#ভ্যাম্পায়ার_লাভার,পর্বঃ-০৩,০৪
লেখনীতেঃ-কাশপিয়া মেহজাবিন রিমশা।
পর্বঃ-০৩
শ্রুতি তাড়াতাড়ি লাইট জ্বালায়। লাইট জ্বালিয়ে দেখে কোথাও কেউ নেই। শ্রুতি সেদিন আর ঘুমোই না। যে করেই হোক ওই ছেলেটির সাথে শ্রুতির কথা বলতে হবে। কেনো সে রাজপুত্রের বেশে সেই ছেলেটিকে আর নর্তকীর বেশে তাকে দেখে? কি এমন রহস্য আছে?
পরদিন শ্রুতি কলেজে যায়।
মেহেরঃ-কিরে শ্রুতি আজ এমন চুপচাপ যে?
শ্রুতিঃ- না রে কিছু না,ভালো লাগছে না।
মেহেরঃ-কেনো কি হইছে?আমাকে বল?
শ্রুতি মেহেরের কথার উত্তর না দিয়ে বলে তুই এখানে দাড়া আমি এক্ষুনি আসছি।
মেহের বুঝতে পারে না ওর মাঝে মাঝে কি হয়।
অতীত
…
একবার শ্রুতি কলেজে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সবাই ধরাধরি করে ওকে কলেজের হসপিটালে নিয়ে যায়। শ্রুতি অবচেতন অবস্থায় বলে উঠে,
শ্রুতিঃ-অভ্র তোমাকে আমার কাছ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না কেউ না।আমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না তুমি।
শ্রুতির এসব কথায় অবাক হয় হসপিটালের ডক্টর আর মেহের। মেহের কিছুতেই বুঝতে পারে না কে এই অভ্র? শ্রুতির তো কারো সাথে রিলেশন ও নাই।না আগে কারো সাথে ছিলো। মেহেরের বোকা মাথায় আসে নিশ্চয়ই কোনো সিনেমা দেখে এখন জ্ঞান হারানোর পরও সিনেমার ডায়ালগ ছাড়তেছে।
ডক্টরঃ- চিন্তার কিছু নেই,খাওয়া দাওয়ার থেকে হচ্ছে এসব। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে বলিও ওকে।
মেহের হ্যাঁ বুধক মাথা নাড়ায়।শ্রুতির জ্ঞান ফিরে আসলে ওকে নিয়ে ক্লাসরুমে চলে আসে।
এভাবে আরও কয়েকবার হয়েছিলো, শ্রুতি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর অভ্রের কথা বলে।মেহেরঃ-কুত্তীটা নিশ্চয় কোনো অভ্রের উপরে মারাত্মক ভাবে ক্রাশ খাইছে। ওকে এখনো বলেনি।
তাই মেহেরও পণ করে শ্রুতি যতক্ষণ বলবে না ততক্ষণ ও নিজেও কিছু জিজ্ঞেস করবে না।
….
এদিকে শ্রুতি সেই ছেলেটিকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। অবশেষে কলেজের বাগানের একটা বেঞ্চিতে ছেলেটাকে দেখলো। একা একা বসে আছে। এরকম একটা সুযোগ খুঁজতেছিলো শ্রুতি। কারো সামনে কথাগুলো বললে হয়তো তারা ওকে পাগল ভাবতো।
শ্রুতিঃ-এই যে শুনছেন
ছেলেটি পেছনে ফিরে তাকায় না।সে এখন প্রকৃতির মাঝে ডুবে আছে। কেন তার সাথে এমন হচ্ছে। কেনো মেয়েটি সোফিয়া হয়ে বার বার তার স্বপ্নে আসে? কেনো স্বপ্নে সে নিজেকে রাজপুত্রের বেশে দেখে?কেনো মেয়েটিকে এতো চেনা চেনা লাগে? কেনো সে কলেজে এসে মেয়েটিকে চোখের আড়াল করতে পারে না সে? কেনো মেয়েটির সাথে কোনো ছেলেকে সে দেখতে পারে না? তবে কি আমি মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলেছি?
