাম ইন স্যার।
প্রহরঃইয়েস।বলে দরজার দিকে তাকাতেই আরে শুভ তুই বলে চেয়ার থেকে উঠে শুভকে জড়িয়ে ধরলো।
প্রহরঃকি খবর তোর। এতদিন পর। কই ছিলি তুই এতোদিন???
শুভঃ আরে বলিস না একটা প্রোজেক্ট এর জন্য লন্ডন গেছিলাম।তোর কি খবর বিয়ে তো করলি ভাবি কেমন আছে।??
প্রহরঃহুমমম
শুভঃ কি হলো সব ঠিক আছে তো?
প্রহরঃনা রে।এরপর প্রহর শুভকে সব বললো।
শুভঃ কি বলস এটা তো ভয়ানক।
প্রহরঃ হুমম আমি বুঝতে পারছিনা কি করব আর ইরার সাথে আর কে কে জড়িত।
শুভঃ আমার একটা প্লান আছে।
প্রহরঃকি বল।
শুভঃ তুই ইরার সাথে প্রেমের অভিনয় করবি
প্রহরঃকি?????
না সম্ভব না।।শুভঃ ঐ নায়িকা শাবানার ভাই চুপ কর আগে শুন।তুই ওর সাথে নাটক করবি তারপর সব বের করবি তারপর কাম শেষ।
গুড আইডিয়া।
….
হুমমম
বর্তমানঃপ্রহরঃ এজন্য আমি ওর সাথে ভালেবাসার নাটক করতে শুরু করি।ওকে এমনভাবে দেখায় যে আমি ইরার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি। এভাবে সব হচ্ছিলো কিন্তু বিপওি হলো সেদিন……ইরাঃপ্রহর তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই না
প্রহরঃ হুমমম।
…..তাহলে তিথি কি করছে ওকে ডিভোর্স দাও।
….তা সম্ভব না।আমি ওকে তালাক দিলে আমার সম্পত্তির অর্ধেক ওর কাছে চলে যাবে।(কথা পাল্টানোর জন্য)
……কি????
….হুমমম…

……তাহলে একটা উপায় আছে ওকে মেরে ফেলো।
..….ওয়াট, কি বলছো.?
….আমি ঠিক বলছি।তুমি ওকে মারবা
….কিন্তু আমি….
…..তুমি মারবা ওকে নাহলে বুঝবো আমাকে ভালোবাস না।
….ওকে আমি দেখছি।বলে চলে গেলো।
পরেরদিনঃ
এখন বল আমি কি করবো? ও আমাকে বলছে তিথিকে মারতে। আমি কি করবো।তার উপর তিথি আমাকে সন্দেহ করছে আমি ওকে কিছু বলতেও পারছিনা।ইরা আামার উপর নজর রাখছে।তার উপর কোনোভাবে ওর বিশাস ও অর্জন করতে পারিনি সেদিন ভাবলাম ড্রিংক করায় সব জানবো কিন্তু ও ড্রিংক করলোনা আর কোনো কিছুতে মিক্স করে খাওয়াব তার উপায় নাই।চালাক মেয়ে এখন তুই বল আমি কি করবো।
শুভঃ মেরে ফেল তিথিকে।
প্রহরঃ তুই পাগল হয়ে গেছস?
শুভঃ আরে সত্যি সত্যি মারব না নাটক।

বতর্মানঃ
তখন আমরা সব প্লান করি আমাদের প্লান ছিলো বান্দরবান গিয়ে তোমাকে সব বলবো কিন্ত আমাদের কিসমত এতো খারাপ ওখানে ও ইরার লোক ছিলো।তাই বলতে চেয়ে ও পারা হয়নি কারন আমরা যাওয়ার আগে ও আমাদের রুমে সাউন্ড বক্স লাগিয়েছিলো।আমি কাপড় নেয়ার সময় তা দেখে ফেলি।তাই তখন ও বলা হয় না। শুভ ও ওখানে ছিলো।তারপর সকালে আমরা বের হই।এরপর আমরা নাটকটা করি কারন ওখানে ও ইরার লোক ছিলো। পাহারের নিচে আমাদের রেসকিউ টিম ছিলো। ওরা ১৭০ফুট নিচে ছিলো যাতে কারো নজরে না পড়ে।ওরা তোমাকে বাচায় ও। তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আমার সাথে শুভ যোগাযোগ করে।
আর তখন আমার মাথায় আসে তোমাকে যদি এসব বলে দি তুমি হয়তো টেনশন করবা আর আমার সাথে যোগায়োগ করার ট্রাই করবা।যেটা আমাদের প্লান এর জন্য ক্ষতিকর।আর তুমি যদি জানো আমি নিজেকে ওদের মতো ভয়ানক লোকদের সাথে আছি তাহলে আমার সাথে দেখা করতে চাইতে।
আমি ভাবলাম এমন কিছু করতে হবে যাতে তুমি আমাকে ভুলে থাক।আর আমার সামনে ও না আস। তাই এতো কিছু।শুভ ও তাই মিথা বলে। তারপর তোমার অফিসে আসার কারন তোমাকে আমার লাইফ এ আবার ব্যাক করার জন্য কারন যাতে আজকের দিনটা পাই।
তিথি এখনো অবাক।তোমাকে মারার পর আমি বাসায় আসি।এরপর এই ১মাস ওদের সাথে আমি ছিলাম ওদের কাছাকাছি গেলাম আর পরশু আমি ঠিক একটা চান্স পেলাম আর ইরা কে নেশা করিয়ে ভিডিও করেছি।
তারপর…….……
চলবে…………….
[আর কয়েকটা পর্বে গল্পটা শেষ হবে}
{বানান ভুল হবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।আপনারা গলি ছোট বলছেন বাট আমার কিছু প্রবলেম এর কারনে এমন হচ্ছে। আমি ডেইলি গল্প দেওয়ার ট্রাই করছি। আজকে বড় পার্ট দিসি প্লিজ ছোট বইলেন না ললিপপ খায় মরমু আমি।??
আমি ট্রাই করতাসি। যদি পড়াশুনা বাদ দিয়ে খালি লেখি আম্মা আমারে ঝাটা দিয়া পিটাবে।সো আামারেও একটু দয়া করেন।??বাট আই লাভ ইট আপনারা গল্প, টা চান তাই অনেক কস্ট করে দিতাসি আর কালকে ও দিব ইনশাআল্লাহ। }
হেপি রিডিং
its yoo yoo nilu baby rocks

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here