ভ্যাম্পায়ার_লাভার,পর্বঃ-১১

0
1730

#ভ্যাম্পায়ার_লাভার,পর্বঃ-১১
লেখনীতেঃ- কাশপিয়া মেহজাবিন রিমশা।

—এতক্ষণে আসা হলো আপনার?

দুজনে ভয়ে রিতিমতো কাঁপছে।
কথায় আছে না?
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।
শ্রুতিদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটলো। মুখ তুলে তাকিয়ে দেখলো শ্রুতির মা ব্রু কুঁচকে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।

—ন-না ম-মা-নে মা চেঞ্জ ক-ক-রার জন্য ক-কোনো রুম খ-খালি ছিলো না।

—এতে তোতলানোর ব্যাপার টা কি বুঝলাম না।

—তুমি বকবে আবার তাই।

—তো বকবো না? এতোগুলা ওয়াশরুম তোমার চেখে পড়েনি? এখানে চার চারটা ওয়াশরুম,তাছড়া দুতলায় আরও দুইটা ওগুলোর একটাও খালি ছিলো না?

—মা কি বলছ তুমি এসব? তুমি জানো ভিড় আমার সহ্য হয়না। মেহমানদের ঠেলেঠুলে ওয়াশরুমে যাওয়া ব্যাপারটা বোরিং। তাই চিলেকোঠার ওখানে গেছি।

—তোমরা কিছু লুকাচ্ছো আমার থেকে?

কথাটা শুনে শ্রুতি ও মেহের ভয় পেয়ে যায়। শ্রুতিকে চুপ থাকতে দেখে মেহের বলে,

—আন্টি তোমার থেকে কি লুকাবো বলো তো?

—তোমাদের হাবভাবে তো সেটাই মনে হচ্ছে আমার।

—না আন্টি কিচ্ছু লুকাচ্ছি না। বিশ্বাস করো।

শ্রুতির মা মেহেরের কথা কোনো পাত্তা না দিয়ে বলে,
—তোমাদের কেউ কিছু বলে থাকলে আমাকে বলো।

শ্রুতি মায়ের এই কথাটায় একটু শান্ত হয়।

—যাক বাবা তাহলো কিছু বুঝতে পরেনি। মা মনে করেছে কোনো ছেলে আামাদের ডিস্টার্ব করেছে। হিহিহি

—শ্রুতি বিরবির করছো কেন?

—কই মা?

—আমার তো এখন নিশ্চিত মনে হচ্ছে তোমরা আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছো।

—উফফ মা শান্তিতে একটু খেতে তো দিবে। সেই তখন থেকে পরে আছো কি লুকাইছো, কি লুকাইছো ওইটা নিয়ে।

—আচ্ছা খেয়ে নাও। কিছু উল্টাপাল্টা হলে কিন্তু আমাকে বলবে।

—আচ্ছা ঠিক আছে যাও এবার।

শ্রুতিরা বুকে হাত চেপে বড় বড় করে নিঃশ্বাস নেয়। এই বুঝি একটা বড় পাথর সেখান থেকে সড়ে গেলো।

শ্রুতির চোখ সাদাফকে খুঁজছে। সে জানে এখন সাদাফকে খুঁজলেও তাকে পাবে না কারন সে তো অদৃশ্য। যখন ইচ্ছে হয় তখন’ই শ্রুতিকে দেখা দেয় সাদাফ,তাও আবার শ্রুতিকে। শ্রুতিরা ঘুমোতে রুমে যায়। শ্রুতি জানে সাদাফও এখন আছে ওর পাশে। শ্রুতি রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।

—সাদাফ আছো তুমি? সামনে আসো।

শ্রুতিকে একা একা কথা বলতে দেখে মেহের বলে,
—এই শ্রুতি মাথার তার কোনদিকের টা ছিড়লো রে তোর?

—বজ্জাত ছেমড়ি, মাথার তার ছিড়বো ক্যান?

