মন_পাজড়ে_শুধু_তুমি_আছো?,পর্ব_২৫

0
1815

মন_পাজড়ে_শুধু_তুমি_আছো?,পর্ব_২৫
লেখিকা_মাইসারাহ_আরোহি?

অর্থ নিচে দাঁড়িয়ে ডেকোরেটরের লোকদের সাথে কথা বলছে।কথা কথা বলতে ওর চোখ যায় সিঁড়ির দিকে।আয়ানাকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখে অর্থের দৃষ্টি ওখানেই আটকে গেছে।ও অপলক দৃষ্টিতে আয়ানার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।কমলা রঙের শাড়ি,হালকা মেক‌আপ, ছেড়ে দেওয়া চুল,হাত ভর্তি চুড়ি,গলায় নেকলেস আর কানে এয়াররিংস সব মিলিয়ে আয়ানাকে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে।আয়ানার এমন অপরূপ রূপ দেখে অর্থ এক অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছে।

আয়ানা নিচে এসে অর্থকে হালকা ধাক্কা দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
— “আপনাকে কি আমি হা করে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য এখানে পাঠিয়েছি?উনারা যে স্টেজটা এখনো কমপ্লিট করেন নি আপনি উনাদের কিছু না বলে এমন হা করে কোন জগতে হারিয়ে গেছেন হুম?”
— “স্বপ্নের জগতে।” (আয়ানার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে অর্থ)
— “বাহ বাবা বাহ আপনি তো তাই করবেন। আপনার তো কাজ‌ই ওটা,ক্যারেক্টারলেস বাজে লোক একটা।সারাদিন শুধু অন্য মেয়েদের কথা ভাবা ছাড়া আর কিছু পারেন না,আর আপনার ওই যে ফোন ওটা হচ্ছে শয়তানির কারখানা।ওটা দিয়েই আপনি যত রাজ্যের অকাজ করেন।আগে ফোনটাই ভাঙতে হবে।” (আয়ানা)
— “ধ্যাত সবসময় শুধু ননসেন্সের মতো কথা বলো।ভাল্লাগে না আমার।” (অর্থ)
— “লাগার দরকার‌ও নেই।এখন সামনে থেকে সরুন আমায় দেখতে দিন সব ঠিকঠাক হলো কি না।” (আয়ানা)
— “হুম অবশ্যই,যাও।তুমি‌ই তো জাতির লিডার।” (আয়ানাকে সাইড দিয়ে অর্থ)

আয়ানা গিয়ে ডেকোরেটরের লোকদের সাথে কথা বলছে।আয়ানা অনবরত বলেই চলেছে আর এদিক থেকে অর্থ মুগ্ধ নয়নে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে মুচকি হাসছে।আয়ানা সব দেখে নেওয়ার পরে অর্থের আম্মু ওকে ডাক দেয়।
— “হ্যাঁ মা বলুন।” (আয়ানা)
— “বলছি যে অর্থি কি তৈরি?” (অর্থের আম্মু)
— “হ্যাঁ আপু তো রেডি আমি এখন‌ই দেখে এলাম।” (আয়ানা)
— “আচ্ছা তাহলে তুমি যাও না মা ওকে নিয়ে এসে এখানে বসাও।সব অতিথিরা চলে এসেছেন তো।” (অর্থের আম্মু)
— “আচ্ছা মা আমি এক্ষুনি যাচ্ছি।” (আয়ানা)

আয়ানা গিয়ে দেখে অর্থি এখনো সেজেই যাচ্ছে।আয়ানা পেছন থেকে হাসতে হাসতে বললো,
— “আপু আর কিছু দিও না এমনিতেই তোমাকে যা লাগছে ছবি দেখে তো নাফিজ ভাইয়া টাস্কি খাবেই।”
— “তাই নাকি?” (অর্থি)
— “হুম তাই‌।আমি নিজেই যে পরিমাণে ক্রাশ খেলাম আমি তো শুধু ভাবছি নাফিজ ভাইয়া বিয়ের দিন যখন তোমায় এতো সুন্দর লুকে দেখবে তখন সে কি করবে।আমার তো মনে হয় পুরাই ৪৪০ ভোল্টেজের বড়সড় ক্রাশ খাবে।” (আয়ানা)
— “পাম কম করে দাও।আমি কিন্তু তোমার বড় ননদ হ‌ই।” (অর্থি)
— “জানি তো,আর আমি পাম দিচ্ছি না গো আপু তোমাকে অরেঞ্জ কালার লেহেঙ্গাতে দারুণ লাগছে।যাকে বলে অপরুপ রুপসী।” (আয়ানা)
— “তোমাকেও ভীষণ সুন্দর লাগছে,অসাধারণ যাকে বলে।তা আমার ভাইয়ের শরীর ঠিক আছে তো?” (অর্থি)
— “কেনো আপু তোমার ভাইয়ের আবার কি হবে?কিছু হ‌ওয়ার কথা ছিল নাকি?” (আয়ানা)
— “আরেহ আমি তো ভাবলাম যে তোমাকে দেখে আমার ভাই পাগল হয়ে গেছে।তাই জিজ্ঞেস করলাম।” (অর্থি)
— “সেটা তোমার ভাইকে দ্বারা সম্ভব নয়।সে তো তার হলিউড মুভি,গেমস,ড্রামা এসব নিয়েই বিজি থাকে।আচ্ছা বাদ দাও।মা বললেন তোমাকে নিয়ে যেতে।তুমি গেলে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হবে।” (আয়ানা)
— “আচ্ছা চলো।” (অর্থি)

