ভোরের ছোয়া ৪র্থ পর্ব

0
2101

ভোরের ছোয়া
৪র্থ পর্ব

নিলাঞ্জনা রহমান

তিথি বাসর ঘরে ওয়েট করছে। উফফফ এতোক্ষন লাগে আসে না কেনো। আমি মরতাসি জলদি আসেন.???
অন্যদিকে, প্রহর ঢুকবো নাকি ঢুকবোনা এই নিয়ে আছে।
প্রহরঃউফফফ,প্রহর রিলেক্স। তোর ই তো বউ অন্য কারো থেকে ধার করে,আনিসনি ভয় কিসের?.কিন্তু যে,মেয়ে মা কে কোনো মতে পটায় মেয়েকে বিয়ে করসি। এখনো মনে পড়ছে…….
মাঃ শুনো ছেলে বুঝলাম তুমি আমার মেয়েকে ভালোবাস খুব ভালো কথা কিন্তু কিছু শর্ত আছে??।
প্রহরঃঢোক গিলে বললো জি বলুন
মাঃ১ম শর্ত মাসে,একবার হলে ও আমার মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে,যাবা। তোমার যতই,কাজ থাকুক না কেনো।
২য়,শর্ত আমার মেয়ে ৩দিন রান্না করবে তুমি তিন দিন রান্না করবা আর একদিন একসাথে রান্না করবা
৩য় শর্ত,শুক্রবার,রাতে আমার,মেয়ের সাথে বসে আমার মেয়ে যে ছবি দেখবে রাত জেগে তুমি ও তা দেখবা, ঘুমাতে পারবানা।না হলে মশা মারার ব্যাট দিয়ে তোমাকে মারা হবে।
৪র্থ শর্ত আমার মেয়েকে দিয়ে বেশি কাজ করাবা না অনেক বেশি কাজ করাবা ??।
এটা শুনে প্রহর কিছুটা টাসকি খেলো।।
মানে??
আরে মানে কি? আরে কাজ না করলে মুটকি হয়ে যাবে তখন ওর ছেলে মেয়েরা ওকে নানি ডাকবে আর তুমি আন্টি তাই শুকনা থাকতে বলবা৷ এছাড়া তুমি যদি নিয়ম এর টের মেটের করো তাহলে তোমার পিছনে ঝাড়ু নিয়ে দৌড়াতে ওর সুবিধা,হবে তাই শুকনাই ভালো।
এসব শুনে প্রহর এর অবস্থা এমন হলো ওর কানে শোলে ফিল্ম এর “ইয়ে হাত মুঝে দে দে ঠাকুর, মু হাহাহা”আর তিথির মাকে গাববার সিং মনে হচ্ছে।
হঠাৎ প্রহর এর ধ্যান ভাঙে। অনেক সাহস করে প্রহর তিথির সামনে যায়।
প্রহর একটু তিথি বললো একটু দাড়ান প্রহর থামলো। তিথি ফুল স্পিড এ খাট থেকে নেমে এক দৌড়ে প্রহর কে সালাম করে আর এক দৌড়ে বাথরুম এ যায়। প্রহর তো হ্যাবলা হই আছে। কি হলো তা বুঝার ট্রাই করতাসে.। ৫মিনিট পর তিথি বের হলো। প্রহর তখন ও ঐ অবস্থায়।
তিথিঃওহহ আপনি এখনো দাড়িয়ে আছেন।আপনার ফেস দেখে মনে হচ্ছে কেউ আপনার থেকে আপনার কিডনি চাইসে। আসলে আমার না খুব জোড়ে ১ নম্বর ধরসিলো কিন্তু আপনার কাজিন ইরা (চাচার মেয়ে)বললো আপনি না আসা পর্যন্ত আমি যাতে বসে থাকি তাই এতক্ষন বসে ছিলাম।
প্রহর কিছু বলতে পারছেনা।
তিথিঃআপনাকে কিছু বলার ছিলো৷ আসলে আপনাকে আমি বিয়ে করসি কারন মা বলেছে।আপনাকে বুঝতে আমার টাইম লাগবে। সো আজকে আপনি আমার সাথে কুচিপুচি করলে খবর আছে।??
প্রহরঃকুচিপুচি?(অবাক হয়ে).
তিথিঃ আরে বুঝে,নেন না আপনি এতো অবুঝ কেনো।
প্রহরঃঠিক আছে আৃমি কুচিপুচি করবনা কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।।
তিথিঃকি?
প্রহরঃতোমাকে অলওয়েজ আমার বুকে ঘুমাতে হবে,আর আজকে রাতে আমরা বারান্দায় চাঁদ দেখবো। এতটুকুই আর কিছু,থাকলে পরে এড করবো। এখন বলো আমার শর্ত নাকি কুচিপুচি।
তিথিঃনা আপনার শর্ত।
প্রহরঃওকে তাহলে চলো।