—আগে বলুন আপনি এই ভাষা কোত্থেকে সংগ্রহ করে আনছেন? আপনি হঠাৎ এই ভাষা আওড়াচ্ছেন যে?

—শাঁকচুন্নি এটা আর কঠিন কি,অনেকেই তো বলে।

—তা ঠিক। এবার বল তার কোনদিক দিয়ে ছিঁড়ছে? সেটা ঠিক করার জন্য মেকানিক লাগতে পারে আবার।

—তোর এমন কেনো মনে হচ্ছে?

—তো মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু?

—স্বাভাবিকেরই বা কি দেখছিস?

—উফফ আর পারিনা বাপু।

—মুখ সামলা তোর কোন জন্মের বাপ আমি?

—আরেহ ওটাতো একটা প্রচলিত বাক্য। তাছাড়া এমন বাক্যগুলো হলো কথার অলংকার। কথার সৌন্দর্য বাড়ায়।

—তুই থাক বাংলা ২য় পত্রের ব্যাকরন নিয়ে। এবার বল আমাকে তার ছিঁড়া বললি কেনো?

—আরেহ তুই এখন সাদাফকে খুঁজছিস কেনো? ও এখানে কি করে আসবে? দরজা তো খুল আগে।

কথাটা শোনেই শ্রুতির হাসি শুরু হয়ে গেলো। বদের হাসিটা বন্ধই হচ্ছে না তাই মুখ চেপে হাসছে সে।

—তোকে কি এবার রিহ্যাবে পাঠাবো? এভাবে দাঁত কেলিয়ে হাসছিস কেনো?

— রিহ্যাবে আমাকে নয় তোকে পাঠাতে হবে।

—মানে কি?

—মানে অদৃশ্যদের কোনো আকার, আকৃতি, ভর, ওজন কিচ্ছুই থাকে না।এরা হয় বাতাসের মতো। এরা দেয়াল ভেদ করেও যাতায়াত করতে পারে। বুঝেছেন শাঁকচুন্নি?

—বুঝেছি,তা ওকে দৃশ্যমান হতে বলছিস না কেনো মুখপোড়া?

—আচ্ছা মেহের মুখপোড়া এর স্ত্রীলিঙ্গ কি?

মেহের উঠে দাঁড়ায়, উঠে কিছু খুঁজতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে আলমারির পেছন থেকে নেয় একটা ঝাড়ু। শ্রুতির দিকে এগিয়ে এসে বলে,

—এটা কি দেখেছিস?

—দেখেছি তো, বইনরে বইন তোরে এই অবস্থায় পুরাই কাজের মেয়ে ছখিনার কার্বন কপি লাগতাছে।

—তবে রে

এদের দুই বান্ধবীর দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি লেগেই থাকে। এইতো কয়েক সেকেন্ড পর আবার ঠিক হয়ে যায় দুজনে। দূর থেকে সাদাফ ওদের দেখে মুচকি হাসছে। ভালো থাকুক ওরা,সারাজীবন টিকে থাকুক ওদের বন্ধুত্ব।

আজ শ্রুতিদের বাড়ি ফেরার পালা। এই দুইদিন সাদাফের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছে শ্রুতি। কিন্তু সাদাফের সাথে ওইভাবে কথা বলায় অনেকে হয়তো ওকে পাগলও ভেবেছে। সাদাফ তো অদৃশ্য ওকে শ্রুতি ছাড়া কেউ দেখতে পাচ্ছে না। এতে শ্রুতিকে পাগল ভাববে সেটাই স্বাভাবিক।

আর এখন বাড়ি ফিরে যেতে পারছে এতেই শ্রুতির দ্বিগুণ আনন্দ। পুরোপুরি বাড়ি নয় বলতে গেলে কলেজে। ওখানে সাদাফের সাথে কথা বলতে আর এদিক সেদিক মানুষ আছে কি-না তাকিয়ে কথা বলতে হবে না। শ্রুতির মন এখন আকাশে মুক্ত পাখির মতো উড়ছে।

