মহব্বত❤️,পর্ব 15,16,17

0
1381

মহব্বত❤️,পর্ব 15,16,17
Writer-❤️ Israt_Jahan_Isu❤️
পর্ব 15

মিরাজঃ মাইশা আর আকাশের জন্য একটা পার্টি রাখবো যেখানে তাদের বিয়ের কথা জানানো হবে,,, সব ব্যবসায়ী সব আত্নীয় সবাই থাকবে,,,,অনুষ্ঠানটা খুব জলদি হবে,,,

মিরাজের কথা শুনে সবাই অনেক খুশি সব চেয়ে বেশি খুশি মাইশা আর আকাশ,,মাইশার পরিবার ও অনেক খুশি মেয়ের এতো ভালো একটা পরিবারের যে বিয়ে হয়েছে,,সব বাবা মায়েই চায় তাদের মেয়ের বিয়ে যেন একটা ভালো পরিবারের হয় যা মাইশার বাবা মা ও চেয়েছে হয়তো দরিদ্রতার কারনে নিজেরা খুঁজে নাই ভেবেছে সব কিছু যখন ঠিক হবে তখন দিবে বিয়ে,,কিন্তু তাকদির বলে তো কিছু আছে তাই না?যখন যার বিয়ে লেখা তখনই হয়,,,

মাইশার পরিবার আজ এইখানেই থেকে যায়,,সবাই খেয়ে নিজের রুমে ঘুমাতে যায়,,,আকাশ বারান্দায় বসে আছে মাইশা কফি নিয়ে এসে দেয়

মাইশাঃ এই নাও

আকাশঃ হুম কফি টার খুব দরকার ছিল এই মুহূর্তে

মাইশাঃ হুম বুজতে পেরেছি তাই তো আনলাম

আকাশ কফি টা রেখে মাইশাকে টেনে নিজের বুকে নেয়,,,

মাইশাঃ আরে

আকাশঃ সত্যি আমি অনেক হেপ্পি আজ এই ভেবে যে কাল আমাদের জন্য অনেক ইম্পর্ট্যান্ট একটা দিন,,,

মাইশাঃ অনুষ্ঠান বুজি ইম্পর্ট্যান্ট দিন হয়.?

আকাশঃ হুম কাল আমাদের জন্য কারণ কাল আমাদের বিয়ের কথা সবাই কে বলবে দেন তুমি আমার হবে আজীবনের জন্য,,

মাইশাঃ তাহলে এতো দিন বুজি আপনার ছিলাম না?

আকাশঃ আবার আপনি?

মাইশাঃ উফফ চুপ তো আপনি তুমি এইসব নিয়ে কথা না বলে বলো যে এতো দিন ছিলাম না তোমার?

আকাশঃ ছিলে তবে এক মিথ্যা পরিচয় নিয়ে,,,ব্যস কাল থেকে সবাই জানবে মাইশা চৌদ্দুরী তুমি আকাশ চৌদ্দুরীর স্ত্রী,,,

মাইশাঃ জ্বি বুজেছি

আকাশঃ একটা কথা বলি?

মাইশাঃকি?

আকাশঃ আমার সাথে এখন এক জায়গায় যাবে?

মাইশাঃ রাত হয়েছে অনেক,,,,

আকাশঃ নিজের বউকে নিয়ে বের হবো এইখানে রাত দিন কি আসে যায়?

মাইশাঃ কাল অনেক কাজ তাড়াতাড়ি উঠতে হবে আর হ্যাঁ কালকের দিন সত্যি অনেক স্পেশাল তো জলদি ঘুমিয়ে যাও

আকাশঃ বউ ও বুজলো না রে

মাইশাঃ বেশি বুজা উচিত ও না,,আচ্ছা ছাড়ো আমি বিছানা করে নেই তারপর ঘুমাবে

আকাশ আরো শক্ত করে মাইশাকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে চুমু দেয়,,,

আকাশঃ মাইশা আজ একটা প্রমেস করতেছি যে হাজার বাধা আসুক হাজার সমস্যা আসুক কিন্তু তোমার হাত আমি কখনও ছাড়বো না,,,

মাইশা মুচকি হেসে বলে

মাইশাঃ একটা মেয়ে চায় তাত জীবন সঙ্গী তাকে ভালোবাসার পাশাপাশি বিশ্বাস করুক,সম্মান করুক,তার পাশে থাকুক সব সময়,,,ছোট ছোট সমস্যায় ও তার পাশে ছায়া হয়ে থাকুক তেমনই আমিও চাই তুমি আমার পাশে আজীবন এইভাবে থাকো,,,জানি তুমি আমার হাত ছাড়বে না এই টুকু বিশ্বাস আছে তোমার প্রতি

আকাশঃ আর ভালোবাসা?তুমিও কি আমাকে আজও ভালোবাসতে পারো নাই??

মাইশাঃ ভালোবাসা কি শুধু মুখে বললেই হয়?ভালোবাসা মনের গভীর থেকে হয়,,

আকাশঃ তার মানে বাসো?

মাইশাঃ উত্তর টা কি কাল দিতে পারি?

