ভোরের ছোয়া ৫ম পর্ব

0
2180

ভোরের ছোয়া
৫ম পর্ব
নিলাঞ্জনা রহমান
তিথি একা রুমে বসে ভাবছে……
আচ্ছা মানুষটা এতো ভালো কেনো? এতদিন হলো কখন আমার থেকে অধিকার দাবি করলো না।উল্টো মা মারা যাবার পর আমাকে সামলিয়েছে। আসলেই লোকটা ভালো।মা ঠিক ই বলেছিলো….
মাঃ তিথি আমার মনে হয় ছেলেটা তোকে আসলেই ভালোবাসেরে। যদিও ফুলকপি দিয়ে প্রপজ করেছে। (কিছুটা মন খারাপ করে) তবে অন্যরকমভাবে। বল আজ পর্যন্ত কেউ কাউকে ফুলকপি দিয়ে প্রপজ করেছে।তুই যখন তোর নাতি নাতনিকে বলবি এই কাহিনী তোর নাতি নাতনিরা বলবে কত আনকমন কাহিনী তোর ও প্রেসটিজ বারবে। ভাব একবার।প্রেসটিজ এর জন্য হলে ও বিয়েটা কর। আর ছেলেটা দেখতে ও খারাপ না আমি যদি তোর বাবাকে বিয়ে না করতাম আর তখন এই পোলাটা থাকতো তাইলে ওরে বিয়া করতাম।।তিথি মায়ের কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাসে।
মাঃআর শুন তুই বিয়ে জলদি কর তোর বিয়ের জন্য কান্নার প্রেকটিস করতে করতে আমার কান্না যাতে শেষ,না হই যায় তাই জলদি কর একবার কান্না শেষ হলে তোর বিয়েতে কান্না করতে না পারলে আমার পাশের বাসার ভাবিরা কানাখুশা করবে।এই বলে মা চলে গেলো।
তিথি ও মায়ের কথাতে রাজি হয়ে গেলো।
এরপর সব হলো।
তিথিঃ মা তুমি ঠিক ছিলা। উনি আসলেই আনকমন???

৩দিন পর…….
প্রহরঃ তিথি কালকে আমাদের ঘরে একটা পার্টি হবে(আয়নার সামনে চুল ঠিক করতে করতে)
তিথিঃ পার্টি?? ( অবাক হয়ে)
প্রহরঃওহহহ তোমাকে বলা হয়নি।আমাদের কোম্পানি একটা নতুন ডিল সাইন করেছে তাই।।
তিথিঃ ওহহহহ।
প্রহরঃ তুমি রেডি থেকো।
তিথিঃ ওকে।।
প্রহরঃ ওকে আমি যাচ্ছি।
তিথিঃ ঠিক আছে।বাই।
প্রহরঃ তিথিইইই????
তিথিঃ ইসসসসস ভুলে গেছি সরি??
বলে প্রহর এর কপালে চুমো দে।
প্রহরঃ খুশি চলে যেতে লাগলে
তিথিঃ ঐ মিস্টার আমার টা কই
প্রহরঃ হুুু আসছে নিতে আমাকে দিতে ভুলে যায় আর নিজেরটা খুজে।
তিথিঃ আরে ঐ টা তো আমি ইচ্ছা করে করি যাতে আপনি আমাকে মনে করাই দেন।
প্রহর ঃ পাজি মাইয়া বলে হালকা হেসে তিথির কপালে চুমু দিয়ে চলে যায়।
পরের দিনঃ
ইরা ঃ ভাবি তোমাকে তো হেব্বি লাগছে।
তিথি ঃ হালকা হেসে। তোমাকে ও অনেক কিউট লাগছে।
ইরা ঃ হালকা হাসলো।
প্রহরঃ তোমাদের হলো ( রুমে রুমে ঢুকতে ঢুকতে)প্রহর তিথির দিকে তাকিয়ে হা?
কারন তিথিকে অনেক সুন্দর লাগছে।
কালো রং এর একটা শাড়ি যাতে সাদা পাথর বসানো।কানে ডায়মন্ড এর দুল, গলায় একটা ডায়মন্ড এর সেট, চোখে গাড়ো কাজল,ঠোটে স্মোক রেড কালারের লিপস্টিক। চুল খোপা তাতে লাল গোলাপ।।প্রহর এখনো হা করে তাকিয়ে আছে।
ইরাঃ প্রহর এর সামনে এসে ইরা তুড়ি বাজিয়ে বললো প্রহর আর কত দেখবি আমি জানি ভাবি কে সুন্দর লাগছে।আমি জানি আর দেখিস না নজর লাগবে।
প্রহর তিথি দুজনেই লজ্জা পেলো।
প্রহর ঃ হয়ছে চলো।বলে প্রহর চলে গেলো।
তিথির খুব হাসি পাচ্ছে।
ওরা পার্টিতে পৌছালো সবার নজর প্রহর আর তিথির দিকে।
প্রহর ব্ল্যাক সুট, স্পাইক চুল হাতে ব্ল্যাক ঘড়ি।ওকে দেখতে রাজকুমার এর থেকে কম লাগছেনা।
তিথিঃউফফফ শাঁকচুন্নি মাইয়া,গুলা আমার একমাএ জামাই টাকে নজর দিয়ে গিলছে।ঐ তোদের ঘরে বাপ, ভাই,জামাই নাই??ইচ্ছা করতাসে চোখগুলাতে হলুদ গুড়া লাগাইদি।??(মনে মনে)
প্রহর তিথি আর ইরা পার্টিতে মজা করছিলো হঠাৎ প্রহর এর একজন ফ্রেন্ড প্রহর কে গান গাইতে রিকুয়েষ্ট করে। প্রহর অনেক মানা করার পর না মানলে প্রহর বলে ওকে আমি গান গাইব কিন্তু আমার পর তিথি কে গাইতে হবে। তিথি তো অবাক??।
…ভাবি প্লিজ আপনি গান গাইবেন নইলে প্রহর গাইবেনা প্লিজ।
অনেক বুঝানোর পর তিথি রাজি হয়।
তিথিঃ ওকে আমি রাজি।
প্রহর হালকা হেসে স্টেজ এ যায়। হাতে গিটার নিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে গাইতে শুরু করলো,,
“tera fitoor jab se,char geya re(তিথির দিকে তাকিয়ে)
Tera fitoor jab se char geya re
Ishq jo jara sa tha vo bar geya re
Tera fitoor jab se char geya re
(নিজ দায়িত্বে বাকিটা শুনে নিয়েন)
গান শেষ হওয়ার সাথে সাথে সবাই করতালি দিলো। প্রহর হাতের ইশারাই তিথিকে বোঝালো এবার তোমার পালা
তিথি স্টেজ এ উঠলো।
” tum bin jiya jaye kese. (প্রহর এর দিকে তাকিয়ে)
kese jiya jaye tum bin
Tu roothe me manao tum kaha meh jao tum bin jiya jaye kese kese jiya jaye tum bin
তিথি গান গাওয়ার মাঝেই হঠাৎ স্টেজ এর উপরে থাকা ঝুমুরটি তিথির উপর পরতে লাগে। এমন সময় প্রহর এসে তিথিকে টান দেয়। যদি ও ঝুমুর এর একটা ভারি অংশ তিথির পায়ের উপর পরে তবু ও কোনো ক্ষতি হয়নি।এমন ঘটনায় তিথি ভয়,পেয়ে প্রহরকে জড়িয়ে ধরে।প্রহর এর হার্ট বিট খুব দ্রুত চলছে। হঠাৎ তিথিকে হারানোর ভয় জমে।
প্রহর ঃ তুমি ঠিক আছো??.
তিথিঃ হুমম
….এই ঝুমুরটা পড়লো কিভাবে??.
….জানি না স্যার। সরি স্যার,

