মহব্বত❤️,পার্ট 21,22 শেষ
Writer-❤️ Israt_Jahan_Isu❤️
পার্ট 21
রুপার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো এইসব শুনেই,,তার হাজবেন্ড তার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করতে উঠে পড়েছিল আকাশ কত বললো তাকে যে তারেক ভালো নয় তারেক তাকে সুখী রাখবে না বাচ্চাদের জন্য চুপ ছিলো কিন্তু আজ এইসব দেখে রুপা কেঁদে দেয়,,,
রুপাঃ কেন করলে এইসব তারেক?কেন করলে?
তারেকঃ সে উত্তর তোকে দিবো???
রুপাঃ ঠিক আছে দিও না উত্তর তবুও প্লিজ মাইশাকে ছেড়ে দাও,,ওর কোনো দোষ নেই
তারেকঃ হাহা এই মাইশা আমার সম্পর্কে সব জানে সব,,,সে আমাকে কিছু না হতেই অপমান করতো ভালো অপার দিয়েছিলাম কিন্তু সে অপমান করেছে কিন্তু আজ ওকে ছাড়বো না আজকের সুযোগ আর কখনও আসবে না,,বাড়ি পুরো ফাঁকা শুধু আমি আর মাইশা আছে উফস সরি তুইও আছিস রুপা তবে তোর মুখ বন্ধ থাকবে আমি জানি কারণ তুই আমাকে হারাতে চাস না হাহাহা(অট্টহাসি দিয়ে)
আজ রুপার অনেক রাগ লাগছে নিজের উপরে এই ভেবে যে সে কেন আকাশের কথা না শুনে আজও তারেকের সাথে আছে,,আকাশ কত বলেছে উল্টো আকাশকে কত না কিছু বলেছে রুপা,,,দরজা অনেক জোরে জোরে নক করছে চাবি খুঁজতে থাকে কিন্তু পাচ্ছে না এই মুহূর্তে কিছু,,,
তারেক মাইশার দিকে এগিয়ে আসে,,মাইশার শরীর অনেক দূর্বল হওয়ায় সে নিচে পড়ে আছে,,হঠাৎ জোরে পড়ায় মাথার কোণাও ফেটে যায়,,,,,
তারেক মাইশার দিকে গিয়ে ওড়না টান দিয়ে সরিয়ে ফেলে,,,রুপা আবার জানালার দিকে এসে বলছে
রুপাঃ তারেক প্লিজ এমন করিও না,,মাইশার জীবন টা নষ্ট করিও না,,আমি সত্যি বলতেছি আজকের ঘটনা আমি কাউকে বলবো না আর না মাইশা বলবে প্লিজ তবুও ওকে ছেড়ে দাও প্লিজ তারেক
তারেকঃ আমি কাউকে ভয় পাই নাকি?আজ আমার মন শান্ত হবে এই মাইশাকে শেষ করে অনেক উড়েছে সামান্য একটা স্কুল মাস্টারের মেয়ের এতো দেমাগ এতো তেজ আজ সব কিছু বের করবো তখন সে বুজবে তারেক কি আসলে,,
মাইশা আসতে আসতে উঠে,,তারেক তার সামনে বসা মাইশা তারকে অনেক জোরে ধাক্কা দিয়ে উঠে দাঁড়াতে লাগে যে তখনই তারেক মাইশার চুল ধরে টান দিয়ে নিচে ফেলে দেয়,,,রুপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তার সামনে মাইশাকে এইভাবে মারছে
তারেক অনেক রেগে আছে মাইশা আর আকাশের উপরে প্রচুর মারতে থাকে মাইশাকে,,,মাইশার গালে দাগ করে ফেলে থাপ্পড় দিতে দিতে,,উঠে দাঁড়ানোর মতো আর শক্তি যেন মাইশার নেই,,
রুপা তাড়াতাড়ি তার ফোন নেয় আকাশকে কল দেয় আকাশ ধরছে না মিটিং করছে সে,,অনেক বার কল দেওয়ার পর দেখে কিন্তু রুপার নাম্বার দেখে সে ধরছে না আরো,,,
রুপাঃ উফফফ আকাশ প্লিজ ভাই ধর,,,
রুপা আর না পেরে তাড়াতাড়ি একটা ছবি তুলে পাঠায় আকাশকে যেখানে তারেক মাইশাকে মারছে,,,আকাশ খুব বিরক্তি হচ্ছি এই ভেবে যে রুপা এইভাবে কেন কল দিচ্ছে মেসেজ এর টুন শুনে চেক করে দেখে,,তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে এমন অবস্থা,তাড়াতাড়ি কল দেয় রুপাকে
আকাশঃ আপু এইসব?মাইশা
রুপাঃ আকাশ তাড়াতাড়ি আয় তারেক মাইশাকে শেষ করে দিবে প্লিজ তাড়াতাড়ি আয় ভাই
আকাশঃ তারেক কে আমি মেরে ফেলবো যদি আমার মাইশার কিছু হয়,,,
আকাশ অফিস থেকে দৌড়ে বের হয়,,অনেক স্পিডে ড্রাইভ করা শুরু করে,,,,
এইদিকে
তারেক মাইশাকে অনেক মেরেছে যখন দেখছে মাইশা আর উঠে দাঁড়াতে মারছে না সে প্রচুর দূর্বল হয়ে গেছে তখনই তারেক নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য মাইশার দিকে এগিয়ে যায়,,,মাইশার জামা ধরে টেনে ছিড়ে ফেলে অনেক টা,,
রুপা অনেক চেস্টা করছে পারছে না বের হতে রুম থেকে আর না পেরে জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে ফুল দানি মেরে,,অনেক কষ্ট করে জানালা ভেঙ্গে রুম থেকে বের হয়,,,তারেক মাইশার ঘাড়ে কিস করতে যাবে ওমন সময় রুপা তার মাথায় ফুল দানি দিয়ে অনেক জোরে আঘাত করে,,প্রথম থেকেই মাথায় আঘাত হওয়ায় তারেক লুটিয়ে পড়ে যায় নিচে,,
মাথায় হাত দিয়ে তাকিয়ে দেখে রুপা,,,
তারেকঃ এ,,এতো সা,,হস তোর??