আকাশঃ এতো দিন যেহেতু অপেক্ষা করছি কালের দিনটাও করলাম তবে হ্যাঁ তোমার উত্তর যাই হোক না কেন আমি তোমার পাশেই আছি বুজলে

আকাশ মাইশাকে ছেড়ে দেয়,,,মাইশা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সত্যি আকাশ অন্য রকম আকাশ যে তাকে এতো ভালোবাসবে সে তা ভাবতে ও পারে নাই,,,কখনও স্বামীর অধিকার চায় নাই,, সে তো স্বামীর অধিকার টুকু চাইতে পারতো তার থেকে কিন্তু চায় নাই,,,

আকাশ রুমে চলে যায় আর মাইশা সে কিছু ক্ষন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে জীবন টা আসলে অনেক অদ্ভুত,,,

পরের দিন সকালে,,,

আজ পুরো বাড়ি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,,বিকালের দিকে অনেক মেহমান এসে যায় পার্লারের মেয়েরা ও আসে মাইশাকে সাজাতে,,মাইশা রুমে যায় গিয়ে দেখে বিছানায় একটা বক্স রাখা খুলে দেখে একটা কালো গ্রাউন সাথে সিম্পল জুয়েলারি যা বেশ দেখতে একটা চিরকুট ও পায়,,,

চিরকুটে”””প্রিয়তমা তোমায় অপরুপ সুন্দর লাগবে এই গ্রাউনে আমি জানি,,আমার বউ এতো সুন্দর যে তাকে সব কিছুতে অনেক বেশি সুন্দরী লাগে,,,আশা করি গিফট পছন্দ হবে আর না হলে ও পড়তে হবে হুম,,যদি পছন্দ না হয় তাহলে লাল গোলাপ মাথায় দিও না আর যদি পছন্দ হয় তাহলে লাগাইও কেমন জানপাখি আমার””””

লেখা গুলো দেখেই মাইশার মুখে হাসি এসে যায়,,

মাইশাঃ পাগল একটা

পার্লারের মেয়েটা এসে বলে উঠে

পার্লারের মেয়েঃ ম্যাম চলুন আপনাকে রেড়ি করিয়ে দেই,,,

মাইশাঃ হুম

এইদিকে

সবাই সেজেগুজে পুরো রেডি,,,মাইশার বাবা-মা ভাই বোন তাদের ও অনেক সুন্দর ড্রেস দেওয়া হয়,,,সবাই পড়ে রাইশা তো অনেক খুশি এতো সুন্দর ড্রেস পেয়ে

রাইশাঃ আম্মু দেখো কত সুন্দর জামা টা

মাইশার মাঃ হ্যাঁ অনেক সুন্দর লাগছে,,আচ্ছা মাইশার আব্বু আমি মাইশাকে একটু দেখে আসি মেয়েটাকে দেখছি না অনেক ক্ষন

রাইশাঃ আম্মু আপু রেডি হচ্ছে একটা মহিলা আসছে আপুকে রেডি করিয়ে দিতে

মাইশার মাঃ অহ আমি ভুলেই গেছি আমি মেয়ে যে এতো বড় বাড়ির বউ,,, তার সাথে সহজে দেখাও হবে না আজ হয়তো

মাইশার মায়ের মনটা মলিন হয় এই ভেবে যে মেয়েটাকে কি একটুও দেখতে পারবে না,,,

এইদিকে

আকাশের মা আর সবাই ও রেডি হয়ে নেমে এসে আজ সবাই কালো ড্রেস পড়ে বেশ সুন্দর লাগছে,,আকাশ অন্য রুমে রেডি হয় কালো কোর্ট বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে আজ আকাশকে,,,রুপা আকাশের রুমে যায় গিয়ে মাইশার দিকে তাকিয়ে পুরো অবাক

রুপাঃ মাশাল্লাহ মাইশা কত সুন্দর লাগছে আজ তোমায়,,, ঠিক যেন একটা পরী

মাইশাঃ ধন্যবাদ আপু(মুচকি হেসে)

রুপাঃ আমার ভাইটা সত্যি অনেক ভাগ্যবান যে এতো সুন্দর বউ পেয়েছে,,সব সময় এইভাবে হাসিখুশি থাকবা আর হ্যাঁ আমার পাগল ভাইটাকে আগলে রাখবে কেমন

মাইশাঃ জ্বি,,আপু একটা কথা বলবো

রুপাঃ হ্যাঁ বলো

মাইশাঃ তোমায় ও অনেক সুন্দর লাগছে,,,

মাইশা বলতে চেয়েছে আরেকটা কিন্তু বলেছে একটা,,সে চায় নাই এই মুহূর্তে রুপার মন খারাপ যেন না হয় তাই আর সে কথা আগায় নাই,,,রুপা হেসে মাইশাকে নিচে নিয়ে যায়,,,

সবাই নিচে গল্প করছে হঠাৎ লাইট সিড়ির দিকে নেয় মাইশা আর রুপা নামছে সবাই শুধু তাকিয়ে আছে এক পলকে সিড়ির দিকে,আকাশ তো হা করে তাকিয়ে আছে,,,,মাইশাকে যে অনেক সুন্দর লাগছে,,

আকাশের ঘাড়ে দাদিমা হাত রেখে বলে

দাদিমাঃ কি ক্রাশ খেয়েছিস বুজি?

আকাশঃ ক্রাশ তো প্রতি মুহূর্তে খাই কিন্তু আজ সে লেভেলের ক্রাশ খেয়েছি,,,

দাদিমা আকাশের কান ধরে একটু টান দেয় আকাশের হুশ আসে সে কাকে বলে উঠেছে

আকাশঃ আরে সরি আপনি কি জানতাম নাকি তুমি জিজ্ঞেস করবে হু

দাদিমাঃ দিন দিন দেখি অনেক ফাজিল হয়ে যাচ্ছিস কি ব্যাপার হুম

আকাশঃ তোমার এই নাতি একটু তো হতেই হবে,,যাই বলো আমার বউকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে হু।

দাদিমাঃ আর আমাকে?

আকাশঃ তোমাকে এতো সুন্দর লাগছে যে আজ যদি দাদা হতো না ক্রাশের উপরে বাঁশ খাইতো সত্যি

দাদিমাঃ কি বললি?

