মন_গোপনের_কথা #পর্ব_৩

0
637

#মন_গোপনের_কথা
#পর্ব_৩
লেখনীতে, পুষ্পিতা প্রিমা

পিহু থমকে গেল। মাহিদ গলা পরিষ্কার করলো। সামনে এল না। পেছনে দাঁড়িয়ে পিহুর কাছাকাছি এল। পিহুর বুক ধুকপুক করছে৷ এই ব্যারিস্টারের বাচ্চার বিশ্বাস নেই। কখন চাটি মেরে বসে।
ভাবতে ভাবতে চোখ খিঁচিয়ে বন্ধ করে নিল পিহু। না মাথায় কোনো চড় পড়েনি। পিহু চোখ খুললো। দেখলো তার চোখের সামনে একটু নুপুর ঝুলছে। পিহু চোখ বড় বড় করে তাকালো। মাইর খেয়ে কি সোজা হয়ে গেল নাকি ব্যারিস্টারের বাচ্চা? কিন্তু নুপুরটি তো পিহুর চেনা। পিহু নিজের পায়ের দিকে তাকালো। দেখলো তা ডান পায়ের নুপুরটি নেই। চট করে মাহিদের হাত থেকে নুপুরটি কেড়ে নিল সে। কাঁদা লেগে আছে খানিকটা। পিহু বলল

‘ আমার নুপুর। তুমি? তুমি কোথায় পেলে এটা?

মাহিদের চেহারায় কাঠিন্যতা। পিহুর দিকে একপলক তাকিয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে চুপচাপ হেঁটে চলে গেল সে। পিহু নাকফুলিয়ে বিড়বিড় করল,

‘ ভাব দেখায়। আবার পিহুর সাথে ! ঢং।

রুমে যাওয়ার আগে মাহিদের ঘরের দরজায় জোরে ধাক্কা দিল পিহু। ভেবেছিল দরজা বন্ধ। কিন্তু ধাক্কা দিতেই মাহিদের ঘরের ভেতর গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হবে কে জানতো? ভয়ের চোটে কাঁদোকাঁদো হলো পিহু। মাহিদ আওয়াজ করে হাসলো না। তবে হাসি চেপে রাখার দৃশ্যটা পিহুর চোখ এড়ায়নি। মনে মনে একশ এক গালি দিয়ে পিহু হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল

‘ আল্লাহ গো! একটু তুলো না। ধরো।

মাহিদ হাত বাড়িয়ে দিল না। ঘরের লাইট অফ করে দিয়ে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে বলল

‘ দরজা টেনে দিয়ে যাবি।

পিহু উঠে দাঁড়ালো। দরজার বাইরে গিয়ে দাঁড়ালো। এই মাহিদ্দের হয়েছেটা কি? একে তো পিহু চেনে না। কি মনে করে পিহু আবার ঘরের ভেতর পা রেখে লাইট জ্বালালো। বিছানার দিকে তাকাতেই চমকে উঠলো সে। গালের কাছে দু হাত চলে গেল। পিঠে তরতাজা মারের দাগ। এভাবে কেউ মারে? মামাটা কি?
লাইট জ্বলে উঠতেই মাহিদ বিরক্ত নিয়ে উঠে বসতেই পিহু এক দৌড়ে বের হয়ে গেল। হাঁফছেড়ে বলল, উফ কি বাঁচা বাঁচলাম।
মাহিদ দরজা বন্ধ করতে করতে বলল
‘ তোর রুমে কালো বোরকা পড়া কাউকে ঢুকতে দেখলাম।
পিহু তার ঘরের দিকে তাকালো। লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহি আলীউল আজীম পড়ে বুকে ফুঁ দিল। মাহিদের ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে বলল
‘ মাহিদ ভাই আমার ভয় করছে। সত্যি কালো বোরকা পড়া কাউকে দেখেছ? এখন কি হবে আমার? আল্লাহ!
ভয়ে ভয়ে ঘরে পা রাখলো পিহু। সারারাত লাইট জ্বালিয়ে ঘুমালো।

__________

রিপের সাথে মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেল পিহু। ছিকু ও বায়না ধরেছে পিহুর সাথে যাবে। পরী যেতে দেবেনা বলায় রিপের কোলে উঠে পড়লো। আর নামতে চাইলো না। শেষমেশ পিহু বলল ছিকুসোনা তার সাথে থাকবে। চিন্তা নেই। পরী দিতে চাইলো না। রিপ আশ্বস্ত করলো। তাই পরী মত দিল।

রিপের অফিসের গাড়ি এসে থামলো মেডিক্যালের সামনে। পিহু নেমে গেল ছিকুকে নিয়ে। রিপ বলল

‘ সাবধানে থেকো মামা। টা টা ছিকুভাই।

ছিকু হেসে ফেলল। হাত নেড়ে বলল

‘ টা টা বেরিসতার। চি ইউ।

রিপ হাসলো। বলল

‘ সি ইউ।

পিহু ছিকুকে নিয়ে প্রথমে আদির কাছে গেল। হসপিটালের নার্সগুলো ছিকুর গাল টানতে টানতে ছিকুকে বিরক্ত করে ফেলেছে। ছিকু রেগেমেগে সবাইকে বলল

‘ মারি ফিলবো এদদম। ছিকুর গাল ধরো কেন? ছিকুর রাগ লাগে কেন?