মেহেরকে বিদায় দিয়ে শ্রুতিরা বাসায় আসে। রাত হয়ে যাওয়ায় ডিনার ওখানেই করে আসলো। এখন শ্রুতির ঘুম দরকার।

মাঝরাতে,
হঠাৎ কারও ধাক্কায় শ্রুতি মেঝেতে পড়ে যায়।

—ও মা গোওওওওও
বলে চিৎকার দিয়ে উঠে। পরক্ষণেই শ্রুতি মুখে হাত চেপে ধরে। মা ঘুম থেকে জেগে গেলে এই মুহুর্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাষন শুনিয়ে দিবেন। যা শুনার মুড শ্রুতির নেই, কখনোই ছিলো না, না এখন আছে। শ্রুতি বুঝতে পারছে না কে ওকে ধাক্কা দিলো। ভয়ে শ্রুতির হৃৎস্পন্দন কয়েকগুণ বেড়ে গেলো।শ্রুতি তাড়াতাড়ি লাইট জ্বালায়,

—কই কিছু তো নেই। চারিদিকে ফাঁকা,কিন্তু পড়ে গেলাম কি করে?

শ্রুতি আজকে আর ঘুমাবেনা। ঘুমালে যদি আবার ধপাস করে পড়ে যায়? তখন ওইভাবে পড়ে যাওয়ায় কোমরটা যে এখনও আছে সেটাই ঢের। কিন্তু শ্রুতির ঘুম কোনো বাঁধায় শুনছে না। শ্রুতির মনে হচ্ছে ওর ঘুমেরা ওকে বলছে,

—তখন তো বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে আমাদের জাগিয়ে দিলি। খবরদার এখন যদি আমাদের আবার জাগাস তবে তোকে ঝাঁটা পেটা করবো হতচ্ছাড়ি।

—এমা ছিঃ ছিঃ মনে মনে নিজেকে নিজে হতচ্ছাড়ি বলে ফেললাম।
কথাটা বলেই হাসে শ্রুতি। আস্তে আস্তে ঘুমের দেশে তলিয়ে যাচ্ছে শ্রুতি।

——-
আমি তোদের কখনও এক হতে দিবো না। আগেও দেই নি এখনও দিবো না। আমার শক্তির কাছে তোরা আগেও হেরেছিস এখনও হারবি। হা হা হা

কারও ভেসে আসা বিদঘুটে কন্ঠে শ্রুতির ঘুম ভেঙে যায়। এটা তো স্বপ্ন ছিলো না।

—আমি সিওর এটা স্বপ্ন না। আমার ভুল ও হচ্ছেনা।ভুল বারবার হয় না। কি সব হচ্ছে আমার সাথে?

শ্রুতি তাড়াতাড়ি ফোন নিয়ে দেখে রাত ৪ টা বেজে ৩০ মিনিট। ৫ টায় সকালের আলো ফুটে যায়। সাদাফকে কল দিবে কি-না ভাবতেছে শ্রুতি। শ্রুতি যেনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে।

কে বললো কথাগুলো?
কে কাদের একসাথে থাকতে দিবে না?
এসব কেনো বার বার হচ্ছে।
এসব কিছু তো সিনেমা আর গল্পতেই হয়।
বাস্তবে কিভাবে তা সম্ভব?

শ্রুতি এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে সকাল হয়ে যায়, ঠেরই পেলো না।
ঠিক করলো একেবারে কলেজে গিয়েই সাদাফকে সব জানাবে।

শ্রুতি হাতমুখ ধুয়ে ডাইনিং এ বসতেই ওর মা খাবার নিয়ে আসে। দুধ, কলা আর পাউরুটি দিয়ে জ্যাম। এই খাবারগুলো শ্রুতির গলা দিয়ে নামতেই চায় না। কিন্তু মায়ের কড়া নির্দেশ তো পালন করতেই হয়।

—উফফ যত্তসব নিয়ম সবই আমার জন্য।

—বিরবির না করে খাবারগুলো খেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। (শ্রুতির মা)

—মা আমি তো পড়তেছি সাইন্স নিয়ে। কাউকে উদ্ধারের কাজ তো জানিনা বা শিখিনি এখনও। আমি এখন তোমাকে কিভাবে উদ্ধার করার মিশনে নামবো বলো তো?