আকাশ তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়,,দাদিমা হাসতে থাকে আকাশের ফাজলামো গুলো অনেক মিস করেছে সব কিছু আবার ফিরে এসেছে মাইশার জন্য,,,

শাহেদা গিয়ে মাইশাকে আনে সবার সাথে আজ পরিচয় করিয়ে দেয়,,,আকাশ একটুও আজ সুযোগ পাচ্ছে না নিজের বউয়ের পাশে দাঁড়াতে,,,মনটা মলিন হয় তাই সে স্টেজে যায় মাইক নিয়ে বলে

আকাশঃতোমার অপরুপ রুপে হয়েছি আমি মুগ্ধ,,তোমার মায়াবী মুখের হাসি যেন কেড়েছে আমার মন,,,ভালোবাসি বললে ও যে হবে কম কারণ সত্যি যে বড্ড বেশি ভালোবাসি যা প্রকাশ করাও হবে না সম্ভব,,তুমি হীনা এই আমি টাকে ভাবতে যে পারি না আর তুমি ছাড়া কি হবে আমার.? চোখ যখনই করি বন্ধ মনে হয় তুমি আমার সামনেই সে মিষ্টি হাসি নিয়ে,,

মাইশা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে,,সবাই শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর আকাশ সে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে

আকাশ চোখ বন্ধ করে আবার মাইশার দিকে তাকায় ঠোঁটের কোণায় হাসি রেখে গেয়ে উঠে

আকাশঃজীবনের আলাপন, কত যে মায়া
শত মানুষের ভিড়ে তোমায় পাওয়া
বলেছিলাম ভালোবাসা চাই

ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, বলেছিলাম।
ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, কখনো না
ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, স্বপ্ন দেখে যাও
ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, একদমই না,
তুমি আমার কে?

ভালোবাসোনা তুমি আমাকে, কেন?
ভালোবাসোনা তুমি আমাকে, হয়তো একটু!
ভালোবেসোনা তুমি আমাকে, আর কখনো চাইনা
ভালোবেসোনা তুমি আমাকে, একদমই না,
আমি তোমার কে?

আজ তুমি বড়ই আমার আপন
আমার পৃথিবী আজ তোমার হাতে
তোমার চোখের ভাষায় বুঝে নেব

ভালোবাসি শুধু তোমাকে আমি,
ভালোবাসি শুধু তোমাকে, তবু কখনো বলবো না !
ভালোবাসি শুধু তোমাকে, শুধু যে তোমায়
ভালোবাসি শুধু তোমাকে,
কখনো বুঝবে না আমি তোমার যে !

আকাশের নজর যেন এক পলকের জন্য ও মাইশা থেকে সরে নাই,,,মাইশা ও শুধু তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে,,,দুইজনের হুশ আসে সবার হাত তালিতে,,,,

মাইশা ভাবতেও পারে নাই আকাশ এতো সুন্দর করে গান গাইতে পারে সে তো কখনও শুনে নাই আর না কেউ তাকে বলেছে যে আকাশ গাইতে জানে,,

গান শেষে আকাশ নিচে আসে সবাই কাপেল ডান্স করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,মিউজিকের সাথে সাথে,,আকাশ তা বারিয়ে দেয় মাইশার সাথে

আকাশঃ মে আই?

মাইশা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়, হাত ধরে নিজের অনেক টা কাছে নিয়ে যায়,,আকাশের ঘাড়ে এক হাত রাখে আরেক হাতে আকাশের হাতে,,,

তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে আকাশ ও

দুইজনে ডান্স দেখে অনেকে থেমে যায় সবাই তাকিয়ে আছে আকাশ মাইশার ডান্স দেখে,,,

কিছু ক্ষন অনেক জোরে জোরে করতালির শব্দ আসে,,মাইশা আকাশ থেমে যায় সবাই পিছনে তাকায় দেখে তারেক,,,

তারেকঃ আমার বউয়ের এক মাত্র ভাইয়ের অনুষ্ঠান তাও আবার বিয়ের ঘোষনা দেওয়া হবে ওয়াও তবে আমি কিছুই জানি না,,,

তারেককে দেখে আকাশের মাথা মুহূর্তে গরম হয়ে যায় হাতের মুটো শক্ত করে ফেলে সামনে আগাতে যাবে মাইশা আকাশের হাত ধরে থামিয়ে দেয়,,

মাইশাঃ প্লিজ না কিছু করবে না প্লিজ

আকাশ থেমে যায় শুধু মাইশার দিকে তাকিয়ে,,রুপা ঘাবড়ে যায় এই ভেবে যে তারেক আবার সমস্যা করবে না তো সবার সামনে,,,তারেক কিছু টা রাগী লুক দিয়ে তাকায় রুপার দিকে আবার মুচকি হাসি দেয় যা রুপার কাছে খুব ভয়ানক লাগে,,তারেকের এইভাবে আসা যেন রুপার কাছে ভয় লাগে আর মাইশার কাছে অদ্ভুত,,,,

চলবে,,,

❤️ #মহব্বত❤️

Writer-❤️ #Israt_Jahan_Isu❤️

Part-16

আকাশ থেমে যায় শুধু মাইশার দিকে তাকিয়ে,,রুপা ঘাবড়ে যায় এই ভেবে যে তারেক আবার সমস্যা করবে না তো সবার সামনে,,,তারেক কিছু টা রাগী লুক দিয়ে তাকায় রুপার দিকে আবার মুচকি হাসি দেয় যা রুপার কাছে খুব ভয়ানক লাগে,,তারেকের এইভাবে আসা যেন রুপার কাছে ভয় লাগে আর মাইশার কাছে অদ্ভুত,,,,

তারেক রুপার সামনে এসে মুচকি হেসে বলে

তারেকঃ আমাকে দেখে বুজি খুশি হও নাই জান??

রুপাঃ না এমন না হুট করে আসলে তাই,,

তারেকঃ তাই কি অবাক? নাকি শকড এই ভেবে যে তুমি না বললেও আমি এসে গেছি দেখে

আকাশ হুট করে বলে উঠে

আকাশঃ ইম্পর্ট্যান্ট মানুষদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেছিলাম জানিয়েছিলাম যাদের করি নাই তাদের বলিও নাই,আর কেউ যদি না বলে বেহায়ার মত এসে পড়ে ভরা অনুষ্ঠানের মধ্যে তাহলে তো আর কিছু বলার নেই তাই না,,

আকাশের কথা শুনে সবাই পুরো অবাক এইভাবে কথা কেন সে বলছে, আর তারেক সে ঠিক বুজতে পেরেছে আকাশের একদম ভালো লাগে নাই তবুও সে বলে

তারেকঃ এক মাত্র শালাবাবুর অনুষ্ঠান আর আমি না এসে কি পারি?যাই হোক অনুষ্ঠান শুরু হোক সবাই এইভাবে চুপচাপ থাকলে নিজেকে কেমন যেন লাগে

আকাশঃ শয়তানকে শয়তানের মতই লাগে এইখানে বেশি ভাবার কি আছে??

