ভ্যাম্পায়ার,পর্ব: ০১
Writer: Asstha Rahman
( কিছু ১৮+ কন্টেট আছে, পিচ্চিরা দূরে থাকো)
নতুন বাসাটাতে শিফট নিলাম। অনেক বড় প্যালেস, দেখতে বেশ সুন্দর। অবাক ব্যাপার এত্ত বড় প্যালেসে একা আমি থাকব। এসে সব গুছিয়ে নিতেই হ্যারির কল। রিসিভ করেই বেশ বড় করে একটা থ্যাংকস দিলাম।
— তোমার পছন্দ হয়েছে?
— খুব! কিন্তু এত্ত বড় প্যালেসে আমি একা থাকব কি করে?
— চিন্তা করোনা! খুব তাড়াতাড়ি আমি ফিরে অইখানে শিফট করব।
অহ আমার পরিচয়ই দেওয়া হলনা। আমি ব্রেনিসা। জন্ম আমেরিকা হলেও মম-ড্যাড মারা যাওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে থাকি। হ্যারি আমার বাগদত্তা, খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করব আমরা।
আপাতত বিজনেসের কাজে আমেরিকায় আছে। যাওয়ার আগে একটা প্যালেস গিফট করে গেল। খুব কম দামে নিলামে উঠেছিল তাই হ্যারি কিনে ফেলল।
সব মিলিয়ে প্যালেসটা খুব সুন্দর। অনেকগুলা বড় মহল, প্যালেসের কিছুটা দূরে গীর্জাভবন। তাছাড়া আমার অফিসটাও কাছে।
ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে ঢুকলাম, গুনগুন করে গান গাওয়ার তালে মুখে পানি ছিটাচ্ছিলাম। হঠাৎ আয়নার দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম ধুলোযুক্ত আয়নায় পোলিশ অক্ষরে কারো নাম লেখা। নামটা ছিল গোমেজ। আমি মুছে দিয়ে বাহিরে চলে এলাম।
রাত হয়ে যাওয়ায় আর প্যালেস ঘুরে না দেখে শুয়ে পড়লাম। রাত দুটো নাগাদ ডানা ঝাপটানো আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল। লাইট জ্বালিয়ে দেখলাম আমার রুমের ব্যালকুনিতে একটা বাদুর বসে আমার দিকে আছে।
আমি তেমন একটা এসব ভয় পাইনা।
হুস হুস শব্দে তাড়ানোর চেস্টা করলেও সেটি অনড়ই রইল।
খুব ঘুম পাচ্ছিল তাই ওটাকে আর তাড়ানোর চেষ্টা না করে ব্যালকুনির ডোর লক করে শুয়ে পড়লাম।
বাদুরটা একটানা ডেকেই যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমাকে গালি দিচ্ছে। শান্তিতে ঘুমোতেও দিবেনা।
ইয়ারফোনটা কানে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে রেডি হয়ে অফিসের জন্য বের হওয়ার সময় ব্যালকুনির দরজায় কিছু আচড়ের দাগ দেখলাম। বাব্বাহ! অই বাদুড় টার গালি দিয়ে মন ভরেনি তাই দরজা নক করে গেছে। ভেবেই হেসে দিলাম।
অফিসে সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে আমাকে প্যালেসের কথা জিজ্ঞেস করছিল।
আমিও একটু ভাব নিয়ে উত্তর দিচ্ছিলাম। শত হলেও বাগদত্তার গিফট করা এত্ত সুন্দর একটা প্যালেস।
আমার কলিগ অয়েস আমার কেবিনে ঢুকেই বলল,
— ম্যাম তো প্যালেসে শিফট হলেন। তো ডিনারের ইনভাইট করবেননা?
— অবশ্যই। রেস্টুরেন্টে নাকি বাসায়?
— বাসায়ই করো। এই সুযোগে তোমার প্যালেসটা দেখা হবে।
— আচ্ছা ৯ টায় এসো তাহলে।
অয়েস আমাকে পছন্দ করে জানতে পেরেই হ্যারির ব্যাপারটা অকে ক্লিয়ার করে দিয়েছিলাম।এখন অবশ্য ফ্রেন্ডলি ভাবেই থাকে।
৬ টায় বাসায় ফিরেই ডিনারের ব্যবস্থা করে ফেললাম।
ঠিক ৯ টায় এসে অয়েস আসল।সাথে কিছু বিয়ারের ক্যান ও এনেছিল।
গল্পসল্প করতে করতে ডিনারটা সেরে নিলাম দুজনে। তারপর অকে নিয়ে প্যালেসটা একটু ঘুরে দেখালাম। গ্লাসে বিয়ার ঢেলে আমাকে অফার করল। আমি ড্রিংকস তেমন করিনা।
ওর জোরাজুরিতে বাধ্য হয়ে এক পেগ মেরে দিলাম। খাওয়ার পরই কেমন জানি অসাড় হয়ে যাচ্ছিল। টলছিলাম শুধু।
বুঝতে পারলাম অয়েস আমাকে বেডে এনে শোয়াল। আমার গায়ের টি-শার্টের উপর হাত বুলাচ্ছে।বাধা দেওয়ার ট্রাই করছি কিন্তু কেন জানি আমার শরীরে বাধা দেওয়ার শক্তি টুকু পাচ্ছিনা।
এই ছিল অয়েসের মনে? এত নিচু ও কি করে করতে পারল!
অয়েস তার ঠোট দিয়ে আমার ঠোট চেপে ধরল। চুষতে লাগল পাগলের মত। এমনসময় আমার বেডের ল্যাম্পটা আপনাও আপনি মেঝেতে পড়ে গেল।সাথে সাথে পুরো ঘর আধারে ঢেকে গেল।
অয়েস আমাকে ছেড়ে দিল। আমি উঠার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলামনা। তখনি অয়েসের আত্মচিৎকার শোনা গেল।
আমি আর সজাগ থাকতে পারলামনা। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছিল খুব……
( চলবে)