—বুলি যেনো মুখে মুখে নিয়েই হাঁটিস। খালি খইয়ের মতো ফুটতে থাকে। (শ্রুতির মা ধমকের সূরে বললো)

—মা আমি তো তোমারি অংশ। তাই এই আর কি। হিহিহি।

— ভুলভাল কথা উথরিয়ে নাম আমার কেনো দিস?

—মা আমি তো তোম….

শ্রুতিকে থামিয়ে ওর মা বলে,

—বেস এবার খাওয়া শুরু কর কথা বলিস না।

শ্রুতি চুপচাপ খেতে শুরু করে দেয়।

কে করছে এমন?
কিসের স্বার্থে অদৃশ্য কেউ পরে আছে আমার পেছনে?
ফুপির বাসায় যাওয়ার দিন কেনো খারাপ লেগেছিলো। কি হয়েছিলো আমার?
আমি অজ্ঞান কি করে হলাম?
সেদিন হঠাৎ আমার পরিবর্তন….
ইশশ আমি এটা নিয়ে আগে ভাবিনি কেনো?
আমার আবছা মনে পড়ছে সব,
আমার হাতের নক বড় হয়ে যাচ্ছিলো সেদিন আর আর হ্যাঁ আরও পরিবর্তন হয়েছিলো আমার।
চোয়ালের তুই পাশের দাঁতগুলোও পরিবর্তন হচ্ছিলো।
উফফ ঠিক করে মনেই পড়ছে না।

শ্রুতিকে এভাবে চিন্তা করতে দেখে ওর মা বলে,

—কিরে আর কিছু খাবি?

—মা আমি রক্ত খাবো।

—ফাজলামো করিস?

—মা আমি রক্ত খাবো।

—একটা থাপ্পড় দিবো বেয়াদব মেয়ে।

—মা আমি রক্ত খাবো। আমার তেষ্টা পাচ্ছে।

—হ্যাঁ তো পানি খা না।

—না মা আমার রক্ত খেতে হবে।

শ্রুতির মা খেয়াল করলো শ্রুতি কথাগুলো চোখ বন্ধ করেই বলছে। নিশ্চয়ই রাতে হরর মুভি দেখেছে। আর সেগুলোরই ডায়ালগ ঝাড়ছে। শ্রুতির মা শ্রুতিকে আলতো করে জাটকা মারে। সাথে সাথে শ্রুতি চোখ খুলে।

—কি হলো মা?উফফ

—কানের নিচে ধরে একটা দিবো। কি রক্ত খাবি, রক্ত খাবি শুরু করেছিস?

শ্রুতির এবার সব মনে পড়ে যায়। হ্যাঁ শ্রুতি একজন ভ্যাম্পায়ার। সেদিন তার মধ্যে নতুন আরেক স্বত্বার জন্ম হয়েছিলো। ভ্যাম্পায়ার শ্রুতির জন্ম। আশ্চর্যের বিষয় এত বড় একটা ঘটনায় শ্রুতির একটুও ভয়,বা মন খারাপ হচ্ছে না। বরং খুব বেশি খুশি লাগছে। শ্রুতি নিজেকে স্বাভাবিক করে মা’কে বলে,

—না মা আসলে কাল রাত্রে হরর মুভি দেখেছিলাম তো। এখনও ভয়ের রেশ কাটেনি।

—যদি ভয়’ই পাবি তাহলে দেখতে হয় কেনো?

