মধুবালা,#অন্তিম_পর্ব

1
1296

#মধুবালা,#অন্তিম_পর্ব
অরিত্রিকা আহানা

রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে মধু। পরনে শতচ্ছিন্ন শাড়ি। উঠে বসার শক্তিটুকু নেই। সারাগায়ে আঁচড়ের দাগ। আশরাফি সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। থরথর করে হাঁটু কাঁপছে তাঁর। কপাল ঘামছে। নাঈমের বিয়ে উপলক্ষ্যে তাদের গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছিলো তাঁকে। ফিরে এসেই মধুকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। যদিও বাড়ি খালি করার জন্য সরকারিভাবে কোন আদেশ দেওয়া হয় নি তথাপি সব ব্যবস্থা করে ফেলেছিলো আশরাফি। কিন্তু হঠাৎ করেই এই সর্বনাশটা ঘটবে সে স্বপ্নেও ভাবে নি। আরমান পলাতক অবস্থায়ও এতবড় সাহস করবে একথা কারোর মাথাতেই আসে নি।

হাটুমুড়ে মধুর সামনে বসলো সে। আধোবোঝা চোখ মেলে চাইলো মধু। ক্ষীণস্বরে ফুঁপিয়ে উঠে বললো,’আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আরমান আমাকে শেষ করে দিয়েছে।’

তাঁর ক্রন্দনরত অসহায় মুখখানা দেখে শরীরের সমস্ত রক্ত টগবগ করে উঠলো আশরাফির। টলমল করতে থাকা চোখের পানি সমতে মধুকে বুকে টেনে নিলো সে। জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে মেয়েটার! দুহাতে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলো। মধু আহত,ভাঙাস্বরে আবারো ফুঁপিয়ে উঠলো,’আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। সব শেষ হয়ে গেছে! আমি অপবিত্র হয়ে গেছি। শয়তানটা আমাকে অশুচি করে দিয়েছে। তোমার মেহের আর তোমার রইলো না।’

ভোররাতের দিকে ঘটনাটা ঘটিয়েছে আরমান। বাড়ির পেছনের রাস্তা দিয়ে ভেতরে ঢুকে মধুর ঘরে ঢুকেছে সে। ছোটবেলা থেকে এই বাড়িতে থাকার কারণে বাড়ির কলকব্জা সব চেনা আছে তাঁর। তাই অন্ধকারেও মধুর ঘর খুঁজে বের করতে খুব বেশি অসুবিধে হয় নি। নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে মুখ বেধে ফেললো মধুর। রাগটা মূলত আশরাফির ওপরে থাকলেও সেটা মেটায় মধুর ওপর। এতদিনের সব সংকোচে, ভয় কাটিয়ে চড়াও হয় মধুর ওপর। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকায় অসহায় মধুর অস্পষ্ট আর্তনাদ কেউ শুনতে পায় নি। নিজের কামনা,বাসনা মিটিয়ে মধুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে রাতের আঁধারেই আবার পালিয়ে যায় শয়তানটা! সুলেখার কাছ থেকে খবর পেয়ে নাঈমের বিয়ে ফেলে রেখে রাতদুপুরেই ছুটে এসেছে আশরাফি।

মধুর কথার জবাবে পাঁজকোলা করে কোলে তুলে নিলো তাঁকে। চোখভর্তি পানি নিয়ে সান্ত্বনার সুরে বললো,’কিচ্ছু শেষ হয় নি! তুমি আমার ছিলে আমারই আছো। আমি এখনো তোমাকে ভালোবাসি!’ কথা শেষ করে মধুর তপ্ত ওষ্ঠাধরে স্নেহের চুমু খেলো সে। মধুর তাঁর বাহু চেপে ধরে হু!হু! করে কেঁদে উঠে বললো,’কেন তুমি আমাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলে? কেন গিয়েছিলে? কেন আমার এতবড় সর্বনাশ করলে?’