না এটা কিভাবে সম্ভব।ভালোসার মতো ফিলিংস আসার জন্য আরেকটু সময় লাগে,তাকে আরেকটু চেনার প্রয়োজন পড়ে। মেয়েটিকে তো সে দেখেছে বেশিদিন হচ্ছে না। নাকি ভালোবাসার জন্য অল্প সময়েই যথেষ্ট? না তার এখন ভালোবাসলে চলবে না। তারা যে কোনো মানুষকে ভালোবাসতে পারবে না।
হঠাৎ কোনো মেয়ের ডাক শুনে সে ভাবনার জগৎ থেকে পেছনে ফিরে তাকালো।
এই তো সেই মেয়ে,হঠাৎ ছেলেটির মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো
-সোফিয়া?
এতো আস্তে করে বলায় শ্রুতি কিছুই শুনতে পেলো না। শ্রুতি ছেলেটির পাশে গিয়ে বসে। শ্রুতি আবারও খেয়াল করলো ছেলেটির চোখ নীল তবে ওইদিনের মতো এতটা ঘাড় না। এসব বিষয় নিয়ে না হয় পরেই জিজ্ঞেস করবে শ্রুতি।
শ্রুতিঃ- আপনার ফোন নাম্বারটা দেন তো?
ছেলেটি নিশ্চুপ,সে চায় না এসব ভালোবাসার মায়ার পড়তে। শ্রুতিও বুঝেছে এই ছেলে এতো সহজে কথা বলার পাত্র নয়,তাই-
শ্রুতিঃ-আপনার ফোন নাম্বারটা দিতে বলছি। আপনি আমার স্বপ্নে বারবার আসেন। আপনার কোনো বিপদ হওয়ার আগেই আমি সেটা স্বপ্নে দেখি। তাই আবারও দেখলে আপনাকে ফোন করে জানিয়ে দিতে পারবো যাতে আপনি সাবধান হতে পারেন।
ছেলেটি নড়েচড়ে বসলো,সে বললো
-তার মানে স্বপ্ন আপনিও?
শ্রুতিঃ-আমিও কি?
শ্রুতির আর ছেলেটির মাথায় কৌতুহলের ভূত চেপেছে।
ছেলেটিঃ- আমিও আপনাকে স্বপ্ন দেখি।
তারপর ছেলেটি সব খুলে বললো।
শ্রুতিঃ-নিশ্চয়ই এর পেছনে বড় কোনো বড় রহস্য আছে। নইলে কেনো বারবার এমন হচ্ছে।আরও একটা মিরাকেল হচ্ছে আমি যা স্বপ্নে দেখছি আপনিও হুবহু সেটাই দেখছেন।
ছেলেটিকে নিশ্চুপ দেখে শ্রুতি জিজ্ঞেস করলো
-আপনার নাম কি?
– সাদাফ,সাদাফ আমার নাম।
শ্রুতিঃ-বাহ সুন্দর নাম।
সাদাফঃ-হুম।
শ্রুতিঃ-আমার নাম কি জিজ্ঞেস করলেন না তো?
সাদাফঃ-সোফিয়া।
শ্রুতিঃ-না আমার নাম শ্রুতি।আমার আরেকটা প্রশ্ন ছিলো করবো?
সাদাফঃ-হুমম
শ্রুতিঃ-আপনার চোখগুলো নীল কেনো? ঠিক স্বপ্নে আসা দানবটির মতো।
সাদাফ এরকম প্রশ্নের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। ওর চোখ নীল কেনো সেটা এখানের কাউকে বলা সম্ভব না। সে তো মানুষ নয়।সে একজন ভ্যাম্পায়ার।
শ্রুতিঃ-কি হলো বলছেন না কেনো?
সাদাফঃ-আসলে আমার মা ছিলেন বিদেশীনি আর বাবা বাঙালি। মায়ের মতোই চোখগুলো দেখতে হয়েছে।
সাদাফ মনে মনে তওবা করে নেয়।কারন শ্রুতিকে মিথ্যা বলতে হলো।
শ্রুতিঃ-অহ আচ্ছা উনারা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বুঝি?
সাদাফের কানে শ্রুতির কোনো কথাই যাচ্ছে না। তার এখন নেশা উঠেছে রক্তের নেশা। এখন কারোর রক্ত তাকে খেতেই হবে। সাদাফ উঠে চলে গেলো, ও দৌড়াতে লাগলো ওকে এখন কাউকে খুন করতে হবে, কিন্তু কাকে?