প্রহর আর কিছু বলতে গেলে তিথিকে দেখে চুপ হয়ে যায়। প্রচুর ভয়,পেয়েছে মেয়েটা। প্রহর কিছু না বলে তিথিকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
তিথির খেয়াল রাখে ওর পায়ে ঔষধ লাগিয়ে দেয়।
১মাস পরঃ
তিথি রুমে বসে একা ভাবছে।
প্রহর এর কি হলো ও এমন বিহেভ কেনো করছে। কেনো?? এখন আগের মতো কেনো অফিসে যাওয়ার,আগে কপালে পরশ চাই না।কেনো তেমন কথা বলে না। এতো রাতে আসে।আর ইরার রুমে কেনো যায় তাও এতো রাতে। ইরাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ইরার জন্য শাড়ি নেওয়া।আচ্ছা উনি কি আমাকে ভুলে যাচ্ছেন? কিছু বুঝতে পারছিনা ।আচ্ছা
আমি কি বেশি ভাবছি? তিথি কান্না করছে কিছু মাথায়,আসছেনা হঠাৎ প্রহর এর বদলানোর কারন। এমন সময় প্রহর রুম এ আসে.
প্রহরঃ তিথি কিছু বলার ছিলো।
তিথিঃ জি বলুন।(কান্না লুকিয়ে)
প্রহরঃ আমরা বান্দরবান যাচ্ছি । কিছুদিনের জন্য। প্যাকিং শুরু কর।এই বলে প্রহর চলে গেলো।
তিথিঃ ঘুরতে যাব।তিথি কিছুটা খুশি হয়ে আপনাকে শীঘ্রই আমার মনের কথা জানাবো আমি ????…………….
চলবে…………
[আমি একজন নতুন গল্প লেখিকা। প্রথম লেখা এটা আমার প্রচুর ভুল ত্রুটি থাকবে তা জানি। আশা করি আপনারা সাহায্য করবেন।
আপনারা কমেন্ট করলেই বুঝবো আমি খারাপ লিখতাসি নাকি ভালো। তাই আপনারা আপনাদের মতামত জানাবেন। আর বানান ভুল হওয়ার কারন আমি বাংলা টাইপিং এ একটু কম পটু তাই। টাইম লাগে টাইপ করতে এজন্য ক্ষমপ্রার্থী।]
হেপি রিডিং
its yoo yoo nilu baby rocks

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here