ভ্যাম্পায়ার লাভার,পর্বঃ-০১,০২

0
4432

#ভ্যাম্পায়ার লাভার,পর্বঃ-০১,০২
লেখনীতেঃ-কাশপিয়া মেহজাবিন রিমশা।
পর্বঃ-০১

তোমাকে আর কতবার বলবো আমি তোমাদের মতো কোনো মানুষ না,আমি একজন ভ্যাম্পায়ার।
শ্রুতিকে কথাটা বলেই পেছন ফিরে হাঁটা ধরলো সাদাফ। সবার আড়ালে সাদাফ তাড়াতাড়ি তার ভেজা চোখগুলো মুছে নিলো। ভ্যাম্পায়ারদের কাঁদতে নেই,তাদের মধ্যে মায়া থাকতে নেই। তারা হয় মায়াহীন,দয়াহীন। তারা খুব কঠিন,তাদের শুধু চাই রক্ত।তাদের মনে ভালোবাসা,আবেগ কোনো কিছুরই স্থান নেই।তাও যেনো সেসব নিয়ম সাদাফের কাছে ধরা দেয় না।


ফ্লাশব্যাক
কলেজে নতুন এডমিশন নেয় শ্রুতি।ডিপ্লোমা ফার্স্ট সেমিস্টারে।এখনো বাচ্চা একটা মেয়ে,স্বভাব সুলভে তাই মনে হয়। মুখের আদলখানা যেনো দুধে আলতা।অনেক মায়াবী চেহেরার একটি মেয়ে।অন্যদিকে গল্পের নায়ক সাদাফ কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না বললেই চলে।কিন্তু সেদিন সাদাফের কি হলো কে জানে।শ্রুতির দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে।একটা মানুষ এতটা রুপবতী হয় কিভাবে?
না সাদাফের এসব মায়ায় পড়লে চলবে না।প্রত্যেকবারের মতো এবারও কোনো মেয়ের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে তাকে মেরে পূর্ণিমারদিন রাতে তার রক্ত পান করতে হবে।সাদাফ যে মেয়েদের পটায় সেটা লোকচক্ষুর আড়ালে।
শ্রুতিঃ-এইযে ভাইয়া শুনছেন? এভাবে কি তাকিয়ে আছেন?
সাদাফের খেয়ালই ছিলো না এতক্ষণ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে।সাদাফ কোনো কিছু না বলে হাটা ধরলো।
মেহেরঃ- কি আজব ছেলে রে বাবা।তোর মতো একটা সুন্দরী মেয়ের সাথে ছেলেরা কথা বলার জন্য উঠে পড়ে লাগে,আর এ তো….
কিজানি এ আদৌ মানুষ কি-না?
শ্রুতিঃ- আচ্ছা বাদ দে ক্লাসে চল।
মেহেরঃ-যাই বল ছেলেটা পুরো কোরিয়ান সিনেমার হিরোদের মতো।সেইরকম ক্রাশ খাইছি দোস্ত।
শ্রুতিঃ-লুচি কোথাকার,তুই কার উপরে ক্রাশ খাস না? এমনকি হিরো আলমরেও ছাড় দিলি না।
মেহের খানিকটা লজ্জা পেয়ে,বললো তোর দুলাভাই হয়।
তখন দুজনে হেসে উঠলো।

শ্রুতির ঘুমই আসছেনা।সারাক্ষণ মাথায় ওই ছেলেটার কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই ছেলেটাকে ও চিনে,খুব ভালোভাবেই চিনে,ছেলেটা যেনো ওর খুব কাছের।