চলবে….
#ভ্যাম্পায়ার_লাভার
পর্বঃ-০৪
লেখনীতেঃ- কাশপিয়া মেহজাবিন রিমশা।
সাদাফ উঠে চলে গেলো, ও দৌড়াতে লাগলো ওকে এখন কাউকে খুন করতে হবে, কিন্তু কাকে?
সাদাফ দৌড়াতে দৌড়াতে কলেজের পেছনের দিকটার জঙ্গলের ভিতর চলে আসে। ভাগ্য ভালো তাই সে একটা নেকড়ে পেয়ে গেছে। আজ কোনোমতে এটার রক্ত দিয়ে ওকে শান্ত হতে হবে।
সাদাফ তৃপ্তি ভরে রক্ত চুষে যাচ্ছে।
এদিকে শ্রুতি বুঝতেই পারছে না ছেলেটার হঠাৎ হঠাৎ কি হয়? এভাবে কথার মাঝখানে কেউ হুট করে চলে যায়? শ্রুতি তো কখনও কারও সাথে এরকম করতে পারবে না। এভাবে কারও কথার মাঝে কোনো উত্তর না দিয়ে হুট করে উঠে চলে যাওয়ার মানে তাকে একপ্রকার অপমান করা। শ্রুতিরও এখন তাই মনে হচ্ছে। শ্রুতি এতক্ষণ ওখানেই বসে ছিলো। শ্রুতি সেখান থেকে উঠে মেহেরের কাছে যায়।
মেহের কিছু বলে না সে শ্রুতির উপর অভিমান করেছে। মেহের এখন একটা কথাও বলবে না।
শ্রুতিঃ- আমার মেহুপাখির আবার কি হলো? বয়ফ্রেন্ডের সাথে রাগ করলো বুঝি?
শ্রুতি কথা বলতে বলতে মেহেরকে জড়িয়ে ধরে। শ্রুতি বুঝতে পেরেছে মেহেরের রাগ ঠিক কার উপর হইছে। মেয়েটা অনেক অভিমানী। কথায় কথায় অভিমান করে আর সেটা ২ সেকেন্ড ও থাকে কিনা শ্রুতির সন্দেহ। মেহের ৫ মিনিটের উপর কারও সাথে রাগ বা অভিমান কিছুই করে থাকতে পারে না। এদিকে আমাদের গল্পের নায়িকাও সেইম। শ্রুতিও কারও সাথে বেশিক্ষণ রাগ/অভিমান করে থাকতে পারে না। একটু মিষ্টি করে কথা বললেই রাগ, অভিমান সব উধাও। তাই শ্রুতিও মেহেরেে রাগ ভাঙাতে এই টেকনিক টা ইউজ করবে।
মেহেরঃ- খবরদার আমাকে জড়িয়ে ধরবি না। আমি আবার তোর কে হই,আমি তো তোর কেউ না।
শ্রুতিঃ- মেহুপাখি স্যরি তো,এই দেখ কানে ধরে উঠবস করছি।
মেহের জানে শ্রুতি যা বলে তাই করবে। এখানে যদি কানে ধরে উঠবস করে তাহলে ওদের মান-সম্মান প্লাস্টিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মেহের তাড়াতাড়ি শ্রুতিকে গিয়ে আটকায়।
মেহেরঃ- হইছে আর ঢং করতে হবে না। কোথায় গেছিলি বল?
শ্রুতি জানে মেহের ওকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবে আর মেহেরকে সাদাফের ব্যাপারে কথাগুলো বলা যাবে না। শ্রুতি আগে আরও সিওর হোক।
শ্রুতিঃ- এই দেখ আমার ইংলিশের নোট খাতাটা পড়ে গেছিলো। আজকে যদি নোটগুলো জমা দিতে না পারতাম তাহলে কি হতো বল তো? কানে ধরে সারা মাঠে হাটতে হতো না?
