মন পাজড়ে শুধু তুমি আছো?,পর্ব_২৬ (অন্তিম পর্ব)

0
3441

মন পাজড়ে শুধু তুমি আছো?,পর্ব_২৬ (অন্তিম পর্ব)
লেখিকা_মাইসারাহ_আরোহি?

আয়ানা চলে যেতে নেয়,অর্থ পেছন থেকে আয়ানার হাত ধরে বললো,
— “আজ যাচ্ছো ঠিক আছে কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে যেনো সবার আগে তোমার মুখটাই দেখি।নাহলে কিন্তু খবর আছে এই বলে রাখলাম।”
আয়ানা ওর কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে মুখ ভেংচি কেটে চলে গেলো।

!!
সকালে আয়ানা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে।ঘুম থেকে উঠে অর্থির রুম থেকে নিজের রুমে আসে।অর্থ দরজা লক করে নি যার কারণে আয়ানা সহজেই ঘরে আসতে পারলো।আয়ানা ঘরে এসে দেখে অর্থ বাচ্চাদের মতো করে শুয়ে থেকে ঘুমাচ্ছে।আয়ানার‌ও ঘুম ঘুম ভাবটা এখনো যায় নি,ও ঝিমোতে ঝিমোতে অর্থের পাশে এসে শুয়ে পড়ে।ঘুমিয়ে থাকলেও অর্থ ঠিকই আয়ানাকে অনুভব করতে পেরেছে,আয়ানা ওর পাশে শোওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ও আয়ানাকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নেয়।

!!
চারদিকে অসংখ্য লাইটিং সাথে লোকজনের আনাগোনা।এখন‌ই সব আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করছেন।আর হয়তো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বর‌ও চলে আসবে।আয়ানা,অর্থির বান্ধবী আর পার্লারের একটা মেয়ে সহযোগে অর্থিকে ব‌উয়ের রূপে সাজাচ্ছে।লাল বেনারসী,হাতে,কানে,গলায়, কপালে এবং নাকে অলংকার,খোঁপা করা চুল,মাথায় ওড়না,মুখমন্ডলে পরিমার্জিত সাজসজ্জা সবকিছুই এক নববধূর বেশ।অর্থিকেও ঠিক সেইভাবেই নববধূর বেশে সাজানো হয়েছে।সব সাজানো শেষে আয়ানা অর্থির মাথার উপর ওড়না দিয়ে সামনে থাকা আয়নার দিকে তাকিয়ে বললো,
— “চমৎকার।ভীষণ সুন্দর লাগছে।সত্যি বধূ বেশ একটা অন্যরকম রূপ।প্রতিটি মেয়েকেই এই রূপে অসাধারণ লাগে।”
— “ধন্যবাদ আয়ানা।কিন্তু তুমি তৈরি হবে না?” (অর্থি)
— “হ্যাঁ আপু এই তো এখন যাবো।” (আয়ানা)
— “আচ্ছা তুমি যাও তাড়াতাড়ি তৈরি হ‌ও।তোমাকে তো আবার বরপক্ষকে সামলাতে হবে।” (অর্থি)
— “হুম আপু আমি যাচ্ছি।একটু পরে এসে তোমাকে বলে যাবো বর এলো কি না।” (আয়ানা)
— “আচ্ছা।” (অর্থি)

আয়ানা তৈরি হ‌ওয়ার জন্য ঘরে আসে।তবে ঘরটা নির্জন,ঘরে কেউ নেই।আয়ানা অর্থকে খুঁজলো তবে ওর দেখা পেলো না।ও বুঝতে পারলো অর্থ হয়তো আগেই তৈরি হয়ে নিচে গিয়েছে।আয়ানা আর সময় নষ্ট করলো না আলমারি থেকে একটা পার্পল কালার শাড়ি বের করে।শাড়ি পরে এসে ও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছে।আয়ানা একে একে চোখে কাজল লাগায়,ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়,হালকা গয়না পরে আর চুলগুলো মাঝ বরাবর সিঁথি করে মাঝখানে টিকলি দিয়ে দুই পাশে ছেড়ে দেয়।ব্যাস আয়ানা তৈরি,ওর সাজতে বেশি সময়‌ই লাগলো না।আয়নায় নিজেকে দেখে আয়ানা মুচকি হেসে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।ঘর থেকে বেরিয়ে আয়ানা যে-ই নিচে যাবে ওমনি সময় ও শাড়ি বেঁধে হোঁচট খেয়ে কারো গায়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে।আয়ানা সেই ব্যক্তিটিকে শক্ত করে খামচে ধরে,অপর পাশে থাকা ব্যক্তিটিও ওকে শক্ত করে ধরে।কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হওয়ার পর আয়ানা নিজেকে সামলে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায় এবং ব্যক্তিটির দিকে তাকিয়ে দেখে সে আর কেউ নয় ওর‌ই স্বামী অর্থ।অর্থ‌ও আয়ানার সাথে মিল রেখে পার্পল কালার পাঞ্জাবি পরেছে।