……
শ্রুতি রাস্তা পার হয়ে কলেজে যাচ্ছে,চোখের পলকেই একটা বড় বাস ওকে ধ্বাক্কা দিতে আসলে ওকে কেউ বাঁচিয়ে দেয়।শ্রুতি অনেকটা ভয় পেয়ে যায় এবং দেখে ওকে সেই ছেলেটি বাঁচিয়েছে।শ্রুতিকে সরাতে গিয়ে ছেলেটি মারাত্মক ভাবে যখম হয়েছে।
ভয়ে শ্রুতির ঘুম ভেঙে যায়।
শ্রুতিঃ- ইয়া আল্লাহ শুকরিয়া এতক্ষণ আমি স্বপ্ন দেখছিলাম।

পরদিন শ্রুতি কলেজে যায়।আজ মেহেরও আসে নি।সে তার ফুফির বাসায় বেড়াতে গেছে সেখানে আবির আছে,মেহেরের ফুফাতো ভাই+বয়ফ্রেন্ড।তাই ও এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি।এদিকে রাস্তায় শ্রুতির জান বের হয়ে যাবার অবস্থা।
শ্রুতিঃ-আমিতো রাস্তা পার হতে পারিনা,খুব ভয় করছে।
আল্লার নাম নিয়ে শ্রুতি এগোচ্ছে , চোখের পলকেই ও কারো ধাক্কায় ছিটকে পড়ে যায়।তাকিয়ে দেখে কোরিয়ান হিরোদের মতো সেই ছেলেটি।ছেলেটি মারাত্মক ভাবে যখম হয়েছে।এর মধ্যে বলে উঠে…
ছেলেটিঃ-চোখ কি কপালে থাকে আপনার? দেখে চলতে পারেন না?
(অনেকটা চিল্লিয়ে বলেছিলো)
শ্রুতিঃ-না মানে আসলে আমি একা কখনও রাস্তা পার হইনি।ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে বাঁচানোর জন্য।
ছেলেটা আগের বারের মতো কিছু না বলে চলে গেলো।
শ্রুতিঃ-এই যে শুনছেন হসপিটালে চলুন,আপনার শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরুচ্ছে।
শ্রুতি অনেক ডাকলো তাও ছেলেটির কান অবধি গেলো না কথা গুলো।গেলেও সে না শুনার মতো করে চলে গেলো।কাল রাতে সেও স্বপ্নে দেখেছিলো এরকমটা।মিরাকেল সব মিরাকেল।

শ্রুতির ভীষণ ভয় হচ্ছে।আর ওই ছেলেটার এতো আঘাত লাগলো তাও গরগর করে হেটে চলে গেলো।শ্রুতির আরও ভয় হচ্ছে ওর স্বপ্ন সত্যি হয়ে গেছে কিভাবে? আজ যদি শ্রুতির কিছু হয়ে যেতো তাহলে ওর কি হতো?
শ্রুতির কিছুতেই ওই ছেলেটাকে তার মাথা থেকে বের করতে পারছে না।ছেলেটাকে কেনো তার এতো চেনা চেনা লাগছে?
শ্রুতি ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠেছে,প্রতিদিনের মতো দরজায় কেউ হালকা ঠোকা দিলো।এতো রোজকার ঘটনা।তাই শ্রুতি জানে এখন দরজার বাইরে কি আছে।

চলবে…..

(আপনাদের কি ধারণা “ও” টা কে?আর দরজার বাইরে কি থাকতে পারে?)

#ভ্যাম্পায়ার_লাভার
পর্বঃ-০২
লেখনীতেঃ-কাশপিয়া মেহজাবিন রিমশা।

শ্রুতি ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠেছে,প্রতিদিনের মতো দরজায় কেউ হালকা ঠোকা দিলো।এতো রোজকার ঘটনা।তাই শ্রুতি জানে এখন দরজকর বাইরে কি আছে।
শ্রুতি দরজা খুলে দেখে এক তোড়া হলুদ গোলাপ আর সাথে সেই রহস্যমাখা চিঠি। শ্রুতির হলুদ গোলাপ অনেক প্রিয়।আর শ্রতির মনে হয় এই কাজগুলো নিশ্চয়ই চেনাজানা কারোর। শ্রুতি চিঠিটা খুললো,

তুই হাসলে রঙিন ফুল ফুটে,
তুই হাসলে নদীও হাসে,
তুই হাসলে রংধনু সাত রং ছড়ায়,
তুই হাসলে মুক্ত ঝরে,
তুই হাসলে ভূ-প্রকৃতির সবাই হাসে,
তুই হাসলে পাখিরা আনন্দে উঁড়ে বেড়ায়,
তুই হাসলে আমি সব ভুলে যাই,
কি আছে তোর ওই হাসিতে?