এবার মেহেরের আর রাগ নেই। মেহের শ্রুতির কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
শ্রুতি আসার সময় ক্লসরুম থেকে নোটবুকটা নিয়ে এসেছিলো। আর মেহের ছিলো ক্যান্টিনে।তাই ওতো সমস্যা হয় নি।
শ্রুতিরা ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরে যায়। কলেজে যতক্ষণ ছিলো শ্রুতির চোখ শুধু সাদাফকে খুঁজে গেছিলো। কিন্তু, সাদাফের দেখা সে পেলো না।
শ্রুতি মেহেরকে বিদায় দিয়ে বাসায় এসে পৌঁছোয়। ঘরে ঢুকতেই শ্রুতি আরও একটা বিপদের সম্মুখিন হলো। ওর মা খুন্তি নিয়ে শ্রুতির দিকে তেড়ে আসছে। এরকম আকষ্মিক যুদ্ধের জন্য শ্রুতি মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। কি হলো ব্যাপার টা?
শ্রুতিঃ- মা, মা তুমি থামো? এভাবে তেড়ে আসছো কেনো?
শ্রুতি দৌড়াতে দৌঁড়াতে কথাগুলো বলে।
শ্রুতির মাঃ- কেনো তেড়ে আসছি? ওমা এখন তেনাকে বলতে হবে কেনো তেড়ে আসছি।
শ্রুতির মা শ্রুতির সাথে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে শেষ। উনি হয়রান হয়ে সোফায় ধুম করে বসে পড়ে। শ্রুতিও সাহস নিয়ে ওর মায়ের পাশে যায়।
শ্রুতিঃ- মা কি হলো বলবে তো?
শ্রুতির মা উঠতে যাবে তখন শ্রুতি ওর মা’কে থামিয়ে বলে
শ্রুতিঃ- মা কি আনতে হবে আমাকে বলো,তুমি হাপিয়ে গেছো।
শ্রুতির মাঃ- তোর স্টাডি টেবিলের উপর দেখ কি আছে। ওগুলো নিয়ে এদিকে আয়।
শ্রুতি একপ্রকার দৌড়েই গেলো। শ্রুতি ভাবছে ওর জন্য হয়তো কোনো সারপ্রাইজ রেখেছে ওর মা নয়তো বাবা। কিন্তু শ্রুতির আশার বাঁধ ভেঙে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে সেই এক তোড়া হলুদ গোলাপ আর সেই চিঠি। শ্রুতি যেনো এটারই ভয় পাচ্ছিলো এতদিন। শ্রুতি আজকে সাদাফকে নিয়ে এতো চিন্তিত ছিলো দরজার পাশে ফুলের তোড়া গুলো না দেখেই চলে গেছিলো,একটুও মনে ছিলো না। ইশ রে কি হবে এবার?
শ্রুতি চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলো-
এই যে সুইটহার্ট ওভাবে কোনো ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলবেনা। আমার খুব খারাপ লাগে। আর যদি কোনো ছেলের সাথে এভাবে দেখি তাহলে খুব খারাপ হবে।
তুমি জানো?
তুমি আমার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মতো মিশে আছো!
শ্রুতি চিঠিটা পড়ে রীতিমতো শকড। চিঠির মাধ্যমে হুমকি দিলো। শ্রুতি ওগুলো নিয়ে ভয়ে ভয়ে ওর মায়ের কাছে যায়।
শ্রুতির মাঃ- শ্রুতি এগুলো কি? চিঠিটায় তো তোমাকে রীতিমতো হুমকি দিলো।
শ্রুতিঃ- মা তুমি চিঠিটা পড়েছো?
শ্রুতির মাঃ- ঘরের বাইরে এভাবে পড়ে থাকলে আমি দেখবনা সেটা কার চিঠি? বলো এসব কে পাঠিয়েছে?
শ্রুতিঃ- সত্যি মা আমি জানি না প্রতিদিন এসব কে পাঠায়।
শ্রুতির মাঃ- তুমি সত্যিই জানো না?
শ্রুতিঃ- ৩ সত্যি মা আমি কিচ্ছু জানিনা।
শ্রুতির মা ভাবছে মেয়েটার উপর মিথ্যা মিথ্যা দোষারোপ করলাম। শ্রুতি তো এমন নয়।
শ্রুতির মাঃ- আমাকে ব্যাপারটা পুরোপুরি ক্লিয়ার করে বলো তো?