ডুঁকরে কেঁদে উঠলো মধু! তাঁর বাঁধভাঙ্গা অসহায় আর্তনাদ আশরাফির সমস্ত শরীরকে বিবস করে দিলো। নিস্তব্ধ, শূন্য দৃষ্টিতে মধুর চেয়ে রইলো সে। সব দোষ তাঁর! তাঁর দোষেই মধুকে এতটা সাজা ভোগ করতে হয়েছে! কেন সে মধুকে একা রেখে গেলো? কেন একবারও তাঁর নিরাপত্তার কথাটুকু ভাবলো না? বাঁ হাতটা মধুর মাথায় রেখে আর্দ্র কণ্ঠে বললো,’ঠিকই বলেছো তুমি! সব দোষ আমার! আমি তোমার সব দুঃখের কারণ! আমার জন্যই তোমার এতবড় সর্বনাশ হলো।’

হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো মধু। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মিথ্যে দোষের বোঝা মাথায় নিচ্ছে মানুষটা। কেন মধুর ভাগ্যটা এমন হলো? কেন এতদিন বাদে সে আশরাফির কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই এতবড় সর্বনাশটা হলো?
তাঁর চোখের পানিতে আশরাফির বুক ভিজে একাকার হয়ে গেলো। তবুও কান্না থামলো না। আশরাফির শার্ট খামছে ধরে আর্তনাদ করে বললো,’আমার সাথেই কেন এমন হলো? কেন আমি তোমার হতে পারলাম না? কেন’
জ্বরে শরীরটা থরথর কাঁপছিলো মধুর। আহত পক্ষীশাবকের ন্যায় তাঁকে বুকের মাঝে আড়াল করে নিলো আশরাফি। শান্ত করার চেষ্টা করে বললো,’বললো কিচ্ছু হয় নি! কেন তুমি নিজেকে দোষ দিচ্ছো? ভাগ্যের ওপর কারো হাত নেই। কে বলেছে তুমি আমার হউ নি? তুমি তো আমারই!’

-‘আমার যে নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে। এই অপবিত্রতা নিয়ে আমি কখনো তোমার কাছে যেতে পারবো না!’

আশরাফি পুনরায় তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো,’তবে আমি যাবো তোমার কাছে। তোমাকে নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই! তুমি আমার ভিতর, বাহির, অন্তর সব জায়গায় আছো। বাহিরের রূপটা তো কেবল বাহিরকেই ভোলায়। অন্তরকে তো অন্তর দিয়ে বশ করতে হয়! তুমি আমার অন্তর জুড়ে বিরাজ করছো মেহের! পৃথিবীতে আমি সবথেকে বেশি ভালো তোমাকে বেসেছি। তুমি ভিন্ন অন্য কাউকে আমি কখনো, কোনদিন, কোন একমুহূর্তের জন্যেও চাই নি! তুমি যদি মেহের হও তবে আমি তোমাকে মেহেররূপে ভালোবেসেছি। আর তুমি যদি মধুবালা হও তবে আমি তোমাকে মধুবালা রূপেই ভালোবেসেছি! তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা বিন্দুমাত্রেও কমে নি!’


তার দুদিন বাদের ঘটনা,
রাত দেড়টা! খাটের ওপর মধুর পাশে শুয়ে আছে সুলেখা। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সে। কিন্তু মধুর চোখে ঘুম নেই। সে ভাবছে আশরাফির কথা। মানুষটা ঘুমিয়েছে কি না কে জানে? গতদুদিন পাগলের মত ছুটেছে আরমানকে খোঁজার জন্য।
আজকেও মধুকে একা রেখে যেতে কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিলো না। অনেক কষ্টে তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়িয়ে পাঠিয়েছে মধু। কিন্তু এখন আফসোস হচ্ছে, এখানে আর একমুহূর্তও থাকতে মন চাইছে না। কিন্তু উপায় নেই! সরকারি নির্দেশ, মানতে হবে। যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে বাড়ি ততদিন সরকারি দখলে থাকবে। মেয়েদের স্থানান্তরও নিষিদ্ধ! অথচ তাদের নিরাপত্তার জন্যেও জোরালো কোন ব্যবস্থা করা হয় নি। ভাবখানা এমন যে, পতিতাদের সম্মান থাকলেই কি বা না থাকলেই কি! সবকিছুতেই গাছাড়া ভাব! তবে আশরাফি আসার পর থেকে আদাজল খেয়ে লেগেছে। আশা করার যায় এবার খুব শীঘ্রই মামলার নিষ্পত্তি হবে! আরমানের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। মেয়েরা সবাই বাদী হয়ে সাক্ষী দিয়েছে। অতএব তাঁর কারাদণ্ড ঠেকানো অসম্ভব যদি না পালিয়ে বাঁচার সুযোগ থাকে।