শ্রুতি চিঠিটা পেয়ে রীতিমতো অবাক।কেউ কি করে ওর হাসির এতো সুন্দর বর্ণনা করতে পারে?শ্রুতি জানেনা সে কে। শ্রুতি যেদিন কলেজে যায় সেদিনের পর থেকেই কেউ এই ভোর সকালে এক তোড়া হলুদ গোলাপ আর একটা চিঠি দিয়ে যায়। শ্রুতি ওর মা-বাবাকে বলতে চেয়েছিলো।যাতে ওর বাবা খুঁজ নিয়ে দেখতে পারে। কিন্ত লজ্জায় আর বলতে পারলো না। ফুলের বুকেতেও কোনো ঠিকানা দেওয়া নাই,তাই শ্রুতিও খুঁজ নিয়ে জানতে পারছে না সে কে।

শ্রুতি পেছনে ফিরতেই ওর মা দেখে পেলে
শ্রুতির মাঃ- কিরে শ্রুতি তুই এতো সকালে সদর দরজার পাশে কি করছিস? দরজা টাই বা খোলা কেনো?
শ্রুতির কলিজা টা ধক কেপে করে উঠলো। এবার যদি ওর মা দেখে তাহলে তো সর্বনাশ হয়ে যাবে।ওকে যে খারাপ ভাববে। শ্রুতি কিছু না জানার মতো করে বললো-
শ্রুতিঃ- না মা আসলে একটু ছাদে যেতে চেয়েছিলাম।তুমি তো জানোই সকালের পরিবেশ টা কত্ত সুন্দর।
কিন্তু শ্রুতির মা সহজে ছাড়বার প্রাত্রী নয়।
শ্রুতির মাঃ-তোর পেছনে কি? হাত গুলো ওভাবে পেছনে লুকিয়ে রেখেছিস কেনো?
শ্রঁতি এবার কি করবে,ওর হাত পা রীতিমতো কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিছে,কোনোমতে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো
শ্রুতিঃ-ক-ক-ই মা,কি-কি-ছু নেই তো।
শ্রুতির মা শ্রুতিকে ঘুরিয়ে দেখে সত্যিই তো কিছু নেই,শুধু শুধু মেয়েটাকে ভুল বুঝলাম।
এদিকে শ্রুতি মনে মনে আল্লাহকে ডাকতেছে,ভাগ্যিস কারো পায়ের আওয়াজ শুনে শ্রতি ওগুলো সোফার পেছনে ফেলে দিছিলো।
শ্রুতি কলেজ যায় আজ মেহের এসেছে
শ্রুতিঃ-কিরে মেহুপাখি প্রেম কেমন করেছিস?
এতে মেহের একটু লজ্জা পেয়ে যায়।মেয়েটা এতো লজ্জা পায় কেনো?
মেহেরঃ-যাহ আর লজ্জা দিস না তো।এবার তুইও একটা প্রেম করে পেল না।
মেহেরের কথাটা শুনে শ্রতি ঘাবড়ে যায়।মেহের ভাবছে ও কি এমন বলে ফেলেছে যার জন্য শ্রতিকে এমন ঘাবড়াতে হইছে?মেহের আর কিছু জিজ্ঞেস করলনা, এ মেয়ের মাথায় কখন কি যে চলে বুঝার উপক্রম নেই।
শ্রুতিরা কলেজে ডুকলো, অপ্রত্যাশিতভাবে আবার সেই ছেলেটির মুখোমুখি হলো।কেনো শ্রুতির ওই ছেলেটা কাছে যেতে ইচ্ছে করে? কেনো ওকে এতো আপন মনে হয়? প্রিয় পাঠক এসব “কেনোর” উত্তর আপনারা আস্তেধীরে পাবেন।
শ্রুতি চলে আসে,অনেকদিন পর ওর ছোটবেলার বন্ধু আরাফের সাথে দেখা হয়।
আরাফঃ- কিরে শ্রুতি যে? কি খবর তোর? সেই ক্লাস এইটে শেষ দেখেছিলাম তোকে।