তারেকঃ হাহা আমার শালাবাবু দেখি তার এক মাত্র দুলাভাইয়ের সাথে ভালোই ফাজলামো করছে তাও আবার তার অনুষ্ঠানের দিন,,,

মাইশাঃপ্লিজ আর কথা আগাইও না এইখানে থামো,,,(আস্তে করে আকাশের কানের কাছে গিয়ে বলে উঠে)

সবাই আবার অনুষ্ঠানে মন দেয়,, তারেক রুপার দিকে হাত বারিয়ে দেয় ডান্স করার জন্য রুপা মুখে হাসি নিয়ে ডান্স শুরু করে কিন্তু তারেক খুব শক্ত করে ধরে রুপার কোমড় যার কারনে সে অনেক ব্যাথা পাচ্ছে,,,নিজের দিকে টেনে আরো জোরে চেপে ধরে বলে

তারেকঃ অনেক সাহস দেখি বেড়ে গেছে এইখানে এসে যে আমাকে না জানিয়ে অনেক কিছু করছো??

রুপাঃ আ,,মি আসলে ,,

তারেকঃ তোর আসলে বা নকলে এইসব আমি পরে বোজাব বহুত তেল বাড়ছে তোর শরীরে একটু কমাতে হবেই,,

তারেক দাঁতে দাঁত চেপে বলে রুপা কিছু টা ঘাবড়ে যায়,,মাইশা শুধু তাকিয়ে আছে রুপা আর তারেকের দিকে,,রুপার চেহারায় যেন স্পষ্ট ভেসে আসছে যে তারেকের সাথে হেপ্পি নয় চাপা হাসি আর এমনি হাসি মাইশা ঠিক বুজেছে আজ,,

মিরাজ মাইক নেয় সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে

মিরাজঃ আমার এক মাত্র ছেলের কিছু মাস আগে বিয়ে হয়েছে সবাই কে জানাতে চেয়েছিলাম তবে কিছু সমস্যার কারনে আর জানানো হয় নাই,আজ এই অনুষ্ঠান তাদের বিয়ের ঘোষনা দেওয়ার জন্য রেখেছি,,

মিরাজ ইশারা করে আকাশ আর মাইশাকে স্টেজে যেতে বলে,,আকাশ আর মাইশা দুইজনে যায়

মিরাজঃ আমার ছেলে আকাশ কে তো জানেন আপনারা আর এই হচ্ছে আমার পুত্র বঁধু মাইশা চৌদ্দুরী,,,

সবাই করতালি দেয়,,,তারেক ড্রিংক করছে আর দেখছে সে এখন বুজতে পারে আসলেই এইটা মাহি না

তারেকঃ(বাহা এই মাহি থেকে মাইশা দেখি অনেক বেশি হট,আর কথা বলার ধরন সব কিছু আসলেই ভিন্ন,,,মাহি জাস্ট টাইম পাস ছিলো এই মাইশাকে নিজের করে নিতে হবে যেভাবে হোক এই বোরিং দুই বাচ্চার মা রুপার সাথে আর কত দিন থাকবো?এইবার ব্যস মাইশাকে যেকোনো ভাবে নিজের করতে হবে,,,)

তারেক এইসব ভাবছে আর মুচকি হাসছে,,তার মাথায় যেন এখন মাইশা ঘুরচ্ছে,,এক ঢুক খেয়ে গ্লাস রেখেই মাইশার সামনে যায়,,,আকাশ আর মাইশা অই সময় আকাশের এক ফ্রেন্ডের সাথে গল্প করছিলো তারেক কে দেখে মাইশা আকাশের হাত শক্ত করে ধরে,,,

তারেকঃ আরে শালাবাবুর বউ মানে তো আমার বউ,,,সরি আই মিন আমার শালাবাবুর বউ মানে আমার সাথে হাসি, তামাশা,মশকারি,আর ফাজলামো সব করতে পারবে আর আমিও পারবো তাই না?

কথাটা শুনেই আকাশের বেশ রাগ উঠে,,মাইশা শক্ত করে ধরে রাখে আকাশের হাত,,,

মাইশাঃ একটা কথা জানেন ভাইয়া সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়,,আর নিজের সম্মান যদি নিজের হাতেই শেষ করে তাহলে সম্মান করা যায় না উল্টো মন থেকে গালি দেওয়া হয়,,,আপনি আমার বড় ভাইয়ের মত আর আমাদের সম্পর্ক ভাই বোনের মতো হওয়া উচিত আর ভাই বোন ফাজলামো,মশকারি,তামাশা হাসিঠাট্টা এইসব কিছুই করে না,,,

মাইশার এমন জবাব শুনেই তারেক হতবাক সে ভাবছে মাইশা মাহির মতো হবে একটু সুযোগ দিয়ে কথা বললে হয়তো সেও মশকারি তামাশা করবে,,,

তারেকঃ গায়ে নিলে নাকি শালাবাবুর বউ?আসলে আমার ছোট বোন আছে তাই আর লাগবে না তুমি আমার শালাবাবুর বউ মানে ভাবি,

মাইশাঃ বেশি ফ্রি হতে চাইয়েন না পরে সমস্যা হবে বুজলেন,,,,

তারেক রেগে অইখান থেকে চলে যায় আকাশ মনে মনে অনেক খুশি এই ভেবে যে মাইশা উত্তর দিতে জানে সুযোগ দেয় না কাউকে,,,,