দুজনের দৃষ্টি এখন দুজনের চোখের দিকে। চারদিকে যা-ই হয়ে যাক না কেনো ওদের সেসব খেয়াল নেই,দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে একটা অন্যজগতে হারিয়ে গিয়েছে।অর্থ ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে বললো,
— “আরে দেখে চলবে তো নাকি!আমি না ছাড়া যদি অন্য কেউ থাকতো তখন কি হতো হুম?”
— “কি আর হতো,আপনার সাথে যা হয়েছে অন্য কারো সঙ্গেও তাই হতো।” (আয়ানা)
— “কি একদম ঠ্যাং ভেঙে দেবো বলে রাখলাম।অন্য কোনো ছেলে তোমাকে টাচ করলে কিংবা আশেপাশে ঘুরঘুর করলে তার অবস্থা খারাপ করে দেবো।” (রেগে অর্থ)
— “আচ্ছা বাবা ঠিক আছে।এখন ছাড়ুন বরপক্ষ আসবে আমাকে থাকতে হবে ওখানে।” (আয়ানা)

অর্থ আয়ানাকে ছেড়ে দেওয়া বাদ দিয়ে এক ঝটকায় আরো কাছে টেনে নেয়‌।আয়ানার কপালে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুলগুলো এক হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে অর্থ বলে,
— “সবসময় খালি পালাই পালাই করো কেনো?একটু কি আমার কাছে থাকতে ইচ্ছে করে না?আমার‌ও তো তোমাকে ইচ্ছে করে তোমাকে ভালোবাসতে।”
— “যতো ভালোবাসা আছে পরে দিয়েন আমি কিছু বলবো না।কিন্তু এখন প্লিজ ছেড়ে দিন কেউ চলে আসলে খারাপ ভাববে।” (এদিক ওদিক তাকিয়ে আয়ানা)
— “ভাবুক আমি আমার ব‌উয়ের সাথে আছি তাতে কার কি।বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে আজ ভীষণ সুন্দর লাগছে।আমি তো চোখ‌ই সরাতে পারছি না।” (অর্থ)

আয়ানা কিঞ্চিত লজ্জা পেয়ে মুখ নিচু করলো।অর্থ একটু অভিমানের সুরে বললো,
— “বাহ বাহ তোমার এতো প্রশংসা করলাম আর তুমি আমাকেই কিছু বললে না?আমাকে কি ভালো লাগছে না?”
— “ভালো লাগছে।সুদর্শন পুরুষ একেবারে।” (আয়ানা)
— “ধন্যবাদ।” (অর্থ)
— “এখন তো যেতে দিন প্লিজ।” (আয়ানা)
— “তো যাও কে মানা করেছে।” (অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে অর্থ)
— “এভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে থাকলে আমি কিভাবে যাবো?দেখুন বরপক্ষ প্রায় চলে এসেছে আমি যদি এখন না যাই তাহলে কেলেংকারি হবে।প্লিজ আমায় যেতে দিন।” (অনুরোধ করে আয়ানা)
— “আচ্ছা এতো বার করে যখন বলছো তখন যেতে দিচ্ছি।তবে আমার একটা শর্ত আছে সেটা তোমাকে মানতে হবে।” (অর্থ)
— “কি শর্ত?” (ভ্রু কুঁচকে আয়ানা)
— “আমাকে ভালোবাসার সুযোগ দিতে হবে আর আমাকে ভীষণ ভালোবাসতে হবে।কি রাজি তো?” (অর্থ)
আয়ানা অতো মনোযোগ দিয়ে কথাটা শোনে না।তাড়াহুড়ো করে বলে দেয়,
— “হুম রাজি,এবার আমি যাই।”
— “আচ্ছা যাও।” (অর্থ)

ছাড়া পেয়ে আয়ানা মুক্ত পাখির মতো উড়ে চলে গেলো।অর্থ ওর দৌড়ে যাওয়ার সিস্টেম দেখে মুচকি হাসলো।