শ্রুতিও আরাফকে দেখে অবাক হয়ে যায়।ওরা দুজনে কথা বলে,অনেক হাসাহাসিও করে। কিন্তু দূর থেকে এক জোড়া চোখ যে শ্রুতির উপর রেগে নজর রাখছে সেদিকে শ্রুতির কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বললেই চলে।শ্রুতি আরাফকে বিদায় দিয়ে ক্লাস করতে যায়,তার ক্লাসের দেরী হয়ে যাচ্ছে। যাওয়ার আগে কার সাথে যেনো ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়।তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার জন্য শ্রুতি খেয়াল করে নি সে কে? শ্রুতি চোখ মেলে তাকায়,আবারও সেই ছেলেটি।
ছেলেটির চোখ অনেকটা নীলাবো বর্নের করে রেখেছে।মনে হচ্ছে এখনি গিলে খাবে শ্রুতিকে।শ্রুতি তার জীবনে এত ঘাড় নীল রঙের চোখ দেখেনি। শ্রুতি ছেলেটির চোখ চোখ দেখে ভয় পাওয়ার জায়গায় সে অবাক হয়। এই চোখ সে অনেকবার দেখেছে। কিন্তু মনে করতে পারছে না।
শ্রুতিঃ-এভাবে কি তাকিয়ে আছেন?
ছেলেটি আবারো কিছুনা বলে চলে যায়।শ্রুতি এতে আর অবাক হয় না।শ্রুতি ক্লাস করতে চলে যায়।ক্লাসে তার মন বসছে না।সারাক্ষণ ওই ছেলেটার কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।এবার মনে হয় সে পরীক্ষায় গোল্লা পাবে। শ্রুতি বাকি দুইটা ক্লাস না করে চলে আসে তার শরীর খারাপ লাগছে। শ্রুতি বাসায় এসে কাউকে কিছুনা বলে শুয়ে পড়ে।সাথে সাথে ঘুমের দেশে তলিয়ে যায় সে।

-সোফিয়াকে দৌড়াচ্ছে অভ্রজিৎ। সোফিয়াজান দাড়াও।সোফিয়া দাড়াচ্ছে না,দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছেই।এক পর্যায়ে সোফিয়াকে অভ্রজিৎ ধরে ফেলে।সোফিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে-
অভ্রঃ- কি সোফিয়াজান আমার থেকে পালাবে কোথায়?চলোনা আজ বাইরে ঘুরে আসি,শুধু তুমি আর আমি।
সোফিয়া একগাল হেসে অভ্রের কথায় সায় দেয়।হাজারহোক সোফিয়া ভালোবাসার মানুষের জন্য সব করতে পারে।সোফিয়া আর অভ্রজিৎ হেটে চলেছে। তারা রাজ্যের বাইরে সেই রঙিন পাহাড়ে গেলো।সেখানে সব গাছপালায় রঙিন।এই রঙিন পাহাড় নিয়ে অনেক ভয়ানক কল্পকথা আছে।এখানে নাকি রক্তচোষা রা আছে। এসবের কিছুকেই এই প্রেমিক যুগল পরোয়া করে না।
সোফিয়াঃ-অভ্র আমার ভীষন ভয় করছে।
অভ্র তাকে অভয় দিয়ে বলে সে থাকতে তার ভয় কিসের?এই পাহাড়ে কিছুই নেই,সব কাল্পনিক কথা।
সোফিয়াঃ-আমি সে জন্য ভয় পাচ্ছিনা অভ্র।
অভ্রঃ-তাহলে আর কিসের ভয়?
সোফিয়াঃ-তুমি তো রাজার ছেলে,একজন রাজকুমার তুমি।আর আমি সেখানে একজন নতর্কী। রাজ্যে রাজপুত্রের সাথে রাজকুমারীর বিয়ে না দিয়ে একজনের নতর্কীর সাথে ওরা তোমাকে মেনে নিবে?
অভ্রঃ-েসব কি বলছো তুমি? তোমাকে আমার থেকে কেউ আলাদা করতে পারবেনা।
সেই মুহুর্তে ওদের সামনে কালো বিদঘুটে কোনো একটা অভয়ব এসে পড়ে,তার চোখ দুটি অসম্ভব রকমের নীল,তার দুই পাশের দাঁত দুটো অনেক বড় আর সেগুলো দিয়ে রক্ত পড়ছে।সোফিয়া তখন চিৎকার দিয়ে উঠে। অভ্রররররররররর……