আয়ানা অর্থিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে।অর্থির ফ্রেন্ড,কিছু কাজিন আর আয়ানা মিলে ওকে স্টেজে বসায়।একটু পরে হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হয়।বাসায় এখন লোকজনের সমাগম। চারদিকে লাইটিং, গর্জিয়াস ডেকোরেশন আর গান বাজছে।ইতোমধ্যে কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ রিলেটিভরা অর্থির গায়ে হলুদ ছুঁইয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করলেন।একে একে সবাই এসে অর্থির গায়ে হলুদ লাগাচ্ছে।আয়ানাও অর্থির পাশে বসে আছে,ওর কখন কি লাগে তা তো বলা যায় না। অর্থি হঠাৎ আয়ানার কানে ফিসফিস করে বললো,
— “আয়ানা একটা কাজ করে দেবে প্লিজ।”
— “হুম আপু বলো।” (আয়ানা)
— “আসলে আমি আমার ফোনটা বিছানার ওপর ফেলে এসেছি ,ওটা একটু এনে দেবে। না মানে আসলে কেউ যদি কল করে।” (অর্থি)
— “বুঝতে পেরেছি।তুমি থাকো আমি এনে দিচ্ছি।” (আয়ানা)
— “আচ্ছা সোনা।” (অর্থি)

আয়ানা অর্থির ফোন আনার জন্য অর্থির ঘরে যায়।ফোনটা বিছানার উপরেই ছিলো।তাই আয়ানার খুঁজতে বেশি বেগ পেতে হয় নি।ও ফোন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেই একটু সামনে অগ্রসর হলো ওমনি কেউ একজন ওর হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে ওকে সাইডে নিয়ে আসে।আয়ানার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা অর্থের কাজ।আয়ানা রাগী দৃষ্টিতে অর্থের দিকে তাকায়,কিন্তু ওর দিকে তাকাতেই ওর রাগ কমে যায়।আয়ানা এতক্ষণ অর্থকে ভালো করে খেয়াল করে নি।তাই এখন অর্থের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।

অর্থ কমলা রঙের উপর সোনার জল করা পাঞ্জাবি পরেছে।রঙটা ওর ফর্সা শরীরে বেশ মানানস‌ই।গাল ভর্তি চাপ দাঁড়ি আর স্পাইক করা চুলের সাথে পাঞ্জাবি পরিহিত লুকটা জাস্ট অসাধারণ।আয়ানা এতক্ষণ তাকিয়ে তাকিয়ে অর্থকে পর্যবেক্ষণ করছিল আর অভিভুত হচ্ছিলো।কিন্তু যখন ওর হুঁশ ফিরলো তখন ও রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
— “কি ব্যাপারটা কি আপনার হ্যাঁ,এসব কোন ধরণের বেয়াদবি?আপনি কোন সাহসে আমাকে এখানে টেনে এনেছেন?”
— “তুমি এটাকে বেয়াদবি বলছো?আমি কত রোমান্টিক মুড নিয়ে এখানে এসেছি তুমি জানো?” (অর্থ)
— “আপনার রোমান্টিক মুডের মায়েরে বাপ। সারাদিন শুধু ছলে বলে কৌশলে আমাকে টাচ করা।মনে চায় ঠাস ঠাস করে দি‌ই।” (রেগে আয়ানা)
— “টাচ আর কি করলাম।শুধু তো তিনবার হাগ করেছি।” (অর্থ)
— “তো এটা কি টাচ করা হয় নি?আজকাল বড্ড সাহস বেড়েছে আপনার।কতবার বলেছি একটু ভদ্র হন, কিন্তু উনি তো তা শোনেন‌ই না।আরো যখন বলেছি ভালোবাসি তার পর থেকে আরো বেশি সাহস হয়েছে।আসলে আমার বলাই ভুল ছিলো।কেনো যে এই ক্যারেক্টারলেস লোকটাকে ভালোবাসতে গেলাম!!” (আয়ানা)
— “সে তুমিই ভালো জানো।বাট যখন বললে আমার সাহস বেড়ে গেছে তখন তো তার পরিচয় দিতে হয়।” (দুষ্টু হেসে অর্থ)
— “মমমমানে?” (চোখ বড় বড় করে আয়ানা)