পুরো অনুষ্ঠান সুন্দর ভাবে কাটে যদি আকাশের মন একটু খারাপ ছিল কিন্তু মাইশা তা মানিয়ে নেয়,,,,

পরের দিন,

আকাশ কিছু ফাইল দেখছে,,চুল মুছতে মুছতে ওয়াশরুম থেকে বের হয় মাইশা,,চুল গুলো এক পাশ থেকে অন্য পাশে দিতেই চুলের পানি গিয়ে আকাশের মুখে পড়ে,তাকিয়ে সে পুরো মুগ্ধ,,মাইশার দিকে অপরুপ ভাবে তাকিয়ে আছে,ভিজা চুল ফ্রেশ লাগছে মাইশাকে,,উঠে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ভিজা চুলে মুখ গুজায়,,,

আকাশঃ মুগ্ধ হয়েছি আমি তোমার মুগ্ধতায়,,,তোমার এই রেশমি ভিজা চুলে মাতাল যে হলাম আমি বারবার,,,ইচ্ছে করে এইভাবে মুখ টা লুকিয়ে রাখি এই ভিজা চুলের মধ্যে যেন হারিয়ে যাই তোমার মাঝে,,,,

মাইশাঃ তাহলে খাওয়া দাওয়া কাজ কাম সব কিছু বাদ??

মাইশার এমন উত্তর শুনে আকাশ মাইশাকে ছেড়ে সামনে যায়

আকাশঃ মানে কি হ্যাঁ? একটু রোমান্টিক মুডে হলেই তেরোটা বাজিয়ে দিতে এইভাবে উঠে পড়ো কেন হুম?

মাইশা হাত থেকে তাওয়াল রেখে আকাশের ঘাড়ে দুই হাত রেখে একটু উঁচু হয়ে আকাশের মুখে আস্তে করে ফুঁ দেয়,,সাথে সাথে আকাশ তার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে,,,

মাইশাঃ এইভাবে রাগলে না বেশ কিউট লাগে,,,

আকাশ চোখ খুলেই মাইশাকে শক্ত করে ধরে,,,

আকাশঃ আর তোমাকে প্রতি বারই কিউট লাগে,,,

মাইশাঃ হুম বুজেছি তবে হ্যাঁ একটা কথা বলতেই হবে

আকাশঃ কি?

মাইশাঃ বেশি রোমান্টিক হলে না অনেক বড় সমস্যা তাই বেশি হতে যাইও না পরে না আবার

আকাশঃ আবার কি?

মাইশাঃ না থাক পরে একদিন না হয় বললাম,

আকাশ মাইশাকে অনেক শক্ত করে ধরে মাইশা হেসে দেয়,,,

আকাশঃ চুপচাপ বলবে?

মাইশাঃ পরে আবার আরো অনেক কিউট হয়ে যাবে পরে সারাক্ষণ শুধু তাকিয়ে থাকবো কাজ কাম ছেড়ে

মাইশা এই বলে খিলখিল করে হেসে দেয়,,মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে আকাশ,,,আস্তে করে গালে স্পর্শ করে তখনই মাইশার হাসি থেমে যায় চেয়ে আছে অপলক ভাবে আকাশের দিকে,,দুইজন দুইজনের চোখে যেব হারিয়ে যায়,,

হুট করে রুমে ঢুকে পরে আইভি,,,

আইভিঃ চাচ্চুউউউউউ

মাইশা আর আকাশ লাফিয়ে উঠে,দুইজনে ঘাবড়ে যায় এইভাবে আইভিকে দেখে,,,

আইভিঃ চাচ্চু আমার কাল স্কুলে একটা অনুষ্ঠান আছে,,

আকাশঃ এইটা বলার জন্য এই সময় পাইলে তুমি?

আইভিঃ কেন এখন কি হইছে বলতে?

মাইশা হাসতে থাকে আকাশ আর আইভির কথা শুনে,,

মাইশাঃ তোমরা কথা বলো আমি নিচে যাই,,আকাশ কফি খাবে?

আকাশঃ মাইশা আজ বিরিয়ানি করবে? খেতে ইচ্ছে করছে

মাইশাঃ আচ্ছা আমি করবো এখন কি কফি পাঠিয়ে দিবো?

আকাশঃ না কফি খাবো না তুমি গিয়ে বিরিয়ানি করো আমি আইভির সাথে কাল কি কি করা যায় অনুষ্ঠানে তা নিয়ে অনেক কথা বলি ওকে আইভি

আইভিঃ ইয়ায়ায়ায়া

মাইশা হেসে নিচে চলে যায়,,,কিচেনে গিয়েই সে নিজের কাজ করছে ওমন সময় তারেক এসে হাজির,,

তারেকঃ এতো গরমে কি মানায় এইখানে তোমায়?

মাইশাঃ সমস্যা নাই গরম লাগছে না আমার আপনার কিছু লাগবে?

তারেকঃ একটা কফি করে দিবে?

মাইশাঃ আপনি ড্রইংরুমে বসেন আমি পাঠাচ্ছি

তারেকঃ সমস্যা নাই এইখানে দাঁড়াতে,,

মাইশা আর কিছু না বলেই নিজের কাজে ব্যস্ত,কাজের কিছু লোক ও মাইশাকে সাহায্য করতেছে,,অনেক বেশি অস্তিত্ব লাগছে মাইশার কারন তারেক শুধু তাকে ঘুরেই যাচ্ছে তার নজর যেন মাইশা থেকে সরছেই না,,,

তারেকঃ এতো হট লাগছে বলার বাহিরে,,,

মাইশাঃ কি বললেন?