এরপর তিথি আর প্রহর,বারান্দায় বসে চাঁদ দেখছে।হঠাৎ প্রহর তিথিকে নিজের কাছে টেনে বুকে জড়িয়ে নেয়। তিথি ও প্রহর এর বুকে শুয়ে চাঁদ দেখায় মনোযোগী।
তিথিঃ আচ্ছা উনি কি জানেন ওনার শরীর থেকে একটা ঘ্রাণ বের হচ্ছে । যেটা কোনো পারফিউম নাকি উনার নিজস্ব কোনো বৈশিষ্ট্য তা আমি বুঝতে পারছিনা।কিন্তু ঘ্রাণটা পাগল করে দেওয়ার মতো।(মনে মনে)
“এতো পাগল হইওনা নাহলে কুচিপুচি টা এখন ই সারতে হবে ” চোখ বন্ধ করে মুচকি হেসে কথাটি বললো প্রহর।
তিথি কিছুটা অবাক হয়ে
উনি কিভাবে জানলেন আমি মনে মনে কি বলছি(মনে মনে)
এতো ভেবে লাভ নেই তুমি আমার একমাএ বউ তোমার,মনের কথা জানবনা তো কি পাশের বাসার জরিনার কথা জানবো।চুপচাপ ঘুমিয়ে পড় ওকে।
তিথি কিছু বললো না ঘুমিয়ে পড়লো।প্রহর ও তিথি কে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
এভাবে তাদের জীবন কাটছিলো।
২মাস,পর…..
অনেক কিছু,পাল্টে গেছে এ ২মাস এ….
তিথির মা তাদের বিয়ের,৪দিন পর মারা যান।তার একটি বড় রোগ হয়পছিলো তাই তিনি তিথিকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।আর তিথি যাতে কস্ট, না পায় তাই ওকে জানাইনি।মা রা আসলে এমন ই হয়।সব দুঃখ কস্ট নিজের কাছে রাখে।(আই লাভ ইউ আম্মু)
এই শক থেকে উঠতে প্রহর তিথিকে অনেক সাহায্য করছে।তার পাশে দাড়িয়েছে।কারন প্রহর ছাড়া,তিথির আর কেউ নেই।প্রহর আজ ও তিথির কাছে কোনো অধিকার চাইনি।
তিথি ও কিছুটা শান্ত আপাতত।
প্রহরঃতিথি আমি্ আসি। অফিসে লেট হচ্ছে। তিথিঃ ওকে।বাই
প্রহরঃকি,বাই আমার জিনিস কোথায়? কিছুটা
ভাব নিয়ে।
তিথিঃউপপসস ভুলে গিয়েছিলাম। বলে প্রহর এর কপালে ভালোবাসার পরশ দিলো।
প্রহর ও তিথির কপালে দিলো।
প্রহর বেরিয়ে গেলো।
হঠাৎ তিথির,নজর গেলো প্রহর ফাইল রেখে গেছে তাই তিথি ফাইলটা নিয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে লাগলো আর তখন ই কিছু একটার সাথে লেগে পড়ে যেতে গেলে প্রহর এসে তিথি কে ধরে ফেলে।
প্রহরঃতিথি তুমি ঠিক আছো তো?।
তিথি খুব ভয় পেয়ে,যায়।
তিথিঃহুমমমম।
চাচাঃবউ মা তুমি ঠিক আছো তো?
ইরা ঃভাবি ব্যাথা পাওনি তো?
(চাচা আর ইরা প্রহর এর সাথে থাকে।প্রহর এর মা বাবা অনেক আগেই মারা যান। তাই প্রহর এর চাচা,ওকে লালন পালন করেছে।ইরা ওনার মেয়ে।ইরার,মা ও মারা গিয়েছেন।ওরা এখানেই থাকে)
তিথিঃ আমি ঠিক আছি নো টেনশন।
প্রহরঃআর ইউ সিউর।
তিথিঃআরে হুমম বাবা। হয়তো পা স্লিপ কেটেছে।বাদ দাও।।
প্রহরঃ ঠিক আছে।কিন্তু সাবধানে হাটবা ওকে?
তিথিঃহুমমম
প্রহরঃ আচ্ছা চলো বলে তিথি কে কোলে তুলে নিলো
তিথিঃএই আপনি কি করছেন
প্রহরঃচুপ হাটতে,পারে,না আর বড় বড় কথা। তুমি আজ রুম থেকে বের হবানা।
তিথিঃ কিন্তু
প্রহরঃ কোনে কিন্তু না ব্যাস।
তিথিঃঠিক আছে
…………..
…..…………….
চলবে…….
হেপি রিডিং
its yoo yoo nilu baby rocks?????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here