রুপা বসে আরো জোরে জোরে দুইবার বারি দেয়,,তারেকের মাথায় আঘাত করতে থাকে,,
রুপাঃ আমার পুরো জীবন শেষ করে দিয়েছিস তুই,,আমার বাচ্চাদের জন্য এতো দিন চুপ ছিলাম কিন্তু তুই একটা শয়তান তুই নিজের দিক দেখেছিস আমার বাচ্চাদের কথা ভাবিস নাই,,আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করেছিস একবার আবার করতে এসেছিস,,এই মাসুম মেয়েটার জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিস তোকে মেরে ফেলবো আমি
রুপা যেন তার হুঁশে নেই,,সে তারেককে এতো আঘাত করতেছে যে মাথায় সে বুজতে ও পারছে না তারেকের সাড়াশব্দ ও নেই,,ব্লাডে পুরো ফ্লোর ভরে যায়,,তারেকের পুরো মাথা থ্যাতলা করে ফেলে রুপা,,,
এইদিকে
আকাশ বাড়ি আসে অনেক স্পিডে ড্রাইভ করে,,সে খুব রেগে বাড়ির ভিতরে যায় সাথে দাড়োয়ান গুলো এইভেবে যে আকাশ এতো রেগে কেন আছে,,,আকাশ যে উপরে উঠে দেখে অনেক রক্ত ফ্লোরে,,,সামনে পড়ে আছে তারেকের লাশ মাথা পুরো থ্যাতলা করে ফেলেছে দেখেই বুজা যাচ্ছে তারেক মারা গেছে,,,,
হাতে ফুলদানি যেটায় অনেক রক্ত লেগে আছে তা নিয়ে একদম চুপচাপ বসে আছে রুপা,,,,
আকাশঃ আ,পু আ,,,পু
রুপা একদম চুপ সে যেন তার মুখের ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে,,,চোখ দিয়ে এক ফোটা পানিও পড়ছে না শুধু চুপ করে তাকিয়ে আছে তারেকের লাশের দিকে,,,,
আকাশ একটু সামনে দিকে তাকিয়ে দেখে মাইশা পড়ে আছে জামা পুরো ছিড়া সে তাড়াতাড়ি উঠে নিজের শার্ট খুলে মাইশাকে পড়িয়ে দেয়,,,মাইশাকে প্রচুর মেরেছে তারেক যার কারনে হুশ হারিয়ে ফেলে,,,
পুরো পরিবার এসে যায় কারণ আকাশ গাড়িতে থাকা অবস্থায় তার মাকে কল দিয়ে সব জানায় তারাও এসে যায়,,সবাই এই যা দেখে সবাই যেন থমকে যায়,,
রিমা তাড়াতাড়ি বাচ্চাদের নিয়ে রুমে যায় যাতে তারা না দেখে এমন কিছু,,,
শাহেদাঃ এইসব কিছু কিভাবে?? রুপা মা আমার কি হয়েছে বল?তারেকের এমন অবস্থা কে করেছে?
মিরাজঃ মাইশা এইভাবে কেন আকাশ?কি হয়েছে বল আমাদের?
সিরাজঃ ভাই এম্বুলেন্স এসে যাচ্ছে আমি ফোন করেছি,,,
আকাশ মাইশাকে তাড়াতাড়ি কোলে নিয়ে নিচে নামে মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার জন্য আর এক মুহূর্ত যেন সে অপেক্ষা করতে পারছে না এম্বুলেন্সের জন্য,,,,
গাড়ি করে নিয়ে যায় মেডিকেল,,,পুরো রাস্তায় অনেক চেস্টা করে মাইশার হুশ ফিরাতে কিন্তু পারে নাই,,,কিছু সময়ের মধ্যে মেডিকেল নিয়ে আসে,,,ডাক্তার মাইশাকে আই সিউতে নিয়ে যায় চিকিৎসা শুরু হয়,,,
এইদিকে
এম্বুলেন্স এসে তারেকের লাশ নিয়ে যায়,,,পুলিশ ও এসে যায় তারা সব দিকে ভালো করে দেখছে রুপার হাত থেকে ফুল দানি নেওয়া হয়,,,রুপা গিয়ে তাদের সামনে দাঁড়ায়
রুপাঃ তারেককে আমি খুন করেছি,,
শাহেদাঃ কি বলছিস রুপা?তুই নিজের স্বামীকে কিভাবে খুন করতে পারিস?কি হয়েছে বল আমাদের?