তারেকঃ না মানে অনেক বেশি হট আই মিন গরম পড়ছে তা বললাম,,,

মাইশাঃ আপনার মেবি জ্বর আসছে আর না হয় আপনার একটু অসুস্থ ফিল করছেন তাই এতো ঠান্ডার মধ্যে ও আপনার গরম লাগছে,,আপনি এক কাজ করুন বাহিরে গিয়ে বসুন কফির সাথে ওষুধ ও পাঠিয়ে দিচ্ছি কেমন ভাইয়া

মাইশার এমন কড়া উত্তরে তারেক একটু বিরক্তি হয় সে সেখান থেকে চলে যায়,,,,প্রচুর বিরক্তি লাগছে মাইশার এইভেবে যে এই বাড়ির মেয়ের জামাই এতো টা লুচ্চা,,,

মাইশাঃ অসভ্য লোক একটা

বিকালে,,,

আকাশ মাইশার হাত ধরে বলে

আকাশঃ তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে রেডি হয়ে নাও

মাইশাঃ কেন?

আকাশঃ এতো প্রশ্ন কেন করো?স্কুল মাস্টারের মতো?

মাইশাঃ স্কুল মাস্টারের মেয়ে তাই করি

আকাশঃ বুজছি আচ্ছা যাও তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডি হয়ে আসো

মাইশা উপরে যায় গিয়ে রেডি হয়ে আসে,,দুইজন মিলে বের হবেই তারেক হাজির

তারেকঃ ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে বুজি?

আকাশঃ সমস্যা আছে গেলে?

তারেকঃ না নেই তবে যদি আমিও যাই তাহলে সমস্যা হবে না আশা করি

আকাশঃ অনেক হবে,,কাবাবের মধ্যে হাড্ডি থাকলে যেমন মেজাজ খারাপ হয় সেম কাপেলের মধ্যে থ্রাড পার্সন থাকলে হয়,,,(মুচকি হেসে)

মাইশাঃ আকাশ চলো

আকাশ মাইশাকে নিয়ে চলে যায়,

তারেকঃ এই আকাশ বড্ড বেশি উড়ছে তার ডানা কেটে দিতেই হবে,,একবার শায়েস্তা করছি হয় নাই আবার করতে হবে ওয়েট আকাশ এইবার এমন ভাবে শায়েস্তা করবো যে আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না,,,

অইদিকে

আকাশ মাইশাকে একটা লেকের পাড়ে নিয়ে আসে,,বেশ সুন্দর লেকের পাড়,, হাত বারিয়ে বলে

আকাশঃ চলো

মাইশাঃ সামনে?

আকাশঃ সারপ্রাইজ

মাইশা আকাশের হাতে হাত রেখে সামনে যায়,,একটা নৌকা ফুল দিয়ে সাজানো,,সম্পন্ন ফুল দিয়ে ঘেরা নৌকা,,,মাইশার মুখের হাসি যেন দিগুণ বেড়ে যায়,,,খুশিতে আকাশের দিকে তাকায়

আকাশঃ পছন্দ হয়েছে?

মাইশাঃ অনেক,,,

আকাশঃচলো তাহলে

আকাশ আর মাইশা নৌকায় উঠে,নৌকার মাঝি নেই নৌকার মাঝি আজ আকাশ,,,এই দেখে মাইশার আরো ভালো লাগে,,অনেক টুকু নিয়ে যায় নৌকা,,লেকের মাঝে থামিয়ে দেয় নৌকা,,মাইশার কাছে এসে বসে আছে,,মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে মাইশা আকাশের দিকে,,,শীতল বাতাস বয়ছে পানির ঢেউ আকাশ টা হালকা মেঘলা,বেশ সুন্দর মুহূর্ত যেন আজ তাদের জন্য,,,

চলবে,,,

❤️ #মহব্বত❤️

Writer-❤️ #Israt_Jahan_Isu❤️

Part-17

আকাশ আর মাইশা নৌকায় উঠে,নৌকার মাঝি নেই নৌকার মাঝি আজ আকাশ,,,এই দেখে মাইশার আরো ভালো লাগে,,অনেক টুকু নিয়ে যায় নৌকা,,লেকের মাঝে থামিয়ে দেয় নৌকা,,মাইশার কাছে এসে বসে আছে,,মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে মাইশা আকাশের দিকে,,,শীতল বাতাস বয়ছে পানির ঢেউ আকাশ টা হালকা মেঘলা,বেশ সুন্দর মুহূর্ত যেন আজ তাদের জন্য,,,

রাতে,

আকাশ মাইশাকে একটা জায়গায় আনে ছোট একটা বাড়ি তবে ছোট হলেও বাড়িটা বেশ সুন্দর,,,আশেপাশে দেখাই যাচ্ছে বাড়িটাত খুব যত্ন নেওয়া হয়,,আকাশ আর মাইশা ভিতরে যায় খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়ে সব জিনিস,,

মাইশাঃ এইটা কাদের বাড়ি?

আকাশঃ আমাদের৷

মাইশাঃ আমাদের??

আকাশঃ হ্যাঁ কিছু দিন আগে নিয়েছিলাম তোমার জন্য সুন্দর তাই না?যদিও ছোট তবে এইটার প্রত্যেক টা জিনিস আমি নিজে সাজিয়েছি,,কেমন লাগছে

মাইশাঃ অনেক সুন্দর কিন্তু বাড়ির কি প্রয়োজন ছিলো?

আকাশঃ যখন আমি আর তুমি একান্ত কিছু সময় কাটাতে চাইবো বা তোমার আমার যারেই মন খারাপ হবে এইখানে আসবো আর হ্যাঁ সব চেয়ে খুশির দিন গুলো তেও এইখানে এসে থেকে যাবো,,,

মাইশাঃ আর কিছু? (মাইশা হেসে উত্তর দেয়)

আকাশ মাইশার হাত ধরে সিড়ি দিয়ে উপরে নিয়ে যাচ্ছে

মাইশাঃ উপরে কেন?

আকাশঃ দেখে যাও কেন

দরজার সামনে এনে মাইশার চোখ দুটো বেঁধে দেয়,,

মাইশাঃ আরে কি করছো?