ঘড়িতে রাত তিনটা! মুখের ওপর কারো গরম নিশ্বাস পড়তেই চোখ খুলে গেলো মধুর। মুখ বেধে রাখা মানুষটার দেহবয়ব দেখে বুঝতে বাকি রইলো শয়তানটা কে! ভয়ে আতংকে শিউরে উঠলো মধু। চিৎকার দেওয়ার আগেই তাঁর মুখ চেপে ধরলো আরমান। ফটাফট কাপড় দিয়ে মুখ বেধে ফেললো। তারপর হাত বাঁধলো। পাঁজাকোলা করে তুলে নিলো তাঁকে। খাট থেকে নামার আগে পা দিয়ে সুলেখার হাতে সজোরে চিমটি কাঁটলো মধু। ঘুমের ঘোরে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো সুলেখা। অন্ধকারে মধুর গোঙানি শুনে লাফ দিয়ে খাট থেকে নেমে গেলো! জানালা দিয়ে মধুকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে আরমান। খাট থেকে নেমে ক্ষিপ্রগতিতে তাঁর পা চেপে ধরলো সুলেখা। বাধা পেয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে পা ঝাড়া দিলো আরমান। ছিটকে পড়ে গেলো সুলেখা। কিন্তু পুনরায় চেপে ধরলো। শক্তিতে আরমানের সঙ্গে না পেরে তাঁর ডানহাতের কব্জিতে সজোরে কামড় বসিয়ে দিলো সুলেখা। কামড়ে রক্ত বের করে ফেললো। কামড়ের চোটে চোখেমুখে তারা দেখলো আরমান। সবেগে মধুকে নিচে ফেলে দিয়ে সুলখার চুলের মুঠি চেপে ধরলো জঘন্য ধরনের গালি দিলো তাঁকে উদ্দেশ্য করে। তারপর ঠাস করে চড় মারলো তাঁর গালে। সঙ্গে সঙ্গেই ঠোঁট কেঁটে গলগলিয়ে রক্ত পড়া শুরু করলো। চড় খেয়ে বেহুঁশ হয়ে গেলো সুলেখা। ফের নোংরা জঘন্য গালি দিয়ে ঘুমন্ত মেয়েটার ওপর চড়াও হওয়ার প্রস্তুতি নিলো আরমান। বজ্জাত মেয়েটা কামড়ে হাতের মাংস তুলে নিয়েছে আজকে ওকে মেরেই ফেলবে আরমান।

ধ্বস্তাধস্তিতে হাতের বাঁধন শিথিল হয়ে গেলো মধুর। হাত খুলে কোনরকম কালবিলম্ব না রাগে ক্ষোভে চৌকির নিচ থেকে বটিটা বের করে নিয়ে সে। তারপরই দিশেহারা হয়ে কোপানো শুরু করলো আরমানকে। চেপে রাখা ক্রোধ, ক্ষোভ ঝেড়ে ফেললো। দশমিনিট পর যখন হুঁশে ফিরলো আরমানের রক্তাক্ত ঝাঁজরা দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। হাত থেকে বটি পড়ে মধুর। অত্যাধিক মানসিক চাপে জ্ঞান হারালো সে।


সকাল বেলা খবর পেয়ে ছুটে এসেছে আশরাফি। নিচতলায় মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে সুলেখা। মধুর হাতে হাতকড়া। বোবা দৃষ্টিতে সম্মুখপানে চেয়ে আছে সে। আরমানের ডেডবডি পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানে আসার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত পা-টা টলছিলো আশরাফির। বারবার মনে হচ্ছিলো, সব মিথ্যে! মিথ্যে! মিথ্যে! মধুর কিচ্ছু হয় নি। কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই সব ওলটপালট হয়ে গেলো। হাঁটুতে ভর দিয়ে মধুর পায়ের কাছে বসে পড়লো সে। অশ্রুসজল চোখে মূর্তির মতন চেয়ে থেকে বললো,’কেন তুমি আমার কথাটা একবারও ভাবলে না মেহের? কেন? কোন অপরাধে আমাকে তুমি এতবড় শাস্তি দিলে ? আমি যে শুধুমাত্র তোমার জন্য এতগুলো বছর অপেক্ষা করে ছিলাম! তুমি কেন আমাকে এভাবে শেষ করে দিলে? ঐ শয়তানটার সাথে সাথে তো তুমি আমাকেও খুন করে দিয়ে গেলে মেহের!’

অত্যাধিক শোকে পাথর হয়ে রইলো মধু। আরমানের মত নরকের কীটকে খুন করার জন্য কোন কষ্ট হচ্ছে না তাঁর। এরা সমাজের জন্য হুমকি! যত তাড়াতাড়ি এদের নির্মূল করা যায় ততই মঙ্গল! কিন্তু আশরাফি? সে কি নিয়ে বাঁচবে? তাঁর তো মধু ছাড়া আর কেউ নেই? টুপটুপ করে চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো মধুর! কোন রকম জবাব দিতে পারলো না সে! মহিলা একজন পুলিশ এসে নিয়ে গেলো তাঁকে! বোবা, শূন্য দৃষ্টিতে সেদিকে চেয়ে রইলো আশরাফি!