অর্থ কোনো জবাব দেয় না, দুষ্টু হেসে আয়ানার দিকে এগোচ্ছে।আয়ানা বারবার ওকে নিষেধ করছে।
— “এই অর্থ এই একদম কাছে আসবেন না।আমি কিন্তু চিৎকার করবো।” (আয়ানা)
— “করো অবশ্য তাতে লাভ নেই কারণ চারদিকে গান বাজছে তোমার চিৎকার শুনে কেউ আসবে না।আর যদিও বা কেউ আসে তাহলেও সমস্যা নেই কারণ আমি আমার ব‌উয়ের কাছে আছি, অন্য কারো কাছে নয়।” (অর্থ)
— “আপনার ব‌উয়ের ২৮ গুষ্টি আপনি দয়া করে আমাকে যেতে দিন।দেখুন আমাকে অর্থি আপুর ফোনটা দিতে হবে নাফিজ ভাইয়া বারবার ফোন করছে‌।ওদেরকে তো কথা বলতে দিতে হবে তাই না।” (আয়ানা)
— “ওসব দিকে তোমার ঠিকই নজর থাকে আর আমার বেলায় কাঁচকলা।” (অর্থ)
— “উহু কাঁচকলা তাও মনে থাকে আপনার বেলায় তো মুলো।” (আয়ানা)
— “ওহ আচ্ছা তাই,তাহলে তো এখন তোমাকে যেতে দেওয়াই যাবে না।” (অর্থ)

অর্থ আয়ানার কোনো কথা কানে না দিয়ে এগোতে থাকে।আয়ানা কি করবে বুঝতে পারে না।অনেক ভাবার পর ওর মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসে।আয়ানা অন্যদিকে তাকিয়ে বলে,
— “আরেহ মা আপনি কিছু বলবেন?”
অর্থ ভাবে সত্যি সত্যি ওর আম্মু এসেছে তাই ও তাড়াতাড়ি করে দূরে সরে যায়।আর এই সুযোগে আয়ানা ওখান থেকে চিতাবাঘের মতো দৌড়ে পালিয়ে যায়।

সবাই আনন্দ মজা হৈ-হুল্লোড় করছে।অর্থির বান্ধবীরা একটা নাচ পরিবেশন করতে চায়।ওরা ওদের সাথে আয়ানাকেও জোর করে টেনে নেয়।সবার জোরাজুরিতে আয়ানাও যেতে বাধ্য হয়।ওরা সবাই “আইলারে নয়া দামান” গানে পরিবেশন করে।আয়ানা যতক্ষণ নেচেছে অর্থের চোখ শুধু ওর দিকেই ছিলো,একবারের জন্যেও ও অন্য কোনো দিকে তাকায় নি।

!!
রাত ১২:৩০ টা!জানালার ধারে দাঁড়িয়ে গুণ গুণ করছে অর্থ।

“শুধু মনের কোনে তুই একবার আয়নারে
রেখে দেবো তোকে এই বুকে খুব আদরে
এক মিঠে রোদের গল্প
তোকে দেবো অল্প অল্প
নাম না জানা কোন দেশে
ভালোবাসা হবে তোর
বড়ো খেয়াল করে তোকে
তোর সবটা জুড়ে থেকে
শেখাবো কি করে হায়
এক পলকে নজর!”