আকাশঃ চুপ বেশি কথা বলো তুমি

মাইশা আর কিছু বলে না আকাশের এমন ধমক শুনে,রুমের মধ্যে নিয়ে আকাশ মাইশার চোখ থেকে কাপড় টা সরিয়ে দেয়,,,পুরো অবাক হয়ে যায় মাইশা রুমটা এতো সুন্দর করে যে সাজানো,,, রুমের প্রতি টা জিনিস যে মাইশার পছন্দের,,মাইশা আর আকাশের অনেক বড় ছবি বিছানার উপরের দেওয়ালে,,,নিচে অনেক গুলো গোলাপের পাপড়ি দিয়ে বড় করে লাভ বানানো,,,

মাইশাঃ এইসব?

আকাশ মাইশার সামনে হাঁটু ঘেড়ে বসে পড়ে হাত টা বারিয়ে দিয়ে বলে

আকাশঃ মাইশা অনেক ভালোবাসি আমি তোমায়,,জানি না তুমিও কি আমায় ভালোবাসো?নাকি আমার বাবার ডিলের জন্য আমার সাথে আছো জানি না,,,সত্যি মাইশা আমি তোমায় আজীবন আমার চাই,,চাই না তোমায় হারাতে যদি আমাকে ভালো না বাসো তাও কিছু বলবো না কখনও জোর ও করবো না শুধু বলবো আমার পাশে সব সময় এইভাবে থাকিও,,,

মাইশা ও আকাশের সামনে বসে পড়ে,,আকাশের চোখের কোণায় পানি এসে জমে যায়,,আলতো করে মুছে দিয়ে চোখে চুমু একেঁ দিয়ে গালে হাত দিয়ে উত্তর দেয়

মাইশাঃ আমিও তো ভালোবাসি তোমায় যা অনেক অনেক অনেক,,,এতো ভালোবাসি যে কখনও ভাষায় যে প্রকাশ করতে পারবো এমন দিন হয়তো আসবেই না,,আমার ভালোবাসা তোমার জন্য কখনো কমবেই না উল্টো দিনের পর দিন বেড়েই যায়,,, আকাশ তুমি আমায় যত না ভালোবাসো তার চেয়ে বেশি আমি ভালোবাসি তোমায় আমি,,

আকাশঃ কচু আমি বেশি হু,,তুমি বাসলে কবে আমায় বলে দিতে হু

মাইশাঃ ভালোবাসা বারবার মুখে বললেই কি ভালোবাসা হয়?অনেক সময় আমরা অনুভূতি প্রকাশ করি না কিন্তু এর মানে এই না যে আমাদের অনুভূতি নেই,,,আর হ্যাঁ ভালোবাসা মনের গভীর থেকে হয় মুখে একশ বার বললে হয় না,,,

আকাশঃ অহ মানে এখন বুজাতে চাও যে আমি ভালোবাসি না?? (অভিমানের সুরে)

মাইশা হেসে আকাশের গাল হালকা টেনে বলে

মাইশাঃ বাবুরে আমার হাজবেন্ড দেখি আজকাল অনেক রাগী হয়ে গেছে,,যাই বলো এই রাগী লুক অনেক কিউট,,,

আকাশঃ হইছে আর কিছু

মাইশা আকাশের গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে

মাইশাঃ হ্যাঁ অনেক কিছু আমার জামাই রাগ করে থাকলে আমার অনেক ভালো লাগে(হিহি)

আকাশঃ অহ তাই বুজি দেখাচ্ছি তাহলে রাগ করে থাকলে কত লাগে ভালো

আকাশ মাইশাকে শক্ত করে ধরে,,দুইজনে ফ্লোরে শুয়ে পড়ে,,দুইজনে বেশ হাসাহাসি করছে,,,,আকাশ শুধু তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে কি মিষ্টি হাসি তার,,একটু একটু করে কাছে যেতে যেতে মাইশার অনেক টা কাছে চলে যায়,,ঠোঁটে চুমু দিতে গিয়ে থেমে যায় হুট করে সে মনে করে মাইশা রেগে যাবে এই ভেবে উঠতে যাবে মাইশা কলার টেনে বলে

মাইশাঃ কি হলো?

আকাশঃ আমি চাই না তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করি,,,

মাইশাঃ আমি কি বলেছি যে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে হচ্ছে?

আকাশঃ তোমার এতে প্রবলেম নেই?

মাইশাঃ না,,আমায় আজ নিজের করে নিবে আকাশ?

আকাশ মুচকি হেসে মাইশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,দুইজনের ভালোবাসা আজ যেন সম্পন্ন হয়,,,

সকালে,,,

আকাশের বুকের উপরে মাইশা শুয়ে আছে,, লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে আছে মাইশার,,,আকাশ ঘুম আকাশের ঘুমান্ত চেহারা যেন মাইশার কাছে আরো বেশি ভালো লাগে,,,,

মাইশাঃ সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়ার সৌভাগ্য যে কখনও হবে ভাবিও নাই,, আকাশ তুমি আমার জীবনের সব চেয়ে স্পেশাল গিফট আল্লাহর দেওয়া,,,তোমার ঘ্রান আমার কাছে সব চেয়ে স্পেশাল যা পারফিউম থেকেও সুগন্ধি আমার কাছে,,,অনেক ভালোবাসি সত্যি অনেক

মাইশা আকাশের বুকে মাথা দিয়ে আভাস চোখ বন্ধ করে নেয়,,,

দুই ঘন্টা পর,,,

মাইশা শাওয়ার শেষ করে বের হয়,,,আকাশের একটা সাদা শার্ট পড়ে সে ভাবে আকাশ ঘুম কিন্তু আকাশ উঠে দাঁড়িয়ে আছে,,,

আকাশঃ বাহা বাহা আমার বউকে দেখি অনেক বেশি সুন্দর লাগছে আমার শার্টে,,,

মাইশা অনেক লজ্জা পেয়ে যায়,,সে শার্টের কলার শক্ত করে ধরে রাখে তাড়াতাড়ি যেতে লাগে আকাশ মাইশার কাছে যায় কোমড়ে হাত দিয়ে টেনে নিজের কাছে এনে মুখে ফুঁ দিয়ে বলে