শ্রুতির ঘুম ভেঙে যায়।তার হাত পা এখনো কাঁপছে,গুলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।শ্রুতি তাড়াতাড়ি তার বিছানার পশের টেবিল থেকে পানির বোতল নিয়ে ঢক ঢক করে পুরো বোতলের পানি শেষ করে পেলে।
শ্রুতিঃ-এটা কি করে সম্ভব।স্বপ্নে সোফিয়ার জায়গায় শ্রুতি আর অভ্রজিতের জায়গায় সেই ছেলেটি।আর সেই নীল চোখ,যেটা শ্রুতি সেই ছেলেটির চোখে দেখেছিলো। শ্রুতির মাথা কাজ করছে না। এসব হচ্ছেটা কি?
পরদিন শ্রুতি কলেজ যায় না।তার খুব ক্লান্ত লাগছে।রাতের খাওয়া দাওয়া করে শ্রুতি শুয়ে পড়ে।
মাঝরাতে শ্রুতির মুখের উপর কারো গরম নিশ্বাস পেয়ে শ্রুতির ঘুম ভেঙে যায়।মনে হচ্ছে কেউ ওর খুব কাছে আছে।নিঃস্বাস টা আরও ঘাড় হয়।শ্রুতির গালে কেউ যেনো হাত দিয়ে খুব যত্নসহকারে স্লাইড করতেছে।
এতে শ্রুতি যে পরিমানে ভয় পাচ্ছে নির্ঘাত এখন হার্ট অ্যাটাক করবে। শ্রুতি তাড়াতাড়ি লাইট জ্বালায়। লাইট জ্বালিয়ে দেখে কোথাও কেউ নেই। তার মানে নিশ্চয়ই সব শ্রুতির ভুল ধারনা। শ্রুতি সব মাথা থেকে ঝেড়ে আবার ঘুমোয়।

সেই ছেলেটি হেটে শ্রুতির কাছে আসতেছে।ছেলেটি এগোচ্ছে আর শ্রুতি পিছোচ্ছে। একসময় শ্রুতি পেছনে যেতে যেতে দেয়ালের সাথে ধাক্কা খায়। শ্রুতি স্পষ্ট দেখতে পায় লোহা দিয়ে কেউ ছেলেটির মাথার পেছনে জোড়ে আঘাত করে,এতে ছেলেটা জ্ঞান হারায়।

শ্রুতি আবারও ভয় পেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়।এসব কি হচ্ছে ওর সাথে।সেদিন রাত্রে শ্রুতির আর ঘুম হয় না,যে করেই হোক ছেলেটিকে বাঁচাতে হবে।শ্রুতি জানে শ্রুতির দেখা স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here