আয়ানা অনেকক্ষণ যাবৎ ঘরে এসেছে তবে একটা টু শব্দ‌ও করে নি চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে অর্থের গান শুনছে।অর্থের গান শেষ হতেই আয়ানা বললো,
— “মনের কোণে কে আসবে হুম?কাকে ডেডিকেট করে এই গভীর রাতে গান গাওয়া হচ্ছে শুনি?”
— “আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে তাকে ডেডিকেট করে।” (অর্থ)
— “উরি বাবাহ তাই নাকি?অবশ্য আজকাল দেখছি বড্ড বাংলা গান গাইছেন তাও আবার সব রোমান্টিক।ব্যাপারটা কি?” (আয়ানা)
— “যাক এটা অন্তত বুঝলে যে এগুলো রোমান্টিক গান।তাও রক্ষে যে এগুলোকে অন্তত ক্যারেক্টারলেস গান বলো নি।” (অর্থ)
— “আমি কি নির্বোধ যে এটুকু তফাৎ বুঝবো না।তা এতো বাংলা গান মুখস্থ করলেন কবে?” (আয়ানা)
— “যবে থেকে তুমি জীবনে এসেছো।আসলে বাংলা গানের মাঝেও অনেক অনুভূতি আছে আর তাই সেই শব্দ গুলো দিয়েই মনের ভাব প্রকাশ করছি।” (অর্থ)
— “বুঝলাম।আপনার যে কখন কি হয় বুঝি না।যাই হোক আমি বিছানা ঝেড়ে দিচ্ছি আপনি শুয়ে পড়ুন।” (আয়ানা)
— “আর তুমি?” (অর্থ)
— “আমার ঘুমাতে দেরি আছে কালকের জন্য সব রেডি করতে হবে।বাবা-মার সাথে কিছু কথা আছে সেগুলো সাড়বো তারপর ঘুমাবো।আর তাছাড়া আমি তো আজ অর্থি আপুর কাছে শোবো।” (আয়ানা)
— “তুমি আপুর সাথে শোবে কেনো?” (অর্থ)
— “মা বলেছে।আপু তো কাল চলে যাবে তাই আমি আজ আপুর সাথে থাকবো।আপনি আজ একাই থাকুন।” (আয়ানা)
— “উফ তোমার মাথায় কি বুদ্ধি নেই,আরে কাল আপুর বিয়ে আজ তো সারারাত আপু আর নাফিজ ভাইয়া ফোনে কথা বলবে।তুমি যদি আপুর সঙ্গে থাকো তাহলে তো ওদের অসুবিধা হবে।” (অর্থ)
— “হবে না,আমি আপুর কাছ থেকে সব শুনে নিয়েছি।আপনি এখন আমার মাথা না চিবিয়ে সাইডে সরুন আমি বিছানা ঝাড়বো।” (আয়ানা)
— “ধ্যাত ভাল্লাগে না।” (বিরক্ত হয়ে অর্থ)

অর্থ বিরক্ত হয়ে সাইডে সরে দাঁড়ালো,আয়ানা বিছানা ঝেড়ে বালিশ ঠিক জায়গায় রাখলো।
— “সব রেডি এবার যান ঘুমিয়ে পড়ুন।” (আয়ানা)
— “তুমি একটু আমার পাশে বসবে প্লিজ।আমি ঘুমিয়ে গেলে তারপর যেও।” (অর্থ)
— “পারবো না,আমার এখন সময় নেই।” (আয়ানা)
— “আমার জন্য তো তোমার সময় থাকবেই না।বিয়ে করেছো আমায় অথচ আমার দেখভাল না করে অন্যদের খেয়াল ঠিকই রাখো‌।এই তোমার জ্বালায় মনে হচ্ছে আমি আরেকটা বিয়ে করি।” (অর্থ)
— “কি?শুধু আরেকবার বলেন কি বললেন।বিয়ে করবেন আপনি? তাই না,আপনার বিয়ে করা আমি বের করছি।বাজে লোক,অসভ্য ইতর প্রাণী।স্টুপিড,ইডিয়েট।” (অর্থকে মারতে মারতে আয়ানা)
— “ইস লাগছে তো ছাড়ো আমাকে।” (অর্থ)
— “লাগুক লাগার জন্য‌ই তো মারছি।এই আপনার মতো ছেলেকে শুধু বেত দিয়ে পিটানোর দরকার।অসভ্য ক্যারেক্টারলেস।জীবনে মানুষ‌ই হলো না।ঘরে ব‌উ থাকতে আবার বিয়ে করার কথা বলছে বাজে ছেলে একটা।একে বিয়ে করে আমার লাইফটাই শেষ।” (আয়ানা)
— “আর তোমার মতো থার্ডক্লাস ফালতু মেয়েকে বিয়ে করে আমার‌ও লাইফ শেষ।কোন দুঃখে যে বিয়েটা করেছিলাম।কত মেয়ে আমাকে প্রপোজ করে ওদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করলেই হতো‌।” (অর্থ)
— “হ্যাঁ তা তো হবেই।পর নারীকে তো আপনার ভালো লাগবেই।আমাকে তো পছন্দ হবে না।আমি তো খারাপ।ঠিক আছে আমি কালকেই অর্থি আপুর সঙ্গে চলে যাবো।” (অভিমান করে আয়ানা)
— “আরে আমি আবার কি বললাম যে তুমি চলে যাবে?তুমি তো আমাকে ইনসাল্ট করছো।ধুর তুমি যে কখন কি বলো আমি কিছু বুঝি না।” (অর্থ)
— “বোঝার দরকার নেই।শুয়ে পড়ুন।গুড নাইট।” (আয়ানা)

আয়ানা চলে যেতে নেয়,অর্থ পেছন থেকে আয়ানার হাত ধরে বললো,
— “আজ যাচ্ছো ঠিক আছে কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে যেনো সবার আগে তোমার মুখটাই দেখি।নাহলে কিন্তু খবর আছে এই বলে রাখলাম।”
আয়ানা ওর কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে মুখ ভেংচি কেটে চলে গেলো।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here