তারপর শ্রুতি সব বলে ওর মা-কে। সব বলতে শুধু ফুলের তোড়া আর চিঠির ব্যাপারে। তারা সব চিন্তা করে একটা কথা ঠিক বুঝতে পেরেছে এসব চেনাজানা কারও কাজ।
.
.
সাদাফ এখন নিজের রুমে বসে ভাবছে কাউকে এতোটা ভালো কিভাবে বাসা যায়। সাদাফ শ্রুতিকে অনেক ভালোবাসে।
ভালোবাসা কখনও ধর্ম,বর্ন, আকার, আকৃতি মেপে হয়না। কখন কাকে হুট করে ভালোবেসে ফেলে ব্যাক্তি নিজেও জানে না। সাদাফ এখন নিজেকে ধিক্কার জানাচ্ছে, কেনো যে তখন রক্তের নেশাটা উঠে গেছিলো? ওর ইচ্ছে করছিলো শ্রুতির পাশে আরও কিছুক্ষণ বসতে। সাদাফের ইচ্ছে করছিলো ওর হাতটা একটু ধরতে,ওর কাঁধে একটু মাথা রাখতে। ওকে একটিবার জড়িয়ে ধরতে।
সাদাফ প্রথমবার যেদিন শ্রুতিকে দেখে সেদিন সে ঠিক করে এই মেয়েকে পটাতে হবে। মেয়েটা ওকে ভালোবাসবে আর এর পরিণাম হবে ভয়ানক মৃত্যু। তাই সাদাফ শ্রুতির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়। কারও ব্যাপারে সব জানা সাদাফের বাঁ হাতের কাজ।
সাদাফ সব জেনেছিলো মেহেরের কাছ থেকে। মেহেরের থেকে শ্রুতির ব্যাপারে এমন ভাবে জেনেছে যে মেহের বুঝতেই পারেনি সাদাফ শ্রুতির ডিটেইলস নিচ্ছে। সাদাফ সেদিনই জানতে পারে শ্রুতির নাম।
সাদাফ আরও জানতে পারে শ্রুতির হলুদ গোলাপ অনেক প্রিয়।
সাদাফ শ্রুতিকে মারতে গিয়েছিলো সে রাতে। শ্রুতির রক্ত দিয়ে নিজের তৃষ্ণা মেটাতে গিয়েছিলো সেদিন। কিন্তু সে ব্যার্থ হয়। অদৃশ্য ভালোবাসা তাকে আটকে দেয়।
.
.
অদৃশ্য তুমি এমন কেনো?
তোমাকে কেনো ধরা,ছোঁয়া যায়না?
অদৃশ্য আমি কেনো আমার চারপাশটা নিয়ে ভাবিনি?
কেনো আমি তোমাকে নিয়ে ভেবে গেছি?
অদৃশ্য তুমি কেনো আমার এতটা কাছে আসো?
কেনো তোমাকে ছোঁয়া যায় না?
সাদাফ মনে মনে একটা কবিতাও বানিয়ে পেলে।শ্রুতির অনেকটা কাছে গিয়েও সে শ্রুতির রক্ত চুষে নিতে পারলো না। কোনো একটা টান অনুভব করছিলো সে। শ্রুতিকে দেখে মনে হচ্ছিলো শ্রুতি সাদাফের অনেক আপন। সাদাফ শ্রুতির দিকে আরেকটু ঘেষতে গেলেই শ্রুতি জেগে যায়।
হ্যাঁ সেদিন রাতে জানালা টপকে সাদাফই গিয়েছিলো।যেটা শ্রুতি মনের ভুল বলে চালিয়ে দেয়।
সাদাফ আর পারেনা শ্রুতিকে মারতে।সাদাফ পারবেও না। সাদাফ সেদিনের পর থেকে সোফিয়ার বেশে শ্রুতিকে প্রায়ই স্বপ্ন দেখে। সাদাফ জানে না এর পেছনে কি রহস্য আছে। একটা মানুষের সাথে ওর কি সম্পর্ক থাকতে পারে? সে-তো একজন ভ্যাম্পায়ার। নাহ ওকে এ রহস্য ভেদ করতেই হবে।
চলবে…..