!!
বরপক্ষ চলে এসেছে। অর্থের বাবা আর আম্মু গিয়ে নাফিজকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে।অবশ্য সাথে আয়ানা আর অর্থও ছিলো।অর্থের বাবা অর্থকে বলেন নাফিজকে নিয়ে স্টেজে বসাতে।অর্থের সাথে নাহিদের বেশ ভাব।অর্থ বেশ হাসিখুশি ভাবেই নাফিজ কে নিয়ে গেলো।আর আয়ানা বাকি অতিথিদের নিয়ে গিয়ে বসতে দেয়।সব অতিথিদের যথাসাধ্য আপ্যায়ন করিয়ে আয়ানা বাহিরে আসতেই দেখে ওর আব্বু, আম্মু আর রিয়া এসেছে।আয়ানা ছুট্টে উনাদের কাছে যায়।
— “আম্মু,আব্বু,রিয়া আপু তোমরা সবাই কেমন আছো?” (মুখে একরাশ হাসি নিয়ে আয়ানা)
— “আমরা সবাই ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?” (আয়ানার আব্বু)
— “আমিও ভালো আছি আব্বু।” (আয়ানা)
— “জামাই কোথায় আয়ানা?” (আয়ানার আম্মু)
— “জানি না,ভেতরে আছে হয়তো।” (আয়ানা)
— “সে কি রে তুই এই খবর‌ও রাখিস না?” (রিয়া)
— “তোমার বোন আমার কোনো খবর‌ই রাখে না।” (পেছন থেকে অর্থ)

অর্থ এসে আয়ানার বাবা-মাকে সালাম দিয়ে কুশলাদি বিনিময় করে।
— “তা অর্থ আয়ানা তোমার কোনো খবর‌ই রাখে না?” (রিয়া)
— “না,ও তো নিজের সংসার কর্ম নিয়েই ব্যস্ত।এখন‌ই তো প্রমাণ পেলে।আমি কোথায় ছিলাম ও সেটাও জানে না।” (অর্থ)
— “কি রে আয়ানা এটা কিন্তু ঠিক না।” (রিয়া)
— “হুম আয়ানা এসব কি মা।সংসারে থাকতে হলে অন্যদের পাশাপাশি তো স্বামীর‌ও খবর রাখতে হয়।” (আয়ানার আম্মু)

আয়ানা কিছু বলার সুযোগ পেলো না।তার আগেই অর্থের বাবা আর আম্মু এলেন।
— “আরেহ বেয়াই-বেয়ান কেমন আছেন?” (অর্থের বাবা)
— “ভালো আছি,আপনারা কেমন আছেন?” (আয়ানার আব্বু)
— “জ্বি ভালো,আপনাদের আসতে কোনো অসুবিধা হয় নি তো?” (অর্থের আম্মু)
— “না বেয়ান কোনো অসুবিধা হয় নি।” (আয়ানার আম্মু)

উনারা চারজনে একটু সাইডে গিয়ে কথা বলছে।রিয়া আয়ানার কাছে এসে ফিসফিস করে বললো,
— “কি ব্যাপার দুজনের চোখ তো দুজনের দিক থেকে সরছেই না।মনে তো হচ্ছে গভীর প্রেম।”
— “ধ্যাত তুমি যে কি বলো না।” (লজ্জা পেয়ে আয়ানা)
— “বুঝি বুঝি সব‌ই বুঝি।আমার কাছে লুকিয়ে লাভ নেই।দুজন তো দুজনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস।” (রিয়া)
— “শুধু হাবুডুবু নয় মাঝে মাঝে তলিয়েও যাই।” (আয়ানা)
— “অ্যা!এই উত্তর আশা করি নি।আচ্ছা আয়ানা তোরা তো দু’জন দু’জনকে এতো ভালোবাসিস কিন্তু সবসময় এতো ঝগড়া করিস কেনো?” (রিয়া)
— “ঝগড়া না গো।এটাই তো স্বামী-স্ত্রীর দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক।আমাদের সারাদিন একবার ঝগড়া না করলে চলবেই না।কিন্তু দিনশেষে সে আমার আর আমি তার।যত‌ই ঝগড়া করি না কেনো এই ছেলেটাকে আমি ছাড়তে পারবো না।ভীষণ ভালোবাসি তাকে।” (আয়ানা)
— “অর্থ‌ও তোকে অনেক ভালোবাসে।” (রিয়া)