আশরাফির কাছ থেকে বিদায় নিতে এসেছে নীলা। আগামী শুক্রবার তাঁর ফ্লাইট। উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে সে। সেখানকার একজন বাঙ্গালি প্রফেসরের সাথেই বিয়ের কথাবার্তা চলছে তাঁর। যাওয়ার আগে আশরাফির সাথে দেখা করতে এসেছে। আশরাফিকে বিদায় জানাতেই তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলো আশরাফি,’ভালো থেকো নীলা, খুব ভালো থেকো।’

নীলা মলিন হাসলো। মধু জেলে যাবার পর বিগত চারবছর যাবত আশরাফির জন্য অপেক্ষা করে এসেছে সে। কিন্তু মানুষটার মায়া হলো না! মধুকে না পেয়ে মধুর স্বপ্নের সমিতিকে আপন করে নিলো মানুষটা। অথচ চাইলেই সে জলজ্যান্ত নীলাকে আপন করে নিতে পারতো। কিন্তু নীলার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ কোথায় তাঁর? সে তো ব্যস্ত মধুবালা ফাউন্ডেশন নিয়ে! সেখানকার মেয়েদের যাবতীয় ভালোমন্দ দেখাশোনা করাটাই যেন তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য!

মধুবালা নামটা এখন আর দুঃখ দেয় না আশরাফিকে। সমিতি সব মেয়েগুলোর কাছে মধুবালা একটা শ্রদ্ধার নাম! মধুবালা! যে নিজে ডুবে এখানকার সমতির সব মেয়েগুলোকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে। অথচ সে চাইলেই পারতো আশরাফির সাথে একা চলে যেতে! কিন্তু যায় নি! সবার আগে এখানকার মেয়েদের কথা ভেবেছে। মায়ের মতনই তাদের বুকের আগলে রেখেছে! তাই এখনো আগের মতনই মধুমার নামটা শুনলে শ্রদ্ধায় মধুবালা ফাউন্ডেশনের সবকটা চোখ অবনত হয়ে যায়! কষ্টে চোখ ভিজে যায় তাঁদের! মধুর প্রতি তাদের এমন অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখলে নিজের দুঃখের কথা ভুলে যায় আশরাফি! ভালোবাসার অন্যরকম মানে খুঁজে পায় সে!

নীলা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিষন্ন গলায় বললো,’পৃথিবীটা সত্যিই বড় অদ্ভুত স্যার। সবাই ভালো থাকতে বলে কিন্তু ভালো রাখার দায়িত্ব কেউ নিতে চায় না। নিজের ঘাড়ে কেউ বোঝা চাপাতে চায় না।’ আশরাফি জবাব দিলো না। বিষন্ন দৃষ্টিতে নীলার মুখের দিকে চেয়ে রইলো। নীলা ফের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,’যাইহোক, আমি আসি। আপনি নিজের খেয়াল রাখবেন।’
কথা শেষ করে আর একমুহূর্তও দাঁড়ালো না সে। বেরিয়ে গেলো। যাওয়ার সময় ছলছল চোখে শেষবারের মতন আরেকবার পেছন ফিরে চাইলো আশরাফির দিকে। আশরাফি দেখেও না দেখার ভান করে রইলো। বিদায় বেলায় মেয়েটার মায়া বাড়াতে চাইলো না। মেয়েটা কাঁদছে! মনে মনে হয়ত ঘৃণা করছে আশরাফিকে। কিন্তু তবুও আশরাফি চায় নীলা ভালো থাকুক। খুব ভালো থাকুক! আশরাফিকে না পাওয়ার যন্ত্রণা যেন খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাক!
আশরাফি নিজের মত করে ভালো থাকতে শিখে গেছে। মধুবালা ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি মধুকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশাই তাঁর ভালো থাকার মূল মন্ত্র! তাঁর বিশ্বাস একদিন মধু ঠিক ফিরবে। ফিরতেই হবে মধুকে! সেদিন আর আশরাফির কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবে না সে। চোখ বন্ধ করে মনে মনে আরো একবার সেই দিনটার প্রত্যাশা করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো আশরাফি!
.
.
.
সমাপ্ত

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here