সবাই তার কথায় হেসে কুটিকুটি। আদি আসলো। স্টেথোস্কোপ ছিকুর গলায় পড়িয়ে দিয়ে গালে চুমু খেল। বলল

‘ ভাই কি ডাক্তার হবে?

‘ হুবো।

‘ হুবেন। তাইলে তো ভালো কথা। ভাইকে তো ডাক্তার ডাক্তার লাগছে। ইশুর নাকি ভাইয়ের জন্য মনপুড়ে। ইশুর কাছে যাবেন?

‘ যাবো। যাবো না কেন? ইশুবুনু ছিকুকে মিচ করে কেন?

পিহু বলল

‘ পাপা এউ পাগলের সাথে কথা বলো না তো। কেন কেন করেই যাবে। ও আমার সাথে চলে এসেছে। তুমি কি ওকে রাখতে পারবে?

আদি ছিকুকে কোলে তুলে নিল। বলল

‘ হোয়াই নট? হি’জ মাই লিটল ব্রাদার। ডোন্ট ওয়ারি। তুমি ক্লাসে যেতে পারো।

পিহু ছিকুর গাল টেনে দিয়ে বলল

‘ ওকে। টা টা কলিজা।

ছিকু আদির স্টেথোস্কোপ নিয়ে ব্যস্ত। তাই ব্যস্ততা নিয়ে বলল

‘ পিহু কুলিজা বলে কেন? ছিকুর গাল টানে কেন?

পিহু তার গালের দু পাশে চুমু খেল। তারপর চলে গেল। ছিকু সারাদিন আদির সাথেই কাটালো। আদির সাথে কাটালো বললে ভুল হবে। পেশেন্ট আর নার্সদের সাথে কেন কেন করেই সময় কাটলো তার।
ভীষণ মিষ্টি মজার একটা বাচ্চা।

____

দুপুরের পরপরই আদি ছিকুকে নিয়ে চৌধুরী বাড়িতে হাজির। ইশা আর রাইনা খুশিতে দৌড়ে এল। ছিকুকে কোলে তুলে নিয়ে বলল

‘ ভাই কি আমাদের মিচ করেছে?

‘ করিছে।

রাইনা বুকে হাত দিয়ে বলল

‘ মন পুড়েছে?

ছিকু মাথা দুলিয়ে বলল,

‘ পুড়িচে।

রেহান সোফা থেকে উঠে আসলো। ছিকু তাকে দেখে কোলে ঝাপ দিল। জড়িয়ে ধরে রাখলো। রেহান গালে আদর করতে করতে বলল

‘ পাপাকে মিস করেছেন?

‘ করিচি।

রেহান হেসে ফেলল। পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল

‘ আপনার মাদার কখন আসবে?

ইশা বলল

‘ বিকেলে মাহি নিয়ে আসবে বলেছে।

ছিকু সোফায় বসে ঝিমুতে থাকা আফিকে বলল

‘ দাদাই ছিকুর সাথে কুথা বুলেনা কেন?

আফি চমকে উঠলো। বলল

‘ আমি তো ভালা নই, ভালা লইয়্যা থাইকো।

রাইনা বিরক্ত হয়ে বলল

‘ মাথা গেছে বোধহয়। সারাদিন আলতুফালতু গান শুনে মাথাটা গেছে।

আদি ইশা রেহান একত্রে হেসে ফেললো । সাথে ছিকু ও কদুর বিচির মতো দাঁতগুলো দেখিয়ে হেসে দিল।

__________

ব্যাগপ্যাক গুছিয়ে নিল পরী। মুনা এসে ছোটছোট কয়েকটা বাক্স ব্যাগে ভরিয়ে দিতে দিতে বলল

‘ এগুলো রেহানের জন্য। ও তো পায়েস পছন্দ করে। আর চিপসগুলো আমার ভাইয়ের জন্য।

পরী বলল

‘ এসবের কি দরকার মা ? তুমি ও পারো।

নীরা একটি আচারের বয়াম নিয়ে এসে বলল

‘ এগুলো পিহুকে সাথে নিয়ে খেতে পারবে মন চাইলে। ফ্রিজে রেখে দিও। হ্যা?