রুপাঃ মাম্মা তারেকের মত মানুষ বেঁচে না থাকা ভালো,,,সে আমাদের সবার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে,,আমার অনেক আগেই করে দিয়েছে মাম্মা কিন্তু আজ সে মাইশার সাথে যা করতে চেয়েছে ছি বলতে ও লজ্জা করছে মাম্মা,,মাম্মা মেয়েটা অনেক অসুস্থ ছিলো তাকে তবুও কত মেরেছে তার সাথে নোংরামি করতে চেয়েছি,,,মাইশাকে বাঁচানোর জন্য আর নিজের বাচ্চাদের জন্য ওকে মারতে হয়েছে সত্যি আমি সামান্য টুকু গিলটি ফিল করছি না যে ওকে আমি খুন করেছি,,ওর মত জানোয়ার আমার হাতে খুন হয়েছে এইটা আমার কাছে অনেক খুশির ব্যপার,,,
পুলিশঃ দেখুন আপনি যা করেছেন একটা মেয়ের ইজ্জত ও জীবন বাঁচানোর জন্য,,,আমরা চেস্টা করবো আপনার শাস্তি কমিয়ে দিতে,,চলুন আপনি আমাদের সাথে
পুলিশ রুপাকে নিয়ে যেতে লাগে,,,
রুপাঃ আমাকে একটু সময় দিবেন প্লিজ
পুলিশ রুপাকে একটু সময় দেয়,,,শাহেদা আর বাকি সবাই অনেক কান্না করছে,,,রুপা গিয়ে তার মায়ের হাত ধরে বলে
রুপাঃ মাম্মা আমার বাচ্চাদের কখনো বলিও না আমি জেলে,,আমার বাচ্চাদের খেয়াল রাখিও মাম্মা,আর প্লিজ যা কিছু হয়েছে এতে মাইশার বিন্দু মাত্র দোষ নেই,,তার অবস্থা তো দেখলে কি করেছে,, আমার চিন্তা করিও না মাম্মা ওই শয়তানের সাথে আজীবন থাকার চেয়ে জেলে থাকা অনেক বেটার আমার জন্য,,,
রুপা তার বাবার কাছে যায়,,,
রুপাঃ পাপ্পা আমার জন্য একদম চোখের পানি ফেলবে না,আমি ঠিক আছি আমার বাচ্চাদের খেয়াল রাখিও তাহলে আমি শান্তি পাবো,,
মিরাজঃ আমার মেয়ে
মিরাজ এই বলে কেঁদে দেয়,,,জীবন টা অদ্ভুত কখন কি হয় কেউ জানে না,,,রুপা ভাবতেও পারে নাই যে তার হাতে তার স্বামীর খুন হবে তাও এইভাবে,,,সে পুলিশের কাছে যায়,,,পুলিশ তাকে নিয়ে যায়
এইদিকে
আই সি ইউর লাইট এখনো জ্বলছে ডাক্তার বের হচ্ছে না,,আকাশের টেনশন যেন বেড়ে যায়,,,,আজ মাইশার এমন অবস্থা তার কারনে নিজেকে নিজেই এইভাবে দোষ দিচ্ছে,,,চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে কি করবে যদি মাইশার কিছু হয়ে যায় এই ভেবে,,
আকাশঃ আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন প্লিজ,,আমার মাইশাকে আমার কাছে ফিরে দেন,,কিছু চাই না আর কিছু না শুধু মাইশাকে আমার কাছে ফিরে দেন,,,
আকাশ কাঁদতে থাকে,,
এইদিকে
সিরাজ মেডিকেল আসে,,আকাশ উঠে তাড়াতাড়ি সিরাজের কাছে যায়
আকাশঃ রুপা আপু?আপু কই?আপুর কি অবস্থা?আর বাবা মাম্মা তারা কোথায়?
সিরাজঃ রুপা থানায়,,,
আকাশঃ কেন?
সিরাজঃ রুপা তারেককে খুন করেছে,,রুপাকে পুলিশ নিয়ে যায় ভাইয়া উকিলের কাছে যায় রুপাকে বের করতে
আকাশঃ মানে?
সিরাজঃ হ্যাঁ আকাশ আমাদের রুপা আজ খুনী (কেঁদে দেয়)আজ সে তার স্বামীকে খুন করেছে যদি না করতো তাহলে মাইশাকে মেরে ফেলতো তারেক,,,
আকাশ কি করবে বুজে উঠতে পারছে না,,এক দিকে স্ত্রী যে আই সি ইউতে অবস্থা অনেক খারাপ আরেক দিকে তার বড় বোন যে কিনা তার স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে নিজের স্বামীকে খুন করেছে,,,,সিরাজ আকাশকে ধরে
আকাশঃ চাচ্চু আমাদের সাথে এমন কেন হলো?
সিরাজঃ আকাশ সব ঠিক হবে মাইশার কি অবস্থা এখন?
আকাশঃ ডাক্তার কিছু বলে নাই মাইশাদের ঘরে কল দিয়ে বললাম
সিরাজঃ ভালো করলি
মাইশার মা আর বাবা আসে তাদের দেখে আকাশ উঠে দাঁড়ায়,,,
মাইশার মাঃ আমার মেয়ে???