—মা এখানেই তো সব আনন্দ। ওসব তুমি বুঝবে না।

—আমার বুঝাও লাগবেনা। দুধটুকু শেষ করে কলেজে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নে।

শ্রুতি তাড়াতাড়ি খেয়ে রুমে আসে। আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের দাঁত দেখছে। কই দু’পাশের দুটো লম্বা দাঁত তো এখন নেই।

আজ শ্রুতির অনেক বেশি খুশির দিন। কারন সাদাফের মতো সেও ভ্যাম্পায়ার। সাদাফ আজ আর তাকে ফেরাতে পারবে না। কিন্তু এখনও তার রক্তের নেশা উঠলো না কেনো? তবে এখন ভয়ও হচ্ছে। কি করে সে রক্ত খাবে। ইয়াগ…

শ্রুতি এসব ভাবতে থাকে আর তখনই আয়নার মধ্যে আপনাআপনি কিছু লেখা ভেসে উঠতে থাকে।

——-
—শ্রুতি ভয় পেয়ো না। এটা তোমাদের নিয়তি। তোমাদের ও শেষ করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যেমনটা আগেও করেছিল। আমি অনেক কষ্টে ওকে এতদিন আটকে রেখেছিলাম কিন্তু এখন আর পারছিনা। ও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। য করার তোমাদেরই করতে হবে।

এসব কথার মাথা বা মুন্ডু কিছুই শ্রুতির গোবর মার্কা মাথায় ঢুকছে না। শ্রুতি চোখ কচলিয়ে আবার আয়নার দিকে তাকায়। হ্যাঁ এখনও আছে লেখাগুলো। শ্রুতি তাড়াতাড়ি গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। কেউ এসে পড়লে সমস্যা।

—কে তুমি? এসব আমাকে কেনো বলছো?

আগের লেখাগুলো মুছে গিয়ে আবারও আয়নায় নতুন লেখা উঠে,

—আমি সানজানা। তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো। আমি তোমার বন্ধু হই। আর এসব কেনো তোমাকে বলছি তুমি সব আস্তে আস্তে জানতে পারবে।

— কিসের ভিত্তিতে আমি তোমাকে বিশ্বাস করবো?

—কারণ তোমার আমাদের রাজপুত্র অভ্রজিতের বউ হওয়ার কথা ছিলো সোফিয়া।

সোফিয়া আর অভ্রজিত নামটা শুনেই শ্রুতির মাথা চক্কর দিয়ে উঠে। মেয়েটা জানলো কিভাবে এসব?

—আগে বলো তুমি কিভাবে এসব জানো? এসব তো শুধুই স্বপ্ন।

আবারও আয়নায় নতুন করে লেখা উঠে,

—না সোফিয়া এসব স্বপ্ন নয়। তুমি সব বুঝতে পারবে সময় হলে।

—আমার নাম সোফিয়া নয় দয়া করে আমাকে আমার সঠিক নামটা ডাকবেন।

আয়নায় লেখা উঠে,

—তুমি কি রাগ করেছো?

—আজব আমি রাগ কেনো করবো আপনার সাথে? আমি আপনাকে দেখতে পারছি, না শুনতে পারছি, না বুঝতে পারছি। হতেও তো পারে এসবই আমার হ্যালুসিনেশন। একাকিত্ব থেকে এসব হচ্ছে।

আয়নায় আবার লেখা উঠে,
—না শ্রুতি এসব কিচ্ছু নয়। আমি তোমাকে সাহায্য করবো। আমি তোমাদের সাহায্য করেই মুক্তি পাবো। এই নাও এই পাথর টা রাখো।

তখন শ্রুতি দেখতে পেলো ওর ড্রেসিং টেবিলে হঠাৎ নীল আলো জ্বলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। আর সেখানে পড়ে আছে একটা নীল পাথর। তার মানে এসব হ্যালুসিনেশন নয়। শ্রুতি পাথরটা হাতে নেয়।

আয়নায় আবারও লেখা উঠে,
—যখনি বিপদে পড়বে এই পাথরটা ধরে আমার নাম তিনবার স্বরণ করবে৷ আমি চলে আসবো। এবার যাই বিদায়।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here