পরী বলল

‘ তোমাদের এসবের জ্বালায় ও আমি আসিনা। ভাই এত ব্যাগপ্যাক দেখলে এখন রাগারাগি করবে।

মুনা বলল

‘ রাগারাগি কেন করবে? গাড়ি করেই তো যাবে। হেঁটে হেঁটে তো যাচ্ছেনা।

বেরোনোর আগে মুনা শক্ত করে পরীকে জড়িয়ে ধরলো। বলল

‘ যখন ইচ্ছা হবে তখন চলে আসতে তো পারো। বাড়িটা খালি হয়ে যাচ্ছে।

পরী তার ছলছলে চোখের দিকে চেয়ে হেসে বলল

‘ মাসের মধ্যে কয়বার আসি মা। তারপর ও তুমি অমন করো।

মুনা পরীর মুখটা আগলে ধরে স্নেহের পরশ দিল কপালে। হয়ত পেটে ধরেনি কিন্তু সে এই মেয়েটির মা। সে সত্যিই মা হতে পেরেছে। এই জীবনে আর কোনো দুঃখ, আফসোস তার নেই। পরী তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল

‘ পাপাদের পাঠাবে। তোমরা ও যাবে। আসি।

মুনা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। মাহিদ এসে বলল

‘ ভাইরে ভাই তোমাদের প্যা পু শেষ হইলে আসো।

নীরা বলল

‘ সারাক্ষণ মজার তালে থাকে এই ছেলে। শোনো পরী ওকে চোখে চোখে রাখবে যতক্ষণ ওখানে থাকে। পিহুর সাথে আবার না ঝগড়া লেগে যায়।

‘ ঠিক আছে ছোটমা।

পরীকে নিয়ে চৌধুরী বাড়িতে পৌঁছে গেল মাহিদ।
বসার ঘরে ছিকুর সাথে খেলছে পিহু। পিহুর চোখ বাঁধা। তার কাজ ছিকুকে খুঁজে বের করা। ছিকু খুশিতে লাফ দিয়ে উঠলো মাহিদ আর পরীকে দেখে। নেচেনেচে বলল

‘ ওহ ওহ পরী আসিছে। মিহি আসিছে। ওহ ওহ মুজা মুজা।

পরী হেসে বলল

‘ খুব মুজা?

‘ মুজা মুজা।

বলেই পরীর কোলে ঝাপ দিল সে। পরে মাহিদের কোলে ঝাপ দিয়ে বলল

‘ মিহি আসু, খিলবো কিমন?

মাহিদ তাকে নিয়ে হেঁটে সোফার কাছে গিয়ে বসলো। বলল

‘ শালা তুই মুটুরে আমি কোলে চড়াতে পারুম না বাপ। সর।

ছিকু নামলো না। মিহির মুখ ধরে প্রশ্ন করলো

‘ ছিকু মুটু কেন? কেন বাপ কেন?

পরে পিহুর দিকে চোখ গেল মাহিদ। পিহু ওড়নার আঁচল ঘুরাতে ঘুরাতে মুখ মোচড় দিয়ে চলে গেল।

ইশা এসে মাহিদকে বলল

‘ মাহি আজ তোকে যেতে দেব না। থেকে যাহ। মজার রান্না হবে আজ।

মাহিদ তৎক্ষনাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বলল

‘ না না। থাকতে পারব না। আমার পড়া আছে। আব্বা আবার বকাঝকা করবে।

‘ ধুর। রিপদাকে আমি বুঝিয়ে বলব। আজ থেকে যাহ। আমার অনুরোধ। থাকবি না?

মাহিদ সোফায় গা এলিয়ে বসলো। বলল

‘ জানিনা বাপ। এত পাম মারো কিল্লাই?

ইশা খিক করে হেসে বলল

‘ তুই রিপদার ছেলে আমার মাঝে মাঝে বিশ্বাসই হয় না। রিপদা তো গুনেগুনে কথা বলে।

‘ হ বজ্জাত বাপ আমার।

মাহিদ পাশের সোফায় গিয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো। বলল

‘ হয়ছে বাপ। আমি একটু ঘুমাই। আমারে কেউ যেন ডিস্টার্ব না করে।

‘ ঘুমাবি? তো রুমে যাহ।

‘ ধুর বাপের বইন আমি এইখানে ঘুমামু।

আফি পিহুকে ডেকে বলল

‘ আমার ছোট আম্মা কই?