আকাশঃ আম্মু প্লিজ শান্ত হন
মাইশার মাঃ আমার মাইশার কি হয়েছে কেন মেডিকেল আনলে আকাশ?
আকাশ কি বলবে বুজতে পারছে না তবুও অনেক শক্ত হয়ে সব খুলে বলে,,,সব শুনে যেন মাইশার মা থমকে যায়,,,ডাক্তার ও বের হয়
ডাক্তারঃ আকাশ
আকাশঃ আমার স্ত্রী ঠিক আছে?
ডাক্তারঃ তার গায়ে প্রচুর জ্বর এর মধ্যে ওকে মেরেছে যার কারনে হুশ হারিয়েছে,,,এখন ডেঞ্জার থেকে বাহিরে তবে ওকে একদম টেনশন করতে দেওয়া যাবে না,,,ওকে পুরো রেস্টের মধ্যে থাকতে হবে কিছু দিন,,,আর হ্যাঁ কয়েক ঘন্টা আগে হুশ আসবে না ওকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে,,
আকাশের মনে শান্তি আসে এই শুনে যে মাইশা ঠিক আছে কিন্তু রুপাকে নিয়ে এখন চিন্তায়,,,আকাশ মাইশার কাছে যায় হাত টা ধরে চুমু দিয়ে বলে
আকাশঃ আমাকে মাফ করে দিও মাইশা আমি তোমাকে রক্ষা করতে পারি নাই,,আজ তোমার এমন অবস্থা শুধু আমার জন্য,,
আকাশ বেশ কিছু সময় মাইশার সাথে থাকে তারপর সে উঠে মাইশার মায়ের কাছে যায়
আকাশঃ আম্মু আপনি মাইশার কাছে থাকেন,,আমার আপুর কাছে যাওয়া খুব দরকার,,আপুর প্রয়োজন আমাকে এই মুহূর্তে
মাইশার মাঃ রুপা মা আমার মেয়ের জন্য যা করেছে তা আর কেউ কখনো করবে না,,রুপাকে বের করে নিয়ে আসিও বাবা,,
আকাশঃ নিজের সব টুকু দিয়ে চেস্টা করবো
আকাশ চলে যায়,,
থানায়
মিরাজ তার উকিল নিয়ে আসে কিন্তু কাজ হচ্ছে না যেহেতু রুপা নিজের মুখে শিকার করে নিয়েছে সে খুন করেছে,,,মিরাজ তার সব দিয়ে চেস্টা করছে রুপাকে বের করতে,,
আকাশ ও এসে যায় এসে দেখে মিরাজ ফোনে কথা বলছে,,আকাশকে দেখে তাড়াতাড়ি এসে বলে
মিরাজঃ মাইশার কি অবস্থা??
আকাশঃ ডেঞ্জার থেকে মুক্ত,, তবে হুশ আসে নাই ডাক্তার বলেছে ঠিক আছে তবে অনেক মারায় আর অসুস্থ হওয়ায় হুশ হারিয়েছে তাই হুশ আসিতে দেরি হবে
মিরাজঃ ওকে একা ফেলে কেন আসলি তুই?
আকাশঃ মাইশার মা বাবা আছে আর চাচ্চুও আছে, এই মুহূর্তে আপুর প্রয়োজন আমাকে পাপ্পা,,
মিরাজঃ আকাশ সব দিয়ে চেস্টা করছি কিছু হচ্ছে না,,রুপা নিজের মুখে সব শিকার করেছে কি কি হয়েছে সব,,,
আকাশ পুলিশের কাছে যায়,,,
আকাশঃ আমার বোনের সাথে দেখা করতে চাই
পুলিশ আকাশকে নিয়ে যায় রুপার কাছে,,,রুপা বসে আছে আকাশ এইভাবে দেখে ভাবে সে কত না ইগনোর করতো রুপাকে যখনই সে কথা বলতে আসতো
চোখের পানি মুছে বলে
আকাশঃ আপু?
রুপা আকাশের কথা শুনে তাড়াতাড়ি আকাশের কাছে আসে,,
রুপাঃ মাইশা ঠিক আছে?
আকাশঃ কেন করতে গেলি আপু?
রুপাঃ আগে আমায় বল মাইশা কেমন আছে?
আকাশঃ মাইশা ঠিক আছে,,,
রুপাঃ যাক
আকাশঃ এইসব কেন করতে গেলি?
রুপাঃ যা কিছু করেছি আমি আমার জন্য করেছি,,,তারেককে নিজের হাতে শাস্তি দিতে পেরে আমি শান্তি পাচ্ছি,,,দেখ ভাই আমি ভুল করেছিলাম তোর কথা না শুনে তখন তবে আজ যা কিছু করেছি এর জন্য বিন্দু মাত্র আপসোস নেই হ্যাঁ এই ভেবে কষ্ট পাচ্ছি যে নিজের বাচ্চাদের বাবাকে আমি মেরে ফেলেছি তাদের এতিম করে দিয়েছি কিন্তু আকাশ তারেক থেকেও কি দায়িত্ব টা নিলো তাদের? বাচ্চাদের খবর পর্যন্ত নিতো না তার কাইফ তার মত চলতো
আকাশঃ আমি জানি আপু,,অনেক জলদি এইখান থেকে বের করবো তোকে দেখিস
রুপাঃ এই পাগল শুন আমার চিন্তা করতে হবে না ব্যস আমার বাচ্চাদের খেয়াল রাখিস,আর তুই সুখী থাকিস এতে হবে,,বোন হিসেবে সব সময় চাই তুই সুখে থাক একবার আমার কারনে তোর সুখ কেড়ে নিয়েছে তারেক এইবার আমি থাকতে তা কখনও হতে দিতে পারি না তাই না?