!!
অর্থি আর নাফিজের বিয়ে খুব ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।এখন সবাই নববধূ আর বরকে ঘিরে নিয়ে বসে আছে।অর্থির ফ্রেন্ডদের আবদার এখন ওরা একটা খেলা খেলবে আর তা হলো কাগজে নাম লেখা থাকবে যার নাম উঠবে তাকে তার প্রিয় মানুষের জন্য গান গাইতে হবে।প্রথমেই একটা কাগজ তোলা হলো আর প্রথমেই নাফিজের নাম উঠলো।
— “নাফিজ ভাইয়া নিন এবার আপনার প্রাণপ্রিয়ার জন্য গান শুরু করুন।” (উর্বশী,অর্থির ফ্রেন্ড)
— “কিন্তু আমি তো গাইতে পারি না।” (নাফিজ )
— “তা বললে তো হবে না ভাইয়া তোমাকে গাইতে হবে।” (অর্থ)
— “শালা বাবু এভাবে বলো না।” (নাফিজ)
— “উহু নাফিজ ভাইয়া আর দেরি করবেন না শুরু করুন।” (আয়ানা)
— “হুম নাফিজ গাও সবাই এতো করে বলছে।” (অর্থি)

অর্থি বলায় নাফিজ রাজি হলো।হালকা গলা ঝেড়ে নাফিজ গাইতে শুরু করলো,

“ও অর্থি সোনা দুটো হাম্পি দাও না
আমি মাইরি বলছি আর ক্রাশ খাবো না
চাঁদনী রাতে আমি অর্থির সাথে
যাবো ডিনার ডেটে পোঁচ মামলেট খেতে
অর্থি,তুমি আমার পুঁচকি সোনা
অর্থি,তুমি আমার সোনা ময়না
অর্থি……………………”

নাফিজের গান শুনে ওখানে যারা ছিলো সবাই হাসতে হাসতে শেষ। এমনকি অর্থি নিজেও হাসছে।হাসতে হাসতে সবার পেটে খিল ধরে গেছে।সবাই আবার স্বাভাবিক হয়ে খেলতে শুরু করলো।একে একে সবার নাম উঠছে আর সবাই গান গাইছে।এবার আরেকটা চিরকুট তোলা হয়।চিরকুটটা খুলে অর্থির ফ্রেন্ড মোনালিসা বললো,
— “অর্থ ব্রো নাও শুরু করে দাও।আজ তোমার প্রিয় মানুষকে গান দিয়েই মনের কথা বোঝাবে।নাও আর দেরি করো না শুরু করো।”
— “অ্যা আমি গান গাইবো?আমি তো বাথরুম সিংগার।” (অর্থ)
— “তাই কি শালা বাবু শুরু করো।” (নাফিজ)
— “হুম ভাই নে শুরু কর।” (অর্থি)

অর্থ আয়ানার দিকে তাকায়।আয়ানা বুঝতে পারে ওকে কিছু না বললে ও গাইবে না।তাই আয়ানা ওকে গাইবার জন্য ইশারা করে। অর্থ গান শুরু করার আগে আয়ানার হাতে হাত রাখে তারপর আয়ানার দিকে নিজের দৃষ্টি দিয়ে গাইতে শুরু করে।

“মন পাজড়ে শুধু তুমি আছো
কেউ তো আর থাকে না
হুম,ভালবাসি……..
আমি শুধু তোমায়
চোখে তে চোখ রাখ না!

ও ভালবাসা দিয়ে রেখেছি অন্তরে
সে যে কেনো মন বুঝেনা
কেনো থাকো দুরে
চোখেরই আড়ালে
মন তুমি ছুয়ে দেখো না
মন পাজড়ে শুধু তুমি আছো
কেউ তো আর থাকে না
হুম,ভালবাসি
আমি শুধু তোমায়
চোখে তে চোখ রাখ না!”

অর্থ যতক্ষণ গানটা গেয়েছে ততোক্ষণ ও আয়ানার হাত ধরেছিল আর ওর চোখ দুটো শুধু আয়ানার দিকেই ছিলো।আয়ানাও পুরোটা সময় অর্থের চোখের দিকেই তাকিয়ে ছিলো।গান শেষে সবাই অর্থের প্রশংসা করে।

আয়ানা অর্থের কানে ফিসফিস করে বলে,
— “সারাজীবন এভাবেই থাকতে চাই।ভালোবাসি মিস্টার বিচুটি পাতা অর্থ।”
অর্থ আয়ানার হাতটা আরেকটু শক্ত করে ধরে মুচকি হেসে ফিসফিস করে বললো,
— “আমিও এভাবেই তোমার হাতে হাত রেখে থাকতে চাই।আমিও ভালোবাসি তোমায়।”

ওরা এভাবেই ওদের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা নিয়ে সুখে থাকুক।ওদের এই বন্ধন যেনো চিরকাল অটুট থাকে।
মন পাজড়ে শুধু তুমি আছো?

(সমাপ্ত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here