পিহু জবাব দিল

‘ এইখানে বড়পাপা।

‘ আমারে পানি দেও এক গেলাস।

পিহু পানি নিয়ে দৌড়ে এল। দেখলো মাহিদ চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। পিহু হাতে একটুখানি পানি নিয়ে ঝাড়া মারলো মাহিদের মুখে। তারপর আফিকে ইশারায় চুপ থাকতে বলল। মাহিদের নড়াচড়া নেই। কিছুক্ষণ পর ইশা এল। টি টেবিলে ট্রে রেখে পিহুকে ডেকে বলল

‘ তোমার আব্বাকে ডাক দাও পিহু। মাহি ওঠ। নাশতা খাবি না? এই মাহি?

মাহিদ উঠলো। আদি এসে তার পাশে বসলো। বলল

‘ কি ব্যাপার খান সাহেব? পরীক্ষা প্রস্তুতি কেমন চলছে?

‘ ভালোই। শালার গ্যাঞ্জাম।

আদি হাসলো। বলল

‘ কষ্ট তো করতেই হবে।

টুকটাক কথা বললো তারা। আদি পিহুকে ডেকে বলল

‘ নাশতা করেছ আম্মা?

পিহু এসেই আদির পাশে বসলো। বলল

‘ ইয়েস পাপা।

_________

খাবার টেবিল জমে গেল মাহিদ আর ছিকুর জন্য। দুজনের কান্ড দেখল হাসতে হাসতে সবার পেটে খিল ধরে গেছে। খাওয়াদাওয়া শেষ করে মাহিদ লম্বা হয়ে সোফায় শুয়ে থাকলো। ইশা এসে বলল

‘ তোর দিদিয়ার পাশের ঘরটায় থাকতে পারবি তো। পিহুকে বলেছি বেডশিট বিছিয়ে দিতে। যাহ ঘুমিয়ে পড়।

মাহিদ ফোনে নোট পড়ছিল। চুপচাপ চলে গেল ঘরের দিকে। পিহু তখন বেডঝাড়ু দিয়ে বিছানা ঝাড়ছিল। মাহিদ এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। পিহু পেছন ফিরে তাকে দেখে বলল

‘ কি সমস্যা?

‘ রেহান ভাইয়ের ঘরে যাহ। শার্ট-প্যান্ট নিয়ে আয়। আমাকে চেঞ্জ করতে হবে।

পিহু চলে গেল। রেহানের শার্ট প্যান্ট নিয়ে এসে মাহিদকে দিয়ে বলল

‘ ধরো। আর কি কাজ বাকি আছে হুকুম করো। আমি তো তোমার,,,,

‘ ঘর থেকে বের হ। চেঞ্জ করব। যাহ।

পিহু নাকফুলিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণ আবারও হাজির হলো দুধের গ্লাস নিয়ে। মাহিদকে দেখলো আঁড়চোখে। তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। না এই ব্যারিস্টারের বাচ্চার চাইতে সে বেশি সুন্দর। এই ব্যারিস্টারের বাচ্চা একটু সুন্দর না। হুহ!

মাহিদ বলল

‘ আবার কি চাই?

‘ ধরো তোমার বাপের বইন দুধ পাঠাইছে। নাও তাড়াতাড়ি খাও।

‘ আমি ওসব খাইনা। যাহ নিয়ে যাহ।

‘ ওসব তোমার বাপের বইনকে গিয়া বলো। আমাকে নয়।

দুধের গ্লাস রেখে আবার আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো পিহু। তাকে আর আয়নায় দেখতে পাওয়া অন্য প্রতিবিম্বটিকে দেখতে দেখতে অধৈর্য্য হয়ে পড়লো। চট করে ঘুরে গিয়ে মাহিদের মুখোমুখি দাঁড়ালো। মাহিদ হাতের ঘড়ির বেল্ট খুলতে ব্যস্ত। চোখ না তুলেই বলল

‘ কি সমস্যা? বের হ ঘর থেকে।

পিহু সরলো না। বলল

‘ মাহিদ ভাই শুনো না, শুনো না। আমার চোখে দেখোতো কি হয়েছে? ভালো করে দেখে বলো কি হয়েছে?

মাহিদ চোখ না তুলেই বলল,

কিছু হয়নি।

‘ দেখো না কি হয়েছে ?

মাহিদ চোখ তুললো। বেশ সময় নিয়ে চোখগুলো পরখ করে কিছু বলার আগেই পিহু এক দৌড়ে চলে গেল। নিজের ঘরে গিয়ে ধপাস করে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ লুকোলো। লজ্জায় লাল নীল বেগুনি কমলা হতে লাগলো ক্রমশ । নাদুসনুদুস একটি বাচ্চা তার ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকলো। কোমরে হাত দিয়ে গালফুলিয়ে বলল

‘ ছিকু মিহির ঘর খুঁজি পায় না কেন? মিহি লুকায় আচে কেন? কেন বাপ কেন?

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here