আকাশ কেঁদে দেয়,,রুপা চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে
রুপাঃ অনেক ভালোবাসি তোকে ভাই,,আমি সার্থপর নয় আকাশ আমি সত্যি সার্থপর নয়,,আমি তোকে সত্যি ভালোবাসি আকাশ সত্যি অনেক বেশি,,,
চলবে,,,
❤️ #মহব্বত❤️
Writer-❤️ #Israt_Jahan_Isu❤️
Part-22 (last part)
রুপাঃ অনেক ভালোবাসি তোকে ভাই,,আমি সার্থপর নয় আকাশ আমি সত্যি সার্থপর নয়,,আমি তোকে সত্যি ভালোবাসি আকাশ সত্যি অনেক বেশি,,,
দুই বছর পর,,,
দুই বছরে অনেক কিছু চেঞ্চ হয়ে যায়,,সবার জীবন যেন এখন অন্য দিকে মুড় দেয়,,,রুপা আজও জেলে মিরাজের এতো পাওয়ার ও যেন রুপাকে বের করতে পারে নাই,,,নিজের মেয়েকে জেল থেকে বের করতে না পারায় প্রতি রাতে কাঁদে মিরাজ টেনশন করে করে অনেক টা অসুস্থ হয়ে পড়ে,,,
আর শাহেদাঃ সে হাসিমুখে থাকে শুধু মাত্র রুপার ছেলেমেয়ে গুলোর জন্য যাতে তারা কিছু বুজতে না পারে,,রুপার ছেলে মেয়ে আজও জানে যে তাদের মা লন্ডন গিয়েছে কাজে ফিরে আসবে খুব জলদি,,,
আইভিও অনেক টা বড় হয়ে গেছে এখন অনেক কিছুই বুজতে শিখেছে আগের মত দুষ্টুমি আর ফাজিল করে না,,
প্রতি টা মানুষ আসতে আসতে চেঞ্চ হয়ে যায়,,,সবাই দিনে যতই হাসিমুখে থাকুক না কেন দিনে শেষে সবার মন মলিন হয়ে যায় রুপার জন্য,,,
ভাই বোনের সম্পর্ক অদ্ভুত তাই না?,যখন কাছে থাকে একে অপরের সাথে থাকে তখন মারামারি ঝগড়া মান অভিমান এইসব থাকে কিন্তু দূরে গেলে বুজা যায় একে অপরকে কতটা ভালোবাসে তারা,,,
আকাশ ও সেম সে ভাবতো রুপা শুধু নিজের কথা ভাবে নিজের দিক দেখে,,কত বলেছে তারেক ভালো না ওকে ছেড়ে এসে যেতে কিন্তু রুপা তার সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাইকে সেদিন ফিরিয়ে দেয় সেজন্য আকাশ রুপার সাথে অনেক টা বছর কথা পর্যন্ত বলে নাই,,যখনই রুপা তার কাছে আসে কথা বলতে আকাশ তাকে ইগনোর করে ভাবে তার বোন তাকে বিন্দু মাত্র ভালোবাসে না,,
আজ আকাশ বুঝতে পারলো রুপা তাকে কত না ভালোবাসে,,শুধু মাত্র আকাশের খুশির জন্য মাইশার জীবনের জন্য সে তার স্বামীকে খুন করেছে,,হ্যাঁ তারেক অনেক খারাপ,,সে রুপাকে বিন্দু মাত্র পাত্তা দেয় না আর না রুপাও বাচ্চাদের খেয়াল রেখেছে তবুও রুপা তাকে স্বামী ভাবতো,,,,কখনো সে এইভাবে নিজের স্বামীকে মারবে সে নিজেও কল্পনা করতে পারে নাই,,,
জেলের চার দেওয়ালের ভিতরে রুপা,,,জেলের পোশাকে পড়া,,চুপচাপ বসে আছে ভাবছে ছেলে মেয়ে গুলো কি তার মায়ের সত্যি জেনে গেছে আর যদি জেনে যায় তাহলে কি তারা তাকে ঘৃণা করছে?এইসব ভাবতেই আছে,,, এই দুই বছরে একটা রাত ও শান্তিতে ঘুমাতে পারে নাই রুওয়া,,দুই চোখের পাতা যখনই লাগাতে যাবে তখনই তারেকের সে চেহারা ভেসে উঠে,,তারেককে কিভাবে সে খুন করেছে তা বারবার তার চোখে ভাসে,,,গিলটি ফিল না করলেও ভয় ঠিক কাজ করছ শান্ত সভাবের মেয়েটা এইভাবে খুনী হবে সে কি কখনও কল্পনা করেছে?
এইদিকে
আকাশ অফিসে কাজ করছে ওমন সময় ফোনে কল আসে
আকাশঃ হ্যাঁ বলেন
উকিলঃ আমরা জিতে গেছি,,
আকাশ উঠে দাঁড়ায়
আকাশঃ মানে?