আকাশঃ হায় কি না কিউট লাগছে,,মনে হয় আমাকে মেরে ছাড়বা

মাইশাঃ প্লিজ এইভাবে আর লজ্জা দিও না,,

আকাশঃ ওরে ওরে আমার বউ দেখি লজ্জা পাচ্ছে দেখি দেখি লজ্জা মাখা মুখ খানি একটু দেখি,,

আকাশ মাইশার মুখটা একটু উপরে তুলে দেখে সত্যি মাইশা লজ্জা পেয়েছে,, আকাশের দিকে তাকাতেই পারছে না,,আকাশ হেসে দেয় এমন দেখে

আকাশঃ উফফ কি কিউট রে

মাইশাঃ প্লিজ আকাশ,,,

আকাশঃ আচ্ছা যাও ছেড়ে দিবো যদি আমাকে একটা কিস করো তাহলে

মাইশাঃ আকাশ??

আকাশঃ জ্বি প্রিয়তমা

মাইশাঃ বেশি হচ্ছে

আকাশঃ বউয়ের কাছে এমন আবদার করা বেশি না রোমাঞ্চ বলে জানেমান,,,

মাইশাঃ তুমি আসলে একটা পাগল

আকাশঃ হতেই পারি আমার সুন্দরী বউয়ের জন্য,,,

মাইশা বেশ বুজতে পারে আজ আকাশ তাকে ছাড়ছে না,,,সে আর কথা না বাড়িয়ে আকাশকে কিস করে সরে যেতেই লাগে অমনি আকাশ আবার নিজের কাছে আরো টেনে নেয়,,,

আকাশঃ তুমি দিলে আমি তো এখনো দিলাম ও না,,

আকাশ মাইশার গালে চুমু দিতে থাকে,,,

এইদিকে,,

তারেক আকাশ আর মাইশার রুমের পাশ দিয়ে যেতে লাগে দেখে রুমের দরজা খোলা,উঁকি দিয়ে দেখে রুমে কেউ নেই,,

তারেকঃ কি ব্যাপার আজ মাইশা ম্যাডাম কই গেলো?

তারেক আকাশ আর মাইশার রুমে ঢুকে চারপাশ তাকিয়ে দেখে বেশ গুছানো রুমটা,,তারেক খেয়াল করে বিছানার উপরে মাইশার একটা ওড়না পড়ে আছে ওড়না নিয়ে নাকের ডগায় নিয়ে ঘ্রান নিতে থাকে,,,

তারেকঃ কি মিষ্টি ঘ্রান এই মাইশার,,,

রুপা নিচে যাওয়ার সময় দেখে তারেক আকাশের রুমের মধ্যে ওমন সময় সেও যায় গিয়ে দেখে তারেক মাইশার ওড়না নাকের কাছে নিয়ে সুগন্ধি নিচ্ছে,,অনেক অদ্ভুত লাগে ব্যাপারটা রুপার কাছে,,,,

রুপাঃ তুমি এইখানে কি করছো???

তারেকঃ আরে তুমি?

রুপাঃ হ্যাঁ কিন্তু তুমি এইখানে কি করছো তাও আবার মাইশার ওড়না নিয়ে?

তারেকঃ আমি এইখানে যাই করি না কেন তোকে কিছুর উত্তর দেওয়া প্রয়োজন অন্তত আমি মনে করি না ওকে(রুপার হাত অনেক শক্ত করে ধরে)

রুপাঃ তারেক আমার হাতে অনেক ব্যাথা লাগছে,,প্লিজ ছেড়ে দাও

তারেকঃ নেক্সট টাইম যেন আমাকে প্রশ্ন আর না করিস,,আমি যা ইচ্ছে করবো চুপচাপ শুধু তাকিয়ে থাকবি যদি আমাকে প্রশ্ন করিস তাহলে সত্যি রুপা অইদিন তোকে আমি ডির্বোস দিবো মনে রাখবি,,,আর তখন কই যাবি.?বদনাম হবি আর কিছুই না সবাই তোকে দোষ দিবে বুজলি তো বই কেয়ারফুল

তারেক অইখান থেকে চলে যায়,,,রুপা কাঁদতে থাকে জীবন টা কি অদ্ভুত যে মানুষটার জন্য নিজের বাবা-মা ফ্যামিলি ছেড়ে গেছে সে মানুষ টাই তাকে এতো কষ্ট দিচ্ছে,,,,চোখের পানি গুলো না পারছে কাউকে দেখাতে না পারছে নিজের কষ্ট গুলো বলতে এই হয়তো জীবন তার,,,

এইদিকে

আকাশ আর মাইশা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে বসে আজ সব নাস্তা আকাশ বানিয়েছে মাইশার জন্য,,,

মাইশাঃ বাহা আজ এতো নাস্তা কে বানাইছে ?

আকাশঃ কেন এই দিকে কি নজর যায় না?যে তার এতো সুন্দর হাত দুটো দিয়ে স্পেশাল স্পেশাল নাস্তা বানিয়েছে তাও আবার তার বউয়ের জন্য

মাইশাঃ অহ তাই বুজি?

আকাশঃ জ্বি ম্যাডাম আমি বানাইছি সব আপনার জন্য শুধু

মাইশাঃ তাহলে তো আজ অনেক মজা হবে,,ইয়ামি ইয়ামি লাগছে খাবার গুলো ওয়াও

মাইশা নাস্তা গুলো খেতে লাগে বেশ মজা হয়েছে,,আকাশ অতি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে কি বলে তা শুনার জন্য,,আর মাইশা চুপচাপ খেয়েই যাচ্ছে সব গুলো খারাপ সে টেস্ট করে হাত দিয়ে ইশারা করে জানায় অনেক ইয়ামি হয়েছে,ব্যস আকাশের মুখের হাসি যেন দিগন্ত হয়ে যায়,,,

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here