উকিলঃ রুপাকে দুই দিনের ভিতরে বের করা যাবে,,জর্জ সাহেব পেপারে সাইন করেছে যেটায় আছে রুপা যা করেছে তা একটা মেয়ের জীবন বাঁচাতে,,সে নিজের অপরাধ শিকার করে নিয়েছে আর জেলের ভিতরে তার ভালো আচরণ তার ভালো ব্যবহার সব রিপোর্ট জর্জ সাহেবের কাছে যায় যা দেখে জর্জ সাহেব খুশি হয় আর রুপাকে ছাড়ার অনুমতি দেয়,,,ব্যস দুই দিন পর রুপা বাহিরে
আকাশ এই শুনেই খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়,,
আকাশঃ দুইদিন কেন?আজ কেন নয়?
উকিলঃ আকাশ কিছু পেপার ঠিক করতে হবে,,এই দাগ যেন রুপার মাথায় আজীবন না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে,,,যাও গিয়ে বাড়িতে জানাও যে বাড়ির মেয়ে বাড়িতে ফিরে আসছে,,,,
আকাশ খুশিতে অফিস থেকে বের হয়ে যায়,,মার্কেট গিয়ে অনেক কিছু কিনাকাটা করে রুপার পছন্দের সব জিনিস নেয়,,একটা সুন্দর শাড়ি নেয় রুপার জন্য
আকাশঃ ফাইনালি আপু তুই আসবি,,আবার আমরা আগের মত এক সাথে অনেক মজা করবো,,জানি আপু অনেক কিছু হারিয়েছিস কষ্ট পেয়েছিস অনেক আমার কারনে আর নয় এইবার শুধু সুখটা পাবি যা তোকে আমি দিবো পরিবারের সবাই দিবে কষ্ট গুলো আমরা সবাই মিলে ভুলিয়ে দিবো,,,
এইদিকে
মাইশা চুপসে বসে আছে ছাদে,,খোলা আকাশের নিচে চুপচাপ বসে বসে ভাবছে দুইটা বছর পার হয়ে গেলো আর এই দুই বছরে কত না কিছু পরিবর্তন হলো,,,জীবন টা অনেক অদ্ভুত আর সময় এই তো যেন কারো জন্য থেমে থাকে না,,,,
মাইশাঃহাসির আড়ালে কষ্ট গুলো লুকিয়ে রাখা সত্যি বড্ড কষ্টের,,,সবার সামনে হাসিমুখে থাকা আর ভিতরে কষ্ট নিয়ে রাখা যে অনেক বেশি কষ্টের,,,এই বাড়ির সবাই একে অপরের সামনে হাসছে ঠিক তবে ভিতরে ভিতরে সবাই কষ্ট পাচ্ছে,,,সবার খুশি হাসি যেন দুই বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে,,ইশ যদি সব কিছু আবার ঠিক হতো তাহলে কি না ভালো হতো সবাই খুশিতে থাকতো আবার এক হয়ে,,
মাইশা এইসব ভাবছে অমন সময় রিমা একটা ছোট বাচ্চা নিয়ে আসে,,আফ মাইশাকে বলে
রিমাঃ সে কখন থেকে আয়ান কান্না করছে আর তুমি কিনা এইখানে বসে আছো???
মাইশা উঠে রিমার কোল থেকে বাচ্চা টা নেয়,,কপালে চুমু দিয়ে আদর করে বলে
মাইসজাঃ সরি ভাবি আসলে আমার খোলা আকাশের নিচে বসতে খুব ইচ্ছে করছে তাই আমি এইখানে এসেছিলাম,,
রিমাঃ হুম বুজেছি আচ্ছা শুনো একটা খুশির খবর দেই নাই তোমায়
মাইশাঃ কি??
রিমাঃ দুইদিন পর রুপা আসছে আমাদের কাছে আবার ফিরে
মাইশা এই শুনে অনেক খুশি হয়ে যায়,,,খুশিতে রিমাকে হালকা জড়িয়ে ধরে
মাইশাঃ সত্যি ভাবি..
রিমাঃ হ্যাঁ তাড়াতাড়ি চলো বাড়ি যে সাজাতে হবে কত কাজ আমাদের
মাইশা আর রিমা দুইজন নিচে নেমে যায়,,
সবাই আজ অনেক খুশি এই জেনে যে তাদের বাড়ির মেয়ে ফিরে আসছে,,,
রাতে,,
মাইশা আয়ানকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় উফফ সরি আয়ান কে বলাই হয় নাই,,আয়ান আকাশ আর মাইশার আদরের ছেলে,,
।
মাইশা আয়ানের কপালে চুমু দিয়ে আকাশের কাছে যায়,,আকাশ উকিলের সাথে কথা বলছে,,
আকাশঃ সব কাগজ কি রেডি?
উকিলঃ হ্যাঁ সব কিছু রেডি ব্যস পরশু রুপা আমাদের কাছে ফিরে আসবে,,
আকাশ কল রেখে দেয়,পিছনে ফিরে দেখে মাইশা
আকাশঃ আয়ান কি ঘুম?
মাইশাঃ হুম ঘুমিয়ে গেছে,,আকাশ
আকাশঃ হুম?
মাইশাঃ রুপা আপু কি আমার উপরে রেগে আছে?
আকাশ মাইশার গালে হাত রেখে বলে
আকাশঃ দূর পাগলি কেন রেগে থাকবে হুম?
মাইশাঃ আমার কারনে যে আপু জীবন টা আজ এমন হলো,,
আকাশঃ তোমার কারনে এমন কিছু না মাইশা,,,যা কিছু হয়েছে সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছেতে,,আর অইদিন রুপা আপু যদি তা না করতো হয়তো আমি করতাম কিন্তু অই তারেককে বাঁচতে দিতাম না সত্যি,,
মাইশাঃ আপু যে এখন একদম একা হয়ে গেছে
আকাশঃ আমার বোন একাই ছিলো শুধু তার মাথায় একটা মিথ্যা সম্পর্কের নাম ছিলো,,আর শুনো একদম নিজেকে এই নিয়ে দোষ দিবে না ওকে,,,
মাইশাঃ হুম
আকাশ মাইশাকে আজ বুজিয়ে রাখে,জানে মাইশা কষ্ট পাচ্ছে পাবে তো সে যে এই দুই বছরে নিজেকে কষ্ট দিয়েছে,,
দুইদিন পর
আজ পুরো বাড়ি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,,,রিমা আর মাইশা মিলে অনেক রান্না করেছে সব কিছু আজ রুপার পছন্দের,,
এইদিকে
বিকেল হয়ে আসে সবাই অপেক্ষা করছে কিন্তু এখনও কেউ আসে নাই,,সবাই অনেক চিন্তিত
মাইশাঃ মাম্মা ওরা আসছে না কেন.?
শাহেদাঃ জানি না,আচ্ছা তুমি কি আয়ানকে খাইয়েছো?
মাইশাঃ না
শাহেদাঃ যাও মা আগে ওকে গিয়ে দেখো ওরা এসে যাবে এখনই,,,
মাইশা যেতে লাগে ওমন সময় রিমা বলে উঠে
রিমাঃ ওই তো ওরা এসে গেছে,,,
মাইসাহ ফিরে দেখে আকাশ মিরাজ সিরাজ তারা রুপাকে নিয়ে আসে,,এই দুই বছরে কত পরিবর্তন হয়ে গেছে রুপা,,,,
শাহেদা গিয়ে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে,,,
রুপাঃ মাম্মা আমি ঠিক আছি প্লিজ কান্না করিও না
শাহেদা থামছেই না এতো দিন পর নিজের মেয়েকে দেখেছে,,,সবার চোখে পানি
রুপাঃ এইভাবে কান্না করলে কিন্তু আমিও কান্না করবো বলে দিলাম
শাহেদা কান্না থামায়,,গালে কপালে অনেক চুমু দিতে থাকে
শাহেদাঃ আমার সোনামনিটা,,আমার মা টা কত দিন পর চেহারা কেমন হয়ে গেছে,আমার মেয়েটা আল্লাহ জানে কি খেয়েছে সেখানে
রুপা তার মায়ের হাত ধরে বলে
রুপাঃ এখন তো আমি তোমার কাছেই আমার কিউটি পাই,,এখন থেকে যত আদর করার করিও৷
রুপা তার বাবার কাছে যায়
রুপাঃপাপ্পা আমি কি এইখানে আমার বাচ্চা নিয়ে একবারে থাকতে পারি?
মিরাজঃ এইটা কি ধরনের কথা রুপা?এইটা তোর বাড়ি তুই থাকবি না তো অন্য কেউ থাকবে?আমার মেয়ে আমার কাছে থাকবে, এইটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার যে আমার মা আমার কাছে একবারে থাকবে
রুপা সবার সাথে কথা বলে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে মাইশা ছোট একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে,,
রুপাঃ অইটা বুজি আমার আকাশের আয়ান?
শাহেদাঃ তুই কি করে জানলি?
রুপাঃ সারা রাস্তায় চাচ্চু আর পাপ্পা পুরো বাড়ির কথা বললো তাদের থেকে এই দুই বছরের সব লিস্ট পেলাম
রুপা গিলে মাইশার কোল থেকে আয়ানকে নিয়ে অনেক আদর করে,,,মাইশা শুধু তাকিয়ে আছে রুপার দিকে,,রুপা আয়ানকে রিমার কাছে দেয় মাইশার কাছে এসে বলে
রুপাঃ অহ এখন বুজি আমি কেউ না?একটু জড়িয়ে ও ধরলে না
মাইশা জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,
রুপাঃ হায় হায় বলেও দেখি ভেজাল এই দেখি পুরো কান্নার পাহাড় তুলে ফেলেছে
সবাই হেসে দেয়,,,
মাইশাঃ আপু আমায় মাফ করিও আমি সত্যি ভাবি নাই আমার কারনে এমন হবে
রুপা মাইশাকে সরিয়ে বলে
রুপাঃ এক চড় লাগাবো এইসব বললে ফাজিল মেয়ে একটা,,,উল্টো সরি আমার বলা উচিত অইদিন আমার ভুলের কারনে তোমায় শাস্তি পেতে হলো,,তোমার সাথে যা হলো এরপর আমি কিভাবে তোমার সামনে আসবো তাই ভাবছিলাম,,মাইশা আমায় মাফ করে দিও তুমি
মাইশাঃ ছি ছি আপু এইসব একদম বলবে না,,
শাহেদা এসে দুইজন কে বলে
শাহেদাঃ যা কিছু হয়েছে সব কিছু ভাগ্যে ছিলো এইসব আর মনে না করা বেটার,,,
রুপাঃ আমার না খুব ক্ষিধে পেয়েছে কিছু কি পাওয়া যাবে খাওয়ার জন্য
রিমা তাড়াতাড়ি গিয়ে খাবার দিতে বলে টেবিলে
রাতে,,,
সবাই এক সাথে অনেক গল্প করে আজ যে খুশির দিন বাড়িতে,,,রুপা মাইশার কাছে বসে মাইশাও অনেক খুশি এইভেবে যে রুপা তার উপরে রেগে নেই,,,
রুপাঃ মাইশা ছাদে যাবে?
মাইশাঃএখন আপু?
রুপাঃহুম
মাইশা আর রুপা নিলে ছাদে যায়,,রুপা আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনে বলে উঠে
রুপাঃ জানো মাইশা একটা মিথ্যা সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম আমি অনেক টা বছর,,,বিয়ের দুই বছর ধরে আমার সাথে ভালো ছিলো তারপর তার অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক তা জানতে পারি তারপর ভাবলাম বেবির দিকে তাকিয়ে সব ঠিক হবে আমার কাছে মাফ ও চেয়েছিল তারপর আবার আরেক বেবি হয় ভাবলাম সব ঠিক,,কিন্তু তার এই মেয়েদের সাথে সম্পর্ক শেষ হয় নাই,,আকাশ আমায় বলেছিল আমি জানতাম তবুও অইদিন নিজের ভাইকে বকা দিয়ে বের করে দেই,,নিজের স্বামীর সব দোষ গুলো জেনেও চুপ ছিলাম যা ছিলো আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল,,,
মাইশাঃ অন্যায় সহ্য করাও অন্যায়,,,
রুপাঃ আকাশ ও সেম বলেছে,,আমার কারনে আকাশের জীবন ও শেষ করতে চেয়েছে তারেক আর মাহি মিলে যা আমার কাছে অজানা ছিলো,,এতো কিছুর পরও তারেক তোমার ক্ষতি করতে চেয়েছে যদি অইদিন আমিবক না মারতাম তাহলে হয়তো সে তোমায় শেষ করে দিতো আর তোমায় করলে আমার আকাশের জীবন পুরো অন্ধকার হয়ে যেতে মাইশা আমি বোন হয়ে নিজের ভাইয়ের এতো বড় ক্ষতি কিভাবে মেনে নিতাম বলো?
মাইশাঃ আপু অতীত ভুলে যাওয়া বেটার,,,অতীত যত মজে রাখবে তত বেশি কষ্ট পাবে,,
রুপাঃ অতীত আর মনে রাখবো না,আমি এখন আমার বাচ্চাদের জন্য বাঁচবো তাদের সুখের জন্য আমাকে হাসিখুশি ভাবে বাঁচতে হবে,,
মাইশা রুপাকে জড়িয়ে ধরে এই শুনেই,,
অনেক ক্ষন পর
মাইশা রুমে যায়,,আকাশ আয়ানকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে,,
মাইশাঃ ঘুমিয়ে গেছে?
আকাশঃ অহ তুমি আসলে?হ্যাঁ মাত্র
মাইশাঃ আপুর সাথে কথা বললাম তাই
আকাশ আয়ানকে শুয়ে দিয়ে মাইশার কাছে আসে
মাইশাঃ কি?
আকাশ মাইশাকে বারান্দায় নিয়ে যায় কপালে চুমু দিয়ে বলে
আকাশঃ আমার জীবনের বেস্ট গিফট তুমি
মাইশাঃ তাই?
আকাশঃ হুম,,তুমি আমার জীবনের সত্যিকারের মহব্বত,,,আমার শেষ মহব্বত,,,হ্যাঁ তুমি আমার মহব্বত শুধু আমার
মাইশাঃ আমার জীবনের প্রথম ও শেষ মহব্বত শুধু তুমি,,ভালোবাসা কি আমি জানতাম না আকাশ কিন্তু তোমার থেকে জানলাম ভালোবাসা কি?আকাশ অনেক ভালোবাসি তোমায়
আকাশঃ আমিও অনেক ভালোবাসি,,আমাকে ছেড়ে কখনও যেও না আজীবন আমার কাছে থাকিও ইনশাআল্লাহ কখনো কমবে না আমার মহব্বত তোমার জন্য
মাইশাঃ আমার ও কমবে না
দুইজন আজ দুইজনে প্রমেস করে তাদের ভালোবাসা এমন অটুট থাকবে,,,মহব্বত কি অদ্ভুত তাই না?কখন কিভাবে হয়ে যায় কেউ টের ও পাই না,আর যখন হয় তখন তা ছাড়া অনেক মুশকিল হয়ে যায়,,, ভালোবাসার মানুষ কে আগলে সবাই রাখতে চায় সবাই চায় ভালোবাসার মানুষকে আজীবন নিজের করে রাখতে,,,সত্যিকারের ভালোবাসা যে বুজে সে সুখী আর যে না বুজে তা ছেড়ে যায় সে বেকুব,,
,,,,,,সমাপ্